#মুগ্ধতার__ভিরে🥀
#পর্ব________২২
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা
মুখে উপর তরল কিছু এসে পরতেই হন্তদস্ত হয়ে উঠল জায়ান। বুকে ক্রমশ জোরে ধুকপুকানি করছে।বুকে এক হাত দিয়ে সামনে তাকাতেই
তার মেজাজ গেলো চটে।তার সামনে কোমড়ে উড়না পেঁচিয়ে রাগিণী রুপ ধারান করে, হাতে পানি ভর্তি মগ নিয়ে, তারই নতুন সদ্য বিয়ে করা বউ দাঁড়িয়ে আছে।
___হোয়াট দ্যা হেল’ তুমি আমার উপর পানি কোন সাহসে ঢালছো?
জায়ান রেগে চিল্লিয়ে বলল,,
___কোন সাহসে মানে!বউ হই আমি আপনার ভুলে গেলেন! সেই সাহসেই দিয়েছি। দরকার পরলে আবার দিবো একশো বার দিবো। কি দিয়ে দেখাবো আপনাকে কি ভাবে দিয়েছি।
___আমাকে অযথা রাগাইতে তোমার ভাল্লাগে? তাই না!
নাভিলার হাত থেকে পানির মগটা ছো মেরে এক টানে নিয়ে নাভিলার মাথা ঠেলে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল
___সুখে থাকলে তো তোমার আবার ভূতে কিলাই।এভার পারলে দেও আমিও দেখি কি ভাবে তুমি দাও।
___ অসভ্য ছেলে আপনি আমার উপর পানি কোন সুখে ছুড়লেন ?
কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল,,
___ বারে অসভ্যতা আগে শুরু করল কে! সকল দোষ এখন ননদ দোষ। সাথে অসভ্যতার ট্যাগমা পেয়ে ও গেলাম আমিই । ইসসসসস,, যাইহোক তুমি যেই সুখে দিয়েছো আমি সেই সুখেই দিয়েছি।
দাঁত কেলিয়ে বলল জায়ান,
__ তখন থেকে অনেক বার আপনাকে ডাক দিচ্ছি উঠেন নি। তাই বাধ্য হয়ে পানি দিতে হয়েছি আমায়।
রেগে বলল,
__ তা এত ডাকার কারন কি!
__কয়টা বাজে সেখেয়াল নিশ্চয় আছে আপনার?এখন উঠুন ওগো স্বামী উঠুন। উঠে এই অসহায় বালিকাকে একটু ধন্য করুন তো।
___ সূর্য আজ নিজ দিকে উঠছে তো!শরীল ঠিক আছে তোমার !
__হ্যাঁ আছে স্বামী আপনার ভয়ের কিছু নেই।
__এত স্বামী স্বামী করছো কেন!
জায়ান সন্দিহান হয়ে বলল,
__ তাহলে কি ভাই ভাই ভাই করমু,,
এখন যান তো চটপট ফ্রেশ হয়ে আসুন। তার পর আপনার জন্য আমাকে দ্বিতীয় বারের মত আবার ও ফ্রেশ হতে হবে আর শুনুন,,
“জায়ান দেওয়াল ঘড়ির দিকে একবার ঘাড় কাত করে তাকালো সবে মাত্ররো ঘড়িতে পাঁচটা পনেরো কি ষোলো বাজছে”
___এই সাত সকালে তুমি আমার সাথে ঠাট্টা শুরু করছো? এত সকালে এইভাবে তোলার মানে কি?
আগে ন্যায় দ্বিগুণ রেগে কটমট করে কথাটা বলল,,
__ এইমা স্বামী আমি আপনার সাথে ঠাট্টাতামাসা কেন করতে যাব? আপনার সাথে কি আমার সেই সম্পর্ক আছে বলুন।আপনার সাথে আমার ঠাট্ট করা কি আদৌ মানায়! আর আমার রুচি এত ও খারাপ না যে আপনার সাথে এটলিস্ট ঠাট্টা করতে যাব।
লাস্ট কথাটা ভ্যাং করে বলল,
__হোয়াট কি বললে তুমি! রুচি খারাপ মানে!হোয়াট ডু ইউ মিন মিসেস জোহরা? আমি দেখতে কি বেশী খারাপ
ত্যাড়ে এসে,,,
__আরে হুদাই এত চিল্লান কিল্লাই! দেখতে খারাপ কে বলল! একবারো জন্য কি আমি তা বলেছি! যদি বলি তাল গাছ বানিয়ে ফেলেন নারিকেল গাছ। আগে শুনুন নাহ্য় আমি কি বলছিলাম তার পর তার মন্তব্য করুন,,
বিরক্তি স্বরে বলল,,
__জ্বী বলুন আমি সবই শুনছি।আর কিই বা বলার বাকি আছে আপনার বলে ফেলুন,
দাঁতে দাঁত চেপে বলল,,,
___ রাগ দেখাছেন কেনো! হাদিসে কিন্তু এটাও বলা আছে একজন আদর্শবান স্বামী অযথা তার স্ত্রী উপর এখনো রেগে কথা বলতে পারে না। মিজানুর রহমান আজহারি উক্তি কখনো শুনেন নাই?
জায়ানের এখন নিজেরই উপরই রাগ লাগছে ঘুরেফিরে হাদিসের উক্তি দিয়েই তাকে শোনাচ্ছে এই মেয়ে,,,
__ অহ আচ্ছা। তার উক্তিতে নিশ্চয় এটা ও বলা নেই যে একজন আদর্শবান স্ত্রী অযথা তার স্বামী সাথে বেয়াদবি করবে ? আর কথায় কথায় তর্ক জড়াবে?তাইনা কি মিসেস জোহরা,,
__ অই মিয়া অই বেয়াদবি দেখলেন কই! আপনাকে উল্টো সওয়াব
পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি আর আপনি আমাকে বেয়াদব বলছেন?ভারি অদ্ভুত লোকতো তো আপনি মহাশয় । কোথায় ধন্যবাদ দিবেন আমাকে সে জায়গায় উল্টো কথা শুনাচ্ছেন।
__মানে্?
__ওজু করে আসুন হাতে সময় আর সুযোগ যেহেতু আজ পেয়েছি ভাবছি একসাথে নামাজ পড়বো । কাল আপনি বললেন না ছোট ছোট কাজগুলার দ্বারা যদি সওয়াব পাওয়া যায় তাহলে তাতে মন্ধ কি? এইভাবে ক্যাবলার মত আর না দাঁড়িয়ে থেকে ফটাফট ওজু করে আসুন। ঝগড়াঝাঁটি করার কিন্তু আরো সময় পাবেন মশাই কিন্তু এই সময়টা একবার চলে গেলে কিন্তু আর দ্বিতীয় বার পাবেন না। নামাজ কায়জা হওয়ার আগে ওজু করে আসেন।
“জায়ান বিপরীতে আর কিছু না বলে কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে তাকিয়ে,, টাওয়াল হাতে নিয়ে নিঃশব্দে চলে গেলো ওয়াশরুমে ওজু করার জন্য। নাভিলা জায়ানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলো।যাক বাবা তার এক ঢিলে দুই পাখি মারার মিশন হয়ে গেল। একে বলে টেড়া টেড়ি টাইট দেওয়া। কালকের রাতের তার ঘুম হারাম করার প্রতিশোধ ও নেওয়া হল সাথে নামাজ ও আদায় করা হল। আসলে সে জায়ানকে ডাকই দেইনি। নামজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতেই ঘুমন্ত জায়ানকে দেখে তার মস্তিষ্কে এই দুষ্টু বুদ্ধিটা আসলো।
.
ওয়াশরুমে দরজায় খোলার আওয়াজে নাভিলা মুখের হাসি হাসি ভাব গম্ভীর করে, জায়ানকে পাশ কাটিয়ে সে ও ওজু করতে চলে গেলো।এতক্ষনে আকাশের অন্ধকার ভাবটা কেটে এসেছে। চারদিকে আলো ফুটে উঠেছে। চারপাশে ভেশে আছে পাখির কিচিমিচির শব্দ।ওজু করে এসে দুইজন পাশাপাশি বসে নামাজ পড়ে নিলো। নামাজ শেষে জায়ান উঠে বারান্দা গিয়ে দাঁড়ালো। সকালের হিমশিতল ঠান্ডা আবহাওয়া গায়ে মাখাতে বেশ ভাল লাগছে। সকাল সকাল বিগড়ে যাওয়া মন মেজাজ এই সতেজ আবহাওয়া নিমিষেই ফুরফুরে হয়ে গিয়েছে।আজ অনেক দিন পর এত সকালে সে উঠল।নামাজ পড়া হয়ে উঠলে ও সব সময় ফজরের নামাজটা তাকে কায়জা আদায় করতে হয়।আজ এতদিন পর সময় মত আদায় করতে পেরে বেশ ভাল লাগছে।হঠাৎ কানে ভেষে আসল কোরয়ান শরীফের তিয়ালওয়াতের মিষ্টি আওয়াজ। জায়ান গুরে বারান্দা থেকে রুমে তাকিয়ে দেখতে পেলো নাভিলা কোরয়ান শরীফ পরছে।বুগলদারে দুই হাত গুঁজে চোখ বুজে জায়ান তা শুনতে লাগলো। প্রায় অনেক বছর পর সে আবার ও এই স্বর শুনতে পেলো। মা যখন বেচে ছিলেন তখন মার পাশে বসে প্রতিদিনই শুনত। মা ও আর নেই আর না এইভাবে আর শুনা হয়েছে।মনে মনে আবার ও বলতে লাগলো প্রতিটা দিনের সূচনা টাই যদি এমন মিষ্টি হয় তাহলে পুরো দিনটাই কেমন হবে?
♣️
__এই মা স্বামী মুখমণ্ডলীয়কে এমন করে রেখেছেন যে! চিরতা রসকষ করে দিবো।
জানামাজ বাজ করতে করতে বলল,,
_হঠাৎ এত খাতিরদারি করছো। শরীল ঠিক আছে তো তোমার! জ্বর ট্বর আসেনি তো?
___নাহ শরীর খারাপ নয়।তবে মনটা কোনো এক অজানা কারনে অনেক ভাল।আচ্ছা আমি চা করে নিয়ে আসছি খাবেন?
___আমি চা খাই না।
____আগে খেতেন না কিন্তু এখন থেকে নিয়মমাফিক করে আমার সাথে রোজ সকালে বিকালে এক কাপ করে চা খাবেন। চিরতা খেতে খেতে জীবনকে পুরো দমে চিরতা রসকষহীন করে ফেলেছেন। এখন থেকে বেশি বেশি কতে যত সম্ভব পারবেন মিষ্টি খাবেন আর নিজের তিত্ত মুখকে মিষ্টকারক পরিনতি করবেন।
__বেশী মিষ্টতা কিন্তু আবার সাস্থ্যের জান্য হানিকারাক। তিত্তাই ঠিক আছে। একটা কথা কি জানো তো নিম যতই তিত্ত হোক তার গুণবত্তা কিন্তু অনেক তা নিশ্চয় জানো?
____আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করেছি কিছু?
“জায়ান নিঃশব্দে হাসলে আজকাল মেয়েটা জ্বালাতে তার অন্যরকম ভাল লাগা খুঁজে পায়। যে ভাল লাগাতে সে এক চিলতে সুখ পাখি দেখে।নাভিলার আর কথা না বাড়িয়ে রুম থেকে চলে গেলো ”
.
.
ঘড়িতে আপাতত ছয়টা দশ বাজে বাসার সবায় গবিরতম ঘুমে আছনো। নাভিলা সে সুযোগে ধীরে_সুস্থে পা টিপে টিপে রান্নাঘরে আসলো। মেচ খুঁজে চুলা ও জ্বালালো।হাড়িতে তিন কাপ পরিমান পানি বসিয়ে আবার দুই কাপ কমিয়ে এক কাপ বসালো। রান্নাঘর থেকে বাগানের দিকটা হাটা দিলো। বাগান থেকে খুঁজে খুঁজে কিছু কচি কচি পুদিনাপাতা দেখে ছিঁড়ে নিয়ে আসলো। অহনা থেকে সে শুনেছিলো তার দাদি পুদিনাপাতার চা খুব পছন্দ করে। তার পছন্দ অনুযায়ী চা করে তাকে আজ খাওয়াবে। রান্নাঘরে এসে আগে দাদির পুদিনাপাতা চা করে নিলো। তারপর সেটা কাপে ঢেলে নিয়ে উপরে এক পিস লেবু রস মিশিয়ে দিয়ে দিলো।তা নিয়ে দাদির রুমে ছুটলো।
দাদি সবে মাত্ররো নামাজ শেষ করে জানালার পাশে বসে তব্জি পড় ছিলেন।
____কি করছো!
____এইতো বসে আছি অইখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন এইখানে আয়।
“দাদি থেকে অনুমতি পেতে নাভিলা হাসিমুখে দাদির কক্ষে প্রবেশ করল”
___এই নাও তোমার জন্য গরম গরম পুদিন আর লেবুর চা করে নিয়ে আসলাম।এখন খেয়ে বলতো কেমন হয়েছে!
___ কে করেছে তুই করেছিস!
__হ্যাঁ
___তাহলে তো টেস্ট করতেই হয় আমার বোন বানিয়েছে বলে কথা। তা এত সকালে ঘুম থেকে উঠলি যে! এত সকালে তো এই বাসার কাক ও তার ঘুম থেকে উঠেনা। সব নয়টার পরই উঠে। আর একটু ঘুমিয়েই নিতি।
___কলেজ, ভার্সিটি জন্য আমার সকাল সকাল উঠার অভ্যাস আছে তাই আর ঘুমানোর দরকার নেই।আজ কিন্তু আমি একা উঠিনি সাথে তোমার নাতিকে ও উঠেছি।
___ সে কি রে জায়ান উঠেছে! ও তো দশটার আগে কখনোই উঠেনা,,
অবিশ্বাস স্বরে বলল,,
___উঠেনা এখন থেকে রোজ সকালে উঠবে। তুমিই তো আমাকে ফর্মুলা দিয়ে শিখিয়ে দিয়েছো কিভাবে নিজের বাকা স্বামীকে টাইট দিয়ে সোজা করতে হয়।সেই ফর্মুলা দিয়েই তোমার টানাবানা ত্যাড়া নাতিকে লাইনে আনবো দেখিও তুমি একদিন।
“দাদি বিপরীতে হেসে দিলেন হাতের ইশারায় ডেসিনটেবিলের দেখিয়ে বললেন।
__তা করিস এখন অইখানে একটা ছোট বাক্স আছে একটু নিয়ে আয়তো বোন।
__একটু কেনো তোমার জন্য পুরোটাই নিয়ে আসছি।
__অরে দুষ্টু মেয়েরে
“নাভিলা উঠে গিয়ে নিয়ে আসলো।জুয়েলারি টাইপ বাক্সটা দাদির হাতে এনে দিতেই দাদি হাতের ইশারায় তার পাশে আবার ও বসতে বললেন। ছোট বাক্সে থেকে চকাচক দুইটি চুড়ি বের করে নাভিলার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললেন”
___এটা তোর প্রথম সফলতা ইনাম আমার পক্ষ থেকে। দেখত পছন্দ হয় কিনা। সেই অনেক বছর আগে তো বানিয়ে রেখেছেলাম জায়ানের বউ এর জন্য। পছন্দ না ও হতে পারে পুরাণোক্ত ডিজাইন বলে কথা! এখন তো এই ডিজাইন সচরাচর আর কেউ তেমন পরে না।
__উঁহু শুধু পছন্দ না অসম্ভব পছন্দ হয়েছে।ম্রিস্টার অভদ্রকে টাইট দিতে গয়ে এত সুন্দর গিফট পাবো আমিতো ভাবি নাই।পুরাণোক্ত বলেই এটা অসম্ভব সুন্দর দেখো আমার হাতে মানিয়েছে না!ধন্যবাদ দাদিমা এত সুন্দর চুড়ি আমাকে দেওয়ার জন্য।
_দাদি নাভিলার হাতে চুমু খেয়ে বললেন
___খুব মানিয়েছে।
♣️
.
দাদি রুম থেকে বের হয়ে নিজের হাতের দিকে বার বার তাকাচ্ছে আর মুচকি হাসছে।চুড়িটা পুরানো হলে কি হবে বেশ সুন্দর ডিজাইনটা ও বেশ আনকমন। রান্নাঘরে আসার সময় দেখতে পায় সদরদরজা আসিফকে। সম্ভাবনা হয়তো জগিং করে বাসায় ফিরেছে।গায়ে জগিং এর জামা খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ফটাফট রান্নাঘরে গিয়ে ঠান্ডায় পানি দিয়ে এক গ্লাস লেবুর সরবত বানিয়ে হোলরুমে বাবাই জন্য হাতে করে নিয়ে আসলাম।
.
___বাবাই এই নিন, এই সরবত টা খেয়ে নিন এতে ক্লান্তি কিছুটা কমে আসবে।
হঠাৎ এমন কথা আসিফ অবাক হল, চোখ মেলে তাকাতেই সে ভূত দেখার মত বলল,,
___এই কি মা তুমি এত সকালে!
__জ্বী বাবাই এখন এটা খেয়ে ফেলতো তোমাকে বড্ডো ক্লান্তি দেখাচ্ছে।
“আসিফ আর কিছুনা না বলে হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে ঢকাঢক করে খেয়ে নিলো এই সময় এমন কিছুরই তার খুব প্রয়োজন ছিলো”
__চা খাবে! আমি চা বানাচ্ছি তোমার জন্য নিয়ে আসি!
___না মামনি আপাতত চা এখন আর খাব না। তা এত সকালে উঠলে যে ঘুম ভাল করে হয়নি! না জায়ান তোমাকে কিছু বলেছে! মন খারাপ?
___অরে বাবা এক সাথে এত প্রশ্নবোধক। নাহ্ জায়ান আমাকে কিছু বলেনি তুমি সে ব্যাপারে নিচিন্তায় থাকতে পারো বাবাই।সকাল সকাল ঘুম থেকে আমার উঠার অভ্যাস আছে।তাই উঠে গিয়েছে। কাল সকালে জগিং এ জাওয়ার সময় আমাকে ও সাথে করে নিয়ে যেও। বাব মেয়ে দুইজন এক সাথেই এখন থেকে রোজ সকালে জগিং এ যাব। এতে দুইজন ফিট ও থাকব সকালের ফুরফুর হাওয়াতে মন মেজাজ ঠিক ও থাকবে আমাদের।ডিল মঞ্জুর হলে বল কিন্তু।
_নিশ্চয়
__এখন রুমে গিয়ে চেঞ্জড করে নাও তো আমি তোমার জন্য কড়া করে এক কাপ চা আর সাথে নাস্তা নিয়ে আসছি।
__এখন তোমাকে আর কিছু করতে হবে না মামনি বাকিটা মুন্না আর সালেহা মিলে করে নিবে। তুমি রুমে গিয়ে রেস্ট নাও।
__আচ্ছা।
.
রান্নাঘরে পূনরায় এসে নিজের জন্য চা বসালো নাভিলা। চা ছেঁকে কাপে নিয়ে এভার জায়ানের জন্য গরম পানি বসালো তার প্রিয় রসকষ যুক্ত চিরতা করার জন্য।কিন্তু মস্তিষ্ক কে তার কেঁকা আপার নিমপাতা প্রো মাক্স চায়ের রেসিপি দৌড়াচ্ছে। মুখে দুষ্টুমি হাসি রেখা রেখেই হাতে দুই কাপ নিয়ে রুমে আসলো। জায়ান খাটে আধো শুয়া হয়ে ফোন স্কোল করছে।
___ধরুন আপনার চিরতা।
“জায়ান ফোনের দিকে তাকিয়ে বলল,
___চুয়ান্ন মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড লাগলো আপনার দুই কাপ চা করতে। আপনিতো দেখছি খুব বড় মাপের রাঁধুনি ম্যাম।
___খোঁচা দিচ্ছেন আমাকে একদমই অযথা খোঁচাতে আসবেন না বলে দিলাম।
___একদমই না কিন্তু বুঝা হয়ে উঠল তোমার আসায় বসে থাকলে আমাকে না খেয়েই পার করতে হবে।
“জায়ান শুয়া থেকে উঠে বসলো মেকি হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে নাভিলার হাত থেকে কফির মগটা নিলো। নাভিলার দিকে তাকিয়ে মগে চুমুক দিতেই আচমকা মুখ ফস্কে ‘ফুসসসদসসসসসসসসসসস ‘করে উঠল,,,
___এটা কি ছিলো
___জোস না! কেঁকা আপার নতুন রেসিপি চিরতা ওইথ সুগার চাসনি।খেতে কেমন ছিলো এটা বলুন
__জঘ্ন্য ছিলো
___এই মা কেন আমিত সব কিছু ঠিকঠাক ব্যালেন্স করে দিয়েছি। দুই চামচ ব্লাক কফির সাথে মাত্ররো সাত চামচ চিনি তাহলে,,
__কিহহহহ
___হ্যাঁ চিনির পরিমান মনে হয় কম হয়ে গিয়েছে তাই এমন হয়েছে। সমস্যা নেই কাল থেকে আরো দুই চামচ করে ডোচ বাড়িয়ে দিবো। এখন থেকে রোজ সকালে এটা খাবেন।আগেই বলে নেই এর কিন্তু অনেক কার্যফল আছে। এর মধ্যে আপনার নিম পাতার গুণাবলি ও পাবেন সাথে আমার মিষ্টতা।আর,,,
__তবরে
ত্যাড়ে এসে,,
নাভিলা এলোপাথাড়ি ভৌ দৌড় দিলো রুম থেকে,,,,
.
চলবে♥