এক সমুদ্র ফুল পর্ব-১৭

0
3772

#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_17
Writer:: Shaanj Nahar Sanjida


মা এইটাই নিয়ম!এখন কান্না থামাও।আমার কোলে এসো!(সমুদ্র আলোকে কোলে নিয়া চেষ্টা করে)

না।আমি যাবো না।এইটা কি নিয়ম!(আলোর সোনালীকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)

বিয়ের পর মেয়েদের বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি যেতে হয়।তখন ঐটাই হয় ওদের নিজের বাড়ি।(মিতু)

তাহলে আম্মু কেনো যায় নি?উনি তো ছোটো বেলা থেকেই এই বাড়িতে ছিলো।(আলো)

কারণ তোমার আম্মুর কোনো পরিবার ছিলো না।আর এতো কথা বলছো কেনো তুমি?বয়স হলে সব ঠিক বুঝতে পারবে।এখন চলো।
বলেই সোনালীর কোল থেকে আলোকে কেড়ে নিয়ে কোলে করে আমি উপরে নিয়ে চলে গেলাম।

চলুন।আমরা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করি। ও তো বাচ্চা মানুষ।(আরমান)

হ্যা হ্যা।আমরা ওর কষ্টটা বুঝতে পারছি।সোনালীর সাথে ও অনেক ক্লোজ।(সায়ান)

হুম।(আয়শা)

পরেই সবাই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

আর সমুদ্র বসে বসে ভাবতে লাগলো
ফুল কেনো বললো ওর কোনো পরিবার ছিলো না?


রুমে
আমি ফুলকে অনেক কষ্ট করে শান্ত করে ঘুম পাড়িয়ে নিজের বুকে নিয়ে দোলনায় বসে আছি।আর ভাবছি কি করবো?তখনই সমুদ্র রুমে আসলো।আমাকে আর আলোকে রুমে না দেখে ও বেলকনিতে আসলো।

ফুল?তুই এখানে?এখন কি হয়েছে?ও শান্ত হয়েছে?(সমুদ্র আমার পাশে বসে)

হুম।অনেক কষ্টে হয়েছে।এখন ঘুমাচ্ছে।কান্না করে অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে।(আমি আলোর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

ফুল?(সমুদ্র আমার দিকে তাকিয়ে)

হুম?(আমি)

তুই নিচে কেনো বললি তোর কোনো পরিবার ছিলো না?(সমুদ্র)

কেনো?ভুল কি কিছু বলছি?আমার কি পরিবার আছে?(আমি)

কেনো?আমার পরিবারই তো তোর পরিবার।(সমুদ্র)

সত্যিই কি তাই?(আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে)

সমুদ্র আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।

আমি যাই।আলোকে শুয়ে দিয়ে নিচে যাবো।
বলেই আমি দোলনা থেকে উঠে রুমে গিয়ে আলোকে শুয়ে দিয়ে যেই রুমে থেকে বের হতে যাবো ওমনি সমুদ্র আমার হাত টান দিয়ে ধরে আমাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।আমি আচমকা এই কাজ করাতে অনেক অবাক হয়ে গেলাম।

সমুদ্র ছাড়ো!নিচে যাবো।উনারা নিচে আছে।আমি না গেলে কি ভাববে?(আমি ছুটার চেষ্টা করে)

প্লিজ ফুল।আমাকে একটু জড়িয়ে রাখতে দে।(সমুদ্র আমাকে শক্ত করে চেপে ধরে)

সমুদ্র কি চাও তুমি?(আমি)

তোকে চাই।শুধু তোকে চাই ফুল।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে।(সমুদ্র)

আমি সমুদ্রকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে
ক্ষমা?কিসের ক্ষমা চাও তুমি?আমাকে ওই অবস্থায় ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চাও?নাকি এই পাঁচ বছর আমার সাথে কথা না বলার জন্য?নাকি এই পাঁচ বছর আমি মরে গেছি না বেচেঁ আছি এই খবর না নেওয়ার জন্য?কিসের জন্য ক্ষমা চাও বলো!সেদিন তুমি তোমার কথা না রাখার জন্য আমাকে পাঁচটা বছর শাস্তি দিয়েছো।আর এখন তোমার এতো কৃতকর্মের জন্য তোমাকে কতো বছরের শাস্তি দেয়া যায় বলো তুমি?
তুমি কি জানো তখন আমার কি অবস্থা হয়েছিল?একদিকে তুমি ছিলে আরেক দিকে বাবা!আমি কাকে বেছে নিতাম বলো তুমি?একবার আমার জায়গায় নিজেকে রেখে দেখে ছিলে।ওই পরিস্থিতিতে থাকলে তুমি কি করতে বলো?
কিন্তু তুমি একবারও আমাকে বুঝার চেষ্টা করো নি!একবারও আমার পরিস্থিতি দেখার চেষ্টা করো নি।তুমি শুধু শাস্তি দিতে ব্যাস্ত ছিলে।আর এখন ছোটো সরি বলে ক্ষমা চাইছো?বাহ!সমুদ্র খুব ভালোই পরিবর্তন হয়েছো।
কিন্তু তোমার এই সরি কি আমার পাঁচ বছরের পাওয়া কষ্ট কমিয়ে দিবে!সারা রাত কান্না কি ভুলিয়ে দিবে?
দেবে না সমুদ্র।কেনো আমি আলোর কথা তোমার কাছ থেকে লুকিয়েছি জানো?আমি আলোর কথা এই জন্য লুকাই নি যে তুমি বিদেশ থেকে ওর কথা শুনে আসবে না।আমি এই জন্য লুকিয়েছি যাতে যখন তুমি বিদেশ থেকে আসবে তখন নিজের মেয়েকে দেখে আফসোস করবে যে ওর অস্তিত্ব সম্পর্কেও জানতে না।এইটার মধ্যে দিয়ে এইটুকু তো আমি তোমাকে কষ্ট দিতে পারবো।তাই না সমুদ্র?আর বাকি কষ্ট আমি তখনই দিবো যখন আমি আলোকে নিয়ে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।

সমুদ্র আমার বাহু ধরে কাছে টেনে নিয়ে আমার মুখের সামনে মুখ রেখে বললো
আমাকে যত শাস্তি দেয়ার দে তুই।কিন্তু হা!তুই বা আমার মেয়ে কেউই আমার কাছ থেকে দূরে যেতে পারবি না।যা শাস্তি দেয়ার আমার কাছে থেকে দিবি।আমি মাথা পেতে নিবো।কিন্তু দূরে যাওয়ার কথা বলবি তোর পা ভেঙ্গে সারাজীবন তোকে কোলে নিয়ে ঘুরবো।তবুও তোকে তোরে দূরে যেতে দিবো না।

তুমি বললেই যেমন আমি শুনবো?(আমি ওর হাত থেকে ছুটার চেষ্টা করে)

শুনবি না?(সমুদ্র রেগে)

না।শুনবো না।(আমি জেদ ধরে)

তাহলে দেখ।
বলেই সমুদ্র আমার মাথার পেছনে হাত দিয়ে আমার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।আমি যতই ছুটার চেষ্টা করছি উনি ততই আমাকে শক্ত করে চেপে ধরলো।কিছুক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে দিল
আমি হাপিয়ে বললাম
তুমি কি মানুষ!

এইটা তো শুধু নমুনা দেখলাম।যতই ছুটার চেষ্টা করবি ততই চেপে ধরবো।আগের সমুদ্র হতে বাধ্য করবি না ফুল।দূরে যাওয়ার কথাও স্বপ্নেও ভাববি না।তুই আমার আমারই থাকবি।তুই এক সমুদ্র ফুল।এক সমুদ্র ফুলই থাকবি।

আমি চলে গেলে আমাকে ধরে রাখবে কি করে?(আমি রাগী গলায়)

সমুদ্র আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বললো
আলো একা আছে।ওকে আরো তিন চারটা ভাই বোন দিলে মন্দ হবে না।আর তিন চারটা বাচ্চা জন্ম দিতে দিতে তুই যাওয়ার কথা ভুলেই যাবি।আর ধরে রাখার কথা বললি না!ওইটা আমি না তখন ওইটা আমার ছেলে মেয়েরাই করবে।
বলেই একটা চোখ টিপ মেরে চলে গেলো সমুদ্র।

অসভ্য লোক একটা।(আমি রেগে নিচে নেমে গেলাম)


নিচে
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হলো।এক সপ্তাহ পরেই এখন হাতে অনেক কম সময় আছে।তাই সবাই এখন ব্যাস্ত সময় পাড় করবে।

আমি খাবারের প্লেট গোচ্ছাছি তখনই সায়ান ভাইয়া আমার কাছে এসে বললো
ভাবী!আপনি যদিও আমার ছোটো বোনের মত তবুও সম্পর্কে আপনি আমার বড়ো।তাই আমি আপনাকে ভাবী বলেই ডাকি।কি বলেন?

জ্বি।ভাইয়া আমার কোনো সমস্যা নেই।(আমি মুচকি হেসে)

আপনার মেয়ে ছিল না।ওই বাচ্চা মেয়েটা।(সায়ান)

হ্যা।আসলে আমি অনেক দুঃখিত।ভাবতে পারিনি ও এমন কিছু করবে।আপনি প্লিজ কিছু মনে করবেন না।(আমি)

না না।ভাবী।কি বলছেন? ও তো ভারী মিষ্টি মেয়ে।আমি শুধু এইটা জানতে এসেছি ও কি কি পছন্দ করে। আই মিন খেলনা,, পুতুল,কাপড়,ফ্রক,,চকলেট,আইস ক্রিম কি পছন্দ করে?(সায়ান)

কেনো?আপনি জেনে কি করবেন?(আমি অবাক হয়ে)

আসলে আমি চাই ও আমাকেও সোনালীর মতো ভালোবাসুক।আমি ওর পচা ফুপা না ভালো ফুপা হয়ে উঠতে চাই।এই জন্য ওর পছন্দের জিনিস দিয়ে ওর মন জয় করতে চাইছি।(সায়ান মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

হাহা (হেসে)আপনার এইসব কিছু করতে হবে না ভাইয়া! ও বাচ্চা মেয়ে একটু বুঝালেই ঠিক হয়ে যাবে।(আমি হেসে)

না না।ভাবী আপনি প্লিজ বলুন ওর কি কি পছন্দ?(সায়ান আমাকে অনুরোধ করে)

আচ্ছা।আপনি যখন এতো করে বলছেন তাহলে শুনুন।
পরেই আমি সায়ান ভাইয়াকে আলোর পছন্দের জিনিসগুলো বলতে লাগলাম।

অন্যদিকে
ফুল সায়ানের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে দেখে সমুদ্র জ্বলছে।

আমার সাথে কখনও হেসে কথা বলে না।আর সায়ানের সাথে কি সুন্দর হেসে কথা বলছে!(সমুদ্র মুখ ফুলিয়ে মনে মনে)

সমুদ্র সোফায় বসে আছে এমন সময় ওর পাশে সোনালী এসে বসলো
ইস!এই শাড়িটাও না সামলাতে পারি না।মা আর মিতু ভাবীকে যে কি করে সামলায় আল্লাহই জানে।এই জন্যই ফুল শাড়ি পরতে চায় না।বুদ্ধিমতি মেয়ে। জানে শাড়ি সামলাতে পারবে না।এই জন্য পরেই না।

হয়েছে তোর কমপ্লেইন করা।(সমুদ্র আড় চোখে)

তুই মুখ ফুলিয়ে বসে আছিস কেনো?(সোনালী ভ্রু কুঁচকে)

তোর হবু জামাই আমার হয়ে যাওয়ার বউয়ের কাছে কি কথা বলছে রে?(সমুদ্র)

তেমন কিছু না।শুধু আলোর কি কি পছন্দ তাই জিজ্ঞেস করছে!(সোনালী)

ওহ(সমুদ্র গালে হাত দিয়ে)

তুই জিজ্ঞেস করছিস কেনো?(সোনালী)

এমনি!(সমুদ্র)

এক মিনিট ভাই তুই কি কোনো ভাবে জেলাস ফিল করছিস?(সোনালী অবাক হয়ে)

বেশি কথা বলিস কেনো?সর দেখি।
বলেই সমুদ্র উঠে ফুলের কাছে চলে গেলো।

সোনালী সেখানে বসেই ভাবতে লাগলো
ভাই তুই সত্যি বদলে গেছিস।তবে এইটা ভালোর জন্যই।(মুচকি হেসে)

কি জামাই বাবু!কি কথা হচ্ছে!(সমুদ্র ফুলের কাধে হাত রেখে)

কিছু না।ভাইয়া আপনার মেয়ের মান ভাঙ্গানোর কথা বলছিলাম।তাহলে ভাবী আমি এখন আসি।
বলেই সায়ান সোনালীর কাছে চলে গেলো।

কি হয়েছে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

কিছু না।তুই সবার সাথে হেসে কথা বলছিস।আর আমার সাথেই জেদ ধরে বসে আছিস!আমার কি কষ্ট হয় না?(সমুদ্র ঠোঁট মিলিয়ে)

তাই নাকি!দেখি সরো কাজ আছে।
বলেই আমি প্লেট গুলো নিয়ে কিচেনে ঢুকলাম।কিন্তু সমুদ্রের কথা যেনো আমার মুখে হাসি ফুটালো।


বিকেলে
আলো ঘুম থেকে উঠার পর আমি ওকে খাইয়ে গোসল করিয়ে নিচে নামিয়েছি।প্রথম প্রথম ও তো একদমই সায়ান ভাইয়াকে দেখতে পারতো না।খালি কিছুক্ষণ পর পর বলতো আম্মু উনারা যায় না কেনো?উনারা কখন যাবে?উনাদের তাড়াতাড়ি যেতে বলো।
যখনই সায়ান ওর কাছে আসতো তখনই দৌড়ে আমার আঁচলের নিচে লুকাত।
তবে এখন আলো সায়ানের সাথে একটু একটু কথা বলছে।
সোনালীর কোলে এসে আলো বসলো সেখানে গিয়ে সায়ান ওর সাথে কথা বলছে।এতে সোনালী আপুও সাহায্য করছে।মনে হয় আলো আর সায়ান ভাইয়ার ভাব হয়ে যাবে।

বাচ্চারা কতো ভালো হয়।ওদের মান অভিমান কতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।আর আমাদের বড়োদের মান অভিমানের পাল্লা খালি ভারী হতে থাকে।আমরাই করতে থাকি।(আমি মনে মনে)

আমি ভাবছি তখনই সমুদ্র কোথা থেকে এসে যেনো সবার অগোচরে আমার গালে একটা চুমু দিলো।

কি হচ্ছে?(আমি রেগে)

আমার বউকে আমি কিস করছি।তাতে কার কি?(সমুদ্র চোখ টিপ মেরে)

সবাই দেখলে কি হতো?(আমি)

তারমানে সবার না থাকলে করতে পারবো!পারমিশন দিলি তো!(সমুদ্র)

ভুলেও না।(আমি)

ফুল,,
সমুদ্র আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই বাবা ডাক দিলো

সমুদ্র তারা চলে যাবে!এসে বিদায় দাও।(আরমান)

আসছি বাবা।এই কনভারসেশন কিন্তু শেষ হয়নি।
বলেই সমুদ্র চলে গেলো সায়ান ভাইয়াদের বিদায় দিতে।

আমিও মুখ ভেংচি দিয়ে ওর পিছু পিছু গেলাম।

সায়ান ভাইয়াদের বিদায় দেয়া হলো।


রাতে সবাই মিলে লিস্ট করছে কাদের কাদের দাওয়াত দিবে।
বাবা তার পরিচিত জন দের লিস্ট করছে। মা,সমুদ্র,আর বাকি সবাইও।আমি বসে আছি আমার কোনো আত্মীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধব নেই যাদের আমি দাওয়াত দিব।তাই তাদের লিস্ট করা দেখছি আর আলোকে পড়াচ্ছি।

আমার বোনকে আমি ফোন দিয়ে বলেছি।ও তো কালকেই চলে আসবে।এসেই নাকি দুই সপ্তাহ থাকবে।(আয়শা)

এইটা কোনো কথা!আমাদের বিয়ে এক সপ্তাহ পর উনি দুই সপ্তাহ থেকে কি করবে?(সোনালী)

কি করবে মানে!বেড়াবে!(আয়শা)

উনি তো বেড়ানোর নাম করে খালি আমার ভাবীদের পিছনে লেগে থাকে।নিজেই তো একটা দর্জ্জাল মহিলা।(সোনালী বিড়বিড় করে)

কিছু বললি?(আয়শা সন্দেহর দৃষ্টিতে)

না।যা মন চায় করো।(সোনালী দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)


রাতে
আমি ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখি সমুদ্র বেডে বসে লেপটপ টিপছে।

আলো কোথায়?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আলো নাকি সোনালীর কাছে থাকবে!(সমুদ্র লেপটপের দিকে তাকিয়ে)

তাই নাকি!শুধু আজকে?(আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে)

না।এই এক সপ্তাহ।(সমুদ্র)

ও।(আমি)

আমি চুল আঁচড়াচ্ছি এমন সময় সমুদ্র এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।

কি হলো?(আমি অবাক হয়ে)

ভালোই হলো আজ আলো সোনালীর কাছে এখন আমরা কিছু সময় কাটাতে পারবো।(সমুদ্র)

সময়?কি সময় ছাড়ো!(আমি ছুটার চেষ্টা করে)

খালি মাছের মতো নড়াচড়া করিস কেনো?
বলেই সমুদ্র আমাকে কোলে তুলে নিলো।


চলবে,,