#ডিভোর্স
পর্বঃ ১৩
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
সাঈদঃ কাপড় চেনজ
করার সময় হঠাৎ পিছনে
যা দেখলাম তা দেখে
হার্ট অ্যাটাক করার
মতো অবস্থা….
।
।
।
।
আমার পিছনে তানিশা
দাঁড়িয়ে আছে
।
সাঈদঃ এটা কীভাবে
হতে আমি একটু আগে
নিজের হাতে
তানিশাকে কবর দিয়ে
আসলাম তার মানে এটা
তানিশার আত্মা ওর
মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে
আসছে ভয়ে হাত পা
কাঁপতে শুরু করে
দিয়েছে…..
।
।
সাঈদঃ দেখো আমার
দিকে আসবা না কিন্তু
এর ফল ভালো হবে না…
।
তানিশাঃ আপনি প্লিজ
শান্ত হন আমি মরি নি..
।
সাঈদঃ সব আত্মা গুলো
একি কথা বলে..
।
তানিশাঃ বিশ্বাস
হচ্ছে না তো আমাকে
ছুয়ে দেখেন তাহলে
আপনার বিশ্বাস হবে
আমি মরি নি এখনো
বেচে আছি…
।
।
সাঈদঃ ভয়ে ভয়ে ওর
হাত টা নেড়ে দেখলাম
সত্যিই এটা তানিশা
তাহলে আমি কাকে কবর
দিয়ে আসলাম….
।
তানিশাঃ ওটা আমি
ছিলাম না আলাদা কেউ
ছিলো…
।
সাঈদঃ মানে কিছু
বুঝতে পারছি না….
।
।
তানিশাঃ আপনি যখন
নীলকে বলছিলেন
আমার কিছু হয়ে গেলে
ওর চাকরিটা চলে যাবে
তখন ও ভয় পেয়ে
আমাকে মাটি থেকে
তুলে বিছানায় শুয়েই
দিয়ে ডাক্তার কে ফোন
করে..
।
ডাক্তার কে আমিই
বলেছিলাম আমার
জ্ঞান না ফিরলে
কোমায় চলে যাবো
কিন্তু এটা কখনো ভাবি
নি যে নীল আমাকে
মারতে চাইবে….
।
ডাক্তার চলে যাওয়ার
পর নীল আমাকে গলা
টিপে মারার চেষ্টা
করে…
।
কিন্তু আমি কোনো
মতো নিজেকে ছারিয়ে
নিয়ে পালিয়ে আসি…
।
তার পর নীল হাসপাতাল
থেকে একটা মেয়ের
লাশ নিয়ে এসে
আপনাকে ফোন করে
বলে আমার অবস্থা
খারাপ হয়ে গেছে তার
পর প্লেন করে আপনার
দ্বারা এসব করায়৷..
।
।
।
সাঈদঃ ও তার মানে এই
ছিলো নীলের মনে তাই
তো বলি মেয়েটার লাশ
থেকে কাপড়টা সরাতে
দিচ্ছিলো না কেনো…
।
তানিশাঃ আমি শুধু এত
টুকুই বলতে আসছি নীল
আপনার অনেক বড় ক্ষতি
করার প্লে করতেছে
হয়তো আমাকেও
পাগলের মতো খুজতেছে
পেলে হয়তো মেরেই
ফেলবে….
।
।
সাঈদঃ শেষে কী না
যাকে বিশ্বাস করলাম
সেই এমন প্রতিদান
দিলো…
।
তানিশাঃ আমি এখন
আসি তাহলে…
।
সাঈদঃ এক মিনিট তুমি
ভিতরে আসলে কীভাবে
.
।
তানিশাঃ আপনার
কাছে দুইটা ডুপ্লিকেট
চাবি ছিলো তাই না
নীল আপনাকে কথার
তালে ভুলিয়ে একটা
চাবি নিয়ে নিচ্ছিলো
কিন্তু চাবিটা আমি
দেখেফেলেছিলাম ওটা
দিয়েই ভিতরে আসছি…
।
।
সাঈদঃ এত রাতে একা
কোথায় যাবা.
.
।
তানিশাঃ দু চোখ
যেদিকে যায়…
।
সাঈদঃ এক কাজ করলে
হয় না আজকের রাতটা
এখানেই থেকে যাও…
।
তানিশাঃ না আমি চাই
না আমার কারণে
আপনার বউ আপনাকে
সন্দেহ করুক….
।
আমি এটাও জানি যে
সে আপনাকে অন্ধের
মতো বিশ্বাস করে আমি
সেই বিশ্বাসের সুযোগ
নিতে চাই না..
।
।
যদি কষ্ট করে আমাকে
আমার বাসায় পৌছে
দিতেs#ssssন..
।
।
সাঈদঃ হুম চলো…
।
তুমি গাড়িতে গিয়ে
বসো আমি আসতেছি
রুমে এসে দেখলাম
স্নেহা ঘুমাচ্ছে…
।
মেয়েটা মনে হয় না
খায় ঘুমায় গেছে সেটা
মুখটা দেখলেই বুঝা
যাচ্ছে বিয়ের পর এমন
কোন দিন এটা হয় নি
যে সে আমার আগে খায়
ছে তাহলে আজ
কীভাবে খাবে…
।
কপালে একটু চুমু দিয়ে
আলমারি থেকে ১ লাখ
টাকা বের করে পকেট এ
ডুকিয়ে নিয়ে গাড়িতে
এসে বসলাম…
।
।
কিছু খন পর তানিশার
বাসার সামনে চলে
আসলাম…
।
।
তানিশাঃ tnx..
।
সাঈদঃ তানিশা চলে
যাচ্ছিলো ঠিক তখনি
তানিশা শুনো…
।
তানিশাঃ জ্বী বলেন…
।
সাঈদঃ এই টাকাটা
রাখো…
।
তানিশাঃ থাক লাগবে
না…
।
সাঈদঃ প্লিজ না করিও
না এই টাকাটা দিয়ে
নিজের চিকিৎসা
করিও..
।
তানিশাঃ কেনো করছে
এসব আমার জন্য…
।
সাঈদঃ সেটা জানি না
তবে হ্যা তুমি আমার যে
উপকার টা করছো সেটা
কখনো ভুলে যাওয়ার
মতো না…
।
কোন সময়ে টাকার
প্রয়োজন হলে একবার
ফোন দিও আর হ্যা এটা
ভেবে ভয় পেয়ে ও না
যে আমি টাকা গুলো
ফেরত চাইবো…
।
।
।
তানিশাঃ tnx…,
।
আপনার এখন যাওয়া
দরকার কয়েক ঘন্টা পরে
সকাল হয়ে যাবে…
।
সাঈদঃ আচ্ছা আসি
তাহলে…
।
তানিশাঃ ওকে বাই…
।
।
।
সাঈদঃ তার পর গাড়িটা
স্টার্ট দিয়ে বাসার
উদ্দেশ্য বেড়িয়ে
পড়লাম…
।
আমি যতটা খারাপ মনে
করছিলাম আসলে ততটা
খারাপ না তানিশা একটু
হলেও ভালো আছে….
।
।
।
কিছু খন বাসায় চলে
আসলাম.
।
বাসায় এসেই মনে
পড়লো আচ্ছা নীল
তানিশাকে মারতে
কেনো চাইছিলো আর
সে সময় আমার কী হয়ে
গেছিলো যে আমি ওর
পাপ কাজে সাহায্যে
করতে এগিয়ে
গেছিলাম….
।
।
।
বিছানায় এসে শুতেই
স্নেহা শক্ত করে
জরিয়ে ধরলো….
।
।
এই মেয়েটা যখনি
আমাক জরিয়ে ধরে তখন
সব কষ্ট আর টেনশন দুর
হয়ে যায়…
।
সারা রাত যা ধকল
গেছে তাতে বিছানায়
শুতেই ঘুম ধরে গেছে
কখন যে ঘুমায় পড়ছি
মনে নেই যখন চোখ
খুললাম তখন…
।
।
স্নেহাঃ ঘুম হয়ছে…
।
সাঈদঃ হুম…
।
স্নেহাঃ রাতে তো কিছু
খান নি এখন উঠে ফ্রেশ
হয়ে কিছু খেয়ে নিন না
হলে শরীর খারাপ
করবে…
।
সাঈদঃ তুমিও তো রাতে
কিছু খাও নি তোমার
শরীর খারাপ করবে
না…
।
।
স্নেহাঃ না…
।
সাঈদঃ বললেই হবে
ফ্রেশ হইছো..
।
স্নেহাঃ হুম
।
সাঈদঃ খাবার নিয়ে
আসো ততক্ষণে আমি
ফ্রেশ হয়ে আসি..
।
।
ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি
মেয়েটা একটা প্লেটে
ভাত আর মুরগির মাংস
নিয়ে আসছে…
।
সাঈদঃ তোমার প্লেট
টা কোথায়…
।
স্নেহাঃ আমি পরে
খাবো আগে তুমি খেয়ে
নাও….
।
সাঈদঃ প্লেট টা
দেখি…
।
প্লেট টা হাতে নিয়ে
ভাত গুলো মেখে হা
করো…
।
স্নেহাঃ তুমি খাও না
আগে…
।
সাঈদঃ বলছি না হা
করো তার পর স্নেহাকে
খাইয়ে দিয়ে আমিও
খেয়ে নিলাম…
।
।
স্নেহাঃ জানো কাল
রাতে আমি একটা
খারাপ স্বপ্ন দেখছি…
।
সাঈদঃ কীহ….
।
স্নেহাঃ পরে বলবো
এখন বলতে ভয়
লাগতেছে…
।
সাঈদঃ আচ্ছা পরে
বলিও…
।
।
স্নেহাঃ একটা কথা
বলবো…
।
সাঈদঃ হুম বলো
।
স্নেহাঃ একবার
জরিয়য়ে ধরে বৃষ্টির
রাতের মতো চুমু দাও না
।
সাঈদঃ বাহ বাহ আজ
এতো রোমান্টিক মুডে
আছো যে…
।
স্নেহাঃ দাও না….
।
সাঈদঃ আচ্ছা বাবা
দিচ্ছি…
।
স্নেহাকে জরায় ধরে
দুজনের ঠোঁট করে
দিলাম…
।
কত খন যে ছিলাম
নিজেও জানি না…
।
।
।
।
।
।
নীলঃ স্যার কতো বকা
যে আমার কথা বিশ্বাস
করে নিলো এখন এমন
কিছু করতে হবে যাতে
সাপ ও মরে লাঠিও না
ভাঙ্গে..
।
।
চলবে