#তুই_হবি_আমার??
#DîYã_MôÑî
#পর্ব__১৬
আরীব আজ দেশে ফিরছে। তাই ওকে সি অফ করার জন্য সাদিয়া & সুমিও এয়ারপোর্টে এসেছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফ্লাইটের এনাউন্সমেন্ট হবে।
আরীব : এই যে মিস ডাইনি। আমি তোমার কথায় তোমার ভাইয়ার বিয়েতে থেকেছি। আমার বোনের বিয়েতে কিন্তু তোমাকেও থাকতে হবে।
সাদিয়া : শুধু আমার কথায়.? আপনি নিজে থাকতে চান নি?
আরীব : হুম। কিন্তু তুমি না বললে তো তোমার বাড়ি যেতাম না। এতোগুলো দিন এভাবে হাসি আনন্দে কাটাতে পারতাম না। সো থ্যাংকস টু অল অফ ইউ।
সাদিয়া : ওয়েলকাম।
আরীব : বললে না তো আমার বোনের বিয়েতে থাকবে কিনা.? আসবে তো আমাদের দেশে.?
সাদিয়া : দেখা যাক। আগে বিয়ের ডেট তো ঠিক করুন। তারপর নাহয় ভেবে দেখবো।
আরীব : তার মানে ধরে নিলাম তুমি আসবে। এবার তো তাড়াতাড়ি বোনের বিয়ে দিতে হবে।
সুমি : বোনের বিয়ে নিয়ে তাড়া নাকি নিজের বিয়ে নিয়ে মিস্টার হিরো.?
আরীব : দুইটাই জানু। আর সবথেকে মিস তো তোমাকে করবো।
সুমি : ফ্লাট করে লাভ নাই আমার জামাই আছে। বাসরও হয়ে গেছে।
আরীব : ওইটাই তো সমস্যা,,, কতো চেষ্টা করলাম ডাক্তারকে বের করে নিজে বাসর ঘরে ঢোকার কিন্তু তোমার ডাইনি ননদ হিরহির করে টেনে ভুতের মুভি দেখাতে বসলো।
সুমি : ব্যাড লাক। তবে নিজের বিয়ে করা বউ এর বাসর ঘরে ঢোকার সময় কেউ আটকাবে না। আমি নিজে দেখভাল করবো। সব অকে হবে।
সাদিয়া : তোমরা এতো খারাপ কেন.? আমার মতো পিচ্চি মেয়েটাকে পাঁকিয়ে ফেলছো।
সুমি : তুই এখন যথেষ্ট বড়,,, শুধু শুধু আমাদের দোষ্ দিচ্ছিস কেন.? দুইদিন পর দেখবো কোনো এক ছেলেকে ধরে বেধে বিয়ে করে হাজির হয়েছিস।
আরীব : এই এটা কি বলছো.? আমার কি হবে তাহলে.? একে তো তোমার ননদ পটতেছে না। তারওপর আরেকজনকে বিয়ে করার পথ বলে দিচ্ছো.?
সুমি : এটা তো কনফার্ম যে আমার পিচ্চি ননদের শশুড়বাড়ি বাংলাদেশই হবে। সো রেডি হও খুব শীগ্রহই বাংলাদেশে আসছি আমরা ।
আরীব : অপেক্ষায় রইলাম। আমার টাইম হয়ে গেছে বাই।
???
সাদিয়া গাড়ি আনার জন্য আগে আগে চলছে আর সুমি পেছনে। সাদিয়া গাড়িতে বসে গাড়ি স্টার্ট দিতেই সাইড মিররে দেখলো কয়েকটা ছেলে সুমিকে বাজে ভাবে ঘুরে ঘুরে দেখছে। সুমি গায়ের ওরনা আর জামা টেনে অস্থির চোখে গাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।
সাদিয়া : ছেলেদের সমস্যা কি বুঝি না। সুন্দর মেয়ে দেখলেই এইসব বখাটেদের চুলকানি শুরু হয়ে যায়। গার্ডস রা কোথায়..? ধুরর এখানে গার্ডসও তো পাবো না। এখন দেখছি নিজেকেই কিছু করতে হবে।
সাদিয়া গাড়িটা সুমির সামনে দাড় করাতেই সুমি উঠে যায়।
— আরে উঠে গেলো তো মালটা।
কথাটা কানে যেতেই সাদিয়া গাড়ির দরজা খুলে বের হলো। ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে গুনলো ওরা কতজন। চট করে ফোন বের করলো ও,,
সাদিয়া : হ্যালো ৪টা কেবিন বুক করুন তো,, আরে বিশেষ কিছু না ওদের হাত আর পা ভাঙা,, আর এয়াপোর্টে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে দিন।
সাদিয়ার কথা শুনে ছেলেগুলো জোরে জোরে হাসতে লাগলো। সাদিয়া নরমাল ভাবে ছেলেগুলোর সামনে গিয়ে ওদের হাতে একটা করে ব্যাথার ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলো,,
সাদিয়া : খেয়ে নে এগুলো,, মারলে ব্যাথা কম পাবি,, টের পাবি না বেশি।
ছেলেটি : আরে খুকুমনি যে,, ঔষধগুলো তুমিই খাও, আমাদের ভালোবাসা, আদরে যখন তোমার শরীর ব্যাথা করবে তখন কাজে আসবে। ওই,, এই দুইটাকেই গাড়িতে তোল।
সাদিয়া : আচ্ছা ? আগে গাড়ির মেয়েটাকে টাচ করে দেখা। তখন আমি হাসতে হাসতে তোদের সাথে চলে যাবো।
ছেলেটি গাড়ির সামনে গিয়ে দরজা খুলতেই মুখ থুবড়ে নিচে পড়লো,, বাকিদুজন আটকাটে আসলে তারাও ধুপ ধুপ করে নিচে পড়লো। সাদিয়া গাড়ির ওপর বসে ইশারায় ওদের ডাকলো কিন্তু ওরা আর রাস্তা থেকে উঠলো না।
সাদিয়া : হকিস্টিকের বারি কি আগে খাস্ নি.? একবারিতেই চিতপটাং হয়ে গেছিস। এখনো তো হাত পা ভাঙা বাকি,, নাহলে হসপিটালে সিট বুকিং করা তো বৃথা হয়ে যাবে।
সাদিয়া উঠে ছেলেগুলোর হাতে পায়ে ইচ্ছামতো বারি দিতে লাগলো,, ওদের পায়ের ওপর নিজের পা ধরে প্যাচ দিতেই আতকে উঠলো ওরা। হাতের গিরাতেও ইচ্ছামতো বারি দিলো। হকস্টিকটা রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু এখানে তো তিনজন। আরেক জন কই.?
সাদিয়া : ওই তোদের দলের আরেকজন কই.? আমার টাকা কি সস্তা নাকি.? ৪টা কেবিনের জন্য অনেক টাকা দিতে হবে। ওটাকেও ভর্তি করতে হবে তো । ওটাকে ডাক।
ছেলেগুলো আহত চোখে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সাদিয়া গাড়ি থেকে ১৫হাজার টাকা বের করে ছেলেগুলোর হাতে ধরিয়ে দিলো।
সাদিয়া : ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিস। আর শোন কখনো কোনো মেয়েকে বিরক্ত করবি না। মনে রাখবি তোর ঘরেও মা বোন আছে তাদের যদি কেউ বিরক্ত করে তোরা কি চুপ করে থাকবি.? নেহাত আমার বাড়ির ছেলেরা এখানে নেই,, গার্ডসরা নেই তাই নিজেই তোদের একটু যত্ন করে মারলাম। নেক্সট টাইম কোনো মেয়েকে মাল বলার আগে আমার চেহারাটা মনে করবি। দেখবি তোদের ভেতরের শয়তানটা ভয়েই তোদের শরীর ছেড়ে চলে যাবে।
সাদিয়া গাড়িতে উঠে বসলো।
সুমি : বাবাহ এই প্রথম তোকে সামনে থেকে মারামারি করতে দেখলাম। দারুন এন্জয় করেছি। রেগুলারের গুন্ডি নাকি তুই.?
সাদিয়া : প্রয়োজন ছাড়া আমি কখনো কাউকে কিছু বলিনা + মারি না সুম্পি। আমার প্রতিটা কাজের পেছনে কোনো না কোনো কারন বা উদ্দেশ্য থাকে।
সুমি : তুই আবার আগের মতো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছিস বেবি।
সাদিয়া : ৬মাস নাটক করে ক্লান্ত আমি। আমি তো এমন ছিলাম না। এই হিংস্র সাদিয়া একমাত্র আমার কাছের মানুষদের জন্য হয়েছি। কি চেয়েছিলাম তাদের কাছে.?শুধু একটু ভালোবাসা আর তারা কি দিলো.? ঘৃনা, অপমান, বদনাম, খুনের দায়, সম্পর্ক ভাঙার দায়,, আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ আমার আম্মু,, সবচেয়ে কাছের জিনিস আমার গান। সেটাও কেড়ে নিয়েছিলো।
সুমি : তোর দাভাই যদি শোনে তুই ওদের জন্য আবার কষ্ট পাচ্ছিস তাহলে সেও কিন্তু কষ্ট পাবে। তুই তার কথাটা ভাব,, সে তো তোকে নিয়েই বেঁচে আছে। তোকে ঘিরে বেঁচে আছে। সেদিন এক্সিডেন্টের পর কি হয়েছিলো সবটাই তো জানিস।
সাদিয়া : জানি। সেজন্যই তো বাংলাদেশে আর ফিরি নি। তোমাদের সাথে এদেশেই আছি। যাই হোক বিকালে আমার রেকর্ডিং মনে আছে তো তোমার.?
সুমি : হুম। সব ঠিক হয়ে যাবে। ওসব নিয়ে আর ভাবিস না।
সাদিয়া : চেষ্টা করবো।
???
আরীব বাড়ি ফিরে সবাইকে সাদিয়ার কথা বলতেই সবাই চমকে ওর দিকে তাকায়।
মা : তুই সিউর তুই ওকে বিয়ে করতে চাস্.? দেখ তোর ক্যরিয়ার সবে শুরু,, মানলাম আমি তোকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছি। কিন্তু পরে যদি তোর মনে হয় যে তুই ভুল করেছিস,, তখন মেয়েটার কি হবে.?
বাবা : তাছাড়া মেয়েটা সম্রাট খাঁনের বোন। শুনেছি গান গায়,, আরর
আরীব : পাপা সব জানি। আমি সব জেনেই ডিসিশন নিয়েছি। মেয়েটা অনেক ভালো শুধু একটু গুন্ডি টাইপের। কথাবার্তাও অনেকটা সোজা সাপ্টা। শুনলে তিতাই লাগে। কিন্তু মন থেকে একদম ফ্রেস। সবাইকে সহজে আপন করে নিতে পারে। ওর মা বাবা নেই তাই তোমাদের পরম যত্নে রাখবে। এবার তুমিই বলো এতো সুন্দর মেয়ে এতো ভালো ফ্যামিলির মেয়েকে ছেড়ে আমি অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো.?
মা : হা হা হা। দেখেছো আমাদের ছেলেটা কেমনভাবে মেয়েটার প্রশংসা করছে..? আমাদের নিয়েও মনে হয় কখনো এতোকথা বলেনি। তা বাবা মেয়েটাকি রাজি.?
আরীব : সেটা তো ক্লিয়ারলি বলতে পারবো না। তবে ওর ভাইয়া আর ভাবি রাজি।
কুহু : সেটা কিভাবে হয় ভাইয়া,, বিয়ে তো ভাবিকেই করতে হবে। ওর ভাই ভাবিদের না। তো মেয়েটার ছবি টবি দেখা।
আরীব : নাও চলে এসেছে তোমাদের মেয়ে। এবার রাজের সাথে ওর বিয়েটা তাড়াতাড়ি দাও। ওর বিয়েতেই সাদিয়া আসবে। আমাকে বলেছে বিয়ের তারিখ জানাতে। আর তখন নাহয় নিজের চোখেই ওকে দেখবি।
কুহু : তাহলে তো বিয়েটা করতেই হয়। মেয়ে পড়ে কিসে.?
আরীব : ক্লাস ইলেভেন।
কুহু : ইন্টার ফার্স্ট। ( রোজও তো ইন্টার ফার্স্টের। হতেই পারে ছোট মেয়ে তবে রোজ না। ) বাচ্চা একটা মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করছিস.? ছি! ছি! লোকে জানলে কি বলবে.? আরীব মাহমুদ বাচ্চা মেয়েদের ভুলিয়ে বিয়ে করে। একেবারে ব্রেকিং নিউজ।
আরীব : মিস কোয়েল মাহমুদ কুহু। এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।।পাপা তোমার মেয়েকে কিছু বলবে না.?
পাপা : আহা কুহু বেচারা অনেক কষ্টে পটিয়েছে। এভাবে বলো না।।
আরীব : পাপা তুমিও..?
আরীব মুখ গোমরা করে নিজের রুমে চলে যেতেই সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। রাজকুহুর বিয়ের ডেটও ঠিক হয়েছে। আগামি মাসে।
।
।
মেঘ রিসোর্টের বাগানে বসে গিটারটা নেড়ে চেড়ে দেখছে।
মেঘ : বিশ্বাস করো রোজ,, এবার আর তোমাকে এড়িয়ে যাবো না। একবার ফিরে আসো তোমাকে প্রতিদিন গান শোনাবো,, গিটার বাজিয়ে শোনাবো। আমার আম্মু নাকি গান পছন্দ করতো তাই তার ওপর রেগে গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবার নাহয় তোমার জন্য আবার গান গাইবো। তবুও ফিরে আসো প্লিজ। জানো তোমাকে কখনো খোজার চেষ্টা করিনি আমি। কারন তুমিই বলেছিলে আমরা একেঅপরের সাথে মিশে আছি। তুমি তো সবসময় আমার সাথেই থাকো। তাহলে কোথায় খুজবো.? জানি যেদিন তোমার ভুল ভাঙবে সেদিন তুমি নিজেই ফিরে আসবে। অপেক্ষায় আছি সেদিনটার জন্য।
ঠিক তখনই কুহুর ফোন আসলো। মেঘ রিসিভ করে চুপ করে আছে।
— হ্যালো মেঘ…
— বল।
— আগামি মাসে আমার বিয়ে।
— কনগ্রাচুলেশন।
— বিয়ের সব দায়িত্ব তোর। ছেলেপক্ষের টিমে থাকবি তোরা সব ছেলেরা। আর মেয়েরা আমাদের টিমে। জানিসই তো রাজের কেউ নাই।
— সমস্যা নেই। আমরা আছি তো।
— আরীব ভাইয়া একজনকে পছন্দ করেছে। সেও আসবে। আমার ভাবিকে দেখতে আসিস। তোর তো বিয়েশাদী হবে না যে হাল বানিয়েছিস নিজের।
— কে বলেছে হবে না.? রোজ ফিরে আসলে ঠিক করে নিবো।
— নুরিন কিন্তু তোর জন্য পার্ফেক্ট।
— আমি শুধু রোজের। রোজ ছাড়া আমার জীবনে কেউ ছিলো না। এখনো নাই আর ভবিষ্যৎএ ও আসবে না।
— আমার বিয়েতে দেবদাস হয়ে ঘুরলে লাথ্থি খাবি। শোন দাড়িগুলো বেসাইজ করবি না। আমার অনেক কাজিন আছে সেগুলোকে টাইট দিবো তোকে দিয়ে। ফ্লাটিং মনে আছে..? না থাকলে আরাভের কাছ থেকে শিখে প্রাকটিজ কর।
— রোজ এসব পছন্দ করেনা।
— আমার কথা না শুনলে রোজ তোর ওপর আরো বেশি রাগ করবে। মনে রাখিস আমি রোজের ননদ।
— ঠিক আছে। রাখ আমি সব দেখে নিবো।
।
।
।
ওদিকে আরীব শুয়ে শুয়ে সাদিয়ার সাথে কথা বলছে,,
— আগামী মাসে আমার বোনের বিয়ে। বিয়ের ১০দিন আগে আসতে হবে তোমাকে।
— কেন.?
— বিয়েতে সব কাজ তুমি করবে। তোমার দাভাই এর বিয়েতে তো নিখোজ হয়ে গেছিলে সব আমাকে করতে হয়েছে।
— শোধ নিচ্ছেন.? ঠিক আছে চলে আসবো। সুম্পিও আসবে। দাভাই হয়তো বিয়ের দিন যাবে।
— ঠিক আছে। তোমার জন্য আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে সেগুলো সুদেআসলে উসুল করবো।
— যেমন.?
— খেতে পারছি না,, ঘুমাতে পারছি না। গোসল করতে পারছি না।
— খাওয়া ঘুম ঠিক আছে। তবে গোসলের ব্যাপারটা.?
— এখন আর কেউ পানি অফ করে দেয় না। বাথটাবে কালি ফেলে রাখে না,, তোয়ালেতে টিকটিকি ঝুলিয়ে রাখে না।
— হি হি হি। আমি আসলে ওগুলো আবার শুরু হবে মিস্টার হিরো।
— সেটাই তো চাই।
— বিয়ে করবেন কবে.?
— তুমি যেদিন চাইবে। তবে মনে হয়না তাড়াতাড়ি হবে তুমি তো ১৬+ এখনো দুইবছর পর এডাল্ট হবে।
— ততদিনে বুড়ো হয়ে যাবেন। তাই আমার আশা বাদ দেন। আমি বুড়ো বিয়ে করতে পারবো না।
— তোমার রেকর্ডিং এর কি অবস্থা.?
— ঠিকঠাক। তবে এখন পাবলিক করবে না পরশু পাবলিশ হবে।
— ফেমাস হয়ে গেলে আবার আমাকে ভুলে যেওনা।
— শুরু হয়ে গেলো। ঝগড়া করতে চাচ্ছেন তাইনা.? অকে। ভুলে যাবো
— যাবে না।
–যাবো
— যাবে না
— যাবো
–আচ্ছা যাও
— না যাবো না।
হাসতে হাসতে ফোন কেটে দিলো সাদিয়া।
সাদিয়া : আমি আসছি মেঘরোদ্দুর। ৭মাস পর। তবে রোজ না যাবে শুধু সাদিয়া। এতোদিন রোজেরর প্রতিবাদ দেখেছো এবার সাদিয়ার শাস্তি দেখবে। যে গোলাপের পাপড়ি তোমরা একটা একটা করে ছিড়ে ফেলেছো সেই গোলাপ গাছের নতুন কলির সুভাস আর তীক্ষ্ণ ধারালো কাটার সম্মুখে পড়বে তুমি আর সেই মানুষগুলো যাদের জন্য আমার জীবনটা শেষ হয়েছে। কিছু না করেও অনেক কিছু করবে এই সাদিয়া। সো বি রেডি ফর ইট। বিকজ রোজ উইল বি ব্যাক উইথ হার নিউ আইডেন্টটিটি & পার্সোনালিটি।
চলবে,,,