ভোরের কুয়াশা পর্বঃ ০৩

0
1718

ভোরের_কুয়াশা
#পর্ব_৩
#Misty Meye(মরিয়ম)

————–এইতো গুড গার্ল,,,,যাও তাহলে আর হে তাড়াতাড়ি আসবা।

—————হুম।

এরপর আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম।এক ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো আমি বের হচ্ছিনা দেখে লোকটা দরজায় নক করে।

—————-কেরে(আমি)

—————-এক ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো বের হচ্ছোনা কেন তুমি?আজকে কি ওয়াশরুমেই বসে থাকার প্লেন করছো নাকি?(রেগে বলল)

—————-বের হবো না আমি আজকে।দেখি আপনি কিভাবে আমাকে বের করেন?

—————-ও আচ্ছা তাই নাকি।আমায় যদি তোমাকে বের করতে হয় তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে।তারপর আমি যা করবো তা কিন্তু তোমার জন্য মোটেও ভালো হবেনা।তাই বলছি দরজা খুলো।

—————–আপনি কি করবেন কি হ্যা।কচু করবেন আমার।আমি খুলবোনা দরজা।দেখি আপনি কিভাবে দরজা খুলেন।হু,,,,,,,

—————–কুয়াশা লাস্ট বার বলছি দরজা খুলো না হলে কিন্তু আমি দরজা ভাঙব।আর আমি দরজা ভাঙলে কিন্তু তোমার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।তাই ভালোই ভালোই বলছি দরজা খুলো।(রেগে বলল)

আমি এবার সত্যি ভয় পেয়ে যাই। যদি সত্যি ওই অসভ্য লোকটা আমাকে মেরে ফেলে।ও আল্লাহ গো আমার বাবুদের কি হবে গো। নাতি-নাতনি ও আমার জন্য কান্না করবো গো।আমি আর ওদের সাথে গল্প করতে পারবোনা গো,,,,,এ্যাঁ, এ্যাঁ,এ্যাঁ

——————কি হলো দরজা খুলবে না তো।ঠিক আছে এবার আমি যা করার তাই করবো। ওয়েট।

যখনই দরজা ভাঙতে যাবে তখনি আমি দরজা খুলে বের হই।গিয়ে দেখি লোকটা চোখ মুখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে।যেই আমার সামনে আসছে ওমনি আমি চোখ বন্ধ করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,,,,

————————মারবেন না।প্লিজ।আমি মরে গেলে আমাকে কেউ আর মা বলে ডাকবেনা।আমার নাতি নাতনির অনেক শখ।ওদের না দেখে আমি মরতে চাইনা।

লোকটা আমার এরুপ আচারন দেখে হাসবে না কাদবে নাকি রাগ করবে বুঝতেই পারছে না।আমার দিকে বড় বড় চোখ করে খালি তাকিয়েই আছে।কিছু বলতেও পারছে না।

তারপর আমি এক চোখ খুলে লোকটার এই অবস্থা দেখে বলি কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?আমাকে কি আপনি এখনই মেরে ফেলবেন?

——————–হুম।মারবো।তো বল কোথা থেকে শুরু করবো মারা।

——————–আমি আবারো কান্না করে দিয়ে বলি আপনি সত্যিই আমাকে মারবেন।

ওনি কিছু না বলে সোফায় আমাকে নিয়ে বসায়।তারপর আমি টেবিলে একটি প্লেটে খাবার দেখে বলি ও এইটা আমি খাবো।আপনি কি করে জানলেন আমার খুব খিদে পেয়েছে।থ্যাংক ইউ।বলে যেই খাবারে হাত দিতে যাবো তখনই ওনি আমার হাত খপ করে ধরে বলে আমি বলেছি তোমাকে যে এইটা তোমার?

—————কই না তো।

—————-তাহলে খেতে যাচ্ছিলে যে।

—————–তো খাবো না।আমার খিদে পেয়েছে। আর আপনিই তো আমাকে এইখানে বসালেন।তাই ভাবলাম এইটা আমার খাবার।

——————না। এটা তোমার খাবার না। কিন্তু তুমি যদি চাও তো খেতেই পারো।তবে এক শর্তে।

—————–আবার কি শর্ত। খাওয়াতেও যে কেউ শর্ত রাখে আমি আগে দেখিনি।

——————তো এখন দেখো।

—————–আচ্ছা বলুন কি শর্ত।

—————–আমি তোমায় খাইয়ে দিবো।আর আমি নিজেও খাবো।বল রাজি।

—————-কিইইইইই।আপনি আমায় খাইয়ে দিবেন।তাহলে থাক আমি খাবো না।কখনোই না।আমি আপনার হাতে কিছুতেই খাবোনা।মরে গেলেও না।

—————ওকে।তাহলে আমি একাই খেয়ে নেই।

তারপর লোকটা খেতে শুরু করে।আর খাবারের এতো প্রশংসা করছে যেন আগে কখনো খায়নি।সজারুটা।

এদিকে এতো প্রশংসা করছে যে আমার আরো খিদে পেয়ে গেছে।উফঃ কি করবো।দূর খেয়েই নেই।

—————এই যে আমি খাবো।দিন আমায় খাইয়ে।

—————-কি বললে আমি শুনতে পাইনি।আর একবার বলোতো।

—————–আশ্চর্যতো।আমি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

চলবে……………………