#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪৫
তোড়া অডিশন রুম থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠেছে মাত্র তখনই ফোন বেজে ওঠে। ফোনের দিকে তাকাতেই দেখে রেয়ান্স ফোন করেছে। মুচকি হেসে রিসিভ করতেই রেয়ান্স এর আওয়াজ শুনতে পায়।
-“কংগ্রাচুলেশন ওয়াইফি ।
-” তুমি কি করে জানলে আমি সিলেক্ট হয়েছি? তোড়া আলতো হেসে বলে ওঠে।
-“আমি জানতাম তুমি সিলেক্ট হবে। আমার ওয়াইফি এমনই। রেয়ান্স বলে ওঠে।
-” তবে হ্যাঁ আমার ওই নোমান কে একদমই ভালো লাগেনি। রেয়ান্স কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলে ওঠে।
রেয়ান্স এর কথা শুনে তোড়া নিজের মনে হেসে ফেলে।ঠোঁট চেপে নিজের হাসি আটকে নেয়।
-“তা কেনো পছন্দ হয়নি জনাব এর নোমান সোমানি কে। ওই তো ওশিয়ান স্টার গ্রুপ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার। তোড়া হাসি চেপে বলে ওঠে।
-” আমার পছন্দ হয়নি মানে হয়নি ও কেনো তোমার কাছে আসার চেষ্টা করছিলো। রেয়ান্স কিছুটা রেগে বলে ওঠে।
রেয়ান্স এর কথা শুনে তোড়ার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। আজ অডিশন রুমে নোমান সোমানি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নিজেই ছিল। এবং তাকে দেখে উৎফুল্ল হয়েছে বটে। যেচে এসে তার সাথে আলাপ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তোড়া এড়িয়ে গেছে। রেয়ান্স যে ওই কথা বলছে ভাবতেই হাসি পাচ্ছে।
-“বাহ এটাও দেখছি জেনে গেছি তা জনাব আমার পিছনে স্পাই লাগিয়েছ নাকি। তোড়া খানিকটা হেসে বলে ওঠে।
-“আমার অজানা এখানে কিছু নেই। আমি যায় জানতে চাই সেটা মুহূর্তে জেনে ফেলি সুইটহার্ট। রেয়ান্স বলে ওঠে।
-“ওহ হ্যাঁ আমি তো ভুলে গেছিলাম এই ইন্ডাস্ট্রির কিং এর সাথে কথা বলছি আমি। তোড়া বলে ওঠে।
-“আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকে আর জেলাস হতে হবে না তুমি নিশ্চয়ই এটাও জানো আমি কিভাবে তাকে এড়িয়ে গেছি। তোড়া বলে ওঠে।
-“আমার তোমার ওপরে পুরো বিশ্বাস আছে ওয়াইফি। কিন্তু অন্যদের ওপরে নেই তাই চিন্তা হয়। রেয়ান্স বলে ওঠে।
-“আচ্ছা আচ্ছা আর চিন্তা করতে হবে না মন দিয়ে কাজ করো আর তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে এসো। আমি গাড়িতে আছি ফিরছি। তোড়া হেসে বলে ওঠে।
-“ওকে বাই ওয়াইফি ।
তোড়া ফোন কেটে জানালার বাইরে দিকে নিজের দৃষ্টি রেখে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে। রেয়ান্স এই অদ্ভূত অদ্ভূত আচরণ গুলো তাকে অনেক ভালো ফিল করায়। তাকে এত পজেশিভ দেখলেই তার বুকের মধ্যে অনুভূতির পাহাড় জমে যায়। তোড়া রেয়ান্স এর কথা গুলো মনে করে হাসতে থাকে। এদিকে রাই ড্রাইভ করতে করতে আড় চোখে তোড়া কে লক্ষ করতে থাকে। সে এতক্ষণ তাদের সব কথাই শুনেছে। তোড়া কে এত খুশি হতে দেখেই রাই এর মন ভরে যায় এর আগে সে কখনোই তোড়ার মুখে এমন হাসি দেখেনি। নিজের পরিবার আর অভি কে নিয়ে সারাক্ষণ মন মরা হয়ে থাকতো তার মুখের এই হাসি কখনোই দেখা যেতো না।
————–
এদিকে রেয়ান্স ফোন রেখেই চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে পড়ে ।হাত গুলো ভাঁজ করে মাথার ওপর রাখে। ঠোঁটের কোণে ঝুলে আছে একটা মিষ্টি হাসি। শাহীন তার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সবটাই লক্ষ করে যাচ্ছে, সে সব সময়ে নোটিশ করেছে তার স্যার তোড়া ম্যাডাম এর সাথে কথা বলার সময়ে আলাদা মানুষে পরিনত হয়ে যায়। যার মধ্যে কোনো রাগ অ্যাটিটিউড এর ছিটে ফোটা ও থাকে না শুধু তার পুরোটা জুড়ে ভালোবাসার অনুভূতির দল খেলে বেড়ায়। আর বাকি সময়ে তাকে দেখলে মনে এর মত বদ রাগী মানুষ আর পৃথিবীতে দুটো নেই পান থেকে চুন খসলেই তার দিন পুরো তেজপাতা হয়ে যাবে। মনে হয়েছিলো যেনো চিরতার জুস খাইয়ে দিয়েছে কেউ জোর করে।
-“আমাকে নিয়ে গবেষণা না করে তোমাকে যে কাজ দেয়া হয়েছে সেটা করো। রেয়ান্স ওই একই অবস্থায় থেকে বলে ওঠে।
রেয়ান্স এর কথা শুনে শাহীন থতমত খেয়ে যায়। সব সময়ে এর মত আজ ও সে তার স্যার কে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছে।
-” স্যার আসলে মানান পরিবারের কোনো রহস্য উদ্ধার হচ্ছে না। পুরোটাই কেমন একটা জটিল গোলক ধাঁধার মত। শাহীন আমতা আমতা করে বলে ওঠে।
-” তোমার এটা কেনো মনে হচ্ছে শাহীন? রেয়ান্স ঠিক হয়ে বসে ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে।
-“আসলে স্যার আমরা কোনো কিনারা করতে পারছি না। সব কিছু কেমন একটা ধোঁয়াশায় পরিনত হয়েছে। মানান পরিবারের ব্যাপারে কোনও রিপোর্ট নেই আবারো এমন কিছু সামনে এসেছে যে মনে হচ্ছে এর মধ্যে বড় কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে শাহীন বলে ওঠে।
রেয়ান্স কিছু না বলেই টেবিলের ওপর থেকে পেন্সিল নিয়ে ভ্রু এর ওপরে রাব করতে থাকে। শাহীন তার হাতে থাকা পেপার গুলো রেয়ান্স এর সামনে এগিয়ে দেয়। পেপার গুলোতে এক নজর চোখ বুলিয়ে নেয় সাথে সাথে রেয়ান্স এর চোখে মুখের ভাব পাল্টে যায় পুরোটা যেনো এখন রহস্যময় মনে হচ্ছে রেয়ান্স এর চোখ মুখ ।
-“স্যার আমরা ম্যাডাম এর থেকে কিছু জানতে পারি না? শাহীন বলে ওঠে।
-” উমমম! হুম । রেয়ান্স নিজের ভাবনা ছেড়ে বলে ওঠে।
-“শাহীন তুমি খোঁজ চালিয়ে যাও তারপর বাকিটা আমি দেখে নিচ্ছি। রেয়ান্স বলে ওঠে।
-” ওকে স্যার। বলে শাহীন রুমে থেকে বেরিয়ে যায়।
শাহীন বেরিয়ে যেতেই রেয়ান্স তার নিজের ভাবনায় ডুবে যায়।
————–
তোড়া বাড়িতে ঢুকতে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তার সামনে লিভিং রুমে হুলস্থূল অবস্থা। চারিদিকে জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। কুশন তুলো বের হয়ে চারদিকে উড়চে। আর তার মধ্যে দুজন দুই প্রান্তে দুজন এর দিকে ফ্লাওয়ার উঁচু করে ধরে আছে। তোড়া সামনের চলা এই সিন দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার মাথায় এখন কিছুই চলছে শুধু সামনের দৃশ্য চলছে। তোড়ার পিছন পিছন রাই ও এসে দাঁড়িয়েছে তার মুখ ও পুরোপুরি হা হয়ে আছে সামনের চলা কাহিনী দেখে মনে হচ্ছে এই রুমের মধ্যে দিয়ে ভূমিকম্প বয়ে গেছে।
-“কি চলছে এখানে? রাই এখনও আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
রাই এর কথা শুনে তোড়া একবার রাই এর দিকে তাকিয়ে আবারো সামনের দিকে তাকায়। ওদিকে দুজন তোড়া কে দেখে দুজনের হাতের ভাস ফেলে এগিয়ে আসে।
-” আল্লাহ এরা মনে হচ্ছে আজকের বাড়িটা পুরো ভেঙে ফেলবে। রাই চোখ গোল গোল করে বলে ওঠে।
-” দিভাই ।
-“দিদিয়া ।
তামিম আর লেখা এসে দুজন দু দিকে থেকে তোড়া কে জড়িয়ে পড়ে। তোড়া দুজনের ভার একসাথে সামলাতে না পেরেই উল্টে যেতে লাগে সাথে সাথে রাই ধরে ফেলে। তোড়া নিজেকে সামলে নিয়ে দুজন কে ছাড়িয়ে সোফায় গিয়ে বসে পড়ে। সামনে দাঁড়ানো দুজনের দিকে কঠিন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে।
-“কি হচ্ছিলো এখানে? তোড়া গম্ভীর হয়ে বলে ওঠে।
-” দিদিয়া আমি কিছু করিনি তুই বিশ্বাস কর সব দোষ এর। লেখা তামিম এর দিকে আঙুল তুলে বলে ওঠে।
-“দিভাই আমি কিছু করিনিরে সব এই মেয়েটা করেছে বদ এর হাড্ডি। তামিম বলে ওঠে।
-” এই তোমার সাহস তো কম নয় তুমি আমাকে বদের হাড্ডি বলছো? তাহলে তুমি কি টিকটিকির দুলা ভাই। লেখা ও তেড়ে বলে ওঠে।
-“তুমি একটা বিচ্ছিরি সারাক্ষণ রাজ হাঁসের মত প্যাক প্যাক করে। তামিম আঙুল তুলে বলে ওঠে।
-“কি আমি রাজহাঁসের মত প্যাক প্যাক করি। তোমার সাহস তো কম নয় তুমি তুমি তুমি একটা উদ বিড়াল। লেখা তামিম এর আঙুল মুড়ে দিয়ে বলে ওঠে।
-“চুপ । একদম চুপ। তোড়া চিৎকার করে বলে ওঠে।
সাথে সাথে দুজন দুজন কে ছেড়ে সরে দাঁড়ায়।তোড়ার রাগী চোখ মুখ দেখে দুজন ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ওদিকে রাই এদের ঝগড়া দেখে মাথায় হাত দিয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে।
-” আল্লাহ এটা কি ছিলো? হ্যাঁ আমার মাথা তো উল্টে এদিকে থেক ওদিকে চলে গেছে। রাই বলে ওঠে।
-” তোরা দুজন এখানে কি করছিস? তোড়া রেগে বলে ওঠে।
-“আসলে দিদিয়া আমার কলেজে কিছু কাজ ছিল তাই এসেছি। আর এসে দেখি এই বান্দর টাও আমার পিছু পিছু বাড়ি ঢুকে পড়েছে। লেখা বলে ওঠে।
-“চুপ বেশি কথা নয়। লেখার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।
-” এবার তুই বল এখানে কি করছিস? তোড়া তামিম কে বলে ওঠে।
-” দিভাই আমি তোকে দেখতে এসেছিলাম কত দিন তোকে দেখিনি। বলেই তামিম গিয়ে তোড়া কে জড়িয়ে ধরে কোলে মাথা রাখে।
-” উম কত দিন দেখিনি। লেখা মুখ ভাঙিয়ে বলে ওঠে। তারপর সেও গিয়ে ওপর দিকে থেকে তোড়ার কোলে মাথা রাখে।
তামিম লেখা তোড়ার কোলে মাথা রাখা অবস্থায় একসাথে আবারো দুজন দুজন কে চিমটি কাটতে থাকে। তোড়ার ওদের দুজন কে দেখে বড় একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে।
-” তোরা দুজনেই এক্ষুনি পুরো লিভিং রুম সাফ করবি। তোড়া দুজন কে বলে ওঠে।
সাথে সাথে দুজন কোলে থেকে মাথা উঠিয়ে চিৎকার করে বলে ওঠে।
-” কি!
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে……
#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪৬
রেয়ান্স বাড়িতে ঢুকেই অবাক হয়ে যায়। ভ্রু কুঁচকে সে দেখতে থাকে আর বোঝার চেষ্টা করতে থাকে এখানে আসলে চলছে টা কি। চোখ ঘুরিয়ে দেখে তোড়া সোফায় পা তুলে বসে আছে। চোখ মুখ গম্ভীর করে আছে। আর তার পাশে বসে আছে রাই। তাদের দুজনের দৃষ্টি ফ্লোরের দিকে। লেখা আর তামিম দুজন দু দিকে থেকে সাফাই করছে। আর একে অপরের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে।
রেয়ান্স থমকে দাঁড়িয়ে আছে সে এখনও বুঝতে পারছে না কি ঘটেছে। তোড়ার দিকে একবার দেখে নিয়ে ওদের পাশ কাটিয়ে তোড়ার পাশে গিয়ে বসে পড়ে। রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকিয়ে ইশারা করে জিজ্ঞেস করে কি ঘটছে। তবে তোড়া কোনো কথা বলে না রেয়ান্স এর দিকে নিয়ে আবারও চোখ তামিম আর লেখার ওপর নিবন্ধ করে।
-“দিদিয়া দেখ ফ্লোর টা দুবার করে নিচ্ছে দিয়েছি আর বাকি কাজ ও শেষ এবার তো ছেড়ে দে প্লিজ। লেখা বলে ওঠে।
-” দিভাই দেখ সব কাজ করে দিয়েছি আমি। প্লিজ এবার রেহাই দে। তামিম বলে ওঠে।
-“উন ।ও নাকি সব করে দিয়েছে তাহলে কি আমি এতক্ষণ থেকে ঘোড়ার ঘাস কাটছিলাম। উজবুক একটা। লেখা মুখ বেকিয়ে বলে ওঠে।
-“সবটাই তো আমি করলাম তুমি শুধু একটু খানি হাত লাগিয়ে নাম কিনছো। তাতে তো আমি তোমাকে নাম কেনার সুযোগ দিলাম আমি কখন বললাম তুমি কিছু করোনি মিস টিকটিকি। তামিম বলে ওঠে।
-“এই এই কি বললে আমি টিকটিকি তাহলে কি লেজ কাটা হনুমান। লেখা বলে ওঠে।
সাথে সাথে লেগে যায় লেখা ও তামিম এর মধ্যে সাইক্লোন নামক ঝগড়ার ঝড়। আর এদিকে কিছু বুঝতে না পেরেই চুপচাপ ওদের ঝগড়া দেখতে থাকে। কোথায় থেকে যে কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না সে। আর রাই তো মজার সো দেখছে যেনো।
-“এই তোরা দুটো চুপ করবি নাকি? তোড়া এবার রেগে গিয়ে চিৎকার করে বলে ওঠে।
সাথে সাথে দুজন চুপ হয়ে গিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি। অন্য হাত দিয়ে একে অপরের গায়ে চিমটি কাটতে থাকে।তোড়া ওদের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে। আর রেয়ান্স তো অবাক এর পর অবাক হয়ে যাচ্ছে এদের এই বাচ্চাদের মত ঝগড়া দেখে। কোথায় সে ভেবে ছিল তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে তোড়ার সাথে একটু রোমান্টিক সময় কাটাবে কিন্তু হায় কপাল এখানে এসে তো তাকে মারপিট দেখতে হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ম্যাক্স প্রো হচ্ছে।
-“দুটো কান ধরে এ মাথা ও মাথা করে দাঁড়িয়ে যা। তোড়া রাগী ভাবে বলে ওঠে ।
সাথে সাথে লেখা তামিম দুজন দুজনের থেকে দূরে গিয়ে এক জন পশ্চিম তো আরেক জন পূর্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কান ধরে।
-” আসলেই এখানে কি হচ্ছে আমাকে কি একটু বলবে প্লিজ ।রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।
-” ব্রো আমি কিছু করিনি সব দোষ এই উজবুক এর লেখা বলে ওঠে।
-“এই একদম ফালতু কথা বলবে না টিকটিকি। জিজু আমি কিছুই করিনি সব এর দোষ। তামিম বলে ওঠে।
-” আরে বাবা ঝগড়া বন্ধ করে আমাকে বলো কি হয়েছে। রেয়ান্স বলে ওঠে।
-“জিজু আমি দিভাই এর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম কিন্তু এই টিকটিকি টা আমাকে….
তামিম কে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে লেখা চিৎকার করে ওঠে।
-“এই একদম চুপ কোনো কথা নয়।
-” তোরা দুজন এই ভাবে কানে ধরে দু ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবি। রাই তুই ওদের ওপর নজর রাখবি। তোড়া বলে ওঠে।
-“জিজু প্লিজ তুমি কিছু বলো। আমার কোনো দোষ নেই।তামিম মুখ বেজার করে বলে ওঠে।
-” চুপ একদম ।বলেই তোড়ার রেয়ান্স এর হাত ধরে নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়।
এদিকে লেখা ও তামিম একে অপরের দিকে রাগী দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।
তামিম এখানে তোড়ার সাথে দেখা করতে আসলে লেখা দরজা খুলেই নোংরা পানির বালতি নিয়েই তামিম এর ওপর ঢেলে দেয়। সাথে সাথে তামিম বেকুব বনে যায় যখন বুঝতে পারে তখন রেগে গিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে লেখা দাঁত কেলিয়ে হাসছে। আসলে ওপরে থেকে লেখা দেখেছে যে তামিম গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির ভিতরের দিকে পা বাড়িয়েছে আর তাই ও সুযোগ বুঝেই এই কাজ টা করেছে। আসলে আগেরবার তামিম যখন এসেছিল তখন লেখা ও ছিল আর ভুলবশত চায়ের কাপ উল্টে লেখার গায়ে পড়ে ওর ড্রেস নষ্ট হয়ে যায় আর সেই রাগে আজকেও নোংরা পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দেয়। তামিম ও রেগে গিয়ে ভিতরে ঢুকে নিচের একটা রুমে গিয়ে সাওয়ার নিয়েই ওই ভিজে অবস্থাতেই বালতিতে করে সাবান গোলা পানি আর সাথে কিচেন থেকে তাতে মসলা দিয়ে মিক্সড করে খুব সন্তর্পনে এসে লেখার গায়ের ওপর ঢেলে দেয়। আর তারপরেই ওই ভিজে অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাদের ঝগড়া চলছে তারা শুকিয়ে গেলেও তাদের ঝগড়া থামেনি।
—————-
আজ কোট এর রায় বের হয়েছে অভি কে পাঁচ বছরের জেল হয়। সে তাথই কে এক রাতের জন্য বিক্রি করলেও সেটা নারী পাচার এর কেস এর মধ্যে পড়ে। আর তার সাথে তাথই এর মৃত্যুর আর তানিয়ার সাথে যোগসূত্র থাকার কারণে শাস্তি বেড়ে যায়। অভি কে সেন্ট্রাল জেলে ট্রান্সফার করা হয়। সে আর বসে বসে খেতে পারবে না। জেলের মধ্যে বসে রোজকার কাজ করে খেতে হবে।
এত দিন সে যা সম্মান অর্জন করেছিলো তা এক নিমেষে ধুলোতে মিশে গেছে। পুরো মিডিয়া জগতে অভি এখন চর্চার বিষয় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে নিয়ে এখন চারদিকে ট্রোল এর শিকার হয়েছে। মানুষের নিন্দার মুখে পড়ছে।
এক প্রকার বলতে গেলে তোড়া তাকে একবারে উঁচু থেকে টেনে হিচড়ে একদম মাটিতে ফেলে দিয়েছে। সাথে সাথে কেড়ে নিয়েছে তার সমস্ত কিছু।
পুরো দেশে এখন একটাই তাজা খবর আর সেটা হলো তানিয়া আর অভির খবর। লোকের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
————-
এদিকে মানান পরিবারে অবস্থা কিছুটা অন্য রকম। বাড়ি টা এখন পুরো শোক সভাতে পরিনত হয়েছে। তবে এদের মধ্যে তোড়ার দাদু আর তামিম বেশ সাবলীল ভাবে আছে। কিন্তু তোড়ার ড্যাড আর মা কিছুটা ভেঙে পড়েন। এক সাথে দুই মেয়ে কে হারিয়ে এহসান মানান তার কুল হারিয়ে ফেলেছেন। এক মেয়ে মারা গেছে আর এক মেয়ে মানসিক হাসপাতালে। তিনি এক মেয়ের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়ে আরেক মেয়ে কে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। দুটোই ছিল তার নিজের মেয়ে কিন্তু তাও তিনি একজন ভালোবেসেছেন আরেক জন কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে সারা জীবন। ভাবতেই তার এখন মন অনুশোচনায় ভরে ওঠে।
.
.
.
.❤️❤️❤️
. চলবে……
ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন ।…… ।
#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪৭
ওশিয়ান স্টার গ্রুপে আজ তোড়ার কন্ট্রাক্টড সাইন এর দিন। তাই তোড়া রাই এর সাথে চলে এসেছে টাইম মত। দুজন এই এখন বসে আছে সিইও এর রুমে। মিস্টার নিমেষ রয় তোড়ার পোর্ট ফলিও হাতে নিয়ে একবার সেটাতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে তো আরেকবার তার সামনে বসা তোড়া কে। দুজনেই এক। কিন্তু তবু ও যেনো তার কাছে কিছু আলাদা লাগছে ।ছবির থেকেও সামনে বসে থাকা তোড়া কে আরো বেশি জীবন্ত লাগছে আরো বেশি অ্যাট্রাক্টিভ লাগছে। তোড়া মুখে কোনো রকম এক্সপ্রেশন না রেখেই চুপচাপ দেখে যাচ্ছে। একদম নিরুত্তাপ হয়ে। রাই বিরক্ত মুখে একবার তোড়া কে তো একবার নিমেষ কে দেখছে। আর তাদের এই কর্ম কান্ড গুলো সে বসে বসে নোট করে রেয়ান্স কে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখানে আসার আগেই রেয়ান্স রাই কে তোড়ার ব্যাপারে প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিতে বলেছে। না কোনো সন্দেহ নয় কোনো অবিশ্বাস নয়। যেটা আছে সেটা দুশ্চিন্তা ভয়। তোড়ার যাতে কোনও বিপদ না হয় তাই আগের থেকে সেফ থাকা।
-“মিস তোড়া সত্যি আমি তোমার মত মডেল পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। এর আগেও আমি তোমার নাম শুনেছিলাম তোমার সাথে কাজ করার ইচ্ছা টাও পূরণ হয়ে গেলো। ওয়েলকাম টু ওশিয়ান স্টার গ্রুপ।
-” থ্যাঙ্ক ইউ স্যার। তোড়া হালকা হেসে বলে ওঠে।
-“আরে না না এতে থ্যাঙ্কস দেয়ার কিছু নেই। সত্যি তুমি একজন ইন্টারন্যাশনাল মডেল হওয়ার জন্য উপযুক্ত। আর আমি আশা রাখছি তুমি আমাদের সাথে থেকে এখান থেকেই তোমার উড়ান শুরু করবে। তোমার ট্যালেন্ট তোমার আদায়ে তোমার কাজের নিয়ম নীতি সব কিছুই তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি তোমার স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে চলে যাবে। নিমেষ হালকা হেসে বলে ওঠে।
নিমেষ তার এই ক্যারিয়ার এর জগতে অনেক মেয়ে দেখেছে অনেক মেয়েকে তিনি তাদের স্বপ্নের পথে দিকে এগিয়ে দিয়েছে তার কোম্পানী থেকে অনেক মেয়ে ইন্টারন্যাশনাল মডেল এর খেতাব পেয়েছে। কিন্তু তোড়ার মত এমন মেয়ে দেখেন নি যে কাজের প্রতি এত ডেডিকেশন। নিজের রূপ নিয়ে তার একটুও অহংকার নেই। অবশ্যই তোড়া খুব সুন্দরী তাকে কেউ একবার দেখলে দ্বিতীয়বার তাকে দেখার জন্য ঘুরে তাকাবে। সবার ধ্যান নিজের দিকে করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু একদম স্পষ্টবাদী নিজের কাজ নিয়ে কখনওই কম্পোমাইজ করে না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই নিজেদের ক্যারিয়ার বানানোর জন্য নিজেদের রূপ কে ব্যবহার করে কিন্তু এই মেয়ে তার ক্যারিয়ার এর শুরু তার পরিশ্রমে শুরু করেছে। মিস্টার নিমেষ এতক্ষণ ভাবছিলেন তোড়ার মুখের দিকে তাকিয়ে। তিনি তোড়া কে সাইন করার আগেই তোড়ার সম্বন্ধে সব কিছুর ডিটেইলস নিয়ে নিয়েছে। সে নিজেও জানে তোড়া হাই ফ্যামিলি থেকে বিলং করে তারপরে ও একদম সাধারণ ভাবে থাকতে পছন্দ করে।
-” মিস তোড়া আর কিছু বলার আছে মানে কোনো তথ্য যেটা আমরা জানিনা। দেখো তুমি কোনও স্ক্যান্ডেলে ফেসে গেলে আমরা সাহায্য করতে পারি। আর আগে থেকেই তোমাকে প্রোটেক্ট করতে পারি। নিমেষ বলে ওঠে।
-” না স্যার সেইরকম কোনো তথ্য দেয়ার মত তো নেই তবে চিন্তা করবেন না আমি নিজেকে প্রোটেক্ট করতে পারি আর এটা নিয়েও কোনো সমস্যা হবে না। তোড়া হালকা হেসে বলে ওঠে।
-” ওকে তো তোমার ম্যানেজার তুমি কাল পেয়ে যাবে আর তারপর থেকেই তোমার সমস্ত কাজ অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে। নিমেষ বলে ওঠে।
-” থ্যাঙ্ক ইউ স্যার। বলেই তোড়া হালকা হেসে রুম থেকে রাই সাথে বেরিয়ে যায়।
এদিকে নিমেষ বসে বসে গালে হাত দিয়ে তোড়ার যাওয়ার দিকে দেখছে। এমনিতেও তিনি ও জানেন তোড়ার কোনো অ্যাফেয়ার নেই তিনি আগেই ডিটেইলস নিয়ে রেখেছেন তারপর ও তিনি এই কথাটা তোড়ার কাছে জানতে চাইছিলেন কিন্তু তিনি সরাসরি জিজ্ঞেস করে উঠতে পারেননি তাই ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন। আর তোড়ার উত্তর এর সত্যতা ও তিনি জানেন। তার ঠোঁটের কোলে ও একটা মুগ্ধতার হাসি ফুটে ওঠে।
————–
তোড়া রাই রুম থেকে বেরিয়ে লিফ্টে উঠে যায় কিন্তু দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই একজন পা দিয়ে তা বাধা দেয় যার ফলে আবারো খুলে যায়। তোড়া মুখ তুলে তাকাতেই তার মধ্যে বিরক্তির ভাব ফুটে ওঠে কিন্তু তার কিছুই তার মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝা যায় না। রাই এর মুখে তো রাগ বিরক্তি সব কিছুই ফুটে উঠেছে সে এক কোণে দাঁড়িয়ে হাত মুঠো করে রেখেছে।
-“হাই বিউটিফুল । তোড়ার পাশে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
তোড়া তার নিজের অ্যাটিটিউডে ফিরে আসে সেই আগের রূপ যা বাইরের লোকের জন্য যেমন নেশা ধরানো তেমনি তীক্ষ্ণ আর ভয়ের ও। তার কাছে আসার সাহস তো হয় না এবং সে নিজের একটা বটম লাইন টেনে রেখেছে যতক্ষণ সেটা কেউ ক্রস করছে তোড়া একদম চুপচাপ থাকবে আর যদি সেটা একবার ক্রস হয়ে যায় তাহলে তার কপালে দুঃখ শনি রবি সোম সব একসাথে নাচবে।
তোড়া একবার তার পাশে দাঁড়ানো ব্যাক্তি টি নোমান সোমানি কে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখে নিয়ে আবারো নিজের মত করে দাঁড়িয়ে যায়। এর আগের দিন এই লোক কে নিয়ে রেয়ান্স জেলাস ছিল আর এর থেকে দূরে থাকতে বলেছিলো।
নোমান এটা দেখেই আবারো বলে ওঠে।
-“ও কুল অ্যাটিটিউড আই লাইক ইট।
-” মিস তোড়া আজ বুঝি আপনার কন্ট্রাক্টড সাইন ছিল নিশ্চয়ই হয়ে গেছে উফ আমি না পাগল আগের দিন তো আপনি সিলেক্ট হলেন ভুলে গেলাম কি করে। নোমান বলে ওঠে।
-“কংগ্রাচুলেশন তোড়া আমাদের কোম্পানির সাথে জুড়ে যাওয়ার জন্য। নোমান তোড়ার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে ওঠে।
কিন্তু তোড়া তার দিকে বাড়ানো হাতের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে নোমান এর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।
-” থ্যাঙ্কস ।
নোমান তোড়ার এই ব্যবহার দেখে নিজের অপমান বোধ করে। তার বাড়ানো হাতের দিকে একবার তাকিয়ে আর একবার তোড়ার দিকে তাকায়। যে তার এই হাত কে উপেক্ষা করেছে। ইনফ্যাক্ট তার উপস্থিতি টা কেও উপেক্ষা করছে মনে হচ্ছে তার এখানে কোনো অস্তিত্ব নেই। এতে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ভিতরে ভিতরে নোমান।
কিন্তু এদিকে তোড়া নিজের মত ফোন নিয়ে তার ভিতরে তার ধ্যান রেখেছে। সে বিরক্ত বোধ করছে কিন্তু এমন সিচুয়েশন কি ভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সে খুব ভালো ভাবেই জানে। এ যে অভির কপি সেটা ও এই কয়েক মুহূর্তের কথাবার্তা এর মধ্যে বুঝে যায় তোড়া। তোড়া খুব সহজে রেগে যায় না এটাই তার প্লাস পয়েন্ট। তোড়া নিজেকে যথাযথ ভাবে শান্ত করে দাঁড়িয়ে আছে সে বুঝতে পারছে যে নোমান আসতে আসতে তার গায়ের দিকে ঘেঁষে আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু তোড়া চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
রাই ওখানে দাঁড়িয়ে প্রথম থেকেই সব কিছু লক্ষ করে যাচ্ছে আর তার সাথে রাগে বিরক্তিতে তার মনে হচ্ছে সে যেনো এই নোমান এর মাথা ফাটিয়ে দেয় কিন্তু আফসোস সেটা করতে পারছে না। তাই চুপ করে সে ফোন নিয়ে রেয়ান্স কে এসএমএস করে যাচ্ছে। আর নোমান এর বলা প্রত্যেক কথা রেকর্ড করে রেয়ান্স কে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
লিফ্ট থেমে যেতেই রাই আগে আগে বেরিয়ে যেতে থাকে। তোড়া বেরোনোর সময়ে একটু হোঁচট খেয়ে যায়। আর তার সাথে সাথে একটা চিৎকার বেরিয়ে আসে। রাই তাড়াতাড়ি করে পিছে মুড়ে দেখে তোড়া ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার পাশেই নোমান নিচু হয়ে তার পা ধরে আছে। রাই তোড়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা বাঁকা হাসি লেগে আছে।
-“মিস্টার নোমান আপনি ঠিক আছেন তো? আমি আসলে একদম খেয়াল করিনি প্লিজ কিছু মনে করবেন না। তোড়া বেশ মিষ্টি ভাবে বলে ওঠে।
-” ইয়া আম ফাইন। নোমান তার পা ছেড়ে দিয়ে কোনো রকমে বলে ওঠে।
-“ওকে নিজের খেয়াল রাখবেন। বলেই তোড়া বেরিয়ে আসে।
রাই দেখে তোড়ার মুখে বাঁকা হাসিটা আরো কিছুটা বৃস্তিত হয়েছে তোড়া মাথা ঘুরিয়ে রাই এর দিকে দেখে। রাই মুখের দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারা করে হেসে দেয়। সাথে রাই ও হেসে ফেলে সে বুঝতে পেরেছে এটা তোড়ার কাজ। তোড়া যে চুপ করে থাকার মেয়ে নয় সেটাও জানে রাই।
তখন লিফ্ট থেকে বেরোনোর সময়ে তোড়া বাইরে বেরোনোর জন্য পা বাড়াতে গেলে সে অনুভব করে নোমান তার হাতের সাথে হাত ছুয়ে স্পর্শ করে। তোড়া বুঝে সে ইচ্ছা করে নোমান এর পায়ের পা তুলে দিয়ে হোঁচট খাওয়ার ভান করে। তোড়ার হিল পায়ে গেঁথে যেতেই নোমান চিৎকার করে। আসলে তোড়ার জুতোর হিল এর নিচের আবরণ টা পুরো খুরের মত লাগলে কেটে যাবে সে স্পেশালি যখন বাইরে বের হয় তখনই এই জুতো গুলো ইউজ করে।
—————-
তোড়া বেরিয়ে যেতেই আবারো নোমান পা চেপে বসে পড়ে। কোনো রকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে নিজের কেবিনে গিয়ে বসে। পা থেকে জুতো খুলতেই দেখে রক্ত ভরে গেছে। আর অনেকটাই কেটে গেছে। এটা দেখেই তার রাগ টা চড়চড় করে বৃদ্ধি পেয়ে মাথায় উঠে যায়।
-“তোড়া তোমাকে আমি কিছুতেই ছাড়বো না তোমাকে একটু স্পর্শ করার জন্য আজ আমার পায়ের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এর বদলা তো আমি নেবো তবে সেটা হবে মিষ্টি বদলা আর তোমার জন্য সম্মান এর হা হা হা। আজকের করা তোমার প্রত্যেকটা অপমান এর প্রতিশোধ আমি নিয়েই তবে দম ফেলবো। তোমাকে যদি আমি আমার বিছানায় না তুলতে পেরেছি তো আমার নাম ও নোমান সোমানি নয়। তোমার সাথে আমি ভালো ব্যবহার করতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু এবার দেখবে আমার অতি ভালো ব্যবহার। বলেই বিশ্রী ভাবে হাসতে থাকে নোমান।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..
ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন…… ।