#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২৫
রিহা কোনো মতে খেয়ে উঠে যায়। ঘরে যেতে গেলে মাইসা চৌধুরী ডাক দেয় ইচ্ছা না থাকা সত্বেও যেতে হয়
মাইসা চৌধুরী : কীরে খাওয়া শেষ ?
রিহা : হুম
মাইশা চৌধুরী : মন খারাপ করিস না রেহান চলে আসবে
রিহা : মামনি অন্তরা আপু আর রেহান এর কি বিয়ে ঠিক ছিল ?
মাইশা চৌধুরী : তোকে এসব কে বলছে ?
রিহা : না এমনি বলো না
মাইশা চৌধুরী : না কখনো ঠিক হইনি ওদের সাথে আমার তেমন কোনো কথা হইনি আর রেহান ছোটো থেকে তোকে ভালোবাসে
রিহা : ছোটো থেকে মানে? (অবাক হয়ে)
মাইশা চৌধুরী : ওতো বুঝতে হবে না রেহান এর মন জুড়ে শুধু তুই আর রেহান অন্তরা কে বোন ছাড়া অন্য কিছু ভাবে না বুঝলি ওই নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই এখন মজা কর
মাইশা চৌধুরী চলে যেতেই রিহা ভাবতে থাকে তাহলে রাইসা খান কেনো বললো যে রেহান অন্তরা আপুকে ভালোবাসে
রিহা : আমি ভুল ভাবছি মামনি তো বললো আর আগে কিছু থাকলে বা কি এখন আমি আছি । আমার আগে ভাবা উচিত ছিল টিভিতে তো এমন প্রায় হয় ধুর বেশি ভাবি
রুশ : কীরে কি বির বির করছিস
রিহা রুশ এর দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে।
রিহা : তোর কথা ছাড়া কার কথা ভাববো তোর মত একটা ফ্রেন্ড যার আছে তার তো
বলে কপালের ঘাম মুছার ভান করলো
রুশ : তাই না সে লোক জানে
রিহা : লোক তো অনেক কিছু জানে কিন্ত তোর যে মাথার সমস্যা সেটা কি জানে ?
রুশ : রিহার বাচ্চা বাচ্চা
রিহা :আমার বাচ্চা হইনি হলে বলমুনি তখন তাকে রিহার বাচ্চা বলিস
রুশ : ধুর এভাবে ভালো লাগে চল লুডু খেলবি
রিহা : দুইজনে মজা নেই
রুশ : আরে দুইজন কি করে অন্তরা আপুর বোন আছে তো ওদের সাথে খেলবো দারা আমি ডেকে আনি
রিহা : ছাদে চল সুন্দর জায়গা
রুশ : ওকে
রুশ ডাকতে গেলেই রিহা উপর ছাদে গিয়ে ফুল দেখতে লাগে তখনই রুশ অন্তরার বোন দের নিয়ে আসে
রুশ : রিহা এই দেখ
অহনা : হাই আমি অহনা
আনিকা : আমি আনিকা আর তুমি
রিহা : আমি রিহা
অহনা : খুব সুন্দর নাম
রুশ : চলো খেলা শুরু করি
আনিকা : সেটা ভালো
সবাই মিলে খেলা শুরু করলো খেলার মাঝে অন্তরা চলে আসে। খেলার থেকে বেশি কথা হচ্ছে
দুপুর সবাই খাওয়া দাওয়া করে গল্প করছে রিহার খুব মাথা ব্যাথা করছে কাল রাতে ঘুম হইনি
মাইশা চৌধুরী : রিহা তুই একটু ঘুমা দেখবি শরীর ভালো লাগবে
রুশ : হা রিহা যা
রিহা : আমি ঠিক আছি
অন্তরা : আরে রিহা যাও কোনো ব্যাপার না
রুশ : হা যা
সবার জোরাজুরিতে রিহা গিয়ে শুয়ে পরে আর সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পরে
এদিকে
রেহান আর অনির্বাণ খাওয়া শেষ করে গাড়িতে উঠলো
অনি : আর কত দূর রে ভাই দুপুর হতে গেলো
রেহান : তুই যেভাবে গাড়ি চালিয়েছিস তাতে আজ পারবো কিনা সন্দেহ
অনি : ঘুমের মধ্যে আমি ওতো জোরে চালাতে পারবো না
রেহান : তোকে আর চালাতে হবে না এবার দেখ আমার খেলা
রেহান গাড়ি স্টার্ট দেয় ফাঁকা রাস্তা বলে ফুল স্প্রিডে গাড়ি চালায় ।
অনি বসে আছে আর রুশ এর সাথে কথা বলছে ।
কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে আসে । অনি আর রেহান গাড়ি থেকে নামতেই রাইসা খান এগিয়ে আসে
রাইসা : তাহলে আসা হলো।
রেহান গিয়ে জড়িয়ে ধরে।
রেহান : উফফ তুমি তো আগের থেকে আরো সুন্দর হয়ে গেছো (দুষ্টুমি করে)
রাইসা খান: চুপ কর বদমাইশ
রেহান আম্মু এগিয়ে এসে বলে।
মাইশা চৌধুরী : এখন আসার টাইম হলো একজন তো তোর জন্য মন খারাপ করে বসে আছে
রেহান : কে ?
মাইশা চৌধুরী বলার আগেই রাইসা বলে
রাইসা : কে আবার অন্তরা তোর জন্য ওর কত মন খারাপ জানিস
মাইশা চৌধুরী কিছু বললো না রুশ এসে অনির হাতের বেগ নিতে গেলে অনি বলে।
অনি: সব সময় তো আমার উপর সব চাপিয়ে দাও আজ কি হলো।
রুশ : মিস করছিলাম
অনি : আমিও
মাইশা : অনি বাবা আসো ভিতরে আসো ।
সবাই ভিতরে গিয়ে অনি সবার সাথে কথা বলতে লাগলো রেহান কথা বলছে আর এদিক ওইদিক তাকাচ্ছে
অন্তরা : কাউকে খুজছো ?
রেহান : না মানে
মাইশা চৌধুরী : রেহান বাবা যা ফ্রেশ হয়ে নে
রুশ : আমি দেখিয়ে দিচ্ছি চলো
রাইসা : যা একটি রেস্ট নে পরে কথা হবে
রুসা রেহান আর অনিকে নিয়ে উপরে গেলো। আগে থেকে ওদের রুম রেডী করে রেখেছিল। রেহানকে রিহার রুমে দিয়ে পাশের রুমে অনি আর রুশ যায়।
রেহান ভিতরে গিয়ে দেখে রিহা ঘুমিয়ে আছে জানলা খোলা থাকায় রিহার চুল এসে মুখের উপর পড়ছে। রেহান ধির পায়ে রিহার কাছে গিয়ে
রেহান : আমি সারারাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি আর ম্যাডাম দেখো কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে বাহ এই দুষ্ট মেয়ে আমার ঘুম কেড়ে নিলে কেনো হুম (রিহার গালে হাত দিয়ে)
মাইশা চৌধুরী : রেহান যা ফ্রেশ হয়ে আয়
রেহান : হা আম্মু (থটমত খেয়ে)
মাইশা চৌধুরী : রিহার মাথা বেথা করছিলো তো তাই এখন তোর আমানত আমি তোকে ফিরিয়ে দিলাম (এক গাল হেসে)
রেহান : হুম (মাথা চুলকিয়ে)
মাইশা চৌধুরী : যা একটু রেস্ট নে
রেহান আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হতে যায় । মাইশা চৌধুরী দরজা চাপিয়ে যায়।
রেহান গোসল করে চুল মুছতে মুছতে এসে দেখে রেহান প্রায় পরে যাওয়ার মত খাটের একদম কিনারায় চলে আসছে। রেহান তাড়াতাড়ি গিয়ে রিহাকে ঠিক করে শুয়ে দেয়।
রেহান : উফফ ঘুমের মধ্যে মনে হয় ফুটবল খেলছে ঠিক করে ঘুমাতে পারে না জেগে থাকলে তো শাহানশাহ হয়ে ঘুরে বেড়ায় ঘুমের মধ্যে ও ফুটবল
রেহান রিহার মাথায় হাত বুলিয়ে নিজের রিহার পাশে শুয়ে পরে। রিহাকে দেখতে দেখতে রেহান ও ঘুমিয়ে পরে ।
অনেকক্ষণ পর
রিহার ঘুম ভেংগে গেলে আশে পাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই হটাৎ নিজের পাশে তাকিয়ে দেখে রেহান এক হাত রিহার উপর দিয়ে ঘুমিয়ে আছে
রিহা : উনি কখনো আসলেন একবার ডাকলেন না
রিহা রেহান এর দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে রেহান এর চোখ মুখ কেমন একটা লাগছে মনে হচ্ছে সারারাত ঘুমায় নি ।রিহা হাত দিয়ে রেহান এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তখনই অন্তরা হুড়মুড় করে ভিতরে আসে।
অন্তরা কে দেখে রিহা উঠে বসে
রিহা : আপু তুমি ?
অন্তরা : হুম তোমাদের ডাকতে আসলাম
রিহা : ওহ আচ্ছা উনি ত ঘুমাচ্ছে মনে হয় ক্লান্ত আমি তোমার সঙ্গে যাচ্ছি চলো
অন্তরা : না রেহান কে লাগবে তুমি নিচে যাও আমি ডাকছি
রিহা খাট থেকে নেমে দাড়ায় অন্তরা রেহান এর মাথায় হাত দিয়ে ডাকছে ।
অন্তরা : রেহান রেহান উঠ
রেহান…..
অন্তরা : আরে উঠ এত ঘুমালে কি হয় চলো আম্মু ডাকছে
রেহান …
অন্তরা : রেহান উঠ (জোরে ধাক্কা দিয়ে)
রেহান : রিহা প্লিজ ঘুমাতে দাও এখন আবার পানি দিও না আমি একটুপর উঠছি প্লিজ
রিহা দূরে দাড়িয়ে দেখছে । রুসা পাস দিয়ে যাবার সময় রিহা কে বলে
রুশা : সময় থাকতে নিজের সব কিছু গুছিয়ে নে নাহলে সারাজীবন পস্তাতে হবে বুঝলি
রিহা কিচ্ছু বলে না হঠাৎ রিহার মনে পরে রেহান যদি অন্তরা আপুকে রিহা ভেবে কিছু করে।
রিহা খাটে উঠে বলে
রিহা : আপু আমি ডাকছি
অন্তরা : থাক না আমি ডাকছি ত
রিহা : wife তো আমি
অন্তরা আর কিছু না বলে চলে যায় রিহা পানি নিয়ে মুখে অল্প মারে। রেহান ধরপরিয়ে উঠে দেখে রিহা তাকিয়ে আছে
রেহান : রিহা প্লিজ আমার খুব ঘুম পাচ্ছিল
রিহা : আমি ডাকিনী অন্তরা আপু ডাকছিল যদি না উঠতাম তাহলে তো
রেহান : আমি ঘুমাবো
রেহান শুয়ে পরে। রিহা কিছু না বলে বাইরে যায় ।
একটু পর আবার আসে হাতে কফি নিয়ে।
রিহা : শুনছেন উঠুন বিকেল হইছে আর কত ঘুমাবেন উঠুন এই দেখুন কফি আনছি
রেহান তো ঘুম রিহা কি করবে আবার মুখে পানি দেয় এবার একটু বেশি রেহান এবার অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে
রিহা : ওমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো কফি টা খান ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে (কফির মগ ধরে)
রেহান কফি রেখে রিহাকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে
রিহা : কি করছেন কি ছাড়ুন
রেহান : কেনো আমাকে যখন উঠিয়ে দিলে তাহলে তো তোমার শাস্তি পেতেই হবে
রিহা : কিসের শাস্তি অন্তরা আপু আপনাকে বার বার ডাকছিল
রেহান : আরে রাখো তোমার অন্তরা আপু আমাকে দেখো এবার বলো আমাকে মিস করছিলে
রিহা : মোটেও না
রেহান : সত্যি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো
রিহা : দেখুন একবার আপনাকে ডেকে গেছে এখন যদি আবার এসে এই ভাবে দেখে তাহলে কিন্ত
রেহান : কেউ আসবে না সবাই জানে আমরা married বুঝছ
রিহা বলার আগে কেউ রেহান এর নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ভিতরে আসে । রেহান রিহা দুজনেই সরে যায়
রেহান কিছুটা লজ্জা পায় কিন্ত রিহার গা জ্বলে যাচ্ছে
চলবে
#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২৬
রিহা নিজেকে ঠিক করে উঠে দাড়ায়। অন্তরার দাদী বেশি ভালো দেখতে পায় না বলে এই বার ওরা বেচে গেলো । রেহান অন্তরার দাদীর কাছে যায়
রেহান : কেমন আছো আমার বিউটি কুইন
দাদী : রাখ তোর কুইন এসে তো আমার সাথে একবার ও দেখা করলি না বুঝি বুঝি এখন তো আমায় আর ভালো লাগবে না তাই না নতুন ছুরি আসছে তো
রিহা : বুড়ির ঢং দেখলে গা জ্বলে (মনে মনে)
রেহান : কি যে বলো তোমাকে কখনো ভুলতে পারি তুমি তো আমার কুইন
দাদী : থাক জানি কত বার ডাকতে পাঠিয়েছি নিশ্চয় তুমি আসতে দিতে চাওনি তাই না (রিহার দিকে তাকিয়ে)
রিহা : মন চাচ্ছে গরম তেলে চুবিয়ে আনি আমি ডেকে দিলাম আর আমায় দোষ দেয় আমার কি স্টার জলসার নাইকা মনে হয় যে চুপ করে থাকবো (মনে মনে) কেনো আসতে দিতে চাবো না আমার স্বামী কি পালিয়ে যাচ্ছে সে তো আমার থাকছে ক্লান্ত ছিল তো তার উপর এতো ড্রামা তাই না উঠে ঘুমিয়ে ছিল (মেকি হাসি দিয়ে)
দাদী তো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে
দাদী : দেখছিস তোর বউ এখন থেকে আমার স্বামী বলছে আর কি কথা বাবা গো এর থেকে আমাদের অন্তরা ভালো তোর কি চোখ ছিল না
রেহান তো অবাক আজকে প্রথম রিহা স্বামী বললো। রিহা আবার বলে
রিহা : অন্তরা আপু তার মতো আমি আমার মত । আমার সাথে অন্য কাউকে তুলনা করা আমি পছন্দ করিনা আর আল্লাহ যদি সবাই কে এক বানাবে তাহলে এক জন বানাতো সবাই যার যার পার্সোনালিটি নিয়ে চলে
দাদী : দেখ তোর বউ এর কথা (রেহান কে ধককা দিয়ে)
রেহান এর হুস ফিরলো। নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে
রেহান : ওর এই সব কিছুর জন্য ওকে আমি এতো ভালোবাসি
রিহা মুচকি হাসি দেয়।
দাদী : খাটি জিনিস চিনতে মানুষ এর টাইম লাগে তোর যেনো সেই টাইম অনেক দেরি করে না আসে
রেহান : উফফ দাদু তুমি এসব বাদ দাও তো যার দুনিয়াতে আসার আগে থেকে তাকে চিনি যার ছেলে বেলা সব আমায় ঘিরে তাকে কি নতুন করে চেনা লাগে এখন তুমি চলো এক সাথে গল্প করবো
দাদী : হুম চল
রেহান একটু এগিয়ে গিয়ে রিহাকে ইশারা করে নিচে আসতে। রিহা মুচকি হেসে নিচে যায়
নিচে সবাই বসে আছে রেহান এর ডান পাশে দাদী আর বাম পাশে অন্তরা অন্য পাশে রাইসা খান । রুসা আর অনি আর মাইশা চৌধুরী এক সাথে বসে আছে। রিহা গিয়ে মাইশা চৌধুরির কাছে বসে।
মাইশা চৌধুরী : রিহা বস আমি নাস্তা নিয়ে আসছি
রিহা : ওকে
মাইশা চৌধুরী যেতেই
রিহা : কি ব্যাপার হাত ধরে খুব তো চলছে হুম
রিহার কথা শুনে রুশ হাত ছড়ানোর চেষ্টা করে কিন্ত অনি ছারে না
রিহা : থাক বীথা চেষ্টা করে লাভ নেই
অনি : আরে ভাবি
রিহা : জী ভাইয়া আমি কিছু বলছি না চালিয়ে যান
এর মাঝে মাইশা চৌধুরী কফি আর পকোড়া নিয়ে আসে।
রিহা : মামনি আমি একটু ছাদে যাবো এখানে বোরিং লাগছে
রুশ : আমি আসছি
রিহা : না আমি একটু একা থাকতে চাই
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা নাস্তা নিয়ে যা
রিহা কফির মগ আর পকোড়া নিয়ে উপরে যায়। ছাদে হেটে হেটে গান শুনছে আর কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে ।
ছাদে বিকেল বেলায় একা একা গান শুনা just wow সাথে যদি কফি থাকে পুরাই জমে যায় । গল্পের বই হলে আরো ভালো হয় ।
রিহার মন কেনো যেনো ভালো না । সেটা রিহা নিজে ও জানে না । ছাদে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত হেটে হেঁটে গান শুনছে । হটাৎ পাশের ছাদে চোখ যায় । একটা ছেলে রিহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । রিহার অসস্তি হচ্ছে । রিহা পাত্তা না দিয়ে নিজের মত চলছে হটাৎ ছেলেটা ডাক দেয়
ছেলেটা : হাই আমি রাইহান আর তুমি?
রিহা : ……
ছেলেটা : কিহলো ?
……
ছেলেটা : ওহ বুঝছি তুমি কথা বলতে পারো না ওহ সো সেড
রিহা : জী না আমি কথা বলতে পারি কিন্ত আপনাকে কেনো বলবো
রাইহান : কেনো বলতে সমস্যা কি আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি না
রিহা আর কিছু না বলে নিচে যায় ।
ছেলেটা ওখানেই দাড়িয়ে মুচকি হেসে বলে
রাইহান : বাহ মুখের সাথে তো কথার মিল নেই দেখে কত কিউট আর কথা নিমের থেকে তেত
(তুই কি কথা খাইছিস জী বুঝলি তেতো নাকি মিষ্টি আজব মানুষ সব । বেশি করলে নিমের জুস খাইয়ে দেবো পেটের সাথে মাথা ও পরিষ্কার হয়ে যাবে)
রিহা নিচে এসে দেখে এখন ও ওদের কথা হচ্ছে তবে অন্তরার দাদী এখন আর নেই মনে হয় ঘরে গেছে । রিহার দাড়িয়ে আছে দেখে মাইশা চৌধুরী বসতে বলে । রিহা রেহান এর পাশে বসে ফোন টিপতে থাকে। রেহান আর অন্তরা তো গল্প করেই যাচ্ছে
কথার ফাঁকে রেহান রিহার হাত ধরে রাখে রিহা রেহান এর দিকে তাকাতেই রেহান চোখ মারে রিহা তো রাগে ফোঁসফোঁস করছে
রিহা : লুচ্চা বিডা কেমনে বউ এর সামনে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলছে এসব লোক দের ধরে পানিতে ডুবাতে হবে আবার আমার হাত ধরে রাখছে মনে হচ্ছে হাত ভেঙ্গে দিবে কি শক্ত রে বাবা (মনে মনে)
রিহা মুচড়া মুচরি করে লাভ না পেয়ে রেহান এর কানে কানে বলে
রিহা : হাত কি ছাড়বেন নাকি কামোর দেবো হুম (ফিসফিসিয়ে)
রেহান কোনো পাত্তা দেয় না ।
রেহান : অন্তরা আমার জন্য একটু কফি আনতে পারবে
অন্তরা : এভাবে বলার কি আছে আনছি
অন্তর উঠে যেতেই রেহান রিহার দিকে ফিরে
রেহান : এবার বলো কি বলছিলে ?
রিহা : আমার হাত ধরে রাখছেন কেনো ছাড়ুন
রেহান : আমার বউ এর হাত আমি ধরেছি তোমার কি?
রিহা : বউ বউ তো করছেন বউ হলে কি আমার সাথে কথা না বলে অন্য কারোর সাথে বলতে পারতেন
রেহান : ওহ মেডাম এর জেলাস হচ্ছে
রিহা : হা হচ্ছে তো
রেহান: তো (কথাটা বলে রেহান রিহার গালে চুমু খায়)
রিহা স্তব্ধ ।
রিহা : এটা কি করলেন হা
রেহান : কেনো যানো না বউ কে ভালোবাসলাম চাইলে তুমি ও বাসতে পারো (গাল এগিয়ে দিয়ে)
রিহা রেহান এর গালে চিমটি কেটে বলে
রিহা : আমার দরকার নেই
রেহান : ভালো তো বাসতে হবেই আমি কি ভাবছি যানো এবার বেবি প্ল্যানিং করে ফেলবো
রিহা : চুপ করেন কি সব বলছেন লজ্জা সরম সব কি শেষ
রেহান : বউ এর কাছে কিসের লজ্জা চিন্তা করো না তোমার লজ্জা ও ভাঙ্গিয়ে ছাড়বো
রিহার তো এবার মাটি ফাঁক করে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে । এখন আর রিহার আগের মত রেহান এর কথায় খারাপ লাগে না বরং ভালো লাগে।
ওদের কথার মাঝে অন্তরা আসে
অন্তরা : এই নাও তোমার কফি
রেহান : আমি তো ব্ল্যাক কফি খাই
অন্তরা : অপস সরি ভুলে গেছি আজ না হয় আমার জন্য খাও
রিহা : এখন আর কফি খেতে হবে না একটু পর খাওয়ার জন্য ডাকবে রাত তো কম হলো না যান মুখে পানি দিয়ে আসেন
রেহান : হুম
রেহান উঠে ঘরে যায় রিহা রুশা দের ঘরে যায়
রুশ : কি রে তুই এখন ?
রিহা : হুম একটা কথা ছিল
রুশ : হা বল
রিহা ,: আমার কেনো যেনো অন্তরা আপুদের পরিবার কে ঠিক লাগছে না
রুশ : তুই কি সন্দেহ করছিস ?
রিহা : না আসলে
অনি : ওরা ছোটো বেলা থেকে বড়ো হইছে সেই জন্য ওমন
অনি ওয়াশোরুম থেকে আসার সময় ওদের কথা শুনে ফেলে
রিহা : না মানে
অনি : আমি বুঝছি সন্দেহ করা সাভাবিক কিন্ত ওদের মধ্যে কিছু নেই
রুশ : ও ঠিক বলছে তুই মনে হয় অন্তরা আপুর দাদুর কথায় এসব ভাবছিস তাই না বাদ দে তো আগের মানুষ তো তাই এমন
রিহা ও ভাবে সত্যি সে বেশি বেশি ভাবছে এসব কিছু সব ওর মনের ভুল
রিহা এসব ভাবতে ভাবতে নিজের ঘরে দিকে যাচ্ছিলো তখনই কারোর সাথে ধাক্কা খায় রিহা পরে যায় সামনে তাকিয়ে দেখে
রিহা : আপনি দেখে চলতে পারেন না চোখ কই থাকে(রেগে)
চলবে।