কারণে অকারণে সে পর্ব-২০

0
552

#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:২০
#লেখক:রিয়ান আহমেদ(ছদ্মনাম)
;
আরশি আর সাভাশ এখন আরশিদের বাড়িতে।দুজনকেই বিয়ের পর একদিন এখানে থাকতে হবে।আরশির নিজেকে এতিমের মতো মনে হচ্ছে তার মা বাবা তার দিকে তো ফিরেও তাকাচ্ছে না।সাভাশকে নিয়েই পড়ে আছে সবাই।সাভাশকে এটা ওটা দিয়ে বলছে,
“বাবা এটা খাও।বাবা ওটা খাও।বাবা কোনো সমস্যা হলে আমাদের অবশ্যই বলতে লজ্জা পাবে না।”
সাভাশকে এতো গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে দেখে আরশির পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।আরশি দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে,
“ও ভাই,,এই ছেলে তো আমার বাবা মায়ের সামনে আমাকে পর বানিয়ে দিল।”
আরশি হনহন করে যেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে নিজের রুমে যেতে নিবে তখনই আয়েশা বেগম বলেন,
“এই আরু উপরে কোথায় যাচ্ছিস?”
আরশি মনে মনে খুশি হয় এটা দেখে যে ওর মায়ের ওর কথা মনে পড়েছে।
আরশি পেছনে ঘুরতেই আয়েশা বেগম বললেন,
“যা সাভাশকে সাথে নিয়ে যা।দুজনে গোসল করে রুমে গিয়ে আরাম কর আমি তোদের খাবার ঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
আরশির রাগে নাক ফুলে উঠে সে বলে,
“ঠিকাছে নিয়ে যাচ্ছি।,,সাভাশ আপনাকে কি কোলে করে নিতে হবে না নিজে হেঁটে যেতে পারবেন?”
সাভাশ আরশির কথায় দুষ্টু হেসে বলে,
“কোলে নিতে বললে কোলে নিবে না কি?”
আরশি একটা ছোট্ট একটা ব্যর্থতার নিঃশ্বাস ফেলে।তার উদ্দেশ্য ছিল সাভাশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা।কিন্তু সাভাশ নিজেই ওকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে।অর্থাৎ আরশির মনে এখন ডাবল ব্যর্থতার কষ্ট।

সাভাশের সাথে এসেছে আভাস,আরিয়ানা,আর সাভাশের কিছু বন্ধু বান্ধব।আরিয়ানাকে জুস খেতে দেওয়া হয়েছিল তখনই একটা বাচ্চা ওকে পেছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় যার ফলে আরহাম সামনে দিয়ে আসার কারণে আরহামের উপরে সব জুস পড়ে।আরহামের সাদা শার্টে জুস দিয়ে একটা দেশের মানচিত্র আঁকা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।আরিয়ানা একেবার শার্টের দিকে তাকায় আরেকবার আরহামের দিকে।সে ভেবেছিল আরহাম মারাত্মক রেগে যাবে এবং সেটা অন্তত মুখের এক্সপ্রেশনের মাধ্যমে বোঝা যাবে।

কিন্তু না আরহাম একদম এমনটা করে না।সে একটা টিস্যু নিয়ে শার্ট মোছার চেষ্টা করতে থাকে।আরিয়ানা বলে,
“আরহাম আম সরি।আসলে পেছন থেকে আমাকে একটা বাচ্চা ধাক্কা দিয়েছিল তাই,,,।”
আরহাম মুচকি হেসে বলল,
“সমস্যা নেই বিয়ে বাড়িতে এমনটা হয়ই।আমি আপনাকে আরেকটা জুস দিতে বলবো?”
আরিয়ানা দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে বলল,
“না না তার দরকার নেই।আমার পেট এমনিতেই ভরা ছিল আন্টি ফোর্স করছিল বলে খেলাম আর কি?”
“ওহ আচ্ছা,,,অনেক রাত হয়েছে আপনার একটু রেস্ট নেওয়া প্রয়োজন।গুড নাইট।”
আরহাম আর কিছু না বলে চলে যায়।আরিয়ানার মুচকি মুচকি হাসতে থাকে।তার আজ মনে হচ্ছে সে এখনো ষোলো বছরে পা দেওয়া কিশোরী যে একজন ভদ্র ভাষাভাষী মানুষের ব্যবহারে পুলকিত হয়েছে এবং হয়তো আগামী দিনগুলোতে এই মুহুর্তটা তার হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নেবে।আরিয়ানা মনে মনে বলে,
“এতো সুন্দর ব্যবহার এই লোকটার। কে বলবে ইনি রেগে গেলে হিংস্র হয়ে উঠেন?আচ্ছা এমন একজন মানুষকে কি মন দেওয়া যায়?,,, কারো ভালো দিকটা দেখে তাকে ভালোবাসলে সেটাকে ভালোবাসা না পছন্দ বলে।কিন্তু কারো ভালো খারাপ দুটো দিককে আপন করে নেওয়াকে ভালোবাসা বলে।”
;
;
;
“আপনার রুম আমার রুম হতে পারে কিন্তু আমার রুম আপনার না।আমার রুম একমাত্র আমার বুঝলেন? আমি এই রুমের মালিকানা গত পনেরো বছর যাবত বহন করছি।”
আরশি কথাগুলো বলতে বলতে নিজের আলমারি থেকে জামাকাপড় নিয়ে নিলো।সাভাশ বলল,
“তার মানে তুমি পাঁচ বছর বয়স থেকে এই রুমে ঘুমাও।”
আরশি উওর দেয়,
“না আমি পাঁচ বছর হয় স থেকে এই রুমে খাই,ঘুমাই,পড়াশুনা সবকিছুই করি।”
সাভাশ ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আমি কি কথাটা হিব্রুতে বলেছিলাম?”
“আপনি জানেন।”
“আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি এরপর তুমি যেও।”
“দেখেন না জামাকাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।আমি আগে যাবো।”
“দেখো যেহেতু আমি এই বাড়ির জামাই তাই আমার আপ্যায়ন করা উচিত তোমার।সো সরো আমি আগে যাই বাইরে থেকে এসে গোসল না করলে আমার শরীর ভালো লাগে না।”
“তা বাড়ির জামাই নিচে এতক্ষণ তো আপনার আপ্যায়নই করা হয়েছিল।হোয়াট এভার আমার ওয়াশরুম তাই আমি যাবো।”
আরশি কথাটা বলে ওয়াশরুমে ঢুকতে যাবে তখনই সাভাশ ওর হাত টেনে ধরে বলে,
“আরু মাই কিউটি প্লিজ তুমি আমাকে এখন যেতে দেও।তুমি গেলে আমি জানি এক ঘন্টাও লাগতে পারে।”
আরশি মুখ কুঁচকে বলল,
“আমি এতক্ষণ সময় নিয়ে গোসল করি বলে আপনার মনে হয়?দশ মিনিট লাগবে মাত্র।”
“দেখো আমি সেটা বলি নি।তোমার এই যে শাড়ি এটা খুলতে দশ মিনিট লাগবে আল্লাহ্ জানে কয়টা সেফটি পিন মারছে।তারপর তোমার এই চুলের ক্লিপ ফুল এসব খুলতে বিশ মিনিট এরপর মেকাপ তুলতে দশ মিনিট।তাই বলছি আমি আগে যাই আমার বেশি সময় লাগবে না।”

আরশি ঠোঁট উল্টে ভাবে সাভাশের কথা ঠিক।তাই আর ভনিতা না করে বলে,
“ঠিকাছে আপনি আগে যান।তবে বেশি সময় নিলে কিন্তু আমি দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকবো।”
“দেখো লজ্জা তখন তুমিই পাবে।”
আরশি বিরক্ত হয়ে মুখ চু এর মতো শব্দ বের করে বলে,
“যান তো যান জলদি।”

সাভাশ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আরশি নিজের চুল নিয়ে টানাটানি করছে।এমন অত্যাচারে চুলের অবস্থা হয়ে গেছে ভয়ানক।সাভাশ নিজের হাসি আটকাতে চেষ্টা করে কিন্তু পারে না।হা হা হাসির শব্দ আরশির মনোযোগ চুল থেকে সরিয়ে ঐ শব্দের উৎসের দিকে নিয়ে যায়।আরশি আয়না থেকে মুখ সরিয়ে সাভাশের দিকে তাকিয়ে একটা ভয়ংকর চাহুনি দেয়।আরশির চোখ বেশি না হলেও রেগে গেলে বড় হয়ে যায় তার উপর লেপ্টে যাওয়া কালো কাজল আর আইস্যাড।সাভাশ এমন চাহুনি দেখে চোখ সরিয়ে বিড়বিড় করে বলে,
“কেউ যদি এরপর থেকে জিজ্ঞেস করে পৃথিবীতে তোমার দেখা ভয়ংকর চাহুনির মানুষটির নাম বলো তাহলে নির্দ্বিধায় আরশির নাম বলবো।আরশির এই লুক দেখে কেউ ভয় না পেয়ে থাকতে পারবে না।”

আরশি হঠাৎ ভে ভে করে কাঁদতে শুরু করে।আসলে পনেরো মিনিট যাবত চুলের থেকে ক্লিপ খোলার চেষ্টা করছে ও কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না উল্টো সবকিছু আরো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তাই রাগে দুঃখে আরশি কান্না করছে।আরশি নিজের হাত মুঠো করে সেখানে কামড় দিয়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে।তখনই মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পায় সে।অতি স্বযত্নে তার চুলগুলো কেউ গুছিয়ে দিচ্ছে।আরশি জানে এই কেউটা কে।সে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
“একটু সাবধানে সাভাশ।আমি ইতোমধ্যেই অনেক বেশি ব্যাথা পেয়েছে আরেকটু ব্যাথা পেলে সারারাত হয়তো আপনাকে আমার মাথা টিপে দিতে হবে।”
সাভাশ অতি যত্ন সহকারে ক্লিপগুলো খুলে রাখতে রাখতে বলল,
“তুমি একটু অপেক্ষা করলে পারতে আমার জন্য।আর পার্লারের লোকজন এতোগুলো ক্লিপ কেন মেরেছে?এসব কি একা একা খুলা যায়।”

আরশি রাগী গলায় বলল,
“আপনার জন্য।আপনি গিয়ে না কি আমার চুল কিভাবে বেঁধে দিতে হবে আমাকে কিভাবে সাজাতে হবে তা বলে দিয়েছিলেন।”
সাভাশের মনে পরে সেই তো বলেছিল কোন ডিজাইনের আরশির চুল বাঁধতে হবে।কই তখন তো এই খোঁপাটা এতোটা কঠিন মনে হয় নি বেশ সিম্পল মনে হয়েছিল।এমন কি সাভাশ আরশির কম্ফর্টের কথা ভেবে বিয়ের সবকিছু করেছিল।কোন শাড়ি,লেহেঙ্গা,জুতা,গয়না পড়ে আরশিকে বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় লাগবে এটা ভাবার আগে সাভাশ ভেবেছিল কোনটা পড়লে আরশির কোনো অস্বস্তি ফিল হবে না।

দুজনে এবার ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।সাভাশ আগেই বলল,
“আরু আমাকে একটা চাদর তুমি দিয়ে নেও আমি জানি তুমি আমাকে তোমার চাদরের ভাগ দেবে না।”
আরশি বালিশ ঠিক করতে করতে নির্লিপ্ত ভাবে বলল,
“আমি কি আজ বলেছি দেবো না?জীবনটা এখন যেহেতু একসূত্রে গেঁথে গেছে তাহলে আর এসব ছোটখাটো জিনিস ভাগ করে লাভ কি?শুয়ে পড়ুন আমার ঘুম পাচ্ছে।”
আরশি চুপচাপ বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।সাভাশ আরশির কথায় অবাক।এতদিনের পরিচয়ে আজ এই প্রথম সে আরশির ভেতরে সে ম্যাচিওরিটি দেখতে পেল।সাভাশও চুপচাপ লাইট নিভিয়ে আরশির পাশে শুয়ে পড়ে।

আরশি একটা নৌকার উপরে বসে আছে।নৌকাটা নদীর মাঝখানে এসে থেমে গেল সামনে যাচ্ছে না।আরশি দেখে পাশ দিয়ে একটা বড় লঞ্চ তাদের নৌকার কাছে এলো।কিন্তু ধাক্কা দিল না নৌকার উপর দিয়ে চলে গেল।অদ্ভুত ব্যাপার!লঞ্চ আবার উড়তে পারে না কি?তখনই হঠাৎ নৌকাটা নড়তে শুরু করলো অনেক জোরে।আরশি সামনে তাকিয়ে নৌকার মাঝিকে বলল,
“এই মাঝি সমস্যা কি?নৌকা এতো নড়ে কেন?”
মাঝি পেছন ঘুরে আরশির দিকে তাকায়।আরশি মাঝির চেহারা দেখে অবাক।হায় হায় এটা তো সাভাশ।আরশি চিন্তিত গলায় বলে,
“সাভাশ আপনার কি এডভোকেটের লাইসেন্স চলে গেছে?আপনি কি এখন মাঝি না কি?”
সাভাশ সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলতে থাকে,
“আরশি উঠো।আরু জলদি উঠো।”

আরশি এবার চোখ খুলে দেখে সে নিজের বিছানায় শুয়ে আছে আর সাভাশ তাকে ধাকাচ্ছে।এটা কি তাহলে স্বপ্ন ছিল?
আরশি দেখে সাভাশ বাস্তবেই বলছে,
“আরশি উঠো ঘুম থেকে উঠো।”
আরশি এবার চোখ কচলিয়ে উঠে বসে।সাভাশকে বেশ উত্তেজিত এবং চিন্তিত দেখাচ্ছে।আরশি ঘুম ঘুম গলায় বলে,
“কি হয়েছে?এভাবে ডাকছেন কেন?”
“আরশি আমাদের এক্ষুণি বাসায় যেতে হবে।”
আরশি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা বাজে।আরশি বুঝতে পারছে কিছু একটা হয়েছে না হলে সাভাশ এমন অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারতো না।আরশি নিজের চোখ বড় বড় করে কিন্তু এখনো সামনের ব্যক্তিকে কিছুটা অস্পষ্ট লাছে।সে টেবিল থেকে চশমা নিয়ে পড়ে নিয়ে বলে,
“কি হয়েছে আপনার?এতো রাতে আপনি বাসায় যেতে চাইছেন কেন?”
সাভাশের চোখে বোধহয় জল আসবে আসবে অবস্থা।সে কাঁপা গলায় বলল,
“আরশি নানু অনেক অসুস্থ তাকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।”

আরশি কথাটা শুনে কষ্ট পায়।সাভাশের নানুর সঙ্গে আজ সকালে আরশি ভিডিও কলে কথা বলেছে।উনি কুমিল্লায় থাকেন নিজেদের বিরাট জমিদার বাড়িতে।অসুস্থ থাকার কারণে বিয়েতে আসতে পারেন নি উনি।এক সপ্তাহ বাদেই সাভাশ আর আরশির কুমিল্লা যাওয়ার কথা ছিল ওনার সঙ্গে দেখা করতে।আরশি সাভাশের দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ কেমন লাল লাল হয়ে গেছে।
আরশি আর দেরী না করে উঠে দাঁড়ায়।

সাভাশের পুরো পরিবার কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।আপাদত সাভাশের নানুকে সেখানকার একটা হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।অবস্থা বেশি খারাপ না তাই এখন রোগী নিয়ে কোথাও দৌড়াদৌড়ি করা তাই ঠিক নয়।

কুমিল্লার সেই হসপিটালে পৌছাতে আরো অনেকটা সময় লাগবে আর এই সময়টাই যেন সাভাশের কাছে অনেক বড় মনে হচ্ছে।কারো মনের অবস্থাই ভালো না।সাদমান চৌধুরি নিজের স্ত্রীকে শান্তনা দিচ্ছেন।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাসনিম বেগমের কান্নাও বেড়ে চলেছে।আভাস বলল,
“মা তুমি এভাবে কান্না করো না তোমার প্রেসার লো হয়ে যাবে।আব্বু মাকে একটু পানি খাওয়াও দরকার পড়ে গাড়ি সাইডে থামিয়ে মাথায় একটু পানি দেও।”
তাসনিম বেগম বললেন,
“একদম দরকার নেই গাড়ি থামানোর।আমি যত দ্রুত সম্ভব আমার মায়ের কাছে পৌঁছাতে চাই।দরকার পড়লে ড্রাইভারকে বল গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দিতে।”
কেউ আর কিছু বলে না।আরশি আড়চোখে সাভাশকে দেখে।সাভাশ ফোনে কোনো এক ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছে,
“রোগীর অবস্থা এখন ঢাকায় আনার মতো না।আপনাকে দরকার পড়লে তিনগুণ টাকা দেবো কিন্তু আপনাকে রোগী দেখতে কুমিল্লায় আসতে হবে,,,,দেখুন আপনি না করলে আমি আরেকজনকে দেখবো।,,,,আচ্ছা আমি এড্রেস পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
সাভাশ ফোন রাখতেই আভাস বলল,
“ভাইয়া ডাক্তার কি বলেছে?কতক্ষণে আসবে?”
“বলেছে সকালে রওনা হবে।জ্যামে না পড়লে আসতে আসতে এগারোটার মতো লাগবে।”
আরশি বলল,
“আপনি টেনশন করবেন না।নানু অবশ্যই ঠিক হয়ে যাবে।”
সাভাশ একটা মলিন হাসি দেয়।
;
#চলবে!