ছদ্মবেশে লুকানো ভালোবাসা পর্ব-০৫

0
1038

#ছদ্মবেশে_লুকানো_ভালোবাসা
#মৌমি_দত্ত
#পর্ব_৫
#ধামাকা_১

অফিস শেষ করে প্রতিদিনকার মতো আফিমকে নিয়ে ইনায়াত আফিমের বাসায় গেলো। তবে আজকে আফিম কোন মেয়েকে রাত কাটানোর জন্য ডাকেনি দেখে ইনায়াত খুশী খুব। যদিও সকালে বলেছিলো তানিয়ার কথা। তবে তা সম্পূর্ন রাগের মাথায়। ব্যবসায়ে আঘাত লাগলে খুব চটে যায় আফিম। আর বর্তমানে অসাধারণ সুন্দরী এক মডেল ও সবার প্রিয় চেহারা মিস তানিয়া দিলশাদ্। তানিয়ার সাথে বিছানা পর্যন্ত একটা ভালোই সম্পর্কে দিন কাটাচ্ছিলো আফিম কয়েকদিন। হঠাৎ তানিয়ার মাথায় ভুত চাপলো মিসেস আহসান হবার। তাই আফিমকে সে ফোর্স করতে লাগলো। আফিম তো আফিমই,, তাই তানিয়াকে কাছে ডেকে নেওয়া বন্ধ করে দিলো। এরপর থেকে তানিয়া কোন ডিল সাইন করছে না আর আহসান ইন্ডাস্ট্রির মডেল হিসেবে। বিষয়টাতে কোন যায় আসতো না আহসানের প্রথম দিকে। কিন্তু বর্তমানে একটা ডিল এসেছে যার জন্য তারা তানিয়াকে বা তানিয়ার মতো ফেইস চাইছে।
– ইনু!! আজকে আমার আড্ডা দিতে মন চাইছে। চলো আড্ডা দিই।
ইনায়াত এতোক্ষন মনে মনে এতোসব ভাবনায় ডুবে ছিলো। কিন্তু আফিমের কথা শুনে আফিমের দিকে ড্যাবড্যাব তাকিয়ে রইলো। ইনায়াতের মুখের ডিরেকশন দেখে আফিম বুঝে নিলো ইনায়াত তার দিকেই তাকিয়ে আছে। কিন্তু আফিম চূড়ান্ত বিরক্ত। মাথায় হুডি টানা আর মুখে মাস্ক থাকায় মুখটার এক্সপ্রেশন জানা যায় না ইনায়াতের। তাই বুঝাও যায় না সে নীরব থেকে কি বুঝাতে চাইছে।
– দেখো ইনায়াত!! হয় প্রশ্নের ঝটাপট উত্তর দিবে কোন এক্সপ্রেশন দেওয়া ছাড়া। আর নয়তো মুখে মাস্ক আর মাথায় হুডি দিবে না। তুমি চমকালে,, ধমকে ভয় পেলে,, তোমার মাথাব্যাথা করলে বা যাই হোক,, তুমি চুপই থাকো। আমি তোমার মুখও দেখতে পারিনা যে বুঝবো। অনেক ইরিটেটিং ব্যাপার এটা!!!
ইনায়াত নিজের ফাঁটাফাঁটা চোখ ছোট করে তাকিয়ে ভুলে মেয়েদের স্বরেই বললো,,
– এহহহ!! সব কিছুতে বড়লোকের বাচ্চাগিরি!!
আফিম চমকালো। খোদ ইনায়াতও চমকে গেলো আর ভয়ও পেলো। এমন সময় দরজায় টোকা পড়লো আর রুমে দীপ হাতে ট্রেতে করে কফি নিয়ে ঢুকলো। আফিম আর ইনায়াত সেদিকে খেয়াল দিলো না। তারা একে অপরের দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকতে ব্যস্ত। দীপের মোবাইলে হঠাৎই একটা গান বেজে উঠলো। আজকে ভুল করে সাইলেন্ট করা হয়নি তার। এটার তার গার্লফ্রেন্ডের কলে বিশেষভাবে সেট করা রিংটোন।
” এ কি হলো,, কেনো হলো,, কবে হলো,, জানিনাতো,,
শুরু হলো,, শেষ হলো,, কি যে হলো জানিনাতো ”
আফিম আর ইনায়াত ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকালো দীপের দিকে। দীপ রীতিমতো ঘামছে ভয়ে। কে জানে চাকরিটা থাকবে কিনা!!
– ডিয়ার দীপ!! এটা কি ছিলো??
আফিম হাসি হাসি মুখে প্রশ্ন করলো। দীপ ভয়ে ভয়ে এক হাতে ট্রে ধরে রেখে অন্য হাতের উল্টোপিঠে কপালের ঘাম মুছলো। কাঁপা কন্ঠে কোনরকমে তুতলিয়ে বললো,,
– স্যার!! রিংটোন।
– ওটা আমিও জানি দীপ। কিন্তু কে সেই ভাগ্যবান যার নাম্বারে এমন রিংটোন দেওয়া??
দীপ মাথা নিচু করে অস্বস্থি ও লজ্জামাখা কন্ঠে আবারও বললো,,
– স্যার!! এমন রিংটোন বৌ বা গার্লফ্রেন্ড ছাড়া আর কার জন্যই বা দেওয়া যায়?? আমার তো বৌ নেই। গার্লফ্রেন্ডকে দিয়েছি এই অধিকার তাই।
আফিম ভ্যাবলাকান্তের মতো তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন। একদিকে কানে মেয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে,, অথচ ইনায়াত ছাড়া কেও নেই আর রুমে। এর উপরে দীপের এমন তিক্ত সত্য কথা এই মূহুর্তেই বলা যেন সে নিতে পারছে না। হাতের ইশারায় কফি রেখে যেতে বললো আফিম। দীপও দ্রুত কফির ট্রে রেখে রুম ত্যাগ করলো। গার্লফ্রেন্ডকে গিয়ে এখন সামাল দিতে হবে।
আফিম আবারও চোখ ছোট ছোট করে তাকালো ইনায়াতের দিকে। ইনায়াত নিজের হুডি আরেকটু টেনে দিয়ে মাস্ক ঠিক করে গলার স্বর ছেলেদের মোটা করে বললো,,
– স্যার!! আপনি কি আজও কোন মেয়ে এনেছেন??
হঠাৎ এমন এক প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেলো আফিম।
– আইই গাধা ছেলে!! মেয়ে আনলে কি আমি তোমার সাথে আড্ডা দিতাম??
– না মানে স্যার!! মেয়ের আওয়াজে কেও কিছু একটা বললো শুনলাম তো!!
– তুমিও শুনেছো?? আমি ভাবলাম তুমি বলেছো।
– না না স্যার!! আমি কেন মেয়ের স্বরে কথা বলবো?? আমি কি মেয়ে নাকি??
আফিম চিন্তিত মুখে কিছু একটা ভাবতে চাইলো। কিন্তু মাথায় ভাবনা চিন্তা আসতে চাইছে না তার। আর ইনায়াত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। ভাগ্যিস মাথায় হঠাৎ পল্টি খাবার কথাটা এলো। নিজেকে নিজে বাহবা দিলো বুদ্ধিমান বলে মনে মনে।
.
.
ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলো ইনায়াত। প্রতিদিন গলা মোটা করে কথা বলা,, উইগ আর মাস্ক পড়ে থাকা। এসব তার মধ্যে অনেকটা বিরক্তির সৃষ্টি করেছে। নিজের আসল স্বত্তা লুকিয়ে রাখার থ্রকে বিরক্তির আর কষ্টের কি হতে পারে কারোর কাছে?? অতি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ভেজা চুল মুছতে মুছতে সে ডিনার গরম করে নিলো। একটা মেয়ে এসে প্রায়ই তাকে রান্না করে দিয়ে যায়। আর যেদিন আসে না সেদিন নুডুলস,, পাস্তা আর ওটস খেয়ে রাত পার করে ইনায়াত। এমন জীবন হয়তো সে দুঃস্বপ্নেও পার করবার কথা ভাবেনি। খাওয়াদাওয়া শেষে ছোটখাটো একটা ব্যাগপ্যাকে নিজের জিনিস ভরতে লাগলো ইনায়াত। সকাল ৭ টার ফ্লাইট!! আফিমকে গিয়ে ডেকে,, রেডি করিয়ে,, ব্রেকফাস্ট করিয়ে ডিলের জন্য রওনা দিতে গিয়ে সে যে খুব ক্লান্ত হয়ে যাবে তা জানা আছে ইনায়াতের। তাই দ্রুত হাতের সব কাজ সেড়ে ঘুমোতে গেলো সে।
সহজ সরল এই মেয়েটি হয়তো জানেওনা তার জীবনের সবটাই খুব দ্রুত কল্পনাতীত ভাবে বদলে যাবে। আর তার সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোও বদলাবে খুব করে। এতো কিছু অজানার মাঝে একটি কথা তার জানা আছে। তা হলো কালকে লাবিবা আসছে। তার মানে আবারও সে অনেক হাসিখুশী একটা সময় কাটাতে পারবে।
.
.
ভোরে এলার্ম পড়তেই ইনায়াত দ্রুত উঠে পড়লো। স্নান করে,, চুল শুকিয়ে নামাজ পড়ে নিলো। এরপর একটু শুয়ে থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে ছেলে ছেলে সেজে নিলো। কাঁধে ব্যাগপ্যাক ঝুলিয়ে মুখে মাস্ক পড়ে বের হয়ে নিলো দ্রুত।
আফিমের বাসায় এসে জানতে পারলো আফিম প্রতিবারের মতো ঘুম। আর লাবিবা ও জোসেফ দুপুর হতে হতে চলে আসবে বলে দীপকে জানিয়েছে।
– দীপ,, আর্লি ব্রেকফাস্ট রেডি করে ট্রলিতে দাও। আমি ততোক্ষনে স্যারের ব্যাগ প্যাক করে দিচ্ছি। ব্যাগ প্যাক করে ডাকবো স্যারকে।
– ওকে ইনায়াত স্যার!!
ইনায়াত দ্রুত পায়ে উঠে গেলো সিড়ি বেয়ে। আফিমের রুমের দরজা খুলে দেখলো আফিম বুকের উপর ভর দিয়ে অগোছালো হয়ে শুয়ে আছে। ইনায়াত শব্দ যাতে বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে কাবার্ড খুলে ট্রলি বের করলো। তারপর ট্রলিতে কাপড়চোপড়,, পার্ফিউম,, ম্যাচিং ঘড়ি,, সানগ্লাস নিয়ে নিলো। সবধরনের সব কিছু নেওয়ার পর কাবার্ডের সব জিনিস গুছিয়ে রাখতে শুরু করলো আবারও। তখনই ধীর আওয়াজে দীপ দরজা খুলে ট্রলি নিয়ে এলো রুমের ভেতর। ট্রলিটা রেখেই সে চলে গেলো। ইনায়াত সবটা গোছগাছ করে আফিমের কাছে গিয়ে প্রতিদিনের মতো ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করলো।
– স্যার!! স্যার বিজনেস ডিল আছে,,, ৭ টায় ফ্লাইট!! স্যার!!! ও স্যাররররর!!
– ইউ আর ফায়ার্ড ইনু,,, ইউ আর রিয়েলি ফায়ার্ড।
একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুমিয়েই বললো আফিম।
– স্যার!! আবারও একই কথা?? তাহলে আমারও একই কথা। ফায়ার্ড ওয়াটার্ড,, আগুন,, পানি সব পড়ে করবেন। তার জন্য অন্তত পক্ষে ঘুম থেকে উঠেন স্যার!!!!
আফিম লাফিয়ে উঠে বসলো তড়াক করে।
– হোয়াট ইজ ইউর প্রব্লেম ইনু?? কেন এতো বিরক্ত করো??
– স্যার!! ৭ টা বাজে ফ্লাইট!!
– তো?? একটু লেইট হলে কি সমস্যা?? কেন এতো কাজ করো ইয়ার!! তোমার কাজ দেখতে দেখতে আমার বিরক্তি ধরে গেছে। মাঝে মাঝে ফাঁকি দেওয়াও তো শিখো ইয়ার!!
আফিম হাই তুলতে লাগলো। ইনায়াত বিরক্তিতে আফিমকে মনে মনে কল্পনায় গালাগাল দিয়ে নিলো,, মেরে নিলো ঢিসুম ঢিসুম। মন শান্ত করে ইনায়াত টাওয়েল নিয়ে ধরিয়ে দিলো আফিমের হাতে। আফিম সেটা নিয়ে হেলতে দুলতে চলে গেলো ওয়াসরুমে।
একে বারে ফ্রেশ হয়ে স্নান শেষে টাওয়েল পড়ে এলো আফিম অভ্যেসবশত। আর ইনায়াতও কাপড় খাটে রেখে দিয়েছিলো। আফিম বের হতেই ইনায়াত মাথা নিচু করে নিলো। আফিম তা দেখে চোখ ঘুড়িয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে রেডি হয়ে নিলো কাপড়চোপড় পড়ে। ইনায়াত ততোক্ষনে একটা প্লেইটে দুটো স্যান্ডউইচ তুলে নিলো। আর সাথে এক বাটি স্যুপ তো আছেই।
আফিম সম্পূর্ন রেডি হয়ে নিজের রুমেই ব্রেকফাস্ট শেষ করলো। এরপর দুজনেই বের হয়ে এলো রুম থেকে। আফিম প্রথম নামছে আর ইনায়াত আফিমের লাগেজ নিয়ে পিছনে পিছনে নামছে। আফিম খুব কমই ড্রাইভ করে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ইনায়াত আফিমের লাগেজ ডিক্কিতে রেখে এসে সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটে উঠে বসলো। আফিম পিছনে বসেছিলো। ইনায়াতকে সামনে উঠতে দেখে আফিম গলা ছেড়ে কাশলো।
– ইনু!! পিছনে এসো!!
ইনায়াত অবাক হলো। ইনায়াতের বিষ্ময়ের কারণ বুঝলো আফিম। ইশারা করলো হাত দিয়ে পিছনে গিয়ে বসতে। ইনায়াতও কি করবে আর?? বসের হুকুম মেনে পিছনে গিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে বসলো সেও। গাড়ি চলতে শুরু করলো। আফিমকে আজকে একদম আনমনা দেখাচ্ছে। বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে সে একমনে নিশ্চুপ হয়ে।
– ইনায়াত!! আমার কখনো ফ্রেন্ড ছিলো না বলেই জানে সবাই। তবে সত্যি বলতে গেলে কি দীপ,, বাবা আর মা ভালোই জানে আমার ফ্রেন্ড ছিলো কি ছিলো না। আমার না খুব ভালো তিনটা ফ্রেন্ড ছিলো। হারিয়ে গেছে আমার থেকে তারা তিনজনেই কোন এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে। এরপরেই আমি এমন মদখোর,, মেয়েবাজ,, রুড হয়ে গেছি। আমি কিছু ঘটনার কারণে কাওকে কখনো কাছে ঘেষতে দিইনি বন্ধুত্বের জন্য বা কোন সম্পর্ক তৈরির জন্য। বাট যদি সত্যি বলি তাহলে তোমাকে আমি আমার বন্ধুর মতো দেখি এখন। এই একটা কারণেই হয়তো আমি আজ অবধি তোমার একাডেমিক যোগ্যতা যাচাই করিনি,, তোমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড বা পাস্ট লাইফ নিয়েও মাথা ঘামাইনি।
এটুকু বলেই থামলো আফিম। দৃষ্টি তার এখনো জানালার বাইরের চলন্ত সব দৃশ্যে। ইনায়াত একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আফিমের দিকে। আফিমের মুখ না দেখা গেলেও গলার স্বরে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কতোটা আবেগ নিয়ে কথাগুলো বলছে আফিম। আফিমকে এমন আবেগী কখনো কেও দেখেছে বলে মনে হয় না ইনায়াতের। আফিম আবারও বলতে শুরু করলো,,
– তুমি আমার বয়সে ছোট!! বাট নিজেকে আমার বন্ধু ভাবতে পারো। আমার সাথে ফর্মালিটিস করো না কখনো। আর দয়া করে বিশ্বাস ঘাতকতা করোনা। বিশ্বাসঘাতকতা আমার সবথেকে বেশি ঘৃণার ও রাগের কারন।
ইনায়াত মাথা নিচু করে নিলো। সে তো বিশ্বাস ঘাতকতাই করছে। ইনায়াত অন্যায় করেছে তার বাবার ও রানা আংকেলের সাথে। তাহজিব নামক বিপদের কাছে তাদের একা ফেলে চলে এসেছে ভীতুর মতো। অন্যায় সে করছে লাবিবার সাথে যার মাঝে সে মায়ের মমতার পরশ পেয়েছে। অন্যায় সে করছে জোসেফের কাছে। যে সবার কাছে মিটিংয়ে ও পার্টিসে ইনায়াতকে নিজেরি দ্বিতীয় ছেলে বলে পরিচয় দেয়। আর?? আর অন্যায় করছে আফিমের সাথে। আফিম তাকে বিশ্বস্ত ভেবে তাকে নিজের কাছ ঘেষতে দিয়েছে। কারণ সে ছেলে। আফিম যদি কখনো জানে একটা মেয়ে মিথ্যে নাটক করে এতোটা কাছে ছিলো। তাহলে সহ্য করতে পারবে আফিম?? আফিম মেয়েদের প্রতি প্রচুর আবেগহীন,, যেন কোন পাথরের টুকরো। তাদের সাথে মদ খাওয়া,, বিছানা গরম করা পর্যন্তই সীমিত সব সম্পর্ক। বন্ধুত্ব,, সম্পর্ক,, তাও কোন মেয়ের সাথে। তা যেন আফিম কল্পনাও করতে পারে না। কি হবে যদি সে জানে ইনায়াত একটা মেয়ে,, ছেলে না।
.
.
এয়ারপোর্টে গিয়ে সব নিয়ম কানুন মেনে আফিম আর ইনায়াত প্লেইনে উঠলো। কথাগুলো বলতে পেরে আফিম খুব হালকা বোধ করছে।
আফিম আর ইনায়াত প্রায় ৪৫ মিনিট পর অন্য একটা শহরে ল্যান্ড করলো। কে জানে এই শহর কি কামাল দেখাবে নিজের!!

ব্লাস্ট আসছে পরের পর্বে পাঠকরা। তৈরি তো আপনি?? দেখা যাক ইনায়াত,, আফিমের জীবন কোনদিকে মোড় নেয়। আর তাহজিবের এতোটা ভালোবাসা কি বৃথা যাবে??

আর রিয়েক্ট দিন দিন কম হচ্ছে। এমন হলে রাগ করবো আপিরা আর ভাইয়ারা। আর হ্যাঁ,, আবারও বলছি আমি সকালে গল্প দিই। আমার গল্প আপাতত কোনদিন মিস যায়নি। আর আল্লাহ চাইলে যাবেও না মিস। পাশে থাকবেন,, ভালো থাকবেন।

চলবে,,,