একটু বেশিই ভালোবাসি পর্ব-২১

0
3617

#একটু_বেশিই_ভালোবাসি
#Maishara_Jahan
Part……………21

কাওকে ছাড়বো না কাওকে না। দিস সাইকো ইজ বেক। এখন আগের বারের মতো ভুল করবো না। তোদের জীবন হারাম না করে দিলে আমার নামও রাফি দা সাইকো না। যতো গুলো মার আমাকে দিয়েছিস, তার ডাবল করে ফিরত দিবো। just wait and see.

সকালে,,,,

ঘুম থেকে উঠে দেখি ১০ টা বেঝে গেছে। তারমানে অয়ন অফিসে চলে গেছে। ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়। রান্না ঘরে যেতেই ঠোঁটে হাসি চলে আসে।

অয়ন আমার জন্য ব্রেক ফাস্ট করে রেখেছে,আবার পাও রুটিতে সুন্দর করে আই লাভ ইউ লেখা।

নাস্তা করতে করতে অয়নের সাথে কিছু ক্ষন কথা বললাম। নাস্তা শেষ করে করার মতো কিছুই নেয়। তাই দুপুরের রান্নাটা করে নিলাম।

মেঘা,,,,,,,,,,,, দূরর এতো বড় বাড়িতে করার মতো কিছুই নেয়। অয়ন কাজ করছে ওকে বার বার ডিস্টার্ব করতে পারবো না। এক কাজ করি কিছু ক্ষন টিভি দেখি।

মেঘা কিছু ক্ষন টেভি দেখে,, ভালো লাগছে না তাই গান ছেড়ে উল্টো পাল্টে ডান্স করা শুরু করে। কিছু পর আবার থম মেরে বসে থাকে।

মেঘা,,,,,,,,,,, আমি ঘুম থেকে উঠলাম কেনো। এখানে কথা বলার মতো কেও নেয়। আর আমি বেশি ক্ষন চুপ করে থাকতে পারি না। যাই গিয়ে বাগানে একটু ঘুরে আসি।

মেঘা বাগানে ঘুরছে, একটু পর শিউলি ফুলের গাছের নিচে এসে, গাছটাকে একটু ঝাকনি দেয়।সাথে সাথে কতো গুলো ফুল তার উপরে পরে। মেঘা আরেক বার গাছ ঝাঁকুনি দিতে যাবে উমনি তার মনে পড়ে যায় অয়নের কথা।

মেঘা,,,,,,,,, অয়ন না রাতে এই গাছে কি বসে থাকতে দেখে ছিলো৷

একথা মনে পড়তেই মেঘা একটা দৌড় দেয়। এক দৌড়ে সোজা বাড়িতে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। মেঘা অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বাড়ি চলে যায়।

মেঘা,,,,,,,,,,,, ভাবি কি অবস্থা।

ফারিয়া,,,,,,,,, আরে মেঘা,, ভালো আছি এখন,,,,তা অয়ন কোথায়।

মেঘা,,,,,,,, অফিসে গেছে তাই তো এখানে এসে পড়লাম। (মন খারাপ করে)

,,,,,,,ওও অয়ন বাসায় থাকলে আসতে না বুঝি।

,,,,,,,, নাহ,,,,,,না মানে আসতাম।

,,,,,,,, হুমম মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তা কি ব্যাপার আজ কাল তোমাকে অনেক খুশি খুশি লাগে, চেহেরা যেনো পাল্টে যাচ্ছে।

,,,,,,,,,,, কি বলো ভাবি, তেমন কিছুই হয়নি। (লজ্জা পেয়ে)

,,,,,,,,, লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,, তার মানে অনেক কিছুই হয়েছে।

,,,,,,,,,, কি যে বলো,,, আচ্ছা ভাইয়া কোথায়।

,,,,,,,,,, হসপিটালে গেছে। বিকেলে আমিও যাবো।

,,,,,,,,,, কেনো কেনো, ভাইয়াকে ছাড়া বুঝি মন বসে না।

,,,,,,,,, আমি চেকাপ করাতে যাবো।

,,,,,,,ওওও

ফারিয়া আর মেঘা অনেক ক্ষন বসে গল্প করে। তারপর মেঘা বাসায় চলে আসে, আর ফারিয়া হসপিটালে যায়।

ফারিয়া আস্তে আস্তে হেঁটে রিমানের কেবিনের সামনে যায়, গিয়ে জোরে দরজা খুলে ঢুকে যায়। সেখানে রিমান এক রোগীর সাথে কথা বলছিলো।

ফারিয়ার এমন দরজা খুলায়, রিমান ও তাকিয়ে আছে সাথে রোগী ও। ফারিয়া লজ্জা পেয়ে যায়।

ফারিয়া,,,,,,,,, সরি প্লিজ কন্টিনিউ।

ফারিয়া দরজা লাগিয়ে বসে ওয়েট করতে থাকে। কিছু ক্ষন পরে রিমান এসে ফারিয়াকে তর কেবিনে নিয়ে বসায়।

ফারিয়া,,,,,,,, সরি তখন না বুঝে অমন ভাবে ঢুকে পড়ার জন্য।

রিমান,,,,,,, হালকা হেঁসে,,,, কোনো বেপার না, তোমার জন্য আমি সব সময় ফ্রি। এখন চলো তোমার চেকাপটা করে ফেলি।

ফারিয়া,,,,,,,,,, তুমিই করবে তাহলে এখানে আসার কি ছিলো বাসায় করতে পারতে।

রিমান,,,,,,,,, আরো অনেক কিছু চেকাপ করার আছে, যেগুলো বাসায় সম্ভব না। তোমার পুরো বডি চেকাপ করা হবে।

ফারিয়াকে বড় বড় মেশিন দিয়ে ফুল বডি চেকাপ করানো হয়। ফুল বডি চেকাপ করিয়ে রিমান আবার ফারিয়াকে কেবিনে নিয়ে আসে। কেবিনে এসে রিমান দরজা বন্ধ করে দেয়।

রিমান,,,,,,,,, কাপড় খুলো।

,,,,,,,, কিহহহহ (বিস্ময় হয়ে)

,,,,,,,,,, দূরর আমিও কি বলছি। তোমার উপরের কাপড়টা খুলো ডেসিন করাতে হবে।

,,,,,,,,,, তুমি কেনো কোনো মেয়ে ডক্টর দিয়ে করাও।

,,,,,,,, এতো দিন আমিই করেছি।

,,,,,,,,, তখন আমি হুশে ছিলাম না।

,,,,,,,,, থাকলেও কিছু করতে পারতে না। তোমার বিষয়ে আমি কারো উপর বিশ্বাস করতে পারবো না। চুপচাপ ডেসিনটা করিয়ে নাও৷ এখন তুমি আমার বউ না তুমি আমার পেসেন্ট।

ফারিয়া চুপচাপ রিমানের কথা মানে। রিমান ও ডেসিন করছে। খুব যত্নে আর আলতো করে, যেনো একটুও ব্যাথা পাওয়া না যায়।

ফারিয়া,,,,,,,,, আচ্ছা রিমান, হার্টের রোগী তো শুধু ছেলেরা থাকে না মেয়েরাও থাকে। তাদের চেকাপ, ডেসিন আরো কতো কিছু। এই সব কিছু কি আপনি করেন। আর আমার যে অবস্থায় বসে থাকা লাগে, সব মেয়েরা কি একই ভাবে থাকে।(রিমানের দিকে প্রশ্নবোধক ভাবে তাকিয়ে)

রিমান কয়েকটা ডোগ গিলে। কি জবাব দিবে সেটাই ভাবছে। রিমানের অবস্থা দেখে ফারিয়া হেঁসে দেয়।

ফারিয়া,,,,,,,,, থাক তোমাকে জবাব দিতে হবে না। এসব মেনে নিতে না পারলে ডক্টর এর বউ হওয়া যাবে না। আর আমার আপনার উপর পুরো বিশ্বাস আছে।

রিমান,,,,,,,,,,, (এখনি ভয়ে মরে যেতাম)

রিমান ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। ডেসিন করা শেষ করে রিমান হাত ওয়াশ করছে। ফারিয়া রিমানের কেবিন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। রিমানের গলা থেকে শরীরের ভিতরে চলছে সেটা শুনার যন্ত্রটা নিয়ে নিজের বুকে ধরে হার্ট বির্ড শুনছে।

রিমান,,,,,,,,, কি করছো।

ফারিয়া এবার এটা নিয়ে রিমানের বুকে ধরে। একবার রিমানের বুকে ধরে একবার নিজের।

রিমান,,,,,,,,,,,,,, কি করছোটা কি একটু বলবে।

,,,,,,,,,,, আরে তোমার আমার হার্ট বির্ড তো একি শুনা যাচ্ছে তাহলে তুমি বুঝো কিভাবে কে অসুস্থ কে সুস্থ। (রিমানের বুকে ধরে)

রিমান ফারিয়াকে টান দিয়ে কাছে নিয়ে আসে। এবার দেখো হার্ট বির্ড বেড়েছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, হুমম অনেক ফাস্ট চলছে।

রিমান ফারিয়াকে আরো শক্ত করে ধরে।

,,,,,,,, এবার।

,,,,,,,, আরো ফাস্ট চলছে।

ফারিয়া তাকিয়ে দেখে রিমান তাকে দুই বাহুতে আটকে রেখেছে। ফারিয়ার এতো ক্ষন কোনো হুশশ ছিলো না। ফারিয়া ডেব ডেব করে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে।

রিমান এবার যন্ত্রটা নিয়ে ফারিয়ার বুকে ধরে।

রিমান,,,,,,,, কি ফাস্ট চলছে।

ফারিয়া,,,,,,,,,,, হুমম।

,,,,,,,,,, কারন তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই আমি কাছে আসাতে তোমার হার্ট বির্ড বেড়ে গেছে।

,,,,,,,,,, আচ্ছা শুধু আমার কেনো অন্য মেয়েদের চেক করতে গেলে তাদের ও হয়তো হার্ট বির্ড বেড়ে যায়। এমনিতে এতো হেন্সাম তার উপর এই সাদা ইনিফ্রম পড়লে আরো হেন্সাম লাগে।

,,,,,,,,,, অন্য করোটা জানি না তবে আমার তো শুধু তোমাকে দেখে হার্ট বির্ড ফাস্ট হয়। আর যখন তুমও জেলাস ফিল করো তখন আরো কিউট লাগে।

ফারিয়া রিমানের বুকে মাথা রেখে ইনিফ্রম দিয়ে মুখ লুকায়। রিমান ফারিয়ার মুখ উঠিয়ে লম্বা কিস করে।

বৃষ্টির আওয়াজে মেঘার ঘুম ভেঙে যায়। সন্ধ্যায় গভীর রাতের মতো দেখা যায়। ঝড় তুফান, কাল বৈশাখী ঝড় উঠেছে। জোরে জোরে বিদুৎ চমকাচ্ছে। মেঘার কেমন ভয় ভয় লাগছে।

মেঘা বার বার অয়নকে কল করছে কিন্তু অয়ন কল ধরছে না। মেঘা কম্বলের নিচে ঢুকে বসে থাকে। হঠাৎ মেঘা খট খট আওয়াজ শুনতে পায়।

মেঘা কম্বল থেকে মুখটা বের করে। মেঘা টের পাচ্ছে কে জেনো তার রুমের দিকেই আসছে। মেঘার ভয়ে অস্থির অবস্থা।

মেঘা একটা ফুলের টপ নিয়ে পা টিপে টিপে দরজার কাছে যায়। যেই দরজা খুলে মেঘা ফুলের টপ দিয়ে মারতে নেয়। আর অয়ন চিৎকার করে উঠে, সাথে সাথে মেঘাও চিৎকার করে।

অয়ন,,,,,,,,,,,, কি করছিস, আমাকে মারার প্লেন নাকি।

সাথে সাথে মেঘা অয়নকে জরিয়ে ধরে, বে বে করে কান্না করতে থাকে।

মেঘা,,,,,,,,,আআআ আমার কতো ভয় করছিলো জানো। আমি ভেবেছি ঐ রাফি মনে হয় চলে এসেছে। (জোরে জোরে কান্না করে)

অয়ন,,,,,,,,,,, তুই এতো জোরে কান্না করছিস কেনো।

মেঘা,,,,,,,,,, বৃষ্টি হচ্ছে তাই ভাবলাম শুনা যাবে না। তাই আওয়াজটা বাড়িয়ে দিলাম।

মেঘার এমন উওরে অয়ন হাসবে নাকি আশ্চর্য হবে বুঝতে পারে না।

মেঘা,,,,,,,,,,, একি আমার জামা ভিজে গেলো কিভাবে। ছাদ ফুটো নাকি (উপরে তাকিয়ে)

অয়ন,,,,,,,,,, পাগলি আমি ভিজে গেছি, তুই আমাকে জরিয়ে ধরেছিস তাই তুইও ভিজে গেছিস।

,,,,,,,,,, ওওও তাই তো,,, যাও গিয়ে তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পাল্টে নাও, না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে।

,,,,,,,,,,, হুমম।

অয়ন জামা কাপড় পাল্টে নেয়। দুজনে খেতে বসে। মেঘা ভয়ে অয়নের এক দম কাছে ঘেঁষে বসে।

অয়ন,,,,,,,,, আমার কোলে বসে পড়।

মেঘা সত্যি সত্যি অয়নের কোলে বসে পড়ে।

অয়ন,,,,,,,,,, আরে বা এমন আবহাওয়া প্রতিদিন হওয়া উচিত। (মেঘার গাল টেনে ধরে)

মেঘা,,,,,,,, কচু হওয়া উচিত। এমন আবহাওয়া প্রতিদিন হলে সবার বারোটা তেরোটা বেঝে যাবে।

অয়ন,,,,,,,, আচ্ছা মেডাম আপনি একটু নিচে নামলে আমি খেতে পারি।

মেঘা,,,,,,,,, কেনো আমাকে কি ভারি লাগছে নাকি। (মুখ বেকিয়ে)

অয়ন,,,,,,,, যেমন আপনার ইচ্ছে।

বলে অয়ন মেঘাকে টেনে ভালো করে বসিয়ে, খেতে থাকে। সাথে মেঘাকেও খায়িয়ে দেয়। খেয়ে অয়ন আর মেঘা সোফায় বসে আছে। মেঘা এখনো অয়নের উপরে বসে আছে। শুধু শুধু টিভি ছেড়ে নিজেরা কথা বলছে। টিভিতে ডিস নেয় তাও ছেড়ে রেখেছে।

মেঘা,,,,,,,,,,, আজ সারা দিন কতোটা বোড়িং কেটেছে জানো।

,,,,,, হুমম জানি, সারা দিন তুই কতো পাগলামি করেছিস সব দেখেছি।

,,,,,,,,,, হুহহ আপনি অফিসে বসে কিভাবে দেখলেন।

,,,,,,, তোর সেফটির জন্য বাসায় ক্যামেরা লাগিয়েছি। যেটা আমার ফোনের সাথে কানেট করা আছে। আমার নজর সব সময় তোর উপরে আছে।

,,,,,,,,,, ওও ,, আমার একা একা ভালো লাগে না।

,,,,,,,,, হুমম জানি তার নমুনাও আজ দেখলাম,,কিছু দিন পড় থেকে তুই আবার ভার্সিটিতে যাবি।

,,,,,,,,,,আচ্ছা আমাদের কয়েকটা বেবি হলে কেমন হয়। তাহলে আমার আর একা এক লাগবে না।

,,,,,,,,,, তুই নিজেই তো একটা বেবি, আবার বেবি নিতে চাস।

,,,,,,,,, হুহহ কতো বড় হয়ে গেছি আমি। আমার মতল মেয়ের চার পাঁচটা বেবি থাকে।

,,,,,,,,,,, আমি শরীরের দিক দিয়ে বলছি না, মাথার দিক দিয়ে বলছি। তুই বড় হলেও তোর ব্রেন এখনো বাচ্চাদের মতোই আছে।

,,,,,,,,,,,, আমি জানি না, আমার বাচ্চা লাগবে।

,,,,,,,,,,, এটা কোনো চকলেট না, বললেই এনে দিবো।

,,,,,,,,,,, না আমার বাচ্চা লাগবে, বেশি না তিনটে হলেই চলবে।

,,,,,,,,, অয়ন মেঘা রাগ উঠাবি না, সময় হোক তিনটে না পুরো টিম বানাবো।

,,,,,,,, না আমার লাগবে। পিল্জ পিল্জ (অয়নের গালে হাত বুলিয়ে)

অয়নের কোলে মেঘা বসে ছিলো, অয়ন মেঘাকে কোলে নিয়েই উঠে।

,,,,,,,আরে কোথায় যাচ্ছো।

,,,,,,,,,,, বাচ্চার কথা জানি না তবে আমার এখন তোকে লাগবে।

সকালে,,,,,,,,,

রিমান আর ফারিয়া অয়নদের বাসায় আসে। অয়ন দরজা খুলে।

অয়ন,,,,,,, তোরা,, আয় ভিতরে আয়, ভাবী আসেন।

রিমান আর ফারিয়া এসে ভিতরে বসে।

ফারিয়া,,,,,,,,,, মেঘা কোথায়।

অয়ন,,,,,,,,,,, ও তো ঘুমাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, সকাল ১০ টার বেশি বাজে আর ও এখন ঘুমাচ্ছে। ঐ মেঘা, নিচে আয়, মেঘা (জোরে ডাক দেয়)

মেঘা হায় তুলতে তুলতে নিচে আসে।

মেঘা,,,,,,,,,তুই এখানে কেনো এসেছিস।

রিমান,,,,,,,, অরে আল্লাহ, ভাই বোনের বাসায় এসেছে কোথায় বলবে ভালো হয়েছে এসেছিস, তা না বলে বলছে কেনে এসেছিস।

মেঘা,,,,,,,,, বোনের বাসায় খালি হাতে চলে এসেছিস।

রিমান,,,,,,,, খালি হাতে আসবো কেনো, নিয়ে এসেছি তো।

মেঘা,,,,,,,, কি।

রিমান,,,,,,,, দোয়া।

মেঘা,,,,,,,, তোর দোয়া তোর কাছে রাখ।

রিমান,,,,,,, তা মহারানী এতো তাড়াতাড়ি উঠলেন

মেঘা,,,,,,, হুমম(সোফায় বসতে নিয়ে পরে যেতে নেয়)

রিমান,,,,,,,,,,, এখনো নিজেকে সামলাতে পারোছ না।

অয়ন,,,,,,,,,, আবার বাচ্চা চাই, তাও আবার তিনটা।

রিমান,,,,,,,,৷ সাব্বাশ,, তো আরেকটা বাকি রাখলি কেনো, আরেকটা হলেই তো এক আলি হয়ে যেতো।

মেঘা,,,,,,,, বাচ্চা কি কলা নাকি ডিম যে এক আলি হবে।

রিমান,,,,,,, তোর আবদার শুনে তাই মনে হচ্ছে। খবরদার যদি দুই বছর আগে তোর বাচ্চা হয়েছে তাহলে অয়ন আমি তোকে পিটামু।

অয়ন,,,,,,,, আমি কি করছি।

রিমান,,,,,,, সেটাই বলছি, কিছু করবি না।

ফারিয়া,,,,,,,,, আল্লাহ এদের শরম লজ্জা কিছু নেয়। যেটা বলতে এসেছো সেটা বলো।

রিমান,,,,,,,,, রেডি হ আমরা এমনি ঘুরতে যাবো। অনেক দিন হলো কোথাও যায় না।

অয়ন,,,,,,,,, ভাবির সাথে আমাদের নিয়ে যাবি, কিছু তো একটা ঘটকা আছে, পুরো কথাটা বলো।

রিমান,,,,,,,,, পুরো কথা আবার কি।

অয়ন,,,,,,,, বল বল।

রিমান,,,,,,, আসলে, প্রতি বছর কয়েক বার কেম্পিং হয় আমাদের যেখানে ফ্রি সেবা দেওয়া হয়। এবারো হচ্ছে। আর জায়গাটাও অনেক সুন্দর। ক্যাম্পিং এর পড়ে না হয়, আমরা সবাই একটু ঘুরবো।

অয়ন,,,,,,,, হুমম আর যতো ক্ষন ক্যাম্পিং এর কাজে আপনি ব্যাস্থ থাকবেন ততো ক্ষন ভাবিকে দেখে রাখার জন্য কাওকে লাগবে।

রিমান,,,,,,,,, তোরা আমাকে এতো নিচু ভাবস।

অয়ন,,,,,,,,, হুমম

রিমান,,,,,,,, এটা আবার মুখের উপর বলা লাগে। এমন ভাবে অপমান। যাই হোক রেডি হ।

অয়ন,,,,,,,, যাবো না।

রিমান,,,,,,, আমার জন্য এটুকু করতে পারবি না।

অয়ন৷৷,,,,,,, না

রিমান,,,,,, আমার মুখের উপর না করে দিলি, ঠাডা পড়বো তোর মুখে।

মেঘা,,,,,,,, দুরর ভালো লাগে না,, জানা কথা সবাইকেই যেতে হবে যতোই না করা হোক। সো এতো কথা বাড়িয়ে লাভ নাই।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভালো লাগলে like, comment করে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।