#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_০৮
#রেজওয়ানা_রমা
-লাভ ইউ জান।
– হোয়াট!
-সেই কলেজ লাইফ থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি আর তুমি এই রাস্তার মেয়ে কে বউ করলে জান?
-মিরা!
-উফ। আমার নাম টা তোমার মুখে শুনতে খুব ভালো লাগে।
-তোমায় আমি দেখে নেব মিরা। খুন করে ফেলবো আমার নীড়ের কোন ক্ষতি করলে।
-তোমার নীড়ের কোন ক্ষতি আমি করবো না জানু।কারন আমি জানি তো নীড়কে তুমি কত্ত ভালোবাসো।কিন্তু জানু তোমার নীড়ের সময় শেষ।আই এম সরি জানু।বাইইই….
-মিরায়া
ফোন কেটে দেয় মিরা।রিয়ান ভাবছে মিরা নীড় কে কিভাবে চেনে? কি করে জানলো নীড়ের কাছে আমি নেই।ওদিকে মেহুল আকুতি করে বলছে,
-কে তুমি? আমাকে এখানে এনেছো কেন? কি চাও তুমি?
– তোমার স্বামীকে চাইম দেবে? বিনিময়ে তোমার ঈশান কে দেবো তোমায়।
-ঈশান!তুমি ঈশান চেনো কি ভাবে?কে তুমি?
– আমি তোমার শুভাকাঙ্খী।রিয়ান তোমার জন্য ক্ষতিকর। ও তোমায় ব্যবহার করছে। ঈশান কে নিয়ে যা শুনেছো দেখেছো সব টা সাজানো নাটক। তোমার স্বামী করেছে সব টা।
-মিথ্যে বলো না।
-সব সত্যি।তোমাকে মিথ্যে বলে আমার লাভ কি? রিয়ান আমাকে ভালোবাসতো। আমাদের সম্পর্ক ৪ বছরের। কিন্তু ও যখন আর্মিতে যায় তারপর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। আর এখন তোমায় বিয়ে করেছে সেটাও নাটক করে। ঈশান কে দিয়ে সব টা ও করিয়েছে।
– হ্যাঁ মেহু।
পিছন থেকে কেউ একজন কথা টা বলে। মেহুল পিছনে তাকিয়ে দেখে ঈশান দাড়িয়ে আছে। ঈশানকে দেখে মেহুল অবাক হয়ে বলে,
-তুমি এখানে? -হুম।তোমার সামনে সত্যি টা এনে দিতে এসেছি।
-সত্যি!কি সত্যি?
-যা যা এখন শুনলে।
-ফালতু কথা বলবে না।রিয়ান তোমার মত অমানুষ নয়।
-মানুষ হলে আমার কাছ থেকে তোমাকে আলাদা করতো না।
– আমি এসব কিছু জানতে চাই না। আমার স্বামী সম্পর্কে আর একটাও বাজে কথা বলবে না।
-প্রুভ দেখবে?
-প্রুভ!
-এই যে নিজের চোখেই দেখে নাও
বলেই ঈশান একটা ভিডিও প্লে করে মেহুলের সামনে ধরে। যা দেহে মেহুলের চোখ গুলো বড় বড় হয়ে যায়।মেহুল নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।রিয়ান এমন কিছু করতে পারে। এত নিচ রিয়ান! এত খারাপ একটা লোক!রিয়ান কে সবে মাত্র বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। মেহুল ভিডিও টা শেষ পযর্ন্ত দেখার আগেই ফোন টা ছুড়ে ফেলে দেয়।ভিডিও তে রিয়ান………….
#চলবে
