গোধূলি বেলায় প্রেম পর্ব-২৯

0
3229

#গোধূলি_বেলায়_প্রেম
#ফাবিহা_নওশীন

|পর্ব-২৯|

আকাশে তুলোর মতো সাদা মেঘেরা উড়ছে।মেঘগুলো এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে।আবার মুহুর্তেই সরে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে ওরা মনের সুখে উড়ছে।অথবা মেঘেদের দেশে কোনো খেলা হচ্ছে।যেখানে হার-জিত নেই।সেখানে শুধু আছে উড়ার আনন্দ।গরমের প্রভাব কাটাতে দক্ষিণা বাতাস বইছে।ছাদে ছোট বাচ্চারা হাতে বানানো ঘুড়ি উড়াচ্ছে।সাথে বড়রাও যোগ দিয়েছে।
আকাশে মেঘেদের সাথে পাল্লা দিয়ে লাল-নীল বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি প্রজাপতির ন্যায় উড়ছে।সাদিব ছোট বাচ্চাদের ঘুড়ি উড়াতে দেখে নিজের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করছে।রোদে পুড়ে একটু আনন্দের জন্য কত ঘুড়ি উড়িয়েছে খেলার সাথীদের সাথে।মায়ের কত বকুনি খেয়েছে।

সাদিবের খেয়াল হলো আজ রীতি আসেনি ছাদে।রোজ তো চলে আসে এই টাইমে।
সদিব পকেট থেকে নিজের মুঠোফোন বের করে রীতির নাম্বারে ডায়েল করলো।কিন্তু কল রিসিভ হলোনা।কয়েকবার ফোন করে না পেয়ে সাদিব বেশ চিন্তিত হলো।

সাদিব রিমনকে দেখেতে পেয়ে এক কর্ণারে নিয়ে বললো,
—-“রীতি কই?আসেনি কেনো?ফোন ধরছে না কেনো?অসুস্থ নাকি?না কোথাও গেছে?”

রিমন কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
—-“জানিনা।দেখে আসবো?”

—-“হ্যা হ্যা যা আমার প্রাণপাখী উড়ে যাচ্ছে।গিয়ে বল সাদিব ভাই ডাকছে।”

.

রিমন রীতির রুমে উকি দিয়ে দেখে রীতি কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে।
রিমন আস্তে আস্তে রীতির কাছে গিয়ে ফিসফিস করে ডাকছে,
—-“আপু উঠো,সাদিব ভাইয়া ডাকছে তোমাকে।তাড়াতাড়ি উঠো।”
রিমন যেভাবে ফিসফিস করছে ঘুমন্ত মানুষ যেনো ওর কন্ঠ শুনে না জেগে যায়।অনেকক্ষণ ফিসফিস করে ডেকে রিমন পরিশেষে জোরে চিতকার করলো,
—-“আপুউউউউউউ!! উঠোহহহহ!”

রিমনের চিতকার শুনে রীতি লাফিয়ে উঠে।চোখ কচলে রিমনের দিকে তাকালো।কি হচ্ছে,কোথায় আছে কিছুই বুঝতে পারছেনা। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ব্রেইন অফ হয়ে গেছে।
রীতির শরীর এখনো কাপছে আচমকা ঘুম থেকে উঠার জন্য।বুক ধুকপুক করছে তীব্রভাবে।

রীতির ব্রেইন কাজ করার পর রিমনের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে বললো,
—-“ষাড়ের মতো চেচাচ্ছিস কেনো?কানে তালা লেগে গেছে।”

রিমন বললো,
—-“এতক্ষণ তো আস্তেই ডেকেছি।তুমি শুনোনি।তাই বাধ্য হয়ে জোরে ডাকলাম।”

—-“মনে মনে ডেকেছিস তাই শুনিনি।আরেকটু ভালো ভাবে ডাকলেই পারতি।এখন বল ডাকছিস কেনো?”

রিমন আবারো জোরে শব্দ করে বললো,
—-“সাদিব ভাই ডেকেছে।”

রীতি রিমনের মুখ চেপে ধরে বললো,
—-“আমাকে কেস খাওয়াবি?এত বড় হয়েছিস বুদ্ধি-শুদ্ধি হয়নি?এভাবে চিতকার করছিস কেনো?মা শুনবে তো।”

রিমন মুখ থেকে রীতির হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,
—-“এখন ১০০টাকা না দিলে মা শুনবে।সবাই শুনবে।তাড়াতাড়ি ১০০টাকা বের করো।”

রীতি রিমনের কথা শুনে চোখ বড়বড় করে বললো,
—–“তুই আমার আপন ভাই তো?রোজ রোজ আমার কাছ থেকে এভাবে টাকা খসাতে একটুও কষ্ট হয়না?”

রিমন ইনোসেন্ট ফেস করে বললো,
—-“হয় তো খুব হয়,তুমি অনেক কিপটা,টাকা দিতে চাওনা।কত কষ্ট করে টাকা খসাই।”

রীতি রিমনের কথা শুনে চোখ ছোট ছোট করে ওকে মারতে গেলে রিমন চিতকার করে মা বলে ডেকে উঠে।
রীতি আবারো রিমনের মুখ চেপে ধরে বললো,
—–“আচ্ছা ভাই,দেবো দেবো।চিতকার করিস না।”

অতঃপর রিমনকে ১০০টাকা দিয়ে রীতি ছাদে আসছে বিরবির করতে করতে।
“প্রেমের বহুত জ্বালা।কার মুখ দেখে যে প্রেম করতে গিয়েছিলাম।আমার ১০০টাকা।রিমনকে এ পর্যন্ত যত টাকা দিয়েছি তা দিয়ে আমি কত বই কিনতে পারতাম।”

রীতি বিরবির করতে করতে কখন সাদিবের সামনে এসে দাড়িয়েছে খেয়াল নেই।
সাদিব ভ্রু উঁচিয়ে বললো,
—-“কি বিরবির করছো?পাগল হয়েছো নাকি?”

রীতি রাগ দেখিয়ে বললো,
—-“হুম পাগলই হয়ে যাচ্ছি।নিজের ভাই থ্রেট দিচ্ছে।ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিচ্ছে।নয়তো বাবাকে বলে দেবে।মাকে বলে দেবে।উফফ কি যন্ত্রণা।”

সাদিব হেসে বললো,
—-“প্রেম করবা আর ট্যাক্স দেবেনা।তা কি হয়?”

রীতি ভ্রু কুচকে বললো,
—-“আচ্ছা তাই না কি?”
রীতি তারপর রিমনকে ডাকলো।

রিমন ওদের কাছে আসতেই রীতি রিমনকে বললো,
—-“ইনি হচ্ছেন তোর একমাত্র দুলাভাই।আর তুই একমাত্র শালক।দুলাভাই থাকতে কেউ বোনের কাছে টাকা চায়?এখন থেকে দুলাভাইয়ের কাছে চাইবি।আর জানিস গতকাল তোর দুলাভাই আমাকে নিউ একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলো।সেখানে আমাকে অনেক কিছু খাইয়েছে।আমি তোর জন্য আনতে চেয়েছিলাম কিন্তু জানিসই তো তোর বোন কত গরিব আর তোর দুলাভাই কত বড়লোক।তোর দুলাভাই তোকে খাওয়াবে।”

সাদিব রীতির দিকে চোখ বড়বড় করে চেয়ে আছে।তারপর বিস্ময় নিয়ে বললো,
—–“আমি কখন তোমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম?আমরা আজ পর্যন্ত কোনো রেস্টুরেন্টে যাইনি।”

রীতি রিমনকে বললো,
—-“মিথ্যা বলছে।তোকে খাওয়াবেনা তাই মিথ্যা বলছে।”

রিমন সাদিবকে বললো,
—-“সাদিব ভাই এটা কিন্তু ঠিক না।আপনি আমাকে নেন নি।আমি আপনার জন্য কত কাজ করেছি।আজ আমি অনেক রাগ করেছি।”

রীতি ওদের সামনে থেকে কেটে পড়লো।

.

অতঃপর সাদিব রিমনকে খাওয়াবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পেলো।রীতি সিড়ি ঘরের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়িয়ে আছে।দৃষ্টি উড়ন্ত ঘুড়ির দিকে।
সাদিব রীতির কাছে এসে বললো,
—–“তুমি আমাকে এতবড় বাশ দিতে পারলে?”

রীতি সাদিবের দিকে তাকিয়ে টেডি স্মাইল দিয়ে বললো,
—-“প্রেম করবেন আর ট্যাক্স দেবেন না তা কি হয়?”

—-“হায়রে,,আমার কথা আমাকেই শোনায়।
যাইহোক তুমি কই ছিলে?”

—-“শুয়ে ছিলাম।”

সাদিব বিচলিত হয়ে বললো,
—-“অসুস্থ নাকি?মাথা ব্যথা?সারাদিন যেভাবে পড়াশোনা করো।”

—-“মশাই এতো বিচলিত হতে হবে না।ঘুমিয়ে ছিলাম।”

.

সাদিব রীতির ক্লাসরুমের বিল্ডিংয়ের বরাবর একটা গাছের নিচে দাড়িয়ে আছে।
রীতির ক্লাস শেষ হতেই ব্যাগ কাধে নিয়ে বের হয়ে সাদিবকে দেখে।ব্যাগটা ভালো ভাবে নিয়ে সাদিবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।সাদিব দুহাত ভাজ করে রীতির দিকে তাকিয়ে রীতির আসার অপেক্ষা করছে।রীতির দৃষ্টিও সাদিবের দিকে।রীতি যখন সাদিবের কাছে আসছে তখন রীতিকে পেছনে থেকে কেউ ডেকে উঠলো।
রীতি নিজের নাম শুনে দাড়িয়ে গেলো।তারপর পেছনে ঘুরে তাকালো।আদনান হাপাতে হাপাতে রীতির সামনে এসে দাড়ালো।এতোক্ষণ মনে হচ্ছে দৌড়াচ্ছিলো।আদনানের শ্বাস এখনো উঠানামা করছে।
রীতি ভ্রু কুচকে আদনানকে দেখছে।
আদনান কিছু বলতে চাইছে কিন্তু হাপানোর কারণে পারছেনা।

আদনান নরমাল হয়ে বললো,
—-“রীতি একটু সময় হবে?কিছু বলার ছিলো।খুব দরকারী কথা।”

রীতি তাড়া দেখিয়ে বললো,
—-“যা বলবে তাড়াতাড়ি বলো।সাদিব অপেক্ষা করছে।”

ততক্ষণে সাদিব এগিয়ে এসেছে।আদনান সাদিবকে দেখে বললো,
—-“তাহলে অন্য সময় বলবো।এখন যাই।”

—-“আরে না সমস্যা নেই।বলে যাও।”

—-“না,ঠিক আছে।অন্য সময় বলবো।সাদিব ভাইয়ের সামনে বলা যাবেনা।বাই।”
আদনান উল্টো পথে হাটা দিলো।রীতি আদনানের দিক থেকে ঘুরতেই দেখে সাদিব চিন্তিত ভংগীতে রীতির প্রায় কাছাকাছি এসে দাড়িয়েছে।

সাদিব রীতিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,
—-“কে ছেলেটা? আর কি বললো?”

রীতি সাদিবকে চিন্তিত দেখে বললো,
—-“আরে ক্লাসমেট।ওর নাম আদনান।ভালো ছেলে।”

সাদিব নিশ্চিন্ত হয়ে বললো,
—-“ও তাই বলো।আমি ভেবেছিলাম কে না কে।কি না কি বলছিলো।ফালতু ছেলে ভেবেছিলাম।”

—-“না কিছু বলতে এসেছিলো আপনাকে দেখে চলে গেলো।আপনি হয়তো মাইন্ড করতে পারেন এটা ভেবে।”

সাদিব হালকা হেসে বললো,
—-“মাইন্ড কেনো করবো?আমি ভেবেছিলাম অপরিচিত কেউ।তাই চিন্তিত হয়েছিলাম।”

—-“বাদ দিন চলুন।”

সাদিব কিছুটা মুখ গম্ভীর করে বললো,
—-“তার আগে চুল বাধো।সবাই কিভাবে তোমার চুলে নজর দিচ্ছে।আমার একদম পছন্দ হচ্ছেনা।”

রীতি সাদিবের কথা মতো চুল বেধে নিলো।সাদিবের শাসন গুলো ভালোই লাগে।এমন শাসনের জন্য হাজারো ছোটখাটো অন্যায় করা যায়।

সাদিব,রীতি ওদের বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।সাদিব ওর বন্ধুর আবদার রাখতে গিটারে সুর তুলছে।
সাদিব রীতির দিকে তাকিয়ে গিটারে সুর তুলছে।রীতির বান্ধবী রাইসা রীতিকে হাল্কা ধাক্কা মেরে বললো,
—-“তুই জোশ একটা বয়ফ্রেন্ড পেয়েছিস।দেখতে কি হ্যান্ডসাম।টল,স্মার্ট,কি সুন্দর বডি ফিটনেস ,গায়ের রঙটাও মাশাল্লাহ।আবার কি সুন্দর গান গায়।সেই।”

রীতি দাতে দাত চেপে রাইসার কথা হজম করে বললো,
—-“বান্ধবীর বফের উপর ক্রাশ খাওয়া ইজ নরমাল কিন্তু এতটা ফিদা হওয়া হাই লেভেলের লুচ্ছামি।”

রাইসা রীতির কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো।
সবাই সাদিবের গানের প্রসংশা করলো খুব।একে একে সবাই চলে গেলো।
রীতি সাদিবকে বললো,
—-“আপনার গান নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই?না মানে এতো ভালো গান গাইতে পারেন।”

সাদিব এক ভ্রু উঁচু করে বললো,
—-“হুম আছে তো।এই ধরো একদিন অনেক বড় সিঙ্গার হবো।চারদিকে আমার নামের জয়ধ্বনি করবে।রেস্টুরেন্ট,হল,শপিংমল,রাস্তাঘাট সব জায়গায় আমার গান চলবে।রাস্তায় যখন বের হবো তখন তখন আমার ফ্যানরা অটোগ্রাফ,সেল্ফি তোলার জন্য দৌড়ে আসবে।স্পেশালি মেয়েরা।এমনিতেই মেয়েরা আমার জন্য পাগল,সিঙ্গার হলে তো আরো পাগল হয়ে যাবে।আমার সাথে সেল্ফি তুলবে।
আমার টিশার্ট,ঘড়ি,সানগ্লাস এসব নিয়ে কাড়াকাড়ি করবে।আমিও ওদেরকে গিফট করে দেবো।”

রীতি এতোক্ষণ সাদিবের স্বপ্নের কথা মুগ্ধ হয়ে শুনলেও শেষের কথাগুলো শুনে কপালে ভাজ পড়ে গেলো বিরক্তির।
তারপর কিছুটা চেচিয়ে বললো,
—-“অফ যান।আপনার ফালতু স্বপ্নের কথা শুনতে চাইনা।শেষের গুলো বাদ।খুবই জঘন্য শেষের স্বপ্নগুলো।”

—-“কি বলছো এতো রোমান্টিক একটা স্বপ্ন।”

রীতি ঠোঁট ফুলিয়ে বললো,
—-“আমি যাচ্ছি।আপনি থাকুন আপনার রোমান্টিক স্বপ্ন নিয়ে।”

সাদিব রীতির হাত ধরে ফেললো।রীতির হাত ধরে বসিয়ে বললো,
—-“আরে আমি তো মজা করছিলাম।তোমাকে রাগানোর জন্য বললাম।তুমি জানো তোমাকে রাগলে কত সুন্দর লাগে?”

রীতি ভেংচি কাটলো।
তারপর সাদিব বলতে লাগলো,
—-“এসব নিয়ে আমার কোনো স্বপ্ন নেই।গানটা আমি শখের বশে গাই।ভালো লাগে।এইটুকুই।গানটা আমার মন ভালো করার,মনটা ফুরফুরে করার উপাদান।প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে আমার কোনো আলাদা স্বপ্ন নেই।বাবার একমাত্র ছেলে হিসেবে বাবার ব্যবসায়ের দায়িত্ব স্বাভাবিক ভাবেই আমার উপর বর্তাবে।
তবে আমি স্বপ্ন দেখি।খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন।”

রীতি কৌতুহল নিয়ে বললো,
—-“কি স্বপ্ন?”

সাদিব উদাসীন ভাব নিয়ে বললো,
—-“আমার স্বপ্ন একদিন আমাদের বিয়ে হবে।একটা বাচ্চা হবে।আমি সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বাড়িতে ফিরবো।তুমি হাসিমুখে দরজা খোলবে।তোমার হাসি দেখে আমার সব ক্লান্তি নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।আমি ঘরে ঢুকতেই দেখবো আমাদের বাবু মেঝেতে বসে খেলনাপাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেলছে।আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে কোলে নিয়ে চুমু খাবো।আর তুমি কোমড়ে দুহাত দিয়ে আমাকে বকতে শুরু করবে।বলবে,তুমি আবারো ফ্রেশ না হয়ে নোংরা শরীরে বাবুকে ধরেছো?তোমার আজ খাওয়া বন্ধ।তারপর তুমি বাবুকে নিয়ে ঘরে দরজা দিবে।আমি তোমার অভিমান ভাঙানোর চেষ্টায় লেগে যাবো।”

সাদিব কথাগুলো বলে রীতির দিকে তাকালো।রীতি মুগ্ধ হয়ে সাদিবের কথা শুনছে।রীতির চোখে অপার মুগ্ধতা দেখছে সাদিব।দুজন দুজনের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে।দুজনের চোখে চোখে হাজারো কথা আদান-প্রদান হচ্ছে।

চলবে….!