#এই_মনের_আঙিনায়[৭]
#কুরআতুল_আয়েন
বিছানার উপর নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছে আদুরী।স্তব্ধ,নিরব!ফারাজের ঘরে এই প্রথমই আদুরীর আসা।তাও ফারাজের বউ রূপে!এর আগে আসা হয় নি কখনো।নানুবাড়ি আসলেও আদুরী বেশিরভাগ সময় আম্মার সাথেই থাকতো।আর অল্পস্বল্প কথা বলেই নিজের মতো করে দিন কাটিয়ে দিতো।তবে,সম্পর্ক এখন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।আদুরী একটু নড়েচড়ে উঠলো।অনেকক্ষণ ধরে একভাবে বসে থেকে পা’দুটো যেনো ঝিম ঝিম করে উঠলো।ফারিহার চোখ পড়লো আদুরীর উপর।হাতে থাকা ফলের প্লেট’টা সাইড টেবিলের উপর রেখে দিয়ে বললো,
‘আদুরী!তোর কি খারাপ লাগছে।’
আদুরী চোখ মেলে তাকালো ফারিহার উপর।আগের থেকে অনেক’টা পরিবর্তন এসেছে।চেহারা’য় মাতৃত্বের আভা!নীল রঙের মেক্সি’তে যেনো সৌন্দর্য্য আরো একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।ফলগুলো এখনো চিবিয়ে যাচ্ছে।আদুরী চোখ নামিয়ে নিলো।মিহি কণ্ঠে বললো,
‘না আপু!আমার খারাপ লাগছে না।’
ফারিহা প্লেট থেকে কেটে রাখা আপেলের বাকি অংশ’টা মুখে তুলে নিলো।ডাক্তার বেশি বেশি ফল খেতে বলে দিয়েছেন।মাঝখানে খাবারের অনিয়ম হওয়ায় বাচ্চার ওজন কমে গিয়েছিলো।তাই তো এখন উঠতে বসতে কিছু না কিছু খেতেই থাকে।অর্পা পাশেই বসা।কুসুমা বেগম ঘরে প্রবেশ করলেন।মুখশ্রী ভারভার!আদুরীর চোখ এড়ায়নি!সবার মুখে হাসি দেখলেও বড়’মামীর মুখে হাসির ছিটেফোঁটাও দেখে নি।আদুরী আন্দাজ করলো।মন’টা যেনো বিষিয়ে উঠেছে।বাড়ির সবার জন্যও খারাপ লাগছে।আব্বা,আম্মা,আপা সবার কথা মনে পড়ছে।আদুরীর চোখ ছলছল করছে।নাক টেনে কোনোমতে নিজেকে ঠিক করে নিলো।এমতাবস্থায় কুসুমা বেগমের গলা কানে এসে ঠেকলো।গলার স্বর অগাধ,গুরু!
‘খাবার’টা খেয়ে নাও।’
আদুরী চমকে উঠলো।চোখাচোখি হলো!কুসুমা বেগম হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।আদুরী’কে পরখ করে অর্পার উদ্দেশ্যে বললেন,
‘অর্পা প্লেট’টা নিয়ে ওর হাতে দে।কিছু লাগে কি-না খেয়াল রাখিস।’
অর্পা সম্মতি জানিয়ে প্লেট’টা হাতে নিয়ে নিলো।কুসুমা বেগম চলে গেলেন।ছেলের সিদ্ধান্তঃ মোটেও পছন্দ করেননি।মুখ’টা আর রইলো কই!
রাত তখন অনেক’টাই বলা চলে!আদুরী ঘরে একা!বারান্দা’য় দাঁড়িয়ে বাহিরের অন্ধকার পরিবেশের দিকে তাকিয়ে আছে।বেনারসি শাড়ি পাল্টিয়ে সুতির একটা শাড়ি পড়েছে।খাবারের সময় এলাচ কাঁমড় পড়েছিলো বিধায় মুখ’টা যেনো এখনো এলোমেলো হয়ে আছে।ফারাজ এখনো আসেনি!কিছুটা সময় অতিবাহিত হলো।দরজা খোলার শব্দ পেতেই আদুরী জমে গেলো।উপলব্ধি করলো ফারাজের উপস্থিতি।
তারপরের দিন!বৌভাতের কার্যক্রমে বাড়ি’তে আত্নীয় স্বজনের গমনাগমন!মানুষের কোলাহল যেনো বেড়েই চলেছে।আদুরী’কে ঘিরে বসে আছে ঈশিতা।আদুরীর ঠোঁটে হাসি ফুটে আছে।আব্বা,আম্মা’র সাথে দেখা হয়েছে।সুহানা সুবহান’কে কোলে নিয়ে আদুরীর কাছে এসে বসলো।আদুরী জোর করে সুবহান’কে নিজের কোলে নিয়ে আদর করলো।সুবহানও আদুরীর বুকের সাথে লেপ্টে আছে।সুহানা আদুরীর উদ্দেশ্যে বললো,
‘শোন আদু!বিয়েটা তাড়াহুড়োর মধ্যে হলেও বাকি পদক্ষেপ গুলোর জন্য একটু সময় নেওয়া ভালো।মানসিক,শারীরিক দু’দিক দিয়েই।আমার কথায় লজ্জা পাওয়ার কোনো কারণ নেই।সময় নিলে তো আর ক্ষতি হচ্ছে না।ফারাজ যথেষ্ট বুঝদার ছেলে!সহানুভূতিশীলও!’
আদুরী নুয়ে গেলো।বড়আপা’র কথার মানে বুঝতে সক্ষম।ফারাজের প্রতি ভালোলাগা থাকলেও সহজ হয়ে ওঠা যেনো আদুরীর কাছে বড্ড দুষ্কর এক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে!কষ্টসাধ্য,দুঃসাধ্য!এই যে গতকাল রাতেও দু’জনের মধ্যে দূরত্ব ছিলো।স্পর্শের কথা বলতে গেলে আংটি পড়িয়ে দেওয়ার সময় ফারাজ আলতো করে আদুরীর হাত’টা স্পর্শ করেছিলো।ঘুমানোর সময়ও বিছানায় যথেষ্ট ব্যবধান ছিলো।বড়আপার কথার সাথে আদুরী মিল পেলো।ফারাজ আসলেই বুঝদার,সমঝদার!
ফারাজ’কে একা পেয়ে সীমান্ত যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে গেছে এমন একটা ভাব করলো।অর্থাৎ!সে মনে হয় দুর্লভ কিছু লাভ করেছে!ফারাজ এদিকটা’য় এসে একটু দাঁড়িয়েছিলো।মানুষের সমাগমে তার অস্বস্তি হচ্ছে।সাথে অশান্তিও!সীমান্ত গলা খাঁকারি দিয়ে উঠলো।ভাবটা এমন গলায় যেনো কিছু একটা আঁটকে আছে।ফারাজ শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
‘কি!’
সীমান্ত বিস্তর হাসলো!ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে রেখেই বললো,
‘আমাদের সবার কপাল পুঁড়লো ভাই!আমরা বিয়ে করতে পারলাম না অথচ আদুরীর বিয়ে হয়ে গেলো।’
‘তোদের কপাল পুঁড়ে নি গাধা!তোদের জন্য আরো ভালো হয়েছে।’
‘কেমনে ভাই!’
‘আমার আর আদুরীর বিয়ে হয়ে!আদুরীর বিয়ে না হওয়া মানে আমার বিয়ে না হওয়া।যার ফলে!তোরাও আমার আগে বিয়ে করতে পারতিস না।আমার বিয়ে হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হতো।আর,আদুরী’কে বিয়ে করে আমি তোদের রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি।গোষ্ঠীর মানুষ না হ!তাতে কি!কাজিন তো!’
সীমান্ত তব্দা খেলো।ফারাজের দিকে ভ্রুকুটি কুঁচকে তাকিয়ে আছে।কি লজিক্যাল কথা!ফারাজ হাসছে!সীমান্ত’র মুখের হাবভাব পর্যবেক্ষণ করে চলে গেলো।কয়েকজন বন্ধু আসার কথা।বলতে গেলে এলাকার বন্ধুই!
______
শুক্রবার!আদুরী গোসল করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো।রান্নাঘরে গিয়ে নাস্তা বানানোর তোরজোড় শুরু করলো।বিয়ের কয়েক’টা দিনে অনেক কিছুই শিখে গিয়েছে।সবার কাছ থেকেই টুকটাক জিনিস শিখে রাখছে।কুসুমা বেগমের সাথে আদুরীর অল্পস্বল্প কথা হয়।আদুরী বুঝতে পারে কুসুমা বেগম এখনো তাকে মেনে নিতে পারেন নি।তবে,আদুরী বিশ্বাস করে একদিন না একদিন সব ঠিক হবে।সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটবে।আদুরী একাই নাস্তা বানানো শেষ করলো।সবার খাওয়া শেষে ফারাজ আসলো।ঘুম থেকে উঠেছে কিছুক্ষণ আগে।গোসল করতে গিয়ে এতোক্ষণ সময় লেগেছে।খাবার টেবিলে কাউকে না দেখে ফারাজ খুশি হলো।ফারাজ’কে দেখে আদুরী রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো।নাস্তা নিয়ে এসে রাখলো ফারাজের সামনে।ফারাজের দিকে তাকাচ্ছে না।ফারাজের দিকে তাকাতে গেলেই যেনো লজ্জা এসে ভীড় করে।না চাইতেও রাতের কথা মনে পড়ে যায়!ফারাজ আদুরীর দিকেই তাকিয়ে আছে।মনের ভেতর যেনো ঝড় বয়ে যাচ্ছে।আদুরী’কে কাছে পাওয়ার তীব্র ইচ্ছা জাগছে।ফারাজ আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিয়ে এক কাজ করে বসলো।চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে আদুরী’কে শক্ত করে নিজের দিকে টেনে নিলো।শব্দ করে আদুরীর ঠোঁটে চুমু খেলো।পরপর কয়েক’টা চুমু!আদুরী আতঙ্কিত হলো।শরীর যেনো নিথর হয়ে আসছে।নিস্পন্দ ভাব!আদুরী শাড়ি ঠিক করে নিয়ে চারপাশে চোখ নিক্ষেপ করলো।আশপাশ জনমানবহীন!কিছু’টা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো।তবে,বুকের ভেতর যেনো তোলপাড় হচ্ছে।ফারাজ দু’হাতে মুখ ঢেকে নিয়ে নিজেকে ঠিক করার চেষ্টা চালালো।ব্যর্থ হলো!চোখ,মুখ অন্যরকম হয়ে আছে।ফারাজ উঠে দাঁড়ালো।নিভু নিভু কণ্ঠে বললো,
‘আদুরী চলো!’
আদুরী কাঁপা কাঁপা গলায় জবাব দিলো,
‘কোথায়!’
‘ঘরে!’
‘অনেক কাজ বাকি আছে!’
ফারাজের যেনো রাগ হলো।এমতাবস্থায় বললো,
‘কাজ পরে করবে।আগে ঘরে চলো।’
আদুরীর বুক ঢিপঢিপ আওয়াজ করছে।মনে অনেক’টা সাহস জুগিয়ে বললো,
‘মা খুঁজবেন!’
ফারাজের ধৈর্য্যে আর কুলালো না।জোর গলায় কুসুমা বেগম’কে ডাকলেন।আদুরী অবাক হলো।সাথে কুণ্ঠিতও!কুসুমা বেগম আলমারি গোছাচ্ছিলেন।ছেলের ডাক শুনে দ্রুত গতিতেই এগিয়ে আসলেন।ফারাজের দিকে তাকিয়ে চিন্তিত গলায় বললেন,
‘কিরে!কি হয়েছে।এভাবে ডাকলি কেনো।’
ফারাজের সহজ জবাব,
‘মা!আদুরীর কি এখানে কোনো কাজ আছে।কাজ না থাকলে আমি একটু ঘরে নিয়ে যাবো।ব্যবসার কিছু হিসাব-নিকাশ আছে।সাহায্যের দরকার।’
কুসুমা বেগম মনে মনে অনেক’টা খুশি হলেন।ভাবলেন,ছেলে ভুলে যায় নি মা’য়ের গুরুত্ব।তা না হলে কি সামান্য এই কাজ’টার জন্য মা’য়ের নিকট অনুমতি চাইতো।মনে মনে এসব ভাবলেও গম্ভীর এক মুখ করে জবাব দিলেন,
‘ঠিকাছে!’
কুসুমা বেগম সময় ব্যয় করলেন না।প্রস্থান করলেন ঘরের দিকে।কুসুমা বেগম যেতেই ফারাজ আদুরীর হাত শক্ত করে নিজের মুঠোয় নিয়ে ছুটলো ঘরের দিকে।আদুরীর যেনো যা-তা অবস্থা!বিড়বিড়িয়ে বললো,
‘বজ্জাত লোক!’
ফারাজ শুনলো।জবাবে বললো,
‘দ্রুত চলো!হিসাব-নিকাশ করবো।’
আদুরী কিছু বললো না।ঘরে এসে ফারাজ দরজা বন্ধ করে দিয়ে জানালার পর্দা টেনে দিলো।ঘর’টা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে।তবে আবছা আবছা আলো বিদ্যমান।আদুরী নড়েচড়ে উঠতেই ফারাজ শক্ত করে ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো।আদুরী থেমে গেলো।নিশ্চল হয়ে আসলো শরীর।আদুরীর শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন হয়ে আসতে নিলেই ফারাজ’কে শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো।বেসামাল ফারাজ’কে আদুরী যেনো হিংস্র করে তুললো।নিজেকে সংবরণ করতে পারলো না আর!
—
সময় চললো তার মতো করেই!আদুরী যেনো পাক্কা সংসারী হয়ে উঠেছে।নিজের হাতে করে সবকিছু শিখে নিচ্ছে।সংসারের খুটিনাটি দিকেও তার খেলায়!বসারঘর থেকে কথাবার্তার ধ্বনি আসছে।আদুরী এগিয়ে গেলো।কিছু’টা দূর এগিয়ে যেতেই যেনো থমকালো।শাওন বসে আছে।সাথে শায়লা খাতুন।সম্পর্কে আদুরীর বড় খালা!
আদুরী শাওনের দিকে তাকালো।মুখ,চোখ যেনো গম্ভীর।আগের মতো প্রাণবন্ত নেই।বিয়েতে বড় খালা আসলেও শাওন আসে নি।কারণ আদুরী অনুমান করে নিয়েছিলো।শায়লা খাতুন আদুরীকে দেখতে পেয়ে কাছে ডাকলেন।মা’র ডাক শুনে শাওনও আদুরীর দিকে তাকালো।বুকে অনুভব করলো চিনচিনে ব্যথা!বিয়ের পর যেনো সৌন্দর্য্য কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।শায়লা খাতুন আদুরীর সাথে এটা-সেটা নিয়ে কথা বলছেন।শাওন উঠে চলে গেলো।বুকের চিনচিনে ব্যথা’টা যেনো ক্রমশই বাড়ছে।শাওন মনে মনে আওড়িয়ে উঠলো,’আরো কয়েক’টা বছর যদি হাতে পেতাম।’
আদুরী বারান্দা’য় নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে।ঘর থেকে বেরোয়নি!শাওন’রা থেকে গিয়েছে।শায়লা খাতুন এতোদিন পর বা’পের বাড়ি এসে ঠিক করে নিয়েছেন কয়েকদিন থেকে যাবেন।শাওন চলে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু বড়’দের জোরজবরদস্তির কারণে আজকে থেকে গিয়েছে।আদুরীর খুব খারাপ লাগলো।শাওনের চলে যাওয়ার কারণ তো একমাত্র সে!এটা বুঝতে আদুরীর তেমন কোনো কষ্ট পেতে হয় নি।আগেও তো বুঝেছিলো শাওনের মনে তাকে নিয়ে কোনো অনুভূতি জমা হচ্ছে।এমনকি,সেটা আরো বেশি বুঝেছিলো যখন শাওন ঈশিতা’কে ফোন করে তার সাথে কথা বলতে চাইতো।মাঝে মাঝে তো আদুরী এড়িয়েও যেতো।শাওনের প্রতি তার কখনোই অন্য কোনো অনুভূতি আসে নি।বড়’ভাই হিসেবেই দেখে এসেছে।কিন্তু এখনের পরিস্থিতি যেনো অন্যরকম!
ফারাজ কাজ করছিলো।কাল গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং রয়েছে।সেটারই কাজ গুলো গুছিয়ে রাখছিলো।তবে,মনোযোগ আর কাজে দিতে পারলো না।আদুরী’কে একা বারান্দা’য় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিছুটা খটকা লাগলো।এই সময়’টায় আদুরী সচরাচর রান্নাঘরে থাকে।সবার জন্য বিকেলের নাস্তা’টা নিজের হাতেই করে।তবে আজকে তার ব্যতিক্রম দেখে ফারাজের মনে সংশয় জাগলো।শব্দহীন পা’য়ে এগিয়ে গেলো আদুরীর দিকে।আদুরী’কে পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরে শান্ত কণ্ঠে শুধালো,
‘কি হয়েছে!’
আদুরী যেনো ভরসা পেলো।ফারাজের বুকে মাথা এলিয়ে দিয়ে বললো,
‘শাওন ভাইয়া ভালো থাকুক!’
ফারাজ চমকপ্রদ হয় নি!শাওনের সাথেও তার অনেকদিন পর কথা হয়েছে।আদুরীর প্রতি শাওনের অনুভূতি ফারাজও বোধ করেছিলো।একটা ছেলে তো আর এমনেই তাকিয়ে থাকবে না একটা মেয়ের দিকে।ফারাজ আদুরীর মনের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারলো।এখানে খারাপ লাগা’টা স্বাভাবিক।তারও খারাপ লাগছে শাওনের জন্য।আদুরী শক্ত করে ফারাজ’কে জড়িয়ে ধরলো।ফারাজও সায় দিলো।হাতের বন্ধন শক্ত করে নিলো।এই মেয়ে’টাই তার সুখের রাজ্য!
সমাপ্ত