সাইকো_নীড় পর্ব-৩৫

0
3088

#সাইকো_নীড়
part : 35
writer : Mohona

.

রাতে…
মেরিন নীড়ের বুকে ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ নীড় “মেরিন” বলে চিল্লিয়ে উঠলো। মেরিনের ঘুম ভেঙে গেলো।
মেরিন : কি হয়েছে নীড়? নীড় নীড়…
মেরিন উঠে বসলো। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো।
মেরিন : নীড়…
নীড় : snow white…
বলেই শক্ত করে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : তুমি এভাবেই থাকবে … প্লিজ আমাকে ছেরে যেওনা। আমি বাচতে পারবোনা। কখনো যেওনা।
নীড় কান্না করছে আর কথা গুলো বলছে ।
মেরিন : ঠিক আছে যাবোনা। এখন বলুন তো কি হয়েছে ?
নীড় : …
মেরিন : বলুন…
নীড় : আমি দেখলাম তততুমি আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছো … অনেক দূরে…
মেরিন : নীড় আপনি স্বপ্ন দেখেছেন। আর স্বপ্ন তো স্বপ্নই হয়। তা কি কখনো সত্যি হয়…?
নীড় : …
মেরিন : আর আমি আপনাকে ছেরে কেন যাবো ? কোথায় যাবো? কে আছে আপনি ছারা আমার…
নীড় : সত্যি?
মেরিন : সত্যি সত্যি সত্যি… ৩ সত্যি।
মেরিন নীড়ের বুক থেকে মাথা তুলল।
মেরিন : কান্না বন্ধ করুন… বন্যা সবসময় বর্ষনেরই থাকবে।
বলেই মেরিন নীড়ের চোখের পানি ঠোট দিয়ে শুষে নিলো।
মেরিন : আমার কান্না যদি আপনার সহ্য না হয় তবে আপনার টা কেন আমার সহ্য হবে?
নীড় কিছু না বলে মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো । আর মেরিনকে এমনভাবে ভালোবাসলো যেন মেরিনকে ছেরে দিলেই আর পাবেনা।

.

১দিনপর…
নাবিল : বলো কি জানতে চাও?
মেরিন : জহির uncle আর মামনিকে বলেননি তো যে আপনি আমার সাথে দেখা করতে আসবেন?
নাবিল : না কেউ জানেনা। আর নীড় ?
মেরিন : নীড় জানে যে আমি এখানে এসেছি। infact উনার permission নিয়েই আমি এসেছি।
নাবিল : আসতে দিলো নীড়?
মেরিন : আমার জামাই অতোটাও খারাপনা।
নাবিল : বলো কি বলবে?
মেরিন : আপনি মামনিকে ভালোবাসেন?
নাবিল : নিজের জীবনের থেকেও বেশি…
মেরিন : মামনির জন্য কি করতে পারেন?
নাবিল : আমার জীবনও দিতে পারি।
মেরিন : না না না…. জীবন দিতে হবেনা… জবাব দিন। যেই জবাব গুলো না পেলে হয়তো মামনি খুন হবে অথবা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে যে কি বলবো?
নাবিল : কি?
মেরিন : হ্যা। যদি মামনির ভালো চান তবে প্লিজ যা যা জানতে চাইবো তার ঠিক ঠিক উত্তর দিবেন।
নাবিল : ok…
মেরিন : দেখুন আমি এটা জানি যে আপনার মা আসমা খালামনি… মামনি আর বাবার বিয়ের দের দুই বছরের মাথায় জহির uncle আসমা খালামনিকে কিডন্যাপ করে। এরপরের ঘটনা আমি জানতে চাই। মামনির জীবনে তার মা-বাবা-ভাই-স্বামী সবাইকে ফিরিয়ে আনার জন্য সত্যটা জানা দরকার।
নাবিল : ….
মেরিন : প্লিজ বলুন আসমা খালামনির সাথে আপনার বাবা …. আমার মনে হয়না ভালো কিছু করেছিলো…
নাবিল : সোজা ভাবে বললেই পারো যে তোমার মনে হয় যে আমার বাবা আমার মায়ের রেপ করেছিলো।
মেরিন : …
নাবিল : আমার বাবা অতোটাও খারাপ না। আমার বাবা আম্মুর সাথে বৈধ সম্পর্কই গড়েছিলো … কিন্তু মামনি সেটা জানেনা। বাবা মামনিকে বলেছিলো যে আম্মুর রেপ করেছে… আর কিছু বাজে ছবি তুলেছে । যদিও আম্মুর সাথে পৈশাচিক আচরন করতো কিন্তু … অবৈধ সম্পর্ক গড়েনি।
মেরিন : oh… এরপর…
নাবিল : আম্মুর ওপর অত্যাচার করতে করতে ১টা পর্যায়ে বাবা আম্মুর ওপর দুর্বল হয়ে পরে। ভালোবেসে ফেলে। তবে তা প্রকাশ করতে পারেনা। মামনির ওপর জেদের কারনে নিজের ভালোবাসা বুঝতে পারেনি। continuously মামনিকে blackmail করেই যায়। একদিকে নানাভাইয়ের সম্মান অন্যদিকে আম্মুর সম্মান। আর একদিকে নিজের সংসার। ১টা পর্যায়ে আমি আম্মুর গর্ভে আসি। যেটা মামনির health এর জন্য বিপজ্জনক ছিলো। আমাকে জন্ম দেয়ার সময় আম্মু মারা যায়।
মেরিন : আল্লাহ। এরপর…
নাবিল : বাবা আরও ক্ষেপে যায় । আম্মু মারা যাওয়ায় মামনি ভেঙে পরে। বাবাকে অনেক কথা শোনায়। বাবার রাগ out of control হয়ে যায় । ঠিক করে সে যেমন আম্মুকে হারিয়েছে তেমনি মামনির জীবন থেকেও নিহাল uncle কে কেরে নিবে। আবার সেই সাথে আমার ভবিষ্যৎ … সব বিবেচনা করে আমার ভার মামনির ওপর দেয়। আর বলে যে যদি কাজটা গোপনে না করে তবে আম্মুর ছবি ভাইরাল করে দিবে। মামনি নানাভাইয়ের সম্মানের কথা ভেবে চুপ থাকে। বাধ্য ছিলো। যদিও আম্মুকে ভালোবাসার পর বাবা সব ছবি ধ্বংস করে দিয়েছিলো। আমি আর নীড় কয়েকদিনের ছোট বড় । আম্মুর না থাকায় আমার প্রতি মামনির ১টা weak point ছিলো। কিন্তু কখনোই নীড়ের থেকে বেশি আমাকে ভালোবাসেনি । মা তো মাই… নীড়কে বেশি আদর করতো বলে আমার ভালো লাগতো না … তাই বাবা মামনিকে আমাদের বাড়িতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে নিহাল uncleও ভুল বুঝে মামনিকে। বোঝারই কথা। বাবা যখন নিজের ভুল বুঝতে পারলো তখন অনেক দেরী হয়ে যায়…. ব্যাস এটাই ছিলো বাকি ঘটনা।
মেরিন : জেদ সত্যিই খুব খারাপ। কতোগুলো মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে … অনেক ধন্যবাদ আপনাকে…

.

নীড় : নীড় … আজকে ভয় পেলে চলবেনা… সত্যর মুখোমুখি হতেই হবে। তুই মেরিনের অপরাধী … তোর জন্যই মেরিন মা-বাবাকে হারিয়েছে… কিন্তু যদি মেরিন আমাকে ছেরে চলে যায়? না… না…. আমি ওকে ছারা থাকতে পারবোনা… ওকে ছারা না বাচতে পারবো আর না মরতে পারবো … you are my Need + Love + Passion + life + Breath + Heart + World … সবকিছু সমান তুমি। দুনিয়া ১দিকে আর তুমি ১দিকে…

.

চৌধুরী বাড়িতে…
ড্যানি : স্যার নীড় বাবার গাড়ির ধাক্কাতেই যে কবির স্যার আর কনিকা ম্যাম মারা গিয়েছে তার প্রমান পুলিশ কেন কেউ পাবেনা…।
নিহাল : গুড ড্যানি গুড। আমার ছেলেটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। আর কোন কষ্ট আমি ওকে দিতে পারবোনা। খুনী হিসেবে পরিচিতি পেতে দিবোনা। কাউকে জানতে দিবোনা যে নীড়ই কবির-কনিকার খুনি…
তখন কিছু ১টা পরে যাওয়ার শব্দে নিহাল আর ড্যানি পিছে ঘুরল। দেখলো নীলিমা দারিয়ে আছে।
নিহাল : নননীলিমা ….
নীলিমা সব শুনে ফেলেছে। আর শুনে ওর হাত থেকে মোবাইল পরে গিয়েছে ।
নীলিমা : আআআমার ছছছেলে খুনী…. আমার ছেলে খুন করেছে? তাও মমমেরিনের মা-বাবাকে… আমার ছেলে এতোটা নননিচে নামতে পারে….
নীলিমা ১পা ১পা করে পেছাতে লাগলো।
নিহাল : দেখো নীলিমা … over react করোনা। it was just am accident … বুঝেছো? just accident …
নীলিমা : …
নিহাল : নীলিমা…
নীলিমা : হামমম।
নিহাল : দেখো তুমি এই accident accident নিয়ে একদম মুখ খুলবেনা। it was just an accident …. আমার ছেলে কোন দোষ করেনি। দুর্ঘটনার ওপর কারো হাত নেই। তাই তুমি তোমার মুখ বন্ধ রাখবে । কাউকে বলবে না যে নীড়ের সাথেই accident হয়েছে। আর মেরিনের কানে তো ভুলেও দিবেনা। বুঝেছো?
নীলিমা ঠাস করে নিহালকে থাপ্পর মারলো।
নীলিমা : আমি তো দোষী ছিলামই… কিন্তু… তোমার জন্য আমার ছেলেটা একেবারে অমানুষে পরিনত হয়েছে… একেবারে অমানুষে… যদি তুমি ওকে আদরের সাথে শাসনও করতে তবে ও এমন বাজে ছেলে হতোনা। কেমন ছিলো আর কেমন হয়ে গিয়েছে আমার ছেলেটা। অমানুষ তৈরি করেছো আমার ছেলেকে তুমি নিহাল… অমানুষ…
নিহাল : নীলিমা…
নীলিমা : একদম চিল্লাবেনা। যা বলেছি সত্যিই বলেছি। আমার ছেলে নীড় ১টা খুনী…

“নীড় ১টা খুনী”- এই কথাটাই just মেরিন শুনতে পেলো।

মেরিন : কি যা তা বলছো মামনি?
সবাই মেরিনের দিকে তাকালো ।
নিহাল : মেরিন…?

মেরিন : মামনি নীড় যেমনই হোক খুনী নয়…
নীলিমা : …
মেরিন : কিসের ভিত্তিতে আর কেন তুমি নীড়কে খুনী বলছো? উনি নিজেকে যতোটা খারাপ pretend ততোটা খারাপ উনি না।।। actually উনি খারাপ না। অনেক ভালো। মুখোশ পরা ভালোমানুষ গুলোর থেকে তো ভীষন ভালো। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি তোমার কথা শুনে। মানলাম অনেক বড় কারনেই নীড়কে ফেলে চলে গিয়েছিলে। কিন্তু … নিজের ছেলেকে তুমি খুনী বলতে পারো? কেমন মা তুমি? এটা ভুল… বুঝেছো… একদম ভুল। যেই ছেলে প্রমান খুজে বেরিয়েছে তোমার নির্দোষ হওয়ার সেই ছেলেকে খুনী বলছো? not done… তুমি আসলেই নীড়কে ভালোবাসোনা । তা না হলে তুমি নীড়কে খুনী বলতে পারতেনা। নীড় খুন করেছে…. হ্যাহ বললেই হলো … বানোয়াট কথা…
নীলিমা : এতোগুলো কথা তো বললে আমাকে । তুমি স্ত্রী আর আমি মা। মা কেবল ছেলেকে ভালোইবাসেনা। শাসনও করে। যেটা সন্তানের জন্য জরুরী। মা সন্তানের সবদিকই বিবেচনা করে। তাই মা মাই হয়।
মেরিন : তাই বলে নিজের সন্তানকে কোন মা খুনী বলে? বলো?
নীলিমা : খুনী বলছি কারন …
মেরিন : কোন কারন নেই। নীড় খুনী নয়। আর একবার নীড়ের নামে বাজে কথা বললে আমি কি করবো নিজেও জানিনা… নীড় খুনী না।
নীলিমা : নীড় খুনী। আর তোমারই মা-বাবার খুন করেছে…
মেরিন : মামনি…
নীলিমা : …
মেরিন : তুমি বললেই তো আর আমার নীড় খুনী হয়ে যাবেনা । you hurt me মামনি…. ভেবেছিলাম আজকে তোমাকে নিয়ে সবার মনে যে ভুল ধারনা সেটা দূর করবো। কিন্তু আজকে তুমি যেটা করলে সেটা ঠিক করোনি। একদম না।
নীলিমা : সত্যিটা মেনে নেয়া ভালো। না হলে কষ্ট পেতে হবে পরে।
মেরিন : কষ্ট পাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠেনা। কারন আমার সাথে নীড় আছে । ভালো নীড়। আমার মা-বাবার খুনী ঠিকই সামনে আসবে। নীড় নয় ওদের খুনী।
নীড় : আমিই ওদের খুনী …

মেরিন পিছে ঘুরলো।
মেরিন : কি যা তা বলছেন আপনি…?
নীড় : ঠিকই বলছি । আমার গাড়ির সাথেই ওদের গাড়ির ধাক্কা লেগেছিলো । খাদে পরেছিলো। as you know i was drunk…. actually তুমি যতোটা জানো তারথেকেও বেশি drunk ছিলাম। সেদিন তোমাদের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আমি আরো অনেক drinks করেছিলাম। জানিনা কেন এরপর আমার কিছু মনেই নেই। তবে এটাই সত্য যে আমার জন্যই ওরা মারা গিয়েছে ।
মেরিন : মমমিথ্যা কথা…
নীড় : সত্যি কথা…

মেরিন একদম blank হয়ে গেলো। চোখ জোরা স্থির হয়ে গেলো। নীলিমা মেরিনের কাধে হাত রাখলো । মেরিন আস্তে করে নীলিমার হাতটা সরিয়ে দিয়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।

নীড় : snow white ….
নিহাল : নীড় ওর কাছে যাও…
নীড় : ওকে এখন একা থাকতে দেয়াই ভালো হবে ড্যাড…
নীড়ের বুকটা ধুকবুক করছে। ও দরজার বাহিরেই বসে রইলো।

.

১ঘন্টাপর…
মেরিন দরজা খুলল । নীড় দেখলো মেরিনের পরনে ১টা চুরিদার… এটা ও কিনে দেয়নি। মেরিনের নিজের টাকা দিয়ে কেনা। সেদিন সবার জন্যই মেরিন শপিং করেছিলো। মেরিনের হাতে-কানে-গলায় কিছুই নেই। এমনকি নাকে নাকফুলটাও নেই।
নীড় : snow …
মেরিন কোন কথা না বলে হাটতে লাগলো। দরজার দিকে যেতে লাগলো।
নীড় : snow তততুমি কোথায় যাচ্ছো? প্লিজ আমাকে ছেরে যেওনা।
মেরিন ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : আমার আম্মু-বাবার খুনীর বাড়িতে আমি থাকতে পারবোনা…
নিহাল : মমমামনি… ওটা শুধুই ১টা accident ছিলো…
মেরিন : oh really … জিজ্ঞেস করো তোমার ছেলেকে সেদিন ও আম্মু বাবাকে মেরে ফেলতে যাচ্ছিলো কি না? কে বলতে পারে… হয়তো ওদেরকে মেরে accident সাজিয়েছে।
নীড় : না snow বিশ্বাস করো….
মেরিন : বিশ্বাস? আপনাকে? আপনিই না বলেন যে আপনাকে আপনি নিজেই বিশ্বাস করেন না…
বলেই মেরিন যেতে লাগলো। নীড় হাত ধরলো…
নীড় : আমাকে ছেরে যেওনা … মরে যাবো আমি…
মেরিন : বাবা তোমার ছেলেকে আমার হাত ছারতে বলো। না হলে আমি পুলিশের কাছে যাবো…. জহির রায়হানের সাহায্য নিয়ে উনাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়াবো…
নিহাল : মামনি…
নীড় : আমি তোমাকে ছারতে পারবোনা। যাওয়ার আগে নিজের হাতে আমায় শেষ করে দিয়ে যাও…
মেরিন : আমি আপনার মতো খুনী নই….
নীড় : …
মেরিন : বাবা তোমার ছেলেকে ছারতে বলো না হলে আমি কিন্তু…
নিহাল নীড়কে ছারাতে নিলো। কিন্তু পারলোনা। নিহাল-নাহিদ-দীপ্ত-নির্ঝর-নিরব-ড্যানি সবাই মিলে নীড়কে টেনে সরাতে লাগলো। আর নীড় হৃদয় ভাঙা চিৎকার নিয়ে মেরিনকে ডাকতে লাগলো। মেরিন বুকে পাথর রেখে চলে গেলো ওদের বাসায়…. নীড়কে রুমে বন্দী করে রাখলো । নীড় মেরিন মেরিন বলে চিৎকার করতে লাগলো আর দরজায় লাথি দিতে লাগলো। ১টা পর্যায়ে নীড় জ্ঞান হারালো।

নিহাল নীলিমাকে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নিহাল : তুমি মা নামে কলঙ্ক । বেরিয়ে যাও এই বাড়ি থেকে। বেরিয়ে যাও…
নীলিমা : নি…
নিহাল : ড্যানি…. এই মহিলাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও।
ড্যানি নিহালের এই অর্ডার পালন করতে পারলোনা। তাই নিহাল নিজেই নীলিমাকে বের করে দিলো।
নীড়-মেরিন ২জন ২দিকে। কেউই ভালো নেই । মেরিন কখনোই নীড়কে ক্ষমা করতে পারবেনা। আর না শাস্তি দিতে পারবে । না ভালোবাসতে পারবে আর না ঘৃণা করতে…

.

৩দিনপর…
নীড় কিছুই মুখে দেয়নি। ওকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। পরে বাধ্য হয়ে ওকে ঘুমানোর injection দিয়ে স্যালাইন দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
নিরব : ছোটদা…
নির্ঝর : বল।
নিরব : দাদাভাইয়াকে এভাবে আর দেখতে পারছিনারে । বড় ভাবি চলে গেলো কেনরে?
নির্ঝর : ভাবির দিকটাও ১টা বার ভেবে দেখ ।
নিরব : হামম।
নির্ঝর : আচ্ছা দাদাভাইয়া তো drive ভীষন ভালো করে।
নিরব : ছোটদা শুনলিনা সেদিন দাদাভাইয়া সাংঘাতিক drinks করেছিলো। আর বৃষ্টিও ছিলো প্রচুর । তাই হয়তো…
নির্ঝর : drinks করতে করতে drive করা দাদাভাইয়ার কাছে নতুন না… মনে আছে সেই blind রেসটার কথা?
নিরব : হ্যা হ্যা। মনে পরেছে। দাদাভাইয়া জিতেছিলো।
নির্ঝর : তাহলে বল দাদাভাইয়া accident কিভাবে করলো?
নিরব : হামম। ঠিক । এই ছোটদা দাদাভাইয়ার আগের গাড়িটা কোথায়?
নির্ঝর : মনে হয় বড়বাবা মনে হয় লুকিয়ে রেখেছে ।
নিরব : হামমম।
নির্ঝর : যে করেই হোক সেই গাড়িটা উদ্ধার করতে হবে।
নিরব : বড়বাবা কি দেবে গাড়ি?
নির্ঝর : না দিলে কি হবে? বের করতে হবে… চল কাজে লেগে পরি।
নিরব : ছোটদা আমার মনে হয় ছোটভাবি আর ইশুকে plan এ সামিল করলে ভালো হয়।
নির্ঝর : না। বিষয়টা just তোর আর আমার মধ্যেই কেবল থাকবে। মাথায় রাখিস….

.
চলবে