এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বেয়াইন পর্ব-০৯

0
275

#এক্স_গার্লফ্রেন্ড_যখন_বেয়াইন
#পর্ব_৯
#লেখক_মোঃ_আঃ_আজিজ
জান্নাত এর ঠোঁটে আমার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম।
ধিরে ধিরে আমরা একে অন্যের মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলাম। (সব কিছু জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না🙈😍🙈🙏)
আমাদের মিশন কমপ্লিট। এখন ফরজ গোসল টা করতে হবে। আমরা এখন যাই ফরজ গোসলটা সেরে আসি কেমন😍😜🙈
গোসল শেষ করে দুজনেই আবার রুমে এসে শুয়ে পরলাম। আমি বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছি আর জান্নাত আমার বুকের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছে। আমি জান্নাত কে বললাম,,,,,,
আমি– জান্নাত?
জান্নাত– হু
আমি– ও বউ শোনো না।
জান্নাত– হুম বলোনা।
আমি– আমরা কি সত্যি সত্যি বিয়ে করে নিয়েছি😁
জান্নাত– কি বলো এগুলা?😒 বিয়ে করে মিশন কমপ্লিট করে এখব বলছো আমরা কি সত্যি সত্যি বিয়ে করেছি।
আমি– হি হি হি☺ আমার না বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমরা মিশনটা পর্যন্ত কমপ্লিট করে ফেনছি। কি থেকে কি হয়ে গেলো তাই না।
জান্নাত– জ্বি না। আমি চেয়েছি বলেই বিয়েটা হলো বুজলে?
আমি– তার মানে তুমি এই সিচুয়েশনে না পরলে বিয়েটা করতে না?
জান্নাত– করতাম কি করতাম না সেটা না হয় কাল সকালেই জানতে পারবে।
আমি– হুম।
জান্নাত– হুম। এখন ভালো ছেলের মতো তোমার এই পেত্নী বউ টাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুমাও তো অনেক রাত হয়ে গেছে।
আমি– হুম বউ। তুমি শুধু আমার পেত্নী বউ না। আমার দুষ্টু মিষ্টি আদরের বউ😍
জান্নাত– হয়েছে হয়েছে আর পাম মারতে হবে না। নাও এবার ঘুমাও।
আমি আর কথা না বলে জান্নাত কে দু বাহুদ্বয়ের মধ্যে আগলে নিয়ে তার কপালে একটা ভালোবাসার পরস একে দিলাম। জান্নাত আমার বুকের ওপর মুখ লুকিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
এই মেয়েটা কিছু দিন আগেও কি ঝগড়া টা নাই করলো আমার সাথে। আর এখন আমার বুকে মুখ লুকিয়ে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। এমন ভাবে ধরে আছে যেন ছেড়ে দিলেই আমি হারিয়ে যাবো।
ঘুমন্ত পরী টাকে বুকের সাথে আরো শক্ত করে জরিয়ে নিয়ে আমিও ঘুমের দেশে পা বাড়ালাম।
সকালে নাকে মধ্যে কেমন যেনো সুর সুরী অনুভব করলাম। সাথে সাথে হাছি দিয়ে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি জান্নাত আমার পাসে বসে হাসছে। অনেক রাগ হলেও তার হাসিতে যেনো আমি আবারো তার প্রেমে পড়ে গেলাম। জান্নাত হাসতে হাসতে বললো,,,,,
জান্নাত– এই যে মি. বর ঘুম ভাঙলো তাহলে। ফজরের আজান যে হয়ে গেছে সে দিকে খেয়াল নেই। উঠো উঠো। তারাতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে অজু করে আগে নামাজ পড়ে নেন। তারপর না হয় আবার ঘুৃমাইয়েন।
আমি– উহ,,, আর একটু ঘুমাই না বউ তারপর নামাজ আদায় করে নেই।
জান্নাত– নাহ না,,, তা হচ্ছে না উঠো বলছি। ( রাগী চোখে)
আমি– হুম
তারপর উঠে নামাজ আদায় করে এসে জান্নাত কে আবার বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরে মনে হলো কেউ যেনো দরজায় ঠকঠক করছে।
আমি– কে?
আলিফ– ভাইয়া আমি আলিফ। আর কতক্ষণ ঘুমাবি এবারতো উঠো। আম্মু খাবার জন্য ডাকছে তো।
আমি– খালামুনিকে বল আসছি। তুই এখন যাতো ভাই ৫ মিনিট লাগবে আমার।
তারপর আলিফ চলে গেলো। আমি জান্নাত কে নিয়ে দরজা খুলে বের হলাম।তারপর যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কারন আমার সামনে,,,,,,
আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,, আম্মু আব্বু,, ভাইয়া আর ভাবী। আমি তাদের দেখে একদম থ হয়ে গেলাম। এরা এখানে কি ভাবে আসলো? আমি ভয়ে ভয়ে আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললাম,,,
আমি– আম্মু বিশ্বাস করো আমরা কিছুই করি নাই। আর আম্মু আমি এসব করতে চাইনাই এই জান্নাত আমাকে ব্লাকমেইল করে ওই সব বলতে বাধ্য করেছে।
আমার এমন হ্যবলা মার্কা মুখ দেখে সবাই ফিক করে হেসে দিলো। আর জান্নাত গিয়ে আম্মুকে জরিয়ে ধরলো। কি হচ্ছে এসব?
আম্মু– হা হা হা। আমরা সব আগে থেকেই জানতাম রে গাধা। অমন মুখ বানিয়ে আছিস কেনো।
আমি– জানতে মানে। কি জানতে তোমরা?
আম্মু– তোর সাথে যে এই বিয়েটা হলো তা আমারই প্ল্যান ছিলো। তোকে তোর খালামুনির বাড়িতে আসতে বলা। আর জান্নাত যে তোকে ব্লাকমেইল করছে সেটাও আমারই প্ল্যান ছিল।
আমি– কি বলছো এগুলো আম্মু? তোমার প্ল্যান ছিলো মানে? তোমরা বললে কি আমি জান্নাত কে বিয়ে করতাম না। আর এগুলো কেনো করলে আমি তো তাই বুঝতে পাড়ছি না।
আম্মু– তুই আমাদের ভুল বুজছিস আগে কথাটা শোন।
আমি– ধুর। তুমি থাকো তোমার ভুল বোঝা নিয়ে। আমায় কেউ বিরক্ত করবে না।
আমার মাথায় যেনো কিছুই খেলছে না। ওখানে আর থাকলাম না। কারন আমার প্রচন্ড রাগ উঠে গেছে। আর আমার রাগ উঠলে আমি কি করি নিজেও জানি না। আমার থেকে কেনো লুকাতে হবে এগুলো। আমাকে বললে আমি কি জান্নাত কে বিয়ে করতাম না নাকি। আমিওতো জান্নাতুল কে ভালোবাসি।
আমি যখন সবার সামনে থেকে চলে আসলাম তখন জান্নাত আমার পিছু পিছু আসতে লাগলে,,
আম্মু– মা তুই কোথায় যাস?
জান্নাত ল– আম্মু দেখলে তো তোমার ছেলে কতটা রেগে গেছে। আমি যাই তার রাগ আগে ভাঙিয়ে আসি। আর আম্মু আমি তোমাদের আগেই বলেছিলাম আজিজ কে না জানিয়ে এসব করলে ও রেগে যাবে।
আম্মু– আমি জানি রে মা। আমার ছেলোটা একটু বেশিই বদমেজাজি। আর আমরা তো ওর ভালোর জন্যই ওকে কিছু জানাই নাই। আজিজ যখন জানতে পারবে আমার জন্যই ওর বদমেজাজ টা একটু কমেছে তখন দেখবি সব ঠিক হয়ে জাবে।
জান্নাত– কিন্তু আম্মু এখন আমি কি করবো?
আম্মু– তোর কিছুই করতে হবে নারে মা।
**২ ঘন্টা পর**
আমি রুমে শুয়ে আছি। কে যেন দরজাটা খুলে ভেতরে আসলো। তাকিয়ে দেখি জান্নাত,, হাতে খাবারের থালা।
আমার কাছে এসে
জান্নাত– উঠো খেয়ে নিবে। সেই সকাল থেকে এখনো কিছুই খাও নাই।
আমি–,,,,,,,,, চুপ করে আছি।
জান্নাত– কি হলো,,, আমি কিছু বলছি।
আমি–
জান্নাত– আমিও কিন্তু এখনো কওছু খাই নাই। আর আম্মু আমাদের ভালোর জন্যই এগুলো করেছে। আর কেন করেছে শুনবে?
আমি–
জান্নাত– ওকে কথা যখন বলবেই না তাহলে শোনো।
সেদিন যখন তোমার সাথে প্রথম ঘুরতে বের হয়েছিলাম আর আমরা একটা রেষ্টুরেন্টে গিয়েছিলাম মনে আছে তোমার?
রেষ্টুরেন্ট তুমি যখন তোমার মোবাইল টা ফেলে ওয়াশরুমে গেলে তখনই আম্মু ফোন দেয় তোমায়। আমি প্রথমে ধরতে না চেয়েও ফোন টা ধরি। আমার গলা শুনে আম্মু জিজ্ঞেস করেন আমি কে। তখন আমি আমার আর তোমার বিষয়ে সব কিছু খুলে বলি আম্মু কে। আম্মু তখন বলেন,,,,,,
আম্মু– মারে আমার ছেলেটা কিন্তু খুবই বদমেজাজি। আর তুই চাইলে আমার ছেলে টার এই সভাব টা ঠিক করতে পারিস।
জান্নাত– কি ভাবে?
আম্মু– আমার ছেলেটা যখন তোকে মেজাজ দেখাবে তখন তুই তার থেকে ডাবল মেজাজ দেখাবি।
জান্নাত– কিন্তু আম্মু?
আম্মু-+ কোনো কিন্তু নয়।
তখন থেকেই নিজের ইচ্ছা না থাকার পড়েও তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করি। তারপর ইগনোরও। জানো তোমায় যখন এরিয়ে চোলতাম আমার তখন কতটা কষ্ট হতো। তারপরও যখন দেখলাম আম্মুর কথা টা অনেক কাজে দিতেছে। তোমার বদমেজাজ টা ভালো হয়ে যচ্ছে তখন আমি আর আম্মু অনেক খুশি হয়ছিলাম। আর তারপর আজ এই দিন।
আমি–
জান্নাত– কি হলো তাও এখনো আমার সাথে কথা বলবে না?
আমি–
জান্নাত– ওহ বুঝতে পেড়েছি তো, তুমিতো এখন আর আমাকে ভলোই বাসো না তো কথা বলছো না। ঠিক আছে তুমি যখন আমাকে ভালোবাসনা আর কথাও বলবে না তাহলে আমিও আর তোমার কাছে পড়ে থাকবো না। এখনই চলে যাবো।
বলেই জান্নাত যেই পা বারাবে অমনি ওর হাতটা ধরে এক টানে আমার বুকের ওপর নিয়ে এসে,,,
আমি– খুব সাহস হয়েছে না? আমাকে ঈগনোর করা হয়েছে এত দিন। এখন আবার আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না? খুব বার বেরেছে তোমার তাই না। আমাকে না জানিয়ে এক পা বাড়ির বাহিরে বের করলে একদম পা ভেঙে হাতে ধরিয়ে দিবো।
চলবে,,,,,,,,?
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।