তুমিময় আসক্তি পর্ব-০১

0
2198

#তুমিময়_আসক্তি
#কলমে_আলো_ইসলাম
সূচনা পর্ব

— তোমার মেয়ে’টাকে আমার ছেলের জন্য চাই রহিম ভাই। দয়া করে না বলো না, অনুনয় করে বলে কথাটা জাহির চৌধুরী। জাহির চৌধুরীর কথায় রহিম মিয়া আঁতকে উঠা চোখে তাকিয়ে অপরাধের ন্যায় বলে এমন করে বলবেন না বড় সাহেব। আমি তো আপনার গোলাম। আপনার দয়ায় আমার সংসার চলে। পুলা মাইয়া’টা রে নিয়া সুখে শান্তিতে খাইতে পড়তে পারছি। কিন্তু আমরা যে গরিব বড় সাহেব। কোথায় আপনারা আর কোথায় আমরা৷ এটা কেমন করে হয়? তাছাড়া ছোট সাহেব’কে তো জানেন। কোনো মেয়েকে উনি পছন্দ করেন না আর না সহ্য করে সেখানে আমার মেয়ের জীবন’টা আমি নিজ হাতে কি করে নষ্ট করে দিই বড় সাহেব। আমার একটা মাত্র মেয়ে। ওরে খুব ভালোবাসি আমি। মা মরা মেয়ে আমার। আমি এটা পারবো না বড় সাহেব, আমারে মাফ কইরা দেন হাত জোড় করে বলে কথাটা রহিম মিয়া।

– জাহির চৌধুরী একটা আফসোসের দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে আমি সব জানি আর বুঝতে পারছি তবে আমার ছেলেকে ঠিক করতে তার ভুল ভাঙ্গতে, সঠিক পথে নিয়ে আসতে একমাত্র তোমার মেয়ে পারবে রহিম ভাই। দোলা মায়ের মধ্যে সে সব গুণ, ধৈর্য আছে। তোমার মেয়ের কোনো কিছুর কমতি থাকবে না। তাও তুমি দ্বিমত করো না রহিম।

– জাহির খানের কথায় রহিম মিয়া চিন্তায় পড়ে যায়। কি করবে বুঝতে পারছে না। একদিনে তার মেয়ের জীবন আরেকদিকে কৃতঙ্গতা প্রকাশ।

– আমি জানি সাহেব আমার মেয়ে আপনার কাছে অনেক ভালো থাকবে অনেক সুখে থাকবে। ওর কোনো অভাব কখনো হবে না কিন্তু ছোট সাহেব কি মানবেন। একটা মেয়ের বড় সম্পদ তার স্বামী। আর স্বামী যদি ঠিক না থাকে তাহলে বাহ্যিক সুখ শান্তি নিয়ে কি হবে বড় সাহেব আমারে বলেন।

– রহিম মিয়ার কথায় জাহির চৌধুরী মুখটা মলিন করে বলে আমি বুঝতে পারছি তোমার ব্যাপার’টা রহিম। তোমার জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে আমিও এমনটা করতাম কিন্তু আমি যে নিরুপায় রহিম। তুমি তো আমার ঘরের মানুষ৷ তোমার তো কোনো কিছু অজানা নয়। তুমি চাইলে পারবে আমার বিশ্বাস। একবার আমার কথাটা ভেবে দেখো।

– জাহির চৌধুরীর এমন ভাবে বলায় রহিম মিয়ার খারাপ লাগে। রহিম মিয়া একটা টানা শ্বাস ছেড়ে বলে আমাকে একটু সময় দেন বড় সাহেব। আমি পরে জানাবো আপনাকে এখন আমি আসি বলে রহিম মিয়া চলে যেতে নিলে জাহির চৌধুরী রহিম মিয়াকে পিছু ডেকে বলে আমাকে নিরাশ করো না রহিম।

– রহিম করুণ চাহনি দিয়ে বেরিয়ে যায় এরপর। জাহির চৌধুরী সামনে থাকা সোফায় গিয়ে বসেন চিন্তিত হয়ে। ছেলেকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই তার। একটা মাত্র ছেলে তার। কিন্তু সে এমন স্বভাবের হবে কল্পনা করেনি জাহির চৌধুরী। অবশ্য এতে তার ছেলে র দোষ দেওয়া যায় না। পরিস্থিতি তাকে এমন হয়ে উঠতে বাধ্য করেছে। সব কিছু ভেবে আবারো একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে জাহির চৌধুরী।

– ভাইজান এইটা তুমি কি বললে? ওই ছোটলোকের মেয়ের সাথে তুমি আমার রুদ্ররে বিয়ে দিবে। তাছাড়া তুমি জানো না। রুদ্র এইসব বিয়েশাদি পছন্দ করে না। ওতো কোনো মেয়েকে সহ্য করতেই পারে না সেখানে বিয়ের কথা আসছে কেনো। তাছাড়া ওই রকম ছোটলোক ঘরের মেয়েকে রুদ্র কখনোই বিয়ে করবে না মুখ বেকিয়ে কথা গুলো বলেন জেসমিন চৌধুরী।

– শাট আপ জেসু ( জাহির চৌধুরী জেসমিন চৌধুরীকে জেসু বলে ডাকে) মুখ সামলিয়ে কথা বল। ওরা গরিব হলেও মানুষ। তাছাড়া আমার ছেলের কিসে ভালো হবে-না হবে সেটা আমি বুঝবো তোর মাথা না ঘামালেও চলবে শক্ত কন্ঠে বলেন কথা গুলো জাহির চৌধুরী।

– জাহির চৌধুরীর কথায় জেসমিন ন্যাকা কান্না জুড়ে বলে তুমি এমনটা বলতে পারলে ভাইজান। সেই ছোট থেকে রুদ্রকে আমি নিজের ছেলের মতো করে মানুষ করে আসছি। ভালবাসছি, নিজ হাতে খাওয়ায় দাওয়াই বড় করছি আর আজ তুমি আমাকে এমন কথা বললে। রুদ্রর ব্যাপারে কথা বলার কোনো অধিকার আমার নেই?
– জেসমিনের কথায় বিরক্ত হয় জাহির চৌধুরী কিন্তু সেটা প্রকাশ না করে শান্ত গলায় বলে, দেখ জেসু আমি যা করছি রুদ্রর ভালোর জন্য করছি। রুদ্র দিন দিন যেভাবে ডেস্পারেট হয়ে যাচ্ছে এতে ওকে সামলানো আরো মুশকিল হয়ে যাবে ভবিষ্যতে। তাছাড়া আমার তো ইচ্ছে করে নাতি-নাতনির মুখ দেখতে। আমার একটা ভরা সংসার হবে সবাইকে নিয়ে।

– তোমার সংসার তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে ভাইজান। নতুন করে আর কি সংসার গুছাবে। তোমার ছেলের এমন উদ্ভট হওয়া, এমন স্বভাবের পিছনে একমাত্র দায়ী ওর মা। তুমি যদি আমাদের কথা শুনতে তখন, জেদ ধরে ওই মেয়েকে বিয়ে না করে নিয়ে আসতে তাহলে আজ এর কিছুই হতো না।

– জেসমিন চৌধুরীর কথায় জাহির চৌধুরীর ভেতরের ক্ষতটা আবার জাগ্রত হয়ে উঠে। পুরনো স্মৃতিগুলো মাথা চারা দিয়ে উঠে আবার।
– জাহির চৌধুরী নিজেকে সামলে নিয়ে রুক্ষ চোখে তাকিয়ে বলে তোকে আগেও বলেছি এখনো বলছি ওই মহিলার কথা আমার সামনে বলবি না। ওর কোনো কথা বা স্মৃতি এই বাড়িতে থাকবে না। কথাটা মাথায় রাখিস বলে জাহির চৌধুরী উঠে চলে যায় ভেতরে। জাহির চৌধুরী যেতেই জেসমিন চৌধুরী রহস্যর হাসি দেয় একটা যে হাসির মানে শুধু সেই জানে।

– আসুন এবার সবার পরিচয় দেওয়া যাক…

– জাহির চৌধুরী আর জেসমিন চৌধুরী দুই ভাই বোন। জেসমিন চৌধুরীর নিজের একটা সংসার আছে কিন্তু তিনি সব ছেড়ে ভাইয়ের বাড়ি থাকেন। কেনো থাকেন সেটা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।
— জাহির চৌধুরী নামকরা বিশিষ্ট শিল্পপতিদের একজন। দেশে বিদেশে তাদের অনেক ব্রাঞ্চ আছে। এখন এখন অবশ্য সেসব রুদ্রই দেখাশোনা করে।

– গল্পের প্রধান চরিত্র বা নায়ক রুদ্রনীল চৌধুরী। জাহির চৌধুরীর একমাত্র সন্তান। রুক্ষ, একঘেয়েমি মানুষ একটা। সব সময় মুড নিয়ে থাকে। খুব কম মানুষই তার হাসিমুখটা দেখেছে। সব সময় মুখটা গম্ভীর করে রাখা তার প্রধান কাজের মধ্যে একটা। রুদ্র কোনো মেয়েকে সহ্য করতে পারে না আর না তাদের সম্মান দেয়। মেয়েদের সস্তা, লোভী,প্রতারক,বিশ্বাসঘাতক মনে করে সে। এর কারণও আস্তে আস্তে জানতে পারবেন গল্পের মাধ্যমে।

..রুদ্র দেখতে ফিট ফর্সা। হাইট প্রায় ৬ফুট, নাক’টা খাড়া, চোখ গুলো ছোট ছোট, মুখে ছোট ছোট চাপদাড়ি। বডি ফিট, এক কথায় একজন সুদর্শন পুরুষ। যাকে এক দেখায় অনেক মেয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দেয় নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার। অনেক মেয়ের ক্রাশ রুদ্রনীল চৌধুরী। কিন্তু কোনো মেয়েই তার কাছে পাত্তা পায়না। মেয়েদের সব সময় এড়িয়ে চলেন। রুদ্র তার বিজনেসকে অনেক ভালোবাসে। তার চেষ্টা আর সাফল্যে চৌধুরী গ্রুপ অফ কোম্পানি আজ এত দূর এগিয়েছে।

– রহিম মিয়া জাহির চৌধুরীর বাড়ির গাড়ির ড্রাইভার। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চৌধুরী বাড়িতে ড্রাইভারী করে আসছে। সবার অনেক বিশস্ত মানুষ রহিম মিয়া ওই বাড়ির। রুদ্রও রহিম মিয়াকে যথেষ্ট সম্মান করে। জেসমিন চৌধুরী শুধু বাকা চোখে দেখে তাকে। গরিব বলে তার স্থান নিচে এটাই মনে করে সে।

– গল্পের নায়িকা, আরশিয়া দোলা। সবাই দোলা বলে ডাকে। দোলার ছোট একটা ভাইও আছে। দোলা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অত্যন্ত মেধাবী আর নম্র ভদ্র। দোলা ইসলাম অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে পছন্দ করে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ , কুরআন তেলাওয়াত তার প্রতিদিনের অন্যতম কাজ।
– দোলা দেখতে যেমন সুন্দর তেমন তার চুল। কোমড়ের অনেক নিচে তার চুল। ঘন কালো চুল আর অনেক সিল্কি। দোলার চুলের পেছনে অবশ্য তার বাবার অবদান অনেক। দোলার গালে একটা বড় তিল আছে যেটা দোলার সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে।

– দোলা উচ্চতায় ৫ফিট ৫ ইঞ্চি। গায়ের রঙ উজ্জ্বল। মায়াবী মুখ,হরিণীর মতো চোখ, ঠোঁট দুটো চিকন। দোলা গায়ে হালকা পাতলা গড়ন তবে একবারে যে শুকনো কাঠি এমনও না।
– দোলার ভাইয়ের নাম রোকন। রোকন এবার দশম শ্রেণিতে পড়ছে। রোকনও দেখতে সুন্দর তবে শ্যামবর্ণ প্রকৃতির সে।
– দোলা, দোলার ভাই রোকন আর তার বাবা এই নিয়ে তাদের পরিবার। দোলা সংসারের সব কাজ পারে। ছোটবেলা মা মারা গেলে মেয়ে হয় সে সংসারের ভরসা। দোলাও তেমন। দোলার যখন ৬ বছর বয়স তখন দোলার মা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রোকন তখন এক বছরের বাচ্চা৷ দোলা রোকনকে মায়ের আদর দিয়ে বড় করেছে। ছোট থেকে সবার দায়িত্ব নিয়েছে দোলা। হয়তো উপর আল্লাহ তাকে এই সকল ধৈর্যশক্তি দিয়েছে ওইটুকু বয়সে।

— দোলা আসরের নামাজ পড়ে বসার ঘরে আসতেই দেখে তার বাবা চিন্তিত মুখ করে বসে আছে৷ দোলা এক গ্লাস পানি নিয়ে তার বাবার সামনে ধরে৷ রহিম মিয়া তার চিন্তায় এত মগ্ন ছিলো যে কখন দোলা প্রবেশ করেছে এই ঘরে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ মুখের সামনে পানির গ্লাস ধরাই চমকে উঠে রহিম মিয়া। চমকানো চোখে দোলার দিকে তাকিয়ে একটা স্বস্তি শ্বাস ছেড়ে মুখে হাসি নিয়ে এসে বলে দোলা মা তুই।

– দোলা ইশারা করে পানির গ্লাসটা নিতে বলে তার বাবাকে। রহিম মিয়া পানির গ্লাসটা নিয়ে এক নিশ্বাসে সবটুকু পানি শেষ করে গ্লাসটা আবার দোলার হাতে দিয়ে দেয়। দোলা গ্লাসটা সামনে থাকা টেবিলে রেখে তার বাবার পাশে বসে বলে, এবার বলো কি নিয়ে এত চিন্তিত তুমি। যার জন্য তোমার মুখটা এমন মলিন দেখাচ্ছে।

– দোলার কথায় রহিম মিয়া মায়াভরা চোখে তাকায় দোলার দিকে। তার মেয়েটার সব দিকে খেয়াল আছে। সে যে চিন্তিত এটা ঠিক বুঝে গেছে।

– রহিম মিয়া দোলার মাথায় হাত দিয়ে বলে তুই সত্যি অনেক বড় হয়ে গেছিস রে মা। সবার মন পড়তে পারিস তুই।

– দোলা মুচকি হেসে বলে উহু, সবার নয় শুধু আমার বাবার মন পড়তে পারি আমি৷ এই মানুষটাকে যে ছোট থেকে দেখে আসছি। সব সময় পাশে পেয়েছি। তাই আমাকেও বুঝতে হয়। এই সব কথা বাদ থাক। কি হয়েছে বলো তো বাবা আগ্রহ নিয়ে বলে দোলা।

– দোলার কথায় রহিম মিয়া কিছুখন চুপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে আচ্ছা দোলা মা, আমি যদি তোর জন্য কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিই কখনো তাহলে তুই কি সেটা মেনে নিবি? আমি জানি তুই কখনো আমার কথা বা মতামতের বাইরে কোনো কাজ করিস না। তারপরও তোর জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত টা যদি আমি তোর জন্য ভুল নিয়ে থাকি তাহলে তুই কি তখনো আমার কথা মতো সব মেনে নিবি?

– বাবার কথায় দোলার কৌতুহল টা আরো বেড়ে যায়। মুখে হাসি নিয়ে আসার চেষ্টা করে বলে কি হয়েছে বাবা। তুমি এমন করে বলছো কেনো? তাছাড়া তুমি যে আমার জন্য কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। আর যদি ভুল হয়ও তাও আমি মনে করবো সেখানে আমার ভালো আছে কোথাও না কোথাও। কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেনো বাবা? একটু খুলে বলবে দয়া করে। আমি না তোমার কথা কিছু বুঝতে পারছি না নুয়ে যাওয়া কন্ঠে বলে দোলা।

* আমি তোমার বিয়ে দিতে চাই দোলা। বাবার মুখে বিয়ের কথা শুনে দোলার মুখটা ছোট হয়ে যায়। জিজ্ঞাসুক চোখে তাকিয়ে থাকে বাবার দিকে।

– রুদ্র বাবার সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করেছি আমি দোলা। বাবার এই কথাটা ঠিক মানতে পারে না দোলা। বাবার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ে এমন অবাক হয়ে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলে এইসব কি বলছো তুমি বাবা৷ এটা কি করে সম্ভব? তোমার মাথা ঠিক আছে। যে মানুষটা মেয়েদের যথাযথ সম্মান দিতে পারে না। মেয়েদের কোনো মুল্য নেই যার কাছে। তার সাথে আমার বিয়ে । হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কি বাবা?
– রহিম মিয়া জানতেন এই কথার হাজার প্রশ্নের তীর তার সামনে ছুড়বে দোলা তাই সে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে এসেছে৷

– রহিম মিয়া নুয়ে যাওয়া কন্ঠে বলে দেখ মা, আমি জানি আমি যা বলছি সেটা ঠিক না৷ কিন্তু এছাড়া আমার আর উপায়ও নাই৷ আমি বড় নিরুপায় রে মা। তুই দয়া কর তোর এই বাবাকে। তোর বাবাকে একটু সুযোগ দে কৃতঙ্গতা প্রকাশ করার। আমি জানি নিজ হাতে তোর জীবন নষ্ট করে দিচ্ছি আমি। তারপরও আমি চাই তুই এই বিয়েটা কর হাত জোড় করে বলে রহিম মিয়া। দোলা ছলছল চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে। রহিম মিয়ার চোখেও পানিতে টলমল।

চলবে….