তুই হবি আমার পর্ব-২৫

0
1831

#তুই_হবি_আমার??
#DîYã_MôÑî
#পর্ব_২৫
#Turmeric_and_Marriage_Ceremony

সকাল সকাল গোসল করে নিয়েছে রোজ। সারারাত মাথা ব্যাথায় কাতরেছে মেয়েটা।
একটা হলুদ শাড়ি পড়ে করিডোরে দাড়িয়ে কফি খাচ্ছে রোজ। এমন সময় রোদ উদয় হলো। মুখ কালো মেঘে ঢাকা।

রোজ : বি নরমাল মেঘরোদ্দুর। আমাদের এমন কালোমুখ যদি গেস্টরা দেখে তাহলে ভুল বুঝতে পারে। বিয়েবাড়ি এটা,, সো হাসিখুশি থাকো। বাংলার পাঁচের মতো মুখ করে থেকো না।

মেঘ : তুই বাবার সাথে মিলে সবটা করেছিস আগে জানিয়েছিস.?
রোজ : মাফিয়া কিং রোদের চোখে মামুলি রোজ ধুলো দিয়ে দিলো.? ইশ রে বেচারা কত নাকানিচুবানি খাইছে।

মেঘ : আমাকে নিয়ে মজা করতেছিস.? প্রতিটা মুহূর্তে মিথ্যা বলেছিস এটা কেমন ভালাবাসা। একটুও ভরসা করিস না আমাকে।

রোজ : মিথ্যা কি তুমি কম বলেছো.? কলেজের ফার্স্ট দিন ইনোসেন্ট সেজেছো আর আর রূপ কি বের হলো.? মাফিয়া কিং,, ব্যাপারটা কেমন জানো.? ছোট্ট মিনি বিড়াল হয়ে ঢুকে বড় ড্রোকাটা বাঘ হয়ে বেড়িয়ে আসার মতো।

মেঘ : তুই গান গাইতে পারিস সেটা কখনো বলেছিস.?
রোজ : নাহ। তুমি তো কখনো জিজ্ঞাসা করোনি। আর আমিও যেচে বলিনি কারন ছোট থেকেই সবাই আমাকে গান গাইতে মানা করেছে। আপিলাকে অবশ্য উৎসাহ দিয়েছে। তবে ওই যে সবার চোখের বালি আমি তাই আমাকে বলা হয়েছিলো আমি গান গাইলে আপিলাকে গান গাইতে দিবে না। আমার জন্য নাকি আপিলার রেওয়াজে সমস্যা হয়। ছোট ছিলাম তো তাই কম বুঝতাম আর মেনে নিয়েছিলাম সবটা।

মেঘ : অনেক কষ্ট হতো তোর তাইনা.?
রোজ : তা একটু হতো,, তবে এখন তুমি আছো তো। ভাবছি আমার ভাগের কষ্টগুলো তোমাকে দিয়ে দেবো।

মেঘ : আরীবরা বলছিলো,, কুহুর সাথে আমার বিয়ে দিবে।
রোজ : কিহহহহ.? কুহু আপু আর তুমি.?

মেঘ : আরে না। কুহু রাজ,, আমি আর তুই। দেখ তোর ১৭বছর হয়ে গেছে আর তুই আবার ইন্ডিয়াতে ফিরে যাবি তোর গানের জন্য। দেশে ফিরতে তো অনেক লেট হবে। আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলে সমস্যা কি.?

রোজ : তা অবশ্য ঠিক বলেছো। তবে আমি এখনো ছোট। আমার তো ১৮ বছর হয়নি।
মেঘ : তো আমি কি বলেছি তুই বড় হয়ে গেছিস.? আমি কি তোকে জোর করবো নাকি.?শুধু বিয়েটা হবে তারপর এখন যেমন আছি তখনও তেমন থাকবো। তোর ধারেকাছেও যাবো না।

রোজ মেঘের গলা দুহাতে জরিয়ে ধরে মেঘের পায়ের ওপর পা তুলে দাড়ালো। মেঘের নাকের সাথে নিজের নাক ঘসে বললো,,
রোজ : যাবে না.?

মেঘ : এই তোর ছোট থাকার নমুনা.?
রোজ মেঘের থেকে কিছুটা দূরে সরে দাড়ালো। লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ওর মুখ। নিজের দোষেই এখন লজ্জা পেতে হচ্ছে ওর। নিচ থেকে আরীব সিটি দিয়ে বললো,,

আরীব : আমাদের বাড়িতে অনেক রুম আছে বেবি। খোলা জায়গায় রোম্যান্স করে আমাদের মতো সিঙ্গেলদের জ্বালানোর দরকার কি.?

মেঘ : আরে বড় ভাই। আমার পিচ্চিটারে এসব বলে লজ্জা দিচ্ছো কেন.? আমি তো ওর এই চেহারা দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না।

আরীব : করতে বলেছে কে.? আমার পুরো সাপোর্ট আছেস শুধু হ্যা বেশি রোম্যান্স করতে গিয়ে আবার পিচ্চিটাকে বিপদে ফেলে দিও না। বাচ্চা মানুষ সামলাতে পারবে না।

রোজ : অসভ্যের দল।
রোজ রুমে ঢুকে কোলে বালিশ নিয়ে রাগি রাগি ফেস করে বসে থাকলো। মেঘ উকি মারছে করিডোর থেকে আর আরীবের সাথে কথা বলছে।

রোজ : আপিলার কি খবর.? যাই গিয়ে দেখে আসি।

আলিজার রুমের সামনে এসে নক করলো রোজ। আলিজা দরজা খুলে হাসিমুখে রোজকে ভেতরে নিয়ে গেলো।
আলিজা : আজ তো গায়ে হলুদ। তোর হলুদে এলার্জি ছিলো না.? কমেছে.? নাকি আগের মতোই আছে।

রোজ : কষ্ট লাগছে তোমার মামনির জন্য.?
আলিজা : প্রত্যেককেই নিজের কাজের ফল পেতে হয়। তিনি যা করেছেন তোর সাথে তুই তার ছিটেফোঁটাও করিস নি। তবে হ্যা নিজের মা তো তাই একটু কষ্ট লেগেছিলো । কিন্তু আমার এই কষ্টটা তখন শেষ হবে যখন তুই খুশি থাকবি।

রোজ : সৎবোনের জন্য আপন মাকে শাস্তি দিতে চাও.? মনে চাচ্ছে না আমাকে মেরে প্রতিশোধ নিতে.? বা এমন কোনো শাস্তি দিতে যাতে তোমার রাগ মিটবে।

আলিজা : একটা চর দিবো এমন কথা বললে,, তোকে আমি কখনো সৎবোন ভেবেছি.? আমার জন্য তোকে কতো কষ্ট পেতে হয়েছে সেটা কেউ স্বীকার না করলেও আমি করি। যখন বাবাই আমার জন্য পুতুল আনতো আর আমরা খেলতাম তখন তুই দরজার পাশে দাড়িয়ে নিঃশব্দে কাঁদতিস। মামনি যখন আমার দোষে তোকে মারতো তখনও কিছু বলতিস না। এমনকি আমার জন্য মামনিকে কঠিন শাস্তি দিলিনা। তারপরেও কিভাবে ভাবলি তোকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাববো।

রোজ : তোমার মতো আপু সবার কপালে থাকে না।
আলিজা : আর আমার পিচ্চি রোজ বেবি কি সবার কপালে থাকে..? এখন বল বিয়ের জন্য রেডি তো.? দেখ মেঘ ভাইয়া তোকে কখনো জোর করেনি। আজও করবে না। আর তুই এখনো ছোট ও কখনো তোর ওপর কোনো অধিকারও ফলাতে আসবে না। ও ওমন ছেলে না। ওর ভয়টা তোকে হারানোর,, তুই ওদেশে গিয়ে যদি ওকে ভুলে যাস বা অন্য কারোর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলিস,,

রোজ : কিহহহ?
আলিজা : রেগে যাচ্ছিস কেন.? মানুষের মন কি কেউ বুঝতে পারে.? তাই তোদের সম্পর্কটা আরো গভীর করার জন্য মেঘ দ্রুত বিয়ে করে নিতে চাচ্ছে। বিয়ের পর তোর যা ইচ্ছা তাই করবি। এতে কোনো সমস্যা নেই।

রোজ : এতোই যখন ভয় তখন ইন্ডিয়াতে পাঠাতে চাচ্ছে কেন.?
আলিজা : তোর ক্যারিয়ারের জন্য। তোর স্বপ্ন, তোর গানের জন্য। ও চায় না ওর জন্য তোর জীবনের সব ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাক। তুই তোর নিজের পায়ে একবার দাড়িয়ে যা। তারপর ও তোকে আর গাইড করবে না। তুই নিজেই ওর কাছে ফিরে আসবি দেখবি ও তোকে আর ওর কাছে যেতে বাঁধা দিবে না।

রোজ : অদ্ভুদ। এইরকম আনরোম্যান্টিক জামাই জুটলো কপালে.? তোমার বিয়ের ৬মাসের মধ্যে তোমার কোলে বেবি। আর আমার বিয়ের ৫-৬বছরের মধ্যে আমি আমার জামাইরে চোখেও দেখতে পারবো না.?

আলিজা : আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করা যাবে না রোজ। তুই এখনো ছোট বুঝিস কম। তাই মেঘ যা বলছে তাই কর। চিন্তা করিস না বাসর রাতটা ঠিকঠাক গোছানো পাবি।

রোজ : এইটা কোনো কথা.?ধুরররররর।
রোজ বাইরে বের হতেই মেঘ রোজের হাত টেনে রোজের রুমে নিয়ে গেলো।

রোজ : এভাবে টানছো কেন..? আরে হাত ছিড়ে যাবে তো। বাম হাত গেছে এখন ডান হাতের পিছে পড়ছো.?

মেঘ : উহু।
রোজকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো মেঘ।
রোজ : রোম্যান্স করবা.?

মেঘ : একটু আকটু।
মেঘ নিজের হাতে থাকা হলুদ রোজের পেটে লেপ্টে দিলো। শীতল হাতের স্পর্শে কেঁপে উঠলো রোজ। মেঘের গালে লেগে থাকা হলুদ রোজের গলা স্পর্শ করতেই রোজ মেঘের কাধে খামচি দিয়ে ধরে। মেঘের খোচা খোচা দাড়িতে বারবার শিউড়ে উঠছে ও।

মেঘ : নে হয়ে গেছে। তবে হাতের নখগুলো কাটিস দয় করে। রাক্ষসীদের মতো নখ বানিয়েছিস। বাসর রাতে কি হবে ভেবে এখনই গায়ে কাটা দিচ্ছে। আর শোন সকালের মতো হাতের ব্যান্ডেজ ভিজিয়ে গোসল করবি না। ঠান্ডা লেগে যাবে।

রোজ এবার তেড়ে আসলো মেঘের দিকে।
রোজ : এটা রোম্যান্স.? আর হাত না ভেজালে পেট গলা থেকে হলুদ তুলবো কি করে। আমার কি ২০টা হাত.? আর শোন এতো এডভাইস দিতে আসবি না। চুপচাপ নিজের কাজ করবি। নে আমার জামাকাপড় গুছিয়ে দে।

মেঘ : ওই তুই আমার সাথে তুইতোকারি করছিস.?
রোজ : হ্যা তো.?

মেঘ : তোর সাহস অনেক বেড়ে গেছে
রোজ : তো.?

মেঘ : তুই আমার দিকে এভাবে তেড়ে আসছিস.?
রোজ : হ্যা আসছি। সো হুয়াট.?

মেঘ : ভয় লাগছে তো।
রোজ : লাগুক। পৃথিবির প্রতিটা বরের উচিত বউকে ভয় পাওয়া।

মেঘ : আমি এখনো তোর বর হইনি।
রোজ : তো কিচ্ছে,, কাল হয়ে যাবা। তারপর আমাদের বেবি হবে। ওরাও আমার সাথে মিলে তোমাকে ভয় দেখাবে।

মেঘ : আচ্ছা.? বেবি প্লানিংও শেষ তোর। তাহলে এবার কে ভয় পায় সেটা দেখি।
মেঘ রোজের শাড়ির আঁচল ধরতেই রোজ একটানে শাড়ি খুলে ফেললো। মেঘ রোজের কান্ডে হতবাক। ভয় দেখাতে চেয়েছিলো কিন্তু মেয়ে তো বাঘিনী হয়ে বের হলো।

রোজ : টানাটানি আমার পছন্দ না। খুলতে চাচ্ছিলো খুলে দিসি। এবার কিভাবে ভয় দেখাবা.? কলেজের ফার্স্টদিনের কথা মনে আছে তো.?

মেঘ : তুই মেয়ে তো.? সকালে লজ্জা পাচ্ছিলি আর এখন.?
রোজ : তখন অনেক ছেলে + মানুষ ছিলো বলে লজ্জা পাওয়ার নাটক করছি। এখন কেউ নাই লজ্জা পাবো কেন.?

মেঘ : আমি আছি তোর চোখে পড়ে না.?
রোজ : তুমি আছো তো কি হইছে.? কালকে না আমাদের বিয়ে.?? ভয় পাচ্ছো কেন.? আমি না তোমার বউ.?

মেঘ : তোর বয়সটা ঠিক না। এখন কিছু ঘটলে তোর ক্ষতি হবে।
রোজ : তার মানে তুমি আমার জন্য আমার থেকে দূরে যাচ্ছো.? আরে এমন কিছু হবে না। আর আমি কি বলেছি আমরা এখনই বেবি প্লানিং করবো.? আমি যাস্ট বলতে চাই যে তুমি এভাবে ভয় পেলে আমার ভালো লাগে। হি হি মনে হয় একটা বাচ্চাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করছি। আচ্ছা তুমি বসো আমি গোসল করে আসি। নাকি তুমি আগে যাবা.? তোমার গায়েও তো হলুদ লেগে আছে।

মেঘ : তুই যা আমি আছি এখানে।
রোজ : অকে।

পরদিন সকালে,, কুহু আর রোজকে কনের সাজে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে । একটা মেয়ে বারবার ওদের চারপাশে ঘুরঘুর করছে।

রোজ : তুমি কি কিছু বলবে.?
মেয়েটি রোজের পাশে টুপ করে বসে পড়ে।

মেয়েটি : হ্যা আমি আরীব স্যারের সাথে কাজ করি। আমার বাবা একজন ডিরেক্টর,, মা কলেজের প্রফেসর। আমার ছোট বোন ক্লাস টেনে পড়ে। আমার এবছর মাস্টার্স কমপ্লিট হবে। আমি বড়দের সম্মান করি,, রান্না পারি,, ইভেন বাড়ির সব কাজ পারি।

কুহু : তারপর.?
মেয়েটি : আমার নামই তো বলিনি আমি হিমা। লাবণ্য আক্তার হিমা।

রোজ : হ্যা তো কি জানি বলছিলো আরীব স্যার.?
হিমা : হ্যা মানে আমি আরীব স্যারকে,,, না মানে স্যারের ওপর আমার,, আসলে।

কুহু : এভাবে বললে তো সারাদিনেও বুঝবো না। ভাইয়াকে তুমি কি.?
রোজ : এই হিমা আপিটা আরীবের বেবির মাম্মা হতে চায়। তাইনা.?

হিমা : হ্যা এটাই। কিন্তু উনি বুঝতেই চায়না। আমি একবছর ধরে বোঝানোর চেষ্টা করছি অথচো পাত্তা দিচ্ছে না। যমের মতো ব্যাবহার করে আমার সাথে। আরে সোজা জিনিস সোজা ভাবে বোঝো না। ঘুরিয়ে পেচিয়ে এতো ঝামেলা পাঁকানোর কি আছে। এই পিচ্চি মেয়েটা অবধি বুঝে গেছে আর উনি এখনো বোঝে না।

হিমা যখন বুঝলো ও সব বলে দিয়েছে। ততক্ষনে আরীব দরজার কাছে চলে এসে হিমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালো।

আরীব : হিমা তুমি এখানে.? কি করছো.?
রোজ: আরীব বেবি আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।

আরীব : কি বলবে.? কোনো কিছু লাগবে.?
রোজ : হ্যা লাগবে বলেই তো বলছি। আমাদের আরেকটা বউ আর বর লাগবে। তোমার বউ খোজার দায়িত্ব আমার ছিলো। আমি তাকে পেয়ে গেছি।

আরীব : কে?
রোজ : হিমা আপু।

কুহু : বেচারি তোর পেছনে কতোদিন ধরে ঘোরে তুই নাকি পাত্তা দিস না.? এতো সুন্দর গোলুমোলু একটা মেয়েকে কষ্ট দিস.?

রোজ : হি হি।
কুহু : হাসছো কেন রোজ.?

রোজ : আজ ত্রিবিয়ে হবে। অনেক মজা। আর সবথেকে মজার বিষয় একখরচে সব হয়ে যাচ্ছে। তোমাদের কোনো খাটনিই নেই আরীব।

আরীব : দুনিয়ায় কি মেয়ের অভাব পড়ছে.?
রোজ : ওকে বিয়ে করায় আপত্তি কি.?

আরীব : ও প্রচুর কথা বললে,, সারাদিন এটা ওটা করে আমাকে অতিষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত খেয়াল রাখে। মাঝে মাঝে নিজেকে ওর পোষা আরীব মনে হয়।

রোজ : আহা জান তা হবে কেন.? বোঝার চেষ্টা করো, ও তোমাকে ভালোবাসে বলেই তো এমন করে। তুমি বিয়ে করে ফেলো দেখবে তোমার আম্মু আব্বুর সেবায় ব্যস্ত থাকবে ও আর তোমাকেও কম বিরক্ত করবে। তখন দেখবা তুমি ওকে মিস করছো।

কুহু : হ্যা ভাইয়া আমিও রোজের সাথে একমত। হিমাপি তুমি রেডি তো.? আরে না থাকলেও কোনো ব্যাপার না আমি ঈশা আপুকে বলে দিচ্ছি ও তোমাকে রেডি করে দেবে। আর ভাইয়া তুইও রেডি হয়ে নে।

আরীব কিছু না বলেই চলে গেলো।
রোজ : কিছু বুঝলে.?
কুহু : না তো। কেন.?

রোজ : তোমার ভাই এর কিন্তু এ বিয়েতে অমত নেই। ব্যাটা আমারে ধোকা দিলো,, দুইদিনও হয়নাই ছ্যাকা দিসি। এখনই বিয়ে করে নিচ্ছে।আমারে ভালোইবাসে নাই।

কুহু : হায়রে!!! আল্লাহ এই মেয়ের মাথায় কখন কি চলে সেটা বোঝার ক্ষমতা দাও। আর সহ্য করার শক্তি দাও।

রোজ : দিসে.?
কুহু : পাগলি। এই তোমার টিকলি খুলে গেছে তো,, বসো আমি ঠিক করে দেই।।

চলবে,,,