রঙিন বর্ষা ৮ম এবং শেষ পর্ব

0
3188

#রঙিন_বর্ষা
লেখা: নীলাদ্রিকা নীলা
৮ম এবং শেষ পর্ব
.
শ্রাবণের প্রতি যে মেয়েগুলো ক্রাশ ছিলো তারা চোখের সামনে তাদের ক্রাশের সাথে ঝুমুরের চুমুর দৃশ্যটা দেখে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার মতো অবস্থা।
আশেপাশের স্টুডেন্টরা চিল্লিয়ে রোমান্টিক গান গাওয়া শুরু করেছে। কেউ কেউ ওদের দিকে ফুল ছিটিয়ে দিচ্ছে। কেউ আবার শিস দিচ্ছে। এসব কানে আসতেই ঝুমুরের হুশ হয়। ঝুমুর শ্রাবণকে ছেড়ে দিয়ে একটু সরে দাঁড়ালো। আশেপাশে তাকিয়ে অনেক গুলো চোখ এদিকে চেয়ে আছে দেখে একটা ঢোক গিলে এবার শ্রাবণের দিকে তাকায় আর মাথাটা একটু নিচু করে নিজের ভেজা ঠোঁট মুছতে থাকে।
শ্রাবণ ঝুমুরের দিকে তাকিয়ে বলছে, কি হচ্ছে ঝুমুর! এসব কি করছো তুমি? এটা ক্যাম্পাস। আর তুমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছো। এতগুলো মানুষ আমাদের এভাবে দেখে কি ভাবলো বলো তো।
ঝুমুর এবার শ্রাবণের চোখের দিকে তাকিয়ে বলছে,আমি এখন সেসব কিচ্ছু জানি না শ্রাবণ। আমি শুধু তোমায় দেখছি। ঝুমুর আবার এগিয়ে এসে শ্রাবণকে জরিয়ে ধরলো। শ্রাবণের বুকে মাথা রেখে বললো, আই লাভ উ শ্রাবণ! তুমি শুধু আমার।
ঝুমুরকে শ্রাবণের বুকে দেখে কিছু কিছু ছেলের বুক ফেটে যাচ্ছে। অবশেষে শ্রাবণই তাহলে ক্যাম্পাসের সেরা সুন্দরী ঝুমুরকে নিজের করে নিলো।
শ্রাবণ বললো, ঝুমুর এখানে প্লিজ পাগলামো করো না সবাই দেখছে তো আমাদের।
– দেখুক। আমি তো তোমারই বউ।
– তাই বলে সবার সামনে। আমাদের একটা প্রাইভেসি আছে না।
ঝুমুর শ্রাবণকে জরিয়ে ধরে আছে। শ্রাবণ সামনের দিকে তাকাতেই দূর থেকে রাব্বি আর তুষার হাসতে হাসতে দুইজনই হাত উঠিয়ে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেস্ট অফ লাক জানালো।
শ্রাবণও ওদের দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়ে এক চোখ টিপ দেয়।
শ্রাবণ এবার দুই হাত দিয়ে ঝুমুরকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলো। তারপর ঝুমুরের কোমরে হাত দিয়ে ঝুমুরকে কোলে তুলে নেয়। ঝুমুরকে কোলে নিয়ে শ্রাবণ বিপরীত দিকে হাটা শুরু করে। ঝুমুর বললো, এ্যাই এ্যাই কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? ক্লাস করবে না?
– না। আজ আমাদের ভেজার দিন। আজ আমরা শুধু প্রেমের বৃষ্টিতে ভিজবো।
ঝুমুর দুইহাত দিয়ে শক্ত করে শ্রাবণের গলা জরিয়ে ধরে।
,
শ্রাবণ ঝুমুরকে নিয়ে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে এসে দাঁড়ায়। ঝুমুর শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বললো, তুমি আমায় কষ্ট দেবে না তো শ্রাবণ? কোনো শোধ নেবে না তো আমার ওপর! আমি কিন্তু সহ্য করতে পারবো না। আমি অনেক অন্যায় করেছি। এমনকি আমি তোমাকেও বুঝতে পারিনি। আমি তোমাকে চাই শ্রাবণ। প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করো না। আমার খুব ভয় করছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি ৷ তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো বলো?
– মেরি রানী তোমাকে ছেড়ে কেনো যাবো বলো৷ আমি তো এই দিনটারই অপেক্ষাতে ছিলাম। যেদিন তুমি সবকিছু বুঝবে। আমাকে বুঝবে। আর যেদিন বুঝবে সেদিন থেকে আমি পুরোপুরি তোমার হয়ে যাবো।
,
ঝুমুর এবার কান্না করে দিলো।
– সত্যি বলছো তুমি!
শ্রাবণ ঝুমুরের চোখের পানি মুছে দিলো। তারপর ঝুমুরকে জরিয়ে ধরে বলছে,সত্যি বলছি আমি এইদিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। তুমি যেদিন আমায় ভালোবাসবে। আমি তো তোমাকে প্রথমদিন দেখেই শপথ করেছিলাম তোমাকে আমি নিজের করে নেবোই।
,
ঝুমুর বললো, আমি খুব বোকা তাইনা অনেক বোকা। তোমাকে আমি বুঝতে পারিনি৷
শ্রাবণ ঝুমুরকে ছেড়ে দিয়ে বলছে, তোমাকে বোঝাতেই এতকিছু। তবে আমার রাগ জেদটাও অনেক বেশি তাই শপথ করি তোমার অহংকার আমি ভাঙবোই সেটা যেভাবেই হোক। তারজন্য আমি নিজে নিজেই অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমিও অন্যায় করেছি। তোমাকেও হয়তো অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। আর ওইদিন মার্কেটের ঘটনার জন্য আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না৷ তোমাকে অন্যায় করতে দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না।
– থাক সেসব কথা। আমি তো সব বুঝতে পেরেছি। আমার জন্যই এসব হয়েছে। দোষটা তো আমার ছিলো। আমি আর এমন করবো না। আমি তোমায় ভালোবাসি শ্রাবণ। আচ্ছা তুমি আমার নুপুরটা কিভাবে পেলে বললে না তো।
,
শ্রাবণ এবার হেসে দিয়ে বললো, ওটা ডায়েরিতে লেখা নেই তাইতো!
ঝুমুর অবাক হয়ে বলছে, তুমি কি করে জানলে আমি তোমার ডায়েরি নিয়েছি৷
– তুমি যেদিন আমাদের বাসা থেকে চলে আসছিলে তখন তোমার হাতে আমার ডায়েরিটা ছিল। আমি একবার চোখ খুলে তোমায় দেখেছিলাম। এই শ্রাবণ আপনার সব খবরই রাখে ম্যাডাম। আর তারপরের দিনই তুমি ক্যাম্পাসে এসে আমার খোঁজ করা শুরু করলে। রাব্বি আমায় বলেছে সব।
– তুমি তো আমায় একেবারে অস্থির করে তুলেছিলে।
– ওইদিন তোমাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে তোমার পিছু নিলাম। তোমার মায়াবি রুপটা দেখার লোভ সামলানো যাচ্ছি না। হঠাৎ দেখি তুমি ছুটতে গিয়ে তোমার পা থেকে একটা নুপুর খুলে গেল। আমি সেটা নিয়ে আমার নিজের কাছে রেখে দিলাম। এরপর নুপুরটা ফেরত দিতে গিয়েও আর ফেরত দেওয়া হয় নি।
– আজ বৃষ্টিতে ভিজবে না?
শ্রাবণ একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, কিন্তু এখন তো আকাশে মেঘ নেই। রোদ চারপাশে চকচক করছে ৷
ঝুমুর ভ্রু কুচকে বললো, তাহলে আমরা ভিজবো কিভাবে!
শ্রাবণ এবার কৃষ্ণচূড়া গাছের একটা ডাল টেনে ধরতেই উপর থেকে অনেকগুলো কৃষ্ণচূড়া ফুল পরতে থাকে। ঝুমুর হেসে দিয়ে বললো, ওয়াও ফুলের বৃষ্টি!
শ্রাবণ ঝুমুরকে জরিয়ে ধরে বললো, অনেক ভালোবাসি তোমায়।
ঝুমুরও শ্রাবণের বুকে মাথা রাখলো।
,
চেয়ারে হেলান দিয়ে এক পায়ের ওপর অন্য পা উঠিয়ে বেলকুনিতে বসে আছে শোভা। ইদানিং একটা সমস্যা হয়ে গেছে। রাতে ঘুমের মধ্য এমনকি কল্পনাতেও যখন তখন শোভা নিয়নকে দেখতে পাচ্ছে। ভাবতে না চাইলেও ভাবনাতে চলে আসছে। ওদিন বৃষ্টিতে ভিজে হঠাৎ নিয়নকে জরিয়ে ধরার পর থেকে এমন হয়েছে। ওই ভেজা মুখ আর ওই চোখ দুটো সবসময় শোভার চোখের সামনে ভাসছে। এমনকি বুকে ঝর তোলার মতো কন্ঠস্বরটাও শোভা ভুলতে পারছে না। বার বার কানের কাছে কে তুমি আওয়াজটা বাজছে ৷
শোভার মন এমন অস্থির হওয়ার জন্য নিয়ন নামের ছেলেটাই মূল কারণ। শোভা আবারো ওই কন্ঠস্বরটা শোনার জন্য ব্যকুল হয়ে উঠল। এখন শ্রাবণের বাসায় ফেরার অপেক্ষা করছে৷ আজ আবার শ্রাবণকে বলে ওইদিনের ওই টেলিফোন নাম্বারে কল করতে বলবে।
,
সন্ধ্যায় ঝুমুরকে নিয়ে শ্রাবণ বাসায় ফিরলো। ঝুমুরকে দেখে শ্রাবণের মা রেগে গেলেন।
– আবার তুই এই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিস! যা ফেরত দিয়ে আয় এক্ষুনি ।
– মা আজকে আমি ওকে জোর করে আনি নি। ও নিজের ইচ্ছেতেই এসেছে।
শ্রাবণের মা রেগে বলে উঠলেন, আবার নতুন কোনো বিপদ ঘটাতেই ওকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমাদের যা মন চায় করো।
তারপর রাগ করে উনি উনার ঘরে চলে গেলেন। ঝুমুরের একটু মন খারাপ হলো। শ্রাবণ বললো, মন খারাপ করো না আমি মাকে বোঝাবো।
,
শোভা ঝুমুরকে দেখে বললো, ভাবি তুমি এসেছো! ঝুমুর শোভাকে একবার জরিয়ে ধরে মিষ্টি করে হেসে দিলো। তারপর সবার সাথে বসে একসাথে রাতের খাবার খেয়ে শ্রাবণের সাথে ওর রুমে এসে বসলো। সেইসময় ঝুমুরের বাড়ি থেকে ফোন এলো। ঝুমুর ফোন রিসিভ করলো, ওপর পাশ থেকে লিমন বলছে, কিরে কই তুই! বাসার সবাই টেনশন করছে। একবার জানাবি তো কোথায় আছিস। আর কখন ফিরবি?
– আমি শ্রাবণের বাড়িতে। আজ এখানে থাকবো।
– হোয়াট??
– আমি শ্রাবণকে ভালোবাসি। আর বিয়েটা তো আগে হয়েই গেছে৷
– কি বলছিস এসব!
– ঠিকই বলছি। এখন রাখি। বাই।
,
ঝুমুরের বাবা রেগে বলছেন, ওখানে থাকবে মানে! ওখানে কেন থাকবে? আমরা এই বিয়ে কেউ মানি না। এক্ষুনি গাড়ি বাড়ি বের কর আমি আজ নিজে যাবো আমার মেয়েকে আনতে। লিমন বাহিরে বের হওয়ার জন্য পা বাড়াতেই নিয়ন বলে উঠল, না। আমরা আজ কেউ এভাবে যাবো না। লিমন আর ওর বাবা এক সাথে অবাক হয়ে নিয়নের দিকে তাকায়।
নিয়ন বললো, বাবা তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
,
শোভার অস্থিরতা কমছে না। ভাবি তো এখানে তাই ওই বাড়িতে ফোন করার আর কোনো সুযোগই নেই । ভেবেছিলো আজ ঝুমুরের সাথে কথা বলার ছলে ওই বাড়িতে একবার ফোন করবে। কিন্তু শ্রাবণ তো আজ ঝুমুরকে নিয়েই এই বাড়িতে এসেছে।
ঝুমুর শ্রাবণের বুকে মাথা রেখে নিশ্চিতে ঘুমিয়ে পরেছে।
,
সকালবেলা নাস্তা করার পর একটু বেলা গড়াতেই ঝুমুরের বাবা, ঝুমুরের দুই ভাই লিমন আর নিয়ন আর লিমনের বউ তৃষা শ্রাবণের বাড়িতে এসে হাজির হয়। ওদের দেখে শ্রাবণের বাড়ির লোকজন ভয় পেয়ে গেল। আজ আবার কোন বিপদ ঘটে যায়। শ্রাবণের বাবা, মা, চাচা, চাচী, দাদী, শোভন, মীম আর শোভা সবাই দাঁড়িয়ে থেকে ওদের আজকের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করছে। শ্রাবণ আর ঝুমুরও রুম থেকে বের হয়ে এলো। ঝুমুর ওদের দেখে অবাক হয়ে বললো, তোমরা এখানে?
ঝুমুরের বাবা বললেন, হ্যাঁ মামনি আমরাই।
শ্রাবণের বাবা বললেন, মেয়েকে নিতে এসেছেন বুঝি? নিয়ে যান।
ঝুমুরের বাবা হো হো হাসতে হাসতে বলে উঠলেন, বলুন যে মেয়েকে একবারে আপনাদের কাছে দিতে এসেছি। আর সেই সাথে আমার ছোট ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এনেছি।
সবাই অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে।
উনি আবারো বললেন, আরে আমার ছোট ছেলে নিয়ন আমার মেয়ে জামাই শ্রাবণের এই ছোট বোনটিকে পছন্দ করেছে।
সবাই এবার শোভার দিকে তাকালো। শোভা সামনের দিকে তাকিয়ে নিয়নকে দেখেই লজ্জায় চোখ নিচের দিকে নামিয়ে নেয়। নিয়ন মুচকি মুচকি হাসছে।
,
শ্রাবণের বাবা সবাইকে ভিতরে নিয়ে এসে বসতে দিলেন। শ্রাবণের বাবা মা এবার খুশি হয়ে গেছেন। শ্রাবণের মা ঝুমুরকে বুকে টেনে নিয়ে আদর করলেন। আর শ্রাবণের চাচা চাচীও তাদের মেয়ে শোভাকে নিয়নের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরে বিকালেই এই দুই জোরা কাপলের আংটি বদল হয়। শ্রাবণ আর ঝুমুরের এবং নিয়ন আর শোভার একই তারিখে বিয়ের দিন নির্ধারন করা হয়।
,
সন্ধ্যার দিকে ঝুমুরের পরিবারের সবাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। ওদের গাড়িতে ওঠা অবদি এগিয়ে দিতে এসেছে শ্রাবণরা। আকাশে কিছুটা মেঘ করেছে। বৃষ্টি আসবে বোধহয়। ঝুমুর বললো, সে আজ এখানে থেকে যাবে। তখনই শোভা নিয়নের দিকে তাকিয়ে লাজুক কন্ঠে বলছে, আপনিও থেকে যান না?
নিয়ন শোভার দিকে তাকিয়ে আছে ৷
সবাই অবাক হয়ে গেল৷ ঘটনা কি! ঝুমুর শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে হাসলো। শ্রাবণও ওর দিকে তাকিয়ে হেসে এক চোখ টিপ দেয়।
,
নিয়ন আর ঝুমুর আজ থেকে গেল। ঝুমুরের পরিবার বিদায় নেয়। রাত বাড়তেই আকাশ ঘন মেঘে ছেয়ে যায়। জোরে বাতাস বইতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যই বৃষ্টি এসে গেল।
ঝুমুর চিল্লিয়ে বললো, বৃষ্টি!! বৃষ্টি আসছে।
,
গাড়িতে করে নিয়ন শোভাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছে। রাতের বৃষ্টি ভেজা শহরটা ঘুরে দেখবে বলে। হঠাৎ এক জায়গায় এসে নিয়ন গাড়ি থামালো। শোভা গাড়ি থেকে বের হয়ে হালকা ভিজতে ভিজতে গাড়িতে বসা নিয়নের দিকে তাকিয়ে বলছে, আপনিও আসুন না?
নিয়ন গাড়ি থেকে নেমে শোভার দিকে তার এক হাত বাড়িয়ে দিয়ে একটু হেসে বলে উঠল, এখন থেকে আর আপনি নয় শুধুই তুমি! বৃষ্টিতে ভেজা অবস্থায় তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমার ভালো লেগে যায়।
শোভা লজ্জারাঙা মুখে নিয়নের হাতে হাত রাখলো। নিয়ন আর শোভা হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তাদের নতুন প্রেমের সূচনা করলো।
,
শ্রাবণ আর ঝুমুর একটা হোটেল রিসোর্টের সুইমিং পুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ঝুমুর এবার খালি পা হয়ে সবুজ ঘাসের ওপর শ্রাবণের সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে দৌড়াচ্ছে৷ আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোটার সাথে নেমে এসেছে একটি পরী। শ্রাবণ তার সেই পরীর সামনে হাটু গেড়ে বসে তাকে গোলাপ ফুল দিলো। তারপর ঝুমুরকে কোলে নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
চোখে মুখে বৃষ্টির ফোটা পরছে। শরীর আর মন দুটোই ভিজে গেছে। বড্ড প্রেম প্রেম পাচ্ছে আজ দুজনের।
ঝুমুর বললো, মন চাতক পাখির মতো তোমায় চায়!
শ্রাবণ ঝুমুরকে নামিয়ে দিয়ে ঝুমুরের চোখের দিকে তাকালো, ভেজা চুল, ঘোর লাগা দৃষ্টি, মায়াভরা মুখ সব কিছু যেন মাতাল করে দিচ্ছে। শ্রাবণ ঝুমুরের ভেজা ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসলো। এই বৃষ্টিস্নাত রজনীতে নেশা ধরে গেছে দুজনেরই।
,
সমাপ্ত…….