#তুই_আমার_কাব্য 🍂
#Writer: Anha Ahmed
#Part: 11
.
🍁
.
মেঘলাকে নিয়ে আবির বের হয়ে গেছে। ভার্সিটি গেইট টা ক্রস করতে করতেই আবিরের ফোনে কল আসে। মোবাইলটা আবিরের পকেটে ছিলো। আবির মেঘলাকে ফোনটা ধরতে বললো। মেঘলার চুপ থাকা দেখে বলে,
– মেঘলা ফোনটা বের করো প্লিজ। এতো কেনো লজ্জা পাও বুঝি না। আমি কি পরিচিত কেউ? ছোট্ট বেলায় তো আমার চুল ধরে সারাদিন টানাটানি করেছো। আর এখন সামান্য ফোন ধরতে লজ্জা পাচ্ছো?
মেঘলার ছোট্ট বেলার কথা শুনে গাল ফুলিয়ে ফেললো। যেহেতু খুব ছোট ছিলো তাই মেঘলার সেগুলো মনে নেই। মেঘলা আঙুল দিয়ে সাবধানে ফোন বের করে রিসিভ করে লাউডস্পিকারে দিতেই ওপাশ থেকে ব্যস্ত সুরে একটা ছেলে কন্ঠ ভেসে আসে,
– ভাই ভাই! কোথায় আপনি? তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে আসেন।
– কেনো রে কি হয়েছে? আমি একটু ব্যস্ত আছি।
– ভাই খুব বড় ঝামেলা হয়ে গেছে।
– কি হয়েছে?
উত্তেজিত কন্ঠে আবির কথাটা বলেই গাড়ি ব্রেক করলো। একপাশে দাঁড় করিয়ে মেঘরার কাছ থেকে ফোন টা নিয়ে কানে ধরে জিজ্ঞাসা করে,
– কি হয়েছে খুলে বল? কোনো সমস্যা?
– হ্যা ভাই অনেক বড়। প্রাণ সংশয়ের ঝামেলা ভাই।
– মানে? খুলে বল। ঘুরানো পেচানো বাদ দিয়ে।
– ভাই আমাদের দলের এক ছেলেকে কে জেনো খুব মেরেছে। নাক মুখ দিয়ে রক্তের ফিনকি বের হচ্ছে। তাড়াতাড়ি আসুন। আমাদের দলের যেহেতু সেহেতু দায়িত্ব তো আমাদেরই তাই না ভাই?
– ডাক্তারের কাছে নিয়েছিস?
– না ভাই! কেবলই ঘটলো। তাই তোমাকে জানালাম।
– আরে গাধা আগে তো ওরে ডাক্তারের কাছে নিবি তারপর তো কথা। গরুর দল সব। তাড়াতাড়ি নে আমি আসতেছি।
– ওকে ভাই।
আবির ফোনটা রেখে পকেটে রেখে গাড়ি স্টার্ট দিতে গিয়ে দেখে মেঘলা নেমে দাড়িয়ে আছে। মেঘলাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলে,
– তুমি আবার দাঁড়িয়ে আছো কেনো? উঠো তাড়াতাড়ি। দ্রুত বাসায় নামিয়ে আমাকে হসপিটাল যেতে হবে।
– না ভাইয়া আমাকে নামিয়ে দিতে হবে না। আপনি ওখানে যান। ওখানে আপনার দরকার বেশি।
– মেঘলা কথা বাড়িয়ে সময় নষ্ট করো না। তোমাকে এভাবে একা ছাড়তে পারবো না।
– ভাইয়া আমি একা যেতে পারবো আর আমার তো সামান্য ব্যাথা কিন্তু ওখানে একজনের প্রাণ সংশয়ের ব্যপার। আমাকে না হয় একটা রিকশায় উঠিয়ে দিন। আমি একা একদম ভালো মতো যেতে পারবো। গিয়ে আপনাকে কলও দেবো ওকে?
– সিউর?
– হান্ডেট পারসেন্ট।
মেঘলাকে একটা রিকশায় উঠিয়ে আবির গন্তব্যে পৌঁছালো।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। মেঘলা বেশ একটা লম্বা ঘুম দিয়েছে। ব্যাথার জন্য ঔষধ খেয়েছে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘুম হচ্ছে। মেঘলার মা দুবার ডেকে গিয়েছে। কিন্তু মেঘলা ঘুমের রাজ্যে রাজ করছে। মেঘলার মা সন্ধ্যার নাস্তা বানিয়ে ড্রয়িং রুমে বসে আছে। সেখানে মোহনা, মেঘলার মা আর মেঘলার বাবা টিভি দেখছে। তখনই মেঘলার বাবার ফোনে কল আসে। ফোনের স্ক্রিনে মি. জহির আহমেদ লেখাটা ভেসে ওঠে। মেঘলার বাবা একটা হাসির রেখা টেনে ফোন রিসিভ করে সালাম দেয়,
– আসসালামু আলাইকুম মি. আহমেদ। কি ব্যপার এমন অসময় স্মরণ করলেন!
– অসুবিধায় ফেললাম মনে হয়?
– আরে না না। একদম না। আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন যা বলার।
– তেমন কিছু না। আসলে হয়েছে কি আমার নাতনি হয়েছে। তার খুশিতেই একটা পার্ট থ্রো করা হয়েছে। সেখানে স্ব পরিবারে আপনার নিমন্ত্রণ রইল।
– আরে এতো খুবই খুশির খবর। কনগ্রাচুলেশনস।
– ধন্যবাদ। সবাইকে নিয়েই কিন্তু আসবেন। কাউকে বাদ রাখা যাবে না। যেহেতু আমরা এখন পার্টনার সো খুশির মুহুর্তগুলো ভাগ না করলে কি চলে?
– অবশ্যই। আমরা সবাই আসবো। চিন্তা নেই। আপনার নাতনি মানে হলো তো আমারো নাতনি। অবশ্যই যাবো।
– সে তো অবশ্যই। নাতনি তো আপনারও। আচ্ছা তবে কালকে আপনাদের অপেক্ষায় থাকবো।
– আচ্ছা ঠিক আছে। তবে দেখা হচ্ছে কাল।
– ইনশাআল্লাহ
মেঘলার বাবা খুশি খুশি মনে ফোনটা রেখে দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিলো। সবাই বেশ খুশি। আসলে বাচ্চা জিনিসটাই এমন। খুশি না হয়ে থাকা যায় না।
মেঘলার ব্যাথা অনেকটাই কমেছে কিন্তু তবুও ওর মা আজকে ভার্সিটি যেতে দেয় না। দুপুরের দিকে বারান্দায় গিয়ে ভেজা চুল মেলে তনুর সাথে কথা হচ্ছে। গতকাল দেখা না করে চলে গেছে। আজকে ভার্সিটি গেলো না কেনো সব কিছু নিয়ে ফুলে বোম হয়ে আসে। তাই মেঘলা এখন সেই বোম ডিফিউজ করছে। কথা বলতে বলতে পেছন ঘুরতেই মনে হলো কেউ যেনো গেটের বেশ একটু সামনে বাইকে হেলান দিয়ে বেশ আরামে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা দেখার অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই মুখটা বুজতে পারছে না। একটু নিচু হয়ে যেই স্পষ্ট হবে তার আগেই গায়েব। ফোনটা রেখে দিয়ে রুমে যাবে তখন কই থেকে যেনো একটা ঘুড়ি ওড়ে এলো। এখানে এইভাবে ঘুড়ি দেখে যে কেউ অবাক হবে। মেঘলার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ঘুড়িটা নীল রঙের। এর আগেরটাও নীল রঙেরই ছিলো। কেনো জানা নাই মানুষকে এই নীল রঙ টা খুব বেশি আর্কষণ করে। রঙটার মাঝে অদ্ভুত কিছু যাদু শক্তি আছে। এ রঙটা ভালোবাসার রঙ বহন করে। অদৃশ্য ভালোবাসার দৃশ্যমান রঙ।
মেঘলার বুঝতে বাকি রইলো না যে এ অজানা ছেলেটা। ঘুড়িতে গেথে রাখা চিরকুটা বের করে পড়তে লাগলো,
– ভেবো না আজকে প্রেমময় চিঠি পাঠাবো। কালকে খুব করে ইচ্ছে করছিলো টেনে দুটো থাপ্পর দিতে। ভেবেছিলাম খুব দ্রুত তোমার সামনে আসবো। লুকোচুরি ভালো লাগছে না। তবে তোমার শাস্তি স্বরুপ তা পোষ্টপোন্ট করা হয়েছে। আচ্ছা! একবারও কি ভেবেছো কালকে ওখান থেকে পড়ে গেলে কি হতে পারতো? দুনিয়া থামিয়ে দিয়েছিলে আমার। পরবর্তীতে এমন কাজ দ্বিতীয় বার ঘটলে তৃতীয়বার ঘটানোর জন্য বেঁচে থাকবে না। বার বার এইভাবে আমাকে মারার প্ল্যান করলে আমি তোমাকেই মেরে দেবো।
মেঘলা শেষের লাইনটা পড়ে থ। কি বললো সেইটা যেনো জিলাপির প্যাচের মতো মাথার ভেতর দিয়ে ডুকেও আবার বের হয়ে উপর দিয়ে প্যাচাচ্ছে। আচ্ছা এটা কি ওকে সাবধান করলো না ধমকি দিলো? মেঘলা চোখ দুটো বন্ধ করে মাথাটা সামান্য ঝাকিয়ে রুমের ভেতর ডুকে গেলো।
বিকেল থেকে মেঘলার বাড়িতে রেডি হওয়ার তোরজোড় শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে তবু মেঘলা এখনো রেডিই হতে পারলো না। সে বিছানার ওপর দু পা তুলে আরামে বসে আছে। তার কারণ সে এতোক্ষণ তার বোন মোহনাকে রেডি করিয়ে তার মায়ের শাড়ি পড়তে হেল্প করে এসে শেষে নিজে কি পড়বে তা না ভেবে পেয়ে বসে আছে। সামনে কাবার্ট হা করে খুলে রেখে বিছানায় বসে বসে দেখছে কি পড়বে। তখনই চোখে পড়ে আকাশি ও সাদা রঙ্গের একটা জর্জেটের চুড়িদার। মেঘলা ধুম করে ওঠে জামাটা নিয়ে চেন্জ করে আসে। দশ মিনিটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসে। গত আধা ঘন্টা যাবৎ তার বোন মা বাবা সোফায় বসে আছে তার জন্য । মেঘলা নিচে নেমে এসে এক বিশ্ব জয় করা হাসি দিয়ে মায়ের দিকে তাকাতেই সব ফুসসসস। মেঘলার মা রাগে কটকট করতে করতে বলে,
– তো জমিদারের মেয়ে আপনি এসেছেন? এতো তাড়াতাড়ি এলেন যে? আররকটু সময় নিতেন। পার্টিটা এখানেই টেনে নিয়ে আসতাম। আপনি কেনো কষ্ট করে ওখানে যাবেন?
– সরি আম্মু। কি করবো তুমি তো ড্রেস বের করে দাও নি। তাই সিলেক্ট করতে দেরি হয়ে গেছে।
– রেডি হতে এক ঘন্টা টাইম লাগালি সাজছিস কই?
– ধুর সাজতে হয় না। জানো না তোমার মেয়ে এমনিতেই সুন্দর।
পার্ট নিয়ে কথা বলে মায়ের ধমক খেয়ে আবারো চুপ হয়ে যায়।
– হয়ছে রানি ভিক্টোরিয়া। ভাব দেখাস না।
মেঘলার বাবা কিছু কাজে ফোনে ব্যস্ত ছিলো। কাজ শেষ করে ওদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো। মি. আহমেদ এর বাড়ি থেকে গাড়ি পাঠানো হয়েছে কারণ তারা বাড়ি চেনে না। বাড়িতে পৌছানোর পর একে একে সবাই বাড়িতে ডুকলো। কিন্তু মেঘলা পেছনে রয়ে গেলো কোনো একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসায়। রিসিভ করার পর আর কোনো কথা বলে না। যেনো কল টা ওকে দেরি করানোর জন্যই করা হয়েছে। মেঘলা বিরক্ত হয়ে কলটা কেটে দিয়ে যেই সিড়ির ওপর এক পা রাখে তখনই ওপর থেকে যেনো এক ঝুড়ির বেলি ফুল ওর ওপরে এসে পড়লো। আচমকা এমন হওয়ায় মেঘলা দাঁড়িয়ে যায় পাথড় হয়ে। নিচে তাকিয়ে এতো গুলা বেলি ফুল দেখে খুশিতে যেনো মন ভরে যায়। দুহাত ভরে ফুল তুলে নাকের কাছে এনে ঘ্রাণ নেয়। বেলি ফুলের ঘ্রাণ মেঘলার কাছে মাতাল করা ঘ্রাণ একটা। সারাদিনই যেনো সে নিতে পারবে। মেঘলাকে খুবই স্নিগ্ধ লাগছে। সামনে দেখে মোহনার ডাক শুনে মেঘলার ধ্যান ভাঙলো। হঠাৎ করে কে এমন করলো? হয়তো কেউ ভুল করে ফেলে দিয়েছে। ভাবতে ভাবতে দরজার কাছে এসে পা ফেলতেই পুরো বাড়ির লাইট বন্ধ হয়ে গেলো। লাইট বন্ধ হওয়ায় মেঘলা আর ভেতর না ডুকে বাহিরেই দাঁড়িয়ে রইলো। মুহুর্ত পরেই পুরো বাড়ি রঙ্গিন আলোয় ভরে গেলো। একটা সফ্ট গান প্লে হওয়া শুরু হলো। মেঘলা আলো পেয়ে ভেতরে পা দিতেই একজন ওর সামনে চলে এলো। যেহেতু রঙ্গিন আলো আর ছেলেটা বিপরীতে আলোর বিপরীতে তাই মেঘলা তেমন বুঝতে পারছে না মুখটা। ছেলেটা সামনে এসে এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে দিয়ে উধাও। মেঘলা বোকার মতো ফুল গুলো হাতে ধরে আরেক হাত ঠুলে দিতে যাবে তখনই কানের কাছে কারো উপস্থিতি পায়। কেউ তার কানে এসে বলে,
– ওয়েল কাম টু মাই ওয়ার্ল্ট সুইটহার্ট।
পেছন ফিরে দেখতেই কাউকে দেখতে পায় না মেঘলা। একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পড়ে মেঘলা বোকা বনে যাচ্ছে। বেশ অনেক মানুষ। তবে এখানে সে কাউকে চেনে না। মেঘলার চোখ দুটো ওর বাবা মাকে খুঁজে। এক সাইডে ওর বাবা মা আর মোহনা মি. আহমেদের সাথে কথা বলছেন। তাদের কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে দাড়ালো। মি. আহমেদ তাদের কাছ থেকে একটু সময় চেয়ে নিয়ে স্টেজে ওঠে গিয়ে মািক হাতে নিয়ে সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করে বলে,
– লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস। আজ আমার খুব আনন্দের একটা দিন যেইটা আপনারা সবাই জানেন। অনেক অপেক্ষা করেছেন। আর করাতে চাই না। যার উদ্দেশ্য এই পার্টিটা থ্রো করা হয়েছে সেই আমার ছোট্ট নতুন জান আপনাদের মাঝে চলে এসেছে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
কথাটা বলেই স্পট লাইট একটা সিঁড়ির দিকে পড়লো। একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে গাঢ় নীল রঙের ড্রেস পড়ে কোলে একটা ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে নামছে। মেঘলা চেহারাটা বুজতে গিয়ে শকড্ হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। শুধু মেঘলা না মেঘলার পুরো পরিবারটাই হা করে দাঁড়িয়ে রইলো। মেঘলার মায়ের চোখ দিয়ে তো পানিই বেড়িয়ে গেলো। মেঘলার মা আস্তে করে বলে ওঠলো,
– মেহের
মেঘলার বাবা নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছে। যতই হোক এতদিন পর মেয়েকে দেখে সেও আবেগের স্বীকার হলো। শত হোক বাবা তো। মেহের মেঘলার বড় বোন। তার মধ্যে মেয়ের কোলে বাচ্চা দেখে বুঝতে বাকি রইল না এটা তার মেয়েরই সন্তান। মেঘলার তো ইচ্ছা করছে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। পা যেনো ছুটে যাচ্ছে শুধু মনের জোরে দাঁড়িয়ে আছে। মেহের নিচে আসতেই বাড়ি আবার আগের লাইটে জ্বলে ওঠলো। এখন যেনো সবার মুখ স্পষ্ট। মেহের সামনে দিকে তাকাতেই বাবা মাকে দেখে পুরো পাথর। সেও ভাবতে পারে নি এইভাবে এতদিন, এত বছর পর তার পুরো পরিবারটাকে এতো কাছে থেকে দেখতে পারবে। সে যেনো নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছে না। পাশে থেকে মেহেরের হাসব্যন্ড কানের কাছে এসে বলে,
– সারপ্রাইজটা কেমন লাগলো?
মেহের ঘুরে ওর স্বামীর দিকে তাকিয়ে ছলছল চোখে দাড়িয়ে রইলো। ওর স্বামী পরম যত্নে ওর চোখের পানি মুছে দিলো। মেঘলা ওর বোনকেই দেখছিলো হঠাৎই চোখ পড়লো আবারো সিড়ের দিকে। কেউ একজন নামছে। নেভি ব্লু কালার কোট – প্যন্ট। ভেতরে আকাশি রঙের শার্ট। কালো সু। সামনের সিল্ক চুল গুলো কপালে পড়ে আছে। তখনই আবার সে হাত দিয়ে চুলগুলো পেছন করে দিলো। চুলগুলোও যেনো কি বাধ্য। সুন্দর মতো রয়েও গেলো। কোর্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে নিচে নেমে এলো। মেঘলা ড্যব ড্যব চোখে বোকা হয়ে তাকিয়ে রইলো। নিজের অজান্তেই মেঘলা নাম উচ্চারণ করে,
– কাববব্য
এতো ধাক্কা একসাথে নিতে পারছে না। শুধু তাকিয়ে আছে। কথাগুলো ছুটি নিয়ে চলে গেছে যেনো আর না হলে লকডাউন দিয়েছে। চোখের পলক অবরোধ করেছে যেন চোখের পলক ফেরা যাবে না। ফেললেই আর চোখ মেলতে দেবে না। নিরব দর্শক হয়ে মর্মান্তিক একটা সিনেমা দেখছে যেনো।
চলবে…… 💜
ভুলক্রুটি ক্ষমা করবেন।