একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-১৯

0
3471

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………19

রিমান ফারিয়ার কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে, দুজনে বেরিয়ে পরে।

জঙ্গলের সামনে এসে গাড়ি থামায়।

রিমান,,,,,,,,,, এখানে তো কিছুই দেখতে পারছি না, তুই এখানে এসে গাড়ি থামালি কেনো।

অয়ন,,,,,,,,,, কিটনাপের গাড়ি এখানে এসেই থেমেছে, পরে তাদের আর দেখতে পাওয়া যায় নি,হয়তো এখান দিয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে।

,,,,,,,,,,,, হ্যাঁ তো খবর নে জঙ্গলের কোথায় আছে।

,,,,,,,,,, সিসি ক্যামেরা রাস্তায় লাগানো থাকে জঙ্গলে না। (রাগে)

,,,,,,,,,, দেখ হয়তো জঙ্গলে তোর কোনো চেনা পরিচিত আছে।

,,,,,,,,,, (কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে থেকে) আমার নেয় তবে তোর আত্মীয় আছে।

,,,,,,,,, সত্যি কে

,,,,,,,,,, বান্দর। (বলে অয়ন জঙ্গলের ভিতরে যেতে থাকে)

,,,,,,,,,,,, শুধু বোনের জামাই লাগস দেখে কিছু কইলাম না। (অয়নের পিছন পিছন যেতে যেতে)

অয়ন আর রিমান জঙ্গলের মাঝখানে যেতে থাকে। ওরা যেতে যেতে বিশাল একটা দালান দেখতে পায়। একটা রিসোর্ট এর মতো।

অয়ন,,,,,,,,,,, মেঘাকে এখানে রাখেনি তো।

রিমান,,,,,,,,,,,,, চল আগে একটু উঁকি দিয়ে দেখি।

,,,,,,,,,, উঁকি দিবো কেনো সোজা ভিতরে গিয়ে ঢুকবো।

,,,,,,,,,,, হহ সেখানে তো শুধু মেঘাকে রেখে দিবে যে তুই আসবি আর নিয়ে যাবি। নিশ্চয়ই ভিতরে আমাদের বরন করার জন্য অনেক লোক আছে।

,,,,,,,,,, তো কি হয়েছে আমরাও কারো থেকে কম না।

,,,,,,,,,,, ভাব দেখাস না, সবসময় শক্তি কাজে লাগে না, এটা কোনো সিনেমা না। পরে দেখা যাবে, হিরোদের মতো এন্ট্রি নিয়ে ডুকবো আর হাত পা ভেঙে হিরো আলম হয়ে বের হবো। এমন কিছু হবে না, মাফিয়া না হলেও তাদের থেকে কম না। আমার লোক এখানে কিছু ক্ষন পর পৌঁছে যাবে। (একটা চোখ টিপ দিয়ে)

,,,,,,,,,,,, ইয়ার তুই তো কলেজের দিন গুলো মনে করিয়ে দিলি। তবে তাদের লোককে নিজেদের করে নিলে কেমন হয়।

,,,,,,,,,,,, let’s go and rock (বেকা হাসি দিয়ে)

ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে যেতে থাকে, দেখে ভিতরে অনেক বডি গার্ড আছে।

,,,,,,,,,,,

রাফি আবার রুমে আসে। মেঘা ভয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।

রাফি,,,,,,,,,,, কি হলো এখনো খাওনি তুমি (খাবারের দিকে তাকিয়ে)

মেঘা,,,,,,,,, বললাম তো আমি খাবো না।

,,,,,,,,, দেখা যাবে কতো দিন না খেয়ে থাকতে পারো। তবে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। (মেঘার দিকে তাকিয়ে বেকা হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,,,, মানে। (ভয়ে দূরে সরে গিয়ে)

,,,,,,,,, I wanted to kiss you baby . (মেঘার দিকে এগিয়ে এসে)

মেঘা,,,,,,,,,,,, খবরদার আমার কাছে আসবেন না। ভালো হবে না বলে দিলাম।

রাফি মেঘার কাছে যেতে থাকে। মেঘা আর না পেরে পাশে থাকা পানির গ্লাসটা নিয়ে রাফির মুখে পানি ঢেলে দেয়।

রাফি হাত দিয়ে মুখটা একবার মুছে, মেঘার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,, ছাড়েন আমাকে ছাড়েন,, কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

রাফি,,,,,,,,,, রাফির সাথে বেয়াদবি করার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে। চলো আজ তোমাকে দেখাবো রাফি কি। ইচ্ছে তো করছে এক পোজ দিয়ে তোমার গলা কেটে দিয়। কিন্তু এটা তো আর করতে পারবো না।

রাফি মেঘাকে টানতে টানতে নিচে বাহিরে নিয়ে যায়। সুইমিং পুলের সামনে। সব বডি গার্ডরা তাকিয়ে আছে।

রাফি,,,,,,,,, কারো চোখ এদিকে পড়লে তার চোখ আমি রাখবো না। (চিৎকার করে)

সাথে সাথে সবাই চোখ ফিরিয়ে নেয়।

রাফি,,,,,,,, রাফির মুখে পানি ঢেলেছো তাই না।

বলে মেঘাকে নিচু করে বসিয়ে এক হাত দিয়ে মেঘার হাত ধরে , মেঘার চুল ধরে পানিয়ে মুখ ডুবিয়ে দিয়েছে। মেঘা ছটফট করছে। আবার মাথা উঠিয়ে আবার পানিয়ে ডুবিয়ে দিচ্ছে।

দূর থেকে অয়ন আর রিমান এটা দেখে দৌড়ে আসে। রিমান লাথি দিয়ে রাফিকে সাইডে ফেলে দেয়। মেঘা পুলে পড়ে যেতে নেয় অয়ন ধরে ফেলে।

অয়ন,,,,,,,, মেঘা মেঘা, দেখ আমরা এসে গেছি কিছু হবে না তোর।

মেঘা জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে অয়নের দিকে তাকায়। কথা বলতে পারছে না। অয়নকে দেখে মেঘা অয়নকে জরিয়ে ধরে। জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার কারনে কথা বলতে পারছে না।

অয়ন,,,,,,,,,, রিলেক্স কিছু হবে। (মেঘাকে জরিয়ে ধরে)

রাফি,,,,,,,,,,,, তোরা এখানে আসলি কিভাবে।

রিমান,,,,,,,,,, তুই,, এই চিককুসরে ধরার জন্য এতো কষ্ট করলাম। শালা সাইকো তার মানে তুই।

অয়ন মেঘাকে সাইডে থাকা চেয়ারে বসায়।

রাফি,,,,,,,,, তোরা এখানের টিকানা পেলি কিভাবে। (রাগে)

অয়ন,,,,,,,,,, তুই যদি ডালে ডালে চলিস তাহলে আমরা পাতায় পাতায় চলি।

রিমান,,,,,,,,,,, আর যদি তুই পাতায় পাতায় চলিস তাহলে আমরা শিরায় শিরায়।

রাফি,,,,,,,,,, অনেক হয়েছে ডায়লগ, এখানে এসে তো গেছিস কিছু যেতে পারবি না। বডি গার্ড Just kill him.(পকেটে হাত ডুকিয়ে)

সবাই তেড়ে আসে, রিমান আর অয়ন শুরু হয়ে যায় মারামারি। যখন দেখছে রিমান আর অয়নের সাথে পাড়া যাচ্ছে না। তখন সবাই বন্দুক বের করে।

অয়ন,,,,,,, ওহ্ রিলাক্স গাইস।

রাফি,,,,,,,,,, কি বন্দুক দেখে হাওয়া বেরিয়ে গেলো।

মেঘা ভয়ে দাঁড়িয়ে যায়, অয়ন গিয়ে মেঘাকে বসিয়ে নিজেও বসে।

অয়ন,,,,,,,, বেবি এতো ভয় পাওয়ার কি আছে।

অয়ন পায়ে পা উঠিয়ে বসে গার্ডের দিকে তাকায়।

অয়ন,,,,,,,,,,, সো আপনাদের জন্য আমার একটা খুব ভালো অফার আছে।

রাফি,,,,,,,,,,, কিসের অফার।

রিমান,,,,,,,,,,, তোর জন্য নারে চিলকুট, চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক।

গার্ড,,,,,,,,, কিসের অফার।

রাফি,,,,,,,,,, এ চুপচাপ এদের মেরে ফেল না হলে তোদের খবর আছে।(রাগে)

রিমান,,,,,,,,,, ইশশশ এতো খারাপ ব্যবহার,তবা তবা।

অয়ন,,,,,,,,,,, তোমাদের বস, পুলিশে চাকরি করে ঘুষ খেয়ে যতো টাকা এক মাসে ইনকাম করে, ততো টাকা প্রতিদিন আমার পকেটে থাকে। সো তোমরা যদি আমার দলে এসে পড়ো, তাহলে এই রাফি তোমাদের যতো দেয়, তার থেকে ডাবল দিবো।

রাফি,,,,,,,,, এই তুই এদেরকে টাকার লোভ দেখাচ্ছিস। গাইস Just kill him.

অয়ন,,,,,,,,, এমনিতেও যে কোনো সময় আমাদের লোক এসে যেতে পারে। মারা যাওয়া থেকে অফারটা ভালো তাই না। চলো তোমাদের জন্য টাকাটা ডাবল থেকে ত্রিবল করে দিলাম। এখন কি বলো।

গার্ড,,,,,,,,,, ওকে স্যার আমরা এখন থেকে আপনার গার্ড।

রাফি,,,,, (পিছন থেকে বন্দুকটা বের করে ধরে) কাওকে ছাড়বো না আমি কাওকে না।

রিমান হিরো স্টাইলে একটা কিক দিয়ে বন্দুকটা ফেলে দেয়৷

অয়ন,,,,,,,,,, রিমান সর এটা আমার শিকার।

রিমান,,,,,,,,, ওকে,, টাইম ইজ ইউর।

রিমান চুপচাপ চেয়ারে পায়ের উপর পা উঠিয়ে বসে,টেবিলে থাকা চিপসের প্যাকেটা নিয়ে, খেতে খেতে দেখে৷ রিমানের লোকরাও চলে আসে।

অয়ন আর রাফি মারামারি লাগে। দুজনে ইচ্ছে মতো মারা মারি করছে।

মেঘা,,,,,,,,,,,, অয়ন ছাড়বে না ওকে ও আমাকে থাপ্পড় মেরেছে।

অয়ন ইচ্ছে মতো রাফিকে দুলায় করছে। রাফি আর পারছে না। সে নিচে পড়ে যায়। অয়ন রাফিকে ঠিক সেভাবে ধরে পানিতে চুবায় যেভাবে মেঘাকে ধরে ছিলো।

রাফির মাথাটা পানি থেকে উঠায়।

অয়ন,,,,,,,, এতো বড় সাহস তোর আমার মেঘার দিকে নজর দিস। ওর গায়ে একটা টুকা সহ্য করতে পারি না, আর তুই তার গায়ে হাত দিয়েছিস।

বলে চুল ধরে আবার পানি মুখ চেপে ধরে। অয়ন বার বার এমন করছে৷

রিমান চিপসের প্যাকেটা মেঘার হাতে ধরিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,,, দূররর মজা আসছে না।

রিমান উঠে গিয়ে রাফিকে অয়নের হাত থেকে ছুটায়। পড়ে রাপির টাইটা খুলে, পিছনের দিকে হাত দুটো নিয়ে টাই দিয়ে বেঁধে দেয়। পড়ে লাথি দিয়ে সুইমিং পুলে ফেলে দেয়। তারপর রিমাব উঠে দাঁড়ায়।

রিমান,,,,,,,,,, এবার আসবে মজা।

রিমান ঘরি ধরে, রাফি পুলের ভিতরে ছটফট করছে, মেঘা দৌড়ে এসে একটু উঁকি দেয়।

মেঘা,,,,,,,,, আরে কি করছিস মরে যাবে তো।

রিমান,,,,,,,,, তোর অনেক দরদ লাগছে, দেখ অয়ন দেখ।

অয়ন মেঘার দিকে ক্ষীণ নজরে তাকায়।

মেঘা,,,,,,,,,,, মরলে মরোক আমার কি।

বলে আবার দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। কিছু ক্ষন পরে,,

রিমান,,,,,,,, এ কে আছিস, কেও ওকে উঠিয়ে আন, না হলে মরে যাবে৷ এতো সহজে মরে গেলে কীভাবে হয়।

একজন গার্ড গিয়ে রাফিকে উঠিয়ে আনে, রাফি লম্বা লম্বা শ্বাস নিচ্ছে,কাশছে। কিছু ক্ষন পর স্বাভাবিক হয়৷

অয়ন,,,,,,,, ওই কেও ওকে রসি দিয়ে বান।

রাফিকে চেয়ারে বসিয়ে বাঁধা হয়।

রাফি,,,,,,,,,, তোদের কাওকে ছাড়বো না, কাওকে না।

রিমান,,,,,,,,, ওরে এখনো তেল যায়নি দেখা যায়।

অয়ন,,,,,,,, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। মেঘা বল তোর সাথে কি কি করেছে এই সাইকো রাফি।

মেঘা সব কিছু বলে।

অয়ন,,,,,,,,,, আমার বউকে কিস করবি। আমার একটা ছুরি লাগবো।

রিমান তার পকেট থেকে একটা অপারেশন করার নাইফ বের করে দেয়। অয়ন এক বার ছুরির দিকে তাকায় আরেক বার রিমানের দিকে।

অয়ন,,,,,,,,,, এটা তোর পকেটে কিভাবে আসলো।

রিমান,,,,,,,,, আমি রেখেছি।

অয়ন,,,,,,,,,, কিন্তু কেনো।

রিমান,,,,,,,,,, এটা আমার খুব পছন্দের একটা জিনিস তাই এটা সবসময় আমার কাছে রাখি।

মেঘা,,,,,,,,,,,, এটাও কোনো পছন্দের জিনিস হলো।

রিমান,,,,,,,, তুই তোর কাছে আটা ময়দা, রং এই সব রাখিস আমি কিছু বলি। উল্টো আরো কিনে দিয়।

মেঘা,,,,,,,,, ওটাকে মেকাপ বলে। (ভাব দেখিয়ে)

রিমান,,,,,,,, তো এটাকেও নাইফ বলে (মেঘাকে ভেঙিয়ে)

অয়ন,,,,,,,, তুই যেমন তোর শক ও তেমন। যাক নাইফে দাড়ঁ আছে তো।

রিমান,,,,,,,,, একদম পুরো নতুন, বিশ্বাস না হলে রাফির গলা কেটে দেখ।

অয়ন সাথে সাথে ছুরিটা রাফির গলায় ধরে। রাফি ভয় পেয়ে যায়।

অয়ন,,,,,,,,, এক কাজ করি ওর হাত কেটে দিয়, এটা দিয়ে আমার মেঘার গায়ে হাত দিয়েছি। কিন্তু হাত তো পিছনে রাখা। তাহলে এক কাজ করি ওর চোখ তুলে ফেলি, এটা দিয়ে মেঘার দিকে খারাপ নজর দিয়েছে। (চোখের নিচে ছুরিটা ধরে)

রাফি ভয়ে কাপছে৷ মেঘা ভয়ে দূরে সরে যায়।

রিমান,,,,,,,,,, এখান থেকে না, ছুরিটা আরেকটু উপরে তুল তাহলে চোখটা সহজে তুলে আসবে।

রাফি,,,,,,,,,,, আ আ আমাকে তোমরা এভাবে মারতে পারো না।

রিমান,,,,, আমরা যেভাবে খুশি মারতে পারি। এই অয়ন এ বেশি কথা বলছে, এক কাজ কর ওর জিহ্বা কেটে দে।

অয়ন,,,,,,,,,, না, ওর বুকে কাটি, কেটে দেখি, এখানে নাকি মেঘার নাম লেখা আছে।

বুকের মধ্যে শক্ত করে ধরে, রাফির বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, নারে,ও মেঘাকে ভালোবাসলে ওর সাথে এমন করতে পারতো না, এটা ওর জিদ, জেদ কোথা থেকে হয় মাতার ব্রেন থেকে।

অয়ন,,,,,,,, তাহলে এটা ফাইনাল, ওর মাথা কেটে দেখবো কি আছে।

রিমান,,,,,,, ঠিক আছে এটা ফাইনাল। এক কাজ কর নাইফটা আমাকে দে, আমি অপারেশনটা করেই ফেলি।

অয়ন,,,,,,,, না আমি করবো, অনেক দিনের শক ছিলো, আমিও একটা অপারেশন করবো। আজ পুরন হবে। তুই শুধু আমাকে শিখিয়ে দে।

রিমান,,,,,,,,, ঠিক আছে, মাথার মাঝখানে ছুরিটা রাখ।

অয়ন ছুরি রাখে।

রিমান,,,,,,,, আরে এভাবে না, কলম যেভাবে ধরিস ঠিক সেভাবে ধর। ধরে সমান করে কাটা শুরু কর।

রাফি,,,,,,, একটা পুলিশকে মারলে তার পরিনাম ভালো হবে না।

অয়ন,,,,,,,,, তোর মতো একটা পুলিশকে মেরে গায়েব করে দেওয়া এই অয়নের জন্য কোনো ব্যাপার না।

রিমান,,,,,,, আরে টাইম নষ্ট করিস না, কাটা শুরু কর।

মেঘা,,,,,,,, (এরা দুজন পাগল হয়ে গেছে) কি রাফি বলেছিলাম না তুই কি পাগল তোর থেকে বড় পাগল এরা৷

অয়ন,,,,,,,,, তুই আমাদের পাগল বললি।

দুজন কপাল কুঁচকিয়ে তাকিয়ে আছে।

মেঘা,,,,,,,,,,আমি তো তারিফ করলাম।

রিমান,,,,,,,,,,, পাগল বলাটা আবার কবে থেকে তারিফ হলো৷

রাফি কোনো মতে হাতটা ছুটিয়ে, অয়নের হাত থেকে ছুরিটা নিয়ে অয়নের বুকে মারে। মেঘা চিৎকরে উঠে।

মেঘা,,,,,,, আয়ননননন

রিমান একটা গার্ড থেকে বন্দুক নিয়ে রাফির পায়ে মারে, রাফি ছিটকে পরে যায়।

মেঘা গিয়ে অয়নকে ধরে। মেঘা ব্যস্থ হয়ে যায়।

মেঘা,,,,,,,,, আল্লাহ কতো রক্ত বের হচ্ছে।ভাইয়া অয়নকে দেখ।

অয়ন,,,,,,,, শান্ত হ শান্ত হ,,, বেশি লাগেনি, একটু লেগেছে।

মেঘা,,,,,,,, কি বলছো একটু লেগেছে।

অয়নে বুকে হাত দিতেই মেঘার হাতে রক্ত ভরে। এটা দেখে মেঘার অবস্থা খারাপ।

অয়ন,,,,,,,,,, মেঘা নো, নো, নো

বলতে বলতে মেঘা অজ্ঞান হয়ে যায়।

রিমান,,,,,, মেঘা অজ্ঞান হয়ে গেলো কেনো।

অয়ন,,,,,,,, তোর বোনের ব্লাড ফুবিয়া আছে মনে নেয়। দূররর ভালো লাগে না, বন্দুকটা দে তো।

রিমান বন্দুক দেয় অয়নকে, অয়ন মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে রাফির আরেক পায়ে গুলি মারে।

অয়ন,,,,,,,, তোর জন্য আমার জানটা অজ্ঞান হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,, দে আমি জ্ঞান ফিরিয়ে দিচ্ছি।

অয়ন,,,,, লাগবে না, পরে আবার অজ্ঞান হয়ে যাবে।

অয়ন মেঘাকে কোলে নিয়ে দাঁড়ায়। ঐদিকে রাপি ব্যাথায় চিৎকার করছে।

অয়ন,,,,,,,,, ওর একটা ব্যবস্তা কর, আমি মেঘাকে নিয়ে যাচ্ছি।

রিমান,,,,,,, আমি একানে বসে তবলা বাঝাবো, আমিও যাচ্ছি। এর একে পুলিশের কাছে দিয়ে দিবো। আর প্রমান করে দিবে যে ও একটা মানসিক রোগী, আর সারা জীবন এমন জায়গায় ওর চিকিৎসা করাবো যে পালানো তো দূরের কথা, দরজা পর্যন্ত যেতে পারবে না।

অয়ন,,,,,,,চল তাহলে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।