#ডিভোর্স
পর্বঃ ১২
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
নীলঃ রাস্তা দিয়ে
যাওয়ার সময় সব কথা
শুনার পর নিজের উপর
কন্ট্রোল থাকা টা
অসম্ভব নিজেকে
কন্ট্রোল না করতে
পেরে শরীরের সমস্ত
শক্তি দিয়ে দুই গালে
দুটো থাপড় বসিয়ে
দিলাম….
।
তানিশাঃ হ্যা মারো
আরো মারো মারতে
মারতে মেরে ফেলছো
না কেনো….
।
সাঈদঃ নীল তুমি
তোমার ওয়াইফকে
বুঝাও যেনো দ্বিতীয়
বার এই ভুলটা না করে
ওর না হলে কোন
মানসম্মান নেই আমার
তো আছে নাকি…
।
নীলঃ সরি স্যার ওর
পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা
চাইতেছি..
।
সাঈদঃ its ok…
।
নীলঃ বাড়ি চলো..
।
তানিশাঃ যাবো না…
।
নীলঃ যাবে না মানে
কী তুমি যাবা তোমার
বাপ যাবে হাতটা ধরে
টানতে টানতে বাসায়
নিয়ে আসলাম…
।
কোন সাহসে স্যারকে
তুমি এই কথা বলছো…
।
তানিশাঃ আমি তোমাক
কেনো বলতে যাবো..
।
নীলঃ বলবে মানে কী
কী লুকোচ্ছো আমার
কাছ থেকে আজ বলতেই
হবে…
।
তানিশাঃ বলবো না কী
করবে হুম…
।
নীলঃ কী করবো তাই
তো ( এমনিতে মাথাটা
আগে থেকে গরম ছিলো
তার উপর মুখে তর্ক)
ঘরের দরজাটা লাগিয়ে
দিয়ে..
।
প্যান্ট থেকে বেল্ট টা
খুলে ইচ্ছে মতো মারতে
শুরু করলাম…
।
তানিশাঃ বেল্টের
প্রতেকটা আঘাত কালো
দাগ হয়ে যাচ্ছে…
।
নীলঃ তোমার জন্য
আমার সব মান সম্মান
ধুলোয় মিশে গেছে…
।
শুধু মাএ তোমার জন্য
মারতে মারতে একসময়
বেল্টাও ছিরে
গেলো….
।
তানিশাঃ সমস্ত
শরীরটা ব্যথ্যায় টন টন
করছে মাথাটা ঘুরতে শুরু
করেছে নিজেকে
আত্মরক্ষা করার মতো
শক্তি টুকুও নেই…
।
চোখ দিয়ে ঝাপসা
দেখতে শুরু করেছি
মাথাটা ভারি হয়ে
আসছে একসময় অঙ্গান
হয়ে মাটিতে পড়ে
গেলাম….
।
।
সাঈদঃ রাগের মাথায়
মেয়েটাকে থাপ্পড়
মারাটা ঠিক হয় নি যাই
গিয়ে সরি বলে আসি
নীলের বাসায় যেতে….
।
।
সাঈদঃ নীল এটা তুমি
করছো….
।
নীলঃ যা করছি তাতে
আমার কোনো অফসোস
নেই…
।
সাঈদঃ তাই বলে
এভাবে মারলা কেনো
মেয়েটার পিঠ থেকে
মাইরে আঘাতে রক্ত
রেড় হচ্ছে…
।
তুমি মানুষ না
জানোয়ার কেউ এভাবে
কাউকে মারে….
।
পাশে রাখা পানির
গ্লাস থেকে পানি
নিয়ে মুখে ছিটিয়েও
কোনো লাভ হয় নি…
।
।
সাঈদঃ নীল তানিশাকে
তুলে বিছানায় শুয়েই
দাও ..
।
নীলঃ পারবো না…
।
সাঈদঃ কী বললে
আরেক বার বলো…
।
নীলঃ স্যার এটা আমার
পারসোনাল ব্যপার তাই
এতে আপনার নাক
গলানোর কোনো দরকার
নেই..
।
সাঈদঃ ওকে as your
wish যা ইচ্ছে তাই করো
এতে আমার কোনো
আপওি নেই তবে হ্যা
মেয়েটার কী হয়ে
গেলে তোমার চাকরিটা
রক্ষা করতে পারবে
তো….
।
নীলঃ সত্যি তো
তানিশার কিছু হয়ে
গেলে ওর বাবা মা তো
আমাকে ছেড়ে দিবে
না আমার বিরুদ্ধে
নীরি নির্যাতনের কেস
করলে চাকরিটা চলে
যাবে…
।
তাই মাটিতে থেকে
তুলে বিছানায় শুয়েই
দিয়ে ডাক্তার কে
আসতে বললাম…
।
।
সাঈদঃ সত্যি তো নীল
ওর বউকে মারুক মেরে
ফেলুক তাতে আমার কী
তাই এসবের মধ্যে না
থাকাটাই ভালো যে
কাজের জন্য আসছিলাম
তার বিপরীত ঘটে
গেলো এখন আর কোথাও
যাবো না সোজা
বাড়িতে যেতে হবে….
।
।
।
।
।
ডাক্তারঃ ইসস এভাবে
কেউ মারে… জামাটা
খুলে দেখো পুরো পিঠ
টা কালো হয়ে গেছে
রক্ত গুলো জমে এই ব্যথা
এক মাসেও যাবে না….
।
নীলঃ বেশি বক বক না
করে যেই জন্য আসছেন
সেটা করেন..
।
ডাক্তারঃ আমার কাজ
শেষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে
ঙ্গান ফিরে আসলে
ভালো না হলে কোমায়
চলে যাবে…
।
।
নীলঃ কথাটা শুনে
নিজের উপর নিজেরি
ঘৃণা আসছে ঠিকি তো
এভাবে মারাটা উচিত
হয় নি…
।
ডাক্তার চলে যাওয়ার
পর রুমের দরজাটা
লাগিয়ে জামাটা খুলে
দেখলাম সত্যি পিঠ টা
কালো হয়ে গেছে
যেখানে সেখানে
থেকে রক্ত বের হচ্ছে…
।
অধেকটা জামা রক্তে
লাল হয়ে গেছে…
।
।
নীলঃ এখন কী করবো
কিছুই বুঝতে পারছি
না….
।
হাজার হোক বউ আমার
একবারো তার মনের
কথাটা কেনো খুলে
বললো না…
।
।
।
সাঈদঃ নীল এর বাড়ি
থেকে বেড় হয় সোজা
বাসায় চলে আসলাম…
।
বাসায় এসেই…
।
স্নেহাঃ তোমার হাত
থেকে রক্ত বেরোচ্ছে
কেনো…
।
সাঈদঃ এই রে তানিশার
হাতে যে রক্ত
লেগেছিলো সেটা তো
দেখছি আমারো হাতে
লেগে গেছে…
।
।
না মানে ইয়ে মানে
এটা রক্ত না রং
( মিথ্যা কথা বলাম )
।
স্নেহাঃ এইটা রং
বিশ্বাস হচ্ছে না….
।
সাঈদঃ আমি কী
তোমাক মিথ্যা কথা
বলতে যাবো…
।
স্নেহাঃ না আচ্ছা
বাবা ফ্রেশ হয়ে আসো
তো…
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা ফ্রেশ
হয়ে এসে …
।
স্নেহাঃ সত্যি করে
বলো কী হয়েছে
তোমার…
।
সাঈদঃ কই কিছু না
তো…
।
।
আচ্ছা একবার কী
নীলকে ফোন করে
বলবো তানিশার ঙ্গান
ফিরলো কী না ( মনে
মনে )
।
।
স্নেহাঃ না নিশ্চয়ই
কিছু হয়েছে না হলে
এতো চিন্তিত লাগতো
না…
।
সাঈদঃ না থাক তাদের
ব্যক্তি গত লাইফ নিয়ে
আমার মাথা ঘামানোর
কোনো প্রয়োজনে এ
নেই…
।
।
স্নেহাঃ তুমি কী
লুকোচ্ছো আমার থেকে৷
..
।
সাঈদঃ কিছু না মাথাটা
ব্যথা করছে চিপে দাও
তো …
।
স্নেহাঃ এই কথাটা
বলতে এত খন লাগলো…
।
সাঈদঃ না মানে
ভাবলাম তুমি তখন
আবার টেনশন করবা তাই
বলি নি…
।
স্নেহাঃ না বললে
আরো টেনশন হতো…
তার পর ওনার মাথা টা
চিপতে শুরু করলাম..
।
সাঈদঃ একটা কথা
বলবো…
।
স্নেহাঃ হুম বলো…
।
সাঈদঃ থাক আজ না…
।
স্নেহাঃ কেনো…
।
সাঈদঃ এমনি…
।
আচ্ছা হয়েছে…
।
স্নেহাঃ এত তাড়াতাড়ি
ব্যথা ছেড়ে গেলো…
।
সাঈদঃ ব্যথা করলেই
তো ছাড়তো…
।
হুম আমার কাছে বসো
তো…
।
স্নেহাঃ হুম বসলাম…
।
সাঈদঃ আমি অফিসের
কাজে ১৫ দিনের জন্য
দেশের বাইরে যাবো…
।
স্নেহাঃ না আমি
তোমাকে যেতে দিবো
না ( জরিয়ে ধরে )
।
সাঈদঃ যেতে হবেই এটা
বাধ্যতা মূলক..
।
স্নেহাঃ আমি একলা
থাকতে পারবো না
তোমাকে ছাড়া তুমি
যখন বাসা থেকে কিছু
খনের জন্য বের হওয়
তখন প্রত্যকটা সেকেন্ড
এক একেটা বছরের মতো
লাগে আর পনেরো দিন
আমি তোমাকে ছাড়া
থাকতে পারবো না …
।
সাঈদঃ আমি যে
নিরউপায়…
।
স্নেহাঃ
না আমি যেতে দিবো
না ( কান্না করতে
করতে )
।
সাঈদঃ ছোট্ট বাচ্চার
মতো কান্না করলে কী
সমস্যার সমাধান হবে
।
স্নেহাঃ তাহলে বলো
যাবে না। না হলে
আরো কাদবো…
।
সাঈদঃ আচ্ছা বাবা
যাবো না হয়ছে…
।
স্নেহাঃ হুম
( কান্না বন্ধ করে )
।
সাঈদঃ এই মেয়েটার
সঙ্গে পারা যায় না
এখনি কাদতে ছিলো
আর এখনি হাসতেছে
ভাবা যায় এগুলা
।
।
।
ঠিক তখনি.
।
নীলঃ কোন উপায় না
পেয়ে স্যারকে ফোন
দিলাম .
।
।
সাঈদঃ নীল হঠাৎ ফোন
করলো কেনো..
।
হুম হ্যালো…
।
নীলঃ স্যার একটু আমার
বাসায় আসবেন প্লিজ…
।
সাঈদঃ কেনো কী
হয়েছে…
।
নীলঃ তানিশার অবস্থা
খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে আমি কী
করবো কিছু বুঝতে
পারছি না…
।
।
সাঈদঃ আমি আসতেছি
১৫ মিনিটের মধ্যে…
।
স্নেহাঃ কে ফোন
করছিলো…
।
সাঈদঃ অফিস থেকে
ফোন করলো যে কী
যেনো একটা ফাইল
আসছে ওইটা দেখতে
যেতে বলতেছে…
।
।
স্নেহাঃ এখন রাত হয়ে
গেছে তো…
।
সাঈদঃ হুম তবুও যেতে
হবে তুমি খেয়ে শুয়ে
পড়িও কেমন ..
।
স্নেহাঃ কেনো তুমি
কখন আসবে…
।
সাঈদঃ ঠিক নেই আমি
বাসার ডুপ্লিকেট চাবি
নিয়ে যাচ্ছি তুমি ভিতর
থেকে ভালো করে লক
করে খেয়ে শুয়ে
পড়িও…
।
স্নেহাঃ আচ্ছা
।
সাঈদঃ আসি আচ্ছা..
।
স্নেহাঃ আচ্ছা…
।
।
সাঈদঃ মিথ্যা কথা
বলে বেড়িয়ে আসলাম
যদি সত্যি টা কখনো
জানতে পারে তাহলে
অনেক কষ্ট পাবে….
।
গাড়িটা নিয়ে দ্রুত
নীলের বাসায় চলে
আসলাম…
।
নীলঃ স্যার দেখুন না
ওর তো ঙ্গান ফিরছেই
না…
।
সাঈদঃ দ্রুত
হাসপাতালে নিয়ে
যেতে হবে…
কী হলো নিয়ে চলো..
।
।
নীলঃ আমার কাছে এখন
এক টা টাকাও নেই…
।
সাঈদঃ আমি দিবো
চলো…
।
নীলঃ তার পর বিছানা
থেকে তুলে গাড়িতে
বসালাম….
।
ঠিক তখনি…
।
সাঈদঃ নীল তানিশা
আর বেচে নেই….
।
নীলঃ স্যার কী বলছেন
আপনি এটা …
।
সাঈদঃ সত্যি বলছি
তানিশার নিশ্বাস
চিরো জীবনের মতো
বন্ধ হয়ে গেছে…
।
নীলঃ না এটা হতে
পারে না..
।
সাঈদঃ বিশ্বাস না হলে
দেখো তানিশার
শরীরটা ঠান্ডা হয়ে
গেছে নিশ্বাস নিচ্ছে
না…
।
।
নীলঃ স্যার আমি মেরে
ফেললাম তানিশাকে
এখন আমার কী হবে…
।
সাঈদঃ তানিশার বাবা
মা কে জানিয়েছো…
।
নীলঃ না স্যার আপনার
পায়ে পড়ছি প্লিজ
আমাকে বাচান..
।
সাঈদঃ পারবো না…
।
নীলঃ প্লিজ স্যার
পায়ে ধরে…
।
সাঈদঃ আমি না হয়
বাচিয়ে নিবো কিন্তু
তানিশার লাশটা কী
করবে…
।
নীলঃ স্যার শহরের
বাইরের জঙ্গল টা তে
কবর দিয়ে আসি তাহলে
কেউ জানতে পারবে না
….
।
সাঈদঃ আমি পারবো
না…
।
নীলঃ প্লিজ স্যার…
।
সাঈদঃ নীল এর কথাটা
ফেলতে পারলাম
গাড়িতে করে নিয়ে
গিয়ে শহরের বাইরের
জঙ্গলটাতে কবর দিয়ে
আসলাম তানিশার
লাশটাকে…
।
।
নিজেকে এখন খুনি মনে
হচ্ছে কেনো না নীল
যে অন্যায় টা করছে
তার অধেক অংশিদার
এখন আমিও…
।
।
এই হাত দিয়ে তানিশার
লাশটাকে এই জনো
মানব হীন জঙ্গলে কবর
দিয়ে আসলাম এই হাতে
স্নেহাকে কীভাবে
স্পর্শ করবো নিজের
উপর ঘৃণা আসছে…
।
।
নীলঃ স্যার এবার
বাসায় যাই অনেক রাত
হয়েছে…
।
সাঈদঃ হুম চলো…
।
নীলকে ওর বাসায়
দিয়ে এসে আমিও
বাড়িতে চলে আসলাম…
।
বাসার ডুপ্লিকেট চাবি
দিয়ে ভিতরে ডুকে
গোসল করে নিলাম…
।
।
তার পর কাপড় চেনজ
করতে করতে হঠাৎ পিছন
থেকে……
।
।
চলবে…