তুই আমার জানপাখি পর্ব-২৩

0
3998

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 23

সকালের খাবার শেষ করে আমি ছোট ভাইয়ার রুমে গেলাম।।।।কারন যেহেতু রুদ্র ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড সেহেতু ভাইয়া কিছু জানতে পারে।।।।
আমিঃভাইয়া আসব?????
ছোট ভাইয়াঃআরে আয় আয়।।।।
আমিঃকি করছিস????রুশার সাথে কথা হয়েছে???
ছোট ভাইয়াঃটুকু এখন কি বিয়ে শাদির ব্যপারটা নিয়ে এগোনো দরকার???
আমিঃভাইয়া আমি এই ব্যপারে কোন কথা শুনতে চাই না।।।।
ভাইয়াঃহুম।।
আমিঃআমাকে একটা কথা বলবি?????
ভাইয়াঃকি কি???(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমিঃরুদ্র কই।।।।।আর ও কোন মিশনে গেছে???আর ও নাকি মাফিয়া???
ভাইয়াঃআমি কিছু জানি না।।
আমিঃপ্লিজ ভাইয়া বল না।।।।(কান্না করে)
ভাইয়া আমার কান্না দেখে এবং আমার অনুরোধ ফেলতে না পেরে আমাকে সব বলল।।।।।

হলুদের দিন

ভাইয়া আর রুদ্র একসাথে বসে ছিল।।হঠাৎ করে রুদ্রের একটা কল আসল।।।।
কলে কি কথা হল ভাইয়া কিছুই শুনল না।।
রুদ্র কলটা কেটে ভাইয়ার কাছে এসে আবার বসল।।।।
ভাইয়াঃকি হয়েছে???সব কিছু ঠিক আছে তো????
রুদ্রঃআমার পিএ কল করেছে।।।।।বাংলাদেশ থেকে নাকি থাইল্যান্ডে মেয়ে পাচার হচ্ছে।।।।।
ভাইয়াঃকি বলছিস এসব!!!কে করছে এসব???
রুদ্রঃ সেটাই তো জানি না।।।আমাকে এসব কিছু বন্ধ করতে হবে এবং তার জন্য আমার লাইফ রিস্কও হতে পারে।।।।
ভাইয়াঃকি বলছিস এসব???তুই গেলে টুকুর কি হবে???
রুদ্রঃ জানি না।।। তবে আমি যা শুনেছি একাজ নাকি দুবাইয়ের কোন একটা বড় মাফিয়া করাচ্ছে।।।।।।
ভাইয়াঃতাহলে আমিও যাব তোর সাথে।।।।
রুদ্রঃ একদম না।।।।।তুই সবার খেয়াল রাখবি।।।।আর রুশা আর মা বাবাকে একটু দেখিস।।।।
ভাইয়াঃহুম্ম।।।।আর নিজের খেয়াল রাখিস…

বর্তমান

আমি কান্না করছি।।।ভাইয়াও মন খারাপ করে বসে আছে।।।।
আমিঃকেন রুদ্র কেন তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে????তোমার জানপাখি যে তোমাকে খুব মিস করে।।।।(কান্না করে)
ভাইয়াঃটুকু তুই ঠিক আছিস তো???
আমিঃ হুম ভাইয়া।।।আমি ঠিকাছি…
ভাইয়া তুই বড় ভাইয়ার সাথে কথা বল আমি কালকেই তোদের বিয়ে দিব।।।
ভাইয়া আর কোন কথা বলল না।।।। কারন জানে কোন কথা বলে লাভ নেই।।।।

দেখতে দেখতে আমার দুইভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেল।।।।
আমি ও নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি।।।।।বিশাল আর সামিয়ার ও প্রেম করে।।।
জন আর সারাকে আমি মিলিয়ে দিয়েছি।।।তারাও প্রেম করে।।।।
আমার দুই ভাবি আমাদের সাথে লন্ডন যাবে।।।ওদের পাসপোর্ট করা শেষ।।।।
বড় ভাইয়ার বিয়ের পর আমরা আর কেউ ওই বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগ করি নাই।।।।

এভাবে দেখতে দেখতে দুই বছর কেটে গেল।।।।
আমাদেরও ভার্সিটির প্রোজেক্ট শেষ।।।।।আমরা সবাই আজকেই লন্ডনে ফিরে যাব।।।
আর হা রুশাও এর মধ্যে প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে।।।।।
আমার বড়ভাবি এখনও ছোট তাই ভাইয়া বাচ্চা নিতে দেয় নি।।
আর বিশাল আর সামিয়ার বিয়েটাও হয়ে গেছে।।।।
অবশ্য কম ঝামেলা হয় নি এটা নিয়ে।।।।।জন আর সারার বিয়েটাও দিয়ে দিলাম।।।।বেচারাদের এবার ডানা যেটে দিয়েছি।।।।
সব কিছু পাল্টালেও আমি পাল্টাই নি।।।
এই দুইবছরে রুদ্রের প্রতি আমার ভালবাসা একটুও কমে নি।।।।
আমি প্রতিটি মুহূর্ত রুদ্রের জন্য অপেক্ষা করেছি।।।।।
ওর ছবি বুকে জড়িয়ে কান্না করেছি।।।।
এই দুইবছরের একটি রাতও আমি ঘুমাতে পারি নাই।।।।।

আমি খান ভিলাতে গেলাম।।।।রুদ্রের বাবা মার সাথে দেখা করতে।।।।।

in khan ভিলা

আমি গিয়েই রুদ্রের মাকে জড়িয়ে ধরলাম।।।।
আমিঃ কেমন আছ মা???
হা আমি রুদ্রের মাকে মা বলেই ডাকি।।আর ওর বাবাকে বাবা বলে ডাকি।।।
বাবাঃএতোদিন পরে আমার কথা মনে পড়ল।।।।।(অভিমানি গলায়)
মাঃহুম একদম ঠিক বলেছ।।।এখন আসছে মা মা করতে।।।।
আমিঃআরে বাবা সরি।।।।
মা বাবাঃহুম এবারের মতো মাফ করে দিলাম।।।।
আমিঃ বাচলাম।।।।

চলবে……..