অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক? পর্ব-০৬

0
169

গল্প:- অভিযোগ গুলা কি অযৌক্তিক?
পর্ব:-০৬
লেখা:- AL_Mohammad_Sourav

রুপার বাবা বলেছে আগামীকাল আম্মা আব্বাকে সাথে নিয়ে গিয়ে রুপাকে আনতে হবে। আর আগামী কাল আব্বা আম্মা সাহেদের বিয়ের কাবিন করতে যাবে। এখন কথা হচ্ছে আম্মা আব্বা যাবে আমার সাথে রুপাকে আনতে? মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন রেখেই বাড়ীতে গেলাম। বাড়ীর ভিতরে ঢুকতেই দেখি সবাই ড্রয়িংরুমে বসে হাসা হাসি করছে। আমার ছোট বোন আর বোন জামাই এসেছে। আমাকে দেখেই আম্মা বলে।
আম্মা:- সৌরভ আয় বস। এই দেখ এই জিনিস পত্র গুলি কেনা হয়ছে সাহেদের বউয়ের জন্য। জানিস সাহেদের শ্বশুর অনেক বড় ব্যবসায়ী। আর ওনার ঢাকা শহরে দুইটা বাড়ী আছে অনেক ব্যাংক ব্যালেন্স আছে। আর বলেছে বিয়ের পরেই সাহেদকে একটা বড় কম্পানি খুলে দিবে।(তখন একটা মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলে এইটা সাহেদের বউয়ের ছবি। তবে ভালো করে দেখ মেয়েটা রুপার থেকেও সুন্দর না?) সবাই বলেছে সাহেদের বউ অনেক সুন্দর।(আম্মার দিকে আমি তাকিয়ে আছি বাকী সবাই খোব খুশি মনে শুনতেছে। তখন আব্বা বলে)
আব্বা:- আচ্ছা এই গুলা এখন বলার কি দরকার? সৌরভ বাহির থেকে এসেছে ফ্রেশ হয়ে আসলে কথা গুলি বলতে পারতে না?
আম্মা:- হ্যা তা ঠিক বলেছো। তবে সৌরভ যে রুপাকে আবার ফিরিয়ে আনতে এতটা দৌড়জাপ করছে তার জন্য এই কথা গুলি বলেছি। যদি সৌরভ আমার কথা শুনে তাহলে সৌরভকে এর থেকে বড় লোকের মেয়েকে বিয়ে করাতে পারবো আমি। (ঠিক তখনি সৌরভ জোড়ে দমক দিয়ে বলে)

সৌরভ:- আম্মা থামেন একটু থামেন! আর কত আম্মা? এবার একটু চুপ করেন। আমার কথা শুনে সবাই থমকে উঠেছে।
আব্বা:- সৌরভ কি হলো তোর?
সৌরভ:- আমার কিছু হয়নি। আচ্ছা আম্মা আপনি আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন? রুপা আপনার কি এমন ক্ষতি করেছে যার কারণে আপনি রুপাকে একদম সহ্য করতে পারেন না?
আম্মা:- সৌরভ এখন তুই ঠিক নেই। তোর মাথা গরম হয়ে আছে তুই ফ্রেশ হয়ে আয় তখন আমরা বসে কথা বলবো। এখন আমি তোর সাথে এই ব্যাপারে কোনো কথা বলতেছি না।
সৌরভ:- আম্মা আমার মাথা ঠান্ডা আছে। আজ আপনাকে বলতেই হবে রুপাকে কেনো আপনি সবসময় বকা ঝকা করে থাকেন? কেনো ছোট ছোট ভূলে জন্য এত বড় বড় কথা শুনতে হবে রুপাকে?
আব্বা:- সৌরভ তুই তোর মায়ের সাথে কেমন ভাবে কথা বলতেছিস?
সৌরভ:- আব্বা সময় আর পরিস্থিতি আমাকে বাদ্য করেছে এমন ভাবে কথা বলার জন্য। আচ্ছা আব্বা আপনি বলেন রুপার দোষটা কোথায়?
আম্মা:- সৌরভ রুপার হাজারটা দোষের কথা আমি তোকে বলেছি। আর তাছাড়া যে মেয়ে নিজে থেকে স্বামীর বাড়ী ছেড়ে বাপের বাড়ীতে চলে যায়। তার এর চায়তে বড় আর কি দোষ হতে পারে?
সৌরভ:- বাহ আম্মা দারুণ বলেছেন (সৌরভ হাত তালি দিয়ে বলে) জানেন আম্মা আমি সবসময় রুপাকে বলে এসেছি রুপা এইটা সংসারের অংশ মানিয়ে নাও। আমি কখনো রুপার পক্ষ নিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করিনি বা বলিনি আম্মা আপনি কেনো রুপার সাথে এমনটা করেন? রুপা সবসময় আপনার মন রক্ষা করার জন্য কি না করে?
আম্মা:- তোর বউ সবসময় নিজের মত করে চলে। আমার মন রক্ষা করার জন্য কিছুই করেনি।
সৌরভ:- রুপা আপনার মন রক্ষা করার জন্য কিছুই করেনি? তাহলে আমি আপনাকে সরণ করিয়ে দেয়। রুপা আমার সাথে গুরতে গেলে আপনি সেটা অপছন্দ করেন। তাই রুপা আমার সাথে বাহিরে গুরতে যাওয়া বন্ধ করে দিছে। আমি অফিস থেকে ফোন করলে সেটাও আপনি অপছন্দ করেন। আর তার জন্য রুপা হাতে কাজ আছে এসব বলে আমাকে বাদ্য করে যাতে করে আমি রুপাকে অফিসে গেলে ফোন না দেয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সব কাজ রুপা করেছে তাও আপনার মন জোঁগাতে পারেনি। এখন বলেন রুপা আপনার মন রক্ষা করতে কিছুই করেনি?
আম্মা:- সৌরভ তুই কি তোর বউয়ের হয়ে উকিলাতি করতে এসেছিস?(এবার সৌরভ জোড়ে একটা হাসি দিয়ে সোফায় বসে বলে)
সৌরভ:- আম্মা রুপার হয়ে যদি উকিলাতি করতাম তাহলে আমি কবেই রুপাকে নিয়ে আলাদা বাসায় চলে যেতাম। আপনার এত যন্ত্রনা সহ্য করে রুপাকে বলতাম না তুমি মানিয়ে নাও।
আম্মা:- তাঁর মানে তুই বলতে চাচ্ছিস তোর বউকে যন্ত্রনা দেয়। সব দোষ আমার? তোর বউয়ের কোনো দোষ নেই?
সৌরভ:- আমি বলি না সব দোষ আপনার! আবার এটাও মানতে পারবো না সব দোষ রুপার? আপনি বলেন রুপার রান্না করতে গেলে তরকারিতে ঝাল বেশী দেয়। আচ্ছা একবারও কি দেখিয়ে দিছেন তরকারিতে ঝাল কি পরিমান দিতে হবে? রুপা আপনার সাথে সুন্দর করে কথা বলে না! একবার আপনি রুপাকে সুন্দর করে ডাক দিয়ে বসিয়ে গল্প করেছেন? রুপা এই বাড়ীর নিয়ম কানুন কিছু জানে না। কখনো কি বলেছেন বাড়ীর নিয়ম কানুনের কথা? রুপা সামান্য একটু ভূল করলে আপনি সেটাকে সবার সামনে বড় করে তোলেন। আর রুপাকে ওর বাবা মা শিক্ষা দেয় নি এসব বলেন। আচ্ছা আমাদের বোনকে যদি তার শ্বাশুড়ী বলে তোমার মা শিক্ষা দেয়নি তখন আমাদের বোনের মনে আঘাত আসবে না?
আম্মা:- আমার মেয়েকে এমন কথা বলার প্রয়োজন হবে না কারণ আমার মেয়েকে আমি বাড়ীর আত্বীয় স্বজনদের সাথে কেমন আচরোন করতে হবে সব শিখিয়ে দিছি। তখনি আমার ছোট বোন বলে,,,

আম্মা আপনি আমাকে সব শিখিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তারপরেও আমার শ্বাশুড়ী আমাকে নিজের হাতে সব কিছু শিখিয়ে দিছে। আমার শ্বাশুড়ী যদি আমাকে কিছু না দেখিয়ে দিয়ে আপনার মতন এমনটা করতো তাহলে আমি একদিন থাকতে পারতাম না। সত্যি বলতে আপনারা সবাই ভাবির সাথে যা করেছেন তা একদমি ঠিক হয়নি। বড় ভাবি অনেক ভালো ওনি ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে হলে কবেই ভাইয়াকে চাপ দিত আলাদা থাকার জন্য। আর যদি ভাইয়া রাজি না হতো তাহলে ভাবি ভাইয়াকে ডির্ভোস দিয়ে চলে যেতো।

আম্মা:- তুই চুপ থাক তোকে কথা বলতে বলিনি।
আব্বা:- আচ্ছা তোরা সবাই এখন কি শুরু করেছিস? সৌরভ রুমে যা আর তোমরা সবাই যাও তখনি সৌরভ বলে,,,
সৌরভ:- আমার কথা এখনো শেষ হয়নি।
আব্বা:- যা কথা আছে সেইটা ঠান্ডা মাথায় বসে পড়ে বলিস। এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
সৌরভ:- আগে আমার কথা শেষ হবে তারপরে আমি রুমে যাবো। নাকী বাহিরে চলে যাবো সেইটার সিদ্যান্ত নিবো।
আম্মা:- বল তোর কি কথা? আজ হয় এই কোল আর না হয় ঐ কোল। সব আজকেই শেষ হবে বল তোর কি কথা বলবি?
সৌরভ:- হ্যা আমিও চায় এইটার সমাধান হোক। (কোনো কিছু না গুরিয়ে সোজা বলে দিলাম) আমি রুপার বাবাকে কথা দিয়ে আসছি আগামীকাল আপনারা দুইজন আমার সাথে রুপাকে আনতে ওদের বাড়ীতে যাবেন। আপনারা গেলে রুপার বাবা রুপাকে আসতে দিবে তানা হলে ওরা আর রুপাকে দিবে না। সোজা ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়ে দিবে। ( আম্মা কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই আব্বা বলে উঠে)
আব্বা:- ও এই কথা ঠিক আছে যাবো। তাহলে আর কোনো সমস্যা নেই। আগামী কাল আমি আর তোর মা তোরর সাথে গিয়ে রুপাকে নিয়ে আসবো। আর তাছাড়া অনেক দিন হলো রুপার বাবার সাথে দেখাশাক্ষাত হয় না। বেয়াই সাথে দেখা হবে আর বউমাকে নিয়ে আসাও হবে।
আম্মা:- এই তুমি কি বলছো এসব? আগামীকাল সাহেদের কাবিন করাতে যেতে হবে সেটা তুমি ভূলে গেছো নাকী?
আব্বা:- আরে না ভুলবো কেনো? সাহেদের বিয়ের কাবিন হবে রাতে। আর আমরা দুইজনে যাবো সকালে বউমাদের বাড়ীতে। তখনি আম্মা বলে,,,
আম্মা:- তুমি গিয়ে নিয়ে এসো আমি যেতে পারবো না।(তখনি সৌরভ বলতেছে যে তাহলে আমি রুপাকে নিয়ে আর কখনো এই বাড়ীতে আসবো না। তাঁর আগেই আব্বা বলে উঠেন)
আব্বা:- দেখো বেশী কথা বলো না আমি বলেছি তুমি আমাদের সাথে যাবে বউমাকে আনতে বাস যাবে। আর তাছাড়া তুমি না গেলে বউমাকে দিবে না। ( আম্মা কিছুটা রেগেই বলে)
আম্মা:- ঠিক আছে যাবো কথাটা বলেই চলে গেছে।
আব্বা:- সৌরভ এবার খুশি তো? যা রাত অনেক হয়ছে এখন গিয়ে ঘুমা। আমি রুমে এসে দেখি রাত দুইটা বাজে তাই আজকে আর রুপাকে ফোন করিনি। ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখী বেলা বারোটা বাজে তখন তাঁড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয় দেখি আব্বা আম্মা দুজনে তৈরি হয়ে আছে। আমি কাছে যেতেই আব্বা বলে। চল সৌরভ রুপাকে আনতে যাই।
সৌরভ:- হ্যা চলেন। আম্মাকে দেখে বুঝ যাচ্ছে এক প্রকার অনিচ্ছাকৃত ভাবে যাচ্ছে আমার সাথে। তাও আমি মনকে একটু শান্তনা দিলাম যাক রাজি তো হয়ছে। প্রায় ঘন্টা খানেক পড়ে আমরা রুপাদের বাড়ীতে এসেছি। রুপার বাবা মা আমাদের দেখে খোব সুন্দর ব্যবহার করতে আরম্ভ করেছে। আমি তো মনে মনে চিন্তা করেছি না জানি আম্মা আব্বার সাথে রুপার পরিবারের কেউ খারাপ আচরোন করে। কিন্তু না সবাই খোব সুন্দর আচরোন করেছে। যখন রুপাকে নিয়ে চলে আসবো তখন রুপার বাবা বলে।

রুপার বাবা:- বেয়াইন সাহেবা সব মেয়েদের বাবা মা তাদের নিজের বাড়ী থেকে সবকিছু শিখিয়ে দেয়। আর একটা মেয়ের বিয়ের পড়ে নতুন একটা সংসার নতুন সব আত্বীয়স্বজন। কার সাথে কেমন আচোরন করবে এসব কিছু গুলিয়ে ফেলে। প্রথম প্রথম অনেক কিছু ভূল করে থাকে। আর প্রথম কিছুদিন ভূল হবে এইটাই সাভাবিক তাই মানিয়ে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তাদের স্বামী আর শ্বাশুড়ী। যদিও স্বামী সবসময় চেষ্টা করে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু অনেক শ্বাশুড়ীরা বউদের সেই কাজে সহযোগীতা করে না। তাই আমি মনে করি রুপা যদি ভূল করে থাকে তাহলে আমার মেয়েটাকে আপনি ঠিক ঠাক মত শিখিয়ে দিয়েন। ( মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি যাতে করে আম্মা এখানে কোনো রকম ঝগড়া না বাঁধিয়ে দেয়। কিন্তু না আম্মা একটা হাসি দিয়ে বলে)
আম্মা:- বেয়াই সাহেব আপনি নিশ্চিৎ থাকুন। আর এমন কোনো সমস্যা হবে না। (আম্মার কথা শুনে কিছুটা শান্তি পেলাম)

আব্বা:- আর হ্যা বেয়াই সাহেব আমাদের মেজু ছেলে সাহেদের তো আজ সন্ধায় বিয়ের কাবিন হবে। আপনারা সবাই যাবেন। আসলে হঠাত করে সবকিছু হয়ে গেছে তাই আগে থেকে কিছু জানাতে পারিনি। তার জন্য কিছু মনে করিয়েন না কিন্তু।
রুপার বাবা:- নাহ নাহ কিছু মনে করবো কেনো? তবে আজকে মনে হয় যেতে পারবো না। আমার জুরুরী কাজ আছে। তবে যখন বউকে উঠিয়ে আনবেন তখন যাবো।
আব্বা:- ঠিক আছে তাও চেষ্টা করিয়েন। আচ্ছা তাহলে আমরা যাই।
রুপার বাবা:- আচ্ছা চেষ্টা করবো। ঠিক আছে তাহলে যান। আর রুপা তোমাকে যেভাবে বলে দিয়েছি ঠিক সেভাবে সবার সাথে মিলে মিশে থাকবে। (রুপা মাথাটা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিয়েছে। আমরা সবাই বের হয়ে একটা সি এন জি নিয়ে নিলাম। রাস্থায় কোনো কথা হয়নি তবে একবার আম্মা বাড়ীতে ছোট বোনকে ফোন করে বলে দিছে সাহেদকে তৈরি হয়ে থাকতে আর যা যা বলে আসছে সব সবকিছু যেনো তৈরি করে রাখে। কিছুক্ষণ পরে বাড়ীতে এসেছি। রুপার ব্যাগটা আমি হাতে নিয়ে রুমে চলে গেলাম। রুপা আমার ছোট বোনের সাথে কথা বলে রুমে এসেছে। আমি রুপার হাতটা ধরে বলি রুপা যা হবার হয়ে গেছে এখন থেকে আমি তোমার সব কথা শুনবো এমনকি তোমার কোনো রকম অসম্মান যেনো এই বাড়ীতে না হয় সেই দিকে আমি খেয়াল রাখবো। (আমার হাত থেকে রুপার হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে)

রুপা:- আর কিছু বলবেন? (কিছুটা বিরিক্ত ভাব নিয়ে কথাটা বলেছে) তখন আমি বলি।
সৌরভ:- এমন ভাবে বলছো কেনো?
রুপা:- কেমন ভাবে বলেছি? আমি ফ্রেশ হবো আর শুনেন একটা কথা। আপনাকে এখন আমি আগের মত ভালোবাসতে পারবো না। এমন কি এখন আপনার প্রতি আমার সেই ফিলিং নেই। আমাকে এখন আমার মত করে থাকতে দিবেন। আমি চায় না আপনি আমাকে আবার আগের মত ধোকা দেন।
সৌরভ:- রুপা প্লিজ তুমি এমনটা বলো না। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তুমি এমনটা বললে আমার সবকিছু বৃথা হয়ে যাবে।
রুপা:- আমি যে এতদিন ছিলাম না। তাতে কি আপনার জীবনে চলার পথে কোনো বৃথা হয়ছে? না আমার জন্য থেমে থাকছে?
সৌরভ:- এমন করে বলছো কেনো? তুমি জানো আমি প্রতিটা মুহুর্তে তোমার কথা ভেবেছি।

রুপা:- কেমেন ভেবেছেন সেটা তো আমি নিজের চোখে দেখেছি। আর এখন কথা হলো আপনি আমাকে স্পর্শ করবেন না। আমি এখন আপনাকে আগের মত মেনে নিতে পারতেছি না। আমার যদি কখনো মনে হয় আপনি ঠিক আমার যোগ্য হয়ে উঠেছেন তখন আমি নিজেই আগের মত করে আপনার কাছে আসবো আর ভালোবাসবো। আশা করি আপনি আমার কথা গুলি বুঝতে পারছেন।
সৌরভ:- কিন্তু রুপা।
রুপা:- কোনো কিন্তু টিন্তু নেই। আমি যা বলেছি আপনাকে তাই করতে হবে। আমার খারাপ লাগছে আমি ফ্রেশ হতে যায়। রুপা চলে গেছে আর সৌরভ মন খারাপ করে নিচে এসেছে। সৌরভকে দেখেই সৌরভের আব্বা বলে,,,
আব্বা:- সৌরভ যা গিয়ে তৈরি হয়ে আয় আমরা তো এখুনি বের হবো।
সৌরভ:- আমি তৈরি হয়ে আসছি চলেন যাওয়া যাক। সাহেদ আম্মা আব্বাকে সালাম করছে। তারপর সবাইকে নিয়ে রওনা হলো। সন্ধার কিছুক্ষণ পরে এসে আমরা সাহেদের হুব শ্বশুরের বাড়ীতে এলাম। সাহেদর শ্বশুড় বাড়ী সত্যি অনেক বড় আর সাহেদের বউ অনেক সুন্দর। সাহেদের বউয়ের নাম নিলুফা বলেই সবাই ডাকে। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই বিয়ের কাবিন হয়ে গেছে। বউ উঠিয়ে আনবে দুই মাস পরে কিন্তু সাহেদ এই দুই মাসের আগে ঐ বাড়ীতে গিয়ে থাকতে পারবে না। কিন্তু মন চাইলে নিলুফার সাথে গিয়ে বসে গল্প করে আসতে পারবে। সবাই সাহেদের শ্বশুড়ের কথায় রাজি হয়েছে।আমরা সবাই চলে এসেছি। রাস্থায় আসার সময় সবাই সাহেদের শ্বশুর বাড়ীর কথা আর লোকজনের প্রশংসা করতেছে যদিও এই গাড়ীতে সাহেদ নেই। তখন আব্বা বলে,,

আব্বা:- সৌরভের শ্বশুড়ের মত মন সাহেদের শ্বশুড়ের হবে বলে মনে হচ্ছে না। সৌরভের শ্বশুড় অনেক ভালো মনের মানুষ। ঠিক তখনি আম্মা বলে,,
আম্মা:- কেমন ভালো মনের মানুষ সেটা তো আজকেই বুঝতে পারছি। আমাকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে অপমানজনক কথা শুনিয়ে দিছে। আমি কিছু বলিনি শুধু তোমার জন্য। আমি এই কথার প্রতিটা জবাব দিবো। (সৌরভ কিছু বলবে তখনি গাড়ীটা থামিয়ে দিয়ে ড্রাইভার বলে চলে এসেছি আপনারা সবাই নামুন সবাই নেমে বাড়ীর ভিতরে ঢোকেছি। সবাই এক এক করে সোফায় বসেছে। তখনি রুপাও এসেছে সবার মাঝে ঠিক তখনি সৌরভ বলে,,)
সৌরভ:- আম্মা আমার একটা কথা।
আম্মা:- হ্যা কি কথা বলবি বল?
সৌরভ:- আমি যেইটা বলতে চাই সেই কথাটা হলো। সাহেদের বউ উঠিয়ে আনার এক মাস পরেই আমি রুপাকে নিয়ে আলাদা করে থাকবো। মানে সহজ ভাবে বলি রুপাকে নিয়ে আমি অন্য কোথাও বাসা ভাড়া করে আলাদা থাকবো। আর হ্যা আপনাদের বরণ পোষনের জন্য যেই খরচটা লাগবে সেইটা আমি দিয়ে দিবো। এই কথাটা বলেই সৌরভ রুমের দিকে হেটে চলে যাচ্ছে আর বাকী সবাই সৌরভের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

চলবে,,,