তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-২৪+২৫

0
2753

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৪
.
.হসপিটালে সাঁঝ চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছ চোখ মুখ পুরো ফ্যাকাশে হয়ে আছে। পুরোই বিধ্বস্ত লাগছে। জামাকাপড় পুরো বিবর্ণ হয়ে গেছে । মাথার চুল গুলো উস্ক খুস্ক। মুখে স্পষ্ট যন্ত্রণার ছাপ ফুটে আছে। চোখ বন্ধ করে মাথা উপরে দিকে করে বসে আছে। পাশে সারা বসে আছে। আর বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারিদিকে। সবার চোখ এখন শুধুমাত্র সামনে থাকা অপারেশন থিয়েটার এর দিকে। যেখানে এখন বেলার মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। বেলার অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয়ে আছে। হাত আর পায়ের দিকে অনেক খানি পুড়ে গেছে। পুরো শরীরে চাপ চাপ রক্ত ছিল যখন তারা বেলা কে নিয়ে আসে এখানে।
.
. সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। তারা বাইরে বসে আছে এক ঘন্টা প্রায় হতে চললো কিন্তু কোনো খবর নেই। সাঁঝ মাথা তুলে একবার সামনের দিকে তাকিয়ে নিয়ে দু হাতে মাথা চেপে ধরে বসে আছে। ওম বেদ বরাবর পায়চারি করছে এ মাথা ও মাথায়। সারা জাকিয়া শান্তা সবাই চিন্তিত হয়ে বসে আছে। নিশান দাঁড়িয়ে আছে। নিশান এর কাঁধে মাথা রেখে দাঁড়িয়ে আছে রুহি। আর একপাশে আকাশ সারিফ দাঁড়িয়ে আছে। কারোর মুখে কোনো কথা নেই।
.
–“বেলা । কি হয়েছে? কোথায় আছে বেলা? আলিয়া চিৎকার করে ডাকতে ডাকতে ছুটে আসছে তাদের দিকে।
.
–” এখানে বস দিয়া। বেলা ভিতরে। বেদ আলিয়া কে ধরে বসিয়ে দেয়।
.
–“ঠিক আছে ও? কি করে হল এমন? হ্যাঁ কিছু হয়নি তো ওর? এমনিতে ও আগুনে ভয় পায়। চিন্তা আর উদ্বিগ্ন মুখে জিজ্ঞেস করে যায় আলিয়া।
.
–“সব ঠিক হয়ে যাবে দিয়া তুই একটু শান্ত হয়ে বস। শান্তা আলিয়া কে জড়িয়ে নিয়ে বলে ওঠে।
.
. ওদের কথার মাঝে ডাক্তার বেরিয়ে আসে। সাথে সাথে সাঁঝ উঠে দাঁড়িয়ে ছুটে যায় সেদিকে। বাকিরা যায়।
.
–” ডক্টর বেলা? সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“বলুন না ও কেমন আছে। ঠিক আছে তো? আলিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
–“আরে আপনি চুপ করে আছেন কেনো বলুন না। সারা বলে ওঠে।
.
–” দেখুন মিসেস বেলা এখন আউট ওফ ডেন্জার। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ওনার জ্ঞান ফিরছে কিছু বলতে পারছি না। ওনার হাত ও পায়ের দিকে অনেকখানি পুড়ে গেছে। সাথে মাথায় কোনো কিছুতে চোট পেয়েছে। ওনার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। আর আধা ঘন্টা মত উনি আগুনের মধ্যে আটকে ছিলেন তাই এর জন্য ওনার শরীরে মধ্যে ধোঁয়া চলে গেছে। ফুসফুস এর মধ্যে ও তো তার জন্য শর্ট নেস ব্রেথ হতে পারে। আর তাছাড়া মনে হয় ওনার আগুনে ফোবিয়া বা এরকম কিছু ছিল যার জন্য ট্রমাটাইজ হয়ে আছেন। তাই যতক্ষন না জ্ঞান ফিরছে কিছু বলা যাচ্ছে না। বলে ওঠে ডক্টর।
.
–“ওকে দেখতে পারি। সাঁঝ অসহায় হয়ে বলে ওঠে।
.
–” একটু পরেই ওনাকে আই সি ইউ তে সিফ্ট করা হবে। ওনার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত অভজারভেশনে রাখতে হবে। একটু পরেই দেখা করতে পারেন। বলেই ডক্টর চলে যায়।
.
. কিছুক্ষণ পর সাঁঝ গুটি গুটি পায়ে কেবিনে ঢুকে। সামনে তাকাতে দেখে বেলা নিঃপ্রান ভাবে বেডে শুয়ে আছে। স্যালাইন চলছে আর তার সাথে রক্ত দেয়া হচ্ছে। মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরানো মাথায় ব্যান্ডেজ পায়ে হাতে ও ব্যান্ডেজ করা মুখ পুরো ফ্যাকাশে হয়ে আছে । ঠোঁট শুকিয়ে গেছে। সাঁঝ আসতে আসতে গিয়ে বেলার পাশে বসে পড়ে। খুব সাবধানে বেলার একটা হাত নিজের মুঠি ভোরে নিয়ে নিজের মুখের কাছে লাগিয়ে নেয়। চুপ চাপ এক দৃষ্টিতে বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। বেলা কে এই ভাবে সাঁঝ এর বুকের মধ্যে রক্তপাত শুরু হয়ে গেছে। চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে। চোখের কোণে পানি ছলছল করছে সাঁঝ এর। ক্রমাগত বেলার হাতে নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে যাচ্ছে। সাঁঝ চোখ বন্ধ করতে একটু আগের ভয়ংকর দৃশ্য ভেসে ওঠে।
.
. কিছুক্ষণ আগেই…
.
. সাঁঝ দরজায় লাথি দিয়ে দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলে। সামনে তাকাতে সাঁঝ এর হার্টবিট থেমে যায়। মেঝেতে বেলা পড়ে আছে। চারিদিকে আগুন আর ধোঁয়ায় ভোরে তার মাঝে পড়ে আছে বেলা। হাতে পায়ের দিকে পুরো ঝলসে গেছে। শরীরে চাপ চাপ রক্ত ফুটে আছে। সাঁঝ তাড়াতাড়ি ভিতরে ঢুকে যায় আগুন কাটিয়ে। মেঝেতে বসে বেলার মাথা নিজের কোলে তুলে নেয়। মাথার থেকে রক্ত পড়ছে। মুখের এক সাইট রক্ত লেগে আছে। হাত আর পায়ের দিকে তাকাতেই সাঁঝ এর দম আটকে আসে। ততক্ষণে বাকিরা ও চলে আসে ভিতরে।
সাঁঝ বেলার মাথা নাড়িয়ে ডাকতে থাকে কিন্তু বেলার কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। বেলা কে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে চেপে ধরে থাকে সাঁঝ। চোখের কোন বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে কয়েক বিন্দু।
.
–“বেলা এই চোখ খোলা দেখো আমি আছি তোমার সাথে বেলা। সাঁঝ চিৎকার করে ডেকে ওঠে।
.
. সাঁঝ নিজের কোর্ট খুলে বেলার গায়ে জড়িয়ে বেলা কে কোলে তুলে নিয়েই ছুটতে শুরু করে তার সাথে বাকিরা ও । গাড়িতে বসিয়ে হসপিটাল এর দিকে ছুটে যায়। তার এখন কোনো দিকে হুস। সে কে? কি তার পরিচয়? সব কিছু ভুলে গিয়ে ছুটতে থাকে সাঁঝ। হসপিটাল পৌঁছে ও বেলা কে কোলে নিয়েই ভিতরে ঢুকে যায় চিৎকার করে ডক্টর নার্স কে ডাকে। বাকিরা শুধু দাঁড়িয়ে দেখে গেছে সাঁঝ এর উৎকন্ঠা তার অসহায়তা। সাঁঝ কে পাগলের মত আচরণ করতে। যে সাঁঝ সব সময়ে পরিপাটি তার আরোগেন্ট ভাব এর জন্য পরিচিত সেই সাঁঝ এখন পুরো অসহায় হয়ে আছে।
.
.
. এইসব ভাবতে ভাবতে সাঁঝ এর চোখের কোণে থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। সাঁঝ বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে এক হাত উঠিয়ে বেলার মুখে স্লাইড করতে থাকে। সাঁঝ বেলার মুখের ওপর ঝুঁকে গিয়ে বেলার কপালে ব্যান্ডেজ এর ওপর চুমু খায়। তারপরে দু চোখের পাতায়। বেলার শুকনো ঠোঁটের ওপর হাত বুলিয়ে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় বেলার শুকনো ঠোঁটে। শুষে নেয় কিছুক্ষণ বেলার শুকনো ঠোঁট। বেলার মুখের গড়িয়ে পড়ে কয়েক বিন্দু তরল। তারপরেই হুট করে বেরিয়ে যায় সাঁঝ বেলার রুমে থেকে।

—————–

–“তোমার সাহস কি করে হল এই কাজটা করার হ্যাঁ। তোমাকে বলেছিলাম আমি বেলার থেকে দূরে থাকতে তাহলে সাহস কি করে হল। রনি চিৎকার করে ওঠে।
.
. দিশার গলা চেপে দেয়ালে সাথে আটকে ধরে রনি। তার মুখের জিওগ্রাফী পুরো পাল্টে দিয়েছে সাঁঝ। ঠোঁটের কোন বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। নাক ফুলে আছে। কপালে রক্তের ছাপ লেগে আছে। তবুও সে দিশার ওপরে ক্ষ্যাপা হয়ে আছে। সে জানত এই কাজটা দিশা ছাড়া আর কারোর হতে পারে না।
.
–“তোমাকে আমি শুধু বলেছিলাম আমাদের দুজনের ক্লোজ ছবি আর ভিডিও পাঠাতে আর তুমি কি করলে। বেলার যদি কিছু হয়ে যায় না তাহলে আমি তোমাকে বাঁচতে দেবো না। আর তোর সাথে ওই সাঁঝ কে ও মেরে ফেলব। তুমি এখনও আমাকে চেন না। হুংকার ছেড়ে বলে ওঠে রনি।
.
–“তুমি ওকে আগুনের মাঝে ছেড়ে দিয়েছ। তুমি জানতে ও আগুনে ভয় পায় তার পরেও তুমি ওকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেছো। তোমাকে তো আমি ছাড়ব না। বলে ওঠে রনি।
.
. দিশা কে টান মেরে মেঝেতে ফেলে দেয় রনি। পাশে থাকা টেবিল থেকে ছুরি তুলে নিয়ে দিশার হাতে আর পায়ে চালাতে থাকে আর সাথে সাথে দিশা চিৎকার দিতে থাকে। দিশার এই চিৎকার শুনে রনি ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকে। কাটার ওপরে লবণ ছড়িয়ে দেয় রনি।
.
–“এটা শুধুমাত্র তোমাকে বোঝানোর জন্য বেলার গায়ে হাত দিলে কি হয়। এর আগের বারে ও তুমি একই ভুল করেছিলে কিন্তু আমি তোমাকে কিছু বলিনি কিন্তু আজ তুমি সব হাদ পার করে দিয়েছ তাই তোমাকে এটা বোঝানোর জন্য ছিল। বেলার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে এটা তোমার গলায় চালিয়ে দেবো। বলেই রনি রুমে থেকে বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে মেঝেতে পড়ে চিৎকার করছে দিশা। কাটার ওপর লবণ ছড়িয়ে দিয়েছে তাই অসহ্য জ্বলছে। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে আর তার সাথে এবারে মুখে ফুটে আছে হিংস্রতার ছায়া।
.
–“দু দু বার আমার হাত থেকে তুই বেঁচে গেছিস। আর নয় এবারে আমি তোকে নিজে হাতে শেষ করব। তোর জন্য আজ আমার গায়ে এই নিশান হয়েছে। এর জন্য তো তোকে এর হিসাব চুকাতে হবে। আসছি আমি। দিশা দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার করে বলে ওঠে।

—————-

–” স্যার এই যে ফুটেজ গুলো। এখানে ইউনিভার্সিটি সব ফুটেজ গুলো আছে। আকাশ তার হাতের ট্যাব টা সাঁঝ এর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ আকাশ এর হাতে থেকে ট্যাব নিয়ে ফুটেজ গুলো চেক করছে। আর তার সাথেই চোখ মুখ রাগে হিংস্র হয়ে যাচ্ছে।
.
–” এর পর কি আমি তোমাকে বলে দেবো কি করতে হবে? সাঁঝ দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে ওঠে আকাশ কে।
.
–” নো নো স্যার আমি অলরেডি সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। লোক লাগিয়ে দিয়েছি। রাতের মধ্যে ওদের সবাই কে ধরে ফেলবে। আকাশ বলে ওঠে।
.
–“স্যার বলছিলাম যে আপনি একটু জুস অন্তত খেয়ে নিন সেই সকাল থেকে না খেয়ে আছেন। আকাশ বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে ট্যাব টা আকাশ এর হাতে ফিরত দিয়ে দেয়। উঠে দাঁড়িয়ে আসতে আসতে বেলার কেবিনে ঢুকে যায়। দুপুর থেকে সন্ধে গড়িয়ে রাতের কবলে ঢোলে পড়েছে অথচ বেলার কোনো সাড়া নেই। সাঁঝ গিয়ে বেলার পাশে বসে পড়ে।
.
–“এই যে আর কতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকবে? দেখো আমি এখনও কিছু খাইনি। কষ্ট হচ্ছে তো আমার। কথা বলবে না আমার সাথে? তুমি তোমার জিন্দেগির সাথে কথা বলবে না? রাগ দেখাবে না? দেখো আমি আর তোমার সাথে ঝগড়া করব না তোমার ওপর রাগ ও দেখাবো না। তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা দেবো। চোখ খোলা না সোনা। আমার দম আটকে আসছে যে। তোমাকে এই অবস্থায় দেখে আমি সহ্য করতে পারছি না। তোমাকে আমার অনেক কথা বলার আছে জান উঠো না প্লিজ। বেলার হাত কপালে ঠেকিয়ে বলে ওঠে সাঁঝ। সাঁঝ এর চোখের কনের থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে বেলার ওপর।
.
. সাঁঝ বেলার পাশে থেকে উঠে কাঁচের দেয়ালের দিকে চলে যায় আলতো হাতে চোখের কোণে জমে থাকা পানি মুছে নেয়। সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে দূরের রাস্তার চলমান গাড়ি ঘোড়া দেখতে থাকে। সে এই অবস্থায় বেলা কে কিছুতেই সহ্য করতে পারছি না।
.
. কিছুক্ষণ পর গোঙানোর শব্দ পায়। তারপরেই কিছু পড়ে যাওয়ার সাথে আগুন আগুন বলে চিৎকার।
.
. সাঁঝ তার ধ্যানে মগ্ন ছিল তাই প্রথমে বুঝতে পারিনি শেষের দিকে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ এর জন্য পিছনে ঘুরে দেখে বেলা হাত নাড়িয়ে পাশে থাকা গ্লাস ফেলে দিয়েছে সাথে হাত পা নাড়িয়ে চিৎকার করছে আগুন আগুন করে। বেলার এই অবস্থা দেখে সাঁঝ তাড়াতাড়ি বেলার কাছে ছুটে যায়। বেলা কে টেনে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে নেয় সাঁঝ।
.
–“সুসসস । জান দেখো আমি। কোথায় আগুন। দেখ কিছু নেই।শান্ত হয়ে যাও সোনা। সব ঠিক আছে সাঁঝ উদ্বিগ্ন হয়ে বলে ওঠে।
.
–” আগুন। আগুন মা বাবাই। আগুন আগুন। সাঁঝ। বলেই বেলা চোখ বন্ধ করেই চিৎকার করতে থাকে।
.
. বেলার ছটফট করার জন্য হাতের থেকে রক্ত পড়ছে। সাঁঝ কিছুতেই বেলা কে শান্ত করতে পারছে না। সাঁঝ কোনো উপায় না পেয়ে বেলা কে চেপে ধরে দু হাতে মুখ উচু করে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে। বেলা আসতে আসতে নিসতেজ হয়ে পড়ে। সাঁঝ এর ওপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ততক্ষণে ডক্টর ও চলে আসে। সাঁঝ বেলা কে নিজের বুকের থেকে সরিয়ে শুয়ে দেয়। বেলার দিকে তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে যেতে যায়। কিন্তু হাত আটকে যায়। পিছনে মুড়ে দেখে বেলা তার হাত মুঠো করে ধরে রেখেছে। সাঁঝ আবারো আসতে আসতে বেলার পাশে চলে আসে।
.
–“মিস্টার রওশন। উনি এখন ট্রমার মধ্যে আছেন। এর আগেও মনে হয় কোনো বড় ধরণের শখ পেয়েছিলেন। আর আজকের জন্য ব্যাপার টা আরো বেশি ওনার মাথায় জেকে বসেছে। এখন উনি বিপদ মুক্ত। তবে ওনাকে ভালো কোনো সাইক্রিয়াটিস্ট দেখিয়ে নেবেন। ওনাকে এখন ঘুমের ইঞ্জেকশন দেয়া হয়েছে। আশা করছি এর পর উনি আসতে আসতে সুস্থ হয়ে যাবেন। বলে ডক্টর বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে সাঁঝ বেলার হাত ধরে বসে থাকে কিছুক্ষণ বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে বেলার পাশে শুয়ে পড়ে। বেলা কে নিজের বুকের ওপর টেনে নেয়। জড়িয়ে রাখে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে। চোখের কোণে থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে সাঁঝ এর। সাঁঝ মাথা উচু করে বেলার মাথায় চুমু খায়। বেলা সাঁঝ এর বুকের কাছে শার্ট খামছে ধরে রাখে। সাঁঝ মাথা নামিয়ে বেলার ঘাড়ে মুখ গুঁজে দেয়। চোখ বন্ধ করে বেলা কে নিজের সাথে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রাখে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…..

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৫
.
.অন্ধকার আলো আবছাওয়া রুমের মধ্যে থেকে বিকট বিকট চিৎকার ভেসে আসছে। আর তার জন্য দম আটকে আসছে শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘামে ফুটে ওঠে। এমন ভয়ঙ্কর শব্দের জন্য জান পাখি খাঁচা ছেড়ে পালানোর উপায় হয়েছে। রুমের বাইরে দাঁড়ানো গার্ড গুলো ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে। ভিতরে আওয়াজ কানে আসতে তারা কেঁপে কেঁপে উঠছে।
.
. রুমের মধ্যে একটা বাল্ব জ্বলছে। যার জন্য একটা গা ছমছমে ভাব হয়ে আছে। রুমের মধ্যে আসতে আসতে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। মাঝের একটা ছোট্ট মত বক্স রাখা আছে। ঠিক বক্স নয় দেখতে ছোটো খাটো চৌবাচ্ছা টাইপ। ওর মধ্যে থেকে ধোঁয়া উঠছে। ভালো করে দেখলে বোঝা যাচ্ছে গরম পানি ফুটানো ওর মধ্যে। পাশের বড় টেবিলে পিছমোড়া করে দুজন বাধা অবস্থা পড়ে আছে। পিঠের ওপর পুরো কালশিটে দাগ বসে জায়গা জায়গা ফেটে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। তার ওপর লবণ ও চিলি পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। সাঁঝ হাতে একটা গ্লাভস পরে দু জনের পিঠে ভালো করে মেল্ট করতে থাকে আর তার সাথে গগন বিদারি চিৎকার ভোরে যায় রুমের মধ্যে।
.
. সাঁঝ । চোখ মুখ দেখে এখন কোনো মানুষ বলে মনে হচ্ছে না। চোখে মুখে ফুটে আছে হিংস্র ক্রূরতা জান লেবা চাহনি। মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাবে। চোখ পুরো লাল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে এখুনি রক্ত গড়িয়ে পড়বে। কপালের রগ গুলো ফুটে আছে। এই রূপ দেখলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠবে। চোখে মুখে ফুটে আছে এখন হিংস্র জানোয়ার এর মত জান লেবা দৃষ্টি।
.
. পাশের রাখা ফুটোন্ত গরম জলে প্রথমে একজন কে ফেলে দেয়। সাথে চিৎকার ভেসে আসে। সাঁঝ যেনো এক পৈশাচিক আনন্দ পায় এই অবস্থায় দেখে। গরম পানিতে ফেলার পর দেখতে আরো বীভৎস হয়ে গেছে। দেখলেই ভয় পেয়ে যাবে। পরের জন কে একই ভাবে গরম পানিতে ফেলে দেয়। এইবার সাঁঝ ওদের দুজন কে টর্চার টেবিলে ফেলে দিয়ে সারা শরীরে ছুরি দিয়ে খেলতে থাকে। এবার যেনো সাঁঝ একটু শান্তি পেলো। ঘর কাঁপিয়ে হেসে যাচ্ছে সাঁঝ। আর তারপরে মুখটা করুন বানিয়ে ফেলে তার চোখের সামনে সকালের আগুনের মধ্যে আটকে পড়া বেলার দৃশ্য মাথায় চলে আসে।
.
–“আমার জানের দিকে যে যে হাত বাড়াবে তাদের অবস্থা ও ঠিক এইরকম হবে এর থেকে ও কঠিন শাস্তি। যা কেউ কল্পনা ও করতে পারবে না এই সাঁঝ এর বেলার দিকে হাত বাড়িয়েছে ফল তো ভোগ করতে হবে। এখন আসতে আসতে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করতে থাক। তোদের জন্য আজ আমার বেলা হসপিটাল এর বিছানায় পড়ে আছে। তাই তোদের কে আমি এই নরক যন্ত্রণা দিলাম একটি একটু করে দগ্ধ রক্ত শুন্য হয়ে মরতে থাক। দাঁতে দাঁত চেপে হুঙ্কার দিয়ে বলে বেরিয়ে সাঁঝ।

—————–

হসপিটাল রুমে একদম শান্ত সৃষ্ট পরিবেশ বিরাজ করছে। আলো আধারি হয়ে আছে। কানে কোনো মেশিনের আওয়াজ বেজে যাচ্ছে ঠিক ঘড়ির কাঁটার মত। বেলা চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে মাথা টা ও বড্ড ভারী ভারী মনে হয়। আসতে আসতে পিট পিট করে চোখ খুলে তাকায় ।চারিদিকে তাকিয়ে নিজেকে হসপিটাল রুমের বেডে আবিস্কার করে চারিদিকে ওষুধ ওষুধ গন্ধ মাথার দুপাশে মেশিন এর আওয়াজ। হাত পা ব্যাথা নাড়াতে পারছেনা । চোখ ঘুরিয়ে দেখে দূরে কাঁচের দেয়ালের কাছে দাঁড়িয়ে সাঁঝ বাইরের দৃশ্য দেখছে। বেলা আসতে আসতে উঠে বসতে কিন্তু পারে না।
.
. এদিকে সাঁঝ হালকা আওয়াজ পেতে মাথা ঘুরিয়ে দেখে বেলা জেগে গেছে। উঠে বসার চেষ্টা করছে। সাঁঝ জলদি জলদি গিয়ে বেলার পাশে বসে পড়ে। খুব সাবধানে দু হাত বুকে টেনে নেয় বেলা কে। বেলা হাত উঠাতে চেয়ে ও পারে না যন্ত্রণায় ছিড়ে যাচ্ছে হাত দুটো। সাঁঝ এর বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে পড়ে আছে বেলা।
.
–“সাঁ…ঝ ।কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ওঠে বেলা। কান্না গুলো দলা পাকিয়ে গলার কাছে আটকে আছে।
.
–” হূসসসস । কোনো কথা নয় সোনা। দেখো আমি আছি তোমার সাথে। সব কিছু ঠিক আছে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে ওঠে।
.
. বেলা সাঁঝ এর বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে ফুফিয়ে কান্না করতে থাকে। হাত দুটো উচু করতে পারছে না। পা ও নাড়াতে পারছে না। বেলা মুখ টা আরো একটু এগিয়ে নিয়ে সাঁঝ এর বুকে মুখ ঘষতে থাকে। বেলার চোখের পানিতে সাঁঝ এর শার্ট ভিজে যাচ্ছে। বেলা চেয়েও সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরতে পারছে না। বেলা যে সাঁঝ কে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখতে চায়। এই বুকের মাঝে যে সে নিজেকে খুবই নিরাপদ মনে করে।
.
–“সাঁঝ আমি জড়িয়ে ধরতে পারছি না তোমাকে। বেলা কান্না করতে করতে বলে ওঠে।
.
. এই সময়ে ও বেলার এমন কথা শুনে সাঁঝ মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বেলার বাচ্চা বাচ্চা ভাবের কথা শুনে। সাঁঝ বেলা কে আরো শক্ত করে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে নেয়। মনে মনে বলে ওঠে পাগলি একটা।
.
. কিছুক্ষণ পর সাঁঝ বেলা কে ধরে আসতে আসতে শুয়ে দেয়। পাশে থাকা স্যুপ এর বোল টা তুলে নেয়। আসতে আসতে করে বেলা কে খাইয়ে দিতে থাকে সাঁঝ। তার মুখে এখন আর যন্ত্রণার ছাপ নেই ফুটে আছে এক টুকরো প্রশান্তির ছায়া।
.
. বেলা টুকুর টুকুর করে চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকে সাঁঝ কে খেতে খেতে । বেলা দেখতে পায় সাঁঝ এর অগোছালো চুল বসা চোখ মুখ। চোখের তলায় কালির ছাপ মুখ হয়ে শুকনো। মুখে এক টুকরো হাসি থাকলেও তার সাথে যে রাগ ও মিশে আছে সেটা স্পষ্ট ধরতে পারছে বেলা। চুপ চাপ খেতে খেতে এক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখে বেলা সাঁঝ এর দিকে । খাওয়া শেষ হতে মুখ মুছে দিয়ে সাঁঝ উঠে দাঁড়াতে নিলে বেলা অনেক কষ্টে হাতের আঙুল গুলো দিয়ে সাঁঝ এর shirt টেনে ধরে ।সাঁঝ কোনো কথা না বলে বসে পড়ে। এবার মুখে ফুটে আছে অসহায় আর রাগের ছাপ। সাঁঝ অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে। বেলা তার আঙুল নিয়ে সাঁঝ এর হাতের আঙুল এর মাঝে দিয়ে আলতো করে চাপ দেয়। সাঁঝ এবার সামনে ঘুরে। বেলার মুখের দিকে দেখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সাঁঝ বেলার ওপর ঝুঁকে পড়ে দুপাশে হাত রেখে চোখ চোখ দিয়ে বলে ওঠে।
.
–“খুব কি দরকার ছিল হ্যাঁ? কি হতো কালকে যদি আমি ঠিক সময়ে না পৌঁছে যেতাম। ভাবলে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। তোমাকে বলেছিলাম তো আমি যেতে হবে না আর এম এর সাথে কোনো কন্ট্রাক্টড করতে হবে না কিন্তু তুমি আমার কথা শুনলে না। কি হতো তুমি একবার ভাবতে পারছ। আমার কথা তো একবারও ভাবলে না। আমি কি করতাম। বল চুপ কেনো উত্তর দাও। সাঁঝ অসহায় হয়ে বলে ওঠে তার গলায় ফুটে আছে স্পষ্ট যন্ত্রণার ছাপ।
.
.সাঁঝ বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। বেলা অনুভব করে তার গলায় তরল কিছু পড়ছে। বুঝতে পারে সাঁঝ কাঁদছে।
.
–“তুমি জানো কাল থেকে আমার অবস্থা কি হয়েছিলো। তোমার চিন্তায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। দম আটকে আসছিল নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিলো এই বোধ হয় সব শেষ হয়ে গেলো। প্রথমে তোমার জ্ঞান ফিরছিল না। আর তারপরেই তুমি জ্ঞান ফিরে পাগলামি করেছিলে ভয় পাচ্ছিলে তোমাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সাঁঝ বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে রেখে বলে যায়।
.
. এদিকে বেলার অবস্থা ও খারাপ একে সাঁঝ গরম নিশ্বাস গলায় পড়ছে আর তার সাথে সাঁঝ কথা বলার সাথে সাথে তার ঠোঁট তার গলায় ছুয়ে যাচ্ছে। আর সাঁঝ এর বলা প্রতিটা কথা যেনো ছুরির মত বিধছে বেলার বুকে।
.
–“আমি বাড়ি যাব। আমি আর এখানে থাকবো না। বেলা বাচ্চাদের মত করে বলে ওঠে।
.
–” তুমি এই ভাবে আমাকে জড়িয়ে আছো আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারছিনা। বেলা এবার কাঁদো কাঁদো মুখে বলে উঠছে।
.
–“কি বললে আরো একবার বল। তুমি আমাকে তুমি করে বলেছ। সাঁঝ বেলার গলায় থেকে মুখ তুলে বেলার ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেলার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে সত্যি তো সে সাঁঝ কে তুমি করে ডেকে ফেলেছে। বেলার মুখে লজ্জা ফুটে উঠেছে।
.
–” ক..ই না…তো । তুতলিয়ে বলে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
.
–” এই যে একদম আর কথা ঘুরাবে না। তুমিতেই থাকবে। যদি আবারো আপনি হয় না তাহলে না খুব মারব ।সাঁঝ বেলার মুখ নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে নাকে কামড় দিয়ে বলে ওঠে।
.
–“আর তোমার হাত পা ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করতে হবে না। এখন একটু ব্যাথা আছে তাই একদম নাড়াচাড়া করবে না। আর আমি তো আছি তোমাকে জড়িয়ে রাখার জন্য। চোখ টিপে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. বেলা কোনো কথা না লজ্জা পেয়ে চোখ নিচে নামিয়ে নেয়। মুখ লাল হয়ে আছে। কোনা চোখে তাকিয়ে দেখে সাঁঝ তার দিকেই তাকিয়ে আছে মুখে ফুটে আছে দুষ্টামি ভরা হাসি।
.
–” তোমার মুখে হাসি টা দেখার জন্য তো এতো চেষ্টা। আমি চাইনি তুমি আবারো ওই দৃশ্য মনে করো। তোমাকে আমি সব সময়ে এই ভাবে আমার ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখব। তোমাকে কোনো বিপদের ছায়া ও লাগাতে দেবো না। সাঁঝ মনে মনে বলে ওঠে।
.
–” বেলা…..।
.
. বাইরে চিৎকার আসতে সাঁঝ সোজা হয়ে বসে। বেলা ধরে হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয়। সাথে সাথে সব গুলো ঢুকে পড়ে। সবার হাতে কিছু না কিছু আছে বেলার জন্য। সারা এসে খুব সাবধানে বেলা কে জড়িয়ে বেলার গালে চুমু দিয়ে হাতে থাকা হলুদ গোলাপ এর বুকে টা ধরিয়ে দেয়।
বাকি গুলোর একই অবস্থা সব গুলোর হাতে ফুল রেড রোজ, অকির্ড, টিউলিপ, আর নিশান ওম বেদ বেলার সামনে এসে বড় একটা চকলেট বক্স এগিয়ে দেয়।
.
. বেলার আনন্দ দেখার মত এতক্ষণে তার কষ্ট সব ভুলে গেছে তার সামনে দাঁড়ানো পাগল গুলো কে দেখে। সব কজন মিলে একসাথে গ্রুপ হাগ করে। আর বেলা ও মেতে উঠেছে সবার সাথে। এদিকে বেলার পাশে দাঁড়িয়ে সাঁঝ শুধু বেলা কে দেখে যাচ্ছে । বেলার মুখে ফুটে আছে অনাবিল হাসি। শুধু দাগ হিসাবে মাথা আর হাত পা এর ব্যান্ডেজ গুলোই ফুটে আছে। ওদের কে ওদের মত ছেড়ে সাঁঝ বেরিয়ে যায়।
.
. কিছুক্ষণ পর ডক্টর এর সাথে কথা ডিসচার্জ করিয়ে নেয়। রুমে এসে সবার সামনে থেকে বেলা কে কোলে তুলে নেয়। যেহেতু বেলা হাঁটতে পারবে তাই। সাঁঝ বেলা কে হুইল চেয়ার বসাতে চাইনি এতে বেলার ঘা এর আরো বেশি করে আঘাত করা হবে। বেলা কোনো কথা না সাঁঝ বুকের সাথে মিশে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার হাত দুটো তার কোলে রাখা আছে। বেলা চেয়ে ও সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে ধরতে পারছে না।
.
–“চিন্তা করো না। এরপরেই জড়িয়ে থেকো সবসময় আমি তো তোমার নাকি। আমি তোমার আছি তাই যখন ইচ্ছা জড়িয়ে রেখো কেমন। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর বুকের ওপর কামড় বসিয়ে দেয়। আর এদিকে সাঁঝ মুচকি মুচকি হাসতে থাকে। চারদিকে তাদের কে দেখতে থাকে সবাই। সবাই এর চোখ এখন তাদের দিকে। আর মেয়ে গুলো তো হা করে গিলে যাচ্ছে। এদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই এদিকে তারা তাদের মত আছে দুজনের মধ্যে ডুবে আছে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….