#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_১৪
এক কোনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছি।পুরো বিয়ে বাড়ির মধ্য মনি এখন আমি। বিয়ে বাড়িতে যে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে আর তার মূল কেন্দ্রবিন্দু যে আমি হবো সেটার কল্পনার বাহিরে আমি। কিন্তু আমার সামনে দিব্বি বসে ফোন স্ক্রল করে যাচ্ছে মিঃ চৌধুরী।
আমি নিরবে কান্না করতে করতে ভাবতে লাগলাম কিছু ঘন্টা আগের কথা।
** ২ ঘন্টা আগে **
বিয়ে বাড়িতে পুরো মানুষ গিজগিজ করছে। আজকে আপুর বিয়ে তাই তুবা সকাল সকাল চলে এসেছে, যদিও চাচ্চু আর চাচিমা কোন কাজ করতে বারন করেছে। কিন্তু বিয়ে বাড়ি যেহুত তাই হাতে হাতে কিছু কাজ করে দিচ্ছি। এভাবেই সময় পেরিয়ে ১২ টার কাছাকাছি গেলে আমি সাওয়ার নিয়ে চুল শুকতে বসি। আপুকে পার্লার এর মেয়েরা সাজিয়ে দিচ্ছে, মাঝে মাঝে তুবাও কিছু ইনস্ট্রাকসন দিচ্ছে। আমি দেখছি আর মুচকি হাসছি। এর মধ্যে তুবাও সাজতে বসে পরেছে। যেহুত শাড়ি পরবে তাই আজকে গর্জেস সাজবে। অবশ্য এটা মায়ার প্লেন। তার মতে তার ছোট ভাইয়ার বিয়েটাই আনন্দ করতে পারবে, বড় ভাইয়া যদি বিয়েই না করে? ওর কথা শুনে আমরা সবাই সেদিন খুব হেসেছি। হাতে কালো শাড়িটা নিয়ে বসে আছি। কিন্তু হটাৎ করেই ওই দিনের মিস্টি কালার শাড়িটার কথা বড্য মনে পরছে, আপুর কথায় বাস্তবে ফিরলাম,
— ঈশা যা শাড়িটা পরে আয়। সাজতে বসতে হবে তো।
— যাচ্ছি আপু।
ঘরে যেতেই আমি অবাক। একি এই রেপার বক্স কার? আমার রুমে কি করছে? এটা কি তুবা এনেছে? কিন্তু তাহলে আমি দেখলাম না কেন? ভাবনার মাঝেই বক্সটা খুলে আমি ৪০০ বোল্ডের শক খেলাম, এটা যে সেই শাড়িটা। অবাকের চরম পর্যায় চলে গিয়ে শাড়িটা হাতে নিতেই দেখলাম মেচিং করা চুড়ি, সিম্পল জুয়েলারি, সাথে একটা চিরকুট। চিরকুট এ লেখা ছিলো—
🌼🌼”আমার প্রেয়সি কি জানে তাকে এই শাড়িটা জড়ালে কতটা সুন্দর লাগবে।
“শাড়িটায় তোমাকে দেখবো ভাবতেই একরাশ ভালোবাসা কাজ করছে জান।
সব কিছু দিয়ে নিজেকে মুড়িয়ে নাও,
আমি দু-চোখ ভরে তোমাকে দেখতে চাই এ শাড়িতে।
ভালো কথায় শাড়িটা না পড়লে,আমি এসে পড়িয়ে দিতে বাধ্য হবো।।🌼🌼
এটা কি থ্রেড ছিলো নাকি?
আদেশ ছিলো? আমি এটা পরবো না, কিছুতেই পরবো না। হাহ,।
এর মধ্যেই তুবা শাড়িটা টেনে নিয়ে বললো-
— বাহ্ ঈশা শাড়িটা কবে কিনলি রে? আমাকে তো বললি না। কি সুন্দর শাড়িটা রে , ওয়াও এই জুয়েলারি গুলো কি এক্সপেন্সিভ, কবে কিনলি?
তুবার হটাৎ করে আসাতে আমি ভয় পেয়ে চিরকুট টা লুকিয়ে ফেললাম। তারপর আমতা আমতা করে বললাম ,
— আব মা মানে অ অনেক আগে কিনেছিলাম।
— কত সুন্দর রে, এই আজকে তুই এটাই পরবি। রাখ তো ওই শাড়ি।
— না না আমি এটা পরবো না।
— কেন? কি সমস্যা এটা পরলে? কত সুন্দর লাগবে জানিস। চল বলছি।
— তু তুবা শোন না আমার কথাটা।
— কোন কথা না। চল বলছি।
কোথায় চেয়েছিলাম অচেনা লোকটার জিনিস পরবো না? সেখানে সেই এইগুলোই পরতে হবে। হায় কপাল।
আমাদের কথার মাঝেই দুইটা মেয়ে এসে দড়জায় দারিয়ে বললাম!
— ম্যম আসবো?
— জ্বি আসুন। আপনারা কারা?
— আসলে ম্যম আমরা পার্লার থেকে এসেছি। ম্যম কে সাজানোর জন্য।
— কিন্তু ব্রাইড তো ও না। আর তাকে সাজানোর জন্য তো লোক নেয়া হয়েছে।
— আসলে ম্যম আমরা ব্রাইডের সাজানোর লোকের সাথেই এসেছি,
— ও আচ্ছা এবার তাহলে আমাদের কে সাজিয়ে দিন।
— আচ্ছা ম্যম, আপনারা শাড়ি গুলো পরে আসুন।
— কিরে চল ঈশা লেইট হচ্ছে এবার।
— আচ্ছা চল।
আমি আর তুবা শাড়ি পড়তে চলে গেলে,দুইটা মেয়ের মধ্যে একটা ফোন বের করে কাউকে ফোন করে বললে-
–স্যার আপনার কথা মতো বক্সটা রেখে দিয়েছিলাম। ম্যম এখন এই শাড়ি আর জুয়েলারি গুলোই পরবে।
ফোনের ওপাস থেকে কেউ শরিরে পারফিউম স্প্রে করতে করতে বললো –
–গুড। আই লাইক ইউর জব। সাজতে বসিয়েছো? ( গম্ভির গলায়)
— না স্যার শাড়ি চেঞ্জ করা হলেই করবো।
— ওকে। কেউ জেনো কিছু টের না পায়। খেয়াল রাখবে। গড ইট।
— জ্ব জ্বি স্যার।
— আপনি কার সাথে কথা বলছেন?
— আব ব ম্যম আরেকটা কাস্টমার ছিলো।
— ওও। আসুন সাজাতে শুরু করুন। ঈশা তোর হলো?
— হ্যা আসি।
আমি বেরিয়ে আসতেই দেখি ওই দুইটা মেয়ে আর তুবা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। আমি অসস্তি নিয়ে জিজ্জাস করলাম-
— এভাবে তাকিয়ে আছো কেন সবাই? আমাকে দেখতে কি বাজে লাগছে?
— না ম্যম আপনাকে পুরো পরি লাগছে, মাশাল্লাহ আপনি সত্যি অনেক সুন্দর
— দেখলি তো? আমি বললেই বলিস আমি নাকি মজা করি এখন তার বেলায়।
ওদের কথায় হালকা লজ্জা পেয়ে তাকাতেই আমাকে টেনে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে সাজানো শুরু করলো।
তুবা আর আমার সাজ সেইম। অবশ্য মায়াও সেম সাজবে। শুধু শাড়ির কালার গুলো ভিন্ন।মায়ার সবুজ, তুবার নীল আর আমার কালো ছিলো। কিন্তু এখন তো আমার শাড়ি চেঞ্জ হয়েছে, তবুও আমরা সেইম সাজলাম, আয়নাতে তাকাতেই দেখলাম মিস্টি কালার শাড়ি সাথে মেচিং জুয়েলারি, হাতভর্তি চুড়ি,পাফ করে ফুলিয়ে খোপা করে ব্রাইডের মতো ফুল লাগানো।ব্রাইডাল সাজ,আমি অবাক নয়নে তাকিয়ে আছি নিজের ওপর নিজেই অবাক।
তুবা হুট করেই বলে উঠলো,
— মাশাল্লাহ বইন আমি কি পরি দেখি নাকি?
— সত্যি তোকেও অনেক সুন্দর লাগছে রে।
আমার কথায় তুবা মুচকি
হাসলো।
— সত্যি ম্যম ইউ আর সো কিউট এন্ড লাকি।
— লাকি? কিন্তু কেন?
— আব আসলে ম্যম উনি খুব সুন্দর তাই ।
— ওহ আচ্ছা৷
চল সামিয়া আপুর কাছে যাই।দেখি কতটুকু হলো।
ঘর থেকে বের হতেই দেখি সকলে আমার দিকে হ্যবলার মতো তাকিয়ে আছে। কোন মতে আপুর ঘরে গিয়ে দেখি চাচিমা চাচ্চু কান্না করছে। আপুর ও সেইম অবস্থা আমাকে দেখে দাদি আর মা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে, চাচ্চু আর চাচিমার ও সেইম অবস্থা। হটাৎ আমাকে চমকে দিয়ে চাচিমা জড়িয়ে ধরে বললো।
— আল্লাহ আমার মেয়েটাকে কি মিস্টি লাগছে। মনে হচ্চে যেন তোর বিয়ে মা।
— চাচ্চু আর আপুও একই কথা বললে, আমি লজ্জা পেয়ে দড়জায় তাকাতেই দেখলাম রাইসা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
তুবাও খেয়াল করে বলে উঠলো,
— কি হয়েছে রাইসা? এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?ক্রাস খেয়েছো বুঝি?
রাইসা কোন মতে মুখটা অফ করে বললো,
— কি বলছো তুমি? কোথায় ও আর কোথায় আমি?
— নিজেকে এত স্পেশাল ভাবো কেন? দেখো আমার ঈশার জন্য এর থেকেও স্পেশাল কেউ আছে।
— হ্যা তা তো অবস্যই। ( স্পেশাল তোর জন্য আমি রেখেছি রে ঈশা। তুই নিজেও জানিস না আজ তোর সাথে কি হবে। রেডি থাক তোর প্রতিটা মুহুর্ত আমি এমন রঙহিন করে দিবো যে, জিবনের অস্তিত্যই পাবি না।(সয়তানি হেসে)
আমি এর মধ্যে খেয়াল করলাম রাইসা একটা লেহেঙ্গা পরেছে পেট পিঠ দেখিয়ে, গর্জেস সেজেছে, দেখতে ভালো লাগলেও, শরির বেরিয়ে থাকার জন্য মেয়েটাকে বাজে লাগছে।কিন্তু মা ওকে চুল ঠিক করে দিচ্ছে কিন্তু আমার দিকে একবার ফিয়েও তাকায় নি।দাদি মুখ লটকিয়ে আছে।বড় এসেছে শোনা যেতেই একে একে সবাই বের হলো।আপুর নার্ভাস এর কারনে তুবা সহ আপুর ফ্রেন্ডরা সাহস দিচ্ছিলো।
আমরাও নিচে গেলাম, আপুর ফ্রেন্ড, তুবা, আমি, রাইসা আরও অনেকেই গেট ধরেছে। তাদের কথা একটাই ৫০ হাজার দিতেই হবে। সায়ন ভাই আবির ভাই আর তুহিন ভাই এই সেই বলছে তুবা আমিও বলছি। এক প্রকার ঝগড়া করছি। হটাৎ গার্ড এসে সবাই কে সরিয়ে নিচ্ছে কারন সয়ং আরাভ চৌধুরী আসছে, সবাই অধির আগ্রহে আছে ওনাকে দেখার জন্য। একটা মিস্টি স্মেল আমার নাকে এলে আমি চোখ তুলে তাকাতেই দেখলাম মিঃ চৌধুরী। হালকা ব্রাউন শেরয়ানি, ব্লাক ওয়াচ,চোখে গ্লাসেস, কাটিং চাপ দাড়ি আর নজর কারা কালো চোখের চাহনি আমার অনূভতি গুলো বলছে আমি এই লোকটার প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি খুব করে চাই এটা না হোক, কারন কোথায় উনি আকাশের চাঁদ আর আমি জমিনের বামন। ওমনি উনি ফের বলে উঠলেন,
— ওয়েল সায়ন তোর টাকা দিতে হবে না!
ওনি আর কিছু বলার আগেই আমি বলে উঠলাম,
— কেন কেন, এটাই নিয়ম, মেয়েদের টাকা দিয়ে তবেই ভিতরে আসতে হবে৷
আমার কথার মাঝেই রাইসা রাগী চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো
— ঈশা কি হচ্ছে উনি বারন করেছে তো? তুই এখানে কেন যা এখান থেকে,
রাইসার কথায় প্রতিটা মেয়ে ক্ষুব্দ নয়ন তাক করলো ওর দিকে, আমিও কিছু না বলে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মিঃ চৌধুরী বলে উঠলো দাড়াও মিস, আমি ঘরে দাড়াতেই উনি হাত বাড়িয়ে আমার হাত ধরে হাতে একটা বান্ডেল তুলে দিলেন, আর রাইসার দিকে তাকিয়ে বললেন,
— কখনো কাউকে ছোট করার আগে নিজের সম্পর্কে জেনে নিবেন। নেক্স টাইম এই ভুল করলে মাসুল দিতে হবে!
এবার আমার দিকে তাকিয়ে মিঃ চৌধুরী বলে উঠলেন,
— দের লাখ আছে, হবে মিস?
আমি, রাইসা সহ বাকি মেয়েরা হা হয়ে আছে। কারন কোথায় ৫০ হাজার আর কোথায় দের লাখ।
মেয়েরা টাকা পেয়েই রাইসা সহ সবাই চলে গেলো,কিন্তু রাইসা যাওয়ার আগে আমার দিকে ক্ষুব্ধ নয়নে তাকিয়ে ছিলো, আস্তে আস্তে আপুকে নিয়ে এলাম,বড় যাত্রির খাবার পালা এলে আনটি আংকেল আমাকে টেনে তাদের সাথে নিজের হাতে খায়িয়ে দেয়, তুবা আর মায়াকেও দিয়েছে, খাওয়ার পর্ব শেষ হতেই সবাই বিয়ে দেখতে যায়। এদিকে মিঃ চৌধুরী
— উফফ জান জান এত সেজেছো কেন আম কন্ট্রোললেস, এর পাওয়ার আমার চাই জান, একটু পর ধামাক্কা হবে বাট তুমি তা সহ্য করতে পারবে না, তবে চিন্তা করো না জান আজকের পর থেকে তোমাকে কোন কস্ট পেতে দিবো না,।
মিঃ চৌধুরী ফোন বের করেই কাউকে বললো,
— অল ডান? সাহিল?
— জ্বি স্যার সব ঠিক আছে, ম্যম এর অপেক্ষায় আছি,
— সময় হয়েছে এসে যাবে, কাউনডাউন শুরু করো।
— আপু কিছুতেই কবুল বলতে চায় নি। আপুর কান্না দেখে আমার কান্না পেয়ে গিয়েছে, চাচ্চু আর চাচিমাও অনেক কান্না করেছে, অবশেষে বিয়েটা হয়ে গেলো কিন্তু এর মদ্যে খেয়াল করলাম একটা মহিলা বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছিলো, হুট করেই আমার দিকে এগিয়ে এসে বললো
— তুমি কে মা? তোমার নাম কি? তোমার মা বাবা কোথায়?
বাবা মায়ের কথায় মনটা খারাপ হলেও মুখে মিথ্যা হাসি নিয়ে বললাম!
— আমার নাম ঈশা, আমি সামিয়া আপুর ছোট বোন আসলে আমার বাবা মা নেই।
— ও আসলে মা ক্ষমা করবে,
আচ্ছা মা তোমার বিয়ে
কিছু বলার আগেই রাইসা এসে বলে ঈশা তোর রুম এ আমার ফোনটা আছে নিয়ে আয় তো।
আমাকে রাইসা এত মিস্টি কথা বলে না, আজ হটাৎ বলায় একটু সন্দেহ হলো,আর কিছু ভাবার আগেই বললো!
— কি হলো যা!
— যাচ্ছি।
আমি আমার ঘরে যেতেই দেখলাম অন্ধকার, হাতরে লাইট অন করার আগেই কেউ টেনে বিছানায় ফেলে দিলো, আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার শাড়ি ধরে টানটে লাগলো, আমি কান্না করে হাত দিয়ে সরাতে চেয়েও পারছি না, এতটুকু বুঝতে পারছি এই লোকটা আর অচেনা লোকটার মাঝে মিল নেই,,ওনার স্পর্শ খারাপ ছিলো না, কিন্তু এই লোকটা আমাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করছে , আমি কান্নার মাঝেও মিঃ চৌধুরী কে মনে করে বলতে লাগলাম,
— মিঃ চৌধুরী প্লিজ আমাকে বাচান, এই লোকটা আমাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করছে,। লোকটা যেই না আমাকে কিস করতে যাবে ওমনি কেউ টেনে নিয়ে ঘুসি দিলো।অনেক গুলো জুতার শব্দ পেতেই দেখলাম লাইট অন হয়েছে। একি এতো মিঃ চৌধুরী, ওনার মুখে তাকাতেই দেখলাম হিংস্র চোখ ইচ্ছে মতো মারছে, আরে এই ছেলেটা তো রাহুল , তার মানে উনি, ভেবেই কেদে উঠলাম। এর মধ্যেই পুরো বাড়ি ছড়িয়েছে ঘটনাটা , সবাই এসে হাজির, সবাই আমাকেই খারাপ কথা বলছে।
মিঃ চৌধুরী রাহুল কে মারতে মারতে আধমরা করে, রাগে কাপতে কাপতে গার্ডদের বললো
— নিয়ে যাও এই জানোয়ার কে, এর ব্যবস্থা আমি এসে করবো।
আম্মু এসেই আমাকে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো।চাচিমা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আম্মু বলতে শুরু
করলো,
— এর জন্যই তোর কথা বেরেছে তাই না,তুই এত খারাপ হয়েছিস যে শেষ এ কিনা ঘরে।
— মাআআ প্লিয মা চুপ করো,আমি এসব করি নি মা এই লোকটা( কাদতে কাদতে)
দাদি বলে উঠলো!
— দেখসো আরও মাথায় তুইলা নাচো,ছি ছি আমাগো বাড়ির মান সম্মান শেষ করে দিলো এই অসৎ মাইয়া!
রাইসা বলে দেখেছো মা, অথচ আমাদের সামনে কি একটা ভাব করে,যেন কিছুই যানে না।
— চুপ করো সবাই, এসব কি বলছো, আমি এসব জানি না, চা চাচ্চু বিশ্বাস করো, চাচি মা তু তুমি তো যানো আমি
— ওও তাইলে অন্ধকারে এই পোলা তোর ঘরে ক্য
— তোর এই অবস্থা কেন রে, আমাদের বাড়িতে থাকতে পারবি না বের হো, আর তোকে বিয়েই বা কে করবে।
চাচিমা বলে উঠলো, নাবিলা এসব কি বলছিস মেয়েটার কথাটা শোন একবার,
আম্মু বলে ফেললো।
— এই মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবে তুমি? কে করবে নস্টা চরিত্রের মেয়ে কে বিয়ে ছি ছি এই মে
আর কিছু বলার আগেই কেউ বলে উঠলো
— আমি করবো বিয়ে ওকে!
কারো কন্ঠ পেয়ে সবাই চমকে তাকায়, একি এ তো মিঃ চৌধুরী, উনি কেন বিয়ে করবে আমায়? উনি রাগি চোখে হাত মুঠ করে তাকিয়ে আছে রাইসার দিকে,
আমি কিছুতেই ওনার লাইফ নস্ট হতে দিবো না, নিজের কথা ভাবতে ডুকরে কেদে উঠলাম।
#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_১৫
মায়ের কথা শেষ হতেই, মিঃ চৌধুরীর কথায় সবাই অবাকের ওপর ওবাক হয়। ভাবনার মাঝেই আবার বলে ওঠলো,
–আমি করবো ওকে বিয়ে! আপনারা বিয়ের ব্যবস্থা করুন। ( গম্ভির গলায়)
— তুমি? তুমি কেন করবে এই নস্টা চরিত্রের মেয়েকে বিয়ে,
রাইসার কথায় মিঃ চৌধুরী হাত মুঠ করে হিংস্র চোখে তাকালে রাইসা ভয় পেয়ে এদিক সেদিক তাকায়।
এর মধ্যেই এক মহিলা বলে উঠলো!
— ছি ছি এই মেয়েকে কিনা আমার বোন তার ছেলের জন্য ঠিক করেছিলো,ভাগ্যিস ওর চরিত্র সম্পর্কে জানতে পেরে গিয়েছি, নয়ত এই মেয়েটাকেই আমরা শেষে কিনা বউ করে নিতাম!
এবার বুঝলাম ওই মহিলা আমার বিষয় কেন এত ইনফরমেশন নিচ্ছিলো।এবার ওই মহিলা বলে উঠলো-
— আমি তোমাকে ভালো মেয়ে ভেবেছিলাম আর তুমি কিনা বাড়িতেই এসব করে বেরাও?
এবার আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না,চিৎকার করে বলে উঠলাম –
— থামুন সবাই, সেই কখন থেকে আ আমকে যা নয় তা বলছেন, আমি বার বার বলছি তো এই লোকটা আমাকে জোর ক!
এর ভিতর রাইসা বলে উঠলো-
— জোর করে? কখন কিভাবে? আর তুই কি বাচ্চা নাকি হ্যা, নাকি আমাদের তোর বাচ্চা মনে হয়?
দাদি আমার দিকে তেরে এসে বলে উঠে,
— আমাদের বংশের না তো! হইবি তো এমনি। কি জানি কোন পাপির
নস্টামির ফল আমরা পালতাসি।
আমি দাদির কথায় অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলাম,
— দা দাদি কি বললে তু তুমি আমি!
হুট করেই চাচ্চু এসে দাদি কে বলতে শুরু করলো,
—মা সাবধান হয়ে যাও। আর কি বলছো এসব? তোমাকে আমি সাবধান করছি কিন্তু,
আমার হটাৎ চোখ ঝাপসা হলে পরে যেতে নিলে সামিয়া আপু চিৎকার করে উঠলে,
মায়া আর তুবা জড়িয়ে ধরে, এর মাঝেই শুনলাম মিঃ চৌধুরীর আম্মু মানে আনটি ওনার কাছে গিয়ে হাত ধরে বলছে —
— আমি জানি আমার ছেলে কোন ভুল সিধান্ত নেয় না, সে যাই করবে ভেবে বুঝে চিন্তা করে করবে। আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই আজ”
আনটির কথায় মিঃ চৌধুরীর হিংস্র চোখ শান্ত হয়ে এলো- আনটির দিকে তাকাতেই আনটি বলে উঠলো!
— ঈশা যেদিন প্রথম আমাদের বাড়িতে আসে, আমি আর তোমার বাবা অজান্তেই মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলি। সত্যি বলতে আমরা সেদিন ডিসাইড করি তোমাকে এ ব্যপারে জিজ্ঞাস করবো, এখন তুমি যদি বলো একদিনে কিভাবে কাউকে চেনা সম্ভব? তাহলে আমার উত্তর হবে, সম্ভব, তুমি মনের চোখ দিয়ে দেখলে অবশ্যই সম্ভব। আমি এই মেয়েটার মধ্যে সরলতা দেখেছি,মায়া দেখেছি, আর সবচেয়ে বেসি মুগ্ধ করেছে তার ভরসা। তুমি কি তোমার বোনের ক্ষেত্রে তা দেখতে পাও না?
এর মধ্যেই আংকেল এসে মিঃ চৌধুরীর কাধে হাত দিয়ে বলে উঠলো –
—আমরা ঈশা কে আমাদের পুত্র বধু রুপে দেখতে চাই না! আমাদের মেয়ে চাই, দেবে না সেই সুযোগ তুমি?
মিঃ চৌধুরী হটাৎ সাহিল ভাইয়া কে ডেকে উঠে বললো-
— সাহেল সব রেডি করো। আশা করি আপনাদের কারও কোন আপত্তি নেই? আর কারও আপত্তি থাকলে আই ডোন্ট কেয়ার, এই আরাভ এর সামনে চোখ তুলে কথা বলার শাস্তি সবাই পাবে। ঈশা ইস মাই উডবি ওয়াইফ,। বিয়ে এক্ষুনি হবে।
আমি কোন মতে মাথা তুলে মিঃ চৌধুরীর সামনে এসে বললাম,
— আমাকে কেউ ভালোবাসে না, মিঃ চৌধুরী। আমাকে বিশ্বাস করে না কেউ। ওই বাজে লোকটা আমাকে স্পর্শ করতে চেয়েছে। আমার পবিত্রতা নস্ট করতে চেয়েছে। আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। কিছুতেই করবো না। আমি বোঝা, খারাপ তো বেশ আ আমি চলে যাবো- ( কান্না করে)
মিঃ চৌধুরী আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বাকা হেসে আমাকে হুট করেই কোলে নিয়ে নেয়, আমি ভয় পেয়ে ওনার গলা আকরে ধরে , চিৎকার করে নিজেকে ছাড়াতে চেস্টা করে বলতে শুরু করি।
—- ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি, আমি বিয়ে করবো না, প্লিজ মিঃ চৌধুরী বোঝার চেস্টা করুন, আমাকে বিয়ে করে আপনার লাইফ নস্ট করবেন না প্লিজ, ছাড়ুন আমায়।
উনি আমাকে জোড় করে সোফায় বসিয়ে কাজি সাহেব কে বলে,
— বিয়ে স্টার্ট করুন, সাহেল গার্ডদের গান বের করতে বলো, আর আপনি রেজিস্ট্রার করুন —
—এর মধ্যে সবাই নিচে চলে এলো, আমি চেচিয়ে বলে উঠলাম ছাড়ুন আপনি, আমি বিয়ে করবো না। আপনি কি ভেবেছেন আমাকে দয়া দেখাবেন, লাগবে না কারো দয়া, আমি থাকবো না এখানে ছাড়ুন না প্লিজ! ( কেঁদে অসহায় চোখে)
মাঝেই রাইসা দৌরে এসে আমাকে টানতে টানতে মিঃ চৌধুরী কে বললো —
— আপনি ওকে জোড় করতে পারেন না৷ ওর মত নেই বিয়েতে। ঈশা তুই উঠে আয় বলছি। এই তোর লাজ – লজ্জা নেই? যেই দেখলি আইকন, বড়লোক ওমনি তুই ঝুলে গেলি ওর গলায়, আয় বলছি, তোর জায়গা এখানে না, তুই রাস্তার
ব্যস মিঃ চৌধুরীর রাগের বাধ ভেংগে গেল! উনি উঠে রাইসাকে তুলে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে, কাঁচের টেবিল লাত্থি দিয়ে ফেলে চিৎকার করে বলে ওঠলেন!
— কে কোন জায়গার মেয়ে একটু পর সবাই দেখতে পাবে। গার্ড একটা মানুষ যেন না বের হতে পারে। প্রত্যকটা মানুষ আজ জানবে তারা কাকে কি বলেছে। যে বাড়াবাড়ি করবে তাকেই সুট করবে। গট ইট?
— ই ইয়েস স্যার।
মিঃ চৌধুরীর থাপ্পড় খেয়ে রাইসা এখনো মাটিতে আছে, মা আর দাদি দৌরে গিয়ে ধরে। চাচ্চু আমার দিকে এসে বলতে শুরু করে।
— ঈশা মা, আমি তোর বাবা না ঠিক! কিন্তু তোকে একজন বাবার থেকে কম ভালোবাসি না৷ আমি যানি আমার আম্মুটা কেমন, আর আমরা চেয়েছি তোকে একটা ভালো ছেলের হাতে তুলে দিতে, আজ তোর এই অবস্থায় যে ছেলে তোকে বিশ্বাস করছে আম্মু তাকে পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। আমি স্যার এর অফিসে কাজ করি ১৭ বছর এর মধ্যে আরাভ বাবাকে আমি চিনি রে মা! প্লিজ মা আমার কথাটা রাখ।
আমি অসহায় চোখে চাচ্চুর দিকে তাকিয়ে একে একে চাচিমা আপু, তুবা সবার দিকে তাকালেই ইশারায় হ্য বোঝায়, মায়ের দিকে তাকাতেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমি মাথা নিচু করে কেঁদে বলে উঠি-
— আমি বি বিয়েটা করবো।কিন্তু থাকবো না কারো কাছে, চ চলে যাবো, কারো দ দয়া চাই না আমার,
—সেটা সময় বলবে মিসেস চৌধুরী। বিয়ে পড়ানো শুরু করুন।
তারপর কবুল আর রেজিস্ট্রার হয়ে গেলো।হয়ে গেলাম আমি অন্যকারো নামের, পদবির বউ।
কবুল বলার সাথে ঝাপসা চোখে দুই ফোটা অশ্রুঁকনা বিসরজন দিলাম।
বিয়ের কার্যক্রম শেষ হতে মিঃ চৌধুরী দাড়িয়ে গার্ড কে ইশারা দিলেন, ওনার ইশারা পেয়ে রাহুল কে নিয়ে এলো।সবাই তাকে দেখে আতকে উঠলো,কারন আগের রাহুল আর এই রাহুল এর মধ্যে বিশাল তফাৎ, গায়ে মারের চিহ্ন স্পষ্ট। এবার উনি রাগে কাপতে কাপতে বললেন,
— তো, তুই কি বলবি সব নাকি আরও ট্রিটমেন্ট দিবো।
— ব বলছি। আমি কিছু জানি না, আমি এসব করতে চাই নি, আমাকে এই মেয়েটা
বলেছে এসব করতে।
রাহুল এর আংগুল বরাবর তাকাতেই দেখলাম রাইসার দিকে তাক করা, সবাই অবাক দৃষ্টি তে রাইসার দিকে তাকালে রাইসা তোতলাতে তোতলাতে বলে।
— আ আমি কি করেছি৷ ও আমাকে ফাসাচ্ছে। আমি কি কিছু বলি নি। মা, দাদি বিশ্বাস করো, আমি বলি নি ঈশার ক্ষতি করতে,।
— ও রিয়েলি? তুমি কিচ্ছু বলো নি? আমার কাছে প্রুভ আছে। প্রুভ দেখলেও কি একি কথা বলবে মিস রাইসা?
মিঃ চৌধুরীর কথায় রাইসা ঘামতে লাগলো,
এবার উনি সাহেল ভাইয়া কে কিছু ইশারা করতেই উনি পর্দার স্ক্রিন চালু করলেন যেখানে রাইসা আর রাহুল এর কথা গুলো স্পষ্ট –ওদের কথা গুলো ছিলো!
— আমি জানি ঈশাকে তোমার ভালো লেগেছে( রাইসা)
— হ্যাঁ ভালো লেগেছে। আসলে ওর রুপ উফফ, পাগল করা, ( রাহুল)
— তুমি ঈশাকে চাইলেও নিজের করতে পারবে না, ও সেই সুযোগই দিবে না। তাই বলছি শোনো একটা প্লেন করি হাত মেলাই তাতে তোমারও লাভ আর আমারও। ( সয়তানি হেসে)
— তোমার কি লাভ? ও তো তোমার বোন তাহলে?
— উফফ এই মেয়েটা আমার বোন না। আর আমার জায়গা নিয়ে বসে আছে, বিদায় করবো এই বাড়ি থেকে ওকে৷ আমি সহ্য করতে পারি না। আর এখন তো আরাভ কে আমার চাই, কিন্তু এই মেয়েটা বার বার এসে সেখানে সিমপাথি পায়৷ তোমার আর কিছু জানতে হবে না, তোমার তো ওকে চাই? আর তোমার যে বাজে নজর তার জন্য ঈসা এমনিতে বিয়েতে রাজি হবে না। তাই প্লেন করেছি, প্লেন অনুজায়ি কাজ করলে তোমাকে ঈশা বিয়ে করতে বাধ্য।
— এ তো দেখছি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। প্লেন বলো রাইসা!
— সামিয়ার বিয়ের দিন, ভরা বিয়ে বাড়িতে মানুষ ভর্তি থাকবে। তাই ওইদিন প্লেন কাজে লাগাতে হবে, আমি ওকে ওর রুমে পাঠাবো আর তুমি ওর সাথে জোর করবে, এমন সময় আমি সবাইকে নিয়ে তোমার রুম এ হাজির হলে সবাই ওকেই দুসবে তাই তখন ঝোপ বুঝে কোপ দিতে হবে। বুঝতে পেরেছো। ( সয়তানি হেসে)
—বুঝেছি মানে এক্সট্রা বুঝেছি।
দুইজনে সয়তানি হেসে বলে দিচ্ছে আমার পিঠ পিছে তারা কত বড় সরযন্ত্র করেছে। মিঃ চৌধুরী রাগি চোখে রাইসার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই ঘৃনার চোখে রাইসার দিকে দৃষ্টি তাক করলে, রাইসা সবার দিকে কোনা চোখে চেয়ে বললো।
— আম আম্মু এসব মিথ্যা, আ আমি কিছু জানি না৷ এগুলো ইডিট করা৷ এখন তো এমন ইডিট করা যায়। আমি রাইসার দিকে এগিয়ে ঠাস করে একটা চড় মেরে বললাম
— তুই আমার বোন রাইসা? আমি তোর কি ক্ষতি করেছি? কেন এই সর্বনাস করলি রাইসা৷ তুই তো যা চেয়েছিস সব পেয়ে যেতি৷ আমাকে তো মাও আদর করে না, কেন রাইসা এমন করলি?
এর মধ্যেই আরেকটা ভিডিও অন হলে সবাই উৎসক চোখে এদিক সেদিক তাকায়, কারন ভিডিও তে স্পষ্ট রাইসা হোটেল রুমে একটা ছেলের সাথে নগ্ন গায়ে রংগো লিলায় মত্ত। এই ভিডিও দেখে সবাই দ্বিগুন ঘৃনার চোখে তাকালে আম্মু এসে রাইসাকে আরেকটা থাপ্পড় মেরে বলে,
— তুই এসব করে বেরাস? ছি ছি , আমি ভাবতে পারছি না তুই এত খারাপ কিভাবে হলি?
আমি হাযার ঈশা কে না দেখতে পারলেও এমন চোখে দেখি না, আর তুই কিনা? ছি রাইসা এবার বল নোংরা চরিএের কে তুই নাকি ঈশা( চিৎকার করে)
রাইসার কিছু বলার নেই তাই চুপ করে মাথা নিচু করে কান্না করছে।এই প্রথম মায়ের মুখে আমার জন্য এই কথা শুনে কাদঁতে কাঁদতে বসে পরি৷ চাচ্চি, চাচিমা, আপু সহ সবাই কাদঁছে। আমি নিচে বসে পরলে মায়া আর তুবাও আমাকে ধরে বসে, কিন্তু এর মধ্যেই আমার মনে হচ্ছে আমার পৃথিবি ঘুরছে, চোখ ভেংগে ঝাপসা হয়ে আসছে, আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না তার আগেই মায়ার কোলে মাথা রেখে ঘুরে পরলাম।
মায়া চিৎকার করে করে বলে উঠলো–
— ভাইয়ায়া , ঈশার সেন্স হারিয়ে ফেলেছে।
মায়ার চিৎকার শুনে সবাই দৌরে এলে মিঃ চৌধুরী এসে আমার মাথা তার বুকে নিয়ে নিলেন, আমার হাত ধরে আবির আর তুহিন ভাইয়াকে উত্তেজিত কন্ঠে বলে –
— আবির ওর সেন্স নেই। ওর তো হাত পাও ঠান্ডা হয়ে আসছে।কাপছে কেন ও এমন?
আবির ভাইয়া বলে ওঠে,
— আরাভ পেনিক হোস না, সারাদিন না খাওয়ার জন্য এত স্ট্রেস না নিতে পেরে এমন হয়েছে।
তুহিন ভাইয়া বলে ওঠে –
— আরাভ ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, ওকে হসপিটাল নিয়ে চল।
আর কিছু না ভেবে মিঃ চৌধুরী আমাকে কোলে নিয়ে সবার দিকে হিংস্র চোখে তাকিয়ে নিয়ে গেলেন। আংকেল আনটি চাচ্চু আর চাচিমাকে শান্তনা দিয়ে চলে এলেন আমাদের সাথে, তুবা আর মায়া আমার অবস্থা দেখে কান্না করে দিয়েছে আবির ভাই আর তুহিন ভাইয়া শান্তনা দিলেও থামে নি তাই দু-জন কেই ধমক দিলে থেমে যায়।।।
#চলবে…….