তুই আমার জানপাখি পর্ব-১৫

0
3324

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 15

সকালের আলো জানালার কাচ ভেদ করে আমার চোখে এসে পরতেই আমার ঘুম ভেঙে গেল।।।।। আমি চোখ খুলে তাকালাম।।।কালকে রাতের কথা মনে হতেই পাশে তাকাই।।।।ও মা তাকিয়ে দেখি রুদ্র নাই।।।।।তারপর আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম।।। সকালের এই কুয়াশা ভেজা ঘাস গুলা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।।।
সবকিছু আবছা আবছা লাগছে।।।।কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না।।।।আমি এই সকাল অনুভব করতে লাগলাম।।।।
হঠাৎ মনে হল কেউ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল।।।। পিছনে ফিরে দেখলাম রুদ্র।।।দাত কেলিয়ে দারিয়ে আছে আমার সামনে।।।।।
আমিঃআপনি।।।।।।
রুদ্রঃ তা অন্য কেউ হয়ার কথা ছিল নাকি???
আমি আর কিছু না বলে সামনের দিকে ফিরে গেলাম।।।।
একটু পরে দেখলাম উনি একটা চাদর আমার গায়ে জড়িয়ে দিল।।।।
আমি কিছু বললাম না তার একটু পরেই রুদ্র আমার চাদরের নিচে ঢুকে আমাকে জড়িয়ে ধরল।।। আমি এবার রেগে গেলাম।।।
আমিঃআজব তো।। আপনার এমন গায়ে পরার স্বভাব কেন????
রুদ্রঃ কি আর করব বল।।শুধু তোমার গায়েই পরতে ইচ্ছা করে যে।।।।।
বলেই দাত কেলিয়ে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।।।।।
আমিঃআমাকে ছাড়ুন আমি ফ্রেশ হব।।।
রুদ্রঃ উম।।একটু পরে যাও।।।।।
আমি আর কিছু না বলে নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে চলে গেলাম।।।।
রুদ্র দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে হাসতে লাগল।।।
রুদ্রঃ তোমাকে দেখলে নিজেকে অনেক কস্ট হয় কন্ট্রোল করতে।।।।।।।।তাই তো বার বার তোমার কাছে চলে আসি।।।।
তারপর রুদ্র নিজে গিয়েও ফ্রেশ হয়ে নিল।।।।
আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখি সবাই টেবিলে বসে আছে।।আমরা তিনজন খেয়ে বেরিয়ে পরলাম।।।।।

আজ অনেকদিন পর ভার্সিটিতে যাব।।।।আমি,বিশাল আর জন তিনজনেই বাইক নিয়ে গেইট দিয়ে ঢুকলাম।।।
আমরা তিনজনেই আজ একরকম ড্রেস পরেছি।।।
কফি কালারের শার্ট আর কালো কালারের প্যান্ট।।।আমাদের তিনজনকেই হেব্বি দেখতে লাগছে।।।।।
আমরা ক্লাসে গিয়ে বসলাম।।।।সবগুলা ক্লাস করে আমরা মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনি একটা মেয়ে এসে আমাদের সামনে পরে।।আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে।।
মেমেয়েটার জামা হাতের দিক দিয়ে ছেড়া।।। ওরনা নাই।।।।হাতে নখের দাগ।।
দেখলাম কতগুলা ছেলে এসে মেয়েটার পিছনে দাঁড়াল।।।
আমি ছেলে গুলার দিকে তাকিয়ে আছি।।।বিশাল আর জন মনে হচ্ছে যেন ওদেরকে খেয়ে ফেলবে।।আমি ওদেরকে ইশারায় শান্ত হতে বললাম।।।।
আমি মেয়েটাকে আমার গলায় জরানো স্কার্ফটা খুলে ওর গায়ে জড়িয়ে দিলাম।।।
তারপর ছেলে গুলার দিকে এগিয়ে গেলাম।
আমিঃকি হচ্ছে এগুলা????(শান্তভাবে)
ওরা ৬ জনের মত আছে।।।।বিশাল আর জন আসতে লাগলেই আমি ইশারায় না করলাম।।।ওরা আর এগোল না কারন ওরা জানে আমি একাই একশো।। 😏😎😎
১ম ছেলেঃবা একটা পাখির সাথে আরেকটা পাখি ফ্রি।।।।।।এবার তো খেলা জমে যাবে।।।।(অট্টহাসিতে ফেটে পরে)
আমিঃ ও আচ্ছা।।।।সাহস থাকলে আমার আর মেয়েটার গায়ে হাত দিয়ে দেখ।।।।।
ছেলেগুলা আমাদের দিকে এগিয়ে এসে গায়ে হাত দিতে গেলেই আমি হাতের কাছে লাঠি দিয়ে ওদের সবার হাতে একসাথে বারি দিলাম।।।।আর বারিটা এত জোরে ছিল যে ছেলেগুলা হাত ধরে নিচে বসে পরল।।।।
আমি ওদের কাছে গিয়ে একহাটু নিচু করে আরেক হাটু সোজা করে বসলাম।।।।তারপর বললাম
আমিঃএটুকুতেই এই অবস্থা।।।।।।
বলেই যেই ছেলেটা আমার সাথে পরে ছিল তার পিঠে এক বারি দিলাম।।।বেচারা এবার শুয়ে পরল।।।।।বিশাল আর জন দারিয়ে দারিয়ে হাসছে।।।।
এবার আমি ওঠে দাড়ালাম।।।।আর আমি দাড়াতেই ওদের থেকে একটা ছেলে আমার দিকে তেড়ে আসতে গেলে আমি তার গাড় ধরে দেয়ালের সাথে দিলাম এক বারি।।।।বেচারারা সবাই ভয় পেয়ে গেল।।।।তারপর আমি আমার কোমরের বেল্ট খুলে ওদেরকে মারতে লাগলাম।।।।
আমার রাগ এতটাই বেড়ে গেল যে নিজেকে শান্ত করার জন্য আরও বেশি করে মারতে লাগলাম।।।।।।
বিশাল আর জন আমার কাছে এসে আমাকে ধরল।।।।
আমিঃআজকে আমি তোদের মেরেই ফেলব।।।।তোদের সাহস হল কি করে আমার সামনে আমার বোনের দিকে হাত বাড়ানোর।।।।(চিল্লিয়ে রেগে)
বিশাল আর জন আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।।।।
বিশালঃওই মেয়েটা তোর বোন জানু????
আমিঃবিশালের কথায় আমার হুশ ফিরে এলো।।।।।।।
বিশালঃকি হল বল।।।
আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই সারা(মেয়েটা) এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।।।।
আমি তারাতারি ওর থেকে নিজেকে ছারিয়ে চলে আসতে গেলে সারা আমার হাত ধরে বলল
সারাঃপ্লিজ আপিলা আমার কথাটা একবার শুন।।।।(কেদে কেদে)
আমি চুপ করে দারিয়ে আছি।।।।।
সারাঃআপিলা তোরা তিনজন চলে যাওয়ার পর আমি আর কোনদিন মামার বাড়ীতে যাই নাই।।।
আসুন সারা সম্পর্কে কিছু জানা যাক
(নাম সারা জাহান জেনি।।।লম্বা ৫’২।।।গায়ের রং লাল সুন্দর।।।। দেখতে মাশাল্লাহ।। বয়স ১৯।।।।সম্পর্কে আমার ফুফাতো বোন।।।।আমার বড় মিমির ছোট মেয়ে।।।।)
আমি কিছু না বলে ওর মাথায় হাত রেখে চলে আসলাম।।।
আসার সময় জনকে বলে আসলাম সারাকে বাড়িতে দিয়ে আসতে বললাম।।।।আমি আর বিশাল বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।।।

চলবে……..