ওহে প্রিয় পর্ব-৪৩

0
1605

#ওহে_প্রিয়
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৪৩
_________________
-‘আমার স্টকে সরি অনুভূতি টা খুবই সীমিত সুন্দরী। বাট ইউ নো হোয়াট? ইউ আর সো লাকি তাইতো এই সীমিত অনুভূতি’টা শুধু তোমায়ই উজার করে দিচ্ছি’।

চোখ দু’টো ছোট ছোট করে উপরের ওষ্ঠ দ্বারা নিচের ওষ্ঠ চেপে ধরে তাকিয়ে রইলো আহি। হ্যাভেন মুখ বন্ধ করে খাবার চিবুচ্ছে আর আহির দিকে তাকিয়ে আছে। আহি এবারের লোকমা নিজের মুখে নিয়ে বললো,

-‘ আপনি এক কাজ করুন আপনার স্টকে রাখা আমার জন্য কিছু সরি থেকে একটি সরি রিজভী ভাইয়াকে দিয়ে দিন ‘।

কথাটি বলেই আবারো হ্যাভেনের মুখের সামনে খাবার ধরলো৷ কিন্তু হ্যাভেন বাঁধা দিলো। দৃঢ় চাহনিতে চেয়ে দৃঢ় কন্ঠে বললো,

-‘ ভুল ব্যাতিত সরি বলার প্রশ্নই ওঠে না ‘।

হাত নামিয়ে প্লেটে ঠেস দিয়ে হাত রাখলো আহি। বললো,

-‘ নিজের ভুল টা আপনি বরাবরই বড্ড দেরিতে আর অ’সময়ে দেখেন এটা নতুন কিছু নয় ‘।

-‘ যা জানো না তা নিয়ে কথা বলবে না ‘।

-‘ যা জানি তাই নিয়েই বলছি অজানা বিষয় নিয়ে কথা বলা কখনোই পছন্দ করি না ‘।

-‘ আমার জায়গায় থাকলে তুমি কি করতে? আজ যদি অনা’কে তোমারি কোন কাজিন ব্রাদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে যা উচিত নয়। তাহলে তুমি কি করতে’?

চোখজোড়া বিস্ময়ান্বিত হয়ে গেলো আহির। অস্ফুটে স্বরে বললো,

-‘ কি বলছেন ‘?

-‘ হ্যাঁ ঠিক তাই। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা আমার বোনের এতো অধঃপতন হবে। আর রিজভীর মতো ছেলে আমার বোনকে বিনা অধিকারে এভাবে স্পর্শ করবে। তুমি ভাবতে পারছো আমার জন্য এটা কতোটা অসহ্যকর! ‘।

-‘ আমি ভাবিনি এমন কিছু ভেবেছিলাম ওদের সম্পর্কের কথা জেনেই এমনটা করছেন। কিন্তু আমি যতো দূর জানি এবং এ’কদিন বুঝেছি রিজভী ভাইয়া যথেষ্ট ভদ্র,সভ্য একটা মানুষ তার প্রতি হিয়ারই ইন্টারেস্ট বেশী। হিয়া আমাকে এটাও জানিয়েছে সে রিজভী ভাইকে ভালোবাসে বাট ওনি পাত্তা দেয় না ‘।

-‘ তাহলে আজ যা দেখলাম তা কি ভুল ছিলো ‘?

-‘ জানি রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা মুসলিম আমাদের ধর্মে কোন অবিবাহিত ছেলে অবিবাহিত মেয়েকে স্পর্শ করাও পাপ। অথচ দে কিসড ইচ আদার অন দ্যা লিপস। এটা ঠিক হয়নি তাই বলে তাদের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে তাদের আলাদা করাও ঠিক হবে না ‘।

আহির থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আকাশ পানে চোখ মেললো হ্যাভেন। দীর্ঘ এক শ্বাস ছেড়ে বললো,

-‘ বাবা যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু এই বিয়ে হবেই শুধু আমার অনুপস্থিতি’তে ‘?

কপট রেগে আহি বললো,

-‘ কেনো অপরাধ একটাই যে তারা বিয়ের আগেই এভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে? যেখানে দুজন মানুষ দুজন’কে চাইছে সেখানে আপনি নারাজ হচ্ছেন কেনো? আপনি তো এর থেকেও ভয়ংকর অপরাধ করেছিলেন ভুলে গেছেন সেসব মনে করিয়ে দেবো’?

চমকে ওঠলো হ্যাভেন স্থির হয়ে আহির দিকে তাকালো। আহিও স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

-‘ হিয়া আপনার নিজের বোন তার ইচ্ছেতে একটা ছেলে তাকে স্পর্শ করেছে। এক্সিডেন্টলি আপনি সে দৃশ্যের শাক্ষি হয়েছেন। খুব খারাপ লাগছে তাইনা? অপমানবোধ হচ্ছে,লজ্জাবোধ হচ্ছে সর্বোপরি বোনের সম্মান ঠুনকো হওয়াতে বুক পুড়ছে? অথচ আমার সঙ্গে এর চেয়ে অধিকতর অসম্মান জনক ঘটনা ঘটেছে আর তা ঘটিয়েছেন কেবলমাত্র আপনি’।

-‘আহি! আমি তোমায় স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে কাছে যাইনি’।

তাচ্ছিল্য সহকারে হাসলো আহি। বললো,

-‘ ওটাকে মর্যাদা বলে না হ্যাভেন। আপনি সার্টিফিকেট তৈরি করেছেন এবং বৈধতা দিয়েছেন। স্ত্রীর সঠিক মর্যাদা দিতে পারেন’নি ‘।

নিভে গেলো হ্যাভেন। এক ঢোক গিলে মাথা নত করে আহত কন্ঠে বললো,

-‘ সরি ‘।

আহি নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে আগের ন্যায় খাবার মাখাতে মাখাতে বললো,

-‘ মেনে নিন না? রিজভী ভাইয়া সব দিক দিয়ে পারফেক্ট। দেখতে সুদর্শন, শিক্ষিত, নম্র,ভদ্র,ভালো জব করে। ঠান্ডা মেজাজের একটা মানুষ। এসেছি অবদি কখনো উচ্চ কন্ঠে কথা বলতেও দেখিনি। সব মেয়ের স্বপ্ন পুরুষ যেমনটি হওয়া উচিত ওনার মধ্যে তেমন সব গুণ রয়েছে। সব মেয়ের বাবা’রা তার মেয়ের জন্য এমন একটি ছেলেই আশা করে তাহলে আপনি কেনো আপনার বোনের জন্য এমন একটি ছেলেকে পেয়েও হাতছাড়া করবেন? নিজেদের লোক’ই তো মেনে নিন না প্লিজ ‘।

আহির কথাগুলো শোভন হলেও হ্যাভেনের কাছে শোভন মনে হলো না। মনে হলো প্রচন্ড কুৎসিত বুলি আওড়াল মেয়েটা। রিজভীর ব্যাক্তিত্ব এভাবে এক্সপ্ল্যান করতে হবে কেনো আহির ? রিজভী তো তার নিজের মামার ছেলে। তার সম্পর্কে এভাবে বলে কেনো বোঝাতে হবে? সে কি কিছু জানে না বা বুঝে না নাকি? চোখে, মুখে এতো মুগ্ধতা ফুটিয়ে তুলে রিজভীকে ব্যাখ্যা করার সাহস কে দিয়েছে এই মেয়েকে? নিজের স্বামীর কোন ভালোই তো চোখে পড়ে না অথচ অন্যদের বেলায় ঠিক ষোল আনাই জব্দ করে নিয়েছে। ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে নিচের ওষ্ঠে কামড়ে ধরে আহির দিকে তাকিয়ে আছে হ্যাভেন। আহি তার মুখের সামনে খাবার তুলতেই ফোঁস ফোঁস নিঃশ্বাস ফেলে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,

-‘ খাবারে পেট না ভরলেও কথা শুনে মন ভরে গেছে এবার আসতে পারো ‘।

বাঁকা চোখে তাকালো আহি এবং স্পষ্ট বুঝতে পারলো অন্য পুরুষ কে নিয়ে এভাবে প্রশংসা করাটা ঠিক হজম করতে পারেনি হ্যাভেন। প্রচন্ড হাসি পেলো আহির। কোন রকমে হাসিটা চেপে মুখ খানিকটা উঁচিয়ে হ্যাভেনের মুখোমুখি হয়ে চোখ চোখ রেখে ফিসফিসিয়ে বললো,

-‘ ডিয়ার হাজব্যান্ড… ইউ নো হোয়াট জেলাসি ইজ দ্যা বেষ্ট ফিলিংস ‘।

ঝোপ বুঝে কোপ দিতে বেশ জানে আহি। সেই সাথে ইদানীং হিসেব বরাবর করতেও বেশ পটু হয়ে গেছে। তা বেশ টের পেলো হ্যাভেন। কিভাবে তার জালে তাকেই ফাঁসাচ্ছে মেয়েটা দিনের পর দিন। ভাবতেই শিহরিত হয়ে যাচ্ছে। তাহলে ভালোবাসার জালে ফাঁসতে খুব বেশী দেরি বোধ হয় নেই। ভাবা মাত্রই আহির হাত টেনে মখে খাবার ঢুকিয়ে কপট রাগ দেখিয়ে চিবুতে লাগলো। আহি তার স্থানে বসে বেশ শব্দ করে হেসে ওঠলো৷ প্রথমে খানিকটা অবাক হলেও পরোক্ষণে আহির হাস্যজ্জ্বল মুখটাতে নিচের সমস্ত প্রশান্তি খুঁজে পেলো। সেই সাথে লক্ষ্য করলো আহির নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে।
.
আবহাওয়ায় গুমোট ভাব। একটি গাছের পাতাও বোধহয় নড়ছে না। আকাশের দিকে তাকিয়ে তাঁরা’দের ঝলমলে রূপ দেখে নিয়ে সামনে বসে থাকা চাঁদ’টার দিকে চোখ মেললো হ্যাভেন। বললো,

-‘ নানুমনি বলতো মেয়েদের নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমলে নাকি তারা স্বামীর প্রচুর ভালোবাসা পায়’।

আহি প্লেট টা পাশে রেখে পানির গ্লাস হ্যাভেনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

-‘ হ্যাঁ তার নমুনা’তো দেখেছিই ‘।

গ্লাস নিয়ে পানি খেতে খেতে আহির দিকে আড় চোখে তাকালো হ্যাভেন। আহি তা বেশ লক্ষ্য করলো। কেমন যেনো অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার সেই সাথে শরীরে আরো বেশী ঘাম ছেড়ে দিচ্ছে। প্রচন্ড অস্বস্তি ঘিরে ধরলো এবার। দরদ দেখিয়ে খাওয়াতে এসেছে ঠিকি কিন্তু হ্যাভেনের অমন চাহনি সহ্য করতে পারছেনা। তাই অস্বস্তি ভরা কন্ঠেই বললো,

-‘ পানি খেতে দশ ঘন্টা লাগে নাকি তারাতাড়ি করুন ঘুম পাচ্ছে আমার ‘।

হ্যাভেন গ্লাস ফেরত দিয়ে আচমকাই আহির ওড়নার এক কোণা টেনে নিয়ে মুখ মুছলো। কতোদিন পর এমনটা করলো হ্যাভেন ভাবতেই চোখ বন্ধ করে ফেললো আহি। এদিকে হ্যারি দু’বোতল ড্রিংক নিয়ে ছাদের দরজা অবদি আসতেই ত্বরান্বিত হয়ে ওড়নাটা সুন্দর করে আহিকে পড়িয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিলো হ্যাভেন। আহি ঘাড় বাঁকিয়ে পিছনে তাকাতেই হ্যারির হাতে ড্রিংকসের বোতল দেখে চট করে ওঠে দাঁড়ালো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে তাকিয়ে হ্যারিকে প্রশ্ন করলো,

-‘ এসব কে খাবে ‘?

হকচকিয়ে গেলো হ্যারি আমতা আমতা করে বললো,

-‘ ভাই… না মানে আমি আর ভাই ‘।

দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আহি এবং আদেশের সুরে বললো,

-‘ তুমি খাবেনা এগুলো রেখে চলে যাও। আর ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে ‘।

অসহায় চোখে তাকালো হ্যারি। হ্যাভেন ওঠে দাঁড়িয়ে পিছন থেকে ইশারা করে তাকে চলে যেতে বললো। হ্যারি বোকা বোকা হেসে মাথা চুলকে বোতলগুলো নিচে রেখে চলে গেলো। হ্যারি যেতেই আহি পিছন ঘুরে তীক্ষ্ণ গলায় বললো,

-‘ নেশা করবেন ‘?

-‘ তুমি সঙ্গ দিলে একটুও করবো না ‘।

প্রচন্ড ইনোসেন্ট ভাবে কথাটা বললো হ্যাভেন। আহি কপাল কুঁচকে এগিয়ে গিয়ে বললো,

-‘ এইসব আজাইরা ঢং বাদ দিয়ে বলুন সারা জীবনের জন্য এটা ছাড়তে পারবেন ‘?

নির্নিমেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মলিন কন্ঠে বললো,

-‘ তোমায় পেলে সারাজীবনের জন্য এটা ত্যাগ করতে রাজি আছি ‘।

আরো দু’কদম এগিয়ে গেলো আহি হ্যাভেনের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে বললো,

-‘ খুব চান আমায় তাইনা? তাহলে রিজভী ভাই আর হিয়াকে মেনে নিন ‘।

-‘ আমাদের মাঝে এ বিষয় না আনলে হয় না ‘?

-‘ হ্যাভেন,দুজন মানুষের হৃদয়কে জোর খাটিয়ে যেমন এক করা যায় না তেমন আলাদা করাও যায় না। এর অনেক বড় উদাহরণ কিন্তু আমি আর আপনি। জোর করে যেমন ভালোবাসা তৈরি করা যায় না তেমনি জোর করে ভালোবাসা নিঃশ্বেষও করা যায় না। তাই ওদের মেনে নিন এটাই চাই। আলাদা করবেন না ওদের ‘।

আহির দু’হাত আঁকড়ে ধরলো হ্যাভেন বললো,

-‘ হুম মেনে নিলাম। জোর করে আলাদা করবো না ওদের। আর তোমাকেও জোর করে দ্বিতীয় বার বাঁধবো না। কিন্তু তুমি যদি স্বেচ্ছায় আমার দিকে এক পা বাড়াও তাহলে আমি হাজার পা বাড়িয়ে দেবো ‘।

-‘ স্বেচ্ছায় পা সেদিনই বাড়াবো যেদিন এই চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন ‘।

-‘ যদি বলি অনেকটাই বুঝে নিয়েছি ‘?

-‘ তাই… কি বুঝলেন ‘?

খানিকটা দূরে চলে গেলো হ্যাভেন। এ মূহুর্তে এসব নিয়ে আলোচনা করবে না সে বরং সঠিক সময় কাজে করে দেখিয়ে দেবে। আপাতত অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করা যাক ভেবেই বর্ডারের কাছে গিয়ে দুহাত বর্ডারে রেখে আকাশ পানে চেয়ে উত্তর দিলো,

-‘ তোমার চোখে আপাতত ঘুম নেই তাই যতোক্ষণ না ঘুম আসছে ততোক্ষণ কি আমায় দেওয়া যাবে ‘?

চমকে ওঠলো আহি। বুকের ভিতর হট্টগোল ধরে গেলো কেমন। আড় চোখে একবার আহির দিকে চেয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো হ্যাভেন। দূর আকাশের তাঁরা গুলোর দিকে নজর বুলাতে বুলাতে বললো,

-‘ মেয়েদের প্রেমে পড়ার লক্ষণ গুলো তাদের মুখশ্রী’তে ভেসে বেড়ায় জানো ‘?

নিশ্চুপ আহি নিঃশ্বাস বদ্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলো। হ্যাভেন বলতেই থাকলো,

-‘ তাদের চোখের ভাষা পাল্টে যায়। চোখে,মুখে মিশে থাকে অন্যরকম এক মাদকতা। লজ্জা পেলে যেমন তাদের গাল লাল হয়ে যায় ঠিক তেমনি গোপন ভাবে প্রেমে হাবুডুবু খেলে তাদের নাকের ডগা লালচে হয়ে দুপাশ ফুলে যায়। মুখ ছাড়াও আরেক জায়গায় তাদের তীব্র প্রেমের অনুভূতি প্রকাশ পায়। কোথায় জানো ‘?

পিছন দিক তাকালো হ্যাভেন ওষ্ঠ কোণে কুটিল হাসি ফুটিয়ে তুলে আহির দিকে এগিয়ে গেলো। আহির বুকের ভিতর হট্টগোল এবার দ্বিগুণ বেড়ে গেলো। কোনরকমে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো সে। মেয়েটার চোখ,মুখের আতংক স্পষ্ট দেখতে পেলো হ্যাভেন। সেই সাথে প্রচন্ড মজাও পেলো। আতংক’টা আরেকটু দৃঢ় করার জন্য চটপট ছাদের লাইটটা নিভিয়ে দিলো। মৃদু চিৎকার দিলো আহি বললো,

-‘ লাইট অফ করছেন কেনো? নিচে যাবো আমি ‘।

সঙ্গে সঙ্গে আহির হাতটা চেপে ধরলো হ্যাভেন। জোৎস্নার আলোতে দুজন দুজনকে দেখতে একটুও অসুবিধা হচ্ছে না৷ আহির অস্থিরতা যতো বাড়ছে হ্যাভেনের দুর্বৃত্ত বুদ্ধি ততো গাঢ় হচ্ছে। বর্ডার ঘেষে নিজেও দাড়ালো এবং আহিকেও দাঁড় করালো। তারপর আহিকে আগাগোড়া পর্যবেক্ষণ করে বললো,

-‘ আচ্ছা আমি যদি চিরন্তন এক সত্যি কথা বলি তোমায় তুমি কি মাইন্ড করবে ‘?

জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে একবার হ্যাভেনের দিকে তো আবার দূর আকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো আহি। হ্যাভেন আহির পারমিশন চাইলো ঠিকি কিন্তু উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলে ফেললো,

-‘ মেয়েদের কপাল থেকে চিবুক পর্যন্ত ছাড়াও আর যেখানে গভীর প্রেমানুভূতি বোঝা যায় সেটি হলো নিঃশ্বাসের তীব্র সঞ্চালনের সাথে বক্ষঃস্থলের ক্রমাগত উত্থানপতনে ‘।

চলবে…
ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।