তোমাকে নিয়েই গল্প পর্ব-০৮

0
1011

#তোমাকে_নিয়েই_গল্প
#পর্ব:৮
#জুনাইনাহ_তাসনিম_অরহা

অভ্র ভাই যে ডাক্তারি পড়ে সেটা তো আমার জানাই ছিলো না।বেশ কিছুক্ষন পর অভ্র ভাই এলো।আমি অভ্র ভাইয়ের কাছে ছুটে গেলাম।উনি মুখ শুকনো করে দাড়িয়ে কোন কথা বলছে না।আমি আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম,
–মা?
(উনি কিছুক্ষন চুপ থেকে বলেন)
–ভাইয়া কোথায়?
–উনি উনি তো একটু বাইরে গেলেন।আমার মা,কেমন আছে আমার মা?
–সূচী আসলে…….
–কি হয়েছে?(আমি কাপা কাপা গলাই বললাম)
–সরি সূচী।আমি অনেক ট্রাই করেছিলাম কিন্তু…
(আমি আর ওনার কোন কথা শুনার অবস্থাতে নেই।আমি উল্টা ঘুরে আস্তে আস্তে এক পা দু পা করে হাটা শুরু করলাম)
-সূচী আমি অনেক ট্রাই করেছিলাম ফুপিকে কয়েকদিন হসপিটালে রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু তোমার মা কাল সকালেই বাড়ি যেতে চেয়েছে।সি ইজ অল রাইট নাও।
(ওনার কথা শুনে আমি থেমে যায়,পিছু ঘুরে দেখি উনি এক গাল হাসি নিয়ে দাড়িয়ে।আমাকে এইভাবে ভয় দেখিয়ে এখন হাসছে।ওনার হাসি দেখে আমার খুব রাগ হয়ে গেলো।আমি ছুটে গিয়ে ওনার গালে দিলাম এক চড়)
–আহ!!কি হলো মারছো কেন?
–আপনাকে তো খুন করে ফেলা উচিত।ওইভাবে কেউ কথা শুরু করে,আমি তো ভেবেছিলাম মা বোধহয়…
(আমি আর কথা বলতে পারলাম না,কেঁদে ফেললাম।চোখ বন্ধ করে কাঁদছি আমি।হটাত মাথায় কারোর হাতের স্পর্শ পেলাম।আমি চোখ খুলে তাকাই।অভ্র ভাই আমার মাথাই হাত বুলাচ্ছে)
–আমি তো একটু মজা করলাম।ভাবিনি তুমি এতোটা ভয়ে যাবে।আচ্ছা সরি।
(ওনার মুখে সরি শুনে বেশ অবাক লাগলো।আমি ওনাকে কোন উত্তর দেবো তার আগেই অন্তু ভাইয়া এসে পড়ে আর সাথে সাথে অভ্র ভাই আমার মাথা থেকে হাত সরিয়ে নেই)
–অভ্র ফুপু কেমন আছে এখন?
–টেনশন নিও না ফুপু ইজ অল রাইট নাও।আমার ধারনাটাই ঠিক ছিল।মিনি হার্ট এট্যাক হয়ছে।কিন্তু এখন আর কোন ভয় নেই।
–ফুপুকে তাহলে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবো কবে??
–সকালে তো হবে না।বিকেলের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে।কিন্তু এখন এখানে এতো মানুষ থাকা যাবে না।বোঝোই তো একজনের বেশি এনারা এলাও করে না।ভাইয়া তুমি আর সূচী বরং বাড়ি যাও আমি থাকছি।
–না না আমি থাকবো।আমি মাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।
–না তুমি বাড়ি যাবে।এইটুকু মেয়ে হাসপাতালে একা রাখা যাবে না।তুমি ভাইয়ার সাথে বাড়ি যাবে(অভ্র ভাই চোখ গরম করে বলে)
–অভ্র আমি বলি কি তুই আর সূচী বাড়ি যা।তুই তো রাতেও এক ফোটাও ঘুমাসনি।তাই তুই বাড়ি যেয়ে একটু ঘুমিয়ে নে।
–কিন্তু ভাইয়া..
–কোন কিন্তু না।তুই বাড়ি যা,আর আমি বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।
–ঠিক আছে ভাইয়া।

আমি আর অভ্র ভাই বাড়ির দিকে রওনা দিই।বাড়িতে এসে নিজের ঘরে যাবো কিন্তু আপু দেখি দরজা আটকে রেখেছে।বেশ কয়েকবার দরজা ধাক্কাই,আপুকে ডাকি কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আমি পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ি।

১৩.
বিকাল ৪টার দিকে মাকে আনতে যাওয়া হবে।মামা,অন্তু ভাইয়া আর আমি যাবো।বাবা সকালেই গেছিলো আর অন্তু ভাইয়া বাসায় চলে এসেছিলো।এখন আবার যাবে।আমি রেডি হয়ে নীচে এসে দেখি অন্তু ভাইয়া আর মামা অলরেডি চলে গেছে।আমি মামারি কাছে মন খারাপ করে গেলাম,
–মামি মামারা চলে কেন আমাকে না নিয়ে??
–তোর মামার বোনকে দেখার জন্যে আর দেরি সহ্য করতে পারলো না।তুই মন খারাপ করিস না।আকাশ আর অভ্রও তো যাবে।ওরা বাইরে গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে,তাড়াতাড়ি যা।
–ওকে ওকে…..(আমি দৌড় দিলাম)

গাড়িতে:-
–অভ্র তোকে কিছু কথার বলার ছিলো আসলে আমি যেই মেয়েকে ভালোবাসি সে হ……
আমাকে যেতে দেখে আকাশ ভাই কথা থামিয়ে দেই।অভ্র ভাইও বুঝতে পারে ব্যাপারটা যে আমি আসছি বলেই হয়তো আকাশ ভাই কথাটা বলতে চাচ্ছে না।আমি গাড়ির দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে বসি।আমাকে দেখে অভ্র ভাই কড়া করে বলে ওঠে,,,,
–মাকে হাসপাতাল থেকে আনতে যাচ্ছে তাও এতো সাজা লাগবে??মেয়ে মানুষ পারেও বটে।

ওনার কথা শুনে বুঝলাম আমাকেই বললো।আমি নিজের দিকে তাকালাম।সীল্কের একটা থ্রী পিস,মাথাই হিজাব আর মুখে হালকা পাউডার ছাড়া তেমন কোন সাজ নেই তাও এসব কথা কেন বললো বুঝলাম না।লোকটার কাজই হলো মানুষকে কারনে অকারনে ছোট করার।যাই হোক এই মুহুর্তে ঝগড়া বাধাতে চাই না তাই চুপচাপ থাকলাম।অভ্র ভাই ড্রাইভ করছে পাশে আকাশ ভাই বার বার নিজের রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছছে।আমি পিছন থেকে খেয়াল করলাম।
–আকাশ ভাই,আপনার শরীর খারাপ লাগছে কি??এতো ঘামছেন কেন??
–…………..(উনি কোন দুনিয়ায় আছে কে জানে,আমার কথা খেয়ালি করলো না।আমি এবার অনেকটা জোরেই ডেকে উঠলাম)
–আকাশ ভাইইইই..
–হু হুম।কিছু বলছো?
–আপনি কি অসুস্থ?এতো ঘামছেন,এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দেবে কি??
–না না লাগবে না।আমি ঠিক আছি।ঠিক আছি আমি।
–আচ্ছা।
আমি ওতো পাত্তা দিলাম না বাইরের পরিবেশ টা দেখতে লাগলাম।এর মাঝে দুই ভাইয়ের চোখাচোখি হয়ে গেলো কয়েকবার যা আমি খেয়াল ও করিনি।আমি তো আপন মনে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করছি।হটাত খুব জোরে একটা ব্রেক কষলো।আমি ব্যালেন্স হারিয়ে সামনের দিকে পড়তে গেলাম।খুব রাগ হলো অসভ্য অভ্রটার ওপরে।এইভাবে কেউ ব্রেক কষে? এক্সিডেন্ট হয়ে যেত যদি।কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই অভ্র ভাই বলে উঠলো,
–আমি আইস্ক্রিম খাবো।
–কি??(আমি বেশ অবাক হলাম)
–হ্যা এখন আমার আইস্ক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে।আর তা ছাড়া ভুলে যেও না তোমার ওই ভিলেন এক্স ফিয়নসের জন্যে আমার একটা আইস্ক্রিম নষ্ট হয়েছিলো।সেটা তুমি পরিশোধ করবে।
–হ্যা তা না হই করবো কিন্তু তাই বলে এখন?মা কে নিয়ে বাড়ি যাই তারপর কোনদিন খাইয়ে দেবো আমি তো আর না বলছি।
–না না না…এখনি।
–এখন আমার কাছে কোন টাকা নেই।
–আহ অভ্র।হচ্ছেটা কি?ফুপিকে আগে ভালোই ভালোই বাসায় নিয়ে যাই তারপর পরে খাস(পাশ থেকে আকাশ ভাইয়া বলে ওঠে)
–না ভাইয়া তুই চুপ থাক আমি এখনি আইস্ক্রিম খাবো মানে খাবো আর এক্ষুনি খাবো।
(উনি মানিব্যাগ থেকে ১০০টাকার একটা নোট বের করে আমার হাতে দেই)
–যাও আনো।ওই যে দোকান নিয়ে এসো গিয়ে,চকলেট ফ্লেভার আনবে কিন্তু।
(আমি রাগে ফুসতে ফুসতে গাড়ি থেকে নেমে যায়।দোকান থেকে ভ্যানিলা ফ্লেভারের একটা আইস্ক্রিম এনে ওনার হাতে দিই)
–ভ্যানিলা কেন?
–চকলেট ফ্লেভার এখানে পাওয়া যায় না।গ্রামে এটাই পাওয়া যায়।তাই এটাই খান
–তা বললে তো হবে না।আমি চকলেটই খাবো।
–কিন্তু না পাওয়া গেলে আমার দোষ কোথাই?
–দোষ তো আছেই যে তুমি ভ্যানিলা ফ্রেভার আনছো আর তার জন্যে শাস্তিও আছে।
–শাস্তি?
–হ্যা শাস্তি।তোমাকে আর আমি গাড়ী তে নেবো না।বাকি টা রাস্তা তুমি হেটেই আসবে।
–মানে কি??
–মানে যেটা শুনলে সেটাই।

কথাটা বলেই অসভ্যটা গাড়ী নিয়ে চলে গেলো।আমি মাঝ রাস্তাই বোকার মতো দাড়িয়ে রইলাম।খুব রাগ হলো খুব।লোকের কাছে শুনে শুনে এক ঘন্টা মতো পর আমি হাসপাতালে পৌছালাম।১৫ মিনিটের রাস্তা আমাকে ১ ঘন্টা লাগালো এর জন্যে তো আমি ওই অসভ্যটাকে কোনদিনও ক্ষমা করবো না।আমাকে দেখে মামা এগিয়ে গেল
–কি রে মা তুই হেটে এলি কেন?অভ্রদের সাথে গাড়িতে আসতে পারতিস তো।
–মামা আমি তো….(মামা আমাকে থামিয়ে দিল)
–হ্যা জানি তোর এলাকাটা অনেক ভালো লেগেছে তাই গাড়ী থেকে নেমে হেটে আসতে চেয়েছিস উপভোগ করার জন্যে।পাগলি মেয়ে..
— না মামা আমি তো…..
আমি কথা শেষ করতে পারলাম না।তার আগেই অন্তু ভাইয়া এসে বললো মাকে রিলিজ করে দিয়েছে আমরা এবার নিয়ে যেতে পারি।আমরা মাকে নিয়ে বাড়ি আসলাম।

১৪.
মা বাড়ি ফিরেছে সেই সন্ধ্যার আগে।এখন বাজে রাত সাড়ে দশটা কিন্তু কারোর সাথে কোন কথায় বলেনি।সবাই কতো চেষ্টা করেও মাকে দিয়ে একটা বুলি বলানো যায়নি।মায়ের এমন আচারন দেখে সবাই চিন্তাই পড়ে গেলাম।এর মাঝেই নানীকে হুইল চেয়ারে করে মামি মায়ের ঘরে আনলো।নানীকে দেখে সবাই বাড়ির সবাই মায়ের ঘরে আসলো।মামা বলে উঠল,
–মা তুমি এখানে??তোমার তো শরীর খারাপ।
–আমি এখন ঠিক আছি খোকা।এটুকু চলেফেরা করার বল আমার আছে।আর তোরা যে এতো বড় একটা কথা আমার থেকে লুকালি,আমার মেয়ে হাসপাতালে ছিলো এটা লুকালি কাজ টা কি ঠিক করলি??আমার আয়ান সোনা না বললে আমি তো জানতামই না(নানী আয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে)
–কি আয়ান বলেছে আপনাকে এসব??আয়ান তুমি এরকম করেছো কেন??তোমাকে কয়েকদিন শাসন করা হয়নি আর তুমি….(স্নিগ্ধা ভাবি কথা শেষ করতে পারে না।নানী বকা দিয়ে ওঠে)
–এই বউ ওরে বকবি না যেন।আমার মেয়ের কথা আমার থেকে লুকানো টা তোদের অন্যায়।
–কিন্তু দাদি
–চুপ থাক তুই(স্নিগ্ধা ভাবি চুপ করে যায়)মা,,কেমন আছিস তুই??
নানীর কথা শুনে মা বিছানা ছেড়ে উঠে যায়।আমি আর আপু গিয়ে ধরতে যায় কিন্তু মা আমাদের ধরতে দেইনা।নানীর পায়ের কাছে গিয়ে বসে পড়ে।নানীর কোলে মাথা রেখে হাওমাও করে কাঁদে।নানী মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
–কি হয়েছে?
–মা আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি যদি জানতাম এখানে আসলে এরকম কিছু হবে আমি আসতাম না মা।আমার মান সম্মান কিচ্ছু রইলো না আর।আমাকে ক্ষমা করে দাও মা।
–কি এমন করেছিস তুই যে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলছিস??
মা কেঁদেই চলেছে।এদিকে মামা আর বাবা মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে কি হয়য়েছে কি হয়েছে মা কিছুই বলছে না।আমরা সবাইও অবাক মায়ের এই ব্যবহারে।মা নিজেকে সামলে বলে,
–ভাইজান,মা,সূমনার বাবা তোমরা জানতে চাও তো আমি এসব কথা কেন বলছি??বলছি কারন আমি এক শয়তান মেয়েকে জন্ম দিয়েছি।
–মানে?(মামা জিজ্ঞেস করে)
–হ্যা হ্যা শয়তান মেয়ে,যে কিনা নিজের মামাতো ভাইয়ের সাথে রাতের বেলা খাস গল্প করে,,ছি এই কথা মুখে আনার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন??এই দিন দেখার আগে মরে যাওয়া উচিত ছিলো আমার।
–কি বলছিস এসব তুই??আর কাদের কথা বলছিস?
–ভাইজান আমি আমার বড় মেয়ে আর তোর মেজো ছেলের কথা বলছি।
–কি আকাশ আর সুমনা??
–হ্যা আকাশ আর সুমনা।রাতের বেলা প্রেম ভালোবাসার কথা বলে তারা।আমি যদি জানতাম এখানে আসলে ওই শয়তান মেয়ে তোমার ছেলের পিছনে লাগবে আমি কোনদিনি আসতাম না।

মায়ের কথা শুনে বাড়ির সবাই চুপ হয়ে গেল।আপু তো কেঁদেয় চলেছে।আকাশ ভাই ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।মা বাবাকে ধরে উঠে এসে আপুকে মারতে যায় কিন্তু অভ্র এসে মায়ের হাত ধরে ফেলে।
–অভ্র হাত ছাড় আমার,ওরে তো আমি মেরেই ফেলবো।ওর সাহস হয় কি করে এতো বড় অন্যায় করার??
–ফুপি কথা শোন আমার
–না তুই হাত ছাড়।
(মা অভ্র ভাইয়ের কোন কথা শুনতে রাজি নয়।আপুকে মারবেই তখনি অভ্র ভাই চিল্লিয়ে ওঠে।)
–এক হাতে তালি বাজে না ফুপি।আর অন্যায় অন্যায় বলে চিল্লাচ্ছো জানো ওদের আসল অন্যায় টা কি??
–না আমি কিছু জানতে চাই না।
–মনি চুপ কর(মামা এসে মায়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে)অভ্র তো ভুল বলিনি সত্যিই তো এক হাতে তালি বাজে না।দোষ যেমন তোর মেয়ের তেমন আমার ছেলেরও।আর অভ্র তো আরো কিছু বলতে চাচ্ছে,আগে শুনে তো নে কি বলতে চায় ও।অভ্র তুই বল।
(অভ্র ভাই লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে বলা শুরু করে)
–বাবা ওরা একে অপরকে ভালোবাসে।এখানে আসার পর থেকে নয়।তিন বছর ধরে ওরা একে অপরকে ভালোবাসে।
–মানে?(মা বলে ওঠে)
–হ্যা ফুপি।আরে ওরা রো আগে জানতোও না যে ওদের বাবা মা রা ভাইবোন।আকাশ ভাই যেদিন প্রথম ফুপির বাসায় যায় সেদিনি জেনেছে।আর এটাই ওদের অন্যায় যে ওরা একে অপরকে ভালোবেসেছে নিজের জীবনের থেকেও বেশি।ওরা গত কাল রাতে কথা বলছিলো ফুপি সেটাই দেখে ফেলে আর প্যানিকড হয়ে হার্ট এট্যাকটা হয় বাবা।
(আমি তো অভ্র ভাইয়ের কথা শুনে হা।আপু তিন বছর ধরে রিলেশনে আছে আর আমি জানিও না।আমাকে কোনদিন সন্দেহ ও করতে দেইনি)
–আকাশ,এদিকে এসো
(এরি মাঝে মামা খুব গম্ভীর ভাবে আকাশ ভাইকে ডাকে।আকাশ ভাই মাথা নিচু করে মামার সামনে দাড়ায়)
–তুমি কি সূমনাকে ভালোবাসো??
–………………
–আকাশ তুমি কি সূমনাকে ভালোবাসো??
–বাবা আসলে…(মামা থামিয়ে দেয়)
–আমি এতো কথা শুনতে চাই না।হ্যা আর না তে উত্তর।তুমি কি ভালোবাসো?
–হ্যা বাবা।

(চলবে)