আমার শুধু তোমাকেই চাই পর্ব-০৩

0
4198

#আমার_শুধু_তোমাকেই_চাই🍁🍁
#লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী
#পর্ব;৩

(নাম নিয়ে সবার অনেক সম্যসা হচ্ছে তাই মাহিন এর নাম বদলে মেহরাব দিয়েছি আর মেঘার নাম বদলে মেঘলা দিয়েছি তাছাড়া সব ঠিক আছে)
৯,,,
হ্যালো মেহরাব কোথায় তুই প্লিজ একটু কষ্ট করে সিটি হসপিটাল এ আসবি (মেহরাবের বন্ধু শিমুল)

মাহিরা ঠিক মতো বাড়ি পৌছেছে কি না তা দেখে কেবলি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো তখনি শিমুল এর ফোন।

কেনো কি হয়েছে আংকেল আন্টি ঠিক আছেন তো??(মেহরাব)

হ্যাঁ সবাই ঠিক আছে,, কিন্তু কাল আপুর ডেলিভারির ডেড ছিলো কিন্তু আজকে বাথরুম পা পিছলে পড়ে গেছে অনেক বিল্ডিং হয়েছে এখন অনেক খারাপ অবস্থা ডাক্তার বলেছে ইমারজেন্সি ব্লাড লাগবে আর আপুর রক্তের গ্রুপ এর সাথে তোর রক্তের গ্রুপ এর মিল আছে তাই বলছি একটু জলদি হসপিটালে আয় (শিমুল)

ওকে আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আসছি তুই চিন্তা করিস না।

এই বলে মেহরাব ফোন কেটে দিয়ে হসপিটালের দিকে গেলো। কিন্তু একটু দূরে আসতেই ট্রাফিক সিগনাল পড়ল কিন্তু এখন দেরি করলে চলবে না তাই ট্রাফিক সিগনাল না মেনে ওমনেই চলে গেলো। ওখানে মেঘের ও গাড়ি ছিলো দুপুরের খাবারের জন্য বাড়ি যাচ্ছিলো আর তখনি দেখলো যে একটা ছেলে ট্রাফিক সিগনাল না মেনে চলে যাচ্ছে তাই রেগে বলল।

এই ছেলো তুমি ট্রাফিক সিগনাল না মেনে এভাবে যেতে পারো না এটা অন্যায়(মেঘ)

দেখুন স্যার এখন আমার সময় নেই তাই আমি সিগনাল মানতে পারলাম না এই বলে মেহরাব মেঘ কে ইগনোর করে বাইক নিয়ে চলে গেলো।

কি বিয়াদপ আর অভদ্র ছেলে কিচ্ছু শেখে নাই এদেরকে তো রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোতে দিয়াই উচিত না (এই বলে মেঘও রেগে ওখান থেকে চলে গেলো)।

,,,,বাড়িতে,,,,

কি হয়েছে ভাইয়া তুমি এতো রেগে আছো কেনো কি হয়েছে??(মাহি)

আর বলিস না এখনকার ছেলেগুলো হয়েছে না একদম খারাপ হয়ে গেছে কোনো আইন মানে না নিজের মতো করে চলে যত্তসব(মেঘ)

কেনো কে আবার কোন আইন মানলো না(মাহি)

তারপর রাস্তায় ঘটা কাহিনী না মাহিকে বলল।শোন এখন থেকে সাবধানে থাকবি দিনকাল ভালো না। তা দুপুরে খেয়েছিস??

না তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো একসাথে খাবো।

আচ্ছা ঠিক আছে।

১০,,,
,,,হসপিটালের সব কিছু ঠিকঠাক করে মেহরাবের বাড়ি আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।

কিরে কোথায় ছিলি তুই আজকে আসতে এতো দেরি হলো কেনো (মেহরাবের মা রুপালী)

আর বলো না মা ওই যে শিমুল আসে না ওর আপু অসুস্থ তাই হসপিটাল এ গিছিলাম। খুব ক্লান্ত লাগছে তুমি খাবার দাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। তা বাবা কোথায়??(মেহরাব)

কোথায় আবার থাকবে অফিসে এখুনি চলে আসবে তোকে তো কতকরে বলে অফিসে বসতে তুই তার কোনো কথাই শুনিস না (রুপালী)

ওফ মা চুপ করো তো আগে আমার ভার্সীটি লাইফ শেষ হোক তারপর ভেবে দেখব এখন গেলাম তুমি খাবার দাও। খেয়ে লম্বা একটা ঘুম দিতে হবে। এরপর মেহরাব ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

,,,রাত ১০ টা,,,,
আচ্ছা ওনি কি ঘুমিয়ে পরেছে?? কি জানি কত কষ্ট করে মাহিকে লুকিয়ে ওর ফোন থেকে ওনার নাম্বার টা নিলাম কিন্তু জীবনে আর ফোন দিতে পারলাম না,,, ভয় লাগে যদি ওনি বকা দেয়। (পড়ার টেবিলে বসে মেঘলা এসব কথা ভাবছিলো আর তখনি মেঘের নাম্বার থেকে মেঘলার ফোনে কল আসলো)

একি ওনার ফোন ওনি আমায় কল দিয়েছে ওরে আল্লাহ আমি এতো খুশি কই রাখব,, ওনার ফোন পেয়ে এতোই খুশি হয়েছি যে ফোন ধরার কথাই ভুলে গেছি।

যা ফোন তো বাজতে বাজতে কেটে গেলো এখন কী হবে ওনি যদি আর ফোন না দেয় (মন খারাপ করে এসব কথা ভাবছিলাম তখনি আবার ফোনটা বেজে উঠল এবার আর দেরি না করে ফোন ধরে বললাম)

হ,,,হ্যালো (বুকের মধ্যে ধুকপুক করছে)

কিরে গাধী ফোন ধরতে এতো সময় লাগে কেনো কই মরছিলি (মাহি)

কে,,ও তুই (হতাশ হয়ে বলল মেঘলা)

কেনোরে কাকে মনে করিছিলি হুম হুম বল বল (মজা করে)

কেউ না এখন বল এতো রাতে কেনো ফোন দিছোস (মেঘলা)

হ্যাঁ শোন কাল তুই ওই নীল রঙের ড্রেসটা পড়ে আসবি ওকে আমিও নীল পড়বো দুজন এক জামা পড়ে যাবো বুঝলি (মাহি)

কিহ?? তুই এই কথা বলার জন্য এতোরাতে ফোন দিছিস??(মেঘলা)

হ্যাঁ তো কি হয়েছে। আমার ফোনে টাকা নেই তাই ভাইয়ার ফোন থেকে ফোন দিছি যা বললাম সেটাই পড়ে আসবি কিন্তু ওকে এখন রাখলাম বাই গুড নাইট (মাহি)

হুম রাখ গুড নাইট (মেঘলা)

এই মেয়েটাও না পাগল। আবার ফোন টা বেজে উঠল উফ আবার কেনো ফোন দিলো কি বলবে এই মেয়েটা আমায় আজ ঘুমাতে দেবে না।

হ্যাঁ বল কি বলবি (মেঘা)

ও এটা তাহলে তোমার নাম্বার??(মেঘ)

ওরে বাবাগো এটা তো মেঘ আর আমি কেমন করে কথা বললাম তোর কি জেলে যাওয়ার সখ হয়েছে মেঘলা??(মনে মনে)

কি হলো কথা বলছো না কে(মেঘ)

জ,,,জি,,(মেঘলা)

হুম ভালো তা রাতে খেয়েছো??(মেঘ)

জি,

হুম ভালো আচ্ছা তাহলে রাখলাম ঘুমিয়ে পরো গুড নাইট ।

আচ্ছা.।

তারপর মেঘ ফোন রেখে দিলো। বাবাগো বুকের মাঝে যেনো কেউ হাতুড়ি পিটাচ্চে কেমন করে কথা বলে উমমম কুচুপু একটা। যাই ঘুমিয়ে পড়ি কাল আবার ভার্সিটী আছে।

১১,,,,
,,,,সকালে,,,

মা মা আমি ভার্সিটীতে যাচ্ছি (এই বলে মেহরাব বাইক নিয়ে চলে গেলো,, আজ তারাতারি গিয়ে মেঘার কাছ থেকে মাহির ফোন নাম্বারটা কৌশলে নিতে হবে)

আরে শোন খেয়ে যা,,,,যা চলে গেলো এই ছেলেটাও না কোনো কথায় শোনে না,,,(এই বলে মেহরাবের মা ভিতরে চলে গেলো)

আজ যদি গিয়ে দেখি যে মাহি এখনো ঘুমাচ্চে তাহলে একদম সোজা পানি ঢেলে দিবো। প্রতিদিন এতো সকাল সকাল এসে ওকে উঠাতে হবে কেনো আমার কষ্ট হয় না বুঝি একটু দয়া করে ভাবি বানানিলেই তো হয় না তা করবে না ওর যে রাগী ভাই বাবা (বকবক করতে করতে মাহিদের বাসায় চলে আসলাম কিন্তু আজকে ডাইনিং টেবিলে মেঘ নেই কেনো?? চলে গেলো নাকি এতো সকালে কি জানি)

এই বলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে মাহির রুমের দিকে গেলাম তখনি দেখলাম মেঘ এর রুমের দরজা টা খোলা

কি বেপার ওনার রুমের দরজা খোলা কেনো তাহলে কী ওনি যাইনি?? আমি কি রুমে ঢুকে দেখবো,,না বাবা যদি রাগ করে,,তাতে কি আমি বলবো যে ভুল করে চলে আসছি হ্যাঁ এটাই বলবো,।

তারপর আস্তে আস্তে রুমের ভিতর ঢুকলাম দেখলাম বিছানার উপর ইউনিফর্ম টা রাখা,, তারমানে ওনি যাননি,, হঠাৎ ওয়াশরুমের ভিতর থেকে মেঘ বলে উঠল,,।।

রুমে কে মাহি নাকি, তাহলে আমার টাওয়ালটা দে তো আজ অনেক দেরি হয়ে গেলো,, কি রে শুনতে পাচ্ছিস দে যলদি(মেঘ)

এমা ওনি তো আমায় মাহি ভেবেছেন আমার টাওয়াল টা কি দেওয়া ঠিক হবে?? তাতে কি আমি টুপ করে দিয়ে চলে আসবো ওনি বুঝতেও পারবে না। হ্যাঁ দিই তাহলে।

যেই ভাবা সেই কাজ আমি টাওয়ালটা নিয়ে ওনার ওয়াশরুমের দরজায় টুকা দিলাম ওনি হালকা করে দরজা টা খুলে যেই টাওয়ালটা নিবে ওমনি ধপাস করে এসে আমার গায়ের উপর পরলো আর আমি ওনার নিচে। ওরে বাবা মনে হয় চিরেচেপ্টা হয়ে গেছি (মেঘলা)

কেবলি টাওয়াল টা মাহির হাত থেকে যেই নিবো ওমনি সাবানে পিছলে গিয়ে সোজা সামনে থাকা মানুষ টার গায়ের উপর পরলাম ভালো করে তাকিয়ে দেখি এটা মেঘলা,, চোখ বন্ধ করে আছে আর ওর ঠোঁট জোড়া কাপছে আমার চুল থেকে পানি ওর মুখে পরছে কয়েক ফোঁটা ঠোটের উপর ও পরছে,, মন চাইছে টুপ করে ওর ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোটের ভাজে নিয়ে নিয় কিন্তু না এটা করা যাবে না। তাই আমি আমার বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে ওর ঠোঁটের উপর পড়া পানিটা মুছে দিলাম,, মেয়েটা একবার এর জন্যও নিজের চোখ খুলছে না, হঠাৎ (মেঘ)

চলবে,,,