#সাইকো বস
#নাহিদা ইসলাম
পর্ব ৭
বজ্জাত হনুমান তোকে এখন বট গাছের মগ ডালে ঝুলিয়ে রাখতে ইচ্ছে করছে।এখন আমি কী করবো।
— এই যে ভাবনা জগতের রানী আপনাকে ভাবতে বলি নাই। যেটা করতে বললাম ঐ টা করেন।
—করবো না, না করলে কী করবে না আপনি।
কী আর করবো বলো তুমি যেটা পারো না আমি এটা করে দেখাবো আমার আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো।এর মধ্যে মাহিম কেবিনে ডুকে দেখে ফেলো।
মহিমকে দেখে উনি আমার থেকে দূরে সরে গেলো।
— কী হলো মাহিম আপনি নক করে ডুকেন নাই কেনো।
—সরি স্যার ভুল হয়ে গেছে, ফাইলটা নিন স্যার।
আমি এই সুযোগে কবিন থেকে বের হয়ে এসেছি। ভাবতেছি এখন যদি মাহিম অফিসের কাউকে বলে তাহলে সবাই আমাকে ই খারাপ বলবে, শুভ্র কে না। হঠাৎ মাহিম এসে বললো,
—স্যারের সাথে তো দেখছি ভালো ই জমে উঠেছে। আপনার।
— মুখ সামলে কথা বলুন। কী বাজে বকছেন।
— যা দেখলাম তাতে আবার মুখ সামলে কী বলবো। তা আমাদের ও একটা চান্স দেওয়া যায় নাকি।
এটা শোনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। আমি চলে আসলাম শুভ্রর কেবিমে।
— এই জানেমান কাঁদছো কেনো, বলো আমাকে।
— কিছু না এমনি, ছোবেন না আমাকে।
— আচ্ছা চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।
—যাবো না আমি আপনার সাথে। একা ই যেতে পারি আমি
এটা বলে অফিস থেকে বেড় হয়ে গেলাম। সাথে সাথে শুভ্র ও বের হলো। আমি একটা রিক্সা নিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখলাম শুভ্র গাড়ি রিক্সার পিছনে। আমি রিক্সা থেকে নামার সাথে সাথে জোর করে ধরে গাড়িতে নিয়ে বসায়।
—ছাড়ুন কী করছেন, মানুষ দেখছে। আমাকে খারাপ বলবে।
—কেউ দেখছি না, মানুষ দেখলে আমার কী। আই ডোন্ট কেয়ার।
—আপনার কিছু না আমার অনেক কিছু। কেনো আসছেন আমার পিছন পিছন।
—ভালোবাসি তাই, কান্না করলে কেনো এটা বলো।
—বলবো না, আমাকে যেতে দিন।
উনি আমার হাত ধরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
—ছাড়ুন কে আপনি কোন অধিকারে আমার হাত ধরছেন।
—প্রত্যেক দিন একটি কথা ই বলো অধিকার যাও খুব দ্রুত আমি কে এটা বুঝিয়ে দিবো মনে রেখে মিস অহনা।
আমি গাড়ি থেকে নেমে বাসায় চলে আসলাম। আর কিছু বললাম না।
রাতের বেলা,
বাসায় যাওয়ার পর আম্মু সাথে ও কথা বলেনি। রুমের এক কোণে বসে আছি, বার বার মাহিমের বলা কথাগুলো মনে হচ্ছে। কী বললো এইগুকো হঠাৎ আম্মু আসলো,
—অহনা তোর কী কিছু হয়েছে তুই এইভাব বসে আছিস কেনো।
—- মা কিছু হয়নি, এমনি ভালো লাগছে না যাও তো তুমি।
—তুই এমন ব্যবহার কেনো করছিস অহনা। কী হয়েছে মায়ের কাছে বল।
— কিছু হয় নাই মা, সরি ভুল হয়ে গেছে আমার এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি।
মা চলে গেলো রাগ করেছে আমার ব্যবহারে হয় তো।
পরের দিন অফিসে,
আজকে অফিসে আসার পর ই সবাই আমার সাথে কেমন যেনো ব্যবহার করছে। কেউ কেউ তো বলছে। মেয়ের চরিত্রে দোষ আছে নয়তো এমন করতো না। অনেক কিছু ই বলছে সব শোনে ও আমি চুপ করে আছি কী বলবো আমি।
শুভ্রকে ব্যপারটা জানানো দরকার। যাই শুভ্রর কেবিনে।যে ই না আমি শুভ্রর কবিনে ডুকতে যাবো মাহিম আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে এক হাত চেপে ধরে আমার খুব কাছে চলে এসেছে। তাও শুভ্র কেবিনের সামনে শুভ্র দেখলে আমাকে আজকে শেষ করে দিবে।
—এতো ছটফট করছো কেনো, কালকে তো শুভ্র কাছে এমন করোনি।শুধু কী শুভ্র কে ই ভালো লাগে নাকি ।
—সাহস তো কম না আপনি আমাকে স্পর্শ করলেন কেনো, আমার ভুল হয়েছে ঐদিন ই আমার শুভ্র কে বলা উচিত ছিলো।
—তোমাকে স্পর্শ কেনো আরো অনেক কিছু করবো, তোমাদের মত মেয়েদের আমার চেনা আছে, প্রথম এমন ই করো পরে তো আমাকে ছাড়া চোখে ই দেখবে না।
এটা বলে ই আরো কাছে এগিয়ে আসতে থাকে। এর মধ্যে শুভ্র চলে এসে মাহিমকে জোড়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে সরিয়ে দেয়। মারতে থাকে মাহিম কে।
— তোকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি। তোর এতো সাহস হয় কী করে।
— স্যার আমি কিছু করেনি।
এটা বলার সাথে সাথে মাহিমের গালে আরো একটা থাপ্পড় পড়ে। শুভ্র আমার হাত ধরে টানতে টানতে গাড়িতে নিয়ে যায়। ভয়ে আমি চুপ করে বসে আছি।
বুঝতে পরতেছি আমার কপালে আজ দুঃখ আছে। আল্লাহ তুমি সহায় হও। ভয়ে মরে যাচ্ছি আমি।
আমাকে আজকে ঐ বসাটায় নিয়ে আসে যেখানে কয়েক দিন আগে এবার নিয়ে এসছিলো। আমার ভয় করে এই বসাটা দেখলে ই।
আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়।
—তোর সাহস কী করে হলো মাহিমের সাথে এমন করার। কোন হাত ধরেছে তো হাতটা ইচ্ছে করছে ভেঙ্গে দেই।
আমি চুপ করে কান্না করছি। কিছু বলছি না।
—তোর চরিত্রে দোষ আছে এটা আমি জানতাম না খুব ভালো ভেবে ছিলাম। আর ছাড় দেওয়া যাবে না। বিয়ের জন্য তৈরি হয়ে নে।
—আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। আমাকে যেতে দিন।
— কেনো ঐ মাহিম কে বিয়ে করবি নাকি, যদি বিয়ে করতে চাস ও তা ও আমি তোকে অন্য কারো হতে দিবো না তুই শুধু আমার।
—কেনো আমার থেকে ভালো মেয়ে বিয়ে করেন আমি তো চরিত্রহীন।
—তোকে এতো কথা বলতে বলছে কে।
—- বিয়ে করবো না আমি। ছেড়ে দিন আমাকে বাসায় যাবো আমি।
—তাই নাকি শুধু এটা বল। বিয়ের করতে চাস নাকি বিয়ের আগে ধর্ষিতা শব্দটা চাস।
চলবে