#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:21💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“দেখতে দেখতে কেটে গেল এক সপ্তাহ’!!এই এক সপ্তাহে অনেক কিছু বদলে গেছে’!!আরুশ আর রিতু অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে’!!আর আমি আর আরিয়ান আমরা চারজন এখন খুব ভালো বন্ধু’!!এখন প্রায়ই আমরা ভার্সিটি শেষে ঘুরতে বের হই’!!তারপর আরুশ আর রিতু থাকে তাদের মতো আর আমি আর আরিয়ান আমাদের মতো’!এই কয়েকদিনে অনেক ভালো সময় কেটেছে আমাদের’!!এখন আরিয়ানকে আমার খুব ভালো লাগে’!!ও পাশে থাকলে কেমন এক অদ্ভুত অনুভূতি আসে’!!বুকের বাম পাশে কেমব দক দক করে উঠে কেন হয় জানা নেই আমার’!!তবে আরিয়ানের কথা ভাবতে আমার খুব ভালো লাগে’!!অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস মাথায় এসে নাড়া দেয়’!!যার কারণ এখনো জানা নেই আমার’!!এই অনুভূতিগুলোর কি আদো কোনো নাম আছে নাকি সব শুধুই আবেগ’!!আচ্ছা এমন অনুভূতিগুলো কি শুধু আমারি হয় নাকি আরিয়ানেরও হয় এমন’!!এই সব আলতু-ফালতু ভাবনা নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছি আমি ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে……..
“আজকে একটা সাদা রঙের চুড়িদার পড়েছি আমি’!!এই রঙটা আরিয়ানের খুব ফেবারিট তাই আজকে পরেছি’!!হর্ঠাৎ ওর পছন্দের রঙের জামা পরতে কেন মন চাইলো জানা নেই আমার’!!চোখে হালকা কাজল চুলগুলো খুলে দিলাম,তারপর কলেজ ব্যাগটা নিয়ে তৈরি আমি’!!তারপর ব্রেকফাস্ট করে চললাম আমি ভার্সিটির উদ্দেশ্যে'”! আজকে রিতু আসবে না বাসায় ও চমার আগেই আজকে ভার্সিটি চলে গেছে এর কারনটা জানা নেই আমার’!!এসব ভেবে হাঁটছি আমি’!!কারন এই মুহুর্তে আশেপাশে কোনো রিকশা পাচ্ছি না আমি’!!!তাই আনমনে হেঁটে চলেছি আমি’!!কেন জানা নেই এই মুহুর্তে খুব ভালো লাগছে আমার’!!! কিছুদূর যেতেই সামনে একটা রিকশা দেখতে পেলাম আমি যা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে চললাম তার কাজে তারপর ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বসে পরলাম রিকশায়'”!!!”
__________________________________________
*
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা’!!চুল আচরাচ্ছে সে,,!!এমন সময় পিছন থেকে আকাশ এসে জড়িয়ে ধরল তাকে’!!তারপর তাকে জড়িয়ে ধরে বললো আকাশঃ
——–“আমার বউটা কি করছে……..
——–“তোমার বউটা চুল আচরাচ্ছে……..
——–“তা একা তৈরি হলে চলবে আমাকে তো তৈরি করে দিতে হবে নাকি……..
“আকাশের কথা শুনে হাসলো মেঘলা’!!তারপর হাতে থাকা চিরুনিটা নিয়ে আকাশের চুল ঠিক করে দিল মেঘলা তারপর আকাশের গলায় টাই টা ঠিক করতে দিল’!!এমন সময় আকাশ মেঘলার কোমড় জড়িয়ে ধরে অনেকটাই কাছে নিয়ে আসলো মেঘলাকে….তারপর বললঃ
——“তোমায় কিন্তু খুব সুন্দর দেখাচ্ছে আজকে……
“আকাশের কথা শুনে হাসলো মেঘলা’!!হর্ঠাৎ আকাশ মেঘলাকে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে ওর ঠোঁটের কাছে এগোতে যাবে এমন সময় মেঘলা আকাশের ঠোঁটে হাত দিয়ে বললো’!!
“সবসময় লুচু চিন্তা-ভাবনা হুহ’!!মেঘলার কথা শুনে আকাশ হালকা মুখ ঘোমড়া করে ফেললো’!!তা দেখে মেঘলা হেঁসে আকাশের গালে ছোট্ট একটা কিস করে বললঃ
——-“ব্রেকফাস্ট করতে এসো,,এই বলে নিজেকে আকাশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে চলে গেল মেঘলা’!!মেঘলার কাজ দেখে আকাশ হেঁসে বললোঃ
——–“হুম এখন যত পালানোর ইচ্ছে পালিয়ে নেও তোমাকে পড়ে আমি দেখে নিবো এই বলে আকাশ হেঁসে নিজেকে একবার আয়নার দেখে চলে গেল নিচে তারপর ব্রেকফাস্ট করে চললো আকাশ অফিসে………
“খাবার টেবিলে খুব একটা কথা বলেনি আকাশ মেঘলার সাথে’!!!আকাশ ইচ্ছে করেই এমন করছে’!!মেঘলা বুঝতে পেরে সেও কে বললো না’!!তারপর আকাশ বেরোতে মেঘলা দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল রান্না ঘরে………..
__________________________________________
*
“এদিকে ভার্সিটির একটা রুম খুব সুন্দর করে সাজাচ্ছে আরুশ আর রিতু'”!!!আর আরিয়ান দাড়িয়ে আছে চুপ করে কারন সেদিন মীম আর আরিয়ান মিলে আরুশ আর রিতুকে এক হতে সাহায্য করেছিল আর আজ তারাও নিজ হাতে আরিয়ান আর মীমের কাছে আসতে সাহায্য করবে’!!আজকে সবাই মিলে মীমকে অনেক বড় সারপ্রাইজ দিতে চায়’!!কারন আজকে যে মীমকে আরিয়ান প্রপোজ করবে’!!!আরিয়ানও আজকে খুব খুশি কারন সে ভেবে রেখেছে আজকে মীমকে তার মনে কথা বলে দিবে সব’!!আরিয়ান ছোট্ট একটা ডায়মন্ডের আন্টি কিনে নিয়ে এসেছে মীমের জন্য’!!আরিয়ান মুচকি হেঁসে আন্টি টা দেখে আবার পকেটে নিবে এমন সময় আরুশ এসে বললোঃ
——–“ওটা কার জন্য মামা???
“আরুশের কথা শুনে আরিয়ান তাড়াতাড়ি তার পকেটে আন্টিটা ডুকিয়ে বললোঃ
——–“তুই জানিস না এটা কার জন্য???
——–“জানি তো তারপর একটু জিজ্ঞেস করলাম আর কি??এই নিয়ে দুই বন্ধু মিলে হাসাহাসি করছে’!!!এমন সময় রিতু এসে বললোঃ
——–“দুই বন্ধু মিলে একা একা হাসলে হবে এই শালিকেও তো হাসাতে হবে তাই না’!!রিতুর কথা শুনে আরিয়ানও বলে উঠলঃ
——–“অবশ্যই কেন নয় আমার দশ টা পাঁচ টা নয় একটা মাএ শালী তাকে না হাসালে চলবে নাকি??
“আরিয়ানের কথা শুনে রিতু মুচকি হাসল’!!হর্ঠাৎই আরুশ বলে উঠলঃ
———“ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ” এখনো আসছে কেন??
“আরুশের কথা শুনে রিতুও বলে উঠলঃ
——-“ঠিকই তো এখনো আসছে না কেন??ওর এতক্ষণে চলে আসার কথা’!!
———“পঁচা পান্তা ভাত তুমি মীমকে একটা ফোন দেও”!!
“আরুশের কথা শুনে রিতুও তার ফোন বের করল’!!তারপর ফোনটা নিয়ে রুমের বাহির চলে গেল’!!!
__________________________________________
*
“সেই কখন থেকে রিকশায় বসে আছি আর এমন একটা রিকশায় উঠেছি হালায় মনে নেশা খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে এত আস্তে আস্তে কেউ রিকশা চালায়’!!আধা ঘন্টার রাস্তা আমি এক ঘন্টায় ও যেতে পারছি না’!!শেষ মেশ এসে রিকশা থামল ভার্সিটির সামনে যা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস নিলাম আমি’!!তারপর রিকশাওয়ালাকে টাকা দিলাম সে চলে গেল’!!তারপর আমিও টাকাটা রেখে ভিতরে ঢুকবো এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল ফোনটা হাতে নিতে যাব এমন সময়কেউ এসে পিছন থেকে একটা রুমাল চেপে ধরল’!!ঘটনাটা আচমকা হওয়াতে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না’!!হর্ঠাৎ পুরো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেল হয়তো আমি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি’!!মনে হলো কেউ আমায় গাড়িতে উঠাচ্ছে তারপর আর কিছু মনে নেই’!!!সব কালো অন্ধকার এসে সব কালো করে দিয়ে চলে গেল'”!!!
.
.
.
.
“ওদিকে রিতু ভার্সিটির করিডোরে দাঁড়িয়ে মীম সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনাটা দেখে দিল এক দৌড়’!!তারপর আরুশ আর আরিয়ান সামনে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললঃ
——–“ভাইয়া মীমকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে……..
“রিতুর কথা শুনে আরিয়ান আরুশ দু’জনই অবাক হয়ে বললোঃ
———“কি???
——–“ভাইয়া তাড়াতাড়ি কিছু করুন’!!!
——-“তুমি কি ওদের দেখেছো??
——–“ভাইয়া ওদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল যার কারনে মুখ বোঝা যাচ্ছিল না ওরা একটা কালো রঙের গাড়ি করে কোথাও নিয়ে গেল’!!পুরো এক নিশ্বাসে কথাগুলো বললো রিতু’!!রিতু কথা শুনে আরিয়ান অস্থির হয়ে পরল তারপর তাড়াতাড়ি করে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরল সে’!!
.
.
.
.
“এদিকে আরুশ আরিয়ানকে বেরিয়ে যেতে দেখে সেও চললো তার পিছন পিছন এমন সময় রিতু কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলঃ
———“আমিও যাবো??
“রিতুর কান্না মাখা মুখ দেখে আরুশও আর মানা করে নি তারপর রিতুকে নিয়ে সেও চললো আরিয়ানের পিছন পিছন’!!
__________________________________________
*
“ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে আরিয়ান’!!এই মুহূর্তে আরিয়ান খুব অস্থির হয়ে গেছে’!!তার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে কেন হলো???সব তো ঠিকই ছিল তাহলে কেন এমন হলো কারা করল এমন আর ভাবতে পারছে না আরিয়ান’!!পাগলের মতো খুজছে আরিয়ান তার প্রিয়শীকে………
.
.
.
.
“এদিকে আরুশও ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে আর তার পিছনে কেঁদে চলেছে রিতু’!!আর আরুশ একটু শান্ত করার চেষ্টা করছো তাকে’!!কিন্তু রিতুও খুব অস্থির হয়ে পরেছে সে ভাবতেই পারছে না কেউ তার বেস্টুকে এই ভাবে ধরে নিয়ে যাবে’!!কিন্তু কারা করলো এমন???
হর্ঠাৎই রিতু ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করল মীমের মাকে তারপর তাদেরকে বলে দিল মীমের কিডন্যাপ হওয়ার বিষয়টা’!!মীমের আম্মু শুনেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে’!!তারপর ফোন দিল মেঘলার আপুর নাম্বারে’!!!
__________________________________________
*
“রান্না ঘরে কাজ করছিল মেঘলা আজকে অফিস অফ দিয়েছে সে তাই এই মুহুর্তে সবার জন্য রান্না করতে ব্যস্ত সে’!! এমন সময় ফোন বেজে উঠাতে তাড়াতাড়ি ফোন তুললো সে তারপর রিতুর মুখে সব শুনে সেও অস্থির হয়ে পরল’!!মেঘলা ফোন করল আকাশকে আকাশ সব শুনে তাড়াতাড়ি করে অফিস থেকে বেরিয়ে পরল’!!তারপর বাড়ি এসে সবাই মিলে চললো মেঘলাদের বাড়িতে’!!আকাশের আম্মুও চললো তাদের সাথে আকাশের আব্বু কোনো কারনে ঢাকার বাইরের থাকার কারনে এখনো তাকে কিছু জানানো হয় নি’!!!!সবাই মিলে মেঘলাদের বাড়িতে ঢুকতেই মেঘলার আম্মু মেঘলাকে ধরে কেঁদে দিল’,,যার সাথে মেঘলাও কাঁদতে,,আকাশের আম্মু তাদের সামলানোর চেষ্টা করছেন’!!আকাশ তার চেনা জানা সবাইকে মীমের বিষয়টা জানিয়ে দিয়েছে’!!পুলিশকেও তারা খবর দিয়েছে’!!টোটাল কথা হচ্ছে দুটো পরিবারে পুরো ঝড় নেমে এসেছে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে’!!!!এই মুহূর্তে সবারই একটাই কথা এমনটা কারা করলো???
__________________________________________
*
“অন্ধকারে রুমে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে আমাকে’!!টিপ টিপ চোখে আশেপাশে তাকালাম আমি’!!সবকিছু অন্ধকার হয়ে আছে’!!ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে আমার’!!কিছুতেই বুঝতে পারছি না কারা কেন এমনটা করল’!!বেশ কিছুক্ষন যাওয়ার পর……..
“হর্ঠাৎই কারো পায়ের শব্দ পেলাম আমি যা শুনে বুকের ভিতর টা দক করে উঠলো আমার,পুরো শরীর কাঁপছে আমার’!!হর্ঠাৎই সামনের ব্যক্তিটি কাছে এসে স্ব-জোরে একটা থাপ্পড় মারলো’!!ঘটনাটা হর্ঠাৎ করে হওয়াতে কিছুই বুঝতে পারলাম না আমি,কিন্তু থাপ্পড়টা এতটাই জোরে ছিল যে ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে এসেছে আমার’!!!হর্ঠাৎ সামনের ব্যক্তিটি তার মুখের কাপড় টা সরিয়ে নিয়ে বললোঃ
——-কি সুন্দরী মনে আছে আমার কথা????
“ছেলেটির কথা শুনে তার দিকে তাকালাম আমি'”! ছেলেটির মুখ দেখে অবাক হয়ে বললাম আমি………..
——-আপনি…………
!
!
!
!
!
#চলবে………………..
#TanjiL_Mim❤️