#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ১৬
রনি – কী রে হিরো ভয় পেয়ে গেলি?
– দেখে তো তাই মনে হচ্ছে ভাই?
রনি – রবিনদের সাথে তোর কিসের সম্পর্ক?আর কেন তুই আমার বন্ধুদের মেরেছিল?
তানভীর – কি কারণে তোর বন্ধুদের মেরেছি। সেটা তোর ভালো করে জানা আছে।ভালো চাস তো ওদেরকে কে ছেড়ে দে।
রনি – বেশি জ্ঞান দেওয়ার জন্য নিজের বোনকে ও হাত পা আর মুখ বেঁধে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়েছি।আর সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছিস?(হাসতে হাসতে)
তানভীর – তোর মতো কুলাঙ্গার আর কাপুরুষ মনে হয় পৃথিবীতে খুব কম খুঁজে পাওয়া যাবে।যে কী না আপন বোনের সাথেও…
রনি – ঠিক বলেছিস। আমার কাছে ভাই,বোন, মা,বাবা এইসব সম্পর্কের কোনো মূল্যে নেই। নিজের যখন যা খুশি তখন তাই করি।
তানভীর – থাকবে কী করে? রক্ত তো আর রক্তের সাথে বেইমানি করে না। তোর বাবা নিজের আপন বড় ভাইকে নিজের হাতে খুন করেছে। শুধু মাত্র টাকা আর ক্ষমতার লোভে। আর তুই তো তারই সন্তান।
রনি – তাহলে তুই সবকিছু জেনে গেছিস? ভালোই হলো।মরার আগে সবকিছু জানার দরকার।তা না হলে মরেও শান্তি পাবি না।
তানভীর – একজনকে মারার জন্য দশজন লোক নিয়ে এসেছিস? কেমন কাপুরুষ তুই?
রনি – ভুল ভাবছিস তুই। শুধু তোকে না সাথে রাকিবকেও শেষ করে দেবো।
তানভীর – বুকে সাহস থাকলে হাত খুলে দে। তারপর দেখ কে কাকে মারে?(রেগে গিয়ে)
– বলার সাথে ঝড়ের গতিতে গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম। পেছনে তাকিয়ে দেখি রনির সব লোকজন ফ্লোরে পড়ে আছে। দড়জার কাছে মামুন ভাই আর আমাদের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে।
– রবিন ভাইদেরকে এখানে দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম। আমার চেয়ে আরো বেশি অবাক হলো রনি। মামুন ভাইদের ভেতরে আসতে দেখে।রনি কিছুটা ভয় পেয়ে আমার দিকে রিভাল বার তাকে করে বললো, সামনে আসার চেষ্টা করবি না। তাহলে কিন্তু ওকে শেষ করে দেবো।
– আর কিছু বলার আগেই পেছন থেকে সিয়াম ভাই রনির হাতে গুলি করলো।সাথে সাথে রনির হাত থেকে রিভাল বার ফ্লোরে পড়ে যায়। ফ্লোর থেকে রিভাল বার হাতে নেওয়ার আগেই মামুন ভাই রনির দুই পায়ে গুলি করে।
– সাথে ফ্লোরে পড়ে যায় রনি। মামুন ভাই এসে তাড়াতাড়ি করে আমার হাতের বাঁধন খুলে দিলো। হাতের বাঁধন খুলে দেওয়ার পর সাথে সাথে বসা থেকে উঠে। মামুন ভাইয়ের কাছ থেকে রিভাল বার নিয়ে। রনির বুকে পর পর কয়েকটা গুলি করলাম।
তানভীর – ওপারে ভালো থাকিস। আর হে চিন্তা করিস না।খুব তাড়াতাড়ি অনিক আর আশরাফুলকেও তোর কাছে পাঠিয়ে দিবো।(রেগে গিয়ে)
মামুন – তুমি ঠিক আছো তো ছোট্ট ভাই।
তানভীর – হে ঠিক আছি।
সিয়াম – ভাগ্য ভালো সোহেলের ফোনটা আমাদের কাছে রেখে দিয়েছিলাম।যদি না রাখতাম আমরা তো জানতেই পারতাম না।রনি তোমাকে মারার জন্য বাসায় আসবে।
তানভীর – মামুন ভাই ওদেরকে বাহিরে নিয়ে।সবটার হাত আর রনির লিঙ্গ কেটে ওই হোটেলের সামনে ফেলে দিয়ে আসেন।
মামুন – এই তোরা এখনও দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ছোট্ট ভাই যা বললো তাড়াতাড়ি কর।
সিয়াম – যা করার তাড়াতাড়ি করো সবাই। হাতে সময় খুব কম।
– সাথে সাথে আমাদের লোকজন রনিকে সহ সবকটার লাশ বাহিরে নিয়ে গেলো। বাহিরে নিয়ে গিয়ে রনির লিঙ্গ আর হাত কেটে ফেললো। আর বাকিদেরও হাত কেটে ফেললো। তারপরে গাড়িতে তুলে হোটেলের সামনে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসলো।
– এইদিকে আমি গিয়ে সবার হাত পা আর মুখের বাঁধন খুলে দিলাম। রিয়া আর নুসরাতের মুখের বাঁধন খুলে দেওয়ার সাথে সাথে দুজনে কান্নাকাটি শুরু করলো। মুখ বেঁধে দেওয়া কারনে এতোক্ষণ কেউ কোনো শব্দ করতে পারেনি।
– নুসরাতের আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো, আমার খুব ভয় করছে। এতো রাতে কোথায় গিয়েছিলি তুই?
তানভীর – প্লিজ কান্না বন্ধ কর।যা হয়েছে সবকিছু ভুলে যা। এখন উপরে চল।
রাকিব – কি করে ভুলবে শুনি? তুই জানিস নুসরাত রিয়া এমনকি ভাবির গালেও থাপ্পর মেরেছে রনি।আমি কিছু করার আগেই আমার হাত পা বেঁধে দিয়েছে। শুধু তোর অপরাধের জন্য আজকে সবার এই অবস্থা।(রেগে গিয়ে)
তানভীর – একজন ভাই হিসাবে বোনদের ধর্ষনের শান্তি দেওয়াটা যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে। তাহলে হে আমি অপরাধ করেছি। ইকরাম ভাইকে মেরে তার লাশ গায়ের করে দিয়ে। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিনা অপরাধে রবিন ভাইদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
– ইকরাম ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি দেওয়াটা যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে। তাহলে মানছি আমি অপরাধ করেছি। আমার জন্য আজকে তোদের এই অবস্থা পারলে ক্ষমা করে দিস।( প্রচন্ডভাবে রেগে গিয়ে)
রাকিব – ইকরাম ভাইকে মেরে ফেলেছে মানে?কে এইকাজ করেছে?(অবাক হয়ে)
তানভীর – এতোকিছু জেনে তোর কাজ নেই।রিয়াকে নিয়ে ওপরে রুমে যা।(রেগে গিয়ে)
মামুন – রিয়াকে নিয়ে রুমে যাও এখন।পরে সবকিছু জানতে পারবে।
তানভীর – ভাবি আপনিও রুমে চলেন।
নিশি – হুম চলো।(দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)
মামুন – তানভীর নুসরাতকে রুমে দিয়ে একটু নিচে এসো। কিছু কথা আছে।
তানভীর – ঠিক আছে।আপনি একটু দাঁড়ান আমি এখুনি আসছি।
– বলেই নুসরাতকে নিয়ে ওপরে রুমে চলে গেলাম। নুসরাতকে রুমে দিয়ে আবার নিচে চলে আসলাম।নিচে এসে দেখি সিয়াম ভাইয়েরা চলে এসেছে।
সিয়াম – তোমার কথা মতো ওদের সবাইকে হোটেলের সামনে ফেলে দিয়ে এসেছি।
তানভীর – ওদের গাড়ি কোথায়?
সিয়াম – হোটেলের সামনে রেখে এসেছি।
মামুন – সবাই মিলে তাড়াতাড়ি ফ্লোরটা পরিষ্কার করে ফেল। কোথাও যাতে রক্তের কোনো চিহ্ন না পাওয়া যায়।
– ঠিক আছে ভাই।
মামুন – রনির সব কথা সোহেলের ফোনে রেকর্ড করে রেখিছি। আশাকরি এই প্রমাণগুলো পুলিশের কাছে দেওয়ার পর রবিন ভাইদেরকে ছেড়ে দিবে।
সিয়াম – এইসবের দরকার নেই। কিছু টাকা আর একজন ওকিল নিয়ে গেলেই হবে।রনিকে তো মেরে ফেলা হয়েছে।
– যদি কিছু জানতে চাই। তখন আবার আরেক ঝামেলা হবে। না হয় আবার আমাদের সন্দেহ করবে।তার চেয়ে ভালো হবে ওকিল নিয়ে যাওয়া।
তানভীর – আপনারা যেটা ভালো বুঝেন সেটা করেন। যেকোনো মূল্যে কালকে দিনের মধ্যে মেহেদী ভাইদেরকে নিয়ে আসতে হবে।
মামুন – ঠিক আছে। তাহলে আমরা এখন আসি। কালকে সকাল দশটায় ফ্যাক্টরিতে এসো।ওখান থেকে একসাথে সিলেট যাবো।
– বলেই মামুন ভাইয়েরা চলে গেলেন। মামুন ভাইয়েরা চলে যাওয়ার পর রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম। সকালে…….
চলবে।
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
##পর্ব – ১৭
– সকালে চোখ খুলতেই দেখি নুসরাত আমার বুকের ওপর ঘুমিয়ে আছে। দুইবার ডাক দেওয়ার পর ঘুম থেকে উঠে বললো,কি হয়েছে ডাকছিস কেন?
তানভীর – ঠাসস ঠাসসস। কী হয়েছে তুই বুঝতে পারছিস না? কোন সাহসে তুই আমার বুকের উপর শুয়ে ছিলি?(রেগে গিয়ে)
নুসরাত -আমি তোকে ভালবাসি।তার চেয়েও বড় কথা আমি তোর বিবাহিতা স্ত্রী। একজন স্ত্রী হিসেবে আমার সে অধিকারটুকু আছে।(গালে হাত দিয়ে কেঁদে কেঁদে)
তানভীর – বিয়ে করেছি বলে তোকে আমার স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়নি।আর দ্বিতীয় বার ভুলেও এইসব কথা আমার সামনে উচ্চারণ করবি না।চলে যা আমার চোখের সামনে থেকে।(জোরে ধমক দিয়ে)
নুসরাত – বিশ্বাস কর আমি তোকেই ভালোবাসি। ওইদিন ইচ্ছে করে এমনটা করে নি।(হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে)
তানভীর – ঠাসস ঠাসসসস। এক কথা আর কতো বার বলতে হবে তোকে? এইসব ন্যাকা কান্না বন্ধ করে। আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা।(রেগে গিয়ে)
– নুসরাত আর কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রুম থেকে চলে গেলে। নুসরাত চলে যাওয়ার পর ওয়াসরুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
– ফ্রেশ হয়ে এসে কিছুক্ষণ পর রেডি হয়ে নিচে গেলাম। ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। নিচে গিয়ে দেখি সবাই চুপচাপ হয়ে বসে আছে।
নিশি – কোথাও যাবে নাকী?
তানভীর – সিলেটে যেতে হবে। গাড়ির ড্রাইভার আর মেহেদী ভাইদেরকে থানা থেকে নিয়ে আসার জন্য।
নিশি – তোমার ভাইয়া ও কী তাদের সাথে?
তানভীর – হুম।রনি লোকজন দিয়ে ইকরাম ভাইকে মেরে। তার লাশ গায়ের করে দিয়েছে। ওখানকার কিছু লোকজন টাকা দিয়ে ভাড়া করে। মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারপর পুলিশ দিয়ে রবিন ভাইদের থানায় আটকে রেখেছে।
নিশি – এইসব তুমি আগে আমাকে বলো নি কেন?
তানভীর – আপনাকে কীভাবে বলবো? আমাকেই তো মামুন ভাই রাত দুইটায় ফোন দিয়ে বলেছে। তারপরেই তো আমি রাতে ফ্যাক্টরিতে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি। গাড়ির ড্রাইভার সোহেল এইসবের সাথে জড়িত।তার বুদ্ধিতেই রনি এইসব করেছে।
নিশি – এতে সোহেলের কী লাভ হলো?
তানভীর – টাকার বিনিময়ে এইসব করেছে।
রিয়া -ভাইয়া এতোটা খারাপ ছিলো।সেটা আমি কখনো জানতাম না। বন্ধুদের কাছ থেকে শুনতাম ও মেয়েদের বিরক্ত করে,বিনা অপরাধে লোকদেরকে মারপিট করে।
– কখনোই বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু কালকে ওর আসল চেহারা দেখতে পেলাম।ওকে এখন নিজের বড় ভাই বলে পরিচয় দিতেও ঘৃণা করছে।
তানভীর – যা হওয়ার হয়ে গেছে। এইসব ভেবে এখন মন খারাপ করিস না।যদি রনিকে দেখার ইচ্ছা থাকে হোটেলের সামনে থেকে গিয়ে আসবি। ঢাকায় যাওয়ার দরকার নেই।
রিয়া – ওকে দেখতে যাবো আমি? তুই ভাবলি কীভাবে?যে ভাইয়ের কাছে তার বোনের কোনো মূল্যে নেই। আমি বোন হয়ে তাকে দেখার জন্য কখনোই যাবো না।
তানভীর – ঠিক আছে। তুই যেটা ভালো বুঝিস সেটাই কর।
নিশি – সিলেট যাবে কখন?
তানভীর – দশটার দিকে রওনা দিবো।
নিশি – তাহলে তো এখনও আরো অনেক সময় বাকী আছে।
তানভীর – হুম। কিন্তু আমার ফ্যাক্টরিতে কিছু কাজ আছে। এখুনি যেতে হবে।
নিশি – নাস্তা করে তারপর যাও।
তানভীর – হাতে বেশি সময় নেই। বাহিরে থেকে খেয়ে নিবো।কোনো সমস্যা হবে না।
নিশি – ঠিক আছে। সাবধানে যেও।
তানভীর – আমার বাসায় আসতে আসতে রাত হতে পারে। কোনো সমস্যা হলে সিয়াম ভাইকে ফোন দিয়ে জানাবি।(রাকিবকে উদ্দেশ্য করে)
রাকিব – ঠিক আছে।
– সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফ্যাক্টরিতে চলে গেলাম। ফ্যাক্টরিতে গিয়ে কিছু কাজ শেষ করে। মামুন ভাইকে সাথে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
– তারপর সিলেট পৌঁছে সোজা থানায় চলে গেলাম।থানার ভেতরে যেতেই একজন পুলিশ জিগ্গেস করলো, আপনারা কী কাউকে খুঁজেছেন?
মামুন – একজন ওকিল আসার কথা ছিলো।তাকেই খুঁজছিলাম আর কি।
– ওনি তো স্যারের রুমে।চলে আমার সাথে।
মামুন – চলুন।
– পুলিশের পেছন পেছন পুলিশ অফিসারের রুমে গেলাম। রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি ওকিল অফিসারের সাথে বসে কথা বলছে। পাশেই মেহেদী ভাই, রবিন ভাই আর গাড়ির ড্রাইভার দাঁড়িয়ে আছে।
ওকিল – তোমাদের কাজ হয়ে গেছে।
তানভীর – ধন্যবাদ।
অফিসিয়ার – এখানে কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানিও। যতটুকু পারি চেষ্টা করবো। তোমাদের সাহায্য করার জন্য।
ওকিল – ঠিক আছে।আমরা তাহলে আসি।
– বলেই সবাই বাহিরে চলে গেলেন।আমি দাঁড়িয়ে আছি দেখে পুলিশ অফিসার জিগ্গেস করলো, কোনো সমস্যা?
তানভীর – আপনার নাম্বারটা দিন। প্রয়োজন পড়লে যোগাযোগ করবো।
পুলিশ অফিসার – এই নাও আমার কার্ড। দরকার পড়লে আমাকে জানিও।
তানভীর – ধন্যবাদ।আসি তাহলে…
– বলেই বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে যেতেই রবিন ভাই জিগ্গেস করলো, ইকরামের লাশ কোথায়?
তানভীর – জানি না। রনি লোকজন দিয়ে কোথায় নিয়ে গেছে?
মেহেদী – জানো না মানে কী?(ধমক দিয়ে)
তানভীর – লোকজন পাঠিয়ে দিয়েছি। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি খোঁজ পেয়ে যাবো।
মেহেদী – এখনো আশা করছো। কিছুই করতে পারো নি?(ধমক দিয়ে)
– আর কিছু বলার আগেই একটা গাড়ি এসে আমাদের সামনে দাঁড় করালো।গাড়ি থেকে তিনজন লোক নেমে এসে বললো,সরি ভাই আমরা কিছু করতে পারিনি। অনেক খুঁজাখুঁজির পর ও ইকরাম ভাইয়ের লাশ খুঁজে পাইনি।
মেহেদী – তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না।যা করার আমাকেই করতে হবে।
– বলেই রাগ দেখিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লেন। হঠাৎ রবিন ভাই বললো,তোমর কোনো কাজ আছে এখানে?
তানভীর – তেমন কোনো কাজ নেই। আপনারা ওই গাড়ি দিয়ে চলে যান।আমি আর মামুন ভাই এটাতে আসছি।
রবিন – ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি আসো তাহলে।এক সাথেই নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দিবো।
– বলেই রবিন ভাই গিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লেন। রবিন ভাই চলে যাওয়ার পর।একজন এসে বললো,ভাই আপনার গাড়ির পেছনে বিশ লাখ টাকা রাখা আছে।এই নিন এক কোটি টাকার চেক।(চেক এগিয়ে দিয়ে)
তানভীর – মামুন ভাই ওখান থেকে ওদের তিন লাখ টাকা দিয়ে দিয়ে দেন।
– মামুন ভাই কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে। ওদের হাতে টাকাটা দিলেন।
– ধন্যবাদ ভাই। কোন দরকার পড়লে ফোনে জানাবেন। আপনি বলার সাথে সাথে কাজটা হয়ে যাবে।
তানভীর – ঠিক আছে। প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করবো।
– আমরা এখন আসি।
– তিনজনকে বিদায় জানিয়ে। মামুন ভাইকে সাথে নিয়ে গাড়িতে উঠলাম। সবাই একসাথে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।রাতে ফ্যাক্টরিতে এসে পুলিশ দেখে অবাক হয়ে গেলাম। আমাকে দেখেই পুলিশ অফিসার এসে বললো……….।
চলবে।