#তোমাতে
লেখনীতে~আগ্নেস মার্টেল
/পর্ব ১৭/
শক্তচোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকি, সামনে হাত বাড়াই, “না মিথ্যে মিথ্যে আপনার হলাম। দেন আমার আমিকে ফেরত দেন!”
তিনি এবার মোহময় হাসেন। বাড়ানো হাতে নিজের হাত রেখে তা উল্টো করেন। গালে ঘষেন। দাঁড়ির খোচা লাগল। হেসে উঠি। তিনি সেই হাতটায় গাঢ় ঠোঁট ছোয়ান।
“ওয়াও, দারূণ!”
চমকে তাকালাম। নিসা সামনে দাঁড়িয়ে। মুখের সামনে ক্যামেরা ধরা। ক্যামেরা নামাল। ফিচেল হেসে বলল, “কেন্ডিডটা দারূণ আসছে।”
জিসানের মুঠো থেকে তড়িতে হাত ছাড়াই। তিনি বললেন, “দেখি। কি তুললে?”
নিসা সাগ্রহে ক্যামেরা এগিয়ে দিল। প্রথম ছবিটায় আমি হাত বাড়িয়ে। ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি ঠোঁট টিপে হেসে আমার দিকে তাকিয়ে। দ্বিতীয়টায় তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বাড়ানো হাতটা গালে ছুয়িয়ে। আমি হাসছি। তৃতীয়টা আমার হাতটায় তিনি হালকা কুজো হয়ে ঠোঁট ছোয়াচ্ছেন। আমি ঠোঁট টিপে হাসি সামলানোর বৃথা চেষ্টা করায় গাল দুটো হালকা ফুলেছে। তিনি প্রসন্ন মুখে একবার আমাকে দেখলেন। তৃপ্ত হাসিতে বললেন, “ছবি তো দারূণ তুলো তুমি!”
নিসা গর্বিত হাসে। কিছু বলতে চায়। তার আগেই নিশান ভাইয়া কোথা থেকে দলছুট হলেন। জিসানের পাশে সোফার হাতলে বসলেন। বললেন, “বেয়ান চশমা, আপনাকে না বললাম আমার কিছু ছবি তুলেন! আপনি অমন পালিয়ে এলেন যে?”
নিসার হাস্যোজ্জ্বল অভিব্যক্তি মুহূর্তে পাল্টায়। চোখে খেলে ক্ষুব্ধ দৃষ্টি। মেয়েটা চঞ্চল হাতে নাকের ডগায় চশমাটা ঠিক করল। নিশান ভাইয়া নিরস। জিসানের কাধে হাত রাখেন। থুতনি নাড়ান। করুণাভরে বলেন, “তোদের একটু স্পেসও দিল না এইসব থিক হেডেড মেয়েরা। ইস, মুখ কি শুকিয়ে গেছে তোর!”
জিসান হেসে নিশান ভাইয়ার হাতটা ঝারা মেরে সরান। নিসা ফুসে উঠে, “আপনার আর কাজ নেই? যেখানেই যাচ্ছি পেছন পেছন ঘুরছেন!”
আমি আর জিসান নির্বাক দৃষ্টা। ও, জিসানকে নির্বাক দৃষ্টা বলা যায় না। বলা যায় সক্রিয় দ্রষ্টা। তিনি আমার হাতটা নাড়ছেন আপন খেয়ালে। কখনো আঙুলের ভাজে আঙুল ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। কখনো ওদের দিকে তাকাচ্ছেন। তাকানোর ভঙ্গিতে উদাস অবহেলা। নিশান ভাইয়া বিস্মিত হয়, “আপনি নিজেকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন? ইন্দ্রিয়ের লজ্জা অনুভূতি সহিসালামত আছে তো?”
“একদম অপমান করবেন না আমায়! গায়ে পরে যে অপমান করতে আসেন আপনারই ভদ্রতা জ্ঞান নেই!”
ভাইয়া বাকা হাসেন, “অপমানিত হতে যদিও আপনার যোগ্যতা নেই! তবে অপমান বোধ হতে নিউরনের তারতুর একটু আছে দেখি।”
নিসা নাক, মুখ ফোলায়। দুর্দম্য আক্রোশ নিয়ে বলে, “আপনি চরম অসভ্য একজন! লম্পট! বখাটে! একদম যাচ্ছেতাই!”
নিসা দ্রুতপদে সামনে থেকে চলে গেল। নিশান ভাইয়া হাসতে হাসতে উঠে পরেন।
আমাদের বিয়ের মতো আমার আধা শ্বশুরবাড়িতে পদার্পণও হলো কিছু অদ্ভুতভাবে। বরযাত্রীর সাথে কখনো কনের পুরো পরিবার শ্বশুরবাড়ি আসে না। কিন্তু আমার পরিবার এল। ঘরদোর তালা দিয়ে এল। যাকে বলে মাঞ্জা মেরে আসা। সিড়িতে জন কোলাহল আর ভিড়ে ছোটখাটো বিক্ষোভ মিছিল পরে গেল। এ নিয়েও হাসাহাসি। আসার সময় নিশান ভাইয়া তার বাঁশ গলায় সবার মাঝে জোর স্বরে বলে উঠলেন, “ইতিহাসে এটাই হয়ত অদ্ভুত বরযাত্রী। সিড়ি বেয়ে নিচে নামল। বিয়ে করল। বউ নিয়ে আবার সিড়ি বেয়ে ওপরে এল। কোন যানবাহন ভাড়া করতে হল না। সুষ্ঠু এবং পরিকল্পিতভাবে আমরা বিশাল জনতাকে হ্যান্ডেল করলাম!” একটু থেমে, “বরের নাম অবশ্যই গিনিসবুকে উঠে যাওয়া উচিত। সে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে সুদূর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে বউকে কোলে বহন করে।”
চারধারে হাসির গুঞ্জন পরে। নিকিতার সাথে নিসার ভাব জমেছে খুব। আমাদের আগে আগে তারা সিড়ি বেয়ে উঠছিল। নিশান ভাইয়ের দিকে কথাপ্রেক্ষিতে জ্বলন্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, অসন্তুষ্ট মৃদু কণ্ঠে বলে, “এই ছেলে পাগল!”
সোফায় তখন থেকে বসে আছি। আমাকে ঘেরাও করে জিসানের কাজিন। এদের মধ্যে পরিচিত মুখ শুধু নেহা আপু, নিকিতা আর নিসা। বাকিদের কাউকে চিনি না। প্রয়োজনও হচ্ছে না। যে যে সময়ে গল্প বলছে সে সময় উৎসুক চোখ তাতে আবদ্ধ করছি। আশপাশে ওরা হাসলে আমিও ঠোঁট জোর হাসি ফুটাচ্ছি। একসময় অসহ্য হয়ে উঠলাম। বাইরে তা প্রকাশও করা যাচ্ছে না। সেটা আরও তীব্র অসহ্যকর মুহূর্ত! নিকিতা একসময় সরে এল। বলল, “তোমার কি খারাপ লাগছে?”
অসহায় মুখে তার দিকে তাকাই। মেয়েটি বুদ্ধিমান। বুঝে নিল। রুমে আসলে হাফ ছাড়লাম। মেয়েটা মৃদু হাসে। জটলা নিয়ে চলে যায়। শুরু হলো অপেক্ষা। অপেক্ষায় কোন সময় ঝিমোতে শুরু করলাম নিজেই টের পেলাম না। জিসানের তীব্র কণ্ঠে তন্দ্রা ছুটে। তিনি সামনে বসে ধমকান, “এখনো সং সেজে আছিস কেন? ঘুম পাচ্ছে চেঞ্জ করে ঘুমিয়ে যেতি!”
সদ্য তন্দ্রা কাটায় বিরক্তিও ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারলাম না। তিনি বললেন, “যা চেঞ্জ করে আয়।”
আদেশ পালন করি। ট্রলি খুলে ধাধায় পরে যাই। বললেন, “ওখানে আবার ঘষটে বসেছিস কেন?”
অসহায়মুখে উনার দিকে ফিরি, “কি পরব? শাড়ি না কামিজ? নাকি টিশার্ট আর ট্রাউজার?”
উনার মুখে চরম বিরক্তি ফুটল। বললেন, “যেটায় তুই কমফোর্ট বেশি সেটাই পরবি। এগুলো জিজ্ঞেস করতে হয়!”
“না মানে বিয়ে হয়েছে আপনার আপত্তি থাকতে পারে তাই..”
“হয়েছে। একদিনেই সংসারী হতে হবে না।”
পারমিট পেয়ে টিশার্ট আর ট্রাউজারই নিলাম। ফ্রেশ হয়ে বেরই। তিনি চেঞ্জ করে ফেলেছেন। সটান কপালে হাত রেখে চোখ বুজে। হয়ত ঘুমিয়ে গেছেন। কাছে এসে উনার মুখের ওপর ঝুকি। মুখমন্ডল গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করি। একহাতে ভর রেখে দেখছিলাম। তিনি হঠাৎ দুহাতে জড়িয়ে ধরলেন। আচমকা চোখ মেললেন, “আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা হচ্ছে?”
“লুকিয়ে কোথায়? প্রকাশ্যেই দেখছিলাম।”
তিনি অপলক তাকিয়ে রইলেন। তৃপ্ত হাসিতে মুখটা ঝলমলে। সুখী কণ্ঠ আসে, “তুই এখন থেকে সর্বক্ষণ আমার সাথে থাকবি তাই না? যখন দেখতে মন চাইবে তখুনি দেখব। কোন লুকোছাপার দরকার নেই। সবসময় জড়িয়ে থাকলেও কেউ দেখে ফেলবে সে কেলেংকারীর ভয় নেই।”
“বললেই হলো। আপনি কি সবার মাঝখানে আমাকে জড়িয়ে থাকবেন!?”
“মন চাইলে থাকব! আটকাবে কে? আমার বিয়ে করা বউকে আমি যেভাবে ইচ্ছে যখন ইচ্ছে জড়িয়ে থাকব। তাতে কার কি? কারোর কিছু থাকলেও জিসান থোরাই পরোয়া করে! এই শুন, রাতে এভাবেই তোকে ঝাপ্টে ঘুমাব। শীত, গ্রীষ্ণ যাই হোক! বর্ষায় একই চাদরে থেকে দুজনে বৃষ্টি বিলাসী হব। হুটহাট ব্যস্ত জীবনকে ছুটি দিব। কোলাহল ছেড়ে নির্জনতায় হারাব। কখনো তুচ্ছ কিন্তু সুখমিশ্রিত গল্পগুলোয় মেতে সারা রাত জাগব। আনলিমিটেড ঝগড়া, খুনসুটি, রোমান্স চলবে! আহা, জীবন কত সুন্দর!”
উনার চোখে মুখে স্বপ্নিল হাসি। পূর্ণাঙ্গ একজন সুখী মানুষের অভিব্যক্তি। একসময় তিনি ঘুমিয়ে যান। আমার ঘুম আসে না। তীব্র আনন্দের অনুভূতিতে জেগে থাকি। উনার বুকে পরে একদৃষ্টি মুখপানে চেয়ে থাকি। স্নিগ্ধ মুখমন্ডল প্ররোচিত করে আলতো হাত বুলিয়ে দিতে। নরম খচিত ওই দাড়ি কি এক অদম্য মোহনীয় আবেশে টানে। উনার হাতের বন্ধন ছেড়ে উঠতে যাই। তিনি হালকা নড়লেন যেন। হাতের বন্ধন আরও শক্ত করে পরে রইলেন। আশ্চর্য ঘুমের মধ্যেও কারোর সচেতন ইন্দ্রিয় জেগে থাকে!?
চোখ খুলেই জিসানের মুখটা সরাসরি দেখলাম। চোখ আবার বুজে নেই। তিনি গালে আলতো চাপড়ান, “এই উঠ। পরে পরে আর কত ঘুমাবি?”
“সরুন। আপনি সব সময়ই বিরক্ত করেন!”
কিছু মুহূর্ত চুপ থেকে, “আরে উঠ আমার বউ! কাল রাতে কিছু করলামই না তাই এত ঘুমোচ্ছিস! না জানি করলে কত ঘুমাতি!”
ঘুম ছুটে গেল। বিরক্তি নিয়ে উঠে বসলাম। বললাম, “সকাল সকালেও আপনার মুখের লাগাম থাকে না!”
তিনি ঠোঁট টিপে তাকিয়ে থাকেন। গালের দুপাশের গর্তটা ফুটে উঠে। বলেন, “লাগামহীন নাহলে পরে ভড়কে যাবি! কেঁদেকেটে বড়দের বলে দিবি! মানসম্মান কিছু থাকবে?”
বালিশ ছুড়ে মারলাম। তিনি সেটা ধরলেন, বললেন, “শাড়ি নিয়ে যা। মানুষজন আসবে তোকে দেখতে।”
ভ্রু কুচকাই, বলি, “কে আসবে দেখতে? আমাকে এখানকার মানুষজন ছোট থেকেই দেখে আসছে।”
ছোট্ট এক শ্বাস ফেললেন, “আমার আত্মীয়। পুরো পরিবার আসবে!”
চোখ বড় বড় হয়ে যায়। ভিতু কণ্ঠে বলি, “ইফাজের পরিবারও?”
“ভয় পাচ্ছিস?”
“ঐ একটু।”
“শুধু শুধু ভয় খাস না তো। ইফাজের মা বোকাসোকা হলেও মানুষটা মাটির। চমৎকার একজন!”
“কিন্তু ওরা কি বলবে? ওদেরই এক ছেলেকে রিজেক্ট করে আরেক ছেলেকে বিয়ে করতে পাগল হয়ে গেছিলাম!”
তিনি গাল দুহাতে তুলে কপালে ঠোঁট ছোয়ান। ভরসাপূর্ণ হাসেন। মুগ্ধতায় ভরসা পেলাম। বললেন, “না ভাববেন না। আমার পরিবার এত চিপ মেন্টালিটির নয়।”
রুম থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরে উঁকি দেই। নিকিতা, নেহা আপু সবাই কাজে লেগে গেছে। এত রাধুনি দেখে কিছুটা বিস্মিত, কিছুটা লজ্জিত বোধ করি। জড়তা নিয়ে আন্টির কাছে যাই। তিনি রুটি বেলছিলেন। মুখ তুলে চাইলেন। বললেন, “উঠে গেছ?”
সম্মতিতে মাথা নাড়ি, বলি, “এত রাধুনি যে?”
“অনেক মানুষ এসেছে। কাল কেউ তো যায়নি। ওদেরই নাস্তা বানানো হচ্ছে।”
জোরাজোরি করে আমিও অংশ নিলাম। আন্টি ড্রয়িং রুমের কোণে পাঠালেন আমাকে। সেখানে রুটি বেলার জন্য ছোটখাটো টেবিল আছে। বেলতে সুবিধে হবে। সঙ্গী হলো নিসা। মেয়েটি কাল সারারাত নিকিতাদের সাথে জেগেছে। তবু চোখে মুখে ক্লান্তি নেই। যেন এডভেঞ্চারে মত্ত! রুটি বেলছি তখন। নিসা কাল রাতের একেকজনের গল্প করছে। কপালের কিছু ছোট চুল এসে বিরক্ত করছে। হাত দিয়ে সরাচ্ছি। মনে হচ্ছে কপালে, গালে আটা লেপ্টে গেছে। কিন্তু নিসা কিছু বলছে না। আশ্বাস মিলল। হয়ত লাগেনি। হঠাৎ মনে হলো কোমড়ে শীতল স্পর্শ পেলাম। তড়িতে পাশ ফিরি। জিসান আমার কোমরে গোজা আঁচল ছেড়ে দিয়েছেন। চোখ রাঙিয়ে বললাম, “কি করছেন কি?”
তিনি কাছঘেষে দাঁড়ান। ধীর মৃদুকণ্ঠে বলেন, “তোর লোশনের বোতলে মোড়ক রাখা যায় না? আরেকবার মোড়ক সরলে রাত্রে বোতলের হাওয়া বের করব!”
বিস্মিত, স্তব্ধ চোখজোড়াকে পাত্তা না দিয়ে তিনি চলে গেলেন। আমি নিজের দিকে তাকালাম। লোশনের বোতল তো সাথে রাখিনি! খিলখিলানো শব্দে নিসা হাসতে শুরু করেছে। হাসতে হাসতে বেতাল হয়ে একসময় চেয়ার থেকে পরে গেল। কিছুক্ষণ বন্ধ রইল হাসি। থমকানো ভাব কাটিয়ে মেয়েটা নিচে থেকেই সশব্দে হাসতে থাকে। বাড়িতে থাকা অতিথিরা, জিসান ভাইয়ের বন্ধুরা আরও অনেকে কৌতুহলে দেখছেন। মেয়েটি মাটিতে পরেও পাগলের মতো হাসছে। বিরক্ত লাগল, ধমকালাম, “এই উঠ ওরা দেখছে।”
নিসার হাসি থামে না। বরং হাসিতে চোখ পানি আসে। ওকে টেনে উঠালাম। মেয়েটা চেয়ারে বসে মুখ ঢেকে হাসতে লাগল।
কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বাচ্চা-কাচ্চা ইয়াং স্টাররা তখন আড্ডায় বসেছি। বসার ধরন বৃত্তের মতো। নিকিতা, নিসার মাঝখানে আমি। জিসান আমার সরাসরি। আড্ডায় জিসানের কাজিন বেশি। হৈ হল্লোড়ে একসময় কথা উঠল। ওরা আজকেই নেহা আপুদের বাসায় চলে যাবে। এখন জিসান আর আমাকে নিয়ে প্রশ্ন। আমরা কি করব। বললাম, “আমি আজকে যেতে পারব না। আপন ভাইয়ের বিয়েতে না থাকলে হয়?”
নেহা আপু জিসানের দিকে তাকায়। বিস্ময়ে বলে, “শাফি তাহলে তোমাকে রেখে যাবে?”
আমি সম্মতিতে মাথা নাড়ি। কিন্তু জিসান ভ্রু কুচকান, বলেন, “আমি কেন যেতে যাব?”
নেহা আপু ফুসে উঠে। গাল ফোলায়, “বিয়ে করতেই একদিনে স্ত্রৈণ হয়ে গেলি! এখন আপনও পর! বরপক্ষ হবি তাই না?”
জিসান সোফায় হেলে নিমগ্নচিত্তে ফোন চালাচ্ছিলেন। ফোন থেকে নিতান্ত অবহেলায় মুখ তুলে চায়লেন। ধীর কিন্তু স্পষ্ট আক্ষেপে বললেন, “আমি বলেছি আমি বরপক্ষ? যা তোর বিয়েতে যাবই না আমি।”
নিকিতা উৎসুক চোখে তাকায়। বলে, “তাহলে তুই কোন পক্ষ?”
জিসানের ভাবলেশহীন উত্তর, “থার্ড পক্ষ!”
উনার কাজিনদের সম্মিলিত গুঞ্জন উঠল, “থার্ড পক্ষ? এই থার্ড পক্ষটা আবার কি?”
“যে পক্ষ রেফারি করে। দুপক্ষের সমতায় বিশ্বাসী! না কনে পক্ষ। না বর।”
~চলবে❤️