গ্যাংস্টার লাভ পর্ব-৩১+৩২

0
775

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৩১

অনির্বাণ ভিতরে এসে দেখে রেহান আর রিহা এক চাদরে একে অপর কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।

মাইশা চৌধরী :এখানে থেকে কি হবে চলো নিচে চলো রিহা তো ঠিক আছে এখন চলো

অন্তরা আনমনে বলে উঠে
অন্তরা : এখানে তো রাইহান এর থাকার কথা রেহান কি করছে ?
মাইশা চৌধুরী : কি বললে আর একবার বল
রাইসা খান : আরে ও কিছু বলে নি তো চল

সবাই যে যার রুমে চলে গেল। রেহান আর রিহা ওভাবে ঘুমিয়ে আছে।

রুসা রুমে ঢুকে অনির্বাণ কে বলে

রুসা : আমার বেপার টা ঠিক মনে হচ্ছে না ওই অন্তরা পেত্নী এই কথা কেনো বললো ?
অনি : আরে তুমি ওত চিন্তা করো না রেহান থাকতে রিহার কিছু হবে না

রুসা : কিন্ত
অনি : কোনো কিন্ত না my love যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ।

অনি রুসা কে ঠেলে ফ্রেশ হতে পাঠায় ।

অনি : ওরা যদি ভাবে আমরা দুর্বল তাহলে এটা ওদের ভুল রেহান থাকতে ওর কিছুই হতে পারে ন কিন্ত আজকের বেপার টা শুনতে হবে ।

এদিকে অন্তরা ঘটে ঢুকে সব ভাঙ্গা শুরু করছে ।

রাইসা খান : মা শুন তোর শরীর ভালো না একটু শান্ত হ
অন্তরা : কি করে শান্ত হবো সব শেষ সব এতো কিছু প্ল্যান করে কি লাভ হল রেহান এর সাথে রিহা কি করে থাকে আর রাইহান কোথায় ওকে একটা কাজ দিয়েছি সেটা ও করতে পারলো ন
রাইসা : সব তোর দোষ রেহান কে নজরে রাখতে পারলি না রিহার কাছে কি করে যায় এতো সুন্দর একটা প্ল্যান এ পানি ঢেলে দিলো
অন্তরা : আম্মু একদম তুমি আমায় দোষ দিবে না রেহান ওর বন্ধুর সাথে ছিল বলে আমি কিছু বলিনাই আর রিহা একা বের হলে রেহান কে পেলো কই আর রাইহান কই ওকে তো

বলে রাইহান এর নাম্বারে ফোন দেয় কিন্ত ফোন বন্ধ

অন্তরা : ফোন বন্ধ করছে কেনো ?
রাইসা খান : তো কি করবে ওই মুখ নিয়ে আমার সামনে আসলে ওর মুখ ভেঙ্গে দেবো।

অন্তরা রাগে ফুলদানি ভেঙ্গে ফেলে
অন্তরা : এতো কষ্ট করলাম কাল রাইহান কে কত বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করলাম রিহার হতে মার খেলাম কিন্ত ফল কি হলো
রাইসা খান : মা একটু শান্ত হো তোর শরীর ভালো না
অন্তরা : তুমি যাও তো আমার ভালো লাগছে না যাও

রাইসা খান আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে যায় । অন্তরা রাগে ফুঁসছে ।

রাতে রিহার ঘুম ভাঙ্গল। পিটপিট করে চোখ খুলে চারিদিক দেখতে থাকে।

রিহা : উফফ মাথাটা এতো ভার হয়ে আছে কেনো (মাথায় হাত দিয়ে)

রিহা নরতে চাইলে পারে না রেহান যে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। রিহা রেহান এর দিকে তাকিয়ে থাকে। একটু পর খেয়াল করে রেহান এর বুক খালি। কি মনে করে নিজের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার দেয় ।

রিহার চিৎকারে রেহান লাফ মেরে উঠে

রেহান : কিহলো ঐভাবে চিৎকার দিলে কেনো ?
রিহা : আপনি কেনো করলেন হা
রেহান : কি করেছি
রিহা : দেখাচ্ছি

বলে রিহা উঠে ওয়াশরুমে যায়। রেহান ত সব মাথার উপর দিয়ে গেলো

একটু পর বেরিয়ে এসে রেহান এর দিকে চোখ লাল করে তাকায়

রেহান : কিহলো ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ?
রিহা : আপনি আমার সাথে এটা কি করে করলেন আমার পারমিশন নেবার প্রয়োজন বোধ করলেন না এত খারাপ কেনো আপনি
রেহান : তুমি কি বলছ?
রিহা : কি বলছি তাই না একটু ভালো ব্যাবহার কি করছি আপনি তো সুযোগ নিচ্ছেন

কথাটা বলে রেহান কে বালিশ দিয়ে মারতে থাকে
রেহান : আরে কি হচ্ছে কি মেরে ফেলবে নাকি ?
রিহা : ফেলবো তো আপনি আমার সাথে নিও করলেন
রেহান : দেখো রিহা আমি কি করছি বুঝতে পারছি না তবে তুমি আমার স্ত্রী তোমার উপর আমার অধিকার আছে
রিহা : অধিকার থাকলে কি আমার পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নি
রেহান : আমি সমাজে মুখ দেখাবো কি করে আর এসব হলো কি করে (মাথায় হাত দিয়ে)

রেহান রিহার পাশে বসে
রেহান : কি হইছে একটু বলবে
রিহা : আপনি আপনার সাথে এসব করছেন কেনো ?
রেহান : কোন সব ?(অবাক হয়ে,)
রিহা : কোন সব মানে আপনি আপনার পারমিশন ছাড়া ফুলসজ্জা করলেন কেনো

রেহান এতক্ষণে বুঝলো রিহা কি বলছে

রেহান : হা তো কি হইছে আমার কি কোনো অধিকার নেই (দুষ্টুমি করে)
রিহা : অধিকার কিসের অধিকার একটা অবলা নারী পেয়ে
রেহান : চুপ বেশি কথা কেনো বলো হুম যা হইছে তো হইছে এখন কি বদলানো যাবে

রিহা এবার কান্না করে দেয়
রেহান : আরে কান্না করছো কেনো ?
রিহা : আপনি খুব খারাপ
রেহান : তাই নাকি আমার প্রতি তোমার একটু ও বিশ্বাস নেই ভালো তবে নিজের প্রতি ও নেই রিহা : মানে
রেহান : মানে তুমি যেটা ভাবছো তেমন কিছু হইনি তবে চাইলে এখন হতে পারে (চোখ মেরে)
রিহা : তাহলে তখন
রেহান : তুমি বমি করছিলে তোমার পুরো শরীরে তো করছো সাথে আমার ও । তখন তোমার অবস্থা খারাপ ছিল ড্রেস পরতে চাইছিলে না

রিহা মাথায় চাপ দিয়ে মনে করার চেষ্টা করে ।

রিহা : আমি তো মেলা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম রাস্তায় একজন গাড়ির সামনে দাঁড়ায় ।
রেহান : তুমি যখন মেলা থেকে বের হলে আমি তখন আমার ফ্রেন্ড এর সাথে ছিলাম তোমাকে দেখে আমার ঠিক মনে হইনি তাই ফ্রেন্ড এর সাথে তোমায় ফ্লও করি মাঝ রাস্তায় তোমার গাড়ি থামতে দেখে আমরা বেরিয়ে এসে দেখি

রেহান গাড়ির কাছে এসে দেখে রাইহান রিহাকে গাড়িতে উঠাচ্ছে রিহার কোনো হুস নেই। রেহান আর ওর ফ্রেন্ড মিহাদ রাইহান কে ধরে। রেহান গাড়িতে শুয়ে দিয়ে মুখে পানি মারে। রিহার সেন্স ফিরলে রিহা আশে পাশে তাকিয়ে দেখে

রেহান : কি হইছে কি দেখছ আর এখানে কি করছ হুম (রেগে)
রিহা : আপনি কে ভাই আমি এখানে কেনো ?🙄
রেহান : কি আবোল তাবোল বলছো হুম
রিহা : আবোল তাবোল সেটা কি খেতে হয় না মাথায় মাখতে হবে (মাথায় হাত দিয়ে)
মিহাদ : দোস্ত ভাবি কে বাসায় নিয়ে যা মনে হয় উল্টা প্লটা খাইছে

রেহান বলার আগে রিহা বলে।
রিহা : ভাবি কি ভাবি খাবো আমাকে ভাবি এনে দাও। দাও না
রেহান : এই মেয়ে চুপ করো
রিহা : ওকে

রেহান গাড়ির দরজা লাগিয়ে মীহাদ এর সাথে কথা বলছে একটু পর রিহার আওয়াজে রেহান তাকিয়ে দেখে রিহা গাড়ির উপরে ।

রিহা : সুন সুন মানুষ বাসি আমি আজ এই গাড়ি থেকে সুইসাইড করবো প্লিজ হেল্প me

রিহার চিৎকারে আশপাশে লোক চলে আসে

রেহান : এই মেয়ে আজ আমাকে মারবে

রেহান আর মিহাদ গাড়ির কাছে যায় ।

রেহান : রিহা নামো ওখানে উঠছো কেনো
রিহা : চুপ আমার আছে আসবে না নাহলে কি লাফ দেবো দূরে দূরে হুস হুস হুস
একটা লোক : এই মেয়ে কি হচ্ছে এসব
রিহা : আরে দাদু আমি সুইসাইড করবো জানেন না । আমার অনেক কষ্ট এখানে কষ্ট (বুকে) এখানে কষ্ট (ঠোঁটে ) এখানে কষ্ট ( চোখে )এখানে কষ্ট (নাকে ) সব জায়গায় কষ্ট আর এর জন্য দায়ী কে জানেন
রেহান : রিহা নামতে বলছি
রিহা : চুপ আমি কথা বলছি তো ।

তো guys কি বলছিলাম ওহ হা আমার কষ্টের জন্য দায়ী ওই যে মিস্টার রেহান ওরফে #মিস্টার_হাসব্যান্ড (রেহান এর দিকে ইশারা করে )

মিহাদ : দোস্ত ভাবি কিন্ত সেই
রেহান : চুপ কর
একটা লোক : এই ছেলে তুমি মেয়েতার সাথে কি করছো হুম
রিহা : আমি বলছি আমি বলছি আমাকে বিয়ে করছে ভালো কথা কিন্ত এখন ভালো বাসে না সব সময় কাজ আর কাজ তাই আমি সুইসাইড করবো (গাড়িতে দাড়িয়ে)

একটা মহিলা : এই ছেলে ঘরের খবর এই ভাবে বাইরে ছড়ানো কি ঠিক এটা কি শহর পাইছ
মিহাদ : আরে আন্টি ও একটু উল্টা পাল্টা খাইছে ।

মহিলা বলার আগেই রিহা বলে

রিহা : ওই কুটনি বেডি আমার জামাই কে কি বললি
মহিলা : মেয়ের কি কথা
রিহা : কেন তোর মেয়ে কথা বলতে পারে না আমাকে কি স্যার জলসার নাইক পাইছিস যা বলবি চুপ করে থাকবো আমি রিহা বুঝছিস

রেহান : রিহহহহহহহহায়ায়ায়ায়া (চিৎকার করে)
রিহা : চুপ চিল্লাবা না (চিৎকার করে)
রেহান : তুমি চুপ
রিহা : আমি চুপ (মুখে আঙ্গুল দিয়ে)🤫

রেহান রিহাকে জোর করে নামিয়ে নেয়

রিহা : ছার ছার বলছি তোমার নামে আমি ভালোবাসা না দেওয়ার কেস দেবো
রেহান : আর একটা কথা বললে দাত ফেলে দেবো আর আপনারা এখন যান এখানে তামসা ত শেষ আর আন্টি আমি সরি বলছি ওর হয়ে
রিহা : তুমি কেনো বলবে আমি বলছি সরি কুটনি বুড়ি (কান ধরে)
মহিলা : এই মেয়ে কে সামলে রেখো যা কথা ও মাগো
রিহা : ওভাবে না ওমাগো ট্রু লাভ

মিহাদ জোরে হেসে দেয় । রেহান হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না রিহার উপর এখন রাগ ও করতে পরছে না ।

রেহান পাশে তাকিয়ে দেখে রিহা না

রেহান: রিহা কই
মিহাদ : ওই দেখ

রেহান তাকিয়ে দেখে রিহা দৌড়াচ্ছে আর বলছে

রিহা : আমি পালালাম

মিহাদ : ভাবি হা হা হা
রেহান : আরে ওকে ধর (রেগে)

চলবে

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_৩২

রিহা বেশি দূর যাওয়ার আগেই রেহান ধরে ফেলে। পিছন থেকে উচু করে গাড়ির কাছে নিয়ে আসে। রিহা ত ছটফট করেই যাচ্ছে

রিহাঃ বাচাও এই লোক আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেউ কি আছ এই অবলা নারি কে

আর কিচু বলার আগেই রেহান ধমক দেয়
রেহান ঃ এই মেয়ে চুপ একটা কথা না অনেক জালিয়েছ আর একটা কথা বললে কিন্ত
মিহাদঃ দোস্ত ছেরে দে বাচ্চা
রিহাঃ আমার বাচ্চা চাই এনে দাও না পিলিগ

রেহান মাথায় হাত দিয়ে পরে আর মিহাদ হেসেই যাচ্ছে

রেহানঃ oi শালা একদম হাসবি না সর আগে বাসাই জেতে দে নাহলে মানসম্মান সব এখানেই ফিনিশ

রেহান রিহাকে জোর করে গারিতে উঠায়। কিন্ত রিহা বকবক করেই যাচ্ছে। রেহান না পেরে উরনা দিয়ে রিহার মুখ বেধে দেয় আর সিট বেল্ট দিয়ে হাত বেধে রাখে

রেহান ঃ এবার কথা বলো দেখি কেমন পার

রিহা শুধু উম্মম উম্মম করছে।

রেহান আরামে গাড়ি চালিয়ে বাসায় যায়। রিহার হাত খুলে কাধে করে রুমে নিয়ে যায়

রেহান ঃ এবার বলো কি বলছিলে?

রিহা মুখের থেকে উরনা সরিয়ে বলে

রিহা ঃ আপনি খুব খারাপ একটা লোক আমার হাত (হাত ধরে) দেখেন লাল হইছে আপনার কি মনে মায়া নেই এত পাসান
রেহান ; চুপ মেরে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখব বুঝছ
রিহা :না বুঝি নাই বুঝিয়ে বলেন
রেহান : আল্লাহ

বলে বিছানায় শুয়ে পরে।

রিহা : কিহলো আপনি শুয়ে পড়লেন কেনো?
রেহান : তো কি এখন নাচবো
রিহা : সত্যি নাচেন তো একটু দেখি গান দেবো

রেহান বুঝে যায় এর সাথে কথা বলা ফাউ তাই আর তর্ক না করে শুয়ে থাকে

রিহা কি কম রেহান এর বুকের উপর উঠে বসে ।

রেহান : এই কি করছ নামো পরে যাবে তো নামো
রিহা : না আপনি বলছেন নাচবেন তাহলে নেচে দেখান তাড়াতাড়ি
রেহান : উফফ রিহা আমার ভালো লাগছে না নামো
রিহা : না
রেহান : ওকে তাহলে বসে থাকো

কিছুক্ষণ চুপ থেকে রিহা বলে
রিহা : আপনি আমায় ভালোবাসেন না তাই না(কাদো কাদো মুখ করে)

রেহান ভ্রু কুচকে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে

রিহা : আপনি অন্তরা আপুকে ভালোবাসেন তাই না আপনাদের তো বিয়ে হওয়ার কথা ছিল
রেহান : তোমাকে এসব কে বলছে
রিহা : আমি জানি
রেহান : কে বলছে সেটা বলো (ধমক দিয়ে)
রিহা : রাইসা খালা মনি
রেহান : ওহ

রিহা নেমে আসতে গেলে রেহান রিহাকে বুকের সাথে চেপে ধরে

রেহান : সব ফাউ কথা ওমন কিছু হইনি আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর কাউকে না আমার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক ছিল
রিহা : সত্যি ?(খুশি হয়ে)
রেহান : হুম শুধু একটা কথা মনে রাখবে রেহান তার রিহাকে ছাড়া অচল । রেহান শুধু ওর রিহাকে ভালোবাসে আর কাউকে না
রিহা : হি হি হি
তাহলে একটা কিসি করুন

রেহান এর মনে পরলো রিহা কি খাইছে সেটা জানা দরকার

রেহান: আচ্ছা রিহা তুমি কি মেলায় কিছু খাইছো মানে কেউ কি কিছু দিয়েছে তোমায়
রিহা : না আমি কিছু খাইনি আপনি তো খাওয়াতে চাইছিলেন কিন্ত আপনি অন্তরা আপুর সাথে ছিলেন
রেহান : সত্যি কিছু খাওনি cold drink
রিহা : না ওহ হা পানি খাইছিলাম
রেহান : কে দিছিলো
রিহা : রাইসা খালামণি
রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বস আমি তেতুল নিয়ে আসছি অ্যালকোহল আর এসিড বিক্রিয়া করে শেষ হবে

রেহান রিহা কে রেখে তেতুল আনতে যায় এসে দেখে রিহা নাচছে ।

রেহান : রিহা কি করছো তুমি
রিহা : আমার নাচতে ইচ্ছা করছে আমি নাচবো

রেহান রিহাকে কোলে করে ওয়াশরূমে নিয়ে তেতুল গুলা খায়ায়। রিহা একটু খেয়ে বমি করে । রেহান মুখ ধুয়ে আবার একটু খাইয়ে দেয়। রিহা তো খাবেই না

অনেক কষ্ট খাইয়ে রুমে নিয়ে আসে ।

রেহান : একটু ঘুমাও ভালো লাগবে
রিহা : না আমি ঘুমাবো না আপনি আমাকে ওটা খাওয়ালেন কেনো ? why ?
রেহান: তোমার ভালোর জন্য
রিহা : আমার ভালোর জন্য আপনি সব করতে পারবেন ?
রেহান : হুম
রিহা : ওকে তাহলে আমাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যান আমি আপনি মামনি আর আমাদের
রেহান : কি (ভ্রু কুচকে)
রিহা: আর আমাদের পুচকি (দুই হাতে মুখ ঢেকে)

রেহান হাসছে এই প্রথম রিহাকে লজ্জা পেতে দেখলো । রেহান রিহার মুখ থেকে হাত সরাতেই রিহা বমি করে দেয়।

রেহান রিহার হাত মুখ ধুয়ে নিজে চেঞ্জ করে নেয় । রিহা কে চেঞ্জ করতে গেলে রিহা করবে না অনেক কষ্ট ড্রেস খুলছে কিন্ত পরাতে পারেনি । রিহা ঘুম পরে যায়।

রেহান আর ওকে না জাগিয়ে ওর গায়ে চাদর দিয়ে নিজে ওর পাশে ঘুমিয়ে পরে।

বর্তমান
রেহান : এবার বুঝছো তখন থেকে উল্টা পাল্টা বলছ

রিহা কিছু বলছে না।
রেহান : এভাবে চুপ করে থাকবে আচ্ছা থাক
রিহা : আমার খুদা লাগছে
রেহান : এতো রাতে তো আমাদের জন্য কিছু রাখে নি আচ্ছা দেখছি

রেহান ফ্রেশ হতে যায় আর রিহা খাটের উপরে বসে থাকে। রিহার মাথায় এখন অনেক চিন্তা

রিহা : প্রথমে অন্তরা আপু এখন তো রাইসা খালা মনি। আমি sure রাইসা খালামণি ওই পানিতে কিছু মিশিয়েছে উফফ মাথা ব্যাথা করছে (মাথায় হাত দিয়ে)

আচ্ছা এটা তো হতে পারে অন্য কেউ করছে দোষ রাইসা খালামণি কে দিয়েছে । আমার যতদূর মনে পরে রাইহান না ফাইহান ও তো আমাকে সেন্সলেস করার জন্য গলায় চাপ দেয় তাহলে সব কি রাইহান এর প্ল্যান এবার টা দেখতে হচ্ছে

একটু পর মাইশা চৌধুরী দরজায় টুকা দেয়। রিহা দরজা খুলে দেয়।

মাইশা চৌধুরী : কিহলো ঘুম হলো?
রিহা : হুম মামনি
মাইশা চৌধুরী : ওভাবে না বলে চলে আসা ঠিক হইনি যাই হোক এখন খেয়ে নাও(খাবার এগিয়ে দিয়ে)

রিহা : জী তুমি খেয়েছো?
মাইশা চৌধুরী : হুম রেহান কোথায় ?
রিহা : বাথরুমে
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা আমি যাই
রিহা : হুম

মাইশা চৌধুরী চলে যেতেই রিহা দরজা আটকিয়ে রুমে এসে বসে

রিহা : যাক বাবা খাবার তো পেলাম উনি এখন ও আসছে না কেনো ?

রিহা দরজায় টুকা দেয়
রিহা : কিহলো আপনি কি ওখানে ঘুমালেন খুদা লাগছে তাড়াতাড়ি আসুন
…..
রিহা : আপনি আসবেন না আমি খেয়ে নেব

রেহান এর কোনো সাড়া না পেয়ে রিহা এসে বসে।

একটু পর রেহান গোসল করে চুল মুছতে মুছতে আসলো

রেহান : কিহলো এতো ডাকাডাকি কেনো ?
রিহা : খাবার দিচ্ছে কখন
রেহান : কে আনছে?
রিহা : মামনি তাড়াতাড়ি আসুন

রেহান চুল মুছে রিহার সাথে খেতে বসলো।

খাওয়া শেষে রিহা শুয়ে পরে

রেহান : কিহলো শরীর খারাপ লাগছে ?
রিহা : না মাথা ব্যাথা করছে ?
রেহান : এই ওষুধ খাও ঠিক হইয়ে যাবে

রিহা ওষুধ খেয়ে শুয়ে পরলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমের দেশে। সারাদিন বমি শরীর অনেক দূর্বল থাকায় ঘুমিয়ে পড়ে। রেহান রিহার কপালে ভালোবাসা দিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো।

কিছুক্ষণ পর দরজায় কে নক করলো । রেহান উঠে দরজা খুলে দেখে অনির্বাণ ।

অনি : ওই তোর ফোন কই মিহাদ কখন থেকে ফোন দিচ্ছে
রেহান : আস্তে বল
অনি : হুম চল এখন ডাকছে
রেহান: হুম

রেহান রিহার কাছে গিয়ে গায়ে চাদর দিয়ে অনির সাথে বেরিয়ে যায়।

গাড়িতে
অনি : আমাকে একটু বলবি কি হইছে
রেহান : কি বলবো তুই মনে হয় জানিস না
অনি : হুম কিছু টা কিন্ত আজকের টা ত জানি না
রেহান : অনেক বড়ো একটা রহস্য পাচ্ছি
অনি : কিসের রহস্য
রেহান : তুই তো জানিস রুশ আর রিহা কথা বলছিল অন্তরা রিহাকে ফেলে দিচ্ছে সেটা আমি আড়াল থেকে শুনেছি কিন্ত আমি ভেবেছিলাম হইতো ফাজলামি করে বা অন্য কিছু তাই সেই বেপার তেমন পাত্তা দিই নাই আজ সকালে খালামনির সাথে কথা বলতে যাওয়ার সময় আমি শুনতে পেলাম খালামণি আর অন্তরা কথা বলছে

এদিকে
একটা অন্ধকার ঘরে কেউ একজন চিৎকার করছে তার চিৎকারে ঘর কেপে উঠছে । লোকটার পুরো শরীরে বেলেট দিয়ে কাটা । ব্যাথায় লোকটা চিৎকার করছে

চলবে