#সাইকো লাভার❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ
#পর্ব- ৩
শুভ্র রোজকে টানতে টানতে গাড়ির কাছে নিয়ে এলো। রোজ সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে। কিন্তুু সেই চেঁচানো শুভ্রর কানে যাচ্ছে না। আসলে শুভ্র কানে নিচ্ছে না। রোজকে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসালো। বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো। রোজ এবার চিৎকার করে বললো।”
—-” এই আপনি কি করছেন হ্যা? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?”
শুভ্র রোজের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বললো,
—-” আর একটা কথা বললে। মুখে টেপ মেরে বসিয়ে রাখবো ওকে?”
রোজ তবুও রাগ দেখিয়ে বললো!”
—-” আমাকে নামান বলছি। আমি আপনার সাথে কেন যাবো হ্যা? আপনি কি কিডন্যাপ করলেন আমাকে? তাহলে এখনি আমার বাবাকে ফোন করুন,
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” কেন?”
রোজ ফোস, ফোস করে বললো,
—-” মুক্তিপণ চাইতে ওটাই তো করবেন তাই না?”
শুভ্র রাগটা কন্ট্রোল করতে চাইছে। কারন ও নিজেও জানে ও যদি রাগে। তাহলে ভয়ংকর কিছু হয়ে যাবে। কিন্তুু রোজ বকবক করেই যাচ্ছে। শুভ্র বাধ্য হয়ে ওর মুখে টেপ মেরে দিলো। এখন হাত দিয়ে টেপ খুলতে চাইছে। শুভ্র বাঁকা হেসে বললো!”
—-” এখন যা হবে সেটার জন্য তুমি দায়ী,
রোজ বড়, বড় চোখ করে তাকালো। শুভ্র একটানে রোজের ওড়না নিয়ে নিলো। এরপর রোজের হাত বেধে দিলো। এবার শুভ্র মন দিয়ে ড্রাইভ করতে থাকলো। শুভ্র রোজকে নিয়ে নিজের বাড়ি এলো। রোজের হাত খুলে গাড়ি থেকে নামিয়ে। আবার সুন্দর করে গলায় ওড়না দিয়ে দিলো। এরপর মুখ থেকে টেপ খুলে দিলো। টেপ খুলে দিতেই রোজ আবার শুরু করলো।”
—-” এই আপনি কি হ্যা? এটা কোথায় নিয়ে এলেন আমাকে? ওমা এটা বাড়ি না অন্যকিছু? এরকম রক্তের মতো কালার কেন? এটা কোন ভুতের বাড়ি নিয়ে এলেন আমাকে?”
শুভ্র খপ করে রোজের হাত ধরলো,
_________________________________
—-” আরে এই পাগল এটা কি করছিস তুই?”
শুভ্র দাড়িয়ে গেলো রোজের কথায়। আস্তে, আস্তে ওর চোখগুলো লাল হচ্ছে। ঘাড় আর কপালের রগ ফুলতে শুরু করছে। শুভ্র দাত কিড়মিড় করছে। কিন্তুু ও এই মুহূর্তে রোজকে। নিজের আসল রুপ দেখাতে চায় না। তাই ছোট আওয়াজে বললো!”
—-” আর একবারও পাগল বলো না। চুপচাপ আমার সাথে ভেতরে চলো,
বলে রোজকে ভেতরে নিয়ে এলো। ভেতরে এসে রোজ অবাক হলো। পুরো বাড়িটা অসম্ভব সুন্দর। আর বিশাল বড় বাড়ি শুভ্রর। রোজ এদিক, ওদিক দেখতে লাগলো। শুভ্র রোজকে সোফায় বসিয়ে বললো।”
—-” চুপচাপ এখানে বসে থাকবে,
রোজ অজান্তেই মাথা নাড়লো। শুভ্র উপরে যেতে, যেতে বললো!”
—-” রিনি রোজ ম্যাডামকে জুস দিয়ে যাও,
বলে উপরে নিজের রুমে চলে এলো। ড্রেসিংটেবিল থেকে গানটা সরিয়ে রাখলো। এরপর ফ্রেশ হয়ে একটা কফি কালার টি শার্ট। আর ধুসর কালার প্যান্ট পড়ে নিচে এলো। এসে দেখলো রোজ জুস খাচ্ছে। আর চোরের মত বড় চোখ করে এদিক, ওদিক দেখছে। শুভ্র সেটা দেখে মুচকি হেসে এগিয়ে বললো।”
—-” বাড়িটা পছন্দ হয়েছে ম্যাম?”
রোজ ভ্রু নাচিয়ে বললো,
—-” পছন্দ হলেই বা কি? এটা কি আমার শ্বশুর বাড়ি নাকি?”
শুভ্র সোফায় বসতে, বসতে বললো!”
—-” বাট তোমার স্বামীর বাড়ি হতে পারে,
রোজ গোল, গোল চোখ করে বললো।”
—-” মানে?”
শুভ্র ডেভিল হেসে বললো,
—-” কিছু না বসো!”
শুভ্র পাশে এসে ড্যানিকে ফোন করলো। এরপর ছেলেগুলোকে ধরে নিতে বলে। রোজের পাশে এসে বসলো। রোজ জুসটা শেষ করে বললো,
—-” এবার আমি বাড়ি যাবো।”
শুভ্র এবার রোজকে নিয়ে। নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো। রোজ কপাল কুঁচকে বললো,
—-” এই আপনি কথায়, কথায় হাত ধরেন কেন? আর এখন আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?”
শুভ্র রোজকে নিয়ে নিজের রুমে এলো। রোজ রুমটাতে চোখ বুলিয়ে নিলো। সবকিছু ঠিক আছে বাট সেই। এখানেও রক্তের মতো কালার করা, এটা দেখে রোজ বললো!”
—-” আপনি কি রক্ত পছন্দ করেন? এটা কোন কালার হলো হ্যা?”
শুভ্র হেসে বললো,
—-” তোমার পছন্দ না হলে চেব্জ করে নেবো।”
রোজ একটু চুপ থেকে বললো,
—-” দেখুন এবার আমার বাড়ি যেতে হবে!”
শুভ্র রোজকে চোখ টিপ মেরে বললো,
—-” ওকে রেড রোজ চলো।”
রোজ বিরক্তি নিয়ে বললো,
—-” যত্তসব পাগল!”
শুভ্রর কানে গেলেও কিছু বললো না। রোজকে নিয়ে গাড়ির কাছে এলো। গাড়ির কাছে আসতেই রোজ বললো,
—-” আমি একা চলে যেতে পারবো।”
শুভ্র রাগী সুরে বললো,
—-” আমি সেটা শুনতে চাইনি!”
বলে রোজকে গাড়িতে ওঠালো। রোজের প্রচুর রাগ লাগছে। শুভ্র রোজকে ওর বাড়ির সামনে নিয়ে এলো। রোজ হা করে থেকে বললো,
—-” আপনি কি করে জানলেন এটা আমার বাড়ি?”
শুভ্র বাঁকা হেসে বললো।”
—-” শুভ্র চৌধুরী সব জানে,
রোজ নেমে হনহন করে চলে এলো। রোজ যেতেই শুভ্র রাগী ফেস করে বললো!”
__________________________________
—-” এবার ওই জানোয়ারগুলোকে। ওদের আসল ঠিকানার টিকিট দিতে হবে,
গাড়ি ঘুড়িয়ে শুভ্র চলে এলো গোডাউনে। যেখানে ছেলেগুলোকে উল্টে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুভ্রর চোখমুখ অন্যরকম হয়ে গেলো। সারা ফেসে সাইকো, সাইকো ভাব স্পষ্ট। শুভ্র ঘাড় এদিক, ওদিক করে ভেতরে গেলো। ওই দুটো ছেলে শুভ্রকে দেখে একসাথে বললো।”
—-” শুভ্র চৌধুরী আপনি?”
শুভ্র ঠোট বাঁকিয়ে বললো,
—-” ইয়েস আমি তোদের জম!”
ছেলেগুলো আকুতি, মিনতি করে বললো,
—-” স্যার আমরা কি করেছি? আমাদের এভাবে ধরে এনেছেন কেন?”
শুভ্র পাশ থেকে লোহার রডটা হাতে তুলে নিলো। এরপর ওদের দিকে আগাতে, আগাতে বললো।”
—-” মনে আছে তোদের? ভার্সিটিতে দাড়িয়ে যেই মেয়েটাকে। তোরা হট, মাল বলেছিলি। সেই মেয়েটা আমার উডবি ওয়াইফ। ইয়েস আই লাভ হার। এন্ড আই নিড হার, আর তোরা কি না। আমার কলিজার দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিস?”
শুভ্র নিজেও জানেনা ও কি বলছে। সব গার্ডরা হা করে তাকিয়ে আছে। শুভ্র কি না একটা মেয়েকে ভালবাসে বলছে। শুভ্র রডটা ঘোরাতে, ঘোরাতে বললো,
—-” তোদের কলিজাটা আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। তোদের জিহ্বাও কুকুরকে খাওয়াতে ইচ্ছে করছে। তোদের চামড়া তুলতে ইচ্ছে করছে। তোদের ছোট, ছোট পিচ করতে ইচ্ছে করছে। আর শুভ্র চৌধুরী নিজের ইচ্ছে অপূর্ণ রাখে না!”
ছেলেগুলো ভয়ে কেঁদে বললো,
—-” স্যার এবারের মতো ক্ষমা করে দিন। আর কোনদিন এমন করবো না।”
শুভ্র দুজনের পিঠে রড দিয়ে বাড়ি দিয়ে বললো,
—-” কিন্তুু শুভ্র চৌধুরী কাউকে সুযোগ দেয় না!”
বলে ইচ্ছেমতো মারতে লাগলো। এরপর পাশ থেকে একটা নাইফ হাতে নিয়ে। ছেলেগুলোর হাত, পায়ের রগ কেটে দিলো। কাটা জায়গায় আবার গুড়া মরিচ ছিটিয়ে দিলো। দুজনেই গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করছে। ড্যানি গরম একটা রড নিয়ে এলো। শুভ্র বাঁকা হেসে ছেলেগুলোর বুকে ঢুকিয়ে দিলো। ছেলেগুলো চিৎকার করে উঠলো। ঠিক তখনি শুভ্র দুজনের জিহ্বা কেটে নিলো। এরপর পাগলের মতো হাসতে, হাসতে। হাতে থাকা সব গুড়া মরিচ ঢেলে দিলো। ছেলেগুলো ছটফট করছে এখনো। শুভ্র লোহার রড দিয়ে দুজনের মাথায় আঘাত করলো। ছেলেগুলো চিৎকার করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। কিন্তুু শুভ্র তবুও থেমে নেই। ছেলেগুলোর লাশের পাশে বসে। নাইফ দিয়ে পুরো বডি ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। বডিগার্ডরা ভয়ে অনবরত কাঁপছে। রক্তে পুরো ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। শুভ্র বসা থেকে উঠে বললো,
—-” এদের জিহ্বা রাস্তায় ফেলে দাও। যাতে কুকুর খেতে পারে ওকে? আর বাকিটা কি করবে জানোই তো?”
বলে হাটা দিলো শুভ্র যেতেই একজন বললো।”
—-” আমাদের স্যার মেবি পাগল,
কথাটা শুভ্রর কানে পৌছাতে দেরী হলেও। পকেট থেকে গানটা বের করে তাকে শুট করতে দেরী হলো না। পরাপর দুটো গুলি চালিয়ে দিলো। একটা মাথায় আর আরেকটা বুকে। এরপর বডিগার্ড ড্যানির কাছে এসে। একটা চেক সাইন করে দিয়ে বললো!”
—-” ওর বাড়ির লোককে পৌছে দিয়ো। আর বলবে রাসেল এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে,
বলে হনহন করে চলে গেলো। সব বডিগার্ডরা নিজেদের ঘাম মুচছে।”
#চলবে…