#আরশি
#Part_11
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
— তোর জবের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে।
কথাটা শুনার সাথে সাথে আমি চমকে উঠি। নিভু নিভু আলো জ্বলে উঠে মনের দুয়ারে। আমি আশাবাদী দৃষ্টিতে মামার দিকে তাকাই। মামা গলা ঝেড়ে বলেন,
— এ আর কোম্পানির এমডি মি. শরিফ আমার চেনা জানা। তাকে বলেছিলাম যে যদি কোন চাকরির খোঁজ সে পায় তাহলে জানাতে। গত পরশুদিন রাতেই সে ফোন করে জানালো যে তার কোম্পানিতে একজন এমপ্লয়ি লাগবে। ফিন্যান্স সেক্টরে। আর তুই তো ফিন্যান্স সাবজেক্টটা নিয়েই পড়েছিস। এখন তুই যদি রাজি থাকিস তাহলে শনিবার সকাল দশটার দিকে নিজের সব কাগজপত্র নিয়ে সেই অফিসে তার সাথে দেখা করতে যাবি। যদি তার মনে হয় তুই জবের জন্য উপযুক্ত তাহলে তোকে হায়ার করা হবে অথবা না।
— সেটা তো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি।এক্সপিরিয়েন্স ছাড়া চাকরি দিবে?
— আমার সাথে কানেকশন আছে বলে বিবেচনা করবে হয়তো বা। যেহেতু তুই নিজের যোগ্যতায় জব পেতে চাচ্ছিস সেহেতু আমি এখনো সুপারিশ করি নি৷ অবশ্য আমি নিজেও সুপারিশ করতে ইচ্ছুক নই।
আমি মামার দিকে কৃতজ্ঞতার চোখে তাকাতেই মামা খাওয়ায় মন দেয়। সে বরাবরই আমার এমন চাহনি উপেক্ষা করে। কেন করে তার উত্তর সঠিক আমার জানা নেই। আমি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে খাওয়ায় মন দেই। তখন মামা পুনরায় বলে উঠে,
— কম্পিউটার চালানো মনে আছে তো? ইন্টার শেষে তো কোর্স করেছিলি।
— হাল্কা পাতলা মনে আছে। কিন্তু পুরো পুরি ভাবে না।
— তাহলে এই কয়েকদিনে আমার কাছ থেকে শিখে নিস। জব যদি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু তোকে বেশির ভাগ কাজ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপেই করতে হবে।
— তোমার ল্যাপটপ আছে?
— থাকবে না কেন আজব?
— না মানে তুমি চালানো কবে শিখলে? আগে তো আমার সাথেই শিখতে বলেছিলাম শিখলে না তো তখন।
— সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে হয়। তারই সাথে বেশ কিছু জিনিস আয়েত্তেও আনতে হয়। আমার বুটিক হাউজের কিছু প্রডাক্ট দেশের বাইরে যায়। বেশির ভাগ কাজই তখন অনলাইনে করতে হয়। তো সেই জন্যই ল্যাপটপ চালানো শিখতে হয়েছিল। তখনই আরকি কিনা হয়ে যায়।
— ভালো তো।
— তুই কিন্তু নিজেকে গুছিয়ে নিতে শুরু করে দে।
— হুম।
____________________________________________
বিকেলের দিকে ল্যাপটপ চালানোটা আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা করছি৷ বেশ কিছু জিনিসই ভুলে গিয়েছি। অবশ্যই ভুলে যাওয়ার এই কথা। এসব কর্মকাণ্ড অনুশীলনে না থাকলে মনে রাখাটা দায় হয়ে যায়। সেখানে আমি কতটা বছর ধরে এইসবের ধারের কাছেও নেই। ভার্সিটি লেভেলে থাকতে বিভিন্ন এসাইনমেন্ট করার জন্য ল্যাপটপের প্রয়োজন হতো। তখন ফাহাদের কাছ থেকে ওর ল্যাপটপটা ধার নিতাম। ও সহজতর আমায় ওর ল্যাপটপ ধরতে দিত না। অনেক কষ্টে তাকে মানাতে হতো। সবসময় রাজীও হতো না। তখন ফ্রেন্ডকে দিয়েই নিজের এসাইনমেন্টগুলো করাতাম। সময়ের সাথে অবশ্য সেই ফ্রেন্ডগুলিও হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।ঘন্টা খানিক আগেই মামা অহনাকে নিয়ে পার্কের উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছে। অবশ্য এইটা রোজকার রুটিন। বিকেলে তার পার্কে গিয়ে খেলা চাই এই চাই। অভ্যাসটা অবশ্য মামা নিজেই করেছে৷
আমি মনোযোগ দিয়ে ল্যাপটপ চালাচ্ছি এমন সময় জামায় টান পরে। আমি পাশে তাকাতেই দেখি অহনা ছোট ছোট চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কপালে ও বোচা নাকের মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে। ফর্সা গাল দুইটি টকটকে লাল হয়ে আছে। সুরু ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি ঝুলছে। আমিও মিষ্টি হাসি দিয়ে ল্যাপটপটা কোল থেকে নামিয়ে ওকে কোলে তুলে নেই। ওড়নাটা টেনে সামনে নিয়ে এসে অহনার কপালের ঘামটুকু মুছে দেই। স্বাভাবিক কন্ঠে বলি,
— কি আমার মামনির খেলা হয়েছে বুঝি? নানুকে আজ বেশি জ্বালাও নেই তো?
— উঁহু! আমি কি কাউকে জ্বালাতে পারি? আমি না তোমার ভালো বেবি?
— হ্যাঁ তাই তো।
— আম্মি জানো আজ কি হয়েছে?
— তুমি না বললে আম্মি কিভাবে জানবে সোনা।
অহনা থুতনিতে হাত রেখে ভাবার অভিনয় করে বলে,
— তাও তো ঠিক। আচ্ছা তাহলে শুনো আমি এই বলছি। আজ না আমি চকলেট আঙ্কেলকে দেখেছি।
আমি অহনার কথাটা বুঝতে না পেরে বলি,
— কাকে দেখেছ?
— চকলেট আঙ্কেলকে।
আমি অহনার কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকাই। মনে করার চেষ্টা করি এই চকলেট আঙ্কেলটা কে। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারি না। আমি অস্ফুটে স্বরে জিজ্ঞেস করি,
— কার কথা বলছো তুমি মামনী?
— ওই যে পার্কে আমার পায়ে যে কাপড় বেঁধে দিয়েছিল।
অতঃপর আমার সেইদিনের কথা মনে পড়ে। কেউ একজন অহনার পায়ের ক্ষতস্থানে রুমাল বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সে কে ছিল তা আমার জানা হয় নি। তাই তার কথাটাও মাথা থেকে বেড়িয়ে যায়। আমি অহনার দিকে তাকিয়ে বলি,
— তারপর? তুমি কি গিয়ে কথা বলেছিলে?
— না আম্মি। আমি ডাক দেওয়ার আগেই সে চলে যায়। আর খুঁজে পাই নি আমি।
কথাটা বলে সে মন খারাপ করে বসে। আমি ওর কপালে চুমু একে বলি,
— তোমার কি তার সাথে কোন দরকার ছিল?
— হু!
আমি আর এই বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে অহনাকে বলি,
— থাক পরের বার দেখা হলে কথা বলে নিও। আর তুমি তো দেখছি পুরো ঘেমে গিয়েছ। চল তোমায় চেঞ্জ করিয়ে ফ্রেশ করে দেই।
— তারপর আইস্ক্রিম খাব। পিলিজ!
— আচ্ছা খাবে। কিন্তু অল্প, তোমার না কয়েকদিন আগেই ঠান্ডা লেগেছিল।
— আচ্ছা।
কথাটা বলেই অহনা আমার গলা জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে বসে। অহনার এহেন কান্ডে আমি হেসে দেই।
__________________________________________________
সমুদ্র নীল আকাশের বুকে আজ শুভ্রময় মেঘের ছড়াছড়ি। দূর থেকে কানে ভেসে আসছে চড়ুই পাখির কিচিরমিচির। ইলেক্ট্রিক পোলের তারের উপর আলসে ভঙ্গিতে বসে আছে এক জোড়া কাক। আকার-ভঙ্গি এমন যে তারা যেন কোন বিষয়ে নিয়ে বেশ বিরক্ত। নিজের বিরক্ত প্রকাশ করার জন্য সে ক্ষণেকের মাঝেই বার বার কর্কশ কন্ঠে ডেকে উঠছে। ধীরে ধীরে রৌদ্র মামার উত্তাপ বেড়েই চলেছে। বাতাসের সাথে আজ ধুলোবালি মিলে একাকার। রাস্তায় শা শা শব্দ করে গাড়ি ও বাইক ছুটে চলেছে নিজের গন্তব্যে। পিছে ফেলে যাচ্ছে প্রকৃতির জন্য কিছু বিষাক্ত গ্যাস। বড় রাস্তার মোড়ে লেগেছে সিগন্যালের জ্যাম। অহেতুক হর্ণের আওয়াজে পরিবেশ হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। সিগন্যালের জ্যাম ছাড়তেই সকলে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো। দীর্ঘ জ্যাম পেড়িয়ে অবশেষে আমি এসে পৌঁছালাম এ আর কোম্পানির বিল্ডিংয়ের নিচে। দীর্ঘ এক নিশ্বাস নিয়ে ঢুকে পড়লাম ভিতরে।
ওয়েটিং রুমে বসে আছি ঘন্টা খানিক হলো। এমডি এর আসার কথা আরও ৩০ মিনিট আগে। অথচ এখনো তার আসার নাম গন্ধ নেই৷ এই হচ্ছে বাঙ্গালী এক স্বভাব। তারা কখনোই সময় নির্ধারণ করে সেই সময়ে আসতে পারবে না। নিয়মানুবর্তিতা যেন এদের ধরে বেঁধেও শিখানো যাবে না। আরও পাঁচ-দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর খবর আসলো যে এমডি স্যার এসেছেন। আমাকে তার কেবিনে যাওয়ার জন্য বলছেন। আমি এইবার বুক ভরা নিঃশ্বাস নিয়ে মনে সাহস জুগিয়ে নেই৷ অতঃপর পা বাড়াই এমডি স্যারের রুমের দিকে।
এ আর কোম্পানির এমডি মি. শরিফের সামনে বসে আছি। অপর পাশের চেয়ারেই মি. শরিফ বসে আছেন আর সুক্ষ্ম চোখে আমার কাগজপত্রের দিকে চোখ বুলাচ্ছেন। ক্ষণে ক্ষণে নাকের ডগায় থাকা চিকন ফ্রেমের চশমাটি তিনি বা হাত দিয়ে ঠেলে দিচ্ছেন। চোখে মুখে তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট। গালের নিচের দিকে হাল্কা চামড়া ঝুলে পড়েছে। রোদে পুড়ে যাওয়া হাতের চামড়াটিও কুচকে এসেছে। কিন্তু তাও বান বেশ ভালোই আছে। আপাতত পরিবেশটা বেশ থমথমে। মনের মধ্যে আমার কোন এক আশঙ্কা বাসা বাঁধছে। নার্ভাস ফিল হচ্ছে। যার ফলে গলাটা প্রায় শুকিয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে জানি না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। ঠিক এমন সময় মি. শরিফ গলা ঝেড়ে উঠেন। আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
— তা মিস. আরশি। জবটি আপনাকে দেওয়া হবে কি না তা জানানোর আগে আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই। আশা করি তাতে আপনার কোন প্রবলেম নেই।
প্রশ্নের কথা শুনেই আমার মনের মধ্যে থাকা আশঙ্কাটি দৃঢ় হয়ে আসে। মনের মধ্যে কু ডাকতে শুরু করে। বার বার এমন বোধ হতে থাকে, ‘তিনিও সকলের মত আমার ডিভোর্সি হওয়া নিয়েই প্রশ্ন করবেন।’ এমন ভাবনা মাথায় আসতেই আমি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেই। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। কাঠ কাঠ গলায় বলি,
— জ্বী নেই।
— আপনি এই জবটি কেন করতে চাইছেন? স্পেসিফিক কোন কারণ আছে কি?
মি. শরিফের প্রশ্ন শুনে আমি স্বস্থির নিঃশ্বাস নেই। আমি যে ধারণা করছিলাম তা হয় নি। আমি এইবার স্বাভাবিক কন্ঠে বলি,
— সকল নারী এই চায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে। অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে কিছু করতে। আত্মনির্ভরশীল একজন ব্যক্তি হতে। আমার বেলায় যে এর ব্যতিক্রম কিছু তা কিন্তু নয়। এসব ব্যতীত এই সমাজে একা বাস করা সহজ না। তাও আবার সিঙ্গেল মাদার হয়ে। অনেক স্ট্রাগল করতে তাদের। নিজের জন্য, নিজের সন্তানের জন্য। আমি নিজের জন্য না হলেও আমার মেয়ের জন্য আত্মনির্ভরশীল হতে চাই। সে যাতে মাথা উঁচু করে বলতে পারে সে কার মেয়ে। ওর যাতে কখনো মনে না হয় ওর বাবা নেই বলে তার মা অসহায়। বরং সবসময় এই ভাবনা পোষণ করুক যে তার বাবা ছাড়াই তার মা একশ।
— ইম্প্রেসিভ! আপনার চিন্তা-ভাবনা সত্যি অসাধারণ। আই এপ্রিশিয়েট ইউ। একটু আগেও আমার ভাবনা ছিল আপনি এই জবটির জন্য কোয়ালিফাইড না। বাট আপনার মধ্যে কিছু করার একটা জোস আছে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আছে যা সকলের চোখ জলসে দিতে সক্ষম। এই আত্মবিশ্বাসের উপরই আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হলো। আপনাকে ২ সপ্তাহ অব্জার্ভার করা হবে। আপনি ঠিক কতটুকু এক্টিভ তা দেখা হবে। সেটার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আপনি আদৌ জবটির জন্য কোয়ালিফাইড কিনা।
— থ্যাংকস আ লোট স্যার।
— হুম! তা আপনি মি. সাদমান এর আন্ডারে থাকবেন। তিনি আপনাকে কাজ গুলো বুঝিয়ে দিবে। ওয়েট আ মিনিট।
এরপর মি. শরিফ কাউকে যেন ফোন করে নিজের কেবিনে আসতে বলেন। মিনিট পাঁচেকের মাঝেই কেউ এসে দরজায় কড়া দেয়৷ দৃঢ় কন্ঠে বলে উঠে,
— মে আই কাম ইন স্যার?
— ইয়েস কাম ইন।
মি. শরিফ পার্মিশন দিতেই সে ভিতরে চলে আসে। ভিতরে এসে সে বলে উঠে,
— আমাকে ডেকেছিলেন স্যার?
— হ্যাঁ! মি. সাদমান এনি হচ্ছে মিস. মিশকাতুল আরা আরশি। এখন থেকে সে আপনার আন্ডারে কাজ করবে। আর মিস. আরশি এনি হচ্ছেন আমাদের কোম্পানির ফিন্যান্স ডিরেক্টর মি. মাহবুব হোসেন সাদমান।
আমি চোখ তুলে তাকাতেই দেখতে পাই একজন ফর্মাল ড্রেসাপে থাকা যুবক দাঁড়িয়ে আছে। যুবক বলা ভুল হবে কি না জানি না। যুবক হতে বয়স একটু বেশি কিন্তু চেহেরায় সেটা স্পষ্ট নয়। আমি তার চেহারার দিকে তাকাতেই কয়েক মূহুর্তের জন্য থমকে যাই। কেন না এই মুখটি যে আমার চেনা। সামনে থাকা ব্যক্তিটি আমায় চিনতে পেরেছে কিনা জানি কিন্তু সেও এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এর মাঝেই মি. শরিফ বলে উঠেন,
— মি. সাদমান এনাকে সকল কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনার। আর মিস. আরশি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে এনাকে জিজ্ঞেস করবেন। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?
আমি নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে সামনে তাকিয়ে মাথা দুলাই। সাদমান নামক ছেলেটিও মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানিয়ে বলে,
— জ্বী স্যার।
— ওকে দ্যান। মি. সাদমান এনাকে আপনি নিয়ে যান। সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন আর কাজের ধরণটা বুঝিয়ে দিন। এন্ড ইউ মিস. আরশি, আপনি কালকে থেকে জয়েন করতে পারবেন। আজ আপাতত সকলের সাথে পরিচয় হোন আর কাজের ধরণটা বুঝে নিন। ইউ গাইস ক্যান মে লিভ নাও।
আমি পুনরায় মাথা দুলাই। সাদমানও সম্মতি জানিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে। তার দেখাদেখি আমিও তার পিছু পিছু বেরিয়ে আসি। বেরিয়ে আসতেই দেখি সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কিছু না বলে তার সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়াই। তার দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারি সে আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অতঃপর হুট করে সে সন্দিহান সুরে বলে উঠে,
— তুমি মিস মুকুর না?
#চলবে