#আমার_গল্পে_তুমি
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৩০_পর্ব
,
ইয়ানার রুমে বিছানার উপর মাথা নিচু করো বসে আছে রোজা, আকাশ তখনি চলে গেছে ওর কাজ আছে তাই আর দেরি করেনি, ইয়ানার রোজার মাথায় হাত দিয়ে চুলে বিলি কাটতে কাটতে বলল, আচ্ছা এখন তো বল কী হয়েছে?? দেখ তুই না বললে আমি জানবো কীভাবে, বল আমায় কি হয়েছে, আর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিস কেনো আন্টি আংকেল কিছু বলেছে??
ইয়ানা তুই তো জানিস আমি এখনি বিয়ে করতে চাইনা, তোর মনে নেই আমরা কি বলতাম , বলতাম যে আগের নিজের পায়ে দাঁড়াবো তারপর বিয়ে করবো,, কিন্তু বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে তাও আবার এমন লোকের সাথে যার কিনা বয়স অনেক,, আচ্ছা বয়স হলে সম্যসা ছিলো না কিন্তু ওনি বলেছেন যে বিয়ের পর নাকি মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরোনো নিষেধ আর চাকরি তো করাই যাবে না, আমি তবুও ওনাকে বুঝাতে গিছিলাম কিন্তু ওনি আমার গায়ে হাত তুলেছে বলেছে মেয়েদের বেশি কথা বলতে হয় না সব সময় পায়ের কাছে থাকতে হয়, এটা কেমন কথা বল,, আমি বাবা মা কে সব কিছু বলেছি কিন্তু ওরা আমার কথা বুঝতেই চাচ্ছে না জানি না ওই লোকটা কি এমন বলেছে যে বাবা তো আজকে রাতেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই কোনো রকমে পালিয়ে এসেছি।
বলিস কি লোকটার কত বড় সাহস এভাবে ওনি তোর গায়ে হাত তুলতে পারেননা আর আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি যে আংকেল এর মতো মানুষ কীভাবে ওই লোকটার সাথে তোর বিয়ে দিতে চাইছে,, আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না আমি দেখছি কি করা যায় আগে মিস্টার আর্দ্র আসুক তারপর দেখি ওনি কি বলে, আর এভাবে কাঁদিস না তো ভালো লাগছে না।
ইয়ানাদের কথার মাঝেই আর্দ্র রুমে আসলো গা একদম ঘেমে গেছে রুমে এসে রোজা কে দেখে বলল,, আরে রোজা তুমি এতো সকাল সকাল কি ব্যাপার কোনো সম্যসা??
ওহ আপনি চলে এসেছেন, শুনুন আপনার সাথে আমার কথা আছে একটু এদিকে আসুন।
কি ব্যাপার সকাল সকাল চিপায় যেতে বলছো মতলব কি তোমার বলতো,, কালকের মতো কিছু দেখাবে নাকি,, মজা করে বলল আর্দ্র।
ছিঃ আপনার চিন্তা ভাবনার দেখছি দিন দিন অধঃপতন ঘটছে, আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনাকে চিপায় ডাকতে যাবো,, ওসব বাদ দেন আসল কথা শুনুন।
হুম বলো,, সিরিয়াস মুখ করে বলল আর্দ্র।
তারপর ইয়ানা আর্দ্র কে রোজার বিষয় টা সবটা খুলে বলল সবটা শুনে আর্দ্র এক হাত কমরে আর অন্য হাতের বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে নিজের থুতনিতে চুলকাতে চুলকাতে বলল,, হুমম আচ্ছা তুমি সরো আমি দেখছি ব্যাপারটা, আর্দ্র রোজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো আর্দ্র কে দেখে রোজা বিছানা থেকে ওঠে দাঁড়ালো৷,, রোজা আমার না কোনো ছোট বোন নেই আমার ছোট বেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ছিলো যাতে আমার একটা ছোট্ট বোন থাকে যাকে আমি কাঁধে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াবো তাই আম্মু কে বলছিলাম কিন্তু আম্মুর অপারেশন করা ছিলো তাই আমার সেই আশাটা পূরণ হলো না, কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ তোমার মাধ্যমে আমার সেই আশাটা পূরণ করেছে, তুমি চাইলে এখানেই আমার ছোট বোন হয়ে থাকতে পারো আর আমিও চাই যাতে তুমি পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াও,, আর তুমি আর ইয়ানা তো একি সাথে পড়তে তারমানে ইয়ানার মতো তোমারও অর্নাস শেষ, কালকে তোমার সব সার্টিফিকেট সহ সব দরকারি কাগজ পএ নিয়ে ইয়ানার সাথে অফিসে এসো কাল তোমার ইন্টারভিউ আছে।
আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা তো হা করে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে আছে, এই গম্ভীর লোকটাও এতো সুন্দর করে কথা বলতে পারে ওর জানাই ছিলো না ,, রোজা আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে ভাইয়া বলে কেঁদে ফেলল আর্দ্র আলতো করে রোজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,, আরে আমার মিষ্টি বোনটি এভাবে কান্না করে না,, ইয়ানা ওকে আমাদের গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দাও আজ থেকে আমার বোন আমাদের সাথেই থাকবে, আচ্ছা আমি তাহলে ফ্রেশ হয়ে আসছি, আর এই যে ম্যাম মুখটা বন্ধ করুন নয়ত মশা মাছিসহ বাকি সব পোকা মাঁকর তোমার মুখের মধ্যে চলে যাবে, আর আমি অনেক ভালো বর বলো বউকে মারি না কিন্তু আদরও করতে পারছি না,, কথাগুলো বলে বাঁকা হেসে ওয়াশরুমে চলে গেলো,, এদিকে আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা তো অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে হঠাৎ করে ওনি এতো ভালো হয়ে গেলো কীভাবে।
,,,,,,,
দুপুরের দিকে সবাই ডয়িং বসে গল্প করছে রোজাও আছে, সবাই ওকে ভালোবেসে ওখানে থাকতে বলেছে রোজাও ইয়ানার মতে অন্তরাকে আপু বলে ডাকে বাড়ির সবাই রোজাকে পছন্দ করে,, ইয়ানা কেবলি গোসল সেরে টাওয়াল গায়ে দিয়ে রুমে আসলো নিজের জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আর্দ্র এখন রুমে নেই তাই নিচিন্তে রুমে আসল, রুমের দরজা টাও ভিড়ানো আছে, রুমে এসেই ইয়ানার টাওয়াল এর গিট্টিটা ঢিলা হয়ে গেলো তাই টাওয়াল টা খুলে আবার সুন্দর মতো পড়ে নিলো তারপর বিছানা থেকে কাপড় সহ সবকিছু হাতে নিয়ে কেবলি আবার ওয়াশরুমে যাবে তখনি পিছন ঘুরে দেখল আর্দ্র হা করে চোখ দুটো বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,, আর্দ্র কে দেখে ইয়ানা একবার নিজের দিকে তাকালো তারপর আর্দ্রর দিকে তাকালো একটু আগের করা কাজটা মনে করেই ইয়ানা জোরে সরে একটা চিৎকার দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
ইয়ানার চিৎকারে আর্দ্রর হুশ ফিরল নিজের হাত দিয়ে দু কান চেপে ধরে একটু আগের ঘটনা মনে করে বাঁকা হাসল,,, ইয়ানা তড়িঘড়ি করে সব কিছু পড়ে এসে রাগে রাগে সোজা আর্দ্রর দিকে গেলো তারপর ওর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,, এই খারাপ লোক একটা কারো রুমে আসতে গেলে নক করে আসতে হয় জানেন না??
আরে কুল কুল এতো রেগে যাচ্ছো কেনো? আর অন্য কোনো লোকতো আর দাখেনি তোমার নিজের বর ই তো সবকিছু দেখেছে,, তবে যাই বলো কাপড় পরেও তোমাকে হেব্বি লাগে আর আজকে তো কাপড় ছাড়া একদম,,,,,
ছিঃ মুখের কি ভাষা আমি আপানার নামে পুলিশে কমপ্লেন করব,, আর্দ্রর মুখ চেপে বলল।
তা পুলিশের কাছে গিয়ে কি বলবে হুম? বলবে যে তোমার বর তোমার সব কিছু দেখে ফেলেছে, তোমার কথা শুনে পুলিশ তোমায় সোজা গারদে নয় একেবারে পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেবে,,, ইয়ানার হাত মুখ থেকে সরিয়ে বলল।
আপনাকে তো আমি,,,,
কি করবে আবার সবকিছু দেখাবে নাকি?? আমি কিন্তু অলওয়েজ রেডি।
ইয়ানা আর কিছু না বলে রেগে মেগে ওখান থেকে নিচে চলে গেলো তারপর রাগে রাগে গিয়ে রোজার পাশে গিয়ে সটান করে বসে পড়ল।, কিরে কি হয়েছে এমন রেগে আছিস কেনো কি হয়েছে??
আরে ওনার কত বড় সাহস ওনি আজকে আমার,,, ইস কি বলছিলাম আমি রোজাকে ইয়ানা তোর কি রাগে সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে নাকি।
কি হলো চুপ করে গেলি কেনো আর্দ্র ভাইয়া কি করেছে??
কিছু না,,, তখনি আর্দ্র এসে ইয়ানার মুখোমুখি সোফায় গিয়ে বসল আর ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বাঁকা একটা হাসি দিলো তারপর টি টেবিল থেকে কফি হাতে নিয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,, উফফ অনেক হট।
কিহ??,, (অনিক)
আব,,আরে কফিটা অনেক হট মানে গরম।
ওহ তাই বল,,ইয়ানা রাগি চোখে আর্দ্রর দিকে তাকালো,, আচ্ছা ইয়ানা তুই একটু বস আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি এই বলে রোজা ওঠে উপরে চলে গেলো রোজার পিছু পিছু আকাশও উঠে চলে গেলো আকাশ একটু আগেই এসেছে।
এই যে মিস আপনার কাছে ভালোবাসা আছে??
কিহ??
আরে আমি জিগাস করছি আপনার কাছে ভালো বাসা আছে?? মানে আমার এক বন্ধু ভালো বাসার খোঁজ করছিলো তাই জিগাস করলাম আর কি।
আপনার কি আমাকে দেখে মন হচ্ছে যে আমি বাসা খুঁজে দিই,, রেগে বলল রোজা।
আরে রাগ করছেন কেনো এতো রাগ করলে শরীল খারাপ করবে।
সেটা আপনাকে বুঝতে হবে না,, এই বলে রোজা চলে গেলো,,, ইস একেবারে ধানি লংকা।
চলবে,,,,,,???
#আমার_গল্পে_তুমি
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৩১_পর্ব
,
দেখতে দেখতে আরো একমাস পাড় হয়ে গেলো অন্তরার এখন নয় মাস চলছে পেট আগে থেকে আর একটু বড় হয়েছে,, আজকে বাড়িতে শুধু ইয়ানা ছাড়া আর কেউ নেই কেননা অনিক আর আর্দ্র অফিসে গিয়েছে পরশকে আকাশ এসে নিয়ে গিয়েছে আর আশা আর কবির কোনো এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছে, রোজা এখন আর্দ্রর অফিসে চাকরি করছে আর্দ্র বলেছে চাকরির সাথে সাথে মাস্টার্স টাও করতে যাতে মাস্টার্স টা কম্পিলিট করলে আরো ভালো একটা পোস্টে জব করতে পারবে তখন ও ওর বাবা মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে ওর মা বাবাও বুঝতে পারবে যে তারা কত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলো,, তাই ইয়ানা যেখানে ভর্তি হয়েছে রোজাও সেই ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছে,,, অন্তরা বাসায় একা থাকবে বলে ইয়ানা আজকে অফিসে যায়নি অন্তরার কাছে রয়েছে।
শোনো না ইয়ানা আমার না খুব আচার খেতে মন চাচ্ছে, ছাঁদে আচার রোদে দেওয়া আছে তুমি একটু গিয়ে আনবে প্লিজ।
এভাবে বলছো কেনো আপু আমি এখনি আনছি তুমি এই জুসটা খেতে লাগো আর হ্যাঁ বিছানা থেকে একদম নামবে না বলছি আমি না আসা অবধি ঠিক আছে??
ওকে ভাই ঠিক আছে তুমি যাও শোনো চালতার আচার আর আমের আচারটা আনবে ঠিক আছে??
ওকে আপু তুমি থাকো আমি এখুনি আনছি,,, ইয়ানা রুম থেকে বেরিয়ে ছাদের দিকে চলে গেলো অন্তরা বিছানায় বসে জুসটা খাচ্ছিলো কিন্তু অর্ধেক খেয়ে আর খাইতে মন চাচ্ছিলো না তাই টি টেবিলের উপর রাখতে গেলো কিন্তু টেবিলটা দূরে ছিলো তাও কোনো রকমে রাখতে গিয়ে গ্লাস টা ফ্লোরে পরে ভেঙে গেলো,,৷ যাহ গ্লাসটা তো ভেঙে গেলো আমি কি নেমে ওগুলো পরিষ্কার করব?? না থাক ইয়ানা আমায় নামতে নিষেধ করেছে ও না অবধি নামা যাবে না,, কিন্তু এই জানালাটা বন্ধ করলে ভালো হতো রোদটা মুখে লাগছে,, অন্তরা অনেক ভেবে চিন্তে আস্তে করে নিচে নেমে হেঁটে গিয়ে জানালার পর্দা ফেলে জানালাটা বন্ধ করে দিলো তারপর আবার আস্তে আস্তে বিছানার দিকে আসতে গেলেই অসাবধানতায় নিচে পরে থাকা জুসে স্লিপ কেটে নিচে পরে গেলো যদিও চিৎ হয়ে পরেছে তবুও পেটে অনেকটা বেথ্যা পেয়েছে।
ওফফ অনেকটা দেরি হয়ে গেলো না জানি আপু একা একা কি করছে, , পাশের বাসার কাকি টা তো ছাড়তেই চাইছিলো না বকবক শুরু করেছে তো করেছেই আমি বুঝিনা এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে কীভাবে গল্প করে মানুষ, ইয়ানা একা একা বকবক করতে করতে রুমে চলে আসল,, আপু এই নাও তোমার আচা,,,,ইয়ানা সামনে তাকিয়ে দেখলো অন্তরা মেঝেতে পরে আছে আর পায়ে কাছে রক্ত, আসলে গ্লাসে পা কেটে গেছে তাই রক্ত বের হয়েছে অনেকটা, অন্তরা মেঝেতে পরে কান্না করছে উঠতে পারছে না তার উপর পেটেও প্রচন্ত বেথ্যা করছে, অন্তরার এমন অবস্থা থেকে ইয়ানা যেনো হতভম্ব হয়ে গেছে,, হাতের আচারের বয়ম টা হাত থেকে পরে ভেঙে গেলো,, ইয়ানা দৌড়ে অন্তরার কাছে যেতে গেলে মেঝেতে থাকা কাঁচের টুকরো তে লেগে পা কেটে গেলো তবুও কোনো রকমে অন্তরার কাছে যেতে গেলে আচারের তেলে পা স্লিপ করে সোজা গিয়ে খাটের উপর পড়ল,, খাটের উপর পড়লে সম্যাসা হতো না কিন্তু ইয়ানা খাটের স্টান এর উপর পরেছে ও পেটে অনেক বেথ্যা পেয়েছে, একেতে পা কেটে রক্ত ঝড়ছে তারপর পেটে আঘাত লাগায় যেনো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, একেই হয়ত বলে বিপদের উপর বিপদ।
তবুও ইয়ানা কোনো রকমে উঠে অন্তরার কাছে গেলো,, আপু তোমার কিছু হবে না আর আমাদের পিচ্চির ও কিছু হবে না, আমি আছি তো আমি দেখছি তুমি আল্লাহ আল্লাহ করো।
ইয়ানা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আর পারছি না, আর তুমি কি করবে তোমার ও তো পা কেটে রক্ত বের হচ্ছে, মাথায় ও কেটে গেছে, আবার পেটেও অনেকটা আঘাত পেয়েছো তোমারও তো ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত, আআআআ,, ( ভাঙা ভাঙা সরে কথাগুলো বলল অন্তরা)
তুমি চিন্তা করো না আপু আমি দেখছি,, ইয়ানার পেটেও অনেক বেথ্যা করছে,, মেঝেতে রক্তে লাল হয়ে গেছে, ইয়ানার ভয় হচ্ছে অন্তরার এই অবস্থায় এতো রক্ত বের হওয়া ঠিক না,, ইয়ানা নিজের বেথ্যাকে উপেক্ষা করে অন্তরাকে মেঝে থেকে উঠায়ে বিছায়ে শুয়ালো তারপর ফোন নিয়ে আর্দ্র কে কল দিলো, কিন্তু আর্দ্র মিটিং এ থাকায় ফোন ধরতে পারলো না, ইয়ানা অনেকবার কল দিলো কিন্তু ফোন বেজে বেজে কেটে গেলো ধরলো না,, তারপর ইয়ানা অনিক কে কল দিলো কিন্তু অনিকও আর্দ্রর সাথেই মিটিং এ ছিলো তাই ও ধরতে পারলো না,, ইয়ানা কবির আশাকেও কল দিলো কিন্তু ওনারাও ধরলো না কেননা ওরা সবার সাথে বসে গল্প করছিলো তাই ঠিক পাইনি।
ওফ কেউ ফোন ধরছে না কেনো সবাই করছে টা কি, এখন আমি কি করবো আল্লাহ সাহায্য করো, ইয়ানা আবারও অন্তরার কাছে গেলো।
,,,,,
রোজা দুপুরে লাঞ্চ টাইম এ ভাবলো বাড়ি গিয়ে ইয়ানা আর অন্তরার সাথে খাবে তাই অফিস থেকে বাড়ি চলে এসেছে, এসে কলিং বেল চাপল,
আপু তুমি চিন্তা করো না কেউ হয়ত এসেছে তুমি এখানে একটু অপেক্ষা করো আমি দেখছি কে আসলে, ইয়ানা পেটে হাট দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে নিচে গেলো, ইয়ানা যেই দিক এসেছে সারা মেঝেতে রক্ত লেগে আছে, ও কোনো রকমে খোঁড়াতে খোঁড়াতে গিয়ে দরজা খুলে দেখল রোজা দাঁড়িয়ে আছে, রোজাকে দেখে যেনো ও একটু হলেও আশার আলো দেখতে পেলো,, একি ইয়ানা কি হয়েছে তোর আর এতো রক্ত কেনো?? পেটেও তো রক্ত লেগে আছে কি হয়েছে তোর বল আমায়,, ইয়ানাকে ধরে আতংকিত গলায় বলল রোজা।
রোজা ওসব পরে হবে, আপু কে আর বেবিকে বাঁচাতে হবে তুই যলদি আপুর কাছে যা আমি গাড়ির ব্যাবস্হা করে আসছি।
কিন্তু তোর এই অবস্থা হলো কি করে, আর আপুর কি হয়েছে??
ইয়ানা রোজাকে সব বলল, কিন্তু ইয়ানা তোকেও তো ডাক্তার দেখাতে হবে,, ওসব পরে হবে রোজা তুই আগে আপুর কাছে যা আমি বাইরে থেকে গাড়ি ঠিক করে আসছি,, ইয়ানার জোরাজুরিতে রোজা উপরে অন্তরার কাছে গেলো তারপর ইয়ানা কোনো রকমে বাইরে গিয়ে একটা ট্যাক্সি ঠিক করে আনলো তারপর দুজনে মিলে অন্তরাকে ধরে কোনো রকমে ট্যাক্সি তে বসায়ে হসপিটাল এ নিয়ে গেলো।
,,,,,,,,,
অন্তরাকে ওটি তে নিয়ে গেছে এখনি নাকি সিজার করা লাগবে, রোজা অনেক বলেও ইয়ানাকে ভর্তি করতে পারিনি, ইয়ানার অবস্থাও খারাপ পা থেকে রক্ত পড়তে পড়তে শুকায় গেছে,পা অনেকটা কেঁটে গেছে কাঁচের সাথে লেগে,, কপালেও ফুলে গেছে আর পেটের বেথ্যা তো আছেই, পেটে খানিকটা কেটেও গেছে,, এমন করছিস কেনো ইয়ানা প্লিজ চল আমার সাথে তোর চেকাপ করানোটা প্রয়োজন পেটে অনেক জোরে আঘাত লেগেছে আল্লাহ না করুক যদি কোনো সম্যসা হয়,। আর পায়েও মেডিসিন লাগাতে হবে নয়ত ইনফেকশন হতে পারে।
না রোজা যতক্ষণ না ডাক্তার এসে বলবে আপু আর বেবি ভালো আছে ততক্ষণ আমি নিজের কোনো পরিচর্যা করবো না, কোথাও না কোথাও আপুর এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী,, আমি যদি তখন ছাঁদে না যেতাম তাহলে এমন হতো না।
তুই কেনো নিজেকে দোষী ভাবছিস ইয়ানা, এটা একটা এক্সিডেন্ট এখানে তোর কোনো হাত নেই তাই শুধু শুধু নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ কর,,, ওদের কথা বলার মাঝে একটা নার্স এসে বলল যে পেশেন্ট এর রক্ত লাগবে কেননা অনেকটা রক্ত ঝড়ে গেছে, নার্সের কাছ থেকে রক্তের গ্রুপ জেনে ইয়ানা বলল,, আমি রক্ত দেবো আমার ও এই একি গ্রুপ।
আপনি শিওর তো যে আপনিই রক্ত দিবেন, কেননা আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে আপনাকেই এখন রক্ত দেওয়া প্রয়োজন।
এসব কি বলছিস ইয়ানা, তুই কেনো রক্ত দিবি তোর এই অবস্থায় রক্ত দেওয়া ঠিক হবে না।
না রোজা রক্ত তো আমিই দেবো, নার্স আপনি চলুন,, ইয়ানা রোজার মানা করা সত্ত্বেও নার্স এর সাথে চলে গেলো,, রক্ত দেওয়ার পর ইয়ানা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারছে না মাথার মধ্যে ঘুরছে, রোজা ইয়ানাকে একটা চেয়ারে বসায়ে দিয়ে বলল ও আর্দ্র আর অনিককে ফোন করে আসছে,, প্রায় অনেকটা সময় পর আর্দ্র আর অনিক তড়িঘড়ি করে দৌড়ে হসপিটাল এ আসলো ইয়ানা আর্দ্রকে দেখে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আর্দ্র কাছে গিয়ে কিছু বলতে যেতেই আর্দ্র ঠাস করে ওকে একটা চড় মেড়ে দিলো।
সব সময় তুমি এক লাইন বেশি বুঝো তাই না?? কি মনে করো যে তুমি যা করবে সেটাই ঠিক? আমার সাথে যা করো ঠিক আছে কিন্তু তুমি আমার ফ্যামিলির কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারো না,, তোমাকে আমি রেখে গেছি ভাবির খেয়াল রাখার জন্য কিন্তু তুমি সেটাও পারলে না, আসলে কি পারো তুমি?? আজকে তোমার জন্য ভাবির এই অবস্থা, আজকে যদি ভাবির কিছু হয় তোমাকে তো আমি ছাড়বো না, জীবনেও ক্ষমা করবো না তোমায়,একটা বার কল পযন্ত করোনি আমায়, রোজা না কল দিলে তো জানতেই পারতাম না,,, ভাইয়া চল দেখি ডাক্তার কি বলে তুই ভেঙে পরিস না আয় আমার সাথে,, আর্দ্র অনিক কে নিয়ে চলে গেলো।
পুরোটা সময় ইয়ানা ছলছল চোখে অবাক হয়ে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে ছিলো একটা টু শব্দ ও করেনি,, রোজা ওখানে ছিলো না একটু ওয়াশরুমে গিয়েছিলো,, ইয়ানা পিছনের দিকে তাকিয়ে একবার ওটির দিকে তাকিয়ে আবার আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে পেটে হাত রেখে খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলে গেলো।
চলবে,,,,,??
#আমার_গল্পে_তুমি
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#বোনাস_পর্ব
,
রোজা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখলো আর্দ্র অনিক আকাশ আর্দ্রর বাবা মা সহ অন্তরার বাবা মাও দাঁড়িয়ে আছে পরশ ও মুখটা ছোট করে বসে আছে ,, আর্দ্র আসার পথেই সবাইকে বলে দিয়েছে, কিন্তু এদের মাঝে কোথাও ইয়ানা নেই রোজা ওদের দিকে এগিয়ে এসে বলল,, আর আপনারা সবাই চলে এসেছেন যাক ভালোই হয়েছে৷ কিন্তু ইয়ানা কোথায়? ওকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না ওকি কোথাও গিয়েছে??
তুমি এখনো ওর কথা বলছো? ওকে বাদ দাও তোমাকে অনেক ধন্যবাদ রোজা সত্যি আজকে তুমি না থাকলে ভাবির যে কি হতো।
কিন্তু আর্দ্র ভাইয়া আমি তো,,,, রোজা কিছু বলার আগেই নার্স একটা টাওয়ালে জরিয়ে বেবিকে আনলো,, এই যে বেবি,, আর মা এবং বেবি দুজনেই ভালো আছে,,আর মেয়ে বেবি হয়েছে।
অনিক বেবিকে কোলে নিয়ে বুকের সাথে জরিয়ে চুমো খেলো সবাই বেবিকে পেয়ে অনেক খুশি তখনি নার্স বলল,, আর হ্যাঁ ওনি কোথায়? যিনি রক্ত দিলো ওনার অবস্থা ও তো ভালো না দেখলাম, অনেকটা দুর্বল ওনার তো এখন রেস্ট এর প্রয়োজন, আপনারা বরং ওনাকে এখানেই ভর্তি করে দেন।
সরি,,বুঝলাম না আপনি ঠিক কার কথা বলছেন??
ওনি ইয়ানার কথা বলছে ভাইয়া।
মানে??
মানেটা না হয় অন্তরা আপুর থেকেই শুনে নিয়েন তবে আমি চিন্তিত আপনি যা করেছেন সেটা যদি অন্তরা আপু শোনে তিনিও আপনার সাথে কথা বলবে কি না সন্দেহ,, আপনিই ইয়ানাকে হয়ত খারাপ কিছু বলেছেন তাই জন্য ও এই শরীল নিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
হ্যাঁ আমিই ওকে চলে যেতে বলেছি ওর এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই, কিন্তু তুমি বার বার এই শরীল এই শরীল করছো কেনো, কি হয়েছে ওর??
বললাম তো সেটা নাহয় অন্তরা আপুই বলবেন কেননা ওনি আমার থেকে ভালো জানেন আসলে কি হয়েছে।
অন্তরাকে কেবিনে দেওয়া হলে সবাই অন্তরাকে দেখতে কেবিনে গেলো অন্তরা পিঠের পিছে বালিশ দিয়ে হেলান দিয়ে বসে আছে, এখন ও অনেকটাই সুস্থ,, অনিক বেবি নিয়ে গিয়ে অন্তরার পাশে বসল,, পরশ লাফাতে লাফাতে এসে বলল, মাম্মাম দাখো বুনু হয়েছে অনেক সুন্দর দেখতে ছোট্ট পরি।
দ্যাখো অন্তরা আমাদের মেয়ে কেমন পিটপিট করে সারা রুম দেখছে, চোখে একটুও ঘুম নেই,।
বেবি পরে দেখবো অনিক আগে বলো ইয়ানা কোথায়,, আচ্ছা ওকে কি তোমরা এই হসপিটালেই ভর্তি করেছো?? আর আর্দ্র তুমি এখানে কেনো ইয়ানার কাছে যাও, ও নিশ্চয়ই পাশের কেবিনে একা আছে৷ তোমরাও না সত্যি বেবি তো পরেও দেখতে পারতে এভাবে মেয়েটাকে একা রেখে চলে আসলে?? চলো আমাকে নিয়ে যাও ওর কাছে ও নিজের হাতে বেবি আমার কোলে দিবে তারপর আমি বেবিকে কোলে নেবো তার আগে নেবো নাহ, আজকে আল্লাহ ওর মাধ্যমে আমার বেবি আর আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, ও না থাকলে যে কি হতে। চলো চলো ওর কাছে যাই, ও বেবিকে দেখলে অনেক খুশি হবে।
ওয়েট ভাবি তুমি এসব কি বলছো?? আর ইয়ানা কেবিনে থাকবে কেনো? ওকে হসপিটালে ভর্তিই বা করবো কেনো কি হয়েছে ওর? আর আজকে ওর জন্যই তোমার এই অবস্থা তাই আমি ওকে এখান থেকে চলে যেতে বলছি।
কিহ?? এটা তুমি কি করেছো আর্দ্র, এটা তুমি মোটেও ঠিক করেনি, মেয়েটাকে তুমি তাড়িয়ে দিলে, এটা তুমি কীভাবে করতে পারলে।
ভাইয়া এটাই করেছে আপু, তুমি জানো না ওর অবস্থাও বেশি ভালো না কত্ত টা রক্ত বেরিয়ে গেছে তার উপর আবার এই শরীল নিয়েই তেমায় রক্ত দিছে।
কিহ?? এটা তুমি কি বলছো রোজা।
ইয়ানা রক্ত দিছে মানে, আসলে হয়েছে টা কি কেউ আমায় বলবে প্লিজ? ।
আমি বলছি ইয়ানা কি করেছে, শোনো তাহলে, তারপর অন্তরা পুরোটা বলল আর্দ্র কে,, সত্যি মেয়েটা ভুল করেছে, নিজের কথা না ভেবে আমার আর বেবির কথা ভেবে সত্যি অনেক বড় ভুল করেছে তাই জন্যই তো ওর এরকম একটা ব্যবহার পাওনা হলো, তুমি সত্যি অনেক বড় ভুল করেছো আর্দ্র আমি এখন ইয়ানার সামনে যাবো কি করে, নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে হচ্ছে আজকে আমার জন্যই মেয়েটা এতোটা কষ্ট সয্য করছে না জানি মেয়েটা এখন কোথায় কি অবস্থায় আছে,,,, রোজা তো ইতিমধ্যে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছে ।
অন্তরার কথা শুনে আর্দ্রর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো, আর্দ্র কয়েক পা পিছিয়ে গেলে তারপর কিছু একটা ভেবে দৌড়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলে,,, আরে আর্দ্র শোন কোথায় যাচ্ছিস??
ওকে যেতে দাও অনিক ও যে ভুল করেছে সেটা ওকেই শুধরাতে হবে,, তবে আমি জানিনা ইয়ানা আদেও ওকে ক্ষমা করবে কি না,।
আর্দ্র কেবিন থেকে বেরিয়েই নিজের ফোন বার করে ইয়ানাকে কল দিতে গেলো তখন দেখল ওর ফোনে মিসকল উঠে আছে,, তারমানে ইয়ানা আমায় কল করেছিলো,, শিট, আমি কি করে এতোবড় একটা ভুল করলাম, ভাবিতো বলল ওর শরীলের অবস্থা ভালো না, কোথায় গেলে ইয়ানা প্লিজ ফিরে আসো একটা বার আমার ভুলটা শুধরে নেওয়ার সুযোগ দাও,, আর্দ্র ইয়ানার মাকে কল দিয়ে জিগাস করল ইয়ানা ওখানে গিয়েছে কি না,, ইয়ানার মা বলল যায়নি, আর্দ্র বলল যদি ইয়ানা ওখানে যায় তাহলে যেনো আর্দ্র কে বলে,, ইয়ানার মা আর্দ্র কে জিগাস করল যে কি হয়েছে, আর্দ্র কোনো রকমে একটা মিথ্যা বলে ফোনটা কেটে দিলো।
ইয়ানা ওবাড়ি যায়নি তাহলে কি ইয়ানা বাড়িতে গিয়েছে,, আর্দ্র হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে গেলো, বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলো ডয়িং রুমে রক্ত তাও আবার পায়ের ছাপ,, এটা নিশ্চয়ই ইয়ানার রক্ত ইস কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার ইয়ানার আর আমি কীভাবে পারলাম ওকে আরো কষ্ট দিতে, আর্দ্র ইয়ানার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে উপরে চলে গেলো সবগুলো রুমে দেখল কিন্তু কোথাও ইয়ানাকে পেলো না তারপর অন্তারর রুমের সামনে গিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে রুমের দরজাটা খুলেই দেখল পুরো ফ্লোর জুড়ে শুধু রক্ত লেগে আছে,, কিন্তু রুমের কোথাও ইয়ানা নেই, তারমানে ইয়ানা এখানে আসিনি তাহলে গেলো কোথায় ও,,, আর্দ্র দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়ল, যেই হাত দিয়ে ইয়ানাকে চড় মেড়েছিলো সেই হাতটা জোরে দেওয়ালের সাথে ঘুষি মারলো তারপর ফ্লোর থেকে একটা ভাঙা কাঁচের টুকরো উঠিয়ে হাতে জোরে চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলল,,, আর্দ্র এই নাকি তুই ইয়ানাকে ভালোবাসিস তাহলে নিজের ভালোবাসার উপর একটুও বিশ্বাস রাখলি না কেনো,, কেনো ওকে জিগাস করলি না যে কি হয়েছিলো তুই অনেক বড় ভুল করেছিস তোর তো শাস্তি পাওয়া উচিত,, আর্দ্র একা একাই কথা গুলো বলছিলো আর চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পরছে, এদিকে কাঁচের টুকরোতে ওর হাত কেটে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোনো খেয়াল নেই।
,,,,,,,
ইয়ানা আস্তে আস্তে নিজের চোখটা খুললো মাথাটা ভীষণ বেথ্যা করছে পাটা নড়াতে গিয়েই পায়ে অনেক বেথ্যা পেলো, পেটের মধ্যে মনে হচ্ছে যেনো কেউ বেথ্যার পাহার বসিয়ে দিয়েছে,, ইয়ানা ভেবেছিলো ও চোখ খুলে আর্দ্র কে দেখবে কিন্তু না ওর সামনে সুহাগ দাঁড়িয়ে আছে,, তখন হসপিটাল থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলো তখনি মাথাটা কেমন ঘুরে উঠল তারপর আর কিছু মনে নেই।
কিরে এখন কেমন লাগছে?? কোথাও বেথ্যা করছে?? ডাক্তারকে ডাকবো??
না সুহাগ ভাইয়া আমি ঠিক আছি।
আচ্ছা তাহলে এখন বলতো তুই ওভাবে রাস্তায় পরে ছিলি কেনো? আর তোর এই অবস্থায় বা হলো কি করে??
চলবে,,,,??