#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
#পর্ব – ২২
আনিস রায়হান – তোদের এতো বড় সাহস। আমার ছেলেকে মেরে ফেললি? তোদের কাউকে ছাড়বো না আমি।(রেগে গিয়ে)
পুলিশ অফিসার – তোদের সাহস কি হলো আমাকে এখানে তুলে আনার?(রেগে)
প্রিন্সিপাল – কে তুই? ওদের কেন মেরেছিস?
ওকিল – আমাকে এখানে তুলে আনার মানে কী? আমি তোমাদের কী ক্ষতি করেছি?
তানভীর – মনে আছে আজ থেকে দশ বছর আগে। দুজন ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছিলেন।
ওকিল – কে তোমারা ?দশ বছর আগের কথা তোমরা জানলে কীভাবে?(অবাক হয়ে)
রাকিব – অবাক হওয়া কিছু নেই।আমরাই সেই দু’জন। যাদের বিনা অপরাধে দশ বছর জেলে থাকতে হয়েছে।
তানভীর – কী চিনতে পেরেছেন?(ধমক দিয়ে)
ওকিল – তোমরা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছো কেন?(ভয়ে ভয়ে)
মামুন – সেটা একটু পর বুঝতে পারবেন।
রাকিব – যা জিগ্গেস করবো সত্যি কথা বলবেন। ভুলেও মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা করবেন না। তাহলে কিন্তু এখানেই শেষ করে দিবো।(রিভাল বার দেখিয়ে)
ওকিল – হে আমি সত্যি কথা বলবো। তবুও আমাকে কিছু করো না।(ভয়ে ভয়ে)
তানভীর – আপনি তো জানতেন আমরা মামাকে খুন করে নি। তার পরও কেন আমাদের বড় মামার খুনি হিসাবে প্রমাণ করলেন? কেন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন? কেন দশ বছর আমাদের জেলে থাকতে হয়েছে?(প্রচন্ডভাবে রেগে)
ওকিল – বিশ্বাস করো এতে আমার কোনো দোষ ছিলো না। আমি শুধু কথা মতো কাজ করেছি।(ভয়ে ভয়ে)
রাকিব – বিশ্বাস করতে বলছেন।তাও আবার আপনাকে। আপনার মতো মানুষদের আর যাই হোক বিশ্বাস করা যায় না।
তানভীর – কার কথা মতো কাজ করেছিলেন?তার নাম বলেন?(ধমক দিয়ে)
ওকিল – তোমার ছোট্ট মামা আসাদ চৌধুরীর। আমি জানতাম খুনটা তোমরা করো নি।খুন করেছে আসাদ চৌধুরী। ওনিই আমাকে টাকা দিয়ে বলে। যেকোনো উপায়ে আদালতে তোমাদেরকে খুনী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য।আমি ও তার কথা মতো কাজ করি।
রাকিব – সামান্য কিছু টাকার জন্য এতো বড় একটা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছিলেন?(রেগে)
তানভীর – আর প্রিন্সিপালের মেয়েকে?
ওকিল – আসাদ চৌধুরীর ছেলে ও তার বন্ধুদের বাঁচানোর জন্য। আমি জানতাম মেয়েটাকে ওরা ধর্ষন করেছে।এতে মেয়েটার কোনো দোষ ছিলো না। এটাও আসাদ চৌধুরীর কথা মতো করেছি।
তানভীর – মামুন ভাই ওর মুখ বেঁধে দিন।যাতে কোনো আওয়াজ না করতে পারে।
মামুন – ঠিক আছে।
– মামুন ভাই এসে ওকিলের মুখ বেঁধে দিলো। রাকিব গিয়ে এমপি আনিস রায়হানের মুখে বাঁধন খুলে দিলো। মুখের বাঁধন খুলে দেওয়ার পর। চারদিকে আমাদের লোকজন লেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো।
আনিস রায়হান – বাবা আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবো।(ভয়ে ভয়ে)
তানভীর – হুম।বলেন তাহলে….।(ধমক দিয়ে)
আনিস রায়হান – ওইদিন তোমাদের ছোট্ট মামা।আসাদ চৌধুরী নিজের হাতে তোমার বড় মামাকে খুন করেছে।সেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি।
– তোমার ছোট্ট বোন জান্নাতকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে। তোমার মেঝো মামার মেয়ে নুসরাত কে দিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলিয়েছিলো। নুসরাতকে বলেছিলো সে যদি তোমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা না বলে। তাহলে জান্নাতকে মেরে ফেলবে।তাই নুসরাত বাধ্য হয়ে আদালতে তোমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেছে।
– আরো বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজের জড়িত তোমাদের ছোট্ট মামা। তার অপরাধের কথা দুজন সাংবাদিক জেনে গিয়েছিলো।যার কারণে লোক দিয়ে দুজন সাংবাদিকের পরিবার সহ তাদের মেরে ফেলে। এখন যদি আমাদের এইসব কথা জানতে পারে। তাহলে হয়তো আমাদের মেরে ফেলতে পারে।
রাকিব – ধন্যবাদ আপনাকে সত্যিটা বলার জন্য। আপনাকে কেউ মারতে পারবে না। অযথা ভয় পাবেন না।
তানভীর – মামুন ভাই ভিডিও গুলো একটা পেনড্রাইভ করে। একজনকে দিয়ে ওই পুলিশ অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেন।বাকিটা পুলিশ অফিসার সামলে নিবে।
মামুন – ঠিক আছে।
আনিস রায়হান – পুলিশ অফিসার সামলে নেবে মানে?(ভয়ে ভয়ে)
রাকিব – সবটা বলার জন্য তোকে ধন্যবাদ। কিন্তু তুই নিজেই তো ছোট্ট মামাকে বুদ্ধি দিয়েছিলি।যাতে বড় মামাকে মেরে ফেলে। তাহলে আর কেউ তোদের কাছে বাঁধা দেওয়ার মতো থাকবেনা।এটা বলিস নি কেন?
– বলেই বুকে লাথি দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলো। ফ্লোরে ফেলে দিয়ে আনিস রায়হান কিছু বলার আগে। বুকের উপর পর পর কয়েকটা গুলি করলো। সাথে সাথে আনিস রায়হানের মৃতদেহ ফ্লোরে পড়ে গেলো।
– লোকদের বলার পর প্রিন্সিপাল, পুলিশ অফিসার আর ওকিলের মুখের বাঁধন খুলে দিলো।
তানভীর – সকালে কলেজে কি যেন বলেছি আমাকে ?(ধমক দিয়ে)
প্রিন্সিপাল – আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দাও বাবা।(ভয়ে ভয়ে)
তানভীর – না।কি বলছিলি কলেজে ওটা আবার বল?(রেগে)
প্রিন্সিপাল – নিশ্চুপ হয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কথা বলছে না।
তানভীর – কি হলো বল?(জোরে ধমক দিয়ে)
– প্রিন্সিপাল কোনো কথা না বলে।ভয়ে চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তানভীর – তোর আগে যে কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলো। তার মেয়ে তোর কি ক্ষতি করে ছিলো? কেন আদালতে বললি সে দেহ ব্যবসা করতো?(জোরে ধমক দিয়ে)
প্রিন্সিপাল – সব মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী আর আনিস রায়হানের কথাই করেছি।আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দাও।(ভয়ে মাথা নিচু করে)
তানভীর – মেয়েটার ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবি?পারবি মেয়েটার পরিবারের সম্মান ফিরিয়ে দিতে?(রেগে)
প্রিন্সিপাল – চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তানভীর – যদি পারিস তাহলে তোকে ক্ষমা করে দিবো।
প্রিন্সিপাল – এটা কখনো সম্ভব ন।
তানভীর – তাহলে তোকে ক্ষমা করাও আমার সম্ভব না।তোর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
– বলেই লাথি দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলাম। ফ্লোরে ফেলে দিয়ে প্রিন্সিপাল,ওকিল আর পুলিশের বুকের উপর পর পর কয়েকটা গুলি করলাম।সাথে সাথে তিনজজনের মৃতদেহ ফ্লোরে পড়ে গেলো।
রাকিব – পুলিশ অফিসার তোর সাথে কথা বলতে চাই।(মোবাইল এগিয়ে দিয়ে)
অফিসার – ভিডিওটা স্যারের হাতে দিয়ে এসেছি। আর হে এমপি, পুলিশ অফিসার আর ওকিল তিন জনের লাশ।এমপির বাসার কিছুটা কাছে ফেলে দিয়ে এসো। বাকিটা আমি সামলে নিবো।
তানভীর – ঠিক আছে।
রাকিব – কি বলবো পুলিশ অফিসার?
তানভীর – এমপি,পুলিশ অফিসার আর ওকিলের লাশ। এমপির বাসায় কিছুটা কাছে ফেলে আসার জন্য।
মামুন – ঠিক আছে। আমি লোকদের বলে দিবো। কোনো সমস্যা হবে না।তোমারা এখন বাসায় চলে যেতে পারো।
তানভীর – আশরাফুল, অনিক আর মেয়েটার লাশ কলেজ মাঠে ফেলে দেওয়ার জন্য বলবেন। প্রিন্সিপালের লাশ তার বাড়ির সামনে ফেলে আসার জন্য বলবেন।
মামুন – ঠিক আছে।
রাকিব – কোনো সমস্যা হলে ফোন দিয়ে জানাবেন।আমরা এখন আসি।
– মামুন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুজনে বাসার চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে নুসরাতের রুমে গিয়ে দেখি। নুসরাত জড়োসড়ো হয়ে সোফায় ঘুমিয়ে আছে।সোফা থেকে কোলে করে খাটে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে। আমি আমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে। নিচে গিয়ে সকালের নিউজ দেখে আমি আর রাকিব দুজনে পুরো চমকে গেলাম।
#চলবে
#তোকেই ভালোবাসি
#লেখক – তানভীর হৃদয় নীল
#পর্ব – ২৩
– কেননা টিভির খবরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ অফিসার বলছে, গতকাল রাতে রাকিব এসে আমার কাছে একটা পেনড্রাইভ দিয়ে যায়।যার মধ্যে মন্ত্রী আসাদ চৌধুরীর বেশ কিছু অপরাধ মূলক কাজের ভিডিও রয়েছে।
– মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী বড় ভাই মন্ত্রী আরমান চৌধুরী আজ থেকে দশ বছর আগে মারা গেছেন।সবাই জানে তার দুই ভাগিনা তানভীর এবং রাকিব তাকে খুন করেছে।যার জন্য দুজনের দশ বছর জেলেও থাকতে হয়েছে।
– কিন্তু সত্যিটা হলো মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী নিজে তার বড় ভাই আরমান চৌধুরীকে খুন করেছে। শুধু মাত্র ক্ষমতা আর টাকার লোভে এইসব করেছে। আসাদ চৌধুরী ও তার বন্ধু আনিস রায়হান দুজনেই বেশ কিছু অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।
– যেগুলো মন্ত্রী আরমান চৌধুরী জেনে যায়।এই নিয়ে তাদের মাঝে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মন্ত্রী আরমান চৌধুরী রেগে গিয়ে আসাদ চৌধুরীর গায়ে হাত তুলে। সেইদিন আসাদ চৌধুরী রেগে বাড়ি থেকে চলে যায়। তার বন্ধু আনিস রায়হানের বাসার ।
– ওইখানে যাওয়ার পর আনিস রায়হানের বুদ্ধি অনুযায়ী। মন্ত্রী আরমান চৌধুরী যখন তার ভাগিনাদের সাথে নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যায়। সেখানে তার রুমের মধ্যে আসাদ চৌধুরী নিজ হাতে মন্ত্রী আরমান চৌধুরীকে খুন করে।
-সেই রুমে মন্ত্রী আরমান চৌধুরী আর তার মেজো ভাইয়ের মেয়ে নুসরাত ছিলো। কিন্তু সকালে আসাদ চৌধুরী একজন লোকের সাহায্যে নুসরাত কে বাহিরে নিয়ে যায়।।পাশের রুমে ছিলো তার দুই ভাগিনা।তারা যখন মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর রুমে আসে। তখন দেখতে পায় মন্ত্রী আরমান চৌধুরী রক্তমাখা শরীর ফ্লোরে পড়ে আছে।
– মন্ত্রী আরমান চৌধুরী কাছে যেতেই দেখে একটা রিভাল বার পড়ে আছে।সেটা দেখার জন্য রাকিব হাতে নেয়।অন্য দিকে তানভীর তার মামা অর্থাৎ মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর কাছে যায়।কাছে গিয়েই মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর শরীরে ধাক্কা দিয়ে জিগ্গেস করে তোমার এই অবস্থা কে করেছে মামা?
– দুই বার জিগ্গেস করার পর।মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর মুখ থেকে একটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন তোর ছোট্ট মা।বাকিটা বলার আগেই মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর মারা যান। সবচেয়ে বড় কথা হলো রাকিবদের ছোট্ট মা বলে কেউ নেই।আছে ছোট্ট মামা। আর সেটা হলেন মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী।
– মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর এমন অবস্থা দেখে।তারা দুজনেই ভয় পেয়ে যায়। মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর শরীরে হাত দিতে গিয়ে। কখন যে তানভীরের জামাতে রক্ত লেগে যায়।সেটা সে খেয়াল করেনি।আর রাকিব রিভার বার হাতে নিয়ে নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।
– ঠিক তখনই মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী পুলিশ নিয়ে রুমে প্রবেশ করে। পুলিশ অফিসারকে বলেন তাদের দুজনকে গ্ৰেফতার করার জন্য।তারা দুজনে আরমান চৌধুরীকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু পুলিশ তখনও কিছু না করে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
– কিছুক্ষণ পর মন্ত্রী আরমান চৌধুরীর একজন বডিগার্ড নুসরাতকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করে। নুসরাত রুমে এসে সবার সামনে বলে। যে ওরা দুজনে মন্ত্রী আরমান চৌধুরীকে খুন করেছে।ওই বডিগার্ডও সেই সময় ঠিক একই কথা বলে।
– যায় কারণে পুলিশ ওদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।ওরা তখন বলেছিলো যে মন্ত্রী আরমান চৌধুরীকে ওরা কিছু করে নি। কিন্তু কেউ তাদের কথা বিশ্বাস করে নি। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর কিছু মিথ্যা প্রমাণের ভিত্তিতে দুজনের দশ বছরের জেল হয়।
– নুসরাত ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেছিলো। তার পিছনে আসাদ চৌধুরীর হাত ছিলো। মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী তখন তানভীরের ছোট্ট বোন জান্নাতকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নুসরাতকে। নুসরাত যদি ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা না বলে। তাহলে জান্নাতকে মেরে ফেলবে। যার কারণে নুসরাত বাধ্য হয়ে সেই সময় মিথ্যা কথা বলেছিলো।
– তার ঠিক কয়েক বছর পর। আসাদ চৌধুরী ওই বডিগার্ডকে গাড়ি চাঁপা দিয়ে মেরে ফেলে।সেটাকে রোড এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেয়।
– আসাদ চৌধুরীর অপরাধ মূলক কাজের কথা। দুজন সাংবাদিক জেনে গিয়েছিলো।যার কারণে দুজন সাংবাদিকদের পরিবার সহ তাদেরকে মেরে ফেলেছে। আসাদ চৌধুরীর লোকদের হাত থেকে। একজন সাংবাদিকের মেয়েকে বাঁচিয়েছি আমরা।
– সেই আমাদের একটা পেনড্রাইভ দিয়েছিলো।যার মধ্যে এইসব কিছুর ভিডিও আছে।কলেজের আগের প্রিন্সিপালের মেয়েকে তারা আদালতে পতিতা হিসেবে প্রমাণ করেছে। সত্যিটা হলো আসাদ চৌধুরীর ছেলে রনি ও তারা বন্ধুরা মিলে মেয়াটাকে ধর্ষন করেছিলো।
– মন্ত্রী আসাদ চৌধুরী তার ছেলে ও তার বন্ধুদের বাঁচাতে।টাকা দিয়ে ওই ওকিলের মাধ্যমে এইসব কিছু করছে।সেটা গতকাল ওকিল একটি ভিডিওতে নিজের মুখে বলেছে।সেই ভিডিওগুলো পেনড্রাইভের মধ্যে আছে। বিশ্বাস না হলে দেখে নিতে পারেন।
– আর গতকাল রাতে যখন আমি ভিডিও গুলো নিয়ে আসাদ চৌধুরীর হাতে দেয়। ভিডিওগুলো দেখার পর বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি।কিছুক্ষণ পর জানতে পারি আসাদ চৌধুরী তার লোকজন দিয়ে। এমপি আনিস রায়হান, কলেজের প্রিন্সিপাল, পুলিশ অফিসার, এবং ওকিলকে মেরে ফেলেছে ।
– তাদের কাছে বাঁধা দেওয়াতে এমপির ছেলে অনিককেও মেরে ফেলে। প্রিন্সিপাল কে মারার সময় সময় কলেজের সভাপতির ছেলে আশরাফুল আর একজন মেয়ে বাঁধা দিয়েছিলো।যার কারনে তাদের দুজনকে ও মেরে ফেলে।এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারি নি।আসাদ চৌধুরী কোথায় আছে?তার ফোন ও বন্ধ করে রেখেছে।
– আমরা চেষ্টা করছি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব। আসাদ চৌধুরী ও তার লোকজনদের আইনের আওতায় আনার জন্য।
– নিউজটা শেষ হলেই রিয়া কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে ওপরে চলে গেলো। এমন সময় নিশি ভাবি বললো,তোমরা এইসবের ভিডিও পেলে কোথায়?(অবাক হয়ে)
– দুজনেই কোনো কথা না বলে চুপ হয়ে বসে আছি। আমাদেরকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে।নিশি ভাবি বললো,কি হলো চুপ করে বসে আছো কেন?
রাকিব – গতকাল রাতে ওদের তুলে এনে।ভয় দেখানোর পর সবকিছু বলে দিয়েছে।
নিশি – তার মানে তোমারাই ওদেরকে মেরেছো? কী তাই তো?
রাকিব – হুম। কিন্তু এই পুলিশ অফিসার এতো কিছু জানলো কিভাবে?
তানভীর – আমার ও সেই একই প্রশ্ন?যে কী না ছোট্ট মামার কথা শুনে। আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়া ভয় দেখিয়ে ছিলো। আজকে সে আবার মামার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
রাকিব – এমপি আনিস রায়হান কলেজের প্রিন্সিপাল সবাইকে তো মেরেছি আমরা। কিন্তু সে বললো ছোট্ট মামা লোকজন দিয়ে মেরে ফেলছে? আবার বাসা থেকেও নাকি পালিয়ে গেছে?এই সবের মানে কী?
তানভীর – এতো মানে জানতে হবে না। এখন উপরে রিয়ার কাছে যা।গিয়ে দেখ মেয়েটা কী করছে? কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে গেছে।
– রাকিব আর কিছু না বলে উপরে চলে গেলো। এমন সময় নিশি ভাবি বললো,তোমরা বসে কথা বলো। আমি তিন্নির কাছে যাচ্ছি।
– বলেই নিশি ভাবি চলে গেল। নুসরাত কিছু বলতে যাবে। এমন সময় পুলিশ অফিসার ফোন দিলো। নুসরাত আর দাঁড়িয়ে না থেকে সাথে সাথে উপরে চলে গেল।
পুলিশ অফিসার – আজকে তোমার সাথে দেখা করার কথা ছিলো। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য। গতকাল রাতেই আমাকে সিলেটে চলে আসতে হয়েছে। তোমার সাথে দেখা করতে পারে নি।তার জন্য কিছু মনে করো না।
তানভীর – তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু আমি তো লোক পাঠিয়ে আপনার কাছে পেনড্রাইভ দিয়েছিলাম। কাজটা তো আপনার করার কথা ছিলো।
পুলিশ অফিসার – হে কিন্তু আমার তো রাতেই সিলেটে চলে আসতে হয়েছে। তুমি কোনো চিন্তা করো না। ওই পুলিশ অফিসার আমার বন্ধু হয়। আমি তাকে সব বুঝিয়ে বলে দিয়েছি। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।
তানভীর – হুম।না হলেই ভালো।
পুলিশ অফিসার – আর যদি কোনো সমস্যা হয় আমাকে ফোন দিয়ে জানাবে।
তানভীর – ঠিক আছে।
– পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলে রুমে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর নুসরাত গিয়ে বললো নিচে আসার জন্য। নুসরাতের সাথে নিচে এসে আব্বু – আম্মুকে দেখে পুরো অবাক হয়ে গেলাম।
#চলবে