সেদিন মুষুলধারে বৃষ্টি ছিল পর্ব-১৫

0
811

#সেদিন_মুষুলধারে_বৃষ্টি_ছিল
part–15
Arishan_Nur (ছদ্মনাম)

বাসার সামনে গাড়ি থামতেই বুক ধুক করে উঠে মুহিবের। সে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো। তার যেন কলিজা শুকিয়ে খাক হয়ে গেছে৷ সেজুতির সামনে দাঁড়াবে কোন সাহসে? আসাটা কি ঠিক হলো? এরচেয়ে বরং অভিককে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাক সে!

মুহিব একটা শুকনা ঢোক গিললো। ভয়ে হাত কাপছে তার। কিন্তু পালিয়ে যাবে কোথায়? এক না একদিন সত্য প্রকাশ পাবেই! আচ্ছা আম্মা কি করবেন সবটা শুনে?

মুহিবের চিন্তিত মুখে এক চাপা ভয় এসে ভীড় জমালো।

এখন মনে হচ্ছে ড্রাইভারকে বলুক আবার ফিরে যেতে। কিন্তু উপায় নেই। সবকিছু মোকাবিলা করতেই হবে তাকে।

সে অভিকের হাত ধরে নিচে নামল। এরপর গটগট করে বাসার গেটের সামনে এলো। তাদের বাসার দারোয়ান তাকে দেখে লম্বা সালাম দিলো। মুহিব সালামের উত্তর দিয়ে বেল বাজায়।

মিনিট এক পর গেট খোলার আওয়াজ ভেসে আসে। ঠিক সেই মুহূর্তে মুহিবের সবকিছু তুচ্ছ করে পালিয়ে যেতে মন চাচ্ছিলো। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পালিয়ে যেতেও বুঝি সাহস লাগে যা তার মধ্যে নেই।

গেট খুলতেই সেজুতিকে নজরে পড়লো তার। সঙ্গে সঙ্গে বুকে হাহাকার বয়ে গেল। চোখের কার্নিশে এক ফোটা পানি জমে আছে তার।

সেজুতি গেট খুলে মুহিবকে দেখতে পেল। তার অপেক্ষায় আজকে সারাটা দিন পার হয়েছে। মনে মনে সে প্রশান্তি পাচ্ছি। রাত হয়ে যাওয়ায় তার টেনশন ও হচ্ছিলো। মুহিবের ক্লান্ত সিক্ত চেহারাটা দেখে তার উপর থাকা চাপা রাগ, অভিমান, জেদ সব মুহূর্তের মধ্যে কার্পূবের মতো উবে গেল।

বাইরে তখন অর্ধ চাঁদ। রাত নয়টা বাজে৷ গ্রীষ্ম কাল থাকায় ঘেমে আছে মুহিব। সাদা শার্টটা পেটানো লম্বা শরীরে মানাচ্ছে খুব। এই প্রথম সেজুতির মনে হলো, মুহিব দেখতে অপূর্ব!

সে স্মিত হাসলো। এরপর ই নজর গেল মুহিবের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট বাচ্চাটার উপর। তার বুক কেপে উঠে। মাথা চক্কর মেরে উঠলো।

তখনি মনোয়ারা আক্তার চলে এলেন। মুহিবকে দেখে বলে উঠে, আরে আব্বা, কখন আসলা? গেটের সামনে দাঁড়ায় আছো কেন?

মুহিন সেজুতি কে উদ্দেশ্য করে বলে, ভেতরে ঢুকতে দিবে না?

সে সরে দাড়ালো। মুহিব অভিককে নিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সেজুতির বুক ছ্যাত করে উঠে৷ বাচ্চাটা কে? কে হয় এই বাচ্চা? মুহিবের সঙ্গে চেহারায় এতো মিল কেন? মুহিবের মতো নাক, ঠোঁট! চোখের চাউনিও মুহিবের মতোই!

মনোয়ারা আক্তার মুহিবের সঙ্গে একটা বাচ্চা দেখে অবাক হলো। তার ছেলে তো বাচ্চা-কাচ্চা পছন্দ করে না তেমন। তাহলে ঢাকা থেকে নিজের সঙ্গে কোন বাচ্চা আনলো কেন? আর বাচ্চার বাপ-মা ও কেমন? এমন গ্যাদা বাচ্চাকে অপরিচিত কারো সঙ্গে পাঠিয়ে দিল?

মুহিব কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে অভিককে রেখে নিজের রুমে ফ্রেস হতে গেল।

সেজুতি এগিয়ে এসে অভিককে প্রশ্ন করে, তোমার নাম কি?

ছোট্ট অভিক বাংলা বুঝে না।সে অসহায়ের মতো তার দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকল।

সেজুতি আবার প্রশ্ন ছুড়লো। ওমনি অভিক কেদে দিলো। সে বড্ড ভয় পেয়েছে।তার উপর ক্লান্ত সে।ক্ষুধা পেয়েছে, ঘুম পেয়েছে।

সেজুতি ভড়কে গেল। এদিকে মনোয়ারা আক্তার বিরক্তি প্রকাশ করে৷

সেজুতির বাচ্চাটাকে কাদতে দেখে খুব মায়া হচ্ছে। আহারে এমন ফুটফুটে বাচ্চাকে কাদলে মানায় না।

সে হাটু গেড়ে বসে আদুরে গলায় বলে, কি হয়েছে? কাদছো কেন? হু? কাদে না!

নরম সুর শুনে অভিক ইংরেজি তে বললো, আই এম নট গেটিং ইউ ম্যাম।

সেজুতি আরেক দফা চমকালো। এইটুকু বয়সে কোন বাঙালী বাচ্চার এতো সুন্দর করে ইংরেজি তে কথা বলা প্রায় অসম্ভব! তাহলে কি বাবুটার মাদার ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ? বিদেশ থেকে এসেছে ও?

সে বলে উঠে, হুয়াটস ইউর নেইম?

— আই এম অভিক।

সেজুতি উঠে দাড়ালো। বাচ্চাটা তাকে বড়ই বিষ্ময় নিয়ে দেখছে। কেন তাকে দেখে এতো অবাক হচ্ছে কেন বাবুটা?

তখনি মুহিব বেরিয়ে এসে তাদের বাসার কাজের মেয়েকে হাক পেড়ে ডেকে উঠে। কাজের মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে আসে।

মুহিব বলে উঠে, যাও অভিককে ফ্রেস করিয়ে খাইয়ে দাও। এরপর ইশারায় অভিককে দেখালো।

কাজের মেয়ে অভিককে নিয়ে হাটা দিলো।

মনোয়ারা আক্তার প্রশ্ন করে, এই বাচ্চাটা কে?

মুহিব বলে উঠে, আগে খেয়ে নিই। এরপর সব বলব। বলব জন্য ই এসেছি।

মনোয়ারা আক্তার বলে, বৌমা খাবার বেড়ে দাও। ছেলেটা এতো দূর জার্নি করে এলো, খেয়ে নিক আগে।

সেজুতি চুপচাপ খাবার টেবিল সাজাতে লাগে। কিছুক্ষন আগেই মুহিবকে পাগল-পাগল লাগছিলো। কেমন অচেনা ও লাগছিলো তাকে দেখতে কিন্তু এখন স্বাভাবিক লাগছে।

এই শান্ত পরিবেশ কি ঝড় আসার আগ মূহুর্ত?

মুহিব নিঃশব্দে খেতে লাগে। খাওয়া শেষ হতেই গমগম সুরে বলে, আম্মা আপনার সঙ্গে কথা আছে।

— বল আব্বা৷

— একাকী কথা বলতে চাই।

মুহিবের গমগমে সুরে বলা কথাটা কানে যেতেই মেজাজ গরম হলো সেজুতির।সে দ্রুত দাঁড়িয়ে হাটা ধরলো। মুহিবের কোন কথা শোনারই শখ নেই তার। কি দরকার ছিল খামাখা খাওয়ার টেবিলে বসে থাকার? খাবার বেড়ে চলে এলেই মুহিব এতোবড় অপমান করার সুযোগ পেত না।

মানবমন বড্ড আজব! মাঝে মাঝে খুব ছোট খাটো বিষয়ে রেগেমেগে একাকার হয়, আবার কখনো হিমালয় সমান সুবিশাল দুঃখেও প্রশান্ত মহাসাগরের মতো হীম ঠান্ডা থাকে!

সেজুতি কি ভেবে অভিককে দেখতে গেল। মুহিবদের বাসার সাহায্য কর্মী সুমি তাকে দেখা মাত্র বলল, ভাবী বাবুটা তো ঘুমায় গেছে।

— ও। কিছু খায় নি?

— ভাত দিসিলাম। খায় না। কি যেন বলল বুঝতে পারলাম না। পরে বিস্কুট এনে দিলাম। সেটা খায়েই ঘুমায় গেল।

— এক গ্লাস দুধ দিতে।

— ও ভাবী! দুধের গ্লাস দেখে মুখ ফিরায় দিসে।খাবে না।

সেজুতি মৃদ্যু হেসে অভিকের বিছানায় গিয়ে বসলো। ইশ কি মায়াবী মুখটা! সে অভিককে।একটা চুমু দিলো। সেজুতির ছোট ছোট বাচ্চা খুব পছন্দ!বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে তার ভালো লাগে। বাচ্চাদের মধ্যে কোন ছলনা নেই। ওদের ভালোবাসায় কোন ক্রুটি নেই?

আচ্ছা মানুষের ভালোবাসায় কি ক্রুটি থাকে? মানব মনের ভালোবাসা কি ক্রুটিযুক্ত?

এরপর অভিকের গায়ে কাথা ঠিকমতো দিয়ে দিলো। রুমে এসে অন আছে। রাত বাড়লে শীত করতে পারে৷

সে বলে উঠে, সুমি আজকে তুমি এখানে থাকো। বাচ্চা মানুষ ও। জেগে উঠলে ভয় পাবে।

— আচ্ছা। ভাবী।

— আমি নুডলস রান্না করে রাখছি। বাবুর যদি ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে গরম করে খাইয়ে দিও।

— ঠিক আছে ভাবী৷

কথা শেষ করতেই তার চোখ গেল টেবিলে রাখা দুধের গ্লাসের উপর। সে বিড়বিড় করে।বলে, দুষ্টু বাচ্চা!

অভিককে দেখে নিয়ে রুমের বাইরে যেতেই সেজুতির মনে পড়ে যায়, মুহিব ও দুধ খেতে পছন্দ করে না।সেমাই হলে খায়, খালি দুধ নাকি কোন দিন খায় না। তার বুক কেপে উঠে।

সে সোজা রান্না ঘরে গিয়ে নুডুলস রাধতে মনোনিবেশ করলো।

★★★

— আম্মা আমার যা বলার আমি বলে দিয়েছি। অভিক আমার ছেলে এটা আমি কোন দিন অস্বীকার করব না।

— বৌমা সব জানলে অসুবিধা করবে। সামনে ইলেকশন!

মুহিব একথা শুনে রেগে গেল। প্রচুন্ড বেগে টেবিলে থাকা প্লেট এক ঝটকায় মেঝেতে ফেলে দিলো। প্লেট পড়ার শব্দে চারপাশে ঝনঝন করে কেপে উঠে।

মুহিব তেলে বেগুনে চেতে গিয়ে বলে, আপনার কাছে কি ইলেকশনই সব?

মনোয়ারা আক্তার থমথম খেলেন। একে তো মুহিবের মুখে সব সত্য শুনে তিনি নির্বাক তার উপর মুহিব তার মুখের উপর উচ্চ শব্দে কথা বলছে। সব মিলিয়ে সে হতভম্ব!

— অভিক তোর আর ওই বিদেশি মেয়েটার ছেলে?

— হ্যা৷

— তোদের বিয়ে হয় নি?

মুহিব নির্লিপ্ত গলায় বলে, না।

মনোয়ারা আক্তার একগাদা থুথু মেঝেতে ফেলে বলে, ছিঃ!

মুহিব অপমানিত বোধ করলো। কিন্তু কিছু বলার নেই তার। আজকে থেকে আরো অনেক অপমান তাকে সহ্য করতে হবে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো সেজুতিকে কিভাবে সব সত্য বলবে সে?

ততোক্ষনে সেজুতি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে কাচ ভাংচুরের শব্দে।

শুধু তাই না শ্বাশুড়িমা আর মুহিবের কথোপকথন ও শুনে ফেলেছে সে। বর্তমানে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। তার মনে হচ্ছে, বুকের মধ্যে কেউ পাথর দিয়ে নিক্ষেপ করে করে তাকে ব্যথা দিচ্ছে। চোখ ভরে উঠছে বারংবার।

মুহিবের বলা কথা মাথায় পেরেকের মতো ঢুকে গেছে মগজে।

মুহিবের সন্তান অভিক! তার দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে। ভারসাম্য নেই নিজের উপর। ওই অবস্থা তেই মাটিতে ধপ করে বসে পড়ল সে।

সেজুতির বসার শব্দে তারা দুইজনই পেছন ফিরে তাকালো। সেজুতি কে দেখে আতকে উঠে মুহিব৷

সে সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে গিয়ে বলে, কি হয়েছে? শরীর খারাপ?

নিশ্চুপ রইল সে।

মুহিব কিছুটা কুচো হয়ে তাকে ছুতে গেলে, সাজু গগণ কাপানো গলায় বলে উঠে, খবরদার আমাকে ধরবা না!

মুহিব ভড়কে যায়। সে বলে উঠে, কি হয়েছে কি তোমার?

সেজুতি মাটিতে বসেই থরথর করে কাপছে।রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। সেজুতি যখন অনেক রেগে যায়, তার নাক আর চোখ লাল হয়! এখনো বোধহয় নাক লাল হয়ে গেছে৷

মুহিব কোন কিছুর পরোয়া না করে নিচে ঝুঁকে সেজুতির দুই বাহু আঁকড়ে ধরে তাকে উঠে দাঁড় করালো।

সেজুতি উঠে দাড়িয়েই মুহিবের কাছ থেকে এক ঝটকা নিজেকে ছাড়িয়ে বাঁজখাই গলায় বলে, আপনি একটা চরিত্রহীন লোক মুহিব৷

মুহিব চুপসে গেল।

সে বলে, অভিক আপনার ছেলে! অথচ আপনি আমাকে বিয়েই করলেন একটা সন্তানের আশায়? এতো মিথ্যুক কেন আপনারা?

— চুপ করো সেজুতি।

— আমাকে হুমকি দিবেন না। ভয় পাই না আমি আপনাকে আর আপনার মাকে৷

— অনুরোধ করছি। আমার কথা শুনো।

মনোয়ারা আক্তার হাটা ধরলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সে থাকতে চায় না৷

সেজুতি হুট করে কেদে দিয়ে বলে, কেন আমার জীবন টা নষ্ট করলেন?

— আমি কারো জীবন নষ্ট করতে চাইনা।

সেজুতি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে, আপনার তো সন্তান আছেই। তাহলে আমাকে কেন বিয়ে করলেন?

— সত্যিই আমি কিছু জানতাম না,,,

— বাহ! চমৎকার! মুহিব। আপনি জানতেন না মানে কি? এখানে কি সিনেমা চলছে?

— হ্যা। সিনেমাই চলছে। আমি জানতাম না আমাদের কোন ছেলে আছে। বিশ্বাস করো।

— বিশ্বাস করার প্রসঙ্গই আসে না আপনাকে৷

মুহিব আবারো দমে গেল। সে মিনমিন সুরে বলে, তুমি এখন উত্তেজিত আছো। প্লিজ শান্ত হও৷

— জাস্ট সাট আপ মুহিব৷ কিভাবে আমি শান্ত হবো? বিয়ের দশ দিনের মাথায় স্বামী প্রথম পক্ষের সন্তান নিয়ে হাজির! মুহিব আমি কিন্তু চুপ থাকার মেয়ে না। আপনাদের নামে মামলা করব৷

— আচ্ছা। করিও মামলা। তাও শান্ত হও।

সেজুতি দম নিয়ে বলে, অভিকের মা কোথাও? সে কি জানে আপনি বিবাহিত?

— জুই মারা গেছে।

এবার কিছুটা শান্ত হলো সে। খানিকক্ষন চুপ থেকে বলে উঠে, আমি এখনি বাসায় যাব। আমার পক্ষে এইসব মেনে নেয়া একেবারেই অসম্ভব। আপনার মতো চরিত্রহীন লোককে,,,,,, সম্পূর্ণ কথা শেষ না করেই হিচকি উঠতে লাগে তার৷

মুহিব বলল, তুমি কোথাও যাবে না। চল আমার সঙ্গে। রুমে চল। কথা আছে তোমার সাথে৷

— আপনার মতো চরিত্রহীন লোকের কোন কথা আমার শোনার প্রয়োজন নেই৷

মুহিব জোড় করে সেজুতির হাত ধরে সামনে এগুতে চাইলে সেজুতি সজোরে তার গালে একটা থাপ্পড় মারলো।

মুহিব থাপ্পড় খেয়ে অবিশ্বাস্য চোখে তার দিকে তাকালে,

সে কাদতে কাদতে উত্তর দিলো,
আমাকে কোন অবলা মেয়ে ভাববেন না। আপনার কুকীর্তি আপনার মায়ের ক্ষমতা নিয়ে ধাপাচাপা দিতে পারবেন না৷

— আর যদি পারি? ( কাঠ গলায়)

— পারবেন না। আমি চুপ থাকব না।

— চুপ অবশ্যই থাকবে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

— আমাকে চুপ করানোর একটাই উপায় সেটা হলো মৃত্যু। বেঁচে থাকতে কোন দিন আমি আমার প্রতি অবিচার মেনে নিবো না। এখন কি নিজের অন্যায় ঢাকতে আপনি আমাকে মেরে ফেলবেন?

— প্রয়োজন পড়লে তাই করব!

চলবে৷