আমায় রেখো প্রিয় প্রহরে পর্ব-০২

0
519

#আমায়_রেখো_প্রিয়_প্রহরে
#পর্ব_২
Writer #পুষ্পিতা_প্রিমা

স্তব্ধ, তটস্থ, ভয়াতুর চোখে অভিকের দিকে একপলক তাকিয়ে আবারও চোখ নিচে নামিয়ে রাখলো সুজানা।

অতিরিক্ত ভয়ভীতির কারণে ইতোমধ্যে ঘাম দিয়েছে কপালে। অভিকের সূক্ষ্মদৃর্ষ্টি তখন সুজানার দিকে উত্তরের অপেক্ষায়।
নিজেকে প্রস্তুত করে সুজানা স্বাভাবিক গলায় বলার চেষ্টা করে বলল..

মেহুল? কে মেহুল? আমি তো ওই নামে কাউকে চিনিনা।

অভিকের তীর্যক অবলোকন তখনও তারদিকে। যেন কিছু একটা ভালো করে ঠাহর করতে পারছে সে।

না, এই জায়গায় মেহুল নামের কারো থাকার কথা ছিল নীল শাড়ি পড়ে। ঠিক এরকম যেমনটা আপনি পড়ে আছেন।

সুজানা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল

আমি এখানে অন্য কাজে এসেছি। আপনার মেহুল বোধহয় অন্য কেউ। আমি আসি। হ্যা?

বলেই শাড়ির আঁচল টেনে কপাল ছুঁয়ে ঘাম মুছলো সে। বুকের ভেতরটা ধুকপুক করছে। কেন জানি মনে হচ্ছে ভীষণ সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে লোকটা । এখনি ডাকবে। থামতে বলবে। সে বাজেভাবে ধরা পড়বে।

কিয়ৎক্ষণ পার হতেই হাতের পার্সে ‘ র ভেতর বেজে উঠলো ফোন। মেহুলের ফোন ভেবে ফোনটা তুলতেই সুজানা দেখলো ‘ Ovik Fardin ‘ নামে সেইভ করা। সাথে সাথে ঘাড় ঘুরালো সে। লোকটার ঠোঁটের কোণায় তখন ক্রুর হাসি। হাতে ধরা ফোন। ইশারায় সুজানাকে ফোনটা তুলতে বলল অভিক।

সুজানা ফোনটা রিসিভ করে কানে লাগালো ।

এই লোকটার নাম কি তবে অভিক ফারদিন? হ্যা উনি সেটাই তো বললেন কিছু আগেই। এত চালাক লোক। আর মেহুল কিনা বলল এই লোক সাদাসিধা?

তরতরিয়ে ঘাম দিল তার সারামুখে। এমন পরিস্থিতিতে সে কভু পড়েনি। অভিকের অন্তর্দৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে সে পিছু করে দাঁড়ালো। ফোন ধরা হাতটা কাঁপছে ঠিক তখনি ফোনের ভেতর থেকে বাতাসের হিসহিস শব্দের সাথে ভেসে এল…

আপনি ধরা পড়ে গেছেন সুজানা। আমি বুঝে গিয়েছি আপনি আমার জন্যই এখানে এসেছেন? এখন বলুন আমি আপনার কাছে যাব নাকি আপনি নিজেই এখানে আসবেন?

সুজানা ধরা পড়া অপরাধীর মতো অসহায় হয়ে ফিরে তাকালো। তার বুকের মতো এখনো ঢিপঢিপ করছে। এই মুহূর্তে তার ঠিক কি করা উচিত তা সে বুঝে উঠতে পারছেনা। কি করবে এখন সে?

অভিক নিজেই এগিয়ে এল।

সুজানা অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে তটস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। ভেতরকার উদ্রেক তখন হু হু করে বেড়েই চলেছে।

এত লুকোচুরি কেন সুজানা? আমাকে সত্যিটা বলতে পারেন।

সুজানা মুখ খোলার আগেই অভিক তর্জনী দেখালো তার মাথার সিঁথির দিকে। সুজানা সে ইশারায় মাথায় হাত দিয়ে কিছু একটা টের পেয়ে ভয়ে হাত নামিয়ে নিল। চোখেমুখে ত্রাস। কি ওটা?

অভিক হাত বাড়িয়ে কোনো স্পর্শ ছাড়াই বস্তুটি নিয়ে সুজানার সামনে ধরলো। ইশারায় আকাশমণি গাছটা দেখিয়ে দিয়ে বুঝালো এটা আকসশমণি গাছের ফুল।

সুজানা স্বস্তি পেল। দম ফেলে কিছু বলার আগেই অভিক বলল…

মেহুলের ফোন আপনার কাছে? তারমানে আপনাকে মেহুল পাঠিয়েছে?

সুজানা সাহস সঞ্চয় করে বলল..

আপনি বুঝলেন কি করে আমি মেহুল নই?

অভিক ফোনের স্ক্রিনে সুজানার দিকে ফিরিয়ে বলল

দেখুন তো এটা মেহুল কিনা।

মেহুলের মুখের একটা পাশ দেখা যাচ্ছে যেটা সে হোয়াটসঅ্যাপে দিয়েছিল। এই লোক তো ধুরন্ধর চালাক।

আপনি আমাকে সত্যিটা বলবেন সুজানা?

সুজানা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো। সত্যিটা সে বলে দ্রুত প্রস্থান করবে এখান থেকে। তার মানসম্মান সব ধুলোয় মিশে গেল আজ অজানা অপরিচিত একটা ছেলের সামনে।

ধীরস্থির গলায় বলা শুরু করলো সে।

মেহুলের অন্য এক জায়গায় সম্পর্ক আছে। ও এই বিয়েতে রাজী না। সে আজ আসতে পারছেনা তাই আমাকে পাঠিয়েছে। আশা করি বুঝেছেন আমি কি বলতে চাইছি।

বুঝেছি।

সুজানা চোখের পলক তুলে আবার নিচে নামিয়ে নিল। বলল

তাহলে বলবেন যে মেহুলকে আপনার অপছন্দ। আপনি এই সম্বন্ধে রাজী না। মেহুলের সাথে অন্য কারো যে সম্বন্ধ এটা বলবেন না প্লিজ।

পুরোটা এক নিঃশ্বাসে বলে হাঁপিয়ে উঠলো সুজানা।
তাড়া দেখিয়ে বলল

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বুঝেছি।

তাহলে আসি।

পা বাড়াতেই অভিক তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

সুজানা। সত্য বলার জন্য থ্যাংকস। মেহুলের ব্যাপারটা এখানেই শেষ। আপনি যেমনটা বলেছেন আমি তেমনটাই বলব। বাট আপনার ব্যাপারটা এখানেই কিন্তু শুরু। আবারও দেখা হবে সুজানা। বাই।

সুজানাকে যেতে হলো না।

বরঞ্চ অভিক নিজেই কথাটা বলে হেসে পিছু হাঁটতে হাঁটতে প্রস্থান নিল। সুজানা বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইলো।

_________________________

কান ধরে কয়েকবার উঠবস করলো মেহুল। শান্তা গুনতে গুনতে বলল

দোস্ত দশ হয়নাই। জানু দেখ ও চোরামি করে।

সুজানা তখন মলিন মুখে বেঞ্চির উপর বসে রয়েছে। কাগজ ছিঁড়ে বেঞ্চি মুছতে মুছতে শান্তা আবারও চিল্লিয়ে উঠলো

পাঁচ হয়ছে মাত্র। আরও পাঁচ। ওই মরছোস নাকি জানু?

তোরা চুপ করবি? মেহুল আমার সামনে থেকে সর। ভালো লাগছেনা আমার।

মেহুল অপরাধীর ন্যায় অনুতপ্ত হয়ে সুজানার কাছে এসে হাঁটুমুড়ে বসলো। বলল

সরি রে তোরা যে আগে থেকে পরিচিত ছিল আমি কি জানতাম নাকি?

হোয়াটসঅ্যাপে যে ছবি দিয়ে রেখেছিস খেয়াল ছিল না?

মেহুল বিস্মিত হয়ে বলল

হোয়াটসঅ্যাপ? কিন্তু উনার সাথে তো আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়নি।

কথা হয়নি তো কি হয়েছে। লোকটা কিরকম চালাক তুই নিজেই জানিস না। কাউকে বোকা ভাবার আগে দশবার ভেবে নিবি। কয়টা বাজে দেখ। টিউশনিতে যেতে হবে। মাথাটা খারাপ হয়ে গেল।

শান্তা তারপাশে ধপাস করে বসে পড়ে বলল

এই তোরে পোলাটা চিনে কেমনে? নাকি তলে তলে কিছু চলে?

চুপ থাক। ফালতু কথা বলিস না। কয়টা বাজে দেখতে বলছি।

মেহুল হাতের ঘড়ি দেখে বলল…

তিনটা চৌদ্দ হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।

আর আমাকে এখন বলছিস? তোরা না আমাকে বুঝতেই চাস না। আজকে প্রথম দিন দেরী হলে কি হবে বুঝতে পারছিস? আজকের পুরো দিনটাই খারাপ যাচ্ছে।

মেহুল তার পাশে বসে গিয়ে শান্তাকে বলল

তুই আরেকটু যা না।

শান্তাকে সরে বসলো। মেহুল আরাম করে বসে সুজানাকে জড়িয়ে ধরলো।

আমি সরি রে দোস্ত। আর কখনো এমন হবে না। এখন ওই মানুষটা বাড়িতে গিয়ে তুই যেমনটা বলেছিস তেমনটা বললেই হলো। আমার উপর রেগে থাকিস না প্লিজ।

সুজানা দাঁড়িয়ে পড়লো। পার্স নিয়ে বলল

রাগ করিনি। বাড়ি যাহ। আমি টিউশনি শেষে বাড়ি ফিরব।

শান্তা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বলল

তুই এতদূরে টিউশনি নিলি কেন?

টাকা বেশি তাই।

তাই বলে,,

এর চাইতে ভালো পেলে ছেড়ে দেব।

তাহলে তো ভালো। সাবধানে যাস।

সুজানা কিছুদূর যেতেই মেহুল ডাকলো।

জানু!

সুজানা ঘাড় ঘুরাতেই মেহুল দু’হাতে কান ধরলো।

সরি রে দোস্ত।

সুজানা চলতে শুরু করলো আবার। হাসিটুকু দেখালো না তাদের।

_____________________

রিকশা থেকে নেমে বাড়িটির গেইটের দিকে তাকালো সুজানা। নবকুঠির লেখা আছে। ভাড়া মিটিয়ে গেইট ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই দু’জন একজন মহিলা আর একজন লুঙ্গি পড়া লোকের দেখা মিললো। মহিলাটি এগিয়ে এল। জানতে চাইলো…

কে গো তুমি?

আমি? আমি সুজানা।

কোন জানা সেটা তো জানতে চাইনি বাপু। ক্যান আইলা এই বাড়িত?

লোকটা এগিয়ে এল। গলার একপাশে গামছা ঝুলিয়ে বলল

সর তো। অপরিচিত মানুষের সাথে সুন্দর কইরা কথা বলতে পারোস না?

তুমি কারে চাও মা?

আমি অনা আর আবিদকে পড়াতে এসেছি কাকা। উনারা আছেন?

হ হ আছে। ওহ আইচ্ছা বড় সাহেব এর কথা বলছিলেন। আসো আসো। আমরা তোমার পথ চাইয়্যা বইসা আছি। আসো।

এই জমিলার মা ওনারে ভেতরে নিয়া যা।

মহিলা মাথা দুলালো।

আইচ্ছা। এই মাইয়্যা আসো।

বাড়ির ভেতর পা রাখতে না রাখতেই ড্রয়িংরুমের সোফায় পশ্চিমুখী হয়ে বসে থাকা দু একটা পুরুষের মাথা দেখা গেল। সুজানাকে জমিলার মা নিয়ে গেল অন্যদিকে। তারপর ডাকাডাকি করতেই
সেই বাড়ির বড় বউ আনিকা এগিয়ে এল।

সুজানা আপনি এসেছেন? আমি আরও আপনাকে ফোন দিতে যাচ্ছিলাম।

আনিকাকে দেখে সুজানার চিনতে ভুল হলো না ইনিই অনা আর আবিদের মা।

হ্যা আমার একটু দেরী হলো।

সমস্যা নেই। ওরা মাত্রই ঘুম থেকে উঠলো।

রান্নাঘর থেকে কোন একটা মহিলার চিৎকার চেঁচামেচি ভেসে আসছে। আনিকা ম্লান হেসে বলল

উনি আমার চাচীশ্বাশুড়ি। মর্জিনা খালাম্মার সাথে চেঁচামেচি করছেন। অন্য কিছু না।

সুজানা মাথা নাড়ালো।

ওই ওখানে আবির বাবা, আর দাদারা বসে আছে। ওদের সাথে পরে পরিচয় করিয়ে দেব। চলুন আপনাকে ওদের রিডিং রুমে নিয়ে যাই।

সুজানা মাথা দুলালো।

তারা দোতলায় যাওয়ার মধ্যিপথে পেছন থেকে একটা ছোট বাচ্চার ডাকে থেমে গেল।

টিচার টিচার আসসালামু আলাইকুম।

আনিকা হাসলো।

ও আবিদ।

সুজানা হেসে সালামের উত্তর দিল। বলল

কেমন আছেন আপনি?

খুুব ভালো টিচার।

আপনার বোন কোথায়?

পাপার ভালো মিয়ে ওখানে টিচারের জুন্য বসি আছে।

আনিকা ঠোঁট টিপে হাসলো।

অনাকে পাপার ভালো মেয়ে বলে।

সুজানা হেসে বলল

কেন আবিদ কি ভালো না?

পাপা অনাকে বিশি ভালো মিয়ে বলে।

বলতে বলতেই চেহারাটা তার মলিন হয়ে এল।

সুজানা গাল টেনে দিয়ে বলল

আচ্ছা। আবিদকেও ভালো ছেলে বলবে। আমরা অনার কাছে যাই?

আনিকা বলল

আবি টিচারকে রুমে নিয়ে যাও। আমি এক্ষুণি আসছি ওকে?

ওকে আম্মু। টিচার কাম উইথ আবি।

সুজানা মিষ্টি হেসে মাথা দুলালো। কি সেয়ানা ছেলেরে বাবা। পড়ায় সেয়ানা হবে কি না কে জানে?

সুজানার আঙুলটা ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে একসময় আবিদ থেমে গেল। প্যান্টের মধ্যিখানে চেপে ধরে বলল

উফফ আবির সুসু পেয়েছে টিচার। আম্মুর কাছে যাব।

আচ্ছা আমাকে আগে অনার কাছে নিয়ে যাও।

আবিদ ইশারায় লিভার কাঠের দরজা দেখিয়ে দিল। বলল…

ওখানে পাপার ভালো মিয়ে আছে। টা টা টিচার। আবি এখুনি আসবে।

বলেই একদৌড় দিল সে।

সুজানা হাঁফ ছেড়ে এগিয়ে গেল। দু তিনবার দরজার সিলভার নব ঘোরালেও দরজা খুললো না। আরেকবার ঘোরাতেই দরজা খুললো নাকি ওপাশ থেকে দরজা খুলে দিল সেটা বুঝা গেল না। তবে দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ অবয়বটি দেখে দু তিনবার চোখ পিটপিট করলো সুজানা। শুকনো ঢোক গিলে দু পা পিছু সংকোচে জড়সড় হয়ে দাঁড়ালো। আজকের দিনটা সত্যিই তার খারাপ। নইলে শুধু এই লোকের সামনে পড়ছে কেন সে বারবার?

কেমন নির্বাক অসহায় অবলার মতো ভীতু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো সুজানা। অভিক বুকে হাত ভাঁজ করে দাঁড়ালো। হেসে বলল…

আজকের দিনটা ভালোই যাচ্ছে।

সুজানা আমতাআমতা করে কিছু বলার আগেই অভিকের পেছন থেকে একটা ছোট পুতুলের মতো বাচ্চা মেয়ে উঁকি দিল।
সুজানাকে আগাগোড়া দেখে বলল

আসসালামু আলাইকুম টিচার।

সুজানা নির্বাক তাকিয়ে থাকলো।

মেয়েটা দুগালে হাত রাখলো।

ওয়াও টিচারকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে । অভি অভি তোমার কি টিচারকে পছন্দ হয়েছে?

অভিকের ইশারায় থেমে গেল অনা। ঠোঁটের উপর আঙুল রেখে থেমে গেল।

সুজানা বড় বড় চোখে তাকালো।

ওরে বাপরে এগুলা কি? কাদের পড়াতে এসেছে সে? কি পাকা পাকা কথা বলে।

অভিক দরজার সামনে থেকে সরে পড়লো।

সুজানাকে ভেতর ঢোকার জন্য বলতেই সুজানা পা রাখলো। অভিক তারপরেই বেরিয়ে পড়লো। অনাকে বলল

ভালো করে পড়ুন আম্মি। ঠিক আছে? টা টা।

ওকে মাই সান তুমি আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে। কেমন?

অভিক নাড়লো।

ঠিক আছে মাদার। মিস সুজানা ওদের ভালো করে পড়াবেন। পড়া ভালো হলে আরও একজন আপনার কাছে পড়তে আগ্রহী।

সুজানা ভেতরে ভেতরে বিড়বিড় করলো

কাল থেকে আসবই না আমি। হুহ।

অনা ভুরু কুঁচকে একবার অভিক আরেকবার সুজানার দিকে তাকালো। আঙুল দিয়ে অভিককে নিচু হতে বললো।

অভিক মাথা নিচু করে কান রাখলো অনার মুখের সামনে। অনা কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিস করে বলল..

অভি অভি তুমি টিচারের কাছে পড়তে চাও?

অভিকও ফিসফিস করে বলল

যদি তোমার টিচার রাজী হয়।

অনা মুখে হাত দিয়ে খিকখিক করে হাসলো।

সুজানা আড়ঁচোখে চাচা ভাইঝির ফিসফিসানি চেয়ে রইলো। কাল থেকে সে আসবেনা মানে আসবেনা।

চলবে…….