#সাইকো লাভার❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ
#পর্ব- ৬
রোজ ভয়ে, ভয়ে ওখান থেকে চলে যায়। রোজ বাইরে বের হওয়ার আগেই শোনে রোদের চিৎকার।”
—-” আহহ ছাড় আমাকে,
রোজ আবার দৌড়ে আসে। কিন্তুু শুভ্র ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়। রোজ এগিয়ে এসে কেঁদে বলে!”
—-” আমার ভাইয়াকে প্লিজ কিছু করবেন না,
শুভ্র হাসতে, হাসতে বলে।”
—-” করবো না আমাকে বিয়ে করো,
রোজ চোখ, মুখ শক্ত করে বলে!”
—-” করবো আপনাকেই বিয়ে করবো,
বলে ওখান থেকে চলে যায়। রোজ যেতেই শুভ্র হেসে বলে।”
—-” আমিও জানি তুমি আমাকে বিয়ে করবে। আমি বলেছিলাম না তোমার না কে হ্যা করবো,
রোজ আনমনে হেটে চলেছে। এরমাঝে কোথা থেকে তামান্না এসে বললো!”
—-” রোজ রোদকে পেলি?”
রোজ কি বলবে বুঝতে পারছে না। তামান্না এবার কেঁদে বললো,
—-” রোজ বল আমার রোদ কোথায়?”
রোজ নিজেকে সামলে বললো।”
—-” ভাইয়া ঢাকার বাহিরে আছে,
তামান্না অবাক হয়ে বললো,
—-” আমাকে জানালোও না?”
রোজ স্লান হেসে বললো!”
—-” ডোন্ট ওয়ারী ভাইয়া চলে আসবে,
তামান্না ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” তোর মুখটা এমন লাগছে কেন?”
রোজ আমতা, আমতা করে বললো,
—-” কই কেমন?
তামান্না ভাবুক দৃষ্টিতে বললো!”
—-” তুই কি কিছু লুকোচ্ছিস?”
রোজ না বলে হনহন করে চলে গেলো। বাড়ি এসে দেখলো ওর বাবাই ড্রয়িংরুমে বসা। রোজ পা টিপে ওনার কাছে বসে বললো,
—-” বাবাই আমার কিছু বলার আছে।”
উনি গম্ভীর মুখে বললো,
—-” বলো কি বলবে?”
রোজ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো!”
—-” আমি শুভ্র চৌধুরীকে বিয়ে করবো,
রোজের বাবা খুশি হয়ে বললো।”
—-” সত্যি?”
রোজ জোড়পূর্বক হেসে বললো,
—-” সত্যি বাবাই!”
উনি ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” আমার জন্য রাজি হচ্ছিস না তো?”
রোজ না বলে রুমে চলে গেলো। রোজের বাবা শুভ্রকে ফোন করে জানিয়ে দিলো। ফোন কাটতেই শুভ্র পাগলের মতো হেসে বললো।”
—-” বলেছিলাম না? আমার যেটা পছন্দ সেটা আপসে না পেলে। আমি খুব সুন্দর করে ছিনিয়ে নিতে পারি। তুমি ঠিকই বাধ্য হলে রাজি হতে। সেটাও আমার বলা আজকের মধ্যে বেইব,
রোজ রুমে বসে কাঁদছে আর বলছে!”
—-” এরকম কেন হলো? আমিতো এমন কিছু চাইনি। তাহলে কেন হলো এমন? তবে ভাইয়াকে বাঁচাতে আমি সব করতে পারি সব,
সব রিলেটিভদের বলা হয়ে গিয়েছে। ৩দিন পর ওদের এংগেজমেন্ট। রোজই তাড়াতাড়ি ডেট দিয়েছে। যাতে রোদকে শুভ্র তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়। তাই কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছে। রোজকে নিয়ে শুভ্র মলের সব দোকানে ঘুরছে। কিন্তুু ওর কোনকিছু পছন্দ হচ্ছে না। শেষে একটা দোকানে গিয়ে লেহেঙ্গা পছন্দ হলো। যেটার বাজেট ৭০হাজার টাকা। রোজ হা করে তাকিয়ে আছে। শুভ্র বললো প্যাকেট করে দিতে। এরকম আরো কয়েকটা লেহেঙ্গা কিনলো। জুয়েলারি কিনে আর নিজের জন্য কিনে ফিরে গেলো। শুভ্র রোজকে বাড়ি ড্রপ করে দিলো। বাড়িতে গিয়ে লেহেঙ্গা খুলতেই সবার চোখ ছানাবড়া। রোজের কাজিন ঝিনুক বললো।
____________________
—-” ওহ মাই গড, হোয়াট এ গর্জিয়াস। জিজু এটার দাম কত নিলো?”
শুভ্র মুচকি হেসে বললো,
—-” বেশী না মাএ ৭০হাজার!”
সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। রোজ ভাবলেশহীন ভাবে বললো,
—-” কি এত অবাক হলে কেন?”
নুসরাত হা করে বললো।”
—-” একটা লেহেঙ্গা এত দাম?”
শুভ্র সোফায় বসে বললো,
—-” ইয়েস বিকজ শুভ্র চৌধুরীর বিয়ে বলে কথা!”
ঝিনুক রোজকে বললো,
—-” ওয়াও রোজ তুই অনেক লাকি।”
রোজ গাল ফুলিয়ে উপরে চলে যায়। ২দিন পর সবাই কমিউনিটি সেন্টারে হাজির হয়। রোদকে নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। কারন শুভ্র রোদের ফোন থেকে। ওর বাবার ফোনে ম্যাসেজ করে বলেছে। যে ও একটা কাজে বাইরে আছে। ৩দিন পর চলে আসবে। রোজকে সেই লেহেঙ্গা পড়ানো হয়েছে। গলায় ডায়মন্ড নেকলেস। কানে ডায়মন্ড কানের দুল। ঠোটে লাল লিপস্টিক। চোখে মোটা করে কাজল দেয়া। হাতে চিকন ডায়মন্ড চুরি। শুভ্রও রোজের সাথে মিলিয়ে পান্জাবী পড়েছে। হাতে ব্লাক কালার ঘড়ি। চুলগুলো স্পাইক করা। দুজনকে মেড ফর এচ অদার লাগছে। নিচে নেমে আসতেই সবাই ওদের ডান্স করতে বললো। রোজ প্রথমে রাজি না হলেও শুভ্রর জন্য রাজী হলো,
শুভ্র রোজের হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে গেলো!”
?কিউ কে ইতনা পেয়ার তুমকো?
?কারতে হে হাম?
?কেয়া জান লোগে হামারে সানাম?
শুভ্র রোজের ডান হাত ধরে। নিজের সাথে মিশিয়ে ফেললো,
?কিউ কে ইতনা পেয়ার তুমকো?
?কারতে হে হাম?২
?কেয়া জান লোগে হামারে সানাম?
রোজকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে গাইলো।”
?হামারি দিলকি তুম থোরিসি কাদার কার লো?
?হাম তুমপে মারতে হে থোরিসি ফিকার কার লো?
?ফিকার কার লো?
শুভ্র নিজের এক হাত রোজের কোমরে লাগলো। রোজ কেঁপে উঠে শুভ্রর পাব্জাবী খামচে ধরলো।”
?কিউ কে ইতনা পেয়ার তুমকো?
?কারতে হে হাম?
?কেয়া জান লোগে হামারে সানাম?
_____________________
?তুনে ও জানা দিওয়ানা কিয়া হ্যান?
?দিওয়ানা কিয়া ইস কাদার?
?দিওয়ানা ইস কাদার?
রোজের কোমরে হাত রেখে। শুভ্র রোজকে উচু করে ফেললো,
?চাহাত মেইন তেরী ভুলায়া জাহান কো?
?না দিল কো কিসিকি খাবার?
?না দিল কো কিসিকি খাবার?
এবার রোজকে নিজের বাম হাতের উপর। নিচু করে মিশিয়ে ফেললো!”
?রাগো মে মোহাব্বাহ কা এহসাস জারা ভারলো?
?হাম তুমপে মারতে হে থোরিসি ফিকার কার লো?
?ফিকার কার লো?
শুভ্রর চোখে পানি ছলছল করছে। রোজ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
?কিউকে ইতনা পেয়ার তুমকো?
?কারতে তে হাম?
?কেয়া জান লোগে হামারে সানাম?
?কিউকে ইতনা পেয়ার তুমকো?
?কারতে হে সানাম?
এতক্ষণ সবাই মুগ্ধ নয়নে ডান্স দেখেছে ডান্স শেষ হতেই সবাই হাত তালি দিলো। শুভ্র সবার অজান্তেই চোখের পানি মুছে নিলো। এবার রিং বদলের পালা ওরা স্টেজে গেলো। রোজ আস্তে নিজের হাত বাড়িয়ে দিলো। শুভ্র রোজের আঙুলে আংটি পড়িয়ে দিলো। এবার রোজকে সবাই হাত দিতে বলছে। রোজ আঙুল মুচড়াচ্ছে। সবাই বারবার হাত দিতে বলছে। রোজ কাঁপা, কাঁপা ভাবে হাত বাড়িয়ে শুভ্রকে আংটি পড়িয়ে দিলো। সবাই হাত তালি দিল। রোজ মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। শুভ্র বাঁকা হাসি দিয়ে মনে মনে বললো।”
—-” আজ থেকে তোমার উপর আমার অধিকার জান,
#চলবে…