#তোকে_ছাড়া_আমি_শূন্য
পর্বঃ২৮
#Faria_Siddique
।
।
।
।
।
।
।
কার সাথে প্রেম করার কথা হচ্ছে হুম
পিছন থেকে রুদ্র শান্ত ও গভীর কন্ঠে বললো।
আমি পিছনে ফিরে তাকাই আর বলি, ” বিশাল কে আজকে ও ভাবনাকে প্রোপোজ করেছে। ”
– অনেক ভালো তোমার বন্ধু তোমাকে ট্রিট দিবে না?
– সে দিবেনি যখন ইচ্ছা এখন আমি যাচ্ছি আমার বাসায়।বলে আমি চলে যাচ্ছিলাম। রুদ্র আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে নিজের কাছে আনে আর বলে,” কোথায় যাচ্ছো?”
– আমার বাসায়..
– এটা কার বাসা?
– আমার হবু বরের বাসা!
– তোমার তাহলে কিছু না?
– সেটা না… আমি এতোদিন তো এই বাসায় ছিলাম বাবার সাথে ছিলামই না ওরাও তো কতো মিস করেছে আমায়।আর এখন আগামীকাল আমাদের বিয়ে
আমি কি শশুর বাড়ী তে থেকেই বিয়ে করবো নাকি? বাসা থেকে কমিউনিটি সেন্টার এ যাবো।
– আমি কি করবো?
– প্রস্তুতি নিন!
– কিসের প্রস্তুতি?
– আপনার সব কিছু তে ভাগ বসাতে আসছি ;
– ও রিয়েলি?
– হুম মশাই! যাই হোক টাটা বাই বাই আমাকে ছাড়ুন আমি যাই..
– আই উইল মিস ইউ!
-মি টু!
আমি
—————————————————–
আজ আমার আর রুদ্রের বিয়ে। আমি পার্লারে সাজছি।আর আজকে আমার সাথে সাথে রুশা – ভাইয়া,দাদাভাই- মেহেক এর।
রুশা আর মেহেক ওরাও ব্রাইডাল মেক আপ করাছে।
আমি লাল গ্রাউন পরেছি।রুশা মেরুন রঙের লেহেঙ্গা।
আর মেহেক গোলাপি শাড়ি। সবার ড্রেসই গর্জিয়াস।
আমি রেডি হয়ে গিয়েছি।কিন্তু এখনও মেহেক ভাবি আর রুশার হয়নি।আমার বিয়ের দিন এদের জন্য লেট হবে নাকি?উফ!
এতোক্ষণে আসলেন এরা;
– ও আপনাদের আসার সময় হলো রাজকন্যা রা 🙄
– সরি সরি ফারিয়া আসলে আমার তো হয়েই গিয়েছিল। রুশা ওর চুলে ফুল লাগাছিল তাই আমিও লাগালাম তাই আরকি… আছে বাদ দাও চলো তাড়াতাড়ি ওরা আমাদের জন্য নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছে।
– হুম চলো, চলে উদ্ধার করে দেও! (বিরক্ত হয়ে)
আমরা সবাই কমিউনিটি সেন্টার এ পৌঁছলে আমাদের ওপর ফুল ছেটানো হয়।গোলাপের পাপড়ি।
আমি আমার গাউন উঁচু করে ধরে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি।
আমি গিয়ে আমার আসনে বসলাম মানে বউয়ের চেয়ারে।রুদ্র আসেনি এখনও। দাদাভাই আর ভাইয়া
আছে বাবা এক কোণায় দাড়িয়ে গেস্ট দের সাথে কথা
বলছে মেয়ের বাবা কথা।আবার মাঝে মাঝে অনেকে আমার হাতে গিফট দিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ছবি তুলছে আমার সাথে।আর রুশা বিরক্ত হয়ে গিয়েছে ভারি লেহেঙ্গা পরায়।
বলছে বিয়ে কখন হবে কখন হবে।আমি আমার মেহেক ভাবি মিলে ওকে চুপ করিয়েছি।
সামনে তাকিয়ে দেখি রুদ্র ঢুকছে।ওকে দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠে।রুদ্র এসে আমার পাশে বসে।আমি মাথা নিচু করে বসে আছি।অনেক ক্যামেরা ম্যান। সবাই নিজের মতো ছবি তুলছে কেউ আমার আর রুদ্রর কেউ রুশা আর ভাইয়ার কেউ দাদাভাই আর মেহেক ভাবির। আবার কেউ আসা গেস্টদের।
আমার বাম হাত চেপে ধরে আছে রুদ্র। আর আমি মাথা নিচু করেছিলাম।এক ক্যামেরা ম্যান এসে আমাদের বিভিন্ন পোজ দেওয়ায় ছবি তুলল।
।
।
।
।
।
।
রুদ্র আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল
রুদ্রঃআজকের পর থেকে আর কখনোই তোমাকে ছেড়ে থাকব না।মরতে হলে তোমার সাথে মরব আর বাচতে হলেও তোমার সাথে বাচব।
আমিঃআমি জানি। তুমি আমাকে আর কখনোই একা করে দিয়ে যাবেনা।
রুদ্র মুচকি হেসে আমার গালে একটা কিস করল।
আমি হা হয়ে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে তারপর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।ক্যামেরাম্যান এই দৃশ্যটার ছবি তুলে ফেলল।
আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।
।
।
।
।
।
।
ভাবনা ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় কেউ তাকে টেনে একটা বদ্ধ ঘরে নিয়ে গেল।তারপর দেয়ালের সাথে তার হাত দুইটা চেপে ধরলো।
ভাবনা চিৎকার দিতে গেলেই তার মুখ চেপে ধরে।
বিশালঃতুমি কোন ছেলের সাথে কথা বলছিলে ওইখানে??(রেগে)
ভাবনাঃআ আমি কথা বলতে চাই নি ওই ছেলেটা এসেই কথা বলেছে।
বিশালঃ ওই ছেলে কথা বলতে আসলেই তুমি কথা বলবা?(চিল্লিয়ে)
ভাবনা এবার ভয় পেয়ে কান্না করে দিল।
ভাবনার কান্না দেখে বিশালের হুশ এলো।
ও ভাবনাকে জড়িয়ে ধরে বলল
বিশালঃআমার খুব ভয় করে ভাবনা।সামিয়ার মত যদি তুমিও আমাকে ছেড়ে চলে যাও।
তাই তো তোমাকে আগলে রাখি।
ভাবনা এবার মুখ তুলে বিশালের দিকে তাকাল।
কান্না বন্ধ করে দিয়ে বিশালকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল।
ভাবনাঃকখনও ছেড়ে যাব না তোমাকে। কখনো না।
বিশাল মুচকি হেসে ভাবনার কপালে চুমু খেল।
।
।
।
।
।
।
দাভাইঃতোমাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।ঠিক প্রথম দেখার মতো।
মেহেকঃএক বাচ্চার বাবা হয়েও এই অবস্থা!!!
দাভাইঃআমার না আরেকটা ছেলে বা মেয়ে লাগবে।ভাবছি আজকে থেকেই প্লেনিং শুরু করবো। কি বলো???
মেহেকঃলজ্জা শরম কিছুই নাই তোমার।
বলেই লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল।
।
।
।
ভাইয়াঃরুশা আমার কিন্তু এবার একটা বাবু লাগবে।
রুশা লজ্জায় লাল হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকাল।
ভাইয়াঃএমন করে তাকিয়ো না।তোমাকে পুরাই টমেটোর মত লাগছে।ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি।
রুশাঃআহ কি শুরু করেছ? সবাই দেখছে।
ভাইয়া সামনে তাকিয়ে দেখল সবাই মুচকি মুচকি হাসছে।
।
।
।
।
চলবে……..