#সাইকো বস
# নাহিদা ইসলাম
পর্ব ৮
—আমি আপনাকে বিয়ে করবো না আমাকে যেতে দিন।
—তাই নাকি শুধু এটা বল। বিয়ে করতে চাস নাকি বিয়ে আগে ধর্ষিতা শব্দটা চাস।
—কি বলছেন কি আপনি,আমার মা এইগুলো শোনলে মরে যাবে। ঐ সময় আমার কোনো দোষ ছিলো না
—আমি তোর কাছ থেকে কোনো কথা শোনতে চাচ্ছি না।
কাকে যেনো ফোন করে বললো,
—-রাসেল সব কিছু রেডি।
— সব কিছু রেডি বস, আপনি ভাবিকে নিয়ে আসুন। আর ঐ টাকে গোডাউনে রেখে এসেছি।
এবার শুভ্র আমাকে কোলে তোলে নিলো। একটা রুমের ভিতরে নিয়ে গেলো,, দেখলাম কালো পোষাকের কতগুলো লোক দাড়িয়ে আছে আর একটা হুজুর বসে কী যেনো লিখছে, আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না বিয়ের জন্য এতো মানুষ। কী করবো এখন আমি অনবরত কান্না করে যাচ্ছি। আম্মু কথা ভাবছি কতো ই না স্বপ্ন ছিলো আম্মু আমাকে নিয়ে আজ সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো। হঠাৎ শুভ্র এসে ফিসফিস করে বললো
—-যদি কোনো ন্যাকামো করিস এখন তাহলে বুঝবি শুভ্র কী জিনিস। সোজা কবুল বলে দিবি নয়তো ওদের সামনে দেখবি কী করি।
আমি ভয় পেয়ে আর কিছু বললাম না। শুধু চোখের নোনা জল ফেলছি।
বিয়ে হয়ে যাওয়া পর,
শুভ্র আমাকে গাড়িতে বসিয়ে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে জানি না, আমি এসব ভাবনার মধ্যে নাই কী হয়ে গেলো আমার সাথে শুধু এটা ই ভাবছি বার বার আম্মু কথা মনে হচ্ছে। হঠাৎ দেখলাম আমাদের বাসার সামনে শুভ্র গাড়িটা থামালো,
—-যাও ভেতরে, যখন যা লাগবে আমাকে কল দিবা, আর আমি কল দিলে ও সাথে সাথে রিসিভ করবা।
আমি কিছু না বলে ই বাসায় চলে আসলাম, আমি বাসয় ডুকার সাথে সাথে আম্মু এসে জিজ্ঞেসা করলো,
— কী রে তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো,তুই কী কান্না করেছিস
— না আম্মু কিছু হয়নি, আমি ঠিক আছি।
— আমার মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গেছে আমার কাছ থেকে এখন সব লুকাতে চায়।
— নাহ্ আম্মু তেমন কিছু না।
— বুঝলাম কালকে ও এমন মুখ করে ছিলি জিজ্ঞেসা করলে কিছু ই বলিস না।
— আমি ঠিক আছি তুমি টেনশন করো না।
— আচ্ছা তুই ভালো থাকলে ই ভালো আমি চাই তুই সব সময় ভালো থাকিস। যা ফ্রেশ হয়েনে। আমি খাবার নিয়ে আসছি।
—ঠিক আছে।
ঐদিকে শুভ্রর লোকেরা মাহিম কে তোলে নিয়ে গোডাউনে রেখেছে। শুভ্র গোডাউনে যাওয়ার পর,
— স্যার আপনার পায়ে পরি আমার জীবন ভিক্ষা দিন স্যার, আমার ভুল হয়ে গেছে আমি আর জীবন কখনো এমন কাজ করবো না।
— তোর সাহস অনেক তুই অফিসে সবার কাছে অহনার নামে বাজে কথা বলেছিস। আবরা অহনার দিকে খারাপ নজরে তাকিয়েছিস ও অসভ্য ও করেছিস তাহলে তোকে আমি বাঁচি রাখি কীভাবে বল।
— স্যার আমার জীবন টা ভিক্ষা দেন আমি জীবনে ও কোনো মেয়ের দিকে তাকাবো না।
—- আচ্ছা শোন আমি অহনাকে বিয়ে করেছি, অহনা আমার বিবাহিত স্ত্রী এখন। তোকে মারবো না বাচিয়ে রাখবো শুধু এই জন্য তুই সবাইকে আমাদের বিয়ের খবরটা দিবি তাই।
রাসেল হাত পা ভেঙ্গে দে যেনো বাকিটা জীবন আফসোস করে আজকে জীবন ভিক্ষা চাইলো কেনো। মৃত্যু চাইলে ই ভালো হতো।
আর যাওয়ার আগে আবার ও বলে যাই মাহিম তোর দায়িত্ব হচ্ছে অফিসের সবাইকে বলা যে অহনা আমার বিবাহিত স্ত্রী, আর যারা অফিসে আসবে না তাদের বাসয় গিয়ে বলে আসবি। কালকে ই৷ নয়তো জানে মেরে ফেলবো।
এই বলে চলে আসলো শুভ্র।
রাতের বেলে,
অহনা ঘুমের মধ্যে খেয়াল করলো কেউ তার ঠোঁট জোড়া দখল করে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কোনো মতে নিজেকে ছাড়িয়ে দেখলাম হনুমান টা। আমি তো অবাক হয়ে গেছি।
—-এই এই আপনি আসলেন কী করে, নির্লজ্জ বেহায়া লজ্জা করে না মাঝ রাতে একটা মেয়ের ঘরে ডুকে এমন অস্যবতা করতে।
— আমি আমার বউ এর কাছে এসেছি লজ্জা কী আছে হে, আর একদম আমাকে নির্লজ্জ বলবা না।
—নির্লজ্জ কী নির্লজ্জ বলবো না তো কী বলবো।
— আরেক বার বলে দেখো কী করি, চলো এখানে থেকে, নিয়ে যাবো তোমাকে।
—- আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো নাহ্। বের হন এখান থেকে।
— আসছে বের হন এখান থেকে, বিয়ে করে প্রথম শ্বশুর বাড়ি আসলাম কোথায় একটু আদর আপায়ন করবা তা না বের হন। আচ্ছা দাড়াও শাশুড়ী আম্মাকে ডাকি তাহলে আমার যত্নটা ভালো হবে। শাশুড়ী আ….
বাকি টুকু আর বলতে পারে নাই তার আগে মুখ চেপে ধরলাম, মুখ চেপে ধরাতে আমার হাতে আস্তে করে কামড় বসিয়ে দিলো।
— এটা কী করলে,
— বেশ করেছি এখন আসো নয়তো সত্যি ই ডাকবো।
কী আর করবো আস্তে আস্তে চুরের মতো গুন্ডাটার সাথে বেড় হলাম।
গাড়ি চালিয়ে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কয়েক বার কিন্তু উওর পেলাম না। আবার ঐ বাসা তে নিয়ে আসলো এই বাসাটা দেখলে ই ভয় লাগে।
— আচ্ছা আমরা দেখানে আসলাম কেনো।
—-সব কিছু কৈফিয়ত কী তোমাকে দিতে হবে।
— মুখ দিয়ে ভালো কথা বের হয় না সব সময় এমন ভাবে কথা বলবে।
মনে মনে বকতে থাকলাম। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখি রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো। দেখে খুব ভালো লাগলো আমি রুমের ভিতরে গিয়ে রুমটা দেখতে লাগলাম। রজনীগন্ধার শুভাস ছড়াচ্ছে পুরো রুমে। গোলাপ গজরা রজনীগন্ধা দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়, মেঝেতে অনেকগুলো রেড কালারের বেলুন ছড়ানো, মেঝেতে ফুল দিয়ে লিখা “” আই লাভ ইউ অহনা”” তুমি শুধু আমার।
একটি টেবিলে উপর রেড কালারে শাড়ি রাখা সাথে ম্যাচিং জয়েলারি ও আছে। শুভ্র এগুলো দেখিয়ে অহনাকে বললো,
— নিজ ইচ্ছে থেকে কী পড়বা নাকি আমি পড়িয়ে দিবো।
বজ্জাত হনুমান একটা আমি শুধু আম্মু জন্য ভয় না হলে তো কথা জীবনে ও শোনতাম না।
— না না আমি ই পড়তে পারি। আপনি বাহিরে যান।
— যাবো না, তুমি কী অন্য কেউ নাকি আমার বউ ই তো।
তোর বউ এর গুষ্টি কিলাই কোনো একটা সুযোগ পাইলে ই আমি চলে যাবো দূরে কোথাও তুই আমাকে পাবি না কখনো।
চলবে