চিত্তবৃত্তি পর্ব-০৬

0
179

#চিত্তবৃত্তি
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_৬

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতার্ত ভোর। গুটিগুটি পায়ে মুসকান দরজা খুলল। সহসা পাশের ঘর থেকে দাদুভাইয়ের স্নেহময় কণ্ঠস্বর ভেসে এলো,

– কী গিন্নি ওঠে হাঁটাহাঁটি করবা নাকি?

চকিতে ঘার ঘুরালো মুসকান। দেখতে পেল, ঘর পেরিয়ে বারান্দায় পাতা ইজি চেয়ারে বসে সে৷ গ্রিলের ফাঁক গলে কুয়াশাজড়ানো সকালটা দৃশ্যমান। মুসকান মাথা নাড়ালো বোঝালো সে হাঁটাহাঁটি করবে৷ দাদুভাই প্রাণখোলা নিঃশব্দ হাসলো। বলল,

– ঘরে আসো আলনায় আমার চাদর আছে। গায়ে দিয়া যাও।

চুপচাপ আদেশ পালন করল সে। গায়ে চাদর জড়িয়ে গুনে গুনে পাঁচটা সিঁড়ি পেরোলো। শিশির ভেজা ঘাসে পা পড়তেই হিমধরা শিহরণ জাগলো সর্বাঙ্গে। আশপাশে দৃষ্টি বুলাতেই হৃদয়ে অদ্ভুত অনুভূতির অস্তিত্ব খুঁজে পেলো। যা খুবই মিষ্টি আর পবিত্র। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখল, সে ঠিক কোথা থেকে বের হলো? গতরাতে সে কোথায় এসেছে? সে যে বিশাল টিনশেড বিল্ডিং ঘর থেকে বেরিয়েছে তা দেখে মুহুর্তেই দু-চোখে বিস্ময় উপচে পড়ল৷ চঞ্চলিত চিত্তে ঘনঘন চোখের পলক ঝাপটালো। নিঃশ্বাস ফেলল। আশপাশে তাকিয়ে দেখল শুধু দুইপাশে বিস্তর আবাদি জমি। দূরান্তে অবশ্য গুটিকয়েক বাড়ি নজরে পড়ল। আশপাশ আর শীতার্ত প্রকৃতি দেখতে দেখতে দুহাতে জাপটে ধরল গায়ে জড়ানো চাদরটা। এরপর ধীরপায়ে সামনের দিকে এগুলো সে। শিশিরভেজা সবুজ ঘাসে পা মাড়াতে বেশ ভালোই লাগছিল৷ অদ্ভুত স্নিগ্ধতায় ডুবে গেছে মন। অবচেতন মন শুধু বুঝাচ্ছিল এই স্থান খুবই পবিত্র। হাঁটতে হাঁটতে ইট গাঁথা বড়ো গেটের সামনে এসে থামল সে। অবাক লাগলো খুব। এই খোলা জায়গায় গেট? বিশাল ঐ ঘরটার আশপাশে কোনো প্রাচীর নেই৷ সম্পূর্ণ খোলা চড়া। ধারণা করা যায় দাদুভাই খোলা খেতে মাটি ভরে ঘর তুলেছেন৷ সহসা তার চোখ আঁটকে যায় গেটের মাথায় নেমপ্লেটে গোটা অক্ষরে লেখা, ” চিত্তবৃত্তি ” লেখাটায়। পরপর তিনবার উচ্চারণ করে সে বাক্যটা। বোঝার চেষ্টা করে এখানে এই লেখাটার তাৎপর্য ঠিক কী?

গতরাতে ইমন তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। দাদুভাই তাদের সঙ্গে বাড়তি কোনো কথাই বলেনি। রাতের খাবার খেয়ে সবাইকে ঘুমাতে বলেছে। ইমন ঘুমিয়েছে তার সঙ্গে। আর মুসকান ঘুমিয়েছে পাঁচ বছর আর সাত বছর বয়সী দু’টো বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে। তারা এখনো ঘুমুচ্ছে। ঘড়িতে সময় মাত্র ছয়টা বেজে ছাব্বিশ মিনিট। সাতটার আগে বাচ্চারা ওঠবে না৷ মুসকানের জানামতে এখানে ঐ দু’টো বাচ্চা ছাড়া আরো সাতজন বাচ্চা রয়েছে। দু’টো ছেলে বাচ্চা আর সবগুলো মেয়ে। আশপাশে দ্বিধান্বিত চোখে তাকিমাকি করছিল সে। ভাবছিল এই কাঁচা রাস্তা ধরেই গতরাতে সে এসেছে। চৌধুরী বাড়ি থেকে এর দূরত্ব খুব বেশি নয়। তবুও কখনো এদিকে আসা হয়নি৷ ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ভেতরের দিকে দৃষ্টি যেতেই দেখতে পেল ধূসর রঙের শার্টের ওপর কালো জ্যাকেট পরতে পরতে ত্বরিত গতিতে বেরোচ্ছে ইমন। যত এগিয়ে এলো ততই খেয়াল করতে পারলো, পৌষের কনকনে সকালে ছোটোসাহেবের ফর্সা ত্বক রক্তিম হয়ে ওঠেছে। খাড়া নাকের ডগায় লালচে আভা স্পষ্ট। নাকের পাশে তিলটাও দৃষ্টি কাড়লো।
পুরো ঠোঁটজোড়া লাল হয়ে অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে। খুব চেনা পরিচিত মুখের চেনা দৃশ্য এসব। গোপনে ভারি নিঃশ্বাস ছাড়ল মুসকান৷ ইমনের মাথার এলোমেলো চুল কপালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সেগুলো ডানহাতে ঠিক করে নিয়ে জ্যাকেটের পকেটে দু-হাত গুঁজে দিয়ে কাঁধ সোজা করে মুসকানের সম্মুখে দাঁড়াল সে। গভীর দৃষ্টি ছুঁড়ে গাঢ় কণ্ঠে বলল,

– ঘুম হয়নি তাই না?

মুসকান দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল আচমকা। মনে পড়ে গেল গতরাতে বাবাকে বলা ইমনের বিস্ময়কর কথাগুলো। মুহুর্তেই বুকের ভেতরটা ধুকপুক করে ওঠল। এতকালের স্বাভাবিক অভ্যাস মুহুর্তেই বদলে গেল। মানুষটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ল যেন। দ্বিধান্বিত কণ্ঠে কেবল উত্তর করল,

– হয়েছে।

ইমন ভ্রু কুঁচকে ফেলল। বলল,

– চোখ, মুখ সে কথা বলছে না। যাইহোক দু’মিনিট দাঁড়াও আমি আসছি৷

কথাটা বলেই আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করল ইমন৷ মুসকান তাকিয়ে দেখল চৌধুরী বাড়ির সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষটার কুয়াশায় মিলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। পাঁচ মিনিটের মাথা দু’হাতে দু’টো ওয়ান টাইম চায়ের কাপ নিয়ে এগিয়ে এলো ইমন। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ এগিয়ে ধরলে মুসকান সেটা নিল। ইমন ইশারা করল ভেতরে আসতে। সে বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ এলো। দুই সিঁড়ি মাড়িয়ে তৃতীয় সিঁড়িতে ফু দিয়ে ময়লা সরাল ইমন। নিজে বসে মুসকানকে পাশে বসতে ইশারা করল। চায়ের কাপে চুমুক দিল বারকয়েক। মুসকানও নত মাথায় বারকয়েক চুমুক দিল কাপে। বেশকিছু সময় কাটল নিরবতায়। চা প্রায় শেষের দিকে এলে ইমনই কথা শুরু করল,

– এই জগৎটা দাদুভাইয়ের নিজের। বছর দুয়েক হলো সে জগতে ভাগ বসিয়েছি আমি। বলা যায় এই জগতের উত্তরসূরী এক আমিই।

স্থির নয়নে তাকাল মুসকান। ইমন তার দিকে তাকাতেই দৃষ্টি ঘুরিয়ে সামনে রাখল। ইমন বুঝল, গতরাতে তার মনের কথা জানার পর মুসকানের এই অস্বস্তি স্বাভাবিক। তাই মৃদু হাসলো। মুসকান নমনীয় সুরে জিজ্ঞেস করল,

– গেটের সামনে চিত্তবৃত্তি লেখা কেন?

– বলব তার আগে বলো এটার মিনিং কী?

কয়েক সেকেণ্ড ভাবলো মুসকান। এরপর উত্তর দিল,

– চিত্ত মানে মন আর বৃত্তি তো আচরণ, স্বভাব।

ইমনের ওষ্ঠজুড়ে অদ্ভুত হাসির রেখা ফুটে ওঠল। মুসকান আড়চোখে তা দেখে নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে শক্ত হয়ে গেল। তাকে সহজ করতে ইমন বলল,

– চিত্তবৃত্তির মানেটা আসলে একেকজনের একেক রকম হয়। এ বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা চিত্তবৃত্তিটা দাদুভাইয়ে। যা আমি আমার মধ্যেও একটু একটু করে ধারণ করার চেষ্টা করছি। এই যে আশ্রম এই যে এখানে নয়টা বাচ্চা। এরাই দাদুভাইয়ের চিত্তবৃত্তি। কোনো একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে, কোনো এক সময় দাদুভাই মনে মনে ইচ্ছে পোষণ করেছিল। তার মনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা জেগেছিল। যেই ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষার ফল আজকের এই চিত্তবৃত্তি। এই অনাথ বাচ্চাদের চাহিদা মেটানো, মানুষের মতো মানুষ করে তোলা দাদুভাইয়ের একমাত্র চিত্তবৃত্তি, হৃদয়বৃত্তি। অর্থাৎ মনের ইচ্ছে, আকাঙ্ক্ষা। এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষেরই নির্দিষ্ট একটা চিত্তবৃত্তি থাকে।

এ পর্যন্ত বলে থামল ইমন। তার হৃদয় গভীরে সুক্ষ্ম অনুভূতি নাড়া দিল। ভেতরের সত্তা বুঝিয়ে দিল পাশে বসা শান্ত মুখের, স্নিগ্ধ ঠোঁটের, মায়াবি চোখের রমণীটিও তার বহু আকাঙ্ক্ষিত। মুসকান বেশ মনোযোগী হয়ে শুনছিল কথাগুলো। ইমন থেমে গেলে বলল,

– ওদের কোথায় থেকে এনেছে দাদুভাই?

– দু’জনকে সরকারি হাসপাতাল থেকে। তিনজন শহরে ফুল বিক্রি করত৷ যাদের বাবা, মা নেই। কেউ দাদি, কেউ নানির কাছে হেলাফেলায় মানুষ হচ্ছিল। আর চারজনেরও একই অবস্থা। পরিবারহীন পথ শিশু। এরা যে ঠিক কার বাচ্চা, কোন পরিবারের হদিস মেলেনি।

সহসা হৃদয় গভীরে চিড়িক দিয়ে ওঠল মুসকানের। কেঁপে ওঠল ওষ্ঠদ্বয়। মুখ ফস্কে প্রশ্ন করে বসল,

– আমিও কি ওদের মতো কেউ ছিলাম ছোটোসাহেব?

চমকে ওঠল ইমন। তীক্ষ্ণ নজরে খেয়াল করলে মুসকান দেখতে পারতো সহসা এমন প্রশ্নে তার দৃঢ় চোয়ালদ্বয় মৃদু কেঁপে ওঠেছে। ইমন যেন নড়েচড়ে ওঠল। আশপাশে তাকাল অস্বাভাবিক ভাবে। নিঃশ্বাস ছাড়ছে কিনা বোঝা কঠিন হলো। এহেন ইমনের শ্বাস কি রুদ্ধ হয়ে এলো? তীব্র শীতেও অস্থির হয়ে ওঠল মানুষটা। যেন সুযোগ পেলেই পালিয়ে যাবে। তবুও এ প্রশ্নের উত্তর সে দেবে না। কিছুতেই না। ভয়ানক এই মুহুর্তে ইমনকে বাঁচিয়ে দিল দাদুভাই। লাঠি ভর করে এগিয়ে এলো মানুষটা। বলল,

– ইমন, অভ্রর খোঁজ পেয়েছ?

হাঁপ ছেড়ে বাঁচল ইমন৷ সহসা ওঠে দাঁড়িয়ে বলল,

– জি দাদুভাই। স্কুলে ক্লাস শেষ হলে দুপুরের পর পরই দেখা করতে যাবে। ওর বাড়িতে আছে ও। কথা হয়েছে আমার।

মুসকান হাঁপ নিঃশ্বাস ছেড়ে ধীরেধীরে ওঠে দাঁড়াল। অভ্র ভাই নিজের বাড়িতে চলে গেছে? আর কখনো কি চৌধুরী বাড়িতে ফিরবে না? ছোটো কাকির বোনের ছেলে অভ্র। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছোটো কাকির বোন মারা যায়। বোনের ছেলেকে নিজের ছেলের মতোই মানুষ করে ছোটো কাকি।ছোটোবেলায় অভ্র তার মামনিকে ছেড়ে থাকতে পারতো না। অভ্র ভাইয়ার বাবা কত নিতে এসেছে। যায়নি সে৷ এ বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করছে। কালকের ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো অভ্র ভাইকে নিজের বাড়ি ফিরে যেতে হতো না। সবকিছুর জন্য নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে মুসকানের। মুখটা ছোটো করে দাঁড়িয়ে আছে সে। ইমন তা খেয়াল করে দাদুভাইকে বলল,

– সব হয়েছে ইভানের জন্য।

দাদুভাই বলল,

– কার দোষ, কে অপরাধী সেসব আমি জানতে চাই না৷ মুসকান এখানে থাকবে, বাচ্চাদের দেখাশোনা করবে, পড়াবে। এরজন্য সম্মানের সাথে মাসিক বেতনও পাবে ও৷ থাকা, খাওয়া ফ্রি। কী গিন্নি আপত্তি নেই তো?

মুসকানের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল দাদুভাই। সে কিছু জবাব দেয়ার পূর্বেই ইমন বলল,

– আপত্তি থাকবে কেন? কোন মন্ত্রীকে যেন দরখাস্ত দিয়েছিলে? চিত্তবৃত্তিতে সে আগামি মাস থেকে অনুদান দেবে। এছাড়া তোমার পক্ষে আশ্রমের জন্য দু-তিন জন লোক রাখা অসম্ভব নয়৷ আমিও আছি৷ মুসকান নিজের জন্য একটা চাকরিই খুঁজছিল। আমার মনে হয় এরচেয়ে ভালো, নিরাপদ চাকরি এ মুহুর্তে ও পেতো না৷

ইমনের এহেন কথায় মুসকানের বুক থেকে ভার কমল। অন্তত আর কারো বাড়ির চাকরানি পরিচয় নিয়ে থাকতে হবে না। আর এই আশ্রমের বাচ্চাদের দেখাশোনা করলে পাপ নয় বরং পূণ্যই হবে। সব বিবেচনায় মন শান্ত হলো তার। ছোটোসাহেব আর দাদুভাইয়ের প্রতি সম্মান বেড়ে গেল দ্বিগুণ। এই আশ্রমের রান্নার খালা এলো তার পরেই৷ সকালের খাবার খেয়ে বিদায় নিল ইমন। যাওয়ার আগে মুসকানকে বলে গেল,

– আমি মাঝে মাঝে আসব। তোমার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা।

মুসকান এ কথার প্রতিত্তোরে ম্লান হাসলো। ইমনের সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এলো গেট পর্যন্ত। সহসা ইমন দাঁড়িয়ে পড়ল। তারদিকে ঘুরে তাকাল স্থির নয়নে। মুসকান হকচকিয়ে গেল। দু-হাত কচলাতে কচলাতে আশপাশে তাকাতে লাগল শুধু। পৌষের রোদ্রকজ্জ্বল সকালে নীল ওড়নায় বেষ্টিত মায়াবি মুখটাতে ইমন দৃষ্টি বুলালো সন্তর্পণে। গাঢ় স্বরে শুধালো,

– কিছু বলতে চাচ্ছ বলে ফেল সময় নেই আর। প্রথম ক্লাস আমার।

মুসকান তৎক্ষনাৎ বলে ফেলল,

– আপনি প্লিজ বাড়ি গিয়ে কোনো ঝামেলা করবেন না। ইভান ভাই, ছোটো কাকি, মেজো কাকিকে কিছু বলবেন না।

সহসা ভ্রু কুঁচকে ফেলল ইমন। চোয়াল দৃঢ় করে বলল,

– অর্থাৎ ক্রিমিনাল এই তিনজন?

চমকাল মুসকান। ও বাড়িতে কী ঘটেছে এখন পর্যন্ত ইমন বা দাদুভাই জানে না। তাদের বিচক্ষণ মন, মাথা আঁচ করে নিয়েছে অনেক কিছুই। সেই আঁচকে সঠিক করে দিল মুসকানের এই অনুনয়। ইমন তাচ্ছিল্য হেসে শুধু বলল,

– মুসকান, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে দু’পক্ষই সমান অপরাধী। তুমি যেই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে ওদের অন্যায়কে ক্ষমা করে দিচ্ছ সেই কৃতজ্ঞতা বোধ ওদের প্রাপ্য নয়৷ আজকে যে মুসকান হিসেবে তুমি দাঁড়িয়ে আছো এই মুসকানের পেছনে সবটুকু অবদান দাদি, আর দাদুভাইয়ের।

ইমন আর এক মুহুর্ত দেরি করেনি। চলে গেছে। মুসকান দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে ছিল গেটের সামনে। তার মনটা অশান্ত হয়ে ওঠেছে আবারো। অদৃষ্ট তাকে এই চিত্তবৃত্তি নামে আশ্রমটায় কেন নিয়ে এলো? কোনো যোগসূত্র আছে কী?

চলবে…