#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ১৭…
√-সবাই অনেক আলোচনা করে আবার সবাই আমায় বললো… রিতু কোথায় থাকুক তুই যাস..??
~ আমি পড়লাম বিপদে, আমার তো ইচ্ছা রিতু আমার ঘরে থাকুক। কিন্তু এটা বলাও তো লজ্জার ব্যাপার, রিতু মাথা নিচু করে আছে, কি বলি কি বলি ভাবতে ভাবতে বললাম….
আমিঃ রিতু তুমি তো অসুস্থ, তাই তুমি গিয়ে আমার রুমে ঘুমাও কেমন…(মাথা নিচু করে)
~ বলতে দেরি হলেও, মহারানীর করতে দেরী নাই ৷ আমার কথা শুনা মাত্র মাথা নেড়ে হুমম বলেই আমার রুমের দিকে হাটা দিয়েছে রিতু । আমি তো আবাক, করে কি রিতু পাগলী.? একা একায় দেখি বাসর ঘরে চলে যাচ্ছে পাগলী বউ আমার…
পিছন থেকে ভাবি রিতুর হাত টেনে ধরে বললো- কোথায় যাচ্ছিস বোন আমার, আব্বু আম্মুর কাছে বলে তো যাবি, একা একা চলে যাচ্ছিস নাকি রুমে.. হা হা…
রিতু বললো- ওনি যে বললো যেতে, বলেই জিহ্বায় কামড় দিয়ে ঘুমটা আরো টেনে আগের জায়গায় বসে পড়লো।
রিতুর কান্ড দেখে সবাই হেসে দিলো, সবাই বুঝতে পারলো রিতুর আমার সাথে থাকতে আপত্তি নেই। সবাই মত দিলো রিতু আজ আমার সাথে থাকবে। সবাই যার যার রুমে চলে যাচ্ছে দোয়া করে আমাদের।
ভাবি বললো,, শুভ তোমার বউকে নিয়ে রুমে যাচ্ছি, তুমি আসো। আমি বললাম,, আচ্ছা, আমি একটু আম্মুর সাথে কথা বলে আসি। রিতুকে ভাবি আমার রুমের দিকে নিয়ে গেলো, আমি আম্মুর রুমে গিয়ে একটু কথা বলে রুমে এসে দেখি আমার রুমে রিতুর সাথে ভাবি, সালিকা ঈশা ও ছোট বোন মায়া।
তিন জন চাপ দিতে লাগলো আমায় টাকা দেওয়ার জন্য। নাহলে রুম থেকে বউ নিয়ে যাবে। টাকা লাগবে ১০ হাজার। অনেকক্ষণ বুঝানোর পরেও টাকার অংক কমলো না।
তারপর বুদ্ধি করে বললাম-
আমিঃ আচ্ছা শিওর বলো কত টাকা লাগবে?
ভাবিঃ ১০ হাজার।
আমিঃ ঠিক তো ১০ হাজার। দেওয়ার পর কিন্তু কেনো রকম ঝামেলা না করে চলে যাবে…
ভাবিঃ নগত ১০ হাজার দিলেই খুশি মনে চলে যাবো প্রমিস (খুশি হয়ে)
আমিঃ প্রমিস..?
ভাবিঃ প্রমিস প্রমিস প্রমিস…
আমিঃ আবারো ভেবে বলো ১০ হাজার তো..?
ভাবিঃ আরে বাবা, হুমম ১০ হাজার। তাড়াতাড়ি টাকা দেও, বউ নেও… বাসর করো ?
~ পকেট থেকে ১০ টাকার একটা নোট ভাবির হাতে দিয়ে বললাম,,, এটা কত..?
ভাবিঃ ১০ টাকা.. আর কোথায়..?
~ তারপর পকেট থেকে এক হাজার টাকার নোট বের করে দিয়ে বললাম- এখানে কত.??
ভাবিঃ ১ হাজার টাকা। বাকি টা কোথায়..?
আমিঃ হা হা, বাকি আবার কিসের..?
ভাবিঃ এই মিষ্টার, আমাদের দাবি ১০ হাজার টাকা বুঝলে..??
আমিঃ আমি প্রথমে দিয়েছি ১০ টাকা, মানে ১০… আর পরে দিয়েছি ১ হাজার টাকা, মানে হাজার টাকা। তারমানে ওখানের ১০ আর এখানের হাজার, হয়ে গেলো ১০ হাজার। তুমি কিন্তু বলছো প্রমিস ১০ হাজার দিলে আর ঝামেলা করবে না, হা হা… এখন ঝামেলা করলে তুমি কিন্তু তোমার মুখের কথা রাখলে না হুমম ?
ভাবিঃ সয়তান ছেলে, এই ভাবে আমাদের ঠকালে তুমি। দেখবে বাসর রাতে তোমার ঘরের চারপাশ দিয়ে ভুত ঘুরবে বলে দিলাম। বাসর আর শান্তিতে করতে পারবে না হুমম… ?
আমিঃ আচ্ছা দেখবো তাহলে। তাড়াতাড়ি যাও ভাবি, আমার খুব বাসর পেয়েছে ?
~ তারপর ভাবি, ঈশা ও মায়াকে নিয়ে রুম থেকে চলে গেলো। আমি রুমের দরজা আটকে দিলাম। রিতু খাটের মাঝ খানে বসে আছে ঘুমটা দিয়ে। আমি কাছে গিয়ে সালাম দিলাম তাকে। সে নরম কন্ঠে সালামের জবাব নিলো। পাশে বসে, ঘুমটা তুলে দিলাম। আর বললাম-
আমিঃ মাশাল্লাহ তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
~ রিতু মুচকি হাসি দিলো। কিন্তু কেনো উত্তর নেই ~
আমিঃ প্রেম করে বিয়ে করেও এতো লজ্জা পাচ্ছো নাকি মহারানী..?
~ এবারো কেনো উত্তর নেই ~
আমিঃ চলো ওজু করে আসি।
রিতুঃ কেনো? (মাথা নিচু করে)
আমিঃ দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিবো আমরা।
রিতুঃ ওহহ আচ্ছা, তাহলে আপনি বাইরে যান।
আমিঃ আমি আবার বাইরে যাবো কেনো..?
রিতুঃ আমি নামাজ পড়বো। তাই আপনাকে বাইরে যেতে হবে এখন ।
আমিঃ তুমি নামাজ পড়বে, তাহলে আমায় বাইরে যেতে হবে কেনো হুমম পাগলী…
রিতুঃ আপনি বুঝবেন না। প্লিজ বাইরে যান।
আমিঃ না যাবো না। কারণ বলো..?
রিতুঃ সত্যি বললে হাসবেন না তো?
আমিঃ না হাসবো না। বলো…
রিতুঃ আপনার সামনে নামাজ পড়তে লজ্জা লাগবে আমার।
আমিঃ হা হা, পাগলী বলে কি..আমি তোমার স্বামী। তাহলে লজ্জা কিসের..?
রিতুঃ জানি না, হি হি…
আমিঃ আচ্ছা আমি তোমার থেকে অনেক সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বো, তুমি নাহয় অনেক পিছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়ো ওকে…
রিতুঃ তাহলে কথা দিন আপনি অনেক সময় নিয়ে নামাজ পড়বেন, যেনো আমার নামাজ শেষ হওয়ার আগে যেনো আপনার নামাজ শেষ না হয়। আমি নামাজ পড়ে উঠে যাবে, তারপর যেনো আপনার নামাজ শেষ হয়। তাহলে শুধু আমি রাজি..
আমিঃ আচ্ছা চেষ্টা করবো। এবার ওজু করে আসো।
~ রিতু গিয়ে ওজু করে আসলো। আমিও ওজু করে এসে দেখি সে দাড়িয়ে আছে, আমি নামাজ শুরু করবো তারপর সে শুরু করবে তাই। আমি নামাজ শুরু করলাম। নামাজ শেষ করে মোনাজাত শেষ করে, একটু সময় বসে থেকে জায়নামাজের উপর তারপর পিছনে তাকিয়ে দেখি রিতু মন দিয়ে মোনাজাত করছে।
আমি উঠে গিয়ে খাটে শুয়ে পড়লাম। রিতু খুব মন দিয়ে মোনাজাত করছে, মায়াবী চোখে তাকিয়ে, চোখে পানি টলমল করছে, এতোটা মায়াবী তার মুখটা লাগছে বুঝানো মুসকিল। আল্লাহ জানে, সে মোনাজাতে কি বলছে, কিন্তু এই টুকু বুঝতে পারছি যেটায় বলছে মন থেকে বলছে। আমি তার মায়াবী মুখ থেকে চোখ সরাতে পারছি না। কিছুক্ষণ পরে রিতুর ও চোখ পড়লো আমার চোখের দিকে, আমি মুচকি হাসি দিলাম। সেও মুচকি হাসি দিয়ে লজ্জায় ঘুমটা টেনে পুরো মুখ ঢেকে নিলো। মনে মনে বলি, সত্যি বউটা আমার পাগলী, আমাকেও এতো লজ্জা পায় ☺
তার নামাজ শেষ হলো। আমি শুয়া থেকে ওঠে বসলাম। সেও এসে আমার পাশে বসলো। আমি বললাম, এক মিনিট বসো, আমি আসছি। গিয়ে আলমারি থেকে আমার জমানো কয়েক হাজার টাকা ও মায়ের কাছ থেকে কিছুক্ষণ আগে আনা কানের দুল নিয়ে তার সামনে গিয়ে বসলাম। আমার বউয়ের জন্য আগেই কানের দুল বানিয়ে রাখছিলাম সোনার। মায়ের কাছে রাখা ছিলো।
কানের দুল ও ওই টাকা গুলো রিতুর হাতে দিয়ে বললাম-
আমিঃ এই নেও কিছু নগত টাকা ও সোনার দুল। তোমার দেনমোহরের কিছু অংশ পরিশোধ করলাম। বাকি দেনমোহরের অংশের জন্য আমায় একটু সময় দেও। ইনশাআল্লাহ দিয়ে দিবো।
~ রিতু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে হা করে ~
আমিঃ কি হলো বিবিজান, সময় কি দিবেন না.?
রিতু ওগুলো আমার হাতে জোর করে ফেরত দিতে দিতে বললো-
রিতুঃ এগুলো আমার কিছু চাই না। আমি শুধু আপনাকে চাই।
আমিঃ এটা তোমার হক, তোমার এটা নেওয়া উচিত।
রিতুঃ আমি এতো বুঝি না, আমি শুধু তোমায় চাই…
আমিঃ পিচ্চি বউ আমার, যেহেতু তুমি আমার স্ত্রী ও আমি তোমার স্বামী, তাহলে আমি তো শুধু তোমারই। প্লিজ তুমি এগুলো নিতে মানা করো না। অনেক আশা করে দিয়েছি তোমায়। তুমি এই টাকা দিয়ে তোমার মনে যা ইচ্ছা হয়, তাই করবে। এগুলো শুধু তোমার।
রিতুঃ কিন্তু আমার ও ইচ্ছে ছিলো আমি আমার স্বামীর থেকে কেনো দেনমোহর নিবো না। সব ছেড়ে দিবো।
আমিঃ কিন্তু তোমার স্বামীর ও তো ইচ্ছা আছে, সে তার বিবিকে যতটুকু পারে পরিশোধ করে দিয়ে বাকি যতটুকু থাকবে পরে পরিশোধ করে দিবে। স্বামীর ইচ্ছা পুরন করবে না তুমি?
রিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি নিচ্ছি। কিন্তু বাকি দেনমোহরের অংশ আমি ছেড়ে দিলাম। আপনি আর কখনো ওই অংশ আমায় জোর করে দিতে পারবেন না ওকে, আমি ছেড়ে দিলাম কিন্তু (আমার হাত থেকে টাকা নিতে নিতে)
আমিঃ আচ্ছা তাই হবে আর জোর করবো না।
~ আমি আমার হাত দিয়ে তার মুখটা ধরে কাছে এনে কপালে একটা চুমু দিলাম। ও তার চুল এগিয়ে এনে চুলেও চুমু দিলাম ~
রিতুঃ আপনি আমায় ওই দুল গুলো পড়িয়ে দিন (আগের দুল খুলতে খুলতে)
~ তার দুই কানে দুল পড়িয়ে দিলাম। আর তাকে বললাম তুমি করে বলতে। আমি শুয়ে পড়লাম। রিতুও আমার পাশে শুয়ে পড়লো ~
রিতুঃ এটা কিন্তু কথা ছিলো না। কেউ একজন বলছিলো আমাকে তার বুকে শুতে দিবে বিয়ের পর। কিন্তু দিচ্ছে না তো…
আমিঃ হা হা, বিয়ের আগে সবাই কত কিছু বলে, তাই বলে সবাই সব কিছু করে নাকি বিয়ের পর ☺
রিতুঃ এটা কিন্তু তার ঠিক হচ্ছে না। আমি অনেক আশা করে ছিলাম কিন্তু হুমম..
আমিঃ এমন মোটু বউ আমি বুকের উপর নিলে মরেই যাবো তো.. ☺
রিতুঃ সয়তান একটা। আমি মোটু তাই না? তুমি মোটু। দাঁড়াও দেখাচ্ছি…
~ রিতু আমায় জরিয়ে ধরে বুকের উপর শুয়ে পড়লো ~
আমিঃ এই এই মরে যাবো তো।
রিতুঃ আরে মরবে না, মরবে না। একটু রোমান্টিক মোডে আসো, দেখবে আমি তোমার কাছে হালকা হয়ে গিয়েছি ?
আমিঃ আমার বউ দেখি অনেক কিছু জানে…
রিতুঃ জানবো না কেনো হুমম? আমি সাইন্স নিয়ে পড়ি বুঝলে…
আমিঃ তাই নাকি, আগে জানলে তো বিয়েই করতাম না ☺
রিতুঃ কেনো?
আমিঃ সাইন্স নিয়ে যেই সব মেয়েরা পড়ে, সেই সব মেয়েরা এক একটা পাকনা বুড়ি হয় বুঝলে..?
রিতুঃ সয়তান একটা। আচ্ছা, তোমার রুমে কি ভুত আছে..?
আমিঃ ভুত থাকবে কেনো..?
রিতুঃ না মানে, একটু পর পর হু হু হি হি শব্দ হচ্ছে।
আমিঃ শব্দ কেনো হচ্ছে, দেখবে..?
রিতুঃ হুমমম।
আমিঃ এক মিনিট দেখো….
~ দরজার দিকে মুখ করে, জোরে জোরে বলতে শুরু করলাম– যানো রিতু তোমার বুবু মানে আমার শুবশ্রী ভাবি অনেক পাজি। সারাদিন শুধু খায় দায় আর ঘুমাই। কেনো কাজ করে না। শুধু ফেসবুকে গল্প পড়ে ও পেট উচু করে খায় ও ঘুমাই। দেখছো দিনে দিনে কত মোটা হয়েছে ভাবি, ভাইয়া মনে হয় তার তলে পড়লে শেষ ? কি মুটকু রে বাবা ?
দরজার ওপাশ থেকে শুবশ্রী ভাবি বলে উঠলোঃ এই যে মিস্টার, বাসর রাতে বউয়ের সাথে রোমান্স করতে হয়, অন্যের বউয়ের দুর্নাম করতে না। আইছে একজন আমায় মুটকি বলতে, যা থাকবোই না এখানে.. ?
রিতুর দিকে তাকিয়ে বললাম- দেখলে কোন ভুত ছিলো…?
রিতুঃ হা হা হা, তোমার মাথায় কত বুদ্ধি। আচ্ছা বুবু ছিলো কেনো?
আমিঃ পিচ্চি বউ আমার কিছু বুঝে না। আমাদের রোমান্টিক কথা শুনতে…
রিতুঃ তাই?
আমিঃ হুমম তাই (বলে ঠোঁট কিস করে ধরলাম)
~ ৫ মিনিট পর ছাড়লাম ~
রিতুঃ এটা কি হল হুমম…?
আমিঃ যা হয়েছে ভালো হয়েছে (বলে আবার তার ঠোঁটে কিস করে ধরলাম)
~ টানা ১৫ মিনিট পর ছাড়লাম ~
রিতুঃ ওই সয়তান, এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না ? (হাপাচ্ছে)
আমিঃ বউ যখন আমার, এখন সব রকম আদর করতে পারি ?
রিতুঃ না তুমি পারো না।
আমিঃ কেনো?
রিতুঃ কারন, তোমার বউ এখন অসুস্থ বুঝলে।
আমিঃ তাও যদি করি, তাহলে কি হবে?
রিতুঃ তোমার বউ আরো অসুস্থ হয়ে যাবে বুঝলে সোয়ামি ?
আমিঃ ওই পিচ্চি, সোয়ামি আবার কি?
রিতুঃ এখন থেকে তুমি তো আমার সোয়ামি…
আমিঃ আরে পাগলী, সোয়ামি না গো স্বামী হই স্বামী…
রিতুঃ চুপ থাকো, তুমি আমার সোয়ামি সোয়ামি সোয়ামি….
আমিঃ ওরে আমার মিষ্টি বউ রে…..
~ বলে ঠোঁটে কিস করে ধরলাম। ভোর রাত পর্যন্ত এই ভাবে দুষ্টুমি, গল্প, হাসাহাসি করে কাটিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম আমি ও রিতু।
স্বপ্নে দেখি রিতু তার ভেজা চুল গুলো দিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে। কত রোমান্টিক দৃশ্য ?
যখনি ঘুম ভেঙ্গে গেলো। জানালা দিয়ে রৌদ্র এসেছে রুমে।
মনে মনে ভাবলাম, ঘুম যখন আমার আগে ভাঙ্গছে তাহলে রিতুকে আমি পাপ্পি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় ?
ওর দিকে ঘুরে তাকাতেই দেখি বউ নেই পাশে। ধুর ছাই, কত কত ভাবনা ভাবছি, আর বউ আবার গেলো কোথায় সকাল বেলা… ?
বিছানা থেকে উঠে, রুম থেকে বের হওয়ার পর আম্মু ডাক দিলো…
আম্মুঃ দেখ শুভ, তোর বউকে কত বার মানা করার পরেও কি করতেছে..? এটা কি ঠিক করতেছে তোর বউ..?
~ আমি তাকিয়ে দেখি………… ~ গল্প চলবে ~
বিঃদ্রঃ নতুন বউ রিতু এমন কি করলো জানতে হলে পড়তে হবে আগামী পর্ব।