#ভিনদেশি_তারা
#পর্ব-১৯
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
৫৬.
আপুর কর্কশ চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙলো। বিরক্তি নিয়ে উঠতেই আপু কাঁদোকাঁদো স্বরে বললো, ‘তুই জানিস কী হয়েছে চিত্রানি?’
আমি ঘুমঘুম গলায় বললাম, ‘কী?’
‘ তোর ভাই নাকি এখন দেখা করতে আসবে। বল আমি এখন কী করবো?’
‘ মানে এতোরাতে হবু বউয়ের সাথে কীসের দেখা? দু’দিন পরে তো সারাদিন-রাত দেখা করতে পারবে!’
‘ এইটা আমাকে না বলে তোর আদরের হবু দুলাভাইকে বলে দেনা!’
‘ আমি তোমাদের বর-বউয়ের মাঝখানে কী করবো, আজব!’
‘ তুই ফোন করে বলে দে আমি এখন যেতে পারবোনা।’
আমি বিরক্তির তুঙ্গে ওঠে বললাম, ‘ তুমি ভালো করেই জানো আমার এসব ন্যাকামি ভালো লাগে না। প্লিজ আমাকে বিরক্ত করোনা।’
‘ এরকমটা বলতে পারলি?’
‘ পারলাম।’
‘ তুই এতো কঠোর মনের কী করে হয়ে গেলিরে চিটু?’
‘ পরিস্থিতি কঠোর বানিয়ে দিলো।’
‘ ধুর!’
আপু মুখ ভার করে চলে যেতে নিলেই আমি টেনে বসালাম। হাত থেকে ফোনটা নিয়ে না চাইতেও মাহমুদ ভাইয়ার নাম্বারে ডায়াল করলাম। ফোন রিসিভ হলো এবং ভাইয়া লাজুক হাসি দিয়ে বললো, ‘আমি তোমাদের বাসার নিচে। জলদি চলে আসো সুন্দরী!’
আমি কঠোর গলায় বললাম, ‘চৈতী আপু এখন যেতে পারবেনা ভাইয়া।’
থতমত খেয়ে ভাইয়া বললো, ‘চিত্রা?’
‘ জ্বি!’
‘ ইয়ে মানে চৈতী কোথায়? ওর সাথে কথা ছিলো। ওকে কী দেওয়া যাবে?’
‘ না।’
‘ প্লিজ! দেখো তুমি আমার ছোট বোন, একটু দেখা করবো শুধু। বলো না আসতে।’
‘ বিয়ের পর ইচ্ছেমতো বউয়ের সাথে প্রেম করতে পারবেন। এভাবে রাত বারোটায় খোলা রাস্তাঘাটে কেউ দেখলে খারাপ ভাববে!’
‘ কেউ দেখবেনা।’
‘ আপনি শিওর? ধরা পড়লে কিন্তু আমি আপনার দোষ দেবো অতঃপর বিয়ে ভঙ্গ। সারাজীবন আইবুড়ো হয়ে থেকে যাবেন।’
মাহমুদ ভাইয়া বললো, ‘আমি তোমাকে হাজার টাকা দিবো, তাও প্লিজ একটু দেখা করি?’
‘ আমাকে আপনার ঘুষখোর মনে হচ্ছে? শুনুন, আমার কারো টাকা লাগবেনা। যাইহোক, অতো করে যখন বলছেন তখন পাঠাচ্ছি। পাঁচ মিনিটের বেশি হলে বাড়ির সবাইকে ডেকে তুলে আপনার কান্ডকীর্তি দেখাবো। রাজি? জাস্ট ফাইভ মিনিটস।’
‘ ওকে ওকে। তুমি যা বলবে তাই। অনেক ধন্যবাদ।’
ফোন রেখে আমি হাসতে হাসতে লুটোপুটি খেলাম। বেচারাকে একটু হলেও নাকানিচুবানি খাওয়াতে পারলাম। এতোদিন সুযোগই পাইনি। বড় বোনের বর হিসেবে মেয়েরা কত ফাঁদই না ফাঁদে। আমাদের এ পর্যন্ত সুযোগ আসেনি। তাই একটু বিব্রত করলাম। আসলে যতোটা বোকাবোকা দেখায়, মাহমুদ ভাইয়া তার চেয়ে দশগুণ চালাক। আপু আর ভাইয়ার দশ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ে ঠিক হয় আরও অনেকবছর আগে, ভাইয়া দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় তখন আর বিয়েটা হয়নি। বিদেশ থেকে ফিরেছে একমাস হলো, এখন বিয়েটা সেরে ফেলতে চাইছে। আমি দরজা খুলে গেইট পর্যন্ত আপুকে এগিয়ে দিয়ে এলাম। ফিরে এসে জানালা দিয়ে দেখলাম গাড়িতে বসে দুজন কথা বলছে। কি সুন্দরই না দেখাচ্ছে দুজনকে! আপুর বরাবরই ফর্সা ছেলে পছন্দ, ভাইয়াও অনেক ফর্সা। এডওয়ার্ডের মতো! যাহ, আবার মনে পড়ে গেলো পাগলটার কথা!
৫৭.
সেদিনের কথা!
ক্লেভ আমার দিকে উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। অস্বস্তিতে গাঁট হয়ে বসে আছি আমি। কি উত্তর দেবো ভেবে পাচ্ছিনা। যদি “হ্যাঁ” বলে দিই, তাহলে পরিবার-সমাজ আমাদের বিয়ে মেনে নিবেনা। আর যদি “না” বলি তাহলে ক্লেভ কষ্ট পাবে। আর রইলো ধর্ম! আমি যেমন আমার ধর্ম ছাড়তে পারবোনা তেমনি ক্লেভও নিশ্চয়ই আমার জন্য ওর ধর্ম ছাড়বেনা। আর আমিও চাইনা ও নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে আমার জীবনে আসুক। সরাসরি ওকে ফিরিয়ে দিতে আমি পারবোনা, ওর চোখের দিকে তাকাতে পারবোনা। আমি সবদিক মোটামুটি চিন্তা করে বললাম, ‘আসো বাড়ি ফিরে যাই।’
‘ তুমি কিছু বললেনা যে।’
‘ বলবো, এখন চলো।’
‘ আরেকটু পরে যাই?’
‘ অনেক রাত হয়েছে। মারোলা নিশ্চয়ই ওয়েট করছে, এমনিতেই ওর মন ভালো নয়।’
‘ ঠিক আছে, চলো।’
তখন নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে চারদিকে। সাঁ সাঁ করে হাওয়া বইছে। পটোম্যাক নদী তার শান্ত, স্নিগ্ধ রুপ পাল্টে ঢেউয়ের আলোড়ন তুলছে। সেই আলোড়ন আমার মন জুড়ে উথাল-পাতাল শব্দ তৈরি করলো। অবচেতন মস্তিষ্কের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি আচমকাই ক্লেভকে জড়িয়ে ধরলাম। তখন আমার ঠিক কী হয়েছিলো আজও বুঝতে পারিনি।
হুট করে জড়িয়ে ধরায় ক্লেভ টাল সামলাতে না পেরে কয়েকপা পিছিয়ে গেলো। ভাবলো, আমি বুঝি ওর প্রস্তাবে রাজি। ও যখন নিজের ঠোঁট আমার কপালে ছুঁয়ালো তখনো আমি এক ঘোরের মাঝে মগ্ন, চোখ বেয়ে জল গড়াচ্ছে।
আমি দু’হাতে ওকে আঁকড়ে ধরলাম। অন্ধকার আকাশ ঠেলে বেরিয়ে এলো চাঁদ! একসময় আমার অধরদ্বয়ে ক্লেভের ঠোঁটের ছোঁয়া পাই। মনে হচ্ছিলো সময় যদি এখানেই থমকে যেতো, হাজারটা বছর যদি পার হয়ে যেতো, তাহলে কি এমন ক্ষতি হতো। আমার হুঁশ ফিরতেই ওকে ঠেলে সরিয়ে দিলাম। লজ্জ্বায় মাথা হেঁট হয়ে গেলো। ছিঃ! আবেগের বশে কি করে বসলাম আমি। দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে বসে পড়লাম। হাতুড়ি পিটাচ্ছে হৃদপিণ্ড! মুখ ঢেকে বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পরে ক্লেভ এসে বসলো ড্রাইভিং সিটে। ওর গলায় হাসিখুশি ভাব। যেন কিছুই হয়নি, এসব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ও তো জানেনা এটা আমার জন্য কত্টা লজ্জ্বার, কষ্টের!
গাড়ি স্টার্ট করতে করতে ও আমাকে একপলক দেখে নিলো। বললো, ‘ কিছু হয়েছে কী?’
আমি চুপ।
‘ তুমি এভাবে গুটিসুটি মেরে বসে আছো কেন? আমার সারপ্রাইজটা কেমন ছিলো বললে না যে!’
গলা দিয়ে শব্দ আসছেনা। কোনোমতে বললাম, ‘ভা ভা..ভালো!’
‘ তুমি জানো আমি কী ভয় পেয়েছিলাম?’
‘ কেন?’
‘ গত দু’বছর ধরে আমি রিহার্সেল করছি তোমাকে কীভাবে প্রপোজ করবো, আজ সফল হলাম!’
‘ ওহহ!’
‘ তুমি এতো চুপচাপ কেন?’
‘ কোথায় চুপচাপ! তুমি কথা বলছো তাই এরকম মনে হচ্ছে!’
ক্লেভ অতি উৎসাহের সাথে বললো, ‘জানো আমি কত কী প্ল্যান করেছি?’
‘ কীসের প্ল্যান?’
‘ আমাদের কীভাবে বিয়ে হবে, কয়টা বেবি নিবো। নতুন বাড়ি নিবো নাকি এটাতেই থাকবো, তুমি কী খেতে পছন্দ করো এসবই।’
‘ তুমিতো সব প্ল্যান করে বসে আছো।’
‘ প্ল্যান করে আগানোটা বেশ বুদ্ধিমানের কাজ।’
‘ হুম।’
‘ শুনো, উইকেন্ডে আমরা দুজন ঘুরতে যাবো। আমি রান্না করবো, ওকে?’
‘ কেন তুমি রান্না করবে?’
‘ তুমি করবে নাকি?’
‘ বউয়েরাই তো রান্নাবান্না করে!’
‘ এডওয়ার্ডের বউ শুধু তাঁকে ভালোবাসবে, আর কোনোকিছু করতে এডওয়ার্ড দেবেনা।’
‘ কচু!’ বাংলায় বললাম আমি। ব্যস শুরু করে দিলো ওর কথা।
‘ ক্ককচচু মিন?’
‘ তুমি চিনবেনা।’
‘ চিনবো।’
‘ কচু হলো একটা সব্জি। ওটা খেলে গলা চুলকায়।’
‘ তাই নাকি? কী ভয়ংকর ব্যাপার। মানুষ কী মরে যায়?’
‘ না।’
‘ আচ্ছা, তুমি কিছু বললেনা যে?’
‘ কী বলবো?’
‘ এই যে, তুমি আমাকে প্রপোজ করলেনা।বললেনা যে আমাদের বিয়ের পর তুমি কী করবে? এইসব আরকি!’
আমি বিষন্ন গলায় বললাম, ‘ পরে বলবো।’
‘ প্রতিদিন দেখা করবে, ওকে? নাহলে মারোর বাসায় গিয়ে তুলে নিয়ে আসবো!’
‘ এই না না। তুলে নিয়ে আসবে কেন?’
‘ তোমার সাথে সময় কাটাতে আমার ভালো লাগে। তোমাকে দেখলে মিষ্টি মনে হয়, ইচ্ছে হয় খেয়ে ফেলি।’
‘ ছিঃ ক্লেভ! তুমি এতোদিন আমাকে এই নজরে দেখতে?’ আমি বড়বড় চোখ করে তাকালাম।
ও থতমত খেয়ে ভ্যাবলাকান্তের মতো বললো, ‘ না না! আমি এমন কিছুই ভাবিনি।’
আমি কড়াচোখে তাকিয়ে বললাম, ‘তোমার সাথে আর কথা নেই।’
এরপর বিভিন্নভাবে ও আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো আমি বললাম না। বাড়ি নামিয়ে দেওয়ার পর বললাম, ‘ধন্যবাদ।’
‘ তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমার ভালো কেটেছে।’
‘ শেষবার তো, তাই!’
ও অবাক হয়ে বললো, ‘ কী?’
‘ কিছুনা। ভালো থেকো। আমার কথায় বা আমার জন্য দুঃখ পেয়োনা।’
‘ মোটেও না। আচ্ছা, কাল আমি ওয়েট করবো তোমার জন্য!’
আমি অনেক কষ্টে বললাম, ‘কাল দেখা করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমার জন্য অপেক্ষা করোনা। আসছি!’
ও পেছন থেকে ডাকলেও আমি আরকিছুই বলিনি। খুব খারাপ লাগছিলো। ঘরে ঢোকার আগমুহূর্তে একবার ফিরে দেখেছিলাম তখন গাড়িতে হেলান দিয়ে দু’হাত পকেটে ঢুকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। নীল চোখজোড়া জ্বলজ্বল করছে, রাতের আঁধারেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
৫৮.
বাড়ি এসে দেখি মারোলা খুব খুশি। কারণ অনেকদিন নিঝুমের পিছনে পরে থাকার পর পাষাণ মানুষটাকে ও গলাতে পেরেছে। এর চেয়ে আনন্দের আরকিছুই ওর কাছে নেই। আমি এতো অবাক হলাম যে কয়েক মিনিট কথাই বলতে পারলাম না। নিঝুম! ওই গুন্ডা লোকটা এতো সহজে মেনে নিলো মারোলাকে? আই কান্ট বিলিভ!
ক্লেভ আমাকে প্রপোজ করায় যতোটা না অবাক হয়েছি এর চেয়ে শতগুণ বেশি অবাক হয়েছি মারোলার কথা শুনে। খুশিতে জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘কী খবর শুনালে তুমি! কংগ্রাচুলেশনস।’
‘ আমিও অনেক খুশি!’
ভাবলাম নিঝুমের মতলবটা কী! নিজের ঘরে গিয়ে ফোন করলাম। নিঝুমকে জিজ্ঞেস করতেই হাসলো। বললো, ‘আমার জন্য ওনি এই কথাটা মেনে নিয়েছেন। সারপ্রাইজ!’
‘ কোনোভাবে খারাপকিছু করবেন নাতো?’
‘ নাহ। তোমাকে তো ওই সাদা বাঁদর প্রপোজ করেছে। বলবেটা কী?’
‘ আপনি জানলেন কীভাবে?’
‘ বলবোনা। তো কী বললে? দুজন যে আলাদা ধর্মের এখন কী করবে?’
আমি কিছু একটা ভেবে নিঝুমকে বললাম, ‘একটা কথা বলতে পারি আপনাকে? বন্ধু হিসেবে?’
‘ বন্ধু! আচ্ছা বলো!’
‘ আমি কাল চলে যাবো।’
নিঝুম উদ্বিগ্ন গলায় বললো, ‘ চলে যাবে মানে? কোথায়?’
‘ দেশে।’
‘ হঠাৎ?’
‘ আমি ক্লেভকে কষ্ট দিতে চাইনা। আর আমি ওকে ওর ধর্ম পাল্টাতে বলতে পারিনা, আর না নিজেরটা পাল্টাবো। তাই যেটা কখনো হওয়া সম্ভব নয় সেই সম্পর্কে জড়াতে চাইনা।’
‘ আমাকে কী করতে বলছো?’
‘ আমাকে হেল্প করুন। কাউকে বলবেন না আমি চলে গেছি।’
‘ লুকিয়ে লাভ কী? সবাই ভাববে তুমি দেশে চলে গিয়েছো।’
‘ ভাবুক!’
‘ কখন যাবে?’
‘ আগামীকাল। আপনি একটু ব্যবস্থা করে দিন। আমার ঠিকানাও কাউকে দিবেন না। ভরসা করতে পারি তো?’
‘ হুম।’
_____
দশমাস আগে, এভাবেই কাউকে কিছু না জানিয়ে, একপ্রকার লুকিয়ে নিঝুমের সাহায্যে বাংলাদেশ চলে এসেছিলাম আমি। হুট করে ফিরে আসাতে সবাই ভেবেছে আমি বুঝি সারপ্রাইজড করতে এসেছি, কিন্তু বলবো কীভাবে আমি বিচ্ছেদের
যাৎনা সহ্য করে আটলান্টিকের ওপার থেকে ফিরে এসেছি, কাউকে কিছু না বলে! এমনকি অতি বিশ্বস্ত বন্ধু মারোলাকে পর্যন্ত বলিনি। অভিশাপ হয়ে আসা নিঝুম আমাকে সেদিন সাহায্য করে, আশীর্বাদ হয়েছিলো সেদিন। জানিনা কেন সাহায্য করেছিলো।
দেশে এসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশন্যাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাবরেটরীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। বড় চাকরি, ভালো বেতন। নিজের উপার্জনে চলি। আসার পর আব্বু অনেক চাপ দেয় বিয়ে করার জন্য। আমি রাজি না হওয়াতে আব্বু এখন আর আমার সাথে কথা বলেনা। আমিও মনে মনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অটল। জানিনা এডওয়ার্ড এখন কেমন আছে, এতোদিনে একবারও খোঁজ নিইনি। যে নীল চোখের মায়ায় চারবছর আগে পড়েছিলাম, চাইনা অন্য কোনো চোখের মায়ায় আবারও ধ্বংস হতে।
হুট করে আবারও জীবনটা একটা মোড়ে এসে দাঁড়ালো। এলোমেলো জীবনের ছন্দ খুঁজতে খুঁজতে কোথায় যেনো আবারও হারিয়ে গেলাম। সেখানে শুধু আমি, আমি এবং আমিই! আর এডওয়ার্ড ভিনদেশি তারা হয়েই রয়ে গেলো।
চলবে…ইনশাআল্লাহ! ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।
উদ্ভট হওয়ার জন্য দুঃখিত। হুট করেই অন্যরকম হয়ে গেলো গল্পটা।