আপনিময়?তুমি Part-16

0
1624

#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèrr [ Mêhèr ]
Part: 16………

.তারপর আনহাকে ইহান খাইয়ে দেয় আর ও মাথা নিচু করে খায়….. আর ইহান ওকে একদৃষ্টিতে দেখতে থাকে…. যেন আনহার মুখে কয়টা রেখা আছে তা গুনছে……..

আর এতক্ষন আনহা আর ইহান যা কথা বলেছে তা সব আনহার বাবা শুনেছে।

বাবা: আমার ভাবতেও অবাক লাগছে আমার মেয়ে এতটা নিচে নামতে পারে। নিজের স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নিজের বাচ্চাকে…….. নাহহ…. আমি না জেনে ইহান বাবার জিবনটা নষ্ট করে দিলাম। [ তারপর চলে যায় ]

,

,
,

,
,
,
২ সপ্তাহ পর আনহাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। আনহা প্রায় অনেকটাই সুস্থ। ইহান নিজের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি রাখেনি। ইহান আনহার সব খেয়াল রেখেছে ওর কোনো কিছুর কমতি রাখেনি নিজের হাতে সবটা করেছে ইহান………. তবে এ কয়দিনে আনহার থেকে নিজেকে অনেক দুরে সরিয়ে নিয়েছে। আনহাকে নিজের থেকে দুর করার সবকিছু করে ফেলেছে……..

বাড়ি ফিরে আনহা রুমে যায়……..

ইহান: একটা কথা বুঝলাম না আনহা।

আনহা: কি???

ইহান: হসপিটাল থেকে আমার বাড়ি আসার মানে কি আপনি তো এমনিতেই কিছুদিন পর এখানে থাকবেন না তাহলে…..

আনহা: থাকব না মানে…..

ইহান এটা শুনে ভ্রু কুচকে তাকায়……

ইহান: বুঝতে পারছেন না নাকি…… আপনি তো আমার কাছে থাকতে চান না। আর আপনাকে আমার কাছে রাখার মত এখন আর কোনো কারন আমি দেখিনা।

আনহা কোনো কথা বলল না।

ইহান: কিহল….

আনহা: আমার ক্লান্ত লাগছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসি…..

ইহান: ওকে….. যান [ কিছুটা ফান করে। ইহানের কথা শুনে আনহার নিজেকে কোনো একটা বোকা মনে হচ্ছে যাকে ইহান তাচ্ছিল্য করে মজা পাচ্ছে। ]

আনহা কিছু বলতে গিয়েও বলল না।

ইহান: একটু তাড়াতাড়ি বের হবেন। আপনি তো গোসলে গিয়ে পারলে ওখানে সেটেল হয়ে যায়। আচ্ছা গোছল করতে গিয়ে কি বয়ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলেন….

আনহা: ইহান তুই…..

ইহান: কিছু বলবেন…. [ ভ্রু নাচিয়ে ]

আনহা: কিছুনা…. [ বুঝতে পারছে ইহান কেন করছে। আর এখন আনহার কোনো কথাই শুনবে না তাও ভালো ভাবে বুঝতে পারছে।।।। ]

ইহান: ওকে তবে একটু তাড়াতাড়ি…….

তারপর আনহা শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আসে। ওকে বেড়িয়ে আসতে দেখে ইহান ওয়াসরুমে যায়…..

কিছুক্ষন পর…..

ইহান: বেবি….. আরে ও বেবি….

আনহা: কিরে গোসল করতে গিয়ে কোন বেবিকে ডাকছিস… ??? এইখানে কি বাচ্চা থাকে নাকি……

ইহান: বিয়ে তো করলাম কিন্তু প্রেম করা হল না। তাই বেবি ডেকে প্রাকটিস করছি….

আনহা: কিসের প্রাকটিস….

ইহান: প্রেম করার…. আসলে আপনি চলে যাওয়ার পর বিয়ে করতে হবে নাকি। আর ভাবছি এবার প্রেম করে বিয়ে করব। কেন জানেন……..

আনহা: জানার দরকার নাই….

ইহান: ওকে আমিও বলছি…. আসলে একবার প্রেম না করে বিয়ে করে দেখছি বউ নিজের বয়ফ্রেন্ড এর কাছে যেতে চায় তাই এবার গার্লফ্রেন্ড রে বিয়ে করব যাতে বিয়ের পর জামাইয়ের কাছে না থাকলেও যেন বিএফ ভেবে আমার কাছে থাকে…..

কথাটা শুনে আনহার বুকে মোচর দেয়।

ইহান: যাই হোক টাওয়ালটা দেন???

আনহা: মানে….

ইহান: আজব আপনাকে চাইনি গোসলের জন্য টাওয়াল চেয়েছি।

আনহা: আমি পারব না??

ইহান: তাহলে এখন কি without টাওয়ালে বেড়িয়ে আসব। আপনার যদি আমাকে ওভাবে দেখার ইচ্ছে হয় তাহলে আর কি???

আনহা: এই দিচ্ছি??? [ তারপর দরজার ফাক থেকে টাওয়াল দেয়। কিন্তু ইহান টাওয়ালের বদলে আনহার হাত ধরে। ]

আনহা: হচ্ছেটা কি ইহান???

ইহান: আসলে হাত আর টাওয়াল দুইটাই এক রকম নরম লাগল…. [ বলে খুব জোরে দরজা আটকে দিল। ]

আনহা: এই ছেলের মাথাটা কি সত্যি গেছে নাকি…..

তারপর প্রায় ১ ঘন্টা পর ইহান শাওয়ার নিয়ে বের হয়….. শিষ দিতে দিতে…..। ইহানের সব কাজ অদ্ভুত লাগছে আনহার কাছে। খুব অদ্ভুত…. কেমন একটা বখাটের মত বিভেব করছে……

আনহা: তুই কি শুরু করেছিস…… [ ইহানের দিকে তাকাতেই আনহার চোখ খুলে আসার উপক্রম। ইহান যে কিনা কোনোদিন আনহার সামনে শার্ট খোলেনি সে আজ আনহার সামনে টাওয়াল পরে দাঁড়িয়ে আছে। আর আনহা পুরাই শকড খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে…… ]

ইহান: আপনার নজরে কি সমস্যা আছে নাকি???

আনহা: মানে….???

ইহান: নাহলে আমার দিকে এরকম কুনজর দিচ্ছেন…. [ আনহার খুব কাছে গিয়ে ]

ইহানের কথায় আনহার গায়ে আগুন জ্বলছে…..

আনহা: তোর সাথে কথা বলাই বেকার….

[ বলেই ইহানকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নেয়। এইটা দেখে ইহান আনহাকে ইচ্ছে করে ল্যাং মারে যার কারনে আনহা ইহানের উপর পরে যায়। আর ইহান ব্যলেন্স নিতে না পেরে বেডে আনহার উপর পরে যায়……

আনহা আর ইহান বেডে পরতেই আনহা উঠে যেতে নেয়। কিন্তু ইহানের দিকে চোখ পরতেই দেখে ইহান নেশাক্ত দৃষ্টিতে আনহাকে দেখছে….. আনহার খুব আনইজি ফিল হয় ইহানকে এভাবে দেখে।

আনহা: ইহান ছাড় আমাকে… আমার কাজ আছে…..

ইহান: হুসস…. আপনার আবার কি কাজ এখানে…. তাছাড়াও যদি বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলতে চান তবে আমি গেলে নাহয় করবেন……

ইহানের কথা আনহার গায়ে কাটার মত বিধতে থাকে…. আনহা ইহানকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইহান আরো শক্ত করে ওকে ধরে। তারপর আনহার মুখে পরা চুল গুলো ওর কানে গুজে দেয়…. বুড়ো আঙুল দিয়ে আনহার ঠোঁটে স্লাইড করে…. আনহা আর সহ্য করতে না পেরে ইহানের বুকে হাত দিয়ে ওকে সরাতে যায়…..

ইহান: হাতটা সেখানে দিয়েছেন যেখানে আপনার বাস…..

ইহানের কথায় আনহা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়।।। আনহা নিজের হাতটা দেখেই দেখে ইহানের বুকে আনহার নামের ট্যাটুর উপর হাত রেখেছে……

ইহান: লাইফ থেকে বেড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। ওকে ডান… এবার কি মনেও থাকতে চান না। [ আনহার গালে কিস করে ]

আনহা এবার আর কিছু বলতে পারে না। ইহান ওর ঠোঁটের কাছে যেতেই নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়। এইটা দেখে ইহান মুচকি হেশে আনহাকে ছেড়ে উঠে পরে……

ইহান: যাই হোক আমার আজ ফিরতে দেরি হবে। রাতে ফিরতে নাও পারি। যদি কারো সাথে দেখা বা কথা বলতে ইচ্ছে হয় তবে সেটা আমি আসার আগে। আমি যেন বাড়ি ফিরে কিছু না দেখতে পাই……

ইহানের মুখে এমন কথা শুনে আনহার যেন চোখের বাধ মানছে না। ইহান একটা বারের জন্য আনহার দিকে তাকায় না। ও চলে যায়………

,

,

,
,,সারাদিন আনহার এভাবেই কেটে যায়…. দিন গড়িয়ে রাত। প্রায় অনেক রাত হয়ে গেছে। কিন্তু ইহানের বাড়ি আসার কোনো নাম নেই। ইহানের অপেক্ষা করতে করতে আনহা কখন ঘুমিয়ে পরে নিজেও বলতে পারে না। মাঝ রাতের দিকে আনহা নিজের শরীরে কারো ছোয়া পায়। কেউ তাকে টাচ করছে। আনহা ঘুম ভেঙে চিতকার করার আগেই কেউ আনহার মুখ চেপে ধরে……

ইহান: চুপ…..

ইহানকে এই অবস্থায় দেখে আনহার চোখ কপালে। ইহান রীতিমতো দুলছে। আর ওর মুখ থেকে বিশ্রি গন্ধও আসছে… বুঝতে বাকি থাকে না ইহান ড্রাংক……

আনহা: তুই…..

ইহান: অন্য কাউকে আসা করেছিলেন??

আনহা: মাঝরাতে ছাইপাস খেয়ে মাতলামি হচ্ছে….

ইহান: কই… আমি তো কিছু খাইনি।[ দুলে দুলে ]

আনহা: একটা থাপ্পড় মেরে সব কয়টা দাত ফেলে দিব ??? ভালোই উন্নতি হয়েছে…..

ইহান: তো কি করব?? আমার বউ আরেকজনের জন্য আমাকে ছেড়ে চলে যাবে তাহলে মদ খাব নাতো মিনারেল ওয়াটার খাব….

আনহা: ওই কোন মুভির ট্রেলার দেখছোস সত্যি বলবি???

ইহান: আমি ওইসব দেখিনা। ওগুলো আপনি দেখেন তাইত বর রেখে বয়ফ্রেন্ড এর কাছে যেতে চান…..???

আনহা: তুই কি এখন থাপ্পড় খাইয়া ছাড়বি… ??

ইহান: আমি এখন আপনার স্টুডেন্ট নই। আমি আপনার হাসবেন্ড… তাই বউয়ের মত কথা বলেন ?? [ কিছুটা লজ্জা পেয়ে ]

আনহা: আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পরা গেল… ??? মাঝরাতে মদ খেয়ে মাতলামি করতাছে…

ইহান: কি হলো আদ্রের কথা ভাবছেন?? আচ্ছা ওকে নিয়ে আসব….

আনহা: তুই থামবি. ???

ইহান: নাহহহ। আমি খেলব… আপনার সাথে…

আনহা: কিহহহ [ ভ্রু কুচকে ]

ইহান: ওই যে….

আনহা: কিহহহ…???

ইহান: ??? ওই সেদিন যে…..

আর কিছু বলার আগেই.. ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসস

ইহান নিজের গালে হাত দিয়ে বসে আছে। আর আনহা রাগে ফুলছে।

আনহা: শয়তান ছ্যামরা আমি তোর বউ পরে তোর টিচার আগে মশকরা হচ্ছে…. ???

ইহান আনহার এমন কথায় এবার বাচ্চাদের মত কেদেই দেয়?????? এইটা দেখে আনহা???

ইহান: আপনি তো বলেছিলেন ব্যান্ডমিন্টন খেলবেন….. ??? আমিও তো তাই বলছি….. কিন্তু আপনি আমাকে মারলেন কেন??? ???

আনহা: শয়তানের চাচাত ভাই মাঝরাতে র‍্যাকেট খেলতে চাও। ???

ইহান: ঘড়িতে কেবল তো ৩ টা বাজে…..??

আনহা: হুমম তবে সেটা দিন না রাত?

ইহান: ধুর ভাল্লাগেনা……

আনহা: নিজেও ঘুমা আমারেও ঘুমাইতে দে…. আনহা অপাশ ফিরে শুয়ে পরে….

ইহান আনহাকে ঘুমাতে দেখে আনহার কাছে গয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে…..

আনহা: আচ্ছা মুসকিল তো…..??

ইহান: আমাকে আপনার সহ্য হয় না তাইনা।

আনহা:……

ইহান: করতে হবে না সহ্য…. আমি আপনাকে মুক্তি দিয়ে দেব। [ বলে আনহাকে ছেড়ে ওপাশ ফিরে শুয়ে পরে ]

এটা দেখে আনহা উঠে ইহানের কপালে হাত দেয়…..

আনহা: জানিনা নিয়তি কি চায়। শুধু জানি আমি এই পিচ্চিটার মায়ায় পরে যাচ্ছি….
,
,
,

,,
,
,

,
,,সকালে ঘুম থেকে আনহা ইহানের আগেই উঠে যায়। তারপর নিজ হাতেই ইহানের ফেভারেট পাওভাজি বানায়।।। তারপর ইহানের ডেকে দেয়। ঘুম থেকে উঠে ইহান বেশ অবাক হয়…… আনহাকে এভাবে দেখে….

আনহা: রেডি হয়ে খেয়ে যাস……

ও আর তেমন কিছু না বলে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে যেতেই বুঝতে বাকি থাকে না যে আজকের ব্রেকফাস্ট আনহা বানিয়েছে। ইহান একটুখানি নিয়ে মুখে দেয়। তখনি আনহা চলে আসে…. ওকে দেখে ইচ্ছে করে টেবিল ক্লোথ ধরে টান দেয়। যার কারনে খাবারের সবটা সহ বাকি সবকিছু নিচে পরে যায়…..

ইহান: সরি…. ভুলে পরে গেছে। সবকিছু একটু পরিষ্কার করে নিবেন… [ বলে বেড়িয়ে যায় ]
,
,
,

,

এভাবেই আরো ৩ মাস চলে যায়…. সময়ের স্রোতে ইহান আনহার থেকে অনেকটা বেশি দুরে সরে এসেছে। যেই দুরত্ব হয়তো ইহান চাইলেও শেষ করতে পারবে না। ওদের বিয়ের ৬ মাস পেরিয়ে গেছে…. কিন্তু সম্পর্ক ঠিক হওয়ার বদলে আরো নষ্ট হয়েছে। আনহার প্রতি ইহানের ততটা কেয়ার নেই এখন আর…. বললেই চলে ইহান আনহার মায়া কাটিয়ে উঠেছে…. ও ধীরে ধীরে নিজের লাইফ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে…. আনহা ওর জন্য এখন আর ম্যাটার করে না বললেই চলে….. আনহা ইহানের থেকে কি দুরে যাবে ইহান নিজেই এখন আনহাকে নিজের লাইফে নিতে পারছে না……..

আর ওইদিকে আনহার লাইফের তিক্ততা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওর ফ্যামিলির কারো সাথে ওর কোনো যোগাযোগ নেই। ওনারা নিজেরাই আনহার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আনহা করেছিল কিন্তু কোনো লাভ হয়নি…. কিছুই বুঝতে পারছে না আনহা। কয়েকদিনে ওর নিজের লাইফের ছন্দটাই হারিয়েছে……

অফিস থেকে বাসায় আসে ফোনে কথা বলতে বলতে…..

ইহান: হুমম বলো….

……

ইহান: আমি এসব নিতে পারব না। এমনি এখন একটু প্রব্লেম এ আছি। আগে সেটা শেষ করি তারপর বাকিটা দেখব।

……….

ইহান: বললাম তো কিছুদিন পর…..

আনহা: তোর সাথে কিছু কথা ছিল…

ইহান: আমি পরে কথা বলছি বায় [ বলে ফোন কেটে দেয় ] হ্যা বলুন….

আনহা: আসলে…..

ইহান: একটু তারাতারি বলুন আমার কাজ আছে।

আনহা: কি এমন কাজ তোর গত ৩ মাসে আমার সাথে কথা বলার সময় হয় না।

ইহান: আজব তো এখন আমার কাজ ফেলে রেখে আমি কি আপনার সাথে সারাদিন কথা বলব নাকি….. [ বেশ বিরক্ত হয়ে ]

আনহা: সারাদিন তো বলিনি অত্যন্ত প্রয়োজনের কথা তো বলতেই পারি।

ইহান: আমি তো না করিনি। বলুন কি বলবেন??

আনহা: তোর সমস্যা কি বলতে পারিস….

ইহান: আপনি কি আপনার বাজে কথা বন্ধ করবেন.. যদি কাজের কথা বলুন নাইলে আমি গেলাম। আমি খুব টায়ার্ড….

আনহা: এখন ত আমার কথা শুনে বিরক্ত লাগবেই…..

ইহান: সমস্যা কি আপনার??? কি চাইছেন?? সোজা কথা সোজা ভাবে বুঝতে কি খারাপ লাগে নাকি…..

আনহা: তুই এভাবে কেন কথা বলছিস…..

ইহান না পেরে নিজের রাগ কন্ট্রোল করল।

ইহান: দেখুন আমি আপনার কোনো কাজে না করিনি। আপনার উপর কোনো জোর করিনি। আপনাকে যেতেও না করিনি তাহলে। আপনি নিজের মত থাকতে পারেন। আর প্লিজ আমাকে আমার মত থাকতে দিন। [ খুব জোরে চিল্লিয়ে ]

আনহা: ইহান…. [ চোখের পানি ছেড়ে ]

ইহান: এই আবার শুরু হল…. আচ্ছা আমি শুনছি বলুন কি বলবেন…..

আনহা বেশ বুঝতে পারছে ইহানের উপর রাগ বা অভিমান যেটাই দেখাক সেটা ওর কাছে অহেতুক হবে। তাই কথা না বাড়ানোই ভালো…….

আনহা: আসলে…. আমি বাড়ি যেতে চাই….

ইহান: আপনি কি নিজের বাড়ি যেতে চাইছেন। হুমম যেতে পারেন কিন্তু ওখানে বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবেন আর ওখানে গিয়ে আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করবেন। যদি এমনটা ভেবে থাকেন তবে ভুলে যান… আপনি কয়েকদিনের মধ্যে ডির্বোস পেপার পেয়ে যাবেন। তখন যা মন চায় করবেন। কিন্তু আমার বাড়িতে এসব কিছু হবে না।

আনহা:।।।।

ইহান: এর চেয়ে ভালো হয় যদি আপনি এখনি চলে যান আপনাকে আর আমাকে সহ্য করতে হবে না। আর না আমাকে……

আনহা: তোর যা ভালো মনে হয় কর…..[ বলেই বেড়িয়ে গেল ]

ইহান এইটা দেখে রেগে নিজের সামনে থাকা টেবিলে একটা লাথি দেয়…..

ইহান: এর এখনো সাহস কি করে হয় আমাকে attitude দেখানোর। [ প্রচন্ড রেগে ] না অনেক হয়েছে আর পারছি না এই টানাপোড়নের সংসার করতে…… এবার সবটা শেষ করতে হবে।

আনহা: আমি হয়ত আর তোর সেই আপনি নই ইহান। এখন আমার জায়গা তোর মনে কেন তোর লাইফেও নেই…..

,
,

,
,
,

,
,
পরের দিন ইহান একটা কাগজ এনে আনহার হাতে দেয়……

আনহা: কি এটা…..???

ইহান: আজ আমাদের বিয়ের ৬ মাস পুর্ন হলো…. আর তার উপহার স্বরুপ আপনার চাওয়া আমার ছোট্ট গিফট।

আনহা: মানে….

ইহান: ডির্বোস পেপার… এইটাই চেয়েছিলেন না আপনি….. নেন দিয়ে দিলাম মুক্তি ইহানের থেকে…. হাফ ছেড়ে বাচবেন আপনি…..

আনহা: তুই….

ইহান: দয়া করে ন্যাকা কান্না করবেন না। আপনি যা চেয়েছেন দিয়েছি। আর হ্যা হয়ত ভাববেন আমি আপনাকে ঠকিয়েছি। তাই বলে দিচ্ছি আমি আপনার সকল পাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছি। আপনার সকল খরচ, দেনমোহর সবকিছুই আমি আপনার নামে ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছি। যদি কিছু লাগে জানাবেন… এক রাতের জন্য হলেও হাসবেন্ডের অধিকার পেয়েছি তাই আপনাকে কোনো কিছু থেকে বঞ্চিত করতে চাই না।

আনহা:……

ইহান: By the way… আমি আসার আগে যেন আপনি চলে যান। আমি আপনার পরিবারকে সবটা বলে রেখেছি….. ড্রাইভার আপনাকে দিয়ে আসবে.।।।।

আনহা: আর কিছু বাকি আছে….[ নিচের দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে ]

ইহান: হুমম ভালো থাকবেন…. আর আপনার মনের মত কাউকে নিয়ে সংসার বাধবেন। যাকে আপনার হাসবেন্ড হিসেবে মেনে নিতে সমস্যা না হয়… So misss. Sorry misss. Ex ihan…. ভালো থাকবেন……

বলে ইহান মোবাইল টিপতে টিপতে বেড়িয়ে গেল আর আনহা ওখানেই বসে পরল……,

,
,

,
,
,
,