#অদ্ভুত_নেশা
#পর্ব_১০
#অধির_রায়
২২.
ছোঁয়া নাম শুনেই তপেস খুব তেড়ে আসে ছোঁয়ার দিকে। ছোঁয়াকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। ছোঁয়া ব্যথা পাওয়ার আউচ বলে উঠে। কিন্তু তপেস ছোঁয়াকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেই রাখে।
— চোখ পাকিয়ে তুই এখানে কেন এসেছিস?
তোকে বুঝতে দেওয়া যাবে না আমি এখানে তোর উদ্দেশ্য জানতে এসেছি৷ তুই কি আমাকে কাঁচা খেলোয়াড় মনে করিস?(মনে মনে)
— কি হলো কথা বলছিস না কেন?
ছোঁয়া অপলক দৃষ্টিতে তপেসের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ তপেসের দিকে তাকিয়ে থেকে সারা রুমে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়।
— এভাবে দেখার কি আছে?
— আপনি আমার সাথে এমন করছেন কেন? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
— এখানে ন্যাকামি করে লাভ নেই৷ বেশি কথা বললে তোর খারাপ অবস্থা করতে পারি। সেজন্য আমাকে পরে দায়ী করিস না৷
— আপনি কোনদিন আমাকে তুই করে বলেননি৷ হঠাৎ কেন আমার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করছেন৷
— তাহলে তোর সাথে আমি কি করব? তোদের মতো মেয়েদের বেঁচে থাকার কোন রাইট নেই।
— এজন্য আমাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছেন।
— কিন্তু তোর কই মাছের প্রাণ। তুই মরলি না বরং আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছিস?
— এখন আমি আপনার সামনেই দাঁড়িয়ে আছি৷ তাহলে এখন মেরে ফেলেন৷
ছোঁয়া কথা বার বার তপেসের কানে নাড়া দিচ্ছে। তপেস ছোঁয়ার কথা সহ্য করতে পারছে না৷ তপেস ক্ষেপে ছোঁয়ার উপর হাত তুলতে নেয়। কিন্তু কি মনে করে হাত নামিয়ে নেয়।
— কি হলো মারলেন না কেন?
— তুই এখন থেকে এই মুহুর্তে এখান lতুই কোন অপরাধ করিস নি৷
— আমি জানি আমি নিঃদোষ। এজন্য আমাকে ভগবান আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ আপনার সাহস থাকলে আমার অপরাধ আমার চোখের তুলে ধরেন৷
— তাহলে তোর প্রমাণ চায় তাই তো?
— হুম আমার প্রমাণ চায়?
— আমার সাথে এখানে আসতে পারিস।
–কোথায়?
তপেস ছোঁয়ার কোন কথায় কর্ণপাত না করে ছোঁয়ার হাত ধরে এক প্রকার টানতে টানতে একটা অন্ধকার রুমে নিয়ে যায়।ছোঁয়া ভয়ে কাচুমাচু করে আছে৷ এই অন্ধকার রুমে ছোঁয়াকে বন্দী করে রাখবে কি?ভয়ের কারণে গলা থেকে কথার বুলি বেরুচ্ছে না৷ বাকহীনদের মতো তাকিয়ে আছে৷ তাকিয়ে আছে বললে ভুল হবে,,, ছোঁয়া কিছু দেখতে পাচ্ছে না৷
— মনের মাঝে সাহস জুগিয়ে ধীরে ধীরে আমতা আমতা করে এই অন্ধকারে রুমে কেন নিয়ে এসেছেন?
–ওয়েট।
তপেস ফোনের ফ্লাক্স অন করে। চারিদিকে ধুলা বালি৷ শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তবুও ছোঁয়া নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছে।তপেস এতক্ষণে রুমের লাইট অন করেছে। চারিদিকে রাউন্ড করা জালের মতো করে ঘিরে রেখেছে বিরুল প্রজাতির এক প্রাণী (মাকরাসা)
— আমাকে এই ধুলা বালি যুক্ত এই রুমে নিয়ে এসে নিজেকে মহান ভাবা বন্ধ করেন।
— আমি তোকে কথা বলতে মানা করেছি। এর পর তোর মুখ থেকে একটা কথা শুনতে পেলে মুখ বন্ধ করে দিব চিরকালের জন্য।
— সালা তুই কি ভেবেছিস? আমি তোকে ছেড়ে দিব। কোনদিনও না৷ তুই আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলি তার শাস্তি ভোগ করতে হবে না বাবুসোনা। তোকে আমি নরকের আগুনে জ্বালাতে না পারলে আমি ছোঁয়া নয়৷(মনে মনে)
— কি এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবি? আমার সাথে আর সামনে যেতে হবে৷
— আর কোথায় যাব?
— তোর প্রশ্নের উত্তর তুই নিজেই জেনে নিবি।
ছোঁয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ছোঁয়ার হাত চেপে ধরে ধুলাবালি যুক্ত রুমের শেষ পান্তে নিয়ে আসে৷ নিয়ে এসে রশি টেনে একটা প্রাচীন সিল্কের পর্দা টেনে নামায়৷ পর্দার পিছনে আরও একটা দ্বার৷ দ্বার দেখে ছোঁয়া আরও ভয় পেয়ে যায়।তবুও নিজেকে শক্ত রেখেছে কি রহস্য লুকিয়ে আছে জানার জন্য।
পর্দার পিছনের দ্বার খোলে তারা ভিতরের রুমে প্রবেশ করলো। কিন্তু ভিতরের রুমে নেই তেমন ধুলাবালি। এখানে রয়েছে কিছু বই খাতা৷ একটা বেড। একটা আলমারি। আছে কয়েকটা স্মৃতি জড়িত আর্ট। কিন্তু সেগুলো পর্দা দিয়ে ঢাকা৷
— আমাকে এই বদ্ধ শুনশান রুমে নিয়ে আসার কারণ কি?
— দেখ তো এই লোকটাকে চিনতে পারিস কি না?
তপেস একে একে সব পর্দা সরিয়ে ফেলে।ছোঁয়ার সামনে ধরা দিল অতীতের এক করুন কাহিনি। ছোঁয়া স্তব্ধ হয়ৈ দাঁড়িয়ে আছে৷
২৩.
অতীত,
ছোঁয়ার কিছু বন্ধু মিলে ২ বছর আগে কলেজ ফাঁকি দিয়ে দার্জিলিং এ ঘুরতে যায়।ছোঁয়া ছোট থেকে স্বপ্ন সে একা দার্জিলিং এ যাব। তার মন মতো নেচে খেলে সময় কাটাবে৷ তার পরিবারকে যতবার দার্জিলিং এর কথা বলেছে ততবারই সপরিবারে দার্জিলিং এ ঘুরতে এসেছে৷ ছোঁয়াকে নিজের মতো করে ঘুরতে দেয়নি৷ কারণ দার্জিলিং এর অনেক জায়গা শুনশান। আবার এখানে অনেক প্রাচীন লোক আছে যারা মানুষকে একা পেলে তাকে ধরে নিয়ে যায়।তারা মানুষের মাংস খেতে ভালোবাসে।
ছোঁয়া তাঁর বন্ধুদের সাথে নিচু খাদ পাহাড় বেয়ে নামছে৷ ছোঁয়া আজ সব চেয়ে নিচু নেমেই ছাড়বে। মাঝে মাঝে চা বাগানে নিজের বন্ধুদের সাথে সেলফি নিচ্ছে। ছোঁয়া আজ নিজেকে গর্ব করছে। সে তার নিজের লক্ষ্য পৌঁছাতে পারবে৷
ছোঁয়া ধীরে ধীরে খাদের ধারে নেমে যায়। খাদের জল ভিষণ ঠান্ডা। শীত মৌসুমে এই জল বরফে পরিণত হয়৷ খাদের স্বচ্ছ জলে ছোঁয়া নিজেকে দেখগে পাচ্ছে৷ ছোঁয়া উপর দিকে তাকাতেই সে ভাবে এখন এত বড় পাহাড় বেয়ে কিভাবে উপরে উঠবে৷ সেটা পরে দেখা যাবে৷ এখন কয়েকটা সেলফি নেই।
ছোঁয়া খাদের ধার বেয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ছোঁয়ার বন্ধুরা নিচে নেমে আর হাঁটতে পারছে না। তারা সেখানেই বসে পড়েছে৷ ছোঁয়া সেলফি নিতে ব্যস্ত যে নিচের দিকে কে আছে সে দিকে খেয়াল নেই।
হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদের ধার বেয়ে বসে বিয়ার সেবন করে যাচ্ছে প্রার্থ। (প্রার্থ তপেসের দাদা৷ তার থেকে ২.৫ বছরের বড়)। হেঁটে যেতেই ছোঁয়া প্রার্থকে লাথি লাগে৷ যার ফলে ছোঁয়া পড়ে যায় প্রার্থের উপর৷
প্রার্থ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে৷ ছোঁয়ার ফোন খাদের জলে পড়ে যায়।ছোঁয়া প্রার্থের উপর পড়েই কান্না শুরু করে দেয়৷ প্রার্থ ভয় পেয়ে তারাতাড়ি ছোঁয়াকে দাঁড় করায়।
— এই তুমি কান্না করছো কেন?
— সালা তোর জন্য আমার দামী ফোনটা জলে পড়ে গেছে৷ স্বচ্ছ জলের মাঝে আমার ফোন দেখা যাচ্ছে না৷ বা* তুই এখানে বসে বিয়ার খাচ্ছিলি কেন? তোর জায়গা কম পড়েছে এই ভারতবর্ষে।
— এই মেয়ে তুমি যে আমাকে লাথি দিলে সে নিয়ে আমি তোমাকে কথা শুনাবো৷ তা নি তুমিই আমাকে বকে যাচ্ছো।
— ছোঁয়া প্রার্থের পায়ে পাড়া দিয়ে তার সমান হয়ে তোর সাহস কম নয় তুই আমাকে ভয় দেখাস? সালা মারবো এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে।
প্রার্থ ছোঁয়ার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে৷ ছোঁয়া প্রার্থের সাথে কি ব্যবহার করতেছে সে নিজেই জানে না৷ সে তার ফোন হারিয়ে ফেলছে তার মাথা ঠিক নেই৷
— ছোঁয়া নিজেকে একটু দূরে দাঁড় করিয়ে সাল তোর নাম কি?
— তুমি কিন্তু আমাকে ইনসাল্ট করছো? আমি তোমার থেকে বড় হবো৷ আর তুমি আমাকে তুই তুকারি করছো?
— তোর মন চাইলে তুই আমাকে তুই করে বলতে পারিস? নাম বল তোর না হলে এখনই নাক ফাটিয়ে দিব৷
— প্রার্থ আমার নাম। তোমার নাম কি?
— সালা আমার নাম উগান্ডা৷ সালা তোর জন্য আমার কত্তো সুন্দর ফোন জলে পড়ে গেছে৷ কাল বি এম সি কলেজে ফোন নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবি৷
— কি? আমি তোমার জন্য ফোন নিয়ে অপেক্ষা করব?
— হ্যাঁ তুই আমার জন্য ফোন নিয়ে অপেক্ষা করবি। এটাই তোর শাস্তি। না হলে মানকি টাইপে এমন মার মারব সোজা শশ্মানে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বি৷
প্রার্থ ছোঁয়াকে কিছু বলে যাচ্ছে না৷ ছোঁয়ার এমন বাচ্চা সূলভ কথা প্রার্থের মন জয় করে নেয়৷ প্রার্থ ছোঁয়াকে ভালোবাসে ফেলে। তাই তার আবদার মানতে রাজি হয়ে যায়৷
— তোমার আরও কিছু লাগবে নাকি?
— হ্যাঁ লাগবে?
— কি লাগবে?
ছোঁয়া মাটিতে বসে পড়ে.
— তুমি মাটিতে কেন?
— আমাকে কোলে করে আমার বান্ধবীদের কাছে পৌঁছে দেন৷
প্যাচার মতো মুখ করে কথাটা বলে যা প্রার্থ ইগনোর করতে পারল না৷ প্রার্থ জানতে চেয়েছিল এত নিচে নামার কি দরকার ছিল। কিন্তু ভালোবাসার জন্য কিছু বলল না। তার সমম্ত আবদার মেনে নিল।
২৪.
প্রার্থ ছোঁয়াকে কোলে করে তার বান্ধবীদের সামনে হাজির হলো।সকলের চোখ আকাশ পানে৷
— আমাকে নামা হুনুমান। ছোঁয়ায় কথায় মনে হচ্ছে ছোঁয়া প্রার্থের মালকিন।
প্রার্থ ছোঁয়াকে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে নিলেই৷ছোঁয়া চিৎকার করে বলে উঠে।
— এই যে পাদ (প্রার্থ) আমার ফোন কাল ভালোই ভালোই দিয়ে আসবি। না হলে তোর বাড়িতে গিয়ে তোকে কিলিয়ে আসবো।
— ছোঁয়া তুই কাকে কি বলছিস? তুই এই প্রার্থকে চিনিস না। অনেক বড়লোক। তুরি দিয়ে উঠিয়ে দিবি৷ (ছোঁয়ার বন্ধু)
— ওই ফকিন্নি আমাকে কি তোর গরিব মনে হয়৷ আমি হলাম তার থেকে অনেক বড়লোক।
— এই যে ম্যাম আপনি পাদ কাকে বললেন।
— আরে সালা তোর নাম প্রার্থ নাকি। আমি এত কঠিন নাম মুখে নিতে পারি না৷ আমি তোকে পাদ বলেই ডাকবো৷ এখন তোকে ২ মিনিট সময় দিলাম এখান থেকে চলে যা না হলে এই খাদের জলে তোকে ডুবিয়ে মারবো৷
প্রার্থ ছোঁয়ার কথামতে চলে যায়।নিজেকে মহান & ছোঁয়ার চোখে ভালো প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু কিছু দূর গিয়ে আবার ফিরে আসে। এভার ছোঁয়ার সামনে আসেনি৷ লুকিয়ে থেকে ছোঁয়ার মন জয় করার হাসি দেখে যাচ্ছে।
–
–
–
— দেখেছিস তোরা আমাকে সবাই ভয় পায়। আমি হলাম ডেবিল কুইন। আমাকে সন সময় সম্মান দিয়ে কথা বলবি।
— সম্মান দিব ভালো কথা এখান থেকে কি উপরে উঠতে হবে না৷ এখানে এভাবে থাকলে রাতের বেলা সাপ এসে তোকে ভক্ষণ করবে৷ (ছোঁয়ার বান্ধবী)
[ অনেকে বলতে পারেন ছোঁয়ার বান্ধবী রিয়া।তাহলে এনি কে৷ আমি ছোঁয়ার কলেজ লাইফ নিয়ে কথা বলছি৷ রিয়াও কলেজ লাইফে বন্ধু ছিল।কিন্তু রিয়া ছোঁয়ার মতো উড়নচণ্ডী ছিল না]
— এই তারাতাড়ি চল বাড়ি ফিরতে রাত হলে আর বাড়িতে ঢুকতে দিবে না৷ (ছোঁয়া)
ছোঁয়া & ছোঁয়ার বান্ধবীরা অনেক কষ্টে খাদের উপর উঠে আসে৷ সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছে৷ ছোঁয়ার একটা কথায় মাথায় ঘুরছে৷ তার কত্তো সুন্দর সুন্দর পিক গুলো তার আর হলো না৷ সব কিছু জলে গেল।
তারা সকলেই খুব সাবধানে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে যায়।
–
–
–
— সারা দিক কোথায় ছিলে ছোঁয়া? (ছোঁয়ার মা)
আসছে এখন যশ সাহেবা৷ প্লিজ তুমি এর সামনে ভালোই ভালোই মিথ্যা কথা উপস্থাপন করার সুযোগ দিও। আজ যেন বেঁচে যেতে পারি৷ (মনে মনে)
— কি হলো কথা বলছিস না কেন?
— কোন প্রশ্নের উত্তর দিব?
— সারাদিন কোথায় ছিলি কলেজ তো অনেক আগেই ছুটি হয়৷
–যাক বাবা জানে আমি কলেজে ছিলাম। মিথ্যা কথা এখন কম বলতে হবে৷ (মনে মনে)
–ছোঁয়া আমি তোর সাথে কথা বলছি। খুব রেগে কথাটা বলে৷
— ছোঁয়া ন্যাকা কান্না করে আজ একটা বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলাম৷ কোনদিন যেতাম না এমন ভাবে বকা দিলে৷ জানি আমাকে কেউ ভালোবাসে না৷ লাগবে না তোমাদের ভালোবাসা।
ছোঁয়া তারাতাড়ি কেটে পড়। এখন কেটে না পড়লে সুনামি নিয়ে আসবে তোর মা৷ ছোঁয়া আর কথা না বাড়িয়ে দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়।
রুমের দ্বার বন্ধ করে লুঙ্গি ড্যান্স গানে নাচতে শুরু করে। কারণ তার পরিবারের কেউ জানে না ছোঁয়া দার্জিলিং দিয়ে ঘুরে এসেছে৷রাতে নিচে খাবারের জন্য নামে নি। মার সম্মুখীন হতে হবে বলে।
কিন্তু রাতের বেলা ক্ষুধা সহ্য করে আর ঘুমাতে পারছে না। ছোঁয়া চুপি চুপি নিচে নেমে খাবার খাচ্ছে। খাবার খাওয়ার পর উপরের দিকে তাকাতেই তার মা খুন্তি নিয়ে হাজির।
— মা তুমি এখন আবার কি রান্না করবে৷
— এখন তোকে কেটে রান্না করব?
— কেন মা?
— কলেজে যাসনি কেন?
— কি বললে?
— আমি ফোন করে জেনে নিয়েছি তুই কলেজে যাসনি।
— তুমি কার কাছে ফোন করেছিলে?
— রিয়ার কাছে ফোন করেছি।
— রিয়াই তো কলেজে যায়নি৷
— আমি সব জানি৷ তাই পালানোর চেষ্টা করে লাভ নেই৷
— মা প্লিজ বাবাকে কিছু বল না৷ আমার ঘুম পাচ্ছে।
ছোঁয়া কিছু না বলে রুমে চলে যায়।
পরের দিন সকালে কলেজে ঢুকতেই,,,
চলবে,,,