স্ত্রীর অধিকার পর্ব-১০

0
3395

#স্ত্রীর_অধিকার
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ১০

আমি বললাম কী অধরা এখনো বাড়ি ফিরে নি।রাত এগারোটা বাজলো।তখন আমার শ্বাশুড়ি বললো হ্যাঁ আমার মেয়েটা এখনো বাড়ি ফিরে নি।আর ওর মোবাইলটা ও বন্ধ আছে।এখন কী হবে??
আমার শ্বাশুড়ি খুব কাঁদতে শুরু করলো।তখন আমি উনার হাত ধরে বললাম আম্মা প্লীজ শান্ত হন।আমি দেখছি কী করা যায়।আমি অধরার কিছু হতে দিবো না।
আমি অর্নবকে বললাম অর্নব তুমি কী অধরার কোনো বন্ধুকে চিনো বা কারো মোবাইল নাম্বার তোমার জানা আছে।
অর্নব বললো অধরার কোনো বন্ধুকে ই আমি চিনি না।কিন্তু মেজো ভাবি হয়তো চিনবে।
তখন রিয়া বললো না আমিও কাউকে চিনি না।
,

,
অনেকক্ষণ ভাবার পর আমি অর্নবকে বললাম অর্নব চলো আমি আর তুমি দুজনে গিয়ে অধরাকে খুঁজি।আর না হয় আমরা থানায় গিয়ে একটা মিসিং ডাইরী লিখে আসি।আমাদের এইভাবে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।

আমার কথা শোনে অরূপ বললো তুমি কেনো যাবে।তোমার এতো মাথা-ব্যাথা কী নিয়ে??অধরা আমার বোন।আর আমার বোনের ব্যাপারে তোমার এতো না ভাবলে ও চলবে।কথাটা মাথায় রেখো।।

অরূপের কথা শোনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম।আমি অধরার জন্যে ই এইসব করছি আর সে কি না আমার দিকে ই আঙ্গুল তুলছে।
আমি অরূপকে বললাম দেখো অরূপ আমি তোমার সাথে এখন কোনো তর্কে যেতে চাই না।
তখন আমার শ্বাশুড়ি বললো অরূপ তোরা এইবার চুপ করবি।প্লীজ চুপ কর।
,

,
অরূপ কিছু বলার আগে আমি আর অর্নব থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।রাত তখন প্রায় একটা বাজে।আমি আর অর্নব যেই না বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্যে বাড়ির দরজা খুললাম ঠিক তখন দেখলাম অধরা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।আমি আর অর্নব দুজনে অধরাকে দেখে চমকে গেলাম।তখন অর্নব ওকে জিজ্ঞেস করলো,,,,,,,,,,,

অধরা এতো রাত অবধি তুই কই ছিলি?(অর্নব)

অর্নবের কথা শোনে বাড়ির বাকি সবাই যেনো হতবাক হয়ে গেলো।আমার শ্বাশুড়ি,রিয়া,অরূপ আর দাদী তাড়াতাড়ি করে দরজার সামনে এসে হাজির হলো।বলে রাখা ভালো আমার শ্বশুর সেইদিন বাড়িতে ছিলো না।

আমার শ্বাশুড়ি অধরাকে জিজ্ঞেস করলো অধরা এতো রাত অবধি তুই কই ছিলি????

মায়ের কথা শোনে অধরা বললো
আ,,আ,,,আমি তো বন্ধুদের সা,,সাথে পার্টি করতে গিয়েছিলাম।আমার এক বন্ধু আমেরিকা থেকে এসেছে।
অধরার কথা শোনে বাড়ির বাকি সবাই তো অবাক।কারো আর বুঝতে বাকি রইলো না যে অধরা ড্রিংক করে বাড়ি ফিরেছে।

অধরার কথা শোনে অর্নব অধরাকে কয়েকটা থাপ্পর লাগিয়ে দিলো।অধরা তখন মাথা ঘুরে ফ্লোরে পড়ে গেলো।আমি আর রিয়া মিলে অধরাকে ওর রুমে নিয়ে শুইয়ে দিলাম।
,

,
রাত তখন দেড়টা বেজে গেলো।আমি রুমে গিয়ে দেখি অভ্র এখনো ঘুমায় নি।আমি অভ্রকে বললাম
কী ব্যাপার অভ্র তুমি এখনো ঘুমাও নি কেনো??

অভ্র বললো আরে অনু আমার কেমন জানি ঘুম আসছে না।
আমি বললাম ও আচ্ছা।তাই বুঝি!!

অভ্র তখন আমাকে জিজ্ঞেস করলো নিচে কী হয়েছে।ছোটো মা এত চিৎকার করছিলো কেনো???

তখন অামি অভ্রকে সব কথা খুলে বললাম।সব শোনে অভ্র তো অবাক হয়ে গেলো।আমি ওকে বললাম তুমি চিন্তা করিও না।অধরা একদম ঠিক আছে।
অভ্রকে ঘুমুতে বলে আমি নিজে ও বিছানার ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লাম।তারপর কখন যে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেছি নিজেও টের পাই নি।
,

,
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি আটটা বেজে গেছে।আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে চলে গেলাম।নিচে গিয়ে দেখলাম,,,,,,,,,,,,,,,,

চলবে