#অদ্ভুত_তোমার_নেশা
#লেখিকা_লায়লা_আঞ্জুমান_ইতি
#পার্ট_____________১৭
।
।
।
।
ফজরের আযান কুহুর কানে পৌছাতেই কুহু চোখ খুলে তাকালো,শোয়া থেকে উঠে বসলো, নিচে তাকিয়ে দেখলো বিভোর এখনো ঘুমাচ্ছে, কুহু উঠে ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেঞ্জ করে নিলো,
তারপর বিভোরকে ডাক দিল,বিভোর ঘুম ঘুম চোখে তাকালো তারপর বলল,কি হয়েছে। কুহু বলল,বাড়ী ফিরবেন না।।বিভোর বলল,হুম আর একটু ঘুমিয়ে নেই।কুহু মুচকি হেসে বলল,ঠিক আছে।
বাড়ী ফিরতে ফিরতে ১১ টা বাজলো,গাড়িতে কেউ কোনো কথা বলে নিই।বাড়ীতে পৌছে যে যার রুমে চলে গেল।কুহু ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখলো ওর বিছানার উপর লিজা বসা।লিজাকে দেখে কুহু অবাক হলো তারপর বলল,আপু আপনি।লিজা বসা থেকে উঠে কুহুর সামনে এসে দাড়ালো তারপর বলল,সারা রাত কি করেছো দুজন, বয়স তো কম তুমি আমার থেকে ৪ বছরের ছোট তাও দেখি অনেক ফাস্ট তুমি ছেলেদের বশ করতে ভালো জানো দেখি।
লিজার কথা শুনে কুহু অবাক হয়ে বলল,আপু কি বলছেন এ….বলার আগেই লিজা কুহুর হাতের বাহু শক্ত করে চেপে ধরে রেগে বলতে লাগল,বিভোর ভাইয়াকে তো পুরো বশ করে ফেলেছো আমার কাছ থেকে দূরে সরাতে চাও তাই না আমি এমন হতে দেব না তোমাকে আমি দেখে নিবো কুহু মাইন্ড ডেট।বলেই কুহুকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল।
লিজার বিহেভিয়ার এতে কুহু ভিশন অবাক, খুব কষ্টে নিজেকে সাভাবিক করলো।এভাবে কিছু দিন কেটে গেল । অফিসে যেতেই সবাই কেমন ঘুরে ঘুরে কুহুকে দেখতে লাগল,হঠাৎ সবার এমন দৃষ্টি কুহু বুঝতে পারছে না,কুহু সামনে রেহানকে দেখলো, তারপর রেহানের কাছে গিয়ে বলল,রেহান শোনো।রেহান ওকে একবার দেখে কিছু না বলে চলে গেল,কুহু আবার অবাক হলো কি হয়েছে সবার।
কুহু আর কিছু না ভেবে নিজের টেবিলে বসে কাজ করতে লাগল,কিছুখন পর আকাশ আসলো ওর কাছে একটা ফাইল দিয়ে চলে গেল,কুহু ফাইল গুলো দেখতে লাগল,হঠাৎ কোণা এসে কুহুকে বলল,কুহু তুমি যে এমন আগে বললে না যে।কুহু অবাক হয়ে বলল,মানে।
কোণা বলল,আমরা সবাই তোমাকে ছোট ভেবে কত ভালোবেসেছি আর তুমি এমন ছি।কুহুর সব কিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। রিমি এসে কোণাকে বলল,কোণা চল এখান থেকে।কোণা বলল কেন।কুহু বলল,কি হয়েছে আপনাদের সবাই এমন করছেন কেন কি করেছি আমি।
রিমি কিছু বলল না, কোণা বলল, কি করেছো তুমি যে স্যারের বাড়ীতে থাক তা তো আমাদের বল নিই।আরেকটা মেয়ে এসে বলল,আর কি বলবে এত কম্ফোর্ট পেলে নিজের রুপ দিয়ে এত কিছু করছে ইয়াং স্যারের বাড়ীতে থাকে মানে বোঝো।রেহান চুপচাপ সব কিছু শুনছে কিন্তু কিছু বলছে না, কুহু কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না। আকাশ এইসব দেখে বিভোরের ক্যাবিনে গিয়ে বলল,তুই এখানে বসে আছিস।বিভোর বলল,কেন কি হয়েছে। আকাশ রেগে বলল,বাহিরে যা দেখ কি হচ্ছে। বিভোর আর আকাশ বাহিরে গেল।কুহু চুপচাপ দাড়িয়ে আছে, হঠাৎ সাইদ এসে বলল,আমাদের সামনে সতী সেজে থাকো আর তোলে তোলে এত দূর। রাহিম বলল,স্যার কত টাকা দেয় এই সবের জন্য বল তোমার রেড কত এক রাতের জন্য কত নেও।কুহু আর এইসব বাজে কথা সহ্য করতে পারছে না।কুহু দৌড়ে অফিস থেকে বের হয়ে গেল।বিভোর এইসব কথা শুনে ওর মাথায় রক্ত উঠে গেল।বিভোর রাহিমের কাছে গিয়ে এক ঘুষি দিয়ে ওকে নিচে ফেলে দিল,তারপর একের পর এক ঘুষি মেরেই চলেছে। আকাশ গিয়ে বিভোরকে আটকালো কিন্তু বিভোর কারও কথা শুনছে না, মেরে মেরে রাহিমরে অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আকাশ শেষ পযন্ত বিভোরকে বাধা দিতে সফল হলো।বিভোর রেগে আকাশকে বলল,আকাশ এই অসভ্যটাকে এই মাসের বেতন দিয়ে বের করে দে ওকে আমি আর আমার অফিসে দেখতে চাই না।
সবাই বিভোরের রাগ দেখে ভয়ে চুপসে গেছে।বিভোর সবার দিকে তাকিয়ে বলল,কি হলো সবাই চুপ কেন কুহু যেই সব কথা বলছিলেন আমাকেও বলুন আমাকেও শোনান সবার মুখ বন্ধ কেন, সবাই ভালো মতো শুনে রাখুন, কুহু আমার বিবাহিতা স্রী ও আমার বাড়ীতে থাকবে না তো আপনাদের বাড়ীতে থাকবে।বিভোরের কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেল,আড়াল থেকে লিজা এতখন মজা নিলোও এখন এই কথা শুনে লিজার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
বিভোর রেগে চিল্লিয়ে বলল,আর কারও কিছু বলার আছে থাকলে আমার সামনে এসে বলেন।সবাই মাথা নিচু করে ফেলল।
অন্য দিকে কুহু অফিস থেকে বের হয়ে দৌড়ে চলেছে কোথায় যাচ্ছে সে জানে না কিন্তু যেখানেই যাক আর ওই বাড়ীতে ফিরে যাবে না।হঠাৎ সব কিছু খুব এলোমেলো লাগছে কুহুর কাছে, বিভোরের বাড়ী না গেলে কোথায় যাবে কুহু তেমন আপন বলতে তো কেউ নেই, কুহুর বাবা মা বেচে থাকলেও হয় তো এত কষ্ট সহ্য করতে হতো না কুহুকে।সে এখন কোথায় যাবে কি করবে, বুঝে পাচ্ছে না। হঠাৎ আকাশ খারাপ করলো জোরে বাতাস বইতে লাগলো,কুহু এলোমেলো ভাবে হেটে চলেছে কোথায় যাচ্ছে কোথায় আছে কুহু বলতে পারে না।
অন্য দিকে বিভোর সবার দিকে রেগে তাকিয়ে অফিস থেকে বের হলো, আশপাশ দেখতে লাগল কিন্তু কোথাও দেখতে পারলো না কুহুকে।আধা ঘন্টার মতো হতে চলল কিন্তু বিভোর এখনো কুহুকে পেল না, বিভোরের হঠাৎ মনে হলো কুহু হয় তো বাড়ী চলে গেছে।
বিভোর বাড়ীরর দিকে রওনা হলো কিছু খনের মাঝে বাড়ি গিয়ে পৌছালো।ভিতরে ঢুকেই পুরো বাড়ী খুজতে লাগল বিভোর কিন্তু কোথাও পেলো না কুহুকে।হঠাৎ ওর দাদুর দিকে চোখ পড়তেই বিভোর ওর দাদুর সামনে গিয়ে বলল,দাদু কুহু কি বাড়ী ফিরেছে।।
ওর দাদু কিছু না বলে একটা চোড় বসিয়ে দিল বিভোরের গালে।বিভোরের দাদু রেগে বলল,ছি বিভোর তুই যে এতটা কাপুরুষ আমি ভাবতেও পারি নিই, একটা অসহায় মেয়ের জীবনটা নিয়ে তুই এভাবে খেললি। বিভোর বলল,দাদু তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু না তুমি জানো না কোন সিচুয়েশনে আমাদের বিয়ে হয়েছে। ওর দাদু বলল,যে ভাবেই হক ও তো তোর স্রী হতো তাই না।বিভোর বলল,দাদু ও তো ডিভোর্স দিতে চায়।হঠাৎ পিছন থেকে আকাশ এসে বলল,ও কখনো মুখ ফুটে তোকে বলেছে ও ডিভোর্স চায় তোর কাছ থেকে আলাদা হতে চায়।বিভোর কি বলবে বুঝে পাচ্ছে না।বিভোরের দাদু কড়া গলায় বলে উঠল, আমার নাত বউকে নিয়ে না আসতে পারলে তুই আর এই বাড়ীতে থাকতে পারবি না তোকে বের করে দেব এই বাড়ী থেকে।বিভোর অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওর দাদুর দিকে। ওর দাদু বলে উঠল, ইডিয়েট আমার মুখ কি দেখছিস যা।
বিভোর আর কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো আর আশপাশ খুজতে লাগল।বিভোরের কানে হঠাৎ আকাশের কথা বেজে উঠলো ” ও কখনো মুখ ফুটে তোকে বলেছে ও ডিভোর্স চায় ” বিভোর ভাবতে লাগলো কুহুর কথা আসলেই তো, ডিভোর্স এর কথা
তো বিভোর বলেছে, কুহু কি চায় না আমার কাছ থেকে আলাদা হতে,বিভোর হঠাৎ খেয়াল হলো সে দিনের রাতের কথা, কুহু নেশায় আসক্ত অবস্থায় বলে ছিল ” কেন ভালোবাসেন না আমায় বিভোর ” কিন্তু বিভোর ভাবতেও পারে নিই কুহুর ওইসব কথা সত্য ছিল,তাই তো ওই বৃষ্টির দিন রাতে যখন হঠাৎ বিভোর কুহুকে খানিকের জন্য কাছে টেনে নিয়ে ছিল,তখন কেন কুহু বিভোরকে বাধা দেয় নিই।এসব ভাবতে ভাবতে বিভোর প্রায় পাগল হয়ে যাবে, বিভোর কিছু জানে না শুধু এইটুকু জানে এখন তাকে কুহুকে খুজে বের করতে হবে।
চারপাশে ঝড়ো হাওয়া বইছে যখন তখন ঝড় শুরু হতে পারে তারপর রাস্তায় বেশী মানুষও দেখা যাচ্ছে না,কুহু ঠিক করলো ওর ফ্রেন্ডের বাড়ীতে যাবে,কিন্তু কুহু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে ফোন ব্যাগ কিছু না নিয়েই চলে এসেছে এখন সে কি করবে,জায়গা টাও বেশ নির্জন এমন জায়গায় আগে আসে নিই কুহু এখন ঠিক কোথায় আছে সে বুঝতে পারছে না,মনে মনে ঠিক করলো একটা টেক্সি পেলে উঠে পড়বে তারপর লামিয়ার বাড়ীতে গিয়ে ওর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেবে কিন্তু একটা টেক্সিও দেখা যাচ্ছে না,হঠাৎ কুহু দেখলো একটা লোক হেলেদুলে আসছে, লোকটাকে দেখে কুহুর বুঝতে বাকি রইলো না লোকটায় নেশায় আছে।
কুহু ভয়ে অন্যদিকে দৌড় দিল,হঠাৎ কুহু দেখলো বেশ কয়েক জন মেয়ে, একেক মেয়ে একেক জায়গায় দাড়িয়ে আছে, কেউ কারও সাথে গল্প করছে তো কেউ দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে, আর তাদের খোলা মেলা সাজ দেখে কুহুর খুব অদ্ভুত লাগছে, কিন্তু কুহুর খুব ভয় করছে এই নির্জন অপরিচিত জায়গায়, তাই ওই মেয়েদের কাছে গিয়ে দাড়ালো আর আশপাশ দেখতে লাগলো, কোনো টেক্সি পেলে এখান থেকে উঠে চলে যাবে।তখনি একটা মেয়ে এসে বলল,ওই তুই কে রে আজ নতুন নাকি এই জায়গাটা আমাগো যা এইটা এইখান থিকা যা।কুহু বলল,আপু আমি অল্প কিছু খন আছি টেক্সি পেলেই চলে যাব।মেয়েটা বলে উঠল, এক তো কাস্টমার পাইতাসি না তার উপর এমন রুপ নিয়া দাড়াইয়া আসে যা দূরে গিয়া দাড়া।
এর মাঝে একটা গাড়ি থামলো, গাড়ি ভিতরে দুইটা ছেলে, একটা ছেলে কুহুকে দেখে বলল,কি ম্যাডাম ভাড়া কত।কুহু অবাক হয়ে বলল,ভাড়া তো আমি দেবো। ওরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,ঠিক আছে দিয়েন আসেন।কুহু উঠতে গিয়েও কেন জানে না উঠতে ভয় পাচ্ছে, কুহু ওই মেয়েটাকে বলল,আপু আপনি যাবেন আমার সাথে দুজন এক সাথে গেলে সেফলি যাওয়া যাবে আপনি কোথায় যাবেন আমি আসলে আমার…..
বলার আগেই ছেলেটা বলল,কি যাবেন না নাকি।ওই মেয়েটা বলল,আমি যাইতাসি কিন্তু আমাকে বেশী টাকা দিতে হইবো।কুহু অবাক হলো সাথে যাওয়ার জন্য টাকা চাইছে।এর মাঝে ওই ছেলে গুলো আরও তাড়া দিল, ওই মেয়েটা কুহুকে টেনে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলল,চল তো দেরি হইতাসে।এই টেক্সিটা চলে গেল যদি আর কোনো টেক্সি না পায় তাই উঠে পড়লো,ভিতরে গিয়ে বসে, যেই ডোর টা লক করতে যাবে তার আগেই কেউ ডোর ধরে ফেলল,তারপর একটা হাত কুহুর হাত ধরে টেনে বের করে ফেলল,কুহু অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল,আপনি।
বিভোর কুহুর দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কিছু না বলে কুহুকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো,পিছন থেকে একটা ছেলে বেড়িয়ে এসে বলল,কি সমস্যা আপনার ওকে আগে আমরা ঠিক করেছি।বিভোর রেগে ওই ছেলেকে একটা ঘুষি দিয়ে দূরে ফেলে দিল,তারপর কুহুকে জোর করে টেনে গাড়িতে বসিয়ে দিল,কুহু রেগে বলল,আপনি কি করছেন , আমি যাব না আপনার বাড়ীতে, ওই ড্রাইভার ভাইয়াটাকে মারলেন কেন, কত কষ্ট করে একটা টেক্সি পেলাম।
বিভোর রেগে কুহুর দিকে তাকিয়ে বলল,ইউ হেভ এ এনি আইডিয়া কুহু তুমি কোথায় আছো। বিভোরের কথা শুনে কুহু অবাক হয়ে তাকালো বিভোরের দিকে , বিভোর আবার বলল,তুমি কি ভেবেছো তোমাকে যাএী ভেবে ওরা নিয়ে যাচ্ছিল, কুহু নিজের চারপাশটা ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখো এটা রেড এরিয়া ওরা তোমাকে কল গার্ল ভেবে নিয়ে যাচ্ছিল।বিভোরের কথা শুনে কুহু শকট খেল, কুহু বাহিরের দিকে তাকিয়ে ওর বুকটা ধক করে উঠলো, এত খন কেন বুঝলো না কুহু এখন যদি বিভোর না থাকতো তাহলে কুহুর কি হতো ভাবতেই আত্তা কেপে উঠলো কুহু চোখে দিয়ে নোনা জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো,কুহু বিভোরের দিকে তাকালো তারপর আবার বাহিরের দিকে তাকালো,বিভোর কিছু না বলে সামনে দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলেছে।সারা রাস্তা কেউ কোনো কথা বলল না। বাড়ীরর সামনে আস্তেই কুহু গাড়ি থেকে নেমে বাড়ীর ভিতরে ঢুকে পড়লো,কুহু ভিতরে ঢুকেই দেখে লিজা আর ওর দাদু বসে আছে, ওর দাদু কুহুকে দেখে বলল,দিদিভাই কোথায় ছিলে।কুহু বলল,দাদু ভালো লাগছে না কাল কথা বলি। ওর দাদু বলল ঠিক আছে কুহু দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল।
গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো, বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে লাগল,আর ভাবতে লাগল,আমার জীবনটা এত কঠিন কেন, সহজ ভাবে হলে কি কোনো সমস্যা হয়ে যেতো, কেন কোনো সুখ পাই না আমি, নিজের বলে দাবি কারার কোনো মানুষ নেই,এই পৃথিবীতে কেউ নেই আমার আপন বলতে, কেন পড়ে আছি এখনো, মা বাবা তোমরা আমাকে সাথে করে নিয়ে গেলে না কেন, কেন নিয়ে গেলে না, আমার আর ভালো লাগে না সত্যি আমি আর পারছি না এভাবে থাকতে।
বিভোর নিজের রুমে গিয়ে বসে পড়লো,আর সব কিছু ভাবতে লাগল,বিভোর নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলো,কুহুর প্রতি আমার অনুভূতি কি? আমাদের সম্পর্কের নাম কি? কেন ওর আশপাশে আমি অন্য কাউকে সহ্য করতে পারি না? কেন ওর কষ্ট গুলো আমার কষ্ট মনে হয়? কেন ওর হাসিতে আমার ঠোটে হাসি ফোটে? কেন ওর প্রতি আমার এক অদ্ভুত নেশা কাজ করে আসলেই কুহু #অদ্ভুত_তোমার_নেশা।বেশ কিছুখন চুপ থেকে বিভোর শিতল কন্ঠে নিজেকে নিজেই বলে উঠল, আমার তোমাকে চাই কুহু, তোমাকে ভালোবাসতে চাই, তোমাকে সারা জীবনের জন্য নিজের করে রাখতে চাই।
চলবে……….
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 💙